বিনা খরচে জাপান যেতে চাইলে দক্ষ হতে হবে

Author Topic: বিনা খরচে জাপান যেতে চাইলে দক্ষ হতে হবে  (Read 2341 times)

Offline habib

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 112
  • Test
    • View Profile

বিনা খরচে জাপান যেতে চাইলে দক্ষ হতে হবে

জাপানে কর্মী পাঠানোর তালিকায় নবম দেশ হিসেবে যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। এর ফলে জাপানের ১৪টি খাতে বিশেষায়িত দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ তৈরি হলো। বিনা খরচে জাপান যাওয়ার সুযোগ পাবেন দক্ষ কর্মীরা। অন্য দেশের তুলনায় জাপানে আয়ের সুযোগও বেশি। আগামী পাঁচ বছরে সাড়ে তিন লাখ বিদেশি কর্মী নেবে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এ দেশটি।

আজ মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত সহযোগিতা সই করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান এবং জাপানের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অধীনস্থ ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সির কমিশনার সোকো সাসাকি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। জাপান থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য উপসচিব কাজী আবেদ হোসেন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছু কর্মী যাচ্ছেন জাপানে। কিন্তু অনেক দিন ধরেই জাপানের কর্মী আমদানির তালিকায় প্রবেশের চেষ্টা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ জাপান সফরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আইএম) জাপানের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় সরকারিভাবে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষানবিশ হিসেবে কর্মী পাঠানো হচ্ছে সে দেশে। পাঁচ বছরে শিল্পকারখানা, নির্মাণকাজ, কৃষি, অটোমোবাইল, সেবাদানকারীসহ ১৪টি খাতে দক্ষ জনশক্তি নেবে জাপান। আগে থেকেই জাপানের জনশক্তি নেওয়ার তালিকায় আছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। এ তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি বড় সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসাব বলছে, গত বছর মাত্র ১৬৩ জন জাপানে পাঠাতে পেরেছে বাংলাদেশ। চলতি বছর ৪০০ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জুলাই পর্যন্ত গিয়েছেন ১১৯ জন। আরও প্রায় এক হাজার কর্মীর ভাষা প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার ২৭টি কেন্দ্রে ৪০ জন করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএমইটি। চার মাস মেয়াদি জাপানি ভাষা শেখার এসব প্রশিক্ষণের পর পরীক্ষায় বসেন কর্মীরা। উত্তীর্ণ হলে আইএম জাপানের ব্যবস্থাপনায় আরও চার মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষানবিশ হিসেবে তাঁদের জাপানে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিএমইটি সূত্র জানায়, জাপানের মানুষের গড় আয়ু ৮৪ বছর হলেও ১০০ বা তার অধিক বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। বয়স্ক এসব মানুষের সেবার জন্য দক্ষ জনবল দরকার। নির্মাণশিল্প, প্রযুক্তি, নার্সিং, কৃষি, হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টুরিজম খাতেও কাজের সুযোগ আছে সেখানে। থাকা-খাওয়া বাদে প্রতি মাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন একজন দক্ষ শ্রমিক। জাপান যেতে অভিবাসন ব্যয় নেই বললেই চলে। তবে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে জাপান বরাবরই রক্ষণশীল। তাই কোনো অঘটনের কারণে যেন বাজারটি বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েই এগোচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ না নিয়ে কেউ জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাই প্রশিক্ষণের আওতা বাড়াতে গত ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সরকার প্রণীত নীতিমালার আওতায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বিএমইটিতে আবেদন করেছে। এসব আবেদন তদন্ত করে যাচাই-বাছাইয়ের পর মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএমইটি। মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলে প্রশিক্ষিত শ্রমিকের সংখ্যা আরও বাড়বে। শিগগিরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের জনশক্তি রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারিভাবে ইতিমধ্যেই কেউ কেউ প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে। সরকারের অনুমোদনের পর এটি আরও বাড়বে।

জনশক্তি রপ্তানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাপানে সবকিছুতেই স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। দক্ষ কর্মীরা এখানে কাজের সুযোগ পাবে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশটির শ্রমবাজারে বেশি হারে কর্মী পাঠাতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তবে প্রতিটি ধাপে সরকারের সতর্ক নজরদারি থাকতে হবে।
Md. Habibur Rahman
Officer, Finance & Accounts
Daffodil International University (DIU)
Corporate Office, Daffodil Family
Phone: +88 02 9138234-5 (Ext: 140)
Cell: 01847-140060, 01812-588460

Offline Md. Neamat Ullah

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 183
    • View Profile
Information post. Its will helpful for our students and job candidate for Japan.
Md. Neamat Ullah
Administrative Officer
Daffodil International University
Cell: 01811458868, 01675341465
E-mail: neamat@daffodilvarsity.edu.bd
neamat@daffodil.com.bd

Offline Farhadalam

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 105
  • Test
    • View Profile