ব্রণ হলে কী করবেন, কী করবেন না

Author Topic: ব্রণ হলে কী করবেন, কী করবেন না  (Read 1482 times)

Offline Jannatul Ferdous

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 247
  • Test
    • View Profile
ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের একধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা জমে ফুলে ওঠে, যা ব্রণ নামে পরিচিত। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ হয় এবং লাল হয়ে যায়। জীবাণুর সংক্রমণ হলে এতে পুঁজ হয়। সংক্রমণ সেরে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে।

ব্রণ কেন হয়


সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত না হলেও হজমের সমস্যা, অ্যালকোহল, বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের প্রভাবে ব্রণ হয়। বংশগত কারণও অন্যতম। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামের একধরনের জীবাণু এর জন্য দায়ী হতে পারে।

ব্রণের প্রকারভেদ

১. ট্রপিক্যাল একনি অতিরিক্ত গরম এবং আর্দ্রতায় পিঠে, ঊরুতে বেশি হয়ে থাকে।

২. প্রিমেন্সট্রুয়াল একনি নারীদের মাসিকের সপ্তাহখানেক আগে ওঠে।

৩. একনি কসমেটিকার কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারের কারণে হতে পারে।

৪. মুখ বারবার সাবান দিয়ে ধুলেও (দৈনিক ১ থেকে ২ বারের বেশি) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। একে একনি ডিটারজিনেকস বলে।

৫. স্টেরয়েড একনি স্টেরয়েড ওষুধ সেবন বা ব্যবহারে দেখা দেয়।

ব্রণ হলে কী করবেন

• দিনে দু-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। বাইরে থেকে এসেই মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া হালকা গরম পানির স্টিম নিতে পারেন।

• তেল ছাড়া ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন।

• মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

• পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করুন।

• রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও পানি পান করুন।

• কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে। প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

ব্রণ হলে যা করবেন না

• রোদ এড়িয়ে চলুন।

• তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।

• ব্রণে হাত লাগাবেন না, খুঁটবেন না।

• চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না, যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।

• তেলযুক্ত বা ফাস্টফুড খাবার ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

 আগামীকাল পড়ুন: সন্তান প্রসবের পর ব্যায়াম

সহকারী অধ্যাপক (চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন: আমার বয়স ৬৮ বছর। আগে অনেকক্ষণ হাঁটলে ক্লান্তিবোধ করতাম। ইদানীং হাঁটতে গেলে বুকে-পিঠে ও হাতে চাপ অনুভব করি। ইকো করে দেখা গেল, ইজেকশন ফাংশন কম। আমাকে এনজিওগ্রাম করাতে বলা হয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পারছি না।

উত্তর: মনে হচ্ছে, আপনার হৃদ্‌যন্ত্রে রক্ত চলাচল কমে গেছে, যা রক্তনালির ব্লকের কারণেই হয়ে থাকে। এনজিওগ্রাম করে স্টেন্টিং করা আধুনিকতম চিকিৎসা। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগে অনেক কম খরচে এনজিওগ্রাম করা যায়। কোনো কারণে করা না গেলে এক্সটেনসিভ মেডিকেল থেরাপির জন্য হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ সেবন ও জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন এনে ভালো থাকতে পারবেন।

ডা. রাশেদুল হাসান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
Mosammat Jannatul Ferdous Mazumder
Student Counselor (Counseling & Admission)

Offline tokiyeasir

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 905
  • Test
    • View Profile
Informative  Post. Thanks.......