সফলতা পেতে নিজের কাজটাকে ইবাদতের মতো মনে করেন

Author Topic: সফলতা পেতে নিজের কাজটাকে ইবাদতের মতো মনে করেন  (Read 1359 times)

Offline sadiur Rahman

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 199
  • Test
    • View Profile

ন্যাচারাল জাস্টিস বা প্রকৃতির বিচারে আমি বিশ্বাস করি। কোনো অন্যায় প্রকৃতি সহ্য করে না। অন্যায় কাজ করলে প্রকৃতি তার বিচার করে। সেই বিচার দুনিয়াতেই হয়। পরজগতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। নিজের উন্নতির জন্য ঈর্ষা করা যায়। কিন্তু হিংসা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।

ধরা যাক, নবীন ক্লাসের ফার্স্টবয়। রবি সেকেন্ড বয়। রবি নবীনকে ঈর্ষা করতেই পারে। বলতে পারে, ইস! আমি কেন ফার্স্ট বয় না? আমাকে ফার্স্ট হতেই হবে। তারপর সে যদি আরো বেশি লেখাপড়ায় মনোযোগী হয় সেটা তার জীবনের জন্য কাজে দেবে। এ ধরনের ঈর্ষা জীবন বদলে দিতে পারে। কিন্তু রবি যদি ভাবে নবীনকে এই স্কুল থেকে তাড়াতে হবে। তা না হলে আমি ফার্স্ট হতে পারব না।

এ কারণে রবি যদি হিংসাত্মক কাজ করে কিংবা নবীনের কোনো অনিষ্ট করে তাহলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে কেউ জানুক বা না জানুক প্রকৃতি তো জানবে! প্রকৃতি এর বিচার করবে। নবীনের অনিষ্ট করে রবি হয়তো ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারে। তা কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আর ফার্স্ট হলেও তার জীবনের জন্য ভালো কিছু হবে না।

ফার্স্ট পজিশনের জন্য চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ক্লাসে যে ফার্স্ট হয় সে বিশেষ কোনো মেধা নিয়ে জন্মায় না। তার প্রচেষ্টার গুণেই সে ফার্স্ট হয়। সে নিয়মিত ক্লাস করে। সে পড়ায় ফাঁকি দেয় না। সে নিয়মিত হোমওয়ার্ক করে। সে সময়ের কাজ সময়ে করে। এ কারণেই সে এগিয়ে যায়।

ছাত্রজীবন থেকেই যারা সততা, নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে নিজেদের তৈরি করে তারাই সারাজীবন শৃঙ্খলা মেনে চলে। তারা কখনো ব্যর্থ হয় না। জীবনে তারাই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আগেকার দিনে মুরুব্বিরা বলতেন, অন্যের জন্য যে কুয়া কাটে সেই কুয়াতে সে নিজেই পড়ে। এর অর্থ হচ্ছে, অন্যের অনিষ্ট করলে তা বুমেরাং হয়। যে কোনোভাবে নিজেকেই অনিষ্টের শিকার হতে হয়। মানুষ নিজেও জানে না, কোথা থেকে কি হয়ে যায়। এসবই হচ্ছে প্রকৃতির বিচার।

কর্মক্ষেত্রেও অনেকে আছেন, যারা অন্যের ক্ষতির চিন্তা করেন। অমুক তর তর করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। ওকে টেনে-হিঁচড়ে নীচে নামাতে হবে। এ ধরনের চিন্তা করাও অপরাধ। প্রতিটি মানুষই তার কর্ম দিয়ে ওপরে ওঠার সিঁড়ি তৈরি করে। কাজ না করলে তার জন্য সিঁড়ি তৈরি হয় না। সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সে ওপরে উঠবেই। তাকে কেউ চেষ্টা করলেও নীচে নামাতে পারবে না।

আমি অনেক কর্মপাগল মানুষকে দেখেছি, যারা নিজের কাজটাকে ইবাদতের মতো পবিত্র মনে করেন। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের কাজটা করেন। তারা কাজ ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তারা কখনোই অন্যের ক্ষতির করার কথা ভাবেন না। বরং অন্যকে সম্ভব হলে সহায়তা করেন। তারা হয়তো নিজের কর্মস্থলে মূল্যায়ন পাননি। কিন্তু অচিরেই দেখা গেছে, অন্যত্র তারা কল্পনাতীত মূল্যায়ন পেয়েছেন। তারা হয়তো তা চিন্তাও করেননি।


Source : উদ্যোক্তার খোঁজে  (http://gg.gg/gimkt) [/size]
Shah Muhammad Sadiur Rahman
Coordination Officer
Department of Multimedia & Creative Technology (MCT)
Email:mctoffice@daffodilvarsity.edu.bd
Cell:01847140056(CP),Ext:160