Faculties and Departments > Business & Entrepreneurship

About a Woman Entrepreneur!

(1/1)

Md. Maruf Hossain Badal:
সুই–সুতার সঙ্গে সুলতানা নূরজাহানের সখ্য স্কুলজীবন থেকে। নবম শ্রেণিতে গার্হস্থ্যবিজ্ঞানের ক্লাস করার সময় একদিন দিদিমণি হাতে তুলে দিলেন এই দুটি জিনিস। এরপর চার দশক পেরিয়ে সুই–সুতা আগলে রেখেছেন সযতনে। সেই পথ ধরে তিনি এখন চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। গড়ে তুলেছেন ফ্যাশন হাউস মিয়াবিবি। রয়েছে তাজনূর প্রোডাকশন হাউস নামে পোশাক তৈরির কারখানাও।

২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদ আবাসিকের ফ্ল্যাটে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পেছনে আমার অন্যতম প্রেরণা প্রথম আলোর “নকশা”। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। কিন্তু সেই কাজের ফিনিশিং টাচ দিয়েছে নকশা। শুরুর দিকে নকশায় ঘরে বসেই পোশাক তৈরির জন্য নানা ধরনের প্যাটার্ন দেওয়া হতো। এসব কাটিং দেখে আমরা পোশাক তৈরি করতাম। আবার কিছু পোশাকের ড্রয়িং দেওয়া হতো রং করার জন্য। “নিজেই যখন ডিজাইনার” নামের এই অংশে পোশাকের ছবি নিজের মতো করে রং করে পাঠাতাম। পরের সপ্তাহে ছাপা হতো কোন রংটি ম্যাচ করেছে। এতে করে পোশাকের রঙের ব্যাপারে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া যেত। এভাবে নকশা আমার আত্মবিশ্বাসকে পোক্ত করেছে।’

সুলতানা নূরজাহানের মতে, নকশা তাঁকে আত্মবিশ্বাসের ভিত গড়ে দিয়েছে। এই পুঁজিই তাঁর বড় সম্বল। এখনো প্রতি মঙ্গলবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন নকশা। দেখে নেন হালের ফ্যাশন ধারা। জানালেন, বিদেশি বেশ কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিন নিয়মিতই তিনি পড়েন। কিন্তু তৃপ্তিটা পান নকশা পড়ে। কারণ, ফ্যাশনে চলতি ধারা দেখতে হলে নকশায় চোখ বোলাতেই হবে। যাঁরা নতুন কাজ করতে আসবেন, তাঁদের নকশা নিয়মিত পড়াটা জরুরি।

এ তো গেল নকশা। এবার খোলেন প্রথম আলো ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতার স্মৃতির ঝাঁপি। সুলতানা নূরজাহান বলেন, চট্টগ্রামের নতুন ফ্যাশন ডিজাইনার উঠে আসার একমাত্র প্ল্যাটফর্ম এই ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা। ডিজিইনাররা নিজেদের কাজ পরখ করতে পারেন এর মাধ্যমে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version