করোনা লকডাউনে শরীর ও মনের যত্ন
[/b]
(১) ভাইরাস - ব্যকটেরিয়া মুক্ত দু[নিয়া কল্পনা করা যায় নাঃআমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে লক্ষকোটি ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া। কতজন'ই বা এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়? মূল কথা হল যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বেশি তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কম। ভাইরাস কখন শরীরে ঢুকবে এই ভয়ে কুপোকাত না হয়ে নিজের ইমিউনিটি সিষ্টেম শক্তিশালী করতে হবে। ভিডামিন ডি (মাছ, ডিম, দুধ,সূর্যের আলো), ভিটামিন সি (কাচা মরিচ, পেয়ারা, গাঢ় সবুজ শাক/ সবজি, লেবু জাতীয় ফল, পেপে) এবং প্রটিন ( মাছ, মাংস, ডিম, দুধ বাদেও যে কোন ডাল, বাদাম এবং খাদ্যপযোগী বীজ) যুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে হবে। প্রয়জনে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন ব্যায়াম ( হাটা-হাটি বা কায়িক পরিশ্রমও হতে পারে) করলে ফুসফুস ভাল থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রচুর পানি পান করতে হবে।নিজে পরিষ্কার থাকতে হবে ও চারপাশ পরিছন্ন রাখতে হবে।
(২) ভাইরাস প্রতিরোধ মন চাঙা রাখা জরুরিঃঘরের জানালায় অথবা বাড়ির বারান্দায় /ছাদে, ভোরে কিম্বা শেষ বিকেলে সময় কাটালে খোলা হাওয়া পাওয়া যাবে। খোলা হাওয়া মন ফুরফুরে ও চাঙা করে ।ভয়, মন খারাপ বা বিষন্নতাকে ছুড়ে ফেলতে হবে। কোভিড১৯ শে আক্রান্ত হওয়া মানে মরে যাওয়া নয়। এই রোগে মৃত্যুর হার মাত্র ২%। খুব চিন্তাগ্রস্ত বা আতংকিত হলে ফেসবুকে বা সোসাল মিডিয়ার খারাপ খবর পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে দুনিয়ার কোনো মহামারি বেশিদিন স্থায়ী হয় নি এটাও হবে না। আরেকটা কথা, অবশ্যই প্রয়োজনে মানুষকে সাহায্য করতে হবে। নিজে বাচলে বাপের নাম এই ধরণের মানুষিকতা মনবল ভেঙে দিয়ে আপনাকে যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত নামাজ বা ধর্মিয় উপাসনার মাধ্যমেও শরীর ও মন ভাল থাকে।
ঝড় যখন অতি প্রবল হয় তখন সে নিঃশেষ হয়ে যায়। এই মহামারী তিব্র হয়েছে। এখন হয়ত তার বিদায়ের সময় এসেছে। আমার বিস্বাস, আমাদের শরীর ও বসে নেই। প্রয়জন মত সেও এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করবে। অথবা কে জানে হয়ত এই সমস্যা সমাধানের দ্বার প্রান্তে আমরা। বি পজেটিভ...