জীবন জয়ী একজন নিকোলাসের গল্প শুনুন...

Author Topic: জীবন জয়ী একজন নিকোলাসের গল্প শুনুন...  (Read 5752 times)

Offline Narayan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 426
  • যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে।
    • View Profile
ভেবে দেখুনতো একটি শিশু যদি হাত কিংবা পা ছাড়া জন্ম গ্রহন তাহলে ব্যপারটা কেমন দাড়ায়। কোন হাত নেই কাউকে জড়িয়ে ধরার, কারো হাতের একটু স্পর্শ পাবার অথবা কারো হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার। বলুনতো সেই মানুষটির যদি কোন পা না থাকে তাহলে কী হতে পারে। চিন্তা করে দেখুন সেই মানুষটির কথা যে জীবনে কোন দিন আনন্দে নাচতে পারবে না, হাটতে পারবে না, দৌড়াতে পারবে না এবং দু’পায়ে ভর দিয়ে দাড়াতে পারবে না। পুরো ব্যপারটি যদি একজন মানুষের ক্ষেত্রে হয় তাহলে কেমন হয় - যার দু’হাত নেই, দু’পা নেই। তাহলে সে মানুষটির কাছে জীবনের মানে কী দাড়াতে পারে। জীবনকে নিয়ে সে মানুষটির স্বপ্ন দেখা কী উচিত ? সে কী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে এতো সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ? প্রিয় পাঠক, চলুন যেনে নেই এমন একজন মানুষ সম্পর্কে যিনি আমাদের কাছে অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ত হতে পারেন কারন আমাদের হাত আছে, পা আছে । তাছাড়া আমাদের ১৬ কোটি জনসংখ্যার ছোট এই দেশটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা বিকলাঙ্গতায় ভুগছেন অর্থাৎ যাদের দু’হাত, দু’পা নেই। যারা স্বপ্ন দেখতে পারে না, সামনের দিকে এগিয়ে যা্ওয়ার জন্য কারো উৎসাহ পায় না, জীবনটাই যাদের কাছে অভিশাপ । সে ধরনের মানুষদের জন্য নিকোলাস হতে পারেন স্বপ্ন পুরুষ, অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।১৯৮২ সালে অষ্টেলিয়ার মেলবোর্নের একটি হাসপাতালে এক আজব শিশুর জন্ম হয়েছিল যার নাম নিকোলাস। পুরো নাম নিক বোয়েসিস (Nick Vujicic) । নিকের জন্মের পুর্ব মুহুর্ত্তে তার বাবা-মা স্বপ্ন দেখেছিল, তাদের আদরের সন্তান জন্ম হবে আরও দশটি শিশুর মতোই স্বাভাবিক। কিন্তু নিকের জন্মের পর নিকের মা যখন তার আদরের সন্তানকে প্রথম স্পর্শ করেছিল তখন নিকের বাবা-মায়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছিল। কারন এরকম অস্বাভাবিক সন্তান কারো কাম্য নয়। নিকের অস্বাভাবিক জন্মের কারন চিকিৎসকগন কিছুতেই খুজে বের করতে পারলেন না। নিকের মায়ের গর্ভবর্তী অবস্থায় শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরিক্ষার রির্পোট দেখা হলো, নিকের বাবা-মায়ের বংশের ইতিহাস বৃত্তান্ত খুজে দেখা হলো কিন্তু কোন কারন পাওয়া গেলো না। সূতরাং নিকের বাবা-মাকে মেনে নিতে হলো নিক অস্বাভাবিক এবং বিকলাঙ্গ । নিকের পরিচয় হলো বিকলাঙ্গ শিশু। নিকের পিতা পোস্টার বরিস বোয়েসিস এবং মা ডুসকা বোয়েসিস কখনোই আশা করেননি তাদের সন্তান এভাবে বিকলাঙ্গ শিশু হয়ে জন্মাবে। নিকের বাবা-মায়ের একটাই চিন্তা তাদের সন্তান নিক কিভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে ?নিকের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে চরম হতাশার মধ্যে পড়ে যায় নিকের বাবা-মা। এভাবেই নিক এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে বড় হতে থাকে। যেহেতু নিক ছোট বেলা থেকেই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে বেড়ে উঠেছিল, সূতরাং কেউ কোন দিন কল্পনা করতে পারেনি বিকলাঙ্গ এই সুন্দর শিশুটি একদিন পৃথিবীর সব মানুষকে যারা বিকলাঙ্গ নয় কিংবা বিকলাঙ্গ সবাইকে অন্যভাবে বাঁচার পজেটিভ স্বপ্ন দেখাবে, পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার আহবান জানাবে।

ব্যাপারটা সত্যিই অতুলনীয় মনে হয় প্রাপ্ত বয়স্ক নিক যখন জীবনের এই পর্যায়ে এসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সংস্থায় হাজার হাজার মানুষের সামনে বক্তব্য রেখে পজেটিভ স্বপ্ন দেখার পথ দেখায় তখন আমাদের মতো স্বাভাবিক মানুষদের বিবেকে নাড়া দেয়। জীবন জয়ে যারা চরম হতাশায় পতিত, যারা জীবনে বিভিন্নভাবে ব্যর্থ হয়ে জীবনকে অর্থহীন মনে করছেন তাদের জন্য একজন বিকলাঙ্গ শিশুর আহবান সত্যিই উল্লেখযোগ্য। নিক বর্তমানে আমাদের পৃথিবীতে সব বয়সের মানুষকে প্রেরনা ও উৎসাহ দেওয়া এক কিংবদন্তি নায়কের নাম।শৈশব থেকে কৈশর পার হয়ে জীবনের এই পর্যায়ে আসতে নিককে কঠিন সংগ্রাম করে সকল ধকল সহ্য করে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে । নিক কখনো কখনো চরম হতাশায় পড়েছেন যখন নিক শৈশবে স্কুলে বন্ধুদের সাখে খেলতে পারতেন না, কেউ যখন নিকের সাথে বন্ধুত্ব করতে আসতো না । কৈশরে এসেও নিক সম্পূর্ন একাকী হয়ে পড়েন কারন এই বিকলাঙ্গ শিশুটিকে প্রতিমূহুত্বে বিভিন্ন্ প্রশ্নের মুখোমুকি হতে হতো। সেই দিন গুলোতে নিক প্রায়ই তার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রায়ই ভাবতেন। নিকের বয়স যখন সাত বছর স্কুলের সেই দিনগুলোতে নিক তখন চরম হতাশ হয়ে কৃত্রিম অঙ্গ-পতঙ্গের কথাও একবার ভেবেছিলেন। কারন কিশোর নিক তখন অন্য দশটি শিশুর মতো চলাফেরা করার নেশায় মত্ত ছিলেন। নিকের দেহে ইলেকট্রনিকস অঙ্গ-পতঙ্গের ট্রায়াল করা হয়েছিল কিন্তু সেখানেও বাধলো বিপত্তি কারন নিক সেসব ভারি অঙ্গ-পতঙ্গ নিয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারতেন না। অসহায় নিক কৃত্রিম অঙ্গ-পতঙ্গ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। নিক পৃথিবীকে বেঁচে থাকার আশায় তার বিকলাঙ্গতাকে পুঁজি করে স্বপ্ন দেখতে লাগলো বড় হতে হবে, কিছু করতে হবে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

এভাবেই নিক যখন বড় হতে লাগলো তখন সে তার বিকলাঙ্গতাকে জয় করতে শিখলো। নিক নিজেই তার সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করার জন্য নিজেই নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য পথ বের করতে লাগলো। দু’হাত এবং দু’পা না থাকলেও নিক নিজে নিজেই বের করলো কিভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে, চুল সুন্দর করে আচড়াতে হবে, কম্পিউটারে ব্রাউজ করতে হবে, সাতার কাটতে হবে। নিক এখন নিজের মতো করে অনেক কিছুই করতে পারে। নিকের জীবনে এভাবেই সফলতা আসতে লাগলো যখন সে সব অনাকাঙ্কিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শিখলো। স্কুলে নিক যখন ক্লাস সেভেন এ উঠলো নিক তখন ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হলো। একই সাথে নিক স্টুডেন্ট কাউন্সিলর হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু করে জনকল্যানমুলক কাজ করতে লাগলো এবং বিকলাঙ্গ শিশুদের সমস্যা সমাধানে উৎসাহ ও প্রেরনাদায়ক বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনা করতে শুরু করলো।স্কুলের আঙ্গিনা শেষ করে নিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলো ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের জন্য। নিক অর্থনীতি ও একাউন্টিং বিষয়ে ডিগ্রি গ্রহন করলো মাত্র উনিশ বছর বয়সে। এরপর নিক তার স্বপ্ন সফল করার জন্য এবং বিভিন্নস্তরের মানুষকে উৎসাহ ও উদ্দিপনা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সেমিনার, সভায় মটিভেশনাল বক্তব্য এবং নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনাগুলো গল্প আকারে উপস্থাপন করতে শুরু করলো। নিক বলতো আমি আমার বেঁচে থাকার স্বার্থকতা খুজে পেয়েছি, আমার স্বপ্নের মধ্যে। আমি ভাবতাম পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কিভাবে সফল হতে হবে। নিক বিশ্বাস করতো - জীবনে সফল হওয়ার জন্য একটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তা হচ্ছে - Attitude. আমাদের জীবন সংগ্রামে সফল হতে হলে Attitude সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।নিকের জীবন জয়ের পেছনে যাদের অবদান, যাদের সাহার্য্য নিয়ে নিক আজ জীবনের সকল সীমাবদ্ধতা জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে নিক তার পরিবারের সকল সদস্য, কাছের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব, এবং সর্বোপরী নিকের শিক্ষকদের কথা বার বার করে স্বীকার করেন। নিকের বলতে যা কিছু ছিল তা হচ্ছে জীবনকে চরম অবস্থায় বেঁচে থাকার খুব বেশী পজেটিভ চিন্তা এবং জীবন জয়ের স্বপ্ন। জীবন জয়ের স্বপ্নকে পুঁজি করে আরও সৃষ্টিশীল কিছু করাই নিকের জীবনের লক্ষ্য।

২০০৫ সালে নিক অষ্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানের ‘Young Australian of The Year’’ এওয়ার্ড পান। সামাজিক এবং জাতীয় পর্যায়ে অবদানের জন্য অষ্ট্রেলিয়ান সরকার সর্বোচ্চ সামাজিক এবং রাষ্ট্রিয় পুরুস্কার হিসেবে নিককে এ ধরনের একটি এওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেন। মূলত সামাজিক এবং রাষ্ট্রিয়ভাবে দেশের মানুষকে বিভিন্ন কাজে উৎসাহিত করার জন্য অষ্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ সম্মানের এ পুরুস্কারটি নিকের জীবনের বড় একটি অর্জন।

নিকের বয়স এখন ২৭ বছর। স্বপ্ন ও উৎসাহের সাথে নিক পার করেছেন জীবনের ২৭ বসন্ত। ২৭ বছর পার হতে নিককে কতো কঠিন সময় পার হতে হয়েছে তা সহযেই ধারনা করা যায়। কারন এ ২৭ বছরে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পূর্ণ করতে নিক কখনো উৎসাহিত হয়েছেন আবার কখনো হৃদয়ে নেমে এসছে হতাসা, গ্লানি এবং বিষন্নতা। সমাজপতিদের ধারনা ছিল - এ বিকলাঙ্গ শিশুটি আর কী করতে পারবে ? সুতরাং বোঝাই যায় তাদের কাছ থেকে নিক কতোটুকু সাহার্য পেয়েছেন। তবুও নিক দমে যাননি। দেখতে চেয়েছেন জীবনকে খুব কাছ থেকে। চলার পথে বহু সাধনা, কাজের সমন্বয়, নিকটজনের উৎসাহ এবং মনের ভিতর জেগে থাকা স্বপ্ন নিয়ে শুধু সামনের দিকে ছুটে চলার স্বপ্ন দেখেছেন নিক। নিক যখন তীব্র উৎসাহের সাথে কোন ভাল কাজ সম্পর্ণ করেছেন তখন নিকের মনে হয়নি তার দু’পা নেই, দু’হাত নেই। ২৭ বছর বয়স কী দূর্দান্ত, কতো উৎসাহের বয়স স্বপ্নবাজ এ চিরতরুনের চোখে কারন মাত্র ২৭ বছর বয়সে নিক যে কাজ গুলো সম্পূর্ণ করেছেন একজন সুস্থ, সবল লোক যাদের দু’হাত, পা রয়েছে তারা ৫২ বছর বয়সেও এতো কাজ করতে পারেননি। তবুও নিক তৃপ্ত নন। নিক শুধু ছুটে চলছেন কারন তাকে সামনের দিকে যেতে হবে বহুদুর কারন এখনো অনেক কাজ বাকী। সম্প্রতি নিক ব্রিজবেন থেকে ছুটে গেছেন অষ্ট্রেলিয়ায়, ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং সেখান থেকে আমেরিকায়। কারন নিক এখন একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও নিকের নিজের একটি কোম্পানী রয়েছে যার মাধ্যমে নিক বিভিন্ন স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন সংস্থায় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উৎসাহ, উদ্দিপনামুলক বক্তব্য রাখেন। নিকের কোম্পানীর নাম - Attitude is Altitude. নিক মটিভেশনাল বক্তব্য রাখতে শুরু করেন যখন নিকের বয়স মাত্র ১৯ বছর। নিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন, পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ শুনেছে নিকের কথা, নিক অকপটে বলেছেন তার জীবনের বয়ে চলা সংগ্রামের কথা। নিক বিভিন্ন বয়সের মানুষকে বিশেষ করে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, যুবক, ব্যবসায়ী নারী পুরুষসহ সবাইকে উদ্দিপিত করেছেন, উৎসাহিত করেছেন, স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন। নিককে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, টেলিভিশন চ্যানেল। নিককে নিয়ে তৈরী হয়েছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য চিত্র। নিক তার কর্মকান্ড পরিচালনা করতে যেয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের সাথে দেখা করা এবং আলাপ করার সুযোগ পেয়েছেন। ২০১০ সালের মধ্যে নিক পৃথিবীর প্রায় ২০টি দেশে তার কর্মকান্ড নিয়ে মটিভেশনাল বক্তব্য রাখবেন।নিক তার বিভিন্ন দেশে যাত্রা পথে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন। কতোগুলো প্রশ্ন শুনে নিক উৎসাহিত বোধ করেন আবার অনেকগুলো প্রশ্ন শুনে নিক কষ্টও পান। তবুও নিককে এগিয়ে যেতে হবে কারন সেতো পৃথিবীর অন্যরকম এক স্বপ্নবাজ যুবক। নিককে প্রায়ই একটি প্রশ্ন করা হয় - কিভাবে আপনি হাসতে পারেন ? নিক বলেন - স্বাভাবিক যাদের দু;হাত পা আছে তারা জীবনে অনেক কিছুর স্বাদ পেয়েছে এবং তারা যখন দেখে দু;হাত পা ছাড়া একজন মানুষ কতো স্বাচ্ছন্দভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন তা অনুভব করলে আমার মুখে হাসি আসতেই পারে। জীবনকে দেখতে হবে পজিটিভ ভাবনা থেকে, চিন্তা দিয়ে । তাহলে জীবনের সব কষ্ট, না পাওয়ার ব্যথা বলতে কিছু থাকবেনা। নিক যখন পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে তার মটিভেশনাল বক্তব্য নিয়ে উপস্থিত হন তখন উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্য করে বলেন স্বপ্ন কতো বড় হওয়া প্রয়োজন এবং স্বপ্ন দেখার গুরুত্ব কতো বেশী। নিক সবাইকে চ্যালেন্জ দিয়ে বলেন যেকোন সমস্যা যতো বড়ই হোক না কেনো তা সমস্যা হিসেবে না দেখে সুযোগ হিসেবে দেখলে সকল দূর্ভেদ্য সমস্যাও অতিক্রম করা সম্ভব। নিক তার নিজের জীবনকে সমস্যা হিসেবে না দেখে দেখেছেন সুযোগ হিসেবে। নিক বলেন যদি তার হাত পা থাকতো তাহলে হয়তো তার এ ধরনের কাজ করার সুযোগ হতো না। নিকের এ জীবনে যতোটুকু সফলতা অর্জিত হয়েছে মূলত তার স্বপ্ন ও পজিটিভ চিন্তা থাকার কারনেই সম্ভব হয়েছে। নিক আরও যোগ করে বলেন মানুষের সফলতার পিছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেক্টর হচ্ছে Attitude । Attitude বা মনোভাব অথবা বলতে পারেন মানসিকতা হচ্ছে জীবনকে পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী ফেক্টর। পজিটিভ মনোভাব বা মানসিকতা থাকলে জীবনের যে কোন সমস্যা অতিক্রম করে সাফল্যের চূড়ায় ওঠা সম্ভব। জীবন নিয়ে ভয় ভীতি, শংকা, সন্দেহ, অবিশ্বাস ইত্যাদি থাকলে জীবন আমাদের ধীরে ধীরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম দু’হাত আছে, দু’পা আছে, সবকিছু আছে তবু কেনো যেনো আমরা পঙ্গুত্ববরন করে আছি।যাইহোক আপাতদৃষ্টিতে দেখলেতো মনে হবে নিক একজন পঙ্গু মানুষ। প্রশ্ন হচ্ছে - নিক কী ভাবে তার এ জীবন নিয়ে ? নিক বলেন - আমি আমার এ জীবনকে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করেছি। সে তার বুদ্ধিমত্তা, স্বপ্ন, মেধা, কল্পনাশক্তি ইত্যাদি দিয়েই তার পঙ্গুত্বকে জয় করেছে। নিক মনে করেন তার সবকিছু আছে। জীবনের এ অবস্থায় বিকলাঙ্গ বলে কোন কিছু টের পান না নিক। নিক শুধু জানেন স্বপ্ন দেখতে হবে শেষদিন পর্যন্ত, করে যেতে হবে সবকিছু যা কিছু আছে মননে। তবেই জীবনের স্বার্থকতা। সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে নিক আমাদের জন্য উৎসাহ উদ্দিপনার জীবন্ত এক কিংবদন্তি নায়ক। জয় হোক নিকের। জয় হোক পৃথিবীর সকল স্বপ্নবাজ মানুষের।

Original Source: http://goo.gl/TjKhi
(Collected)
« Last Edit: July 03, 2013, 10:21:41 PM by Narayan »
Narayan Ranjan Chakraborty
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University.

Offline Golam Kibria

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1127
  • Working for a better life
    • View Profile
    • Golam Kibria
This article is very effective for every person to be a successful man and to be a perfect human being in this world.
Golam Kibria
ID:101-11-1373 (BBA)
Asst.Offic, Bangladesh Skill Development Institute
Ex.Lecturer,SEBGC
Email : golam_1373@diu.edu.bd
http://www.golamkibria.com
Mob:01843674226
Digital University: http://www.daffodilvarsity.edu.bd
Bangladeshi Poems, Novels and history: http://www.trulybangladesh.com

Offline sushmita

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 461
  • I want to cross myself everyday.
    • View Profile
Really Motivating!!!!!!!!

Offline mehnaz

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 167
    • View Profile
Heart touching and really encouraging post.... thanks for sharing sir.
Mehnaz Tabassum

Offline sumon_acce

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 359
    • View Profile
Its really a heart touching post...............Thank you.

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1173
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Very nice share. Touched my heart.
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline safiqul

  • Faculty
  • Full Member
  • *
  • Posts: 170
  • There are no experts, you are the expert !
    • View Profile
Very nice post. Thanks for sharing.
Md. Safiqul Islam
Senior Lecturer
Department of CSE
Daffodil International University,Dhaka

Offline nafrin

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 110
    • View Profile

Offline bcdas

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 239
    • View Profile
Thanks Narayan..............................., very nice
Dr. Bimal Chandra Das
Associate Professor
Dept. of GED, DIU

Offline Shabnam Sakia

  • Faculty
  • Full Member
  • *
  • Posts: 200
  • Know thyself
    • View Profile
inspirational thinking...........which is necessary for the motivation. 
Sakia Shabnam Kader
Senior Lecturer (Physics)
Department of General Educational Development

Offline Mustafizur rRhman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1004
    • View Profile
I have watched a lot of Niki's real life videos. He is really inspiring. I always tell my students about him that makes my students motivated.

Offline farzanamili

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 471
  • Word has power, use it wisely!
    • View Profile
Mirza Farzana Iqbal Chowdhury
Senior Lecturer
Department of Law
Daffodil International University.

Offline sadique

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 304
  • hope to win.....struggle to win........
    • View Profile
জীবনজয়ী এ সব মানুষ আমাদের উৎসাহ.........।
ধন্যবাদ স্যার ।
Md. Sadique Hasan Polash
Dept. of Journalism and Mass Communication
ID:111-24-227
E-mail:polash24-227@diu.edu.bd
Mobile:01723207250

Offline Mohammad Salek Parvez

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 387
    • View Profile
incredible!!!!!!!!!!
: SP :

Offline nature

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 912
  • I love my University
    • View Profile
Touch my heart and its really inspire me...........
Name: Md. Faruque Hossain
ID: 142-14-1436
Department of MBA
Daffodil International  University
Email:faruque_1362@diu.edu.bd