প্রতিবার অলিম্পিকের মৌসুম এলে গেমিং কমিউনিটিতে একটি প্রশ্ন ঘুরেফিরে জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়, অলিম্পিকে কবে ইস্পোর্টস যুক্ত হবে? ইস্পোর্টস হলো ভিডিও গেমের প্রতিযোগিতা। একদল পক্ষে বলে। আরেক দল বিপক্ষে। আমরা পক্ষে-বিপক্ষে না গিয়ে যুক্তিতর্ক নিয়ে আলোচনা করি চলুন। শুরু করা যাক অলিম্পিকে নতুন ক্রীড়া যুক্ত করার পূর্বশর্ত দিয়ে।
কী সেই পূর্বশর্ত
ডিজিটাল ট্রেন্ডসে বলা হয়েছে, অলিম্পিকে নতুন কোনো খেলা যুক্ত হতে হলে সেটির বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হয়। শুরুতেই সে খেলার একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফেডারেশন থাকতে হবে। ফুটবলে যেমন ফিফা, ক্রিকেটে আইসিসি। এরপর সেই ফেডারেশনকে পরখ করে স্বীকৃতি দেবে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।
ইস্পোর্টসের তেমন একটি ফেডারেশন এক দশকের বেশি সময় ধরেই আছে। ২০০৮ সালে গঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল ইস্পোর্টস ফেডারেশন। সে সংগঠনই যাবতীয় ইস্পোর্টস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার কথা। এখন সেটিকে আইওসির স্বীকৃতি পেতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরেকটি পূর্বশর্ত হলো, খেলাটিকে বৈশ্বিক হতে হবে। পুরুষদের বেলায় অন্তত চারটি মহাদেশজুড়ে কমপক্ষে ৭৫টি দেশে খেলতে হবে। নারীদের ক্ষেত্রে অন্তত তিনটি মহাদেশের ৪০টি দেশে সেটি জনপ্রিয় হতে হবে।
ইস্পোর্টসের সে যোগ্যতাও আছে। ৬টি মহাদেশের অন্তত ১৫০টি দেশের নারী ও পুরুষ ভিডিও গেমের প্রতিযোগিতায় যুক্ত হন।
শেষ পূর্বশর্তটি হলো, সেটাকে অন্তত ‘খেলা’ হতে হবে। ক্রীড়ার সংজ্ঞায় সেটিকে শারীরিক কার্যক্রম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে দক্ষতা বা শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা প্রতিযোগিতামূলক।