« on: August 24, 2021, 11:43:14 AM »
ফজরের পর ঘুম আর নয়!
যান্ত্রিকতা, কথিত সভ্যতা আমাদের একে একে সুন্নাহ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাহেল শ্রেণির কথা তো বাদই, যারা এই দ্বীনকে আকড়ে ধরে চলতে চান । যারা ফজরের সালাত আদায় করেন, তাদেরও ফজরের পর একটু চোখ না বুজলেই নয়। অথচ সুন্নাহ হচ্ছে ফজরের পর না ঘুমানো। রাসুল (সা.) দুয়া করেছেন, اللَّهُمَّ بَارِكْ لأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। আর সাখর (রা.) ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনিও তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন।’ [আবু দাউদ : ২৬০৬]
সালফরা ফজরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করতেন। উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহ.) বলেন, যুবাইর (রা.) তাঁর সন্তানদেরকে ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন, إِنِّي لَأَسْمَعُ بِالرَّجُلِ يَتَصَبَّحُ فَأَزْهَدُ فِيهِ ‘আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ [মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, ৫/২২২]
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) তাঁর এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন, تنام في الساعة التي تُقسَّم فيها الأرزاق؟ ‘ওঠো, তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ [যাদুল মাআ’দ : ৪/২৪১]
আমরা প্রায়ই বলে থাকি, আমাদের সময়ে বরকত নেই, এর অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যখন বরকত দেন, সেই সময়টা আমরা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই। সুতরাং জীবনে প্রাচুর্য আনতে ফজরের পর ঘুম আর নয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের এই বরকতময় সময়কে কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন। আমিন !
« Last Edit: August 24, 2021, 11:45:40 AM by ashraful.diss »

Logged
Hafez Maulana Mufti. Mohammad Ashraful Islam
Ethics Education Teacher, DISS
Khatib, Central Mosque, Daffodil Smart City
Ashuli , Savar, Dhaka