« on: September 30, 2021, 11:48:51 AM »
যিনা কাকে বলে---কোন কাজ গুলো যিনা??
লজ্জা না করে আমাদের সকলের জানা উচিৎ! হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা! জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে বাঁচতে চাইলে এখনি নিজেকে শুধরাও! নিজের আবেগ আর মন গড়া যুক্তি দিয়ে জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচা যাবেনা! যিনা কী ? শুধুই অবৈধ ভাবে মেলামেশা করাকে বলা হয়? না! যিনা বহু প্রকারে বিভক্ত
১। কোন বেগানা নারী অথবা পুরুষের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা! ২। যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা! ৩। বিবাহ সম্পর্ক ছাড়া অবৈধ ভাবে কাউকে স্পর্শকরা হাতের যিনা! ৪। ব্যাভি চারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা! ৫। সে সম্পর্কিত খারাপ কথা শোনা কানের যিনা। ৬। যিনার কল্পনা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা! ৭। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়!(বুখারী,,,মুসলিম,,,সুনানে আবু দাউদ,,,সুনানে আন-নাসাঈ)
অথচ আমরা কেবল সর্বশেষ ধাপ টিকেই যিনা মনে করে থাকি!এবার ভেবে দেখুন আপনি এসব এর কোনো একটির সাথে
জড়িত নয়তো? যিনা হারামঃ আল্লাহ তায়ালা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ তোমরা যিনার ধারের কাছেও যাবেনা।কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ। (সুরা বনী-ইসরাঈল আয়াতঃ ৩২)
যিনার শাস্তিঃ
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেনঃআমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল,ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লা চিল্লি করছিলো! আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে,আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিলো,সর্বদা তাদের এঅবস্থা চলছিলো।আমি জিবরাঈল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলামঃ এরা কারা??? জিবরাঈল (আঃ) বললেনঃ তারা হলো অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ।(বুখারী)
যিনা কারীর লজ্জা স্থানের দূর্গন্ধে জাহান্নাম বাসী অস্থির হয়ে উঠবে।সেদিন যিনা কারীকে পিপাসা মেটানোর জন্য এই পঁচা পানি দেওয়া হবে। তাই সবারই উচিত প্রেমিক-প্রেমিকা নামের এই শয়তানি সম্পর্ক বাদ দেওয়া! কারন,হাশরের ময়দানে এই সব শয়তানী সম্পর্ক থাকবে না। থাকবে শুধুই আগুন! সেদিন কেউ কাউকে চিনবেও না আর বলবে,হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের দেখানো পথে চলতাম।
এই ৭ প্রকার যিনার মধ্যে কোন না কোন ভাবে আমরা অধিকাংশই জড়িয়েছি। মানব জাতির চির শক্র শয়তানের প্ররোচনায় অনিচ্ছাসত্বেও প্রতি নিয়ত এসকল পাপ আমরা করেই চলেছি।(সুরা ফুরকান:আয়াত ২৭)
জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। অমুক বন্ধুর ডাকে সাড়া না দিতাম তাহলে আজ আমার এ দশা হতো না। যদি কেও না জেনে এই অপরাধ করে থাকে!এবং খাস দিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করে তবে আল্লাহ পাক তাকে ক্ষমা করে দিবেন!(ইনশাআল্লাহ) (সুরা ফুরকান আয়াতঃ ৬৮-৭০)

Logged
Hafez Maulana Mufti. Mohammad Ashraful Islam
Ethics Education Teacher, DISS
Khatib, Central Mosque, Daffodil Smart City
Ashuli , Savar, Dhaka