সম্প্রতি 'জেনেটিক্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে জিন বিজ্ঞানীরা সিমেলে নামের ভিন্নধর্মী একটি ধরনের মশা আবিষ্কার করেছেন। এ পদ্ধতিটি এ রকম_একটি পুরুষ মশার জিনে বিষাক্ত পদার্থ ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রাণুর মাধ্যমে সেটা চলে যাবে নারী মশার দেহে। ফলে সেই নারী মশা ডিম পাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। তবে নারী মশার দেহেও আগে থেকেই বিষ প্রতিরোধক একটি জিন ঢুকিয়ে রাখা হবে। ফলে নারী মশাটির মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এ গবেষণার নেতৃত্ব দেন ড. জন মার্শাল।
ম্যালেরিয়া নিয়ে জিন বিজ্ঞানীরা অবশ্য এর আগেও কাজ করেছেন। যেমন_ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা জেনাটিক্যালি মডিফাইড বা জিএম মশা সৃষ্টি করেছেন। এর ফলে কোনো পুরুষ জিএম মশার সঙ্গে মিলনের পর স্ত্রী মশা ডিম পাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। পরীক্ষাগারে এই বিষয়ে সাফল্য লাভের পর গত বছর একটি দ্বীপে কয়েক লাখ জিএম মশা ছাড়েন বিজ্ঞানীরা। পরে দেখা যায়, ঐ দ্বীপের মশার সংখ্যা আগের চেয়ে ৮০ শতাংশ কমে গেছে। উলেস্নখ্য, প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে ১০ লক্ষেরও বেশি শিশু মারা যায়।