আয়কর রেয়াত পেতে বিনিয়োগ করুন
সম্মানিত করদাতা,
"আয়কর রেয়াত পেতে এখনি বিনিয়োগ করুন"।
ব্যক্তি করদাতার আয়কর হ্রাস করার বৈধ উপায় হল কর রেয়াত। কর রেয়াত একজন ব্যক্তি করদাতার আয়কর অনেকাংশে হ্রাস করে থাকে।
কিন্তু এই রেয়াতের সুবিধা পেতে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি একেবারেই বিনিয়োগ না করলে কোন রেয়াতের সুবিধা নিতে পারবেন না।
আগামী ৩০ শে জুন ২০২৩ শেষ হচ্ছে ২০২২ ২৩ আয়বছর। এই বছর আপনি যে আয় করেছেন তার উপর রিটার্ন দাখিল করতে হবে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে। এবং এই ৩০ জুন ২০২৩ এর মধ্যেই আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিনিয়োগের সময় আছে আর মাত্র 2 মাস। বিনিয়োগের আগে হিসাব করে নিন আপনার করযোগ্য আয় কত এবং আপনি কত রেয়াত নিতে পারবেন।
মোট ৯টি খাতে বিনিয়োগ করলে আপনি কর রেয়াত পাবেন।০১. জীবন বীমার প্রিমিয়াম;
০২. সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা;
০৩. স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা;
০৪. কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা;
০৫. সুপার এনুয়েশন ফান্ডে প্রদত্ত চাঁদা;
০৬. যে কোন তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কীমে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা বিনিয়োগ;
০৭. সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ;
০৮. বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানী শেয়ার, স্টক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ;
০৯. বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগ;
বিনিয়োগের পাশাপাশি মোটাদাগে ১৩টি খাতে দান করলে কর রেয়াত পাওয়া যাবেঃ০১. জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান;
০২. যাকাত তহবিলে দান;
০৩. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন দাতব্য হাসপাতালে দান;
০৪. প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান;
০৫. মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান;
০৬. আগা খার ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান;
০৭. আহ্ছানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান;
০৮. ICDDRB তে প্রদত্ত দান;
০৯. CRP, সাভার এ প্রদত্ত দান;
১০. সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান;
১১. এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ এ দান;
১২. ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্স্যার হাসপাতালে দান;
১৩. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে কোন প্রতিষ্ঠানে অনুদান।
Source: Collected from Internet.