Religion & Belief (Alor Pothay) > Various Sura & Dua

সুরা ইখলাস পড়লে সওয়াব বেশি

(1/1)

Mrs.Anjuara Khanom:
একবার রাসুল (সা.)–কে এমন একজন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি প্রতি নামাজে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। রাসুল (সা.) লোকটিকে গিয়ে সাহাবিদের জিজ্ঞাসা করতে বললেন, কেন তিনি এত ঘন ঘন তিলাওয়াত করেন? লোকটি উত্তরে বলল, ‘কারণ এটি সিরাতুর রহমান। এতে পরম করুণাময়ের বর্ণনা আছে এবং আমি পরম করুণাময়ের বর্ণনা পাঠ করতে ভালোবাসি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘ফিরে গিয়ে লোকটিকে বলুন, এই সুরার প্রতি ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাঁকে ভালোবাসেন।’ (বুখারি, মুসলিম)

আরেকটি হাদিসে আছে একবার রাসুল (সা.) শুনলেন এক লোক সুরা ইখলাস পড়ছেন। তিনি বললেন, তাঁর জন্য এটা আবশ্যক হয়ে গেছে। কথাটা তিনি তিনবার বললেন। সাহাবিরা তখন জানতে চাইলেন, তিনি কী বলছেন। তিনি বললেন, যে লোকটা তিলাওয়াত করছে, তাঁর জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস জানে এবং নিজেকে এতে সোপর্দ করে, তার জন্য জান্নাত ফরজ হয়ে যায়।

সুরা ইখলাসে তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণার পর আল্লাহর সন্তানসন্ততি আছে বলে যে ভ্রান্ত ধারণা করা হয়, তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। আল্লাহ সব অভাবের অতীত এবং তাঁর কোনো তুলনা নেই। এই সুরায় আল্লাহর অস্তিত্ব ও সত্তার অনুপম বিবরণ রয়েছে।

এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হলেও একে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়ে থাকে। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস ও খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।

 সুরা ইখলাসের অর্থ

বলো, তিনি আল্লাহ অদ্বিতীয়। আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।

Source:https://www.prothomalo.com/religion/islam/usu02a6p2s

Navigation

[0] Message Index

Go to full version