ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী

Author Topic: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী  (Read 5502 times)

Offline najim

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 154
    • View Profile



রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :'যারা আল্লাহ্র যিক্র করতে বসে (অর্থাৎ কুরআন হাদীসের আলোচনা করে, তা শিখে ও শিখায়। তাসবীহ-তাহলীল, দো‘আ দুরূদ ও ইসতেগফার করে। আর এগুলো করে নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরীকায়) ফেরেশতারা তাদের চারপাশে এসে জড় হয়, আল্লাহর রহমত দ্বারা তাদের ঢেকে রাখে, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয় এবং আল্লাহ্ (এতে খুশী হয়ে) তাঁর নিকটস্থ (ফেরেশতাদের) কাছে ঐ সব যিক্রকারী বান্দাদের সম্পর্কে (প্রশংসামূলক) আলোচনা করেন।’
[বুখারী : ৫৬৪২]
Najim U Sharker (Sharif)
Deputy Director (P&D)
Daffodil International University

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1174
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামাযের মধ্যে ৪টি জিনিস থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করতেন- তিনি বলতেন, "আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবি-জাহান্নাম, ওয়া মিন আযাবিল ক্বাবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহয়্যা ওয়াল মামাত, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ-দাজ্জাল"
---ইয়া আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্ট থেকে। [মুসলিম, ৫৮৮]
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1174
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
“তোমাদের কেউ কখনো এমন কথা বলে ফেলে যাতে আল্লাহ্‌ তা'আলা তার উপর অসন্তুষ্ট হন। সে কখনো ভাবতেই পারেনি কথাটি এমন এক মারাত্মক পর্যায়ে পৌছুবে; অথচ আল্লাহ্‌ তা'আলা উক্ত কথার দরুনই কিয়ামত পর্যন্ত তার উপর অসন্তুষ্টি অবধারিত করে ফেলেন।”

সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ২৩১৯
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1174
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
কিছু ভালো অভ্যাস রয়েছে যা আমাদের নিজেদের চর্চা করতে হবে এবং আশপাশের সবাইকে বিশেষ করে শিশুদের চর্চা করতে বলতে হবে। আবার কিছু কাজ করা থেকে নিজেদের ও আশপাশের সবাইকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

অন্যদিকে, শিশুরা অনুকরণ প্রিয় তাই নিজেরা কিছু বিধি-নিষেধ মেনে, সঠিক পথে চলে, তাদের শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি।

কিছু কাজ করে, আবার কিছু কাজ না করে আমরা পেতে পারি অশেষ সওয়াব, হতে পারি আল্লাহর প্রিয় বান্দা।

নিচে উল্লেখ করা হলো এমনই কিছু বিধি-নিষেধ:

মুসলমানদের সম্ভাষণ জানাতে হবে হাসি মুখে সালাম (আসসালামু আলাইকুম) দিয়ে।

 

আমরা যখন হাঁচি দিই, তখন শয়তান দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। তাই এ সময় বলতে হয়- আলহামদুলিল্লাহ।

যখন আমরা হাই তুলি, মূলত শয়তান তখন আমাদের ভেতরে ঢোকে। তাই বলতে হয়- লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

খাওয়ার সময় ঢেঁকুর তোলা আল্লাহ অপছন্দ করেন, কিন্তু এ কাজ শয়তানের খুব পছন্দ। তাই এ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নিজে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকি এবং অন্যকেও বিরত রাখার চেষ্টা করি- আশা করা যায় এতে আল্লাহ খুশি হবেন।
 
নিজের খাবার থেকে দরিদ্র ও ক্ষুধার্থকে কিছু দিই-কারণ আমাদের সবার একটু একটু সাহায্যই গড়তে সাহায্য করবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী। আর এটা আমাদের ভালো কাজের সংখ্যা বাড়াবে এবং আল্লাহর সামনে আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করবে।

সব কাজ বন্ধ রেখে সময়মতো সালাত আদায় করি, কারণ শয়তান আমাদের বেহেশতে যাওয়া রুখতে চায়। সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
সালাত আদায় করার সময় শয়তান হয়তো আমাদের মাথায় খারাপ চিন্তা আনতে পারে, তাই এ সময় শুধুই সালাতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

কাউকে কষ্ট দেওয়া বা কাউকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা উচিৎ নয়, কারণ এসব শয়তানের কাজ। বরং সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে এবং সবাইকে সম্মান করতে হবে।

চুরি করা খুব খারাপ অভ্যাস, চুরি করলে কেউ তাকে বিশ্বাস করেনা এবং সে শয়তানের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়।

আমরা সবাই যেন বাবা-মাকে ভালবাসি, কারণ তারা আমাদের খাইয়েছেন, সাধ্যমতো মিটিয়েছেন সব চাহিদা, তার চেয়েও বড় কথা তারা আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। 

রাগ-ক্রোধকে সংবরণ করি, কারণ রাগলে আমরা কাউকে আঘাত করতে পারি বা অপমান করতে পারি, তাই ইসলামে ক্রোধকে হারাম করা হয়েছে।

বিড়াল দেখলে ভয় পাওয়া বা বিড়ালকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকি, কারণ মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সা.) নিজে বিড়াল ভালোবাসতেন এবং অন্যদেরও বিড়ালকে আদর করতে বলতেন।

একতাই শক্তি, তাই নিজেদের ভাতৃত্ববোধ শক্তিশালী করতে হবে।

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ঠিক না, কারণ এটা সেই দুষ্টু শিশুর মতো কাজ, যে কোনো আচরণই জানে না। এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।

গ্রহ-নক্ষত্র, চাঁদ, সূর্য, তারা, মানুষ এবং এ মহাবিশ্বের সবকিছুই মহান আল্লাহর সৃষ্টি, তাই সব সময় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU