মানুষের মস্তিষ্ক যে কাজ করে তার সামগ্রিক প্রকাশের নাম বুদ্ধি। একজন পরিণত মগজের মোট ওজনের ৮০ ভাগ তৈরি হয় জীবনের প্রথম তিন বছরে। বুদ্ধি ও মেধার মূল চালিকা শক্তি হলো মগজের ওপর ছড়ানো প্রায় পাঁচ মিলিমিটার পুরু ও দেড় বর্গমিটার বিস্তৃত ধূসর সেরিব্রাল কর্টেক্সের বিভিন্ন অংশ এবং প্রিফন্সন্টাল কর্টেক্সের অংশ এবং প্রিফন্সন্টাল কর্টেক্সের সমনðয়। তবে বুদ্ধি সবটাই জন্মগত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুদ্ধির কমতি হতে পারে। বুদ্ধি কিছুটা জেনেটিক। বাকিটা গড়ে ওঠে শেখার মাধ্যমে। দু'ধরনের বুদ্ধি দেখা যায়, ১. সহজাত ২. শিক্ষণীয় মাধ্যম। সহজাত হলো যে বুদ্ধি আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। আর শিক্ষণীয় হলো যা শেখার মাধ্যমে বুদ্ধি বাড়ানো যায়। তবে বুদ্ধির বড় একটা অংশ নির্ভর করে শেখার পরিবেশ, পদ্ধতি, আবেগ ইত্যাদির ওপর। জন্মের পর প্রথম দিকে প্রোটিন বা জরুরি কোন খাদ্য উপাদানের ঘাটতি থাকলে পরবর্তীতে বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়। অতএব দেখা যাচ্ছে, বুদ্ধির বিকাশ হয় শিশু বয়স থেকে যথাযথ খাদ্য গ্রহণ, উপযুক্ত স্বাস্খ্যকর পরিবেশ ব্যায়াম এবং সঠিক লাইফস্টাইলের মাধ্যমে। তবে শিক্ষণীয় অংশ হিসেবে নানা উপায়ে বুদ্ধি বাড়ানো যায়। মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে এ কৌশলগুলো বের হয়েছে।
০ কোন কিছু শিখতে হলে সে বিষয়ের প্রতি প্রচণ্ড উদ্দীপনা থাকতে হবে।
০ যে বিষয়টি শিখতে যাচ্ছি, তা শেখার তথ্য ও পদ্ধতি বার বার দেখা।
০ যে বিষয়টি শিখছি তার প্রতি প্রবল আবেগ থাকতে হবে। তবে তা যেন একঘেঁয়েমি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
০ শেখার পরিবেশ হবে স্বত:স্ফূর্ত।
০ শেখার প্রতিটি বিষয়কে সহজভাবে নেয়া কঠিন বিষয় হলেও তা সহজভাবে নেয়া।
০ সর্বোপরি শেখা ও জানার বিষয়টি আনন্দ ও বিনোদনের মাধ্যমে নিতে হবে।
০০ বুদ্ধি বিকাশের জন্য কি কি করা উচিত।
০ সব সময় যন্ত্রনির্ভর না হয়ে বই, কম্পিউটার, মোবাইল দূরে রেখে বু বা পরিবারের লোকের সাথে সময় কাটানো।
০ জটিল চিন্তা থেকে সব সময় নিজেকে বাইরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে অনেক সময় খোলা আকাশের নিচে কাটানো।
০ যোগ ব্যায়াম শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখে এ জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা।
০ মাঝে মাঝে মনকে কল্পনার জগতে নেয়া।
০ বুদ্ধি বিকাশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম বই। এ জন্য নিয়মিত বইপড়া।
০০ যে সব কাজ করা উচিত নয়।
০ যতটুকু কাজ করা সম্ভব তার চেয়ে বেশি কাজ করা উচিত নয়।
০ কেউ সমালোচনা করলে ভেঙ্গে না পড়ে ইতিবাচকভাবে নেয়া।
০ অযথা টিভি বা কম্পিউটারের সামনে সময় নষ্ট না করা।
০ মোবাইল ফোন সবসময় চালু না রাখা।
০ সর্বদা যন্ত্র নির্ভর না হওয়া।
০ প্রয়োজন ছাড়া ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারনেটে সময় ব্যয় না করা।
০ নিজের মতামতের সাথে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া।
০ অ আবেগ বা বিশ্বাসকে প্রাধান্য না দিয়ে যুক্তির গুরুত্ব দেয়া।
০ ওপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে বুদ্ধির বিকাশ ঘটানো সম্ভব।