জার্মানির লিন্ডাও শহরে প্রতিবছর বসে নোবেল বিজয়ীদের মেলা। নোবেল বিজয়ীদের সেই সম্মেলনে সারা পৃথিবী থেকে বাছাই করা তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা যোগ দেন। লিন্ডাও শহরে ১৯৫১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের এই মহাসম্মেলন। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত একদল শিক্ষার্থী ও গবেষক।লিন্ডাও সম্মেলনে প্রথম দিকে শুধু রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীরা থাকলেও পরে যুক্ত হয়েছেন চিকিৎসা ও অর্থনীতি বিভাগের নোবেলজয়ীরা। পাঁচ দিনের আয়োজনজুড়ে থাকে নতুন নতুন বিষয়ের তাত্ত্বিক আলোচনা, থাকে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ, তাঁদের সঙ্গে মুক্ত আলাপ-আলোচনার সুযোগ, কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য। এ সম্মেলন কেবল নতুন কিছু জানার নয়, জানানোর এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগও বটে।
আগামী ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই আয়োজিত হবে ৬২তম লিন্ডাও সম্মেলন। এ বছর লিন্ডাও সম্মেলনের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান। গত বছরের সম্মেলন বিষয় ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞান।এবার ৩০ জনের অধিক নোবেল বিজয়ী অংশ নেবেন তরুণ গবেষকদের সঙ্গে। সারা বিশ্ব থেকে ৫৫০ জন শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানীদের এই আন্তর্জাতিক আড্ডায় প্রথম অংশ নেওয়ার সুযোগ আসে ২০০৭ সালে। ভিয়েনাপ্রবাসী প্রয়াত বিজ্ঞানী আবদুল ফাত্তাহর উদ্যোগে বাংলাদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের গবেষকেরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এ বছরের সম্মেলনে বাংলাদেশের পাঁচজন গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
এবারের সমন্বিত সম্মেলনের জন্য বাংলাদেশের আগ্রহী শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের আবেদনপত্র চাওয়া হয় ইন্টারনেটে (
www.lindau-bangladesh.org)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওয়া সব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর লিন্ডাও বাংলাদেশের পক্ষে মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে একটি বাছাই কমিটি নির্বাচিত ব্যক্তিদের তালিকা পাঠিয়ে দেয় সম্মেলন আয়োজকদের বরাবর।
লিন্ডাও সম্মেলন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাপকাঠিতে বেছে নেয় সারা বিশ্ব থেকে ৫৫০ জন তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের।