We should concern about our Real Estate sector...........

Author Topic: We should concern about our Real Estate sector...........  (Read 1907 times)

Offline khandakar

  • Newbie
  • *
  • Posts: 36
    • View Profile
We should concern about our Real Estate sector...........
« on: May 28, 2012, 07:46:30 AM »

সাহারার জমি চাওয়া নিয়ে তোলপাড়
শহর নির্মাণের নামে ভূখন্ড ছেড়ে দেয়া হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানির হাতে

00চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক 00সাহারার মাতৃভূমি কোনটা?

সংগ্রাম রিপোর্ট : সার্বভৌমত্বের দাবি নিয়ে ভারতীয় কোম্পানির জমি চাওয়া নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। সর্বমহলে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষক ‘সাহারা' এর সাথে করা চুক্তিকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি উল্লেখ করে বলেছেন, শহর নির্মাণের ছদ্মাবরণে স্থায়ীভাবে দেশের ভূখন্ড ভারতীয় কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেয়া মূলত ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির সর্বগ্রাসী ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মাত্র। একদিকে কৃষি জমির সংকট, দেশীয় আবাসন কোম্পানিগুলো জমির জন্য তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে ১ লাখ একর আবাদযোগ্য সবুজ জমি ভারতীয় কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার উদ্যোগে শংকিত হয়ে উঠেছে দেশের মানুষ। বিভিন্ন মহল থেকে চুক্তি জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, ভূমি সংক্রান্ত চুক্তি খুবই স্পর্শকাতর। জাতিকে না জানিয়ে এ ধরনের চুক্তি করা উচিত নয়।

ভারতীয় সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। প্রথমে তারা আবাসন খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। ইতোমধ্যে গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্মারকে সুব্রত রায় এবং রাজউক চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন। সাহারা এদেশে ‘সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন সংস্থা' নামে ব্যবসা করবে। এ কোম্পানির রেজিস্ট্রশন এখনো হয়নি। তার আগেই সরকারের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এই চুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে টিআইবির পক্ষ থেকে প্রশ্নেতো তোলা হয়েছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অন্য চুক্তির চেয়ে ভূমি সংক্রান্ত চুক্তি আলাদা। এ ধরনের চুক্তি সহজ নয়। যথাযথ বিশ্লেষণ ছাড়া এ ধরনের চুক্তি সম্পাদন স্পর্শকাতর এবং দেশের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে দেশের জমির দীর্ঘমেয়াদী মালিকানা পাবে সাহারা পরিবার। এমনকি তারা এর স্থায়ী মালিক হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

সাহারার মাতৃভূমি কোনটা?

সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার ‘সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন সংস্থা' নামে বাংলাদেশে ব্যবসা করবে। সাহারা ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা এদেশে শুধু ব্যবসা করতে আসিনি। আমরা এখানে এসেছি আবেগ নিয়ে। ব্যবসার পাশাপাশি আমার এই মাতৃভূমির উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সাহারার মাতৃভূমি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি মাতৃভুমি উন্নয়নের নামে আসলে কোন দেশের উন্নয়ন করতে চান? সুব্রত রায় সাহারার মাতৃভূমি কোনটা? বাংলাদেশ, নাকি ভারত? মায়ের ভুমির জন্য এতো টান থাকলে এতো দিন কেন একবারও আসার সময় হয়নি? তিনি জানিয়েছেন, তার মায়ের বাড়ি ছিল বিক্রমপুর। পদ্মার পাড়ের কথা তিনি তার মায়ের কাছে শুনেছেন। সেই টানেই এখন এদেশে বিনিয়োগ করতে চান। মায়ের ভূমির প্রতি যদি এতোই টান থাকতো তাহলে ৪০/৫০ বছরে কী একবারও এদেশে তিনি বা তার মা এসেছিলেন?

চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক

ভারতীয় কোম্পানি ‘সাহারা'র সঙ্গে ‘নতুন ঢাকা' গড়ার চুক্তির প্রতিবাদে ঢাকা বিশববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদাদলের ২৫০ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল রোববার সাদাদলের আহবায়ক ও বিশববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ চুক্তির প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষকরা।

বিবৃতিতে সদরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ঘিরে চলমান চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি ধ্বংসের বহুমুখী আক্রমণ ইতোমধ্যেই এ দেশের নাগরিক জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে জনগণ ও সংশিষ্ট সবাইকে অন্ধকারে রেখে হঠাৎ করে ভারতীয় বিতর্কিত কোম্পানি ‘সাহারা'র সঙ্গে সরকারের ‘নতুন ঢাকা' গড়ার চুক্তি আমাদের হতবাক করেছে।

তিনি আরো বলেন, নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সুনাম রয়েছে। এ সেক্টরে বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে সাহারার মতো বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে আকস্মিক চুক্তি সম্পাদন শুধু দেশীয় খাতকে ধ্বংস করার চক্রান্তই নয়, অধিকন্তু আমাদের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম হুমকিস্বরূপ। শহর নির্মাণের ছদ্মাবরণে স্থায়ীভাবে দেশের ভূখন্ড ভারতীয় কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেয়া মূলত ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির সর্বগ্রাসী ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মাত্র। এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি তো আসবেই না বরং দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অনায়াসে বিদেশে চলে যাবে, ব্যালান্স অব ট্রেড-গ্যাপ আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে, এবং নির্ভরশীলতায় আবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।

তারা ‘সাহারা'র সঙ্গে দেশের স্বার্থ বিরোধী এ চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তা বাতিল করার আহবান জানান।