কোর্টে না গিয়েও আলোচনার মাধ্যমে মোবাইল ফোন অপারেটর এবং রেগুলেটরের দ্বন্দ্বের সমাধান হতে পারে। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলে বলে গেলেন চার দিন ঢাকা সফর করে যাওয়া আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিন ঝাও।
২২ মে মাঝ রাতে ঢাকা পৌঁছার গত কয়েক দিনে তিনি টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রীসহ টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের দাওয়াতেও অংশ নেন তিনি। পরে শনিবার দুপুরের পর ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
উন্নত বিশ্বে থ্রি জি'তে বিজনেস কেস নেই
অনেক উন্নত দেশই থ্রি জি নিয়ে বিপদে পড়েছে। কারণ সেসব দেশে থ্রি-জি'তে বিজনেস কেস নেই। ইউরোপ-আমেরিকা তো অবশ্যই, এশিয়ার অনেক দেশেও এখন থ্রি-জি লস করছে। তবে বাংলাদেশের মতো দেশে ব্যবসার সুযোগ আছে। এখনো অনেক গ্রাহক আছে মোবাইল সেবার বাইরে। তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া যেহেতু এখন দেশের অধিকাংশ গ্রাহক এখনো ভয়েস নির্ভর, ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা এক কোটির কিছু বেশী। তবে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে বিলম্ব করা সম্ভব বলেও মনে করেন আইটিইউ'র ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল। সে কারণে এখানে অপারেটরদের অনেক কিছুই করার সুযোগ আছে।
তথ্য প্রযুক্তিতে ট্রিমেন্ডাস উন্নতি
তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ তার প্রত্যাশার চেয়েও উন্নতি করেছে বলে জানান ঝাও। বলেন, এমন ট্রিমেন্ডাস উন্নতির কথা তিনি চিন্তাও আসে নি। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের অনলাইন বিদ্যালয় এবং ডি-নেটের মোবাইল লেডির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাছাড়া সাম্প্রতিক অনেকগুলো ক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা আছে সেগুলোও বেশ সাড়া জাগাবে বলেই বিশ্বাস তার।
ব্যবসায়িক উচ্চ সম্ভাবনা
অপারেটরদের দৃষ্টিকোণ থেকে এখনো এখানে ব্যবসার অনেক সুযোগ রয়ে গেছে। আমি জেনেছি, এখানকার ট্যারিফ সবচেয়ে কম। এই বিষয়টিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে পারে দুই পক্ষ। ব্যবসায়িরা যেমন করে গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহার করতে পারে। একই সঙ্গে তারা কিভাবে বিদ্যুতের ওপর থেকে নিজেদের নির্ভরশীলতা কমাতে পারে সে বিষয়টিও সরকারকে জানিয়ে কিছু সুবিধাও নিতে পারে তারা।
কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বন্দ্বের বিষয়টি ভালোই জেনেছেন ঝাও। এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মতোদ্বৈততা হতেই পারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান হতে পারে। আদালত যদি সমস্যার সমাধান করতে যায় তাহলে ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশংকা থেকেই যায়।
স্যাটেলাইটে সহযোগিতা
বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে আইটিইউ প্রকল্প কাঠামো এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কিভাবে এই সহযোগিতা দেওয়া যেতে পারে সেটি সরকারের সঙ্গে পর্যায় ক্রমে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশও আইটিউ'র নেতৃত্বে আছে সে কারণে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট বিষয়টি আইটিইউ গুরুত্ব দিয়ে ভাববে।