একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটভক্ত ও ক্রিকেটভোক্তাকে চিনবেন কী করে?
: উপায় আছে। বেশ কয়েকটা উপায়। তার মন্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্ন অনুসরণ করবেন। আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন তিনি আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলতে পারেন_ মন খারাপ করবেন না আপনি। গাঙ্গুলি ব্যর্থ হয়েছে তাতে কী! দেখবেন, সৌরভ পুষিয়ে দেবে। অথবা তিনি বলতে পারেন, শচীনের খেলা আর টেন্ডুলকারের খেলায় আমি কোনো তফাত দেখি না। দু'জন একই ঘরানার খেলোয়াড়, খেলেনও একই রকম। থার্ড, প্রথম ইনিংস বা দ্বিতীয় ইনিংস কেমন হলো, সে নিয়ে ভাবনাচিন্তা খুব একটা করতে চাই না, আমাদের টার্গেট থাকে থার্ড ইনিংস বা ফোর্থ ইনিংস ভালো করার অথবা তিনি যদি আপনাকে কোনো এক্সপার্ট অপিনিয়ন দেন_ যেমন, ক্রিকেট ম্যাচে ব্যাটসম্যানকে কখনও বোলারের ভূমিকায়, বোলারকে ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় দেখা যায় কিন্তু গোলকিপারের ভূমিকায় নামতে হয় না। ফুটবলে ডিফেন্ডার, স্ট্রাইকার কিংবা লিংকম্যান উইঙ্গারের ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন, কিন্তু উইকেটকিপার হতে পারেন না। কারণ পজিশন দুটি বদলিযোগ্য নয়, ওদের একটি এইটিতে আছে তো সেইটিতে নেই; যদিও দু'জনের কাজ অনেকটা একই রকম।
: ব্রেইনের ওপর ট্যাক্স হচ্ছে।
: কী করতে চান?
: প্রসঙ্গ পাল্টাতে চাই।
: নিষেধ তো কেউ করেনি!
: ক্রিকেট খেলোয়াড়রা যখন বৃদ্ধ হন, তখন তো তারা অলস হয়ে যান।
: অলস হয়ে যাবেন কেন? আপনাকে কে বলেছে এসব কথা?
: কারও বলার জন্য আমি অপেক্ষা করি নাকি? আমি কথা বলি আমার পাওয়ার অব ইমাজিনেশান থেকে।
: তেমন যদি বলে থাকেন, ক্ষমতার ওই সেক্টরে আপনি বড় দুর্বল। ওই প্রকোষ্ঠে আপনার ক্ষমতার লেভেল খুব নিচুতে বাঁধা। ক্রিকেট খেলোয়াড় যখন বয়স হারান, তখন তাদের কাজের কোনো অভাব হয় না। ধরে ধরে তাদের আম্পায়ার বানিয়ে দেওয়া হয়।
ফলে দু'দিক থেকেই সুবিধে। যারা তাদের কাজটি দেন, তার বেশ সন্তোষ ও পরিতৃপ্তির সঙ্গেই বলতে পারেন_ কোনো ভুলত্রুটি যদি আম্পায়ারের হাতে হয়ে থাকে, আমাদের দোষ কী! আমরা অভিজ্ঞ লোকের হাতেই কাজটা সঁপেছি!
আর আম্পায়ারদের সুবিধে হচ্ছে, ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তাদের কোনো পরিতাপ হয় না। কারণ তারা এত নিষ্ঠুর বা অবিবেচক নন যে, দেখেশুনে কোনো ভুল করবেন_ যা তারা করেন, তা তো না দেখেই করেন। না দেখার ভুল ও না বোঝার ভুল বিধাতাও ক্ষমা করেন, কুতঃমনুষ্যা! মনুষ্য তো কোন ছাড়।
: আম্পায়ারের হাতে ভুল কখন বড় ভয়াবহ হয়।
: যখন তাদের অন্তরে ভুলের জন্য মনোবেদনা প্রস্তুত হয়। তখন তারা খুব মহৎ একটি কাজে প্রবৃত্ত হয়ে কখনও কখনও ম্যাচের দ্বাদশ ঘটিকা বাজিয়ে দেন।
: সেটি কেমন?
: বড় চমৎকার। সবাই না হলেও কেউ কেউ কাজটি পালনীয় কোনো কর্তব্য মেনে উভয় পক্ষকে উপহার দেন। তার একটি ভুল মনে করুন ইনজামামদের ক্ষতি করল; পরের ইনিংসে, ওদের এই ক্ষতিটি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য, তিনি যদি সৌরভদের ক্ষতি করার জন্য অকালে অসময়ে শাসনাঙ্গুলি শূন্যে তুলে দেন সবার মতো সোজাসুজি অথবা বিলি বাউডেনের মতো বেঁকাবেঁকি, তাহলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘন পাকে জল ঢেলে দেওয়া হলো।
Ref: -Internet