Faculty of Science and Information Technology > Science and Information

What is a BLOG, its necessary and how I make a blog? (In Bangla)

(1/1)

Rabbany:

আমি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। কিন্তু আমার কম্পিউটার এর প্রতি প্রচুর আগ্রহ আছে। যার ফলে আমি আমার পড়াশোনার বাইরের সময় গুলো আমি কম্পিউটার এর পিছনে ব্যায় করি। আমার এই কম্পিউটার জগত বলতে গেলে কোন শিক্ষাগুরু নাই বললেই চলে।আমি কম্পিউটার এর কাছ থেকেই কম্পিউটার শিখি। এখন আপনার ভাবতে পারেন কেন আমি এতক্ষণ ধরে আপনাদের সাথে এইগুলো বলতেছি, কারণ তো থাকবেই।কারন আমি এখন যে বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা শিক্ষতে হলে যেমন ধৈর্য থাকতে হবে তেমনি শেখার আগ্রহও থাকা অতিব জরুরী। এই ফোরাম এ অনেকেই এই ব্যাপারটা সম্পর্কে জানেন, এটা আমি ও জানি। কিন্তু কেহ এই বিষয়ে কোন পোস্ট করেছে কিনা তা আমি জানি না।যারা এই সমন্ধে জানেন না তাদের জন্যে আমার এইটুকু প্রয়াস। ;D এই বার আমি মুল অংশে যাচ্ছি এবং এতক্ষণ আপনাদের মিছে সময় নস্ট করার জন্যেও আমি ক্ষমা চাচ্ছি।

# আমি এই থ্রেডটি টিতে আপনাদের ব্লগ কি?এর প্রয়োজনীয়তা, এটি কিভাবে করতে হয় তা জানানোর বা শেখানোর চেস্টা করব।
ব্লগ কি?ঃ
ব্লগ হল এক প্রকার অনলাইন ডায়েরী যা কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিস্টানের মত প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। ব্লগিং-এর ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী "ওয়েবলগ" শব্দটা জোম বার্গার ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এ প্রথম ব্যবহার করেন। শব্দটার ছোট্ট সংস্করণ "ব্লগ" চালু করেন পিটার মেরহোলজ, ঠাট্টা করে তিনি তাঁর ব্লগ পিটারমে.কম (PeterMe.com)-এর সাইডবারে ১৯৯৯-এর এপ্রিল বা মে মাসের দিকে ওয়েবলগ (weblog) শব্দটা ভেঙে উই ব্লগ (we blog) হিসেবে লেখেন।
তার ঠিক পরপরই, পাইরা ল্যাবস-এ ইভান উইলিয়ামস "ব্লগ" শব্দটা বিশেষ্য এবং ক্রিয়া দুটো হিসেবেই ব্যবহার করা শুরু করেন ("ব্লগ করা", মানে দাঁড়ায় "কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া") এবং পাইরা ল্যাবের ব্লগার পণ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে "ব্লগার" শব্দটা ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন পরিভাষাটি।ব্লগিং জনপ্রিয় হওয়ার আগে, ডিজিটাল গোষ্ঠীগুলোর নানান ধরন ছিলো, ছিলো ইউজনেট (Usenet), ছিলো জিনি(GEnie), বিক্স (BiX)-এর মতো বাণিজ্যিক অনলাইন সার্ভিস, আরো ছিলো পুরনো আমলেরকম্পুসার্ভ (CompuServe), ই-মেল লিস্টস আর বুলেটিন বোর্ড সিস্টেমস (বিবিএস)।১৯৯০-এর দিকে, ইন্টারনেট ফোরাম সফটওয়্যার "থ্রেড"-এর মাধ্যমে কথোপকথন চালানোর ব্যবস্থা শুরু করে। থ্রেড হচ্ছে একটা ভার্চুয়াল "কর্কবোর্ড"-এ বার্তাগুলোর মাঝখানের সাময়িক সংযোগের সমষ্টি।
আধুনিক ব্লগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনপত্রী থেকে, যেখানে লোকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন। এধরনের বেশিরভাগ লোকেরাই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস অথবা জুমালারস।সোয়ার্থমোর কলেজ-এ ১৯৯৪-এর দিকে পড়ার সময় ব্যক্তিগত ব্লগিং-করিয়ে জাস্টিন হল-কে অন্যতম আদি ব্লগার হিসেবে ধরা হয়, যেমনটা ধরা হয় জেরি পুমেল-কেও। ডেভ উইনার-এর স্ক্রিপ্টিং নিউজ-এরও সবচাইতে পুরনো আর সবচাইতে বেশি দিন ধরে চালু থাকা ওয়েবলগ হিসেবে খ্যাতি আছে।
প্রথম দিককার ব্লগগুলো ছিলো স্রেফ সাধারণ ওয়েবসাইটের হাতে-বানানো উন্নততর উপকরণ। তবে, সময়ের সাথে বিপরীতক্রমে পোস্ট-করা ওয়েব প্রবন্ধগুলো লেখা এবং দেখভাল করা সহজ করার জন্যে বিবর্তিত কৌশলগুলোই প্রকাশ ব্যবস্থাটা বড়সড় একটা জনগোষ্ঠীর কাছে, যারা তেমন প্রযুক্তিদক্ষ নয়, বেশ সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। এতে করেই শেষমেষ আলাদা ধরনের একটা অনলাইন প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যেটা আজকাল আমাদের চেনা চেহারার যেরকম ব্লগ সেরকমটা তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু ব্রাউজার-নির্ভর সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন ব্লগের একটা নিতান্তুই সাধারণ ব্যাপার। ব্লগ হোস্ট করার জন্যে আছে নির্ধারিত ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস, এছাড়াও ওগুলো ব্লগ সফটওয়্যার কিংবা নিয়মিত ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করেও চালানো যায়।(with the help of Wikipedia)
প্রকারভেদ
ব্যক্তিগত ব্লগ:
এখানে ব্যাক্তি কোন একটি বিষয়ের উপর তার মতামত পোষ্ট আকারে তুলে ধরেন এবং পাঠকদের সাথে এর উপর মতামত আদান প্রদান করেন।
কোম্পানী/প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগ:
কোম্পানী/প্রতিষ্ঠান তাদের কোন পণ্য বা সেবার উপর নতুন নতুন তথ্য প্রদান করেন এবং পাঠক তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন।

এখন আসি ব্লগিং এর প্রয়োজনীয়তা কি? এবং কাদের জন্যে ব্লগিং গুরুত্বপুর্ন।

ব্লগিং এর প্রয়োজনীয়তাঃ আমার দৃস্টি কোণ থেকে এক জন সুশিক্ষিত আধুনিক এবং স্বাধীনচেতা মানুষের জন্যে ব্লগিং করা প্রয়োজন।এর পিছনেও কারন আছে। ব্লগ হল এক ধরনের অলাইন ডায়েরী।একজন মানুষ তো কাগজের ডায়েরীতেও লিখতে পারে তাহলে ব্লগিং কেন? এর কারন কাগজের ডায়েরীতে আমরা লিখতে পারি এইটা সত্যি কিন্তু আমরা তা একই সময়ে তা সবার সাথে শেয়ার করতে পারি না। আবার আমি এতটা জনপ্রিয় না যে আমার ডায়েরী পড়ার জন্যে মানুষ লাইন ধরে থাকবে।ধরুন আমি একটি ডায়েরী লিখতেছি এইটা যদি আপনাকে আমি পড়ার জন্যে দিয়ে দেই তাহলে আমি লিখতে পারব না আর যদি আমি লিখার জন্যে রাখি তবে আমি আপনাকে পড়তে দিতে পারব না।আপনি যদি না পড়েন তবে আমার মতামত আমি প্রকাশ করতে পারলাম না, তাহলে সেই মতের কি প্রয়োজন যা আমি প্রকাশ করতেই পারব না। এই কারন গুলোর জন্যেই ব্লগিং জরুরী। আশা করি আমি আপনাকে বোঝাতে পারছি।
আরও একটি কথা থেকে যায় আমরা ছাত্ররা কেন ব্লগিং করব?ঃ- আমরা যারা এই লেখাটা পরছি তারা দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষার্থী। আমাদের শুধু আমাদের পাঠ্য পুস্তক এর জ্ঞান লাভ করলেই হবে না বরং আমাদের এই বিষয়ের ওপরে গবেষনা মুলক চিন্তাধারা থাকতে হবে। আমরা যদি কোন কিছু গবেষণা করলাম কিন্তু তা প্রকাশ করলাম না তবে ঐ টা করে সময় নস্ট না করাই ভাল। এইটা আমার একান্ত নিজের মতবাদ, দয়া করে ক্ষ্মমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন। তাই আমাদের ছাত্রদের প্রত্যেকের একটি করে ব্লগ থাকা অত্যাবশকীয় বলে আমি মনে করি।
এখন আরও কিছু কথা থাকে যে আমি আমি বুঝলাম যে আমার ব্লগ থাক টা জরুরী কিন্তু আমি তো ব্লগ তৈরী করতে পারি না তাহলে আমি কোথায় ব্লগিং শিখব। হম এইটা ঠিক যে কোন প্রতিস্টান (সঠিক বানান অভ্রতে আমি লিখতে পারসি না কষ্ট
করে পড়ে নিবেন প্লিজ) এই ব্যাপারে শিক্ষা দেয় না আবার দেয়ও। তবে আমি চেস্টা করব ধারাবাহিক ভাবে এই থ্রেডে আপনাদের পুরোপুরি শেখানোর চেস্টা করব।
আজ এই পর্যন্তই আশা করি আমার পোস্টটা আপনাদের ভাল লাগবে। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ। আপনাদের একজন ও যদি এইখান থেকে শেখার আগ্রহী হন তবে আমিই থ্রেড টা চালিয়ে যাব। না হলে আমি মিছে মিছি পোস্ট করব না। আশা করি আপনাদের মন্তব্য জানাবেন। ;D

Navigation

[0] Message Index

Go to full version