Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - shawket

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
শীর্ষনিউজ ডেস্ক:“কখনো ভেবো না যেন যে আমি একজন দুর্বল এবং অজ্ঞ মহিলা, এই বিশাল সাম্রাজ্য আমার দ্বারা পরিচালনা সম্ভব না। আমি এখানে আমার জনগণের ভাগ্য ফেরাতে এবং নিজের নাম উজ্জ্বল করতে শাসন করবো। আমি কোনো ঈশ্বরের উপাসনা করবো না, বরং আমার পূর্বপুরুষেরাই আমার ঈশ্বর! সুদূরে সমুদ্র পর্যন্ত আমার রাজ্যসীমা এবং আমি আমার রাজ্যের এক চুলও ছেড়ে দেবো না!” কথাগুলো রাজ্যাভিষেকের সময় বলেছিলেন একজন তেজস্বী রানী, যিনি ইতিহাসে পরিচিত হয়ে আছেন ‘রানাভেলোনা দ্য ক্রুয়েল’ নামে। আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারের রানী প্রথম রানাভেলোনা ক্ষমতায় আরোহণ করেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি দুর্বল চিত্তের নারী নন, তিনি তেজস্বিনী। তার তেজোদীপ্ত হাতে তিনি শাসন করেছেন ভ্যানিলা মটরশুঁটির জন্য বিখ্যাত বিশাল এক দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কার। সেখানে তিনি মানুষের রক্তে দেশের আবর্জনা ‘ধুয়েছেন’! সমুদ্রতীরটি সাজিয়েছিলেন লম্বা লম্বা বাঁশের আগায় মানুষের মাথার খুলি গেঁথে দিয়ে! বাঁশের আগায় নীরবে লটকে থাকা খুলিগুলোই যেন কোনো নতুন মানুষ দেখলে সরব হয়ে উঠতো। আর জানিয়ে দিত একটা মৌন বার্তা, “সাবধান হে, এটা ‘ফিমেল ক্যালিগুলা’র রাজত্ব!”

রাণী রানাভেলোনা
১৭৮৭ সাল থেকে ১৮১০ সাল পর্যন্ত মাদাগাস্কারের রাজা ছিলেন রাজা আন্দ্রিয়ানাম ও পোইনিমেরিনা। তার রাজ্যের এক গরীব গ্রাম্য দম্পত্তি আদ্রিয়ানসালামাঞ্জাকার ও রাবোদোনান্দ্রিয়ান্তোমপোর ঘরে ১৭৭৮ সালে মাদাগাস্কারের আম্বাতোমানৈনাতে জন্মগ্রহণ করেন প্রিন্সেস রানাভেলোনা মাঞ্জাকা (অপর নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এবং সহজ বটে!)। তার ডাকনাম প্রিন্সেস রামাভো। কৃষকের মেয়ের নামের আগে ‘প্রিন্সেস’ এলো কী করে, তা ভাবছেন? দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া রানাভেলোনার ভাগ্য খুলে যায় তার শৈশবেই, যখন তার বাবা রাজা আন্দ্রিয়ানাম-পোইনিমেরিনাকে গুপ্তচর দ্বারা হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। এতে করে রাজা খুশি হয়ে নিজের ছেলে প্রিন্স রাদামার সাথে আদ্রিয়ানসালামাঞ্জাকার মেয়ে রানাভেলোনার বাগদান করিয়ে দেন। আর রানাভেলোনা হয়ে যান প্রিন্সেস রানাভেলোনা!

শিক্ষা
দরিদ্র কৃষকের পরিবারে জন্ম নেয়া রানাভেলোনা ছিলেন আমৃত্যু নিরক্ষর। যদিও তার শৈশবে মাদাগাস্কারে কোনো লিখিত ভাষার প্রচলন হয়নি, তথাপি তিনি রানী হবার পরেও আর শিক্ষাগ্রহণে কোনোরূপ আগ্রহ দেখাননি। অন্যদিকে রানীদের যেমন রূপ গল্পে বা ইতিহাসে শুনে থাকি, মুখশ্রীও তার তেমন দর্শনীয় ছিল না। ফলে রাদামার সাথে বাগদান তার জীবনে এক প্রকার অভিশাপ হয়ে আসে। একে তো কৃষকের নিরক্ষর কন্যা, তার উপর আবার রূপবতী নন। ফলে রানাভেলোনাকে নিতান্ত বাধ্য হয়ে বিয়ে করেন রাদামা। দাম্পত্য জীবনেও রানাভেলোনার সুখ আসেনি। এমনকি তাদের কোনো সন্তানও ছিল না। অন্যদিকে রাদামা রানাভেলোনার পর বিয়ে করেছিলেন গুনে গুনে আরো ১১টি! সম্ভবত রানাভেলোনার জন্য এটাই সান্ত¦নার বিষয় ছিল যে তিনি রাদামার ঘরে সকলের পূর্বে এসেছেন! আর দাম্পত্য সুখ বঞ্চিত রানাভেলোনা দিন দিন ক্ষমতালোভী ও কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠেন, যিনি তার ১১ সতীনের উপর চালাতেন নানা মানসিক অত্যাচার!

রাদামা এবং রানাভেলোনা
রাজা আন্দ্রিয়ানাম ও পোইনিমেরিনা তার মৃত্যুর আগে রাদামাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে দিয়ে যান। আবার রাদামার পরে শুধুমাত্র রানাভেলোনার ঘরের সন্তানই সিংহাসনে বসবে এই ঘোষণাও দেন রাজা। কিন্তু রানাভেলোনা ছিলেন নিঃসন্তান। ১৮১০ সালে রাজা আন্দ্রিয়ানাম ও পোইনিমেরিনা মৃত্যুবরণ করলে নিয়মানুযায়ী রাদামা ক্ষমতা গ্রহণ করেন। কিন্তু বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি রাদামা। ১৮২৮ সালে তার মৃত্যু হলে ক্ষমতায় আরোহণ করেন রানাভেলোনা। যেহেতু তার সন্তানই সিংহাসনের প্রকৃত উত্তরাধিকারী, তাই সন্তান না থাকায় সিংহাসনে বসতে তার কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু রাদামার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে কিছু রাজকর্মীর মধ্যে। সিফিলিস কিংবা সিরোসিস থেকে শুরু করে চায়ের সাথে রানীর মিশিয়ে দেয়া সায়ানাইড, রাদামার মৃত্যুর জন্য ছড়াতে থাকে অদ্ভুত সব গল্প। তবে তার মৃত্যু হয়েছিল দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শোনা যায় অসহনীয় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিজেই নিজের মুন্ডুচ্ছেদ করেন রাদামা!

হিংসাপরায়ণ
রাদামার মৃত্যু নিয়ে সবচেয়ে বেশি সন্দেহবাদী ছিলেন তার ছোট ভাই, যিনি রানাভেলোনাকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তবে রানাভেলোনা যে কতটা চত্বর, তা বোঝা যায় বিদ্রোহ ঘোষণার পর। রাদামার আঠারো বছরের শাসনকালে দাম্পত্য সুখ বঞ্চিত রানাভেলোনা হয়ে উঠেছিলেন হিংসাপরায়ণ। আর মনে মনে কষেছেন ভবিষ্যতের ছক। সেই ছকের প্রাথমিক কাজটা তিনি করেছিলেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। ক্ষমতা গ্রহণের আগে রাজপ্রাসাদের প্রায় ৩০ বছরের জীবনে তিনি বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন রাজ্যের সব প্রভাবশালী মন্ত্রী, তান্ত্রিক (উল্লেখ্য, তান্ত্রিকদেরকে সেখানে রাজারাও সমীহ করতেন!) এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাথে। ফলে প্রধান সেনাপতিদেরকেও হাত করে নিতে তার সময় লাগেনি বেশি। ৪৬ বছর বয়সে রানাভেলোনা যখন মাদাগাস্কারের সিংহাসনে আরোহণ করেন, তখন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সুবিধা করার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না রাদামার ছোট ভাইয়ের। ফলে শীঘ্রই রাদামার ছোট ভাই মারা পড়লেন, রাজ্য থেকে বিতাড়িত হলেন কিংবা নির্বাসিত হলেন তার সমর্থকরা। আর রাদামার মৃত্যুর সকল গুজব ধামাচাপা দিয়ে ক্ষমতায় জেঁকে বসলেন রানাভেলোনা।

সৈন্যসামন্ত নিয়ে ভ্রমণ করছেন রাণী রানাভেলোনা
যেদিন থেকে রানাভেলোনা মাদাগাস্কারের ক্ষমতায় বসেন, সেদিন থেকে মাদাগাস্কারে রক্তপাত একটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়। রাজ্যাভিষেক করেছিলেন তিনি একটি বিশাল ষাঁড়ের তাজা রক্তে হাত ধুয়ে। সেই হাত পরবর্তীতে যে কত সহস্রবার মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, তারও হিসাব নেই। নৃশংসতার শুরুটা তিনি করেছিলেন নিজের পরিবার তথা রাজপরিবার থেকেই। রাদামার ছোট ভাইকে হত্যা করার মাধ্যমে তার যে ‘রাজশত্রু’ নিধন মিশন শুরু হয়, রাজপরিবারের সর্বশেষ শুভাকাক্সক্ষীকে হত্যা করার মাধ্যমে তা শেষ হয়। রাদামা বা তার পূর্বসূরীদের চিহ্ন একেবারে মুছে দিয়ে রাজবংশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন রানাভেলোনা। আর তার এই নিধনযজ্ঞও ছিল অত্যন্ত বর্বর। তান্ত্রিকরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, রাজবংশের সদস্যদের রক্তপাত ঘটানো অমঙ্গল হতে পারে। রানাভেলোনা তাই হয়তো আর রক্তপাত ঘটালেন না। তিনি রাজপরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করালেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কিংবা উপবাসে রেখে! হত্যা হয়েছে তো কী, রক্তপাত যে হয়নি!
রানাভেলোনা যখন ক্ষমতায় বসেন, তখন ইউরোপে উপনিবেশবাদ ডালপালা মেলতে শুরু করেছে সবে। এ সময় তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সাথে নিজের সম্পর্ক আরো পাকাপোক্ত করতে সমর্থ হন, যারা ছিলেন তার ক্ষমতার প্রধান উৎস। ব্যবসায়ীরা ইউরোপীয় উপনিবেশ বা বাণিজ্য কোনোটাই পছন্দ করতেন না। রানাভেলোনা দ্রুত তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে মাদাগাস্কার থেকে সকল বিদেশিদের বের করে দিলেন, উপনিবেশের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন এবং ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সাথে বিদ্যমান ‘মাদাগাস্কার চুক্তি’ বাতিল করলেন। এ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে নিন্দিত তার একটি পদক্ষেপ ছিল, খ্রিস্টধর্মের বিরুদ্ধে যাওয়া। তিনি মাদাগাস্কারের উপজাতীয় ঐতিহ্যবাহী ধর্ম ও সংস্কৃতির বিপরীতে খ্রিস্টান মিশনারিদের খ্রিস্টধর্ম প্রচার কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। ফলে তিনি দেশে খ্রিস্টধর্ম নিষিদ্ধ করেন। অনেক খ্রিস্টধর্মাবলম্বীকে হত্যাও করেন। এমনকি তিনি ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনেন। এই পন্থায় কোনো ব্যক্তির বিচার যুক্তি তর্ক আর প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, বরং তাকে অত্যন্ত বিষাক্ত বিষ পান করানো হতো। যদি বিষপানের পরও কোনো ব্যক্তি বেঁচে যায় তাহলে সে নিষ্পাপ বলে প্রতীয়মান হবে! এ ব্যবস্থায় কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিই যে নির্দোষ প্রমাণিত হয়নি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পাহাড় থেকে ফেলে হত্যা করা হচ্ছে
রানাভেলোনার এহেন আচরণে (চুক্তিভঙ্গ, খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধাচরণ) ক্ষুব্ধ হয়ে মাদাগাস্কারের বন্দর নগর তামাতায়ে আক্রমণ করে ফরাসীরা। রানাভেলোনার সৈন্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও যুদ্ধের এক পর্যায়ে শহরের ক্ষমতা প্রায় দখল করেই ফেলেছিল ফারাসী বাহিনী। কিন্তু সৈন্যদের মধ্যে ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়লে অধিকাংশ সৈন্য মারা যায় এবং ফরাসী বাহিনী পিছু হটে। ১৮৩৫ সালে ফরাসী বাহিনী ব্রিটিশদের সাথে জোট বেঁধে এক বিশাল সৈন্যবহর নিয়ে মাদাগাস্কারের দিকে পুনরায় রওনা দেয়। এত শক্তিশালী বাহিনীর সাথে যে সুবিধা করা যাবে না, সেটা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন রানাভেলোনা। তিনি তখন ভয় দেখানোর কৌশল অবলম্বন করলেন। শতাধিক ইউরোপীয়র কাটা মুন্ডু লম্বা বাঁশের আগায় গেঁথে দিলেন সমুদ্রের দিকে মুখ করে। ব্যাস, এতেই কাজ হয়ে গেলো! ‘সাহসী’ ফরাসী-ব্রিটিশ জোটবাহিনী মাদাগাস্কারের সমুদ্রতটে নোঙর করে যখন কাটা মুন্ডুর এমন বীভৎস দৃশ্য দেখলো, তখন তারা যুদ্ধে না জড়িয়ে দেশে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলো! এ ঘটনার পর রানাভেলোনা তার প্রজাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

প্রজাদের নির্যাতন ও হত্যা
রাণী রানাভেলোনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেন মস্তিস্কবিকৃতিও ঘটতে শুরু করেছিল। প্রথমে তিনি দেশ থেকে খ্রিস্টানদের চলে যেতে বলেন এবং বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে হত্যা করেন কিছু মানুষ। কিন্তু এতে যে পরিতৃপ্ত হতে পারছিলেন না তিনি। তাই সরাসরি হিটলারিয় পন্থায় ইহুদি নিধনের মতো করে খ্রিস্টান নিধন শুরু করেন। এ সময় তিনি ১০ হাজারের বেশি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ হত্যা করেন। তিনি এতটাই আক্রমণাত্মক হয়ে যান যে তার নিজের প্রজারাও অনেক সময় তুচ্ছ কারণে তার বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার নির্যাতনের ধরনও ছিল গা শিউরে ওঠার মতো। এসব বর্বর পন্থার জন্যই তিনি ‘ফিমেল ক্যালিগুলা’ খেতাব পান। এখানে রানাভেলোনার কিছু বর্বর অত্যাচারের পন্থা উল্লেখ করছি।

নির্যাতনের বর্ণনা:
অভিযুক্তকে উঁচু পাহাড় থেকে সমস্ত শরীর দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝোলানো হতো। তারপর তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে জোরপূর্বক সে দড়ি কর্তন করানো হতো (পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে) এবং দড়িতে বাঁধা ব্যক্তিটি পাহাড় থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করতো!
প্রায় হাজারখানেক মানুষ হত্যা করা হয়েছিল জীবন্ত সেদ্ধ করে, পুড়িয়ে কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলে!
মুন্ডুচ্ছেদ করে হত্যা করা ছিল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি।
‘অগ্নিপরীক্ষায়’ বিষ পান করানোর ব্যাপারে উপরেও আলোচনা করা হয়েছে।
রানাভেলোনার আরো একটি নিজস্ব ‘মস্তিস্কপ্রসূত’ নির্যাতন পন্থা ছিল বন্দীদেরকে অমানুষিক পরিশ্রম করানো। তিনি মাদাগাস্কারের গহিন জঙ্গলে বিষাক্ত সাপ আর মশামাছি পূর্ণ স্থানে বন্দীদেরকে কাজে লাগিয়ে দিতেন। সেখানে তারা অসুখে, সাপের কামড়ে, ম্যালেরিয়ায় কিংবা প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে কাজ করতে করতে মারা যেত!

বন্দীদের দিয়ে করানো হচ্ছে অমানুষিক পরিশ্রম
১৮৫৮ সালে যখন ৮০ বছর বয়সী রানী রানাভেলোনা মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার মনে ছিল রাজ্যের প্রশান্তি। নিজের পৈশাচিকতার জন্য অনুতাপ তিনি বোধ করেননি। হয়তো করার অবকাশ পাননি। কারণ ইউরোপীয় উপনিবেশবাদকে সফলভাবে থামিয়ে দিয়ে আফ্রিকায় যে দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছিলেন, সেটা নিয়েই নিজেকে সর্বদা সফল ভাবতে ভালোবাসতেন রাণী রানাভেলোনা। তার মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আরো ৩০ বছর কোনো ইউরোপীয় মাদাগাস্কারে প্রবেশ করতে পারেনি। তার উত্তরসূরীদের মধ্যে আরো দুজন ‘রানাভেলোনা’ নাম গ্রহণ করলে তাকে রাণী ‘প্রথম রানাভেলোনা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

Source: http://shershanews24.com/Other/details/75775/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80?fbclid=IwAR3vYeznwTQ5GaOQnZP5Xv2vnHQAPO6ekhcO1YJapU5vH6yzTKeCUYXfMHc

2
শিশুর বিকাশ নিয়ে মা–বাবারা এখন বেশ সচেতন। কী করলে আরও সফলভাবে সেটি করা সম্ভব, তাঁরা তা অনলাইনে–পত্রিকায় তথ্য সংগ্রহ করেন। বই কেনেন। নিজেরা জেনেবুঝে সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিশুকে নিয়ে যান। প্রথমে বলা রাখা ভালো, বড় কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেমন দরকার কঠোর পরিশ্রম এবং অসীম ধৈর্য ঠিক তেমনভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মা–বাবাকে হতে হবে যত্নবান। একই সঙ্গে আদরও করতে হবে। আবার কিছু নিয়ম–কানুন মেেন চলার অভ্যাস করতে হবে। অনেক সময় শিশুরা দুষ্টুমি করে, আমরা না বুঝে তাদের ভয় দেখাই, শাস্তি দিই। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়। শিশুর প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তার কথার গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুর ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে।

এবার কিছু টিপস দিই


* মা–বাবার জীবনে সন্তান অমূল্য সম্পদ এবং সন্তান পেয়ে যে তাদের জীবন ধন্য হয়েছে, এটা তাকে বোঝাতে হবে।

*সন্তান শিশু হলেও সে যে একজন পরিপূর্ণ মানুষ, এই সন্মান তাকে করলে তার ভেতর আত্মসম্মান বোধ জাগ্রত হবে।

* সন্তানের কাজের প্রশংসা করতে হবে, তার কাজের সমালোচনা না করে কীভাবে করলে কাজটা সুন্দর হবে তা নিয়ে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

* সন্তানের প্রতিটি মতামত গুরুত্বসহকারে শুনতে হবে। সন্তানের সঙ্গে তার ভালো লাগা, খারাপ লাগা বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললে তার ভেতরে চিন্তা করার দক্ষতা তৈরি হবে।

* সন্তান যে জিনিসগুলো ব্যবহার করে, সেটা তার পছন্দ অনুযায়ীই যদি কেনা সম্ভব হয়, তবে সন্তানের মতামত প্রদানের অভ্যাস গঠন হবে। তার বিছানায় চাদর, পড়ার টেবিল, কোন পোশাক পরবে, সেসবের ব্যাপারে তার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে।

* আমরা অনেকেই শিশুকে মেঝেতে নামতে দিই না। খেলনা দিয়ে খেলতে দেই না। আমাদের ভয় থাকে সন্তান পড়ে যেতে পারে বা আঘাত পেতে পারে। কিন্তু শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তারা হাঁটবে, খেলবে—এ জন্য সন্তানকে নিয়ে মা–বাবার ভয় পেলে চলবে না। তাকে তার মতো থাকতে দিতে হবে।

* অনেক সময় মা–বাবা সন্তানের সব কাজ করে দেন। এটা করা ঠিক নয়। এতে করে সন্তান দায়িত্ব নিতে শেখে না। দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। বাচ্চাকে আমাদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে হবে। যেমন হতে পরে সন্তান খাওয়ার পরে তার প্লেটটা সে নিজেই পরিষ্কার করবে। পরিষ্কার করে যথাযথ স্থানে রাখা। স্কুল থেকে বাসায় আসার পরে স্কুল ড্রেস, জুতা–মোজা নিজেই খুলে রাখবে। ঘুমানো সময় তার নিজের বিছনা নিয়েই পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে কোনো শিশুরা যদি এগুলো না করে, তাহলে তাকে বকা দেওয়া যাবে না। সন্তানকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে নিজের কাজ নিজেই করা উচিত। নিজের কাজ করা কোনো খারাপ কিছু নয়।

* শিশুরা যদি ইচ্ছে করে কিছু করতে চায়, সেটা আমরা তাদের জন্য ক্ষতিকর না হলে নিষেধ করব না। আমরা তাদেরকে সাহস দেব। তার কাজে সহযোগিতা করব এবং তাকে উৎসাহ দেব।

* অনেক সময় শিশুরা নিজের দামি একটা খেলনা ভেঙে ফেললে আমরা তাকে বকা দিই। বাচ্চারা কোনো কিছু ভেঙে বা নষ্ট করে ফেললে তারই কিন্তু সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। ওকে তখন আমরা বলব যে তোমার খেলনাটা ভেঙে গেছে, তাই তোমার অনেক মন খারাপ হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা সতর্ক থাকব যেন খেলার সময় খেলনাটা না ভেঙে যায়।

* সন্তানের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে সেটা পালন করা উচিত। একই সঙ্গে সন্তানকে ভালো কিছু করার জন্য পুরস্কার দিতে হবে। ধরুন, আপনার সন্তানকে সপ্তাহের শুরুতে বললেন যে তুমি যদি পাঁচ দিন স্কুলে যাও, তাহলে শুক্রবার তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাব। সে যদি ঠিকভাবে পাঁচ দিন স্কুলে যায়, তাহলে অবশ্যই তাকে শুক্রবার ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত। আর সে যদি চার দিন গেল, এক দিন গেল না, তখন কিন্তু তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। যখন সে পাঁচ দিন ঠিকভাবে স্কুলে যাবে, তাহলে আমরা তাকে সপ্তাহ শেষেই পছন্দের কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাব। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর যদি আমরা ঘুরতে না নিই, তাহলে তার মন ভেঙে যাবে। সন্তানকে কোনো কথা দিলে সে কথা রাখতে হবে। এতে সন্তানও শিখবে কথা দিয়ে কথা রাখতে হয়।

* খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলামে আগ্রহী করতে হবে। উৎসাহ দিতে হবে।

* পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

লেখক: সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
Source: https://www.prothomalo.com/life-style/article/1620631/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%9F

3
প্রাকৃতিকভাবেই ক্যান্সার উধাও !

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।

তার মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-
১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।
মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।
চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।

উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।
সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই তথ্যটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
তিনি বলেছেন, “আমি আমার কাজটি করেছি। এখন আপনি শেয়ার করে আপনার কাজটি করুন এবং আশেপাশের মানুষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করুন।”
সূত্র: রেডিট

5
ব্যবসার দারুণ একটা আইডিয়া মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে? বন্ধুবান্ধবসহ অনেকের কাছেই হয়তো আপনার ভাবনার কথা বলেছেন। তারপর একদিন দেখলেন, আপনারই আইডিয়া কাজে লাগিয়ে অন্য কেউ ব্যবসা শুরু করেছে। কেমন হবে অনুভূতি?

মানুষের সৃজনশীল কাজকর্মকে বিশেষ অধিকার দিয়ে নিরাপত্তা বিধানের জন্যই ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস’ (আইপিআর) বা মেধাস্বত্ব অধিকার। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, তবে কি এর মাধ্যমে আপনার আইডিয়াটি নিরাপদভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব?

মেধাস্বত্ব অধিকারের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনার আয়োজক ও অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
মেধাস্বত্ব অধিকারের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনার আয়োজক ও অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
ব্যবসার দারুণ একটা আইডিয়া মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে? বন্ধুবান্ধবসহ অনেকের কাছেই হয়তো আপনার ভাবনার কথা বলেছেন। তারপর একদিন দেখলেন, আপনারই আইডিয়া কাজে লাগিয়ে অন্য কেউ ব্যবসা শুরু করেছে। কেমন হবে অনুভূতি?

মানুষের সৃজনশীল কাজকর্মকে বিশেষ অধিকার দিয়ে নিরাপত্তা বিধানের জন্যই ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস’ (আইপিআর) বা মেধাস্বত্ব অধিকার। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, তবে কি এর মাধ্যমে আপনার আইডিয়াটি নিরাপদভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব?


প্রথমত, কপিরাইটের মাধ্যমে সৃজনশীল কোনো কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়, উদ্ভাবনকে নয়। আবার আপনার নতুন কোনো আবিষ্কারকে সংরক্ষণ করার জন্য কপিরাইট নয় বরং পেটেন্ট দরকার। কপিরাইট কিংবা পেটেন্ট কোনোটির মাধ্যমেই আইডিয়াকে সংরক্ষণ করা যায় না। তবে এর অর্থ মোটেও এই নয় যে আপনার আইডিয়াটি মূল্যবান নয়। কারণ, যেকোনো উদ্ভাবন কিংবা আবিষ্কারের পেছনে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেটি কাজ করে, সেটি হলো আইডিয়া। যেহেতু আইডিয়া একটি অদৃশ্য বিষয় এবং পৃথিবীতে হাজার রকমের মানুষের হাজার রকমের আইডিয়া আছে, তাই এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের আইডিয়াটিকে মূল্যবান হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। আইডিয়ার মাধ্যমেই যেহেতু উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচিত হয়, সে জন্যে উদ্ভাবন কিংবা আবিষ্কারের পর্যায়ে এসে এটির নিরাপত্তা বিধান করতেই হবে।

২৬ এপ্রিল তারিখটি ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি’ দিবস হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে এখনো এই দিবসটি সবার কাছে সমান গুরুত্ব বহন করে না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব আছে। কিন্তু বর্তমানে আইপিআরের বৈশ্বিক বাস্তবতায় আগামী দিনের জন্য বাংলাদেশকে ভাবতে হবে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার এবং বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফবিএস সভাকক্ষে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস: অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রিপারেশন ফর দ্য ইনোভেটরস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউর’ শিরোনামে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারটিতে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত দেশের অন্যতম সেরা গবেষক অধ্যাপক হাসিনা খান। ইলিশের জেনম আবিষ্কার করেও তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি এ ধরনের সময়োপযোগী আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিজ্ঞানের জগতে নতুন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে প্রতিনিয়ত আর তাই এ ক্ষেত্রে পেটেন্ট এবং কপিরাইটের গুরুত্বও বেড়ে চলেছে। বিজ্ঞানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে নতুন নতুন যেসব উদ্ভাবন হচ্ছে সেগুলোর জন্যে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটসের গুরুত্ব তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। ড. হাসিনা খান তাঁর বক্তব্যে নিজের বিভিন্ন গবেষণাকর্ম এবং আর্টিকেলের কথা আলোচনা করেন। আগের ব্যর্থতা থেকে কীভাবে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিনে আরও ভালো করা যায়, তা-ও উঠে আসে তাঁর কথায়।

তা ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মো. গোলাম সারোয়ার তাঁর প্রেজেন্টেশনে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটসের বিভিন্ন দিক স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন। পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক করার নিয়মাবলি থেকে শুরু করে কেন আগামী দিনের নতুন উদ্ভাবকদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত সেটিও তিনি তাঁর আলোচনায় তুলে ধরেন।

ইনোভেশন সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত থেকে তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে তৃতীয় বিশ্বের পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় সমতা নিয়ে কথা বলেন এবং এ ক্ষেত্রে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি বিষয়ে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোর কেন এখনই সচেতন হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (সহকারী সচিব) মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেইন বলেন, বাংলাদেশে এখন তাদের এই অধিদপ্তর অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। সচেতনতার অভাব দূরীকরণে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। আইপিআর সচেতনায় বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের সব অংশীদারের করণীয়ের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক ড. ফারহাত আনোয়ার তাঁর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন স্টার্টআপের মালিকদের অবশ্যই পেটেন্ট এবং কপিরাইট সম্পর্কে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশে অন্যের আইডিয়া কপি কিংবা নকল করার একটা সুযোগ আছে তাই তিনি মনে করেন এ বিষয়ে সবার সচেতনতা এখন সময়ের দাবি। উন্নত দেশগুলোর আইপিআর সংরক্ষণের ফলে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোর কী অবস্থা তৈরি হতে পারে আর সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কী করণীয় সে বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ইনোভেশন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান। সবশেষে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এখন এই বিষয়ে সবার সচেতনতা জরুরি। একজন উদ্ভাবক, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা সবার জন্যই এসব বিষয়ের স্পষ্ট ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’ গবেষণা খাতে বিশেষ অর্জনের জন্য তিনি সেন্টারের পক্ষ থেকে ড. হাসিনা খানের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।

দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে এই সেমিনারে অংশ নেন।

6
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তির ডাক পেয়ে গিয়েছিলেন তওসীফ আহসান। এখন সেখানেই পড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে। ১৭৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কীভাবে সুযোগ পেলেন নটর ডেম কলেজের এই ছাত্র? তওসীফ আহসান লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা, পরামর্শ ও প্রিন্সটনের গল্প।

গত বছর আগস্টের শুরুর দিকে, প্রিন্সটনে প্রথমবারের মতো পা রেখেই একটা লম্বা নিশ্বাস নিলাম। তখনো ঘোর কাটেনি। কখনো ভাবিনি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটিতে পড়ার সুযোগ পাব। আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে রৌপ্যপদক পাওয়ার পর আমাদের কোচ অধ্যাপক আরশাদ মোমেন (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও অলিম্পিয়াডের বড় ভাইয়েরা আবেদন করতে বলেছিলেন, তবে আমি খুব একটা ভরসা পাইনি। সত্যিই যখন সুযোগ পেয়ে গেলাম, বিশ্বাসই হচ্ছিল না! যদিও আনন্দ গিলে ফেলে আমাকে পড়তে বসতে হয়েছিল, কারণ তখন কদিন পরই ছিল এইচএসসি পরীক্ষা।


প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে তওসীফ আহসান। ছবি: সংগৃহীত
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে তওসীফ আহসান। ছবি: সংগৃহীত
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তির ডাক পেয়ে গিয়েছিলেন তওসীফ আহসান। এখন সেখানেই পড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে। ১৭৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কীভাবে সুযোগ পেলেন নটর ডেম কলেজের এই ছাত্র? তওসীফ আহসান লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা, পরামর্শ ও প্রিন্সটনের গল্প।
গত বছর আগস্টের শুরুর দিকে, প্রিন্সটনে প্রথমবারের মতো পা রেখেই একটা লম্বা নিশ্বাস নিলাম। তখনো ঘোর কাটেনি। কখনো ভাবিনি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটিতে পড়ার সুযোগ পাব। আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে রৌপ্যপদক পাওয়ার পর আমাদের কোচ অধ্যাপক আরশাদ মোমেন (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও অলিম্পিয়াডের বড় ভাইয়েরা আবেদন করতে বলেছিলেন, তবে আমি খুব একটা ভরসা পাইনি। সত্যিই যখন সুযোগ পেয়ে গেলাম, বিশ্বাসই হচ্ছিল না! যদিও আনন্দ গিলে ফেলে আমাকে পড়তে বসতে হয়েছিল, কারণ তখন কদিন পরই ছিল এইচএসসি পরীক্ষা।


ছোটবেলায় মা–বাবার হাত ধরে অলিম্পিয়াডগুলোতে অংশ নিতাম। এরপর তাঁদের অনুপ্রেরণায় ও আমার স্কুল উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাবিব স্যারের উৎসাহে অলিম্পিয়াড ও পদার্থবিজ্ঞানের সঙ্গে লেগে থাকা। সেখান থেকে বড় ভাইয়া, আপুদের এমআইটি, প্রিন্সটন, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড ও অন্যান্য খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেখে স্বপ্ন ডানা মেলতে থাকে ধীরে ধীরে। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদক পাওয়ার পর ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে শুরু করি। নটর ডেম কলেজের রেজা স্যার ও জহরলাল স্যারও খুব সহায়তা করেছিলেন

নম্বর নয়, মানুষ
এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি কথা বেশ প্রচলিত—উই অ্যাডমিট পিপল, নট নাম্বারস। অর্থাৎ আমরা মানুষকে ভর্তি করি, নম্বরকে নয়। এই একটি কথা দিয়েই বোঝা যায় প্রিন্সটন বা অন্যান্য ভালো র‌্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পাওয়ার মূলমন্ত্র হলো নিজেকে আর দশজনের চেয়ে আলাদা করার প্রচেষ্টা। প্রথমত, স্যাটে অবশ্যই ভালো করতে হবে। তবে এই একটি পরীক্ষাই যথেষ্ট নয়। এ জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি জীবনের গল্প, জীবনদর্শনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটি একেকজনের একেক রকম। আমার জন্য হয়তো পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ ও স্কুলজীবনে নানা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা কাজে দিয়েছে।

তার মানে এই নয় যে এগুলোই একমাত্র উপায়। ছবি আঁকা, বিতর্ক, গান গাওয়া, স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা, লেখালেখি, গবেষণা—এগুলোর মাধ্যমেও অন্য রকম হওয়া সম্ভব। পুরো বাছাইপ্রক্রিয়াটি চারটি দিক থেকে বিবেচনা করা হয়। ১. সহশিক্ষা কার্যক্রম ২. স্যাট বা এসএটি ৩. নিজের জীবন বা জীবনদর্শন নিয়ে বেশ কিছু লেখালেখি এবং ৪. স্কুল-কলেজ বা গবেষণার সহযোগী অধ্যাপক বা কোচ, এমন কারও দেওয়া প্রশংসাপত্র।

একাধিক সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে কিছুদিন যুক্ত থেকে ছেড়ে দিলে হবে না, বরং যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। সেটি গবেষণাপত্র বা অলিম্পিয়াড—যা-ই হোক না কেন। এখানে মূলত যে বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তা হলো লেগে থাকার ইচ্ছা (আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে—কোনো সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তার পেছনে লেগে থাকার অভ্যাস সম্ভবত অলিম্পিয়াড থেকেই পেয়েছি)। এইচওয়াইপিএস (হার্ভার্ড, ইয়েল, প্রিন্সটনও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি) অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ও এমআইটিতে বেশ ভালো পরিমাণে আর্থিক সহায়তা (ফিন্যান্সিয়াল এইড) দেওয়া হয়। কাজেই বৃত্তি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

নতুন সংস্কৃতি
প্রিন্সটনে পা রেখে একটু ভড়কে গিয়েছিলাম। নানা দেশ থেকে কত মানুষ যে এখানে এসেছে! নিজের দেশের কথা মনে পড়ে কেমন একটা খালি খালি অনুভূতি হতো। তার ওপর নিজেকে প্রমাণ করার একটা চাপ কাজ করা শুরু করল, যা আগে আমার মধ্যে ছিল না। এই চাপ একেবারেই ভালো লাগত না।

এখানে একসময় আইনস্টাইন, ফাইনম্যান, জন ভন নিউমান, টেরেঞ্চে টাওয়ের মতো নামকরা অধ্যাপক, বিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। এডওয়ার্ড উইটেন, বাঙালি অধ্যাপক জাহিদ হাসানের (ভাইল ফারমিয়ন কণা শনাক্ত করে পদার্থবিজ্ঞানীদের মহলে বেশ আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তিনি) মতো মানুষেরা এখানে ছিলেন। কেমন একটা ভয় হচ্ছিল, এ রকম নতুন পরিবেশে দেশ ছেড়ে এত দূরে সব একা মানিয়ে নিতে পারব তো? এত মানুষের ভিড়ে একটা অচেনা মুখ হয়ে হারিয়ে যাব না তো?

শেষ পর্যন্ত ‘হারিয়ে গিয়েছি, এটাই জরুরি খবর’ হয়নি প্রিন্সটনের পরিবেশের কারণে। নানা দেশ ও জাতির মানুষ মিলে এখানে এত অদ্ভুত একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে, এখানে না থাকলে বুঝিয়ে বলা মুশকিল। সবাই অন্যের সংস্কৃতি, অন্যদের সাহিত্য নিয়ে জানতে খুব আগ্রহী! গ্রেগ নামের এক ছেলের মধ্যে আমি আমাদের কবি জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে যে পরিমাণ উৎসাহ, আগ্রহ দেখেছি, সেটা আমাদের দেশের মানুষের মধ্যেও বিরল! এভাবেই প্রিন্সটনের সংস্কৃতি আমাকে আপন করে নিয়েছে দ্রুত।

এখানে যেকোনো বিষয়ে, যাকে ইচ্ছা প্রশ্ন করা যায়। কোনো মানুষ বা ধারণাই প্রশ্নের বাইরে নয়! ওরিয়েন্টেশন উৎসবের মধ্য দিয়ে সবগুলো সংস্কৃতির মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল শুরুতেই। এখানকার আরেকটা বিচিত্র নিয়ম হলো: আউটডোর অ্যাকশন ও কমিউনিটি সার্ভিস। এখানে শিক্ষার্থীদের ১০ জনের একেকটি দলে ভাগ করে রোমাঞ্চকর কোনো অভিযানে পাঠানো হয়। দলের প্রত্যেকেই একে অপরের অচেনা। পুরো অভিজ্ঞতাটি অসাধারণ! দলের মধ্যে কেউ দার্শনিক, কেউ কিছুটা বামপন্থী, কেউ কেউ বা পিয়ানো নিয়ে পড়ে থাকে সারা দিন! এ রকম নানা ধরনের মানুষের মধ্যে নিজেকে আর একা লাগেনি!

বাঙালিরা আছে
এ বছর আমি ও রাহুল সাহা (আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জপদকজয়ী) বাংলাদেশি হিসেবে যোগ দিয়েছি প্রিন্সটনে। এ ছাড়া অলিম্পিয়াডের সুবাদে এখানকার অনেক বাঙালির (আযমাইন ঈক্তিদার, দেবপ্রিয় বিশ্বাস) সঙ্গে আগে থেকেই বেশ ভালো পরিচয় ছিল। ভারতীয় বাঙালি, প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গেও পরিচয় হয়েছে, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে তা হলো এখানকার বাঙালি কমিউনিটির বাঙালি উৎসব। একুশে ফেব্রুয়ারিতে কিংবা পয়লা বৈশাখে মনেই হয়নি আমরা বাংলাদেশে নেই। দেবপ্রিয় বিশ্বাস ভাই, ফাইরুয আপুদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো! প্রিন্সটন বেঙ্গল টাইগার্সের (প্রিন্সটনের বাঙালি সংগঠন) কার্যক্রম বেশ প্রশংসনীয়। সব মিলিয়ে আমরা বাঙালিরা এখানে একটি বড় পরিবারের মতো।

প্রিন্সটনে পড়ালেখার পদ্ধতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই অন্য রকম। যেটির কথা আলাদাভাবে বলতে হয় তা হলো অধ্যাপকদের আন্তরিকতা। নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপকেরাও ছাত্রদের সময় দেওয়ার ব্যাপারে খুব আগ্রহী! এ জন্য গবেষণা করার সুযোগ বেশ সহজ এখানে। আরেকটি ব্যাপার বাংলাদেশের থেকে আলাদা, তা হলো কোর্সের পূর্ণ স্বাধীনতা। প্রথম বর্ষের ছাত্র হয়েও মূল বিষয়ের (মেজর) বাইরের কোর্স কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের কোর্সের অন্যান্য কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। মেজর ঘোষণা করার আগে ২ বছর পাচ্ছি নিশ্চিত হওয়ার জন্য। আর এখানে পড়ালেখার সংস্কৃতিটা খুব বেশি সমস্যা-সমাধানকেন্দ্রিক (যা কিছুটা অলিম্পিয়াডের মতো)। সবাই মিলে দল বেঁধে প্রায় অসম্ভব একটা সমস্যা সমাধান করার আনন্দটা অন্য রকম। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে সবার সঙ্গে যখন গল্প জমে ওঠে, মনে হয় অলিম্পিয়াডের সময়টাতে ফিরে গেছি।

একদিন কোয়ান্টাম মেকানিকস ২০৮–এর স্পিন নিয়ে সমস্যা সমাধান করার সময় বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান নিয়ে কথা শুরু হলো। মহাবিশ্বের অর্ধেক কণা (বোসন) যে সত্যেন বোসের নামে, কথায় কথায় উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। বোস যে বাঙালি ছিলেন এবং আমাদের দেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে এই যুগান্তকারী কাজটি সমাপ্ত করেছিলেন, এ কথাটি ঢাকা থেকে ৮ হাজার মাইল দূরে বসে বলতে গিয়ে হঠাৎ একটা বিষয় অনুভব করলাম। পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালির অবদান তো কম নয়!

Source: https://www.prothomalo.com/education/article/1594698/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%93

7
শীর্ষকাগজ ডেস্ক: স্মার্টফোন, ট্যাব, কম্পিউটার বা অন্য কোন ভিভাইসের স্ক্রীনে আপনি দীর্ঘ সময় কাটালে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে?

একটানা দীর্ঘ সময় কোন ডিভাইসের স্ক্রীনে সময় কাটানো যে ক্ষতিকর, এতদিন মোটামুটি এটাই ছিল গ্রহণযোগ্য মত। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, বেশি সময় স্ক্রীনে চোখ রাখলে যে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এমন কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট টিনএজারদের ওপর দীর্ঘসময় স্ক্রীনে কাটানোর প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি চালায়। বিশেষ করে তরুণরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে লম্বা সময় ধরে কোন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে তার কী প্রভাব তাদের সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে, সেটাই তারা দেখেছে।

গবেষকদের একজন অ্যামি ওরবেন বিবিসিকে বলেন, "ঘুমানোর আগে আধঘন্টা, এক ঘন্টা বা দুঘন্টা ধরে কেউ স্ক্রীনে চোখ রাখলে সেটা যে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কোন প্রভাব ফেলে এমন কিছু আমরা পাইনি।"

যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ হাজারের বেশি টিনএজারের তথ্য সংগ্রহ করা হয় এই গবেষণার জন্য।

অ্যামি ওরবান বলেন, এই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় জরিপে অংশগ্রহনকারীরা যে তথ্য তাদের দিয়েছেন, শুধু সেটার ওপর তারা নির্ভর করেন নি।

"কারণ মানুষ আসলে কতটা সময় স্ক্রীনে কাটায়, সেটা তারা নিজেরাই ঠিকমত অনুমান করতে পারে না।"

মানুষ কতক্ষণ ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, সে ব্যাপারে আগের গবেষণাগুলোতে নিজেরা যে আনুমানিক তথ্য দিয়েছিল, তার সাথে তাদের ফোন ট্র্যাক করে পাওয়া তথ্যের অনেক পার্থক্য ছিল।

তবে সমালোচকরা অক্সফোর্ডর নতুন গবেষণা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। এই গবেষণায় ব্যবহৃত কিছু তথ্য অনেক পুরনো, ২০১১ সালের। কিন্তু গত আট বছরে কিশোর-কিশোরীদের স্ক্রীনটাইম ব্যবহার অনেক বদলে গেছে। এখন তারা অনেক বেশি সময় স্ক্রীনে কাটায়।

কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে এমন সব জিনিস দেখছে, যা তাদেরকে ক্ষুধামান্দ্য বা আত্ম-ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে উদ্বেগ আছে অভিভাবকদের মধ্যে। এমন ঘটনার কথা প্রচুর শোনা যায়।

তবে অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে কে কতটা সময় স্ক্রীনে কাটাচ্ছে তার সর্ম্পক আসলে খুব কম।

অ্যামি অরবেন বলছেন, "এর মানে এই নয় যে ক্ষতিকর বা উপকারী কোন ডিজিটাল প্রযুক্তি নেই। আমরা যা বলতে চাইছি, তা হলো, এক্ষেত্রে আরও গবেষণার দরকার আছে।"

তবে গবেষণার ফল যাই হোক, ইন্টারনেটের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের ওপর চাপ দিনে দিনে বাড়ছে।
শীর্ষকাগজ/এসএসআই

Source:http://www.sheershakagoj24.com/ICT/details/59865/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0?

8
একটি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন বিভাগ-প্রধানের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও’র সফলতা। সিইও সফল হলে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেশি হয়। খুশি হন শেয়ারহোল্ডাররা। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সিইও’র সুনাম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), কোম্পানি সচিব, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, চিফ মার্কেটিং অফিসারসহ এইচআর প্রধানরা থাকেন পাদপ্রদীপের আড়ালে। টপ ম্যানেজমেন্টের বড় অংশ হলেও তারা আলোচনার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। অন্তর্মুখী এসব কর্মকর্তা সব সময় কেবল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন। সেসব কর্মকর্তাকে নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘টপ ম্যানেজমেন্ট’। শেয়ার বিজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এবার এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান (সিনিয়র জিএম) মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. হাসানুজ্জামান পিয়াস

মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান (সিনিয়র জিএম)। স্নাতক শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পরে সম্পন্ন করেছেন মানবসম্পদের ওপর এমবিএ, স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা, এলএলবি, ডিপ্লোমা ইন সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স, চার্টার্ড হিউম্যান রিসোর্স প্রফেশনাল ডিগ্রিসহ বেশ কিছু পেশাগত কোর্স। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচআরএম) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর ও সম্মানিত ফেলো

শেয়ার বিজ: ক্যারিয়ারের গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই…

মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন: মেরিন ফিশারিজ একাডেমি থেকে দুই বছর অফিসার ক্যাডেটশিপ ট্রেনিংসহ মেরিটাইম গ্র্যাজুয়েশন শেষে গভীর সমুদ্রগামী জাহাজে আট বছরের অধিক সময় সফল ক্যারিয়ারে তিন বছর চার মাস স্কিপার (ক্যাপ্টেন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। গভীর সমুদ্রে দায়িত্বরত অবস্থায় করপোরেট লাইফের স্বপ্ন দেখতাম। প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মানবসম্পদ বিষয়ে এমবিএ করি। এরপর বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে করপোরেট লাইফের যাত্রা। ২০১১ সালে আরএকে পেইন্টস লিমিটেডের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দিই। পাঁচ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সাল থেকে এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর, অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। চাকরির পাশাপাশি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা, এলএলবি, ডিপ্লোমা ইন সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স, চার্টার্ড হিউম্যান রিসোর্স প্রফেশনাল ডিগ্রি নিই। এছাড়া স্কলারশিপের মাধ্যমে জাপানের ওসাকা থেকে লিডারশিপ ও টিমওয়ার্কের ওপর ‘সলভিং হিউম্যান অ্যান্ড অরগানাইজেশনাল প্রবলেম’ নামে একটি কোর্স করি। পিএইচডি করার লক্ষ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এমফিল করছি। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান যোগ্যতা ও অবদানের জন্য ২০১৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কনগ্রেস’ মুম্বাই থেকে ‘হান্ড্রেড মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল গ্লোবাল এইচআর প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হই। চাকরির পাশাপাশি গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পিয়ার রিভিউ জার্নালে আমার ১০টি রিসার্চ আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপ থেকে সার্টিফিকেট অব ফেলোশিপ অর্জন করি। সাংগঠনিক মানসিকতা ও পেশাগত নেটওয়ার্কিংয়ের বদৌলতে বাংলাদেশ অরগানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বোল্ড) ফেলো, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের (বিএসটিকিউএম) লাইফ মেম্বার, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর অ্যাপারেল হিউম্যান রিসোর্স প্রফেশনালসের মেম্বার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অরগানাইজেশনের (এফবিএইচআরও) কার্যকরী কমিটি মেম্বার ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (বিএসএইচআরএম) সম্মানিত ফেলো ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর
হিসেবে দায়িত্বরত।

শেয়ার বিজ: পেশা হিসেবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে কেন বেছে নিয়েছেন?

মোরাদ হোসেন: আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই মেরিনের চাকরি বলতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংকেই বোঝেন। আসলে জাহাজে প্রধানত দুটি ডিপার্টমেন্ট থাকে-নটিক্যাল (নেভিগেশন) ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং। জাহাজের মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও রেফ্রিজারেশন ঠিক রাখা যেমন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব, তেমনি জাহাজ চালনার পাশাপাশি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন, প্রশাসন, সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করতে হয় নেভিগেটিং অফিসারকে। একজন নেভিগেটর হিসেবে কাজের ধরন অনুযায়ী আমার জন্য মানবসম্পদ বিভাগকেই বেছে নেওয়া যুক্তিসংগত ছিল। তাছাড়া মানুষের ভালোমন্দ দেখভালের দায়িত্বটাকে অনেক পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি বলে মানবসম্পদকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।

শেয়ার বিজ: প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দক্ষ এইচআরের ভূমিকা ও গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু বলুন…

মোরাদ হোসেন: প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মানবসম্পদ বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক কর্মীদের প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও প্রেষণাকে গুরুত্ব দেন। ফলে কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকেন, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বেড়ে যায়, যা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।

শেয়ার বিজ: বাংলাদেশে এইচআর প্রাকটিস সম্পর্কে কিছু বলুন।

মোরাদ হোসেন: বর্তমানে আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা অন্যান্য বিভাগ যেমন বিক্রয় ও বিপণন, হিসাববিভাগ, সাপ্লাই চেইন এর মতো সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যা গত দশ বছর আগেও কল্পনা করা যেত না। বর্তমানে মালিকদের মনোভাবের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং হচ্ছে। বহি:বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও মানবসম্পদ বিভাগকে কোম্পানির স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং প্রফেশনাল সোসাইটি যেমন: বিএসএইচআরএম, বিসার্প, বোল্ড প্রভৃতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শেয়ার বিজ: পেশা হিসেবে এইচআর ম্যানেজারকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

মোরাদ হোসেন: পেশা হিসেবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা অনেক এগিয়ে গেছে। শিল্পায়নের প্রসার ও দেশের উন্নয়নের সঙ্গে এ পেশার ভূমিকা আরও বাড়বে। বর্তমানের প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক, ছোট কিংবা বড় সব প্রতিষ্ঠানই প্রায় একই ধরনের মেশিন, টেকনোলজি, ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে। তাই যে সব প্রতিষ্ঠান যত বেশি দক্ষতার সঙ্গে উক্ত সম্পদসমূহের সুষ্ঠু ব্যবহার করে দ্রুততম সময় ও স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পারে তারাই সফলতার সঙ্গে বাজারে টিকে থাকে। বাজারে টিকে থাকা বা বের হয়ে যাওয়া দুটি ক্ষেত্রেই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও তার যথাযথ সংরক্ষণের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানে এইচআর ম্যানেজারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শেয়ার বিজ: প্রতিষ্ঠানে একজন এইচআরের জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয় কী?
মোরাদ হোসেন: নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হয়। তবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মালিক ও শ্রমিক উভয়ের স্বার্থের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে একটা সুন্দর সেতুবন্ধন তৈরি করা।

শেয়ার বিজ: যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের উদ্দেশে কিছু বলুন…

মোরাদ হোসেন: মানবসম্পদ বিভাগে তরুণ-তরুণীদের স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, নিজেকে যোগ্যতার দিক থেকে একটু ভিন্নভাবে গড়ে তুলতে হবে। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু পেশাগত ডিগ্রি বা কোর্স করে নিলে গতানুগতিক শিক্ষার্থীদের থেকে নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায়। এতে জব মার্কেটে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে। সব সময় লার্নিং অভ্যাসের মধ্যে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছাত্রজীবন থেকেই শুরু করা যেতে পারে। প্রতি শুক্রবার অবসরে নষ্ট না করে কিছু ট্রেনিং বা পেশাগত উন্নয়নের কোর্স করা যেতে পারে। তেমনি চাকরিতে প্রবেশের পরও পেশাগত কোর্স ও ট্রেনিং করে নিজের সমসাময়িক জ্ঞান বাড়াতে হবে। এতে হারানোর কিছু নেই, বরং উপকারই হবে। এছাড়া সেলফ ডিসিপ্লিন অত্যন্ত জরুরি। সফল হওয়ার আগে সৎ মানুষ হওয়া জরুরি। কারণ সততা মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যা তাকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

Source: http://sharebiz.net/সফল-হওয়ার-আগে-সৎ-মানুষ-হও/

9
নিজের শ্রম, মেধা আর অধ্যবসায়ের কারণে অনেকেই জীবনে সফল হয়েছেন। অনেক না পাওয়ার যন্ত্রণা ভুলে সামান্য সুযোগটুকু কাজে লাগিয়ে উঠে এসেছেন সেরাদের কাতারে। বর্তমানে প্রযুক্তি বিশ্বের পরিচিত মুখ ক্লাউডভিত্তিক সফটওয়্যার স্ল্যাকের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ড তেমনই একজন।

পাঁচ হাজার কোটি টাকা মূল্যের স্ল্যাক ছাড়াও বিশ্বের জনপ্রিয় ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট ফ্লিকার এসেছিল স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ডের হাত ধরেই। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টুয়ার্টের শৈশব কেটেছে আর দশটা সাধারণ শিশুর মতোই। সেখানে ছিল না বিদ্যুতের উজ্জ্বল আলোর রোশনাই, স্বাভাবিক পানির নিশ্চয়তা। জন্মের পরপরই তাঁর বাবা ভিয়েতনামের যুদ্ধে যেতে চাননি বলে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। এ সময় কানাডার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাটে স্টুয়ার্টের জীবন। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি বনের মধ্যে কাঠের কেবিনে শৈশব কেটেছে তাঁর। সেখানে দীর্ঘ তিন বছর পানি ও বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে স্টুয়ার্ট বলেন, তাঁর মা-বাবা হিপ্পি ছিলেন। জন্মের পর নাম রেখেছিলেন ‘ধর্মা’। সে সময় দেশ ছাড়তে চাইছিলেন তাঁরা। তবে দেশ ছাড়তে হলে তাঁদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হতো। তাই তাঁরা শহরের দিকে চলে আসেন।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রাজধানী ভিক্টোরিয়ায় বসবাস শুরু করেন তাঁরা। সেখানে সাত বছর বয়সে কম্পিউটার প্রথম দেখেন স্টুয়ার্ট। ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামের কাজ শিখে ফেলেন। অ্যাপলের তৈরি প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার দিয়েই হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর।

ব্যবসার কাজের উপযোগী মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন স্ল্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ডের বর্তমান ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এত টাকার মালিক হয়েও খুব মিতব্যয়ী জীবনযাপন করেন স্টুয়ার্ট।

স্টুয়ার্ট বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, বেশি খরচ করতে গেলে আমার কাছে অপরাধী মনে হয়। কানাডীয় হয়ে বাড়তি জাঁকজমকপূর্ণ জীবন আমার কাছে অদ্ভুত ও অপরিচিত মনে হয়।’

নিজের বড় সাফল্যগুলোকে ভাগ্য বলে মনে করেন স্টুয়ার্ট।

স্টুয়ার্ট বলেন, ‘১৯৮০ সালের দিকে আমার বয়স সাতের মতো ছিল। তখন অ্যাপল টু বা (আইআইই) নামের কম্পিউটার কেনেন আমার মা-বাবা। ওই সময় কম্পিউটার ম্যাগাজিন পড়ে আমি কোড করা শিখে ফেলি।’

১২ বছর বয়সে নাম পরিবর্তন হয় স্টুয়ার্টের। ১২ বছর বয়সেই বেসিক কম্পিউটার গেম তৈরি করা শিখে যান তিনি।

তবে হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পরেই কম্পিউটারের প্রতি আকর্ষণ হারান স্টুয়ার্ট। ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কম্পিউটার থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেন। পরে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৯৭ সালের দিকে দর্শন শাস্ত্রে অধ্যাপক হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময়ে ইন্টারনেট জনপ্রিয় হতে শুরু করে।

স্টুয়ার্ট জানান, ওই সময় যাঁরা ওয়েবসাইট তৈরি করতে জানতেন, সবাই সানফ্রান্সিসকোতে ছুটছিলেন। অধ্যাপকেরা যা আয় করেন, ওই সময় বন্ধুরা তার চেয়ে দ্বিগুণ-তিন গুণ আয় করছিলেন। এটা ছিল নতুন আর রোমাঞ্চকর।

তখন স্টুয়ার্ট নিজেও অধ্যাপনার আশা ছেড়ে সিলিকন ভ্যালিতে জায়গা করে নেওয়ার চিন্তা করেন।

কয়েক বছর সিলিকন ভ্যালিতে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন এবং ২০০২ সালে স্ত্রী ক্যাটরিনা ফেইককে সঙ্গে নিয়ে একটি অনলাইন গেম উন্মুক্ত করেন। গেমটির নাম ছিল ‘গেম নেভারএন্ডিং’। তবে গেমটি জনপ্রিয় হয়নি। তখন তাঁদের দুজনের কাছে জমা করা টাকা শেষ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা অন্য কিছু করার চিন্তা করেন। স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই চালু করেন ছবি শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লিকার’।

স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ড বলেন, সময়টা একেবারে সঠিক ছিল। প্রথম প্রথম ক্যামেরা ফোন বাজারে আসছিল। অনেক বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত হচ্ছিল। তাঁদের তৈরি সেবাটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।

২০০৪ সালে তাঁর তৈরি ফ্লিকার নামের অ্যাপ্লিকেশনটি ছিল প্রথম ওয়েবসাইট, যাতে মানুষকে ছবি আপলোড, শেয়ার, ট্যাগ ও মন্তব্য করার সুযোগ পায় মানুষ। মাত্র এক বছর পরেই ওই সময়ের ইন্টারনেট দুনিয়ায় রাজত্ব করা ইয়াহুর কাছে মাত্র আড়াই কোটি মার্কিন ডলারে ফ্লিকার বিক্রি করে দেন তাঁরা। পরে অবশ্য স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ড আফসোস করে বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আরও কিছুদিন দেরি করলে ফ্লিকারকে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারতেন।

তবে স্টুয়ার্ট ফ্লিকার তৈরি করেই বসে থাকেননি। এরপর হাত দেন ফ্লিকারের থেকে বড় কিছু করার কাজে। তাঁর নতুন প্রচেষ্টার ফসল আজকের স্ল্যাক। গ্রুপ হিসেবে সহকর্মীদের মধ্যে সহজে যোগাযোগ করার সুবিধা দেয় এটি।

তবে স্ল্যাক তৈরির আগে আরও কিছু উদ্যোগ নেন স্টুয়ার্ট। ২০০৯ সালে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে একটি অনলাইন গেম তৈরির চেষ্টা করেন। তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

স্টুয়ার্ট বলেন, ‘গেম তৈরির সময়ে আমরা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলাম। এটা আমাদের খুব পছন্দ ছিল। এটা যে কত কাজের, তা শুরুতে ভাবতে পারিনি। এটা নিজেদের মধ্যে কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তবে কয়েক বছর পরেই আমরা ভাবতে শুরু করি, এটি অন্যদেরও ভালো লাগবে। এ ভাবনা থেকেই জন্ম হয় স্ল্যাকের।’

বর্তমানে দৈনিক ৮০ লাখ মানুষ স্ল্যাক ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ৩০ লাখ ব্যবহারকারী উন্নত ফিচারের জন্য অর্থ খরচ করে। স্ল্যাকের ৭০ হাজারের বেশি করপোরেট গ্রাহক রয়েছে। আইবিএম, স্যামসাং, টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এটি ব্যবহার করেন। কয়েক রাউন্ডের বিনিয়োগ গ্রহণ করে স্ল্যাকের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার (৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি।

ব্রাইট লি নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ক্রিস গ্রিন বলেন, ‘একজন উদ্যোক্তার ব্যর্থ প্রকল্পের মধ্যে থেকে সফল কোনো কিছু সৃষ্টি করার দৃষ্টান্ত বিরল। সেটা দুবার করার ঘটনা তো প্রায় শোনাই যায় না। কিন্তু স্টুয়ার্টের ক্যারিয়ার দেখলে বোঝা যাবে, এটা শুধু ভাগ্যের জেরেই হয়নি। তিনি পেছনে থেকে উদ্ভাবনের কাজ করছেন। বিশৃঙ্খলার ভেতর থেকে নানা উপায় খুঁজে বের করে যাচ্ছেন। এভাবেই স্ল্যাক ও ফ্লিকারকে সামনে এনেছেন তিনি।’

স্ল্যাকের অবশ্য এখন প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয়েছে। স্ল্যাকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এ ধরনের একটি সেবা অফিস ৩৬৫ প্যাকেজ বিনা মূল্যে দিচ্ছে মাইক্রোসফট। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান জুম স্ল্যাকের মতো খরচেই অনেক উন্নত সেবার ঘোষণা দিয়েছে।

বিশ্লেষক গ্রিন বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্ল্যাকের প্রতিযোগিতা বাড়ছে। তাই স্ল্যাককে তাদের নতুনত্ব ধরে রাখতে হবে।

ফ্লিকারের মতো স্ল্যাককেও কি বিক্রি করে দেবেন স্টুয়ার্ট? তিনি বলেন, স্ল্যাক ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। এ পর্যন্ত আসতে তাঁকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ভাগ্য সহায় ছিল।

স্টুয়ার্ট বলেন, ‘আমি এতটা ভালো নই যে একই সফলতা আবার আনতে পারব। তাই স্ল্যাক নিয়ে কত দূর যেতে পারি, সেটাই দেখতে চাই। এখন এটাই দেখার সময়।’

Source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1517586/বিদ্যুৎ-ছাড়াই-কেটেছে-স্ল্যাকের-প্রধান-নির্বাহী

10
Common Forum / Your Job Should Make You A Better Person. Does It?
« on: June 23, 2018, 11:07:30 AM »
It used to be that work was a place to show up, do your job, get paid and go home. People didn’t expect their employer to invest in them or help them become better people. Times have changed.

Today’s employees have very different expectations of their boss and their company than previous generations. They’re looking for meaningful work that they can feel personally connected to, work that helps them tap into and fulfill their own inner purpose.

You’re probably aware of the growing volume of studies that speak to this trend. And as a leader, you might be looking for more ways to invest in your people to help unleash their intrinsic inspiration. After all, it’s not just good for the employee; it’s good for the organization. As Bain & Company’s Eric Garton points out, “An inspired employee is more than twice as productive as a satisfied employee and more than three times as productive as a dissatisfied employee.” He goes on to explain the unexpected conclusions of their research, conducted in conjunction with the Economist Intelligence Unit: “From a purely quantitative perspective…it would take two and a quarter satisfied employees to generate the same output as one inspired employee.”

But here’s the thing about leadership. Sometimes we get so wrapped up in thinking about how to inspire and engage others in meaningful work, we overlook one very important player in this scenario: ourselves.

In fact, for leaders specifically, it’s easy to shift into auto-pilot and focus on meeting those demands and goals that are always in front of us — from the organization, customers, investors — while endlessly putting off the investment in our own continual learning and growth.

But ask yourself: Can you truly inspire others and help them find meaning in the work when you don’t adopt the mindset and practices yourself? Can you effectively lead an innovative, successful organization through today’s twists and turns without evolving your skillset and stoking the inner passion that motivates you to keep going, even when things get tough?

Dan Pontefract, author of The Purpose Effect: Building Meaning in Yourself, Your Role and Your Organization, has said that we should never consider ourselves “done” when it comes to the search for purpose at work. It’s a lesson for our employees, but also for us as leaders. In a world that’s experiencing constant change and disruption, you have to continually find ways to slow down, reflect and re-engage your strengths and passions.

How Inspired Leaders Lead by Example

Brian, a VP in a mid-sized financial firm, was a hard-driving leader who led mostly via a command and control. He micro-managed his team members — which made them feel like he didn’t trust them — and was slow to make decisions, needing all the facts lined up first. His leadership style made it clear that he didn’t really value collaboration or diversity.

Fortunately, his CEO saw the potential in Brian and encouraged him to make changes. Here’s what he did:

1. He slowed down. Brian implemented a few daily rituals that took less than fifteen minutes but allowed him to pause and reflect before acting or, worse, reacting. One practice you might try: Keep a journal. It can help boost your intentionality.

2. He got real about his leadership approach and impact. Increased self-awareness is often the catalyst for change. Once he recognized that his own unconscious motivations and fears were shutting others down and making them feel discouraged and demotivated, he saw the opportunity cost in that behavior. With those insights, he started working with a coach who helped him change his practices and engage differently with his team.

3. He reconnected with higher purpose work. Because Brian didn’t have to be down in the weeds managing every detail anymore, he was freed up to do more personally fulfilling and impactful leadership work. The big picture stuff.

4. He made it part of the culture. Inspired by his own results, Brian made important changes to the one-on-one meetings he held weekly with his team members. This helped to develop a culture that promotes self-reflection and personal growth. The structure of his one-to-one meetings goes like this:

a. Check-in – Brian asks, “How are you? What’s happening in your life that you would like to share?” And he really listens.

b. Accomplishments – He asks, “What accomplishments are you proud of for yourself or your team?”

c. Project Progress – He invites each team member to share a list of their current projects, with one or two sentences describing the progress of each.

d. Roadblocks – Brian wants to hear about any roadblocks that are keeping projects from progressing.

e. To do – He wants to know what the high-level to-do list is for each of his team members over the next week or two.

f. Areas to Develop – Brian asks his team members to identify areas of personal and professional development needed.

g. Goal tracking and Action Plans – Together, they review monthly, quarterly or yearly goals and action plans.

h. How can I help? Lastly, Brian asks, “What do I need to do to support you? What should I stop doing that may be getting in the way?”

You spend roughly one-third of your life at work. This is no small investment of time and energy in the context of a life. The question is, are you a better person because of it?

Remember: Your career capital is you — it’s what you have to bring to the table. The ROI on investing in growing yourself and finding meaning in your work will reveal itself over and over again as you continue your journey, both professionally and personally.

Dede Henley helps leaders and organizations create more equitable and productive workplaces. Learn more at www.henleyleadership.com.

11
ইসলাম ধর্ম পাঁচটি ভিত্তির উপর স্থাপিত।এ গুলোর মধ্যে ‘যাকাত’ অন্যতম ভিত্তি।এ সর্ম্পকে আল্লাহ তা’লা ইরশাদ করেন অর্থ্যাৎ “এবং তোমরা আল্লাাহ তা’লার সন্তুষ্টির জন্য যাকাত আদায় করো। অত:পর তিনি উহা দ্বিগুন করে দিবেন। (সুরা: আর-রুম,আয়াত:৩৯)। যাকাত আদায়ের ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন,“নিশ্চয় আল্লাহ পাক যাকাত দেয়া ফরয করেছেন যেন তোমাদের অবশিষ্ঠ সম্পদকে নির্দোশ বা নির্বিঘ্ন করে দিতে পারেন’। (আবু দাউদ শরীফ)।
যাকাত কাকে বলে: যাকাতের আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছনতা। যাকাত যেহেতু অর্থসম্পদকে পুঁজিবাদের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করে, মানুষের মন-মস্তিস্ককে গর্ব-অহংকার, লোভ-লালসা ও কৃপনতার মলিনতা তেকে পরিচ্ছন্নতা রাখে। এবং নিজের উপার্জিত সম্পদে সমাজের অবহেলিত শ্রেণীর দাবী-দাওয়া পূরনে উৎসাহ যোগায় এজন্য ইসলামের এই তৃতীয় স্তম্ভে নামকরণ হয় যাকাত। শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমান সম্পদ মুসলমান গরীবকে আল্লাহর ওয়াস্থে পুরোপুরি মালিক বানিয়ে দেয়াকে যাকাত বলে।

ধনি সম্পদশালী ব্যাক্তিরা মনে করেন যে যাকাতের দ্বারা সম্পদ কমে যায় তা নিছক ভুল ধারণা। কেননা আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে পাকে ওয়াদা করেছেন যে,“যাকাত আদায়ের ফলে তিনি তার প্রিয় বান্দাদের সম্পদ দ্বিগুন করে দিবেন”।

যাকাত অস্বীকারকারীর হুকুম: যাকাত ইসলামের অন্যতম খুঁটি। ক্বোরআন-হাদিসে যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে বারবার তাগিদ করা হয়েছে। ক্বোরআন-হাদিসের অকাট্য প্রমানাদি দ্বারা যাকাতের বিধান প্রনোদিত হয়েছে। তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ কারো নেই। যাকাত অস্বীকারকারীকে শরিয়ত কাফির বলে আখ্যা দিয়েছে। কেননা ফরযের বিধান অস্বীকার করা কুফুরির অর্ন্তভুক্ত। যে তা আদায় না করবে সে ফাসিক এবং ক্বাতল হওয়ার যোগ্য। আর যে আদায় করতে বিলম্ব করবে সে গুনাহগার তার সাক্ষি গ্রহণযোগ্য নয়। (আলমগীরি: তরিকুল ইসলাম বাংলা ২য় খন্ড,পৃ.২৬৫)

যাকাতের হিসাব যে মাস থেকে: যাকাত আরবি (চন্দ্র মাসের) হিসাবানুযায়ী আদায় করতে হবে। বছরের যে কোন মাসে যাকাত আদায় করলে হয়। তবে আদায় করার সময় নিয়ত করা শর্ত।

যাকাত যেভাবে আদায় করবে: পাঠকগনের সুবিদার জন্য সরল-সরল ও সাবলিল ভাষায় যাকাতের হিসাব দশ টাকা থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাকাত কত টাকা আসবে। নিম্নে টাকা-পয়সার হিসাব বিস্তারিত প্রদত্ত করা হল। এ দিকে লক্ষ্য রেখে আদায় করলে কোন অসুবিদা হবেনা বলে আমি আশাবাদী।
আনুগ্রহ করে আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের আশা নিয়ে দোযখের আযাবের ভয় অন্তরে রেখে সময়মত যাকাত আদায় করুন।
যাকাতের হিসাব নিম্নরূপ:

বি.দ্র: উপরোক্ত যাকাতের হিসাবানুযায়ী আপনার নিকট যত লক্ষ টাকা, যত হাজার টাকা, যত শত টাকা বা যত টাকা-পয়সা থাকবে আপনি এর যাকাত বের করতে হিমশিম খেতে হবেনা।

মুসলমান ভাই-বোনেরা! কৃপনতা করবেন না। সম্পদ আপনার একা নয়। কৃপন ব্যাক্তি আল্লাহ তা’লার শত্র“। দানশীল ব্যাক্তি আল্লাহর প্রিয়পাত্র।
ব্যবসায়ী মালের যাকাতের মাসআলা: ব্যবসার মাল যদি নেসাব পরিমাণ হয় অর্থ্যাৎ সাড়ে সাত তোলা সোনা ও বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রোপা অথবা সমপরিমাণ নগদ অর্থ হয় তবে সে মালের উপর যাকাত ফরয। শতকরা আড়াই টাকা হিসাবে যাকাত আদায় করতে হবে।

যাকাত সংক্রান্ত মাসআলা: সোনা হোক বা রূপা, সবধরনের ব্যবসায়ী মালে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে বিক্রয় মূল্যই গ্রহণযোগ্য ক্রয় মূল্য নয়। যেমন কারো নিকট যাকাতের যা মাল বর্তমানে আছে তার ক্রয় মূল্য ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিক্রয় মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। উক্ত মালের ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার উপরই যাকাত ওয়াজিব।

যাকাত প্রদানের স্থান সমূহ: মিসকিনকে যাকাত প্রদান করতে হবে। মিসকিন ফকির বলতে সেসব মুসরিম নর-নারী বুঝায় যাদের নিকট জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি যেমন: অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদির ব্যবস্থা নেই অথবা আছে তবে তা প্রয়োজন মেটাবার নয়।

ঋণগ্রস্থ মানুষ যার নিকট ঋণ পরিশোধ করার উপায় নেই। সেসব নিস্বঃ নওমুসলিম যাদের মন জয় করা মুসলমানদের দরকার। আল্লাহর পথের মুজাহিদগন যারা দুস্থ এবং নিঃস্ব হওয়ার কারনে জিহাদে অংশগ্রহণ থেকে বিরত। অথবা সেসব হাজীগন যাদের টাকা-পয়সা
ও পাথেয় শেষ হওয়ার কারনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে অপারগ।

মাসআলা: যাকাতের এই খাত সমূহ ব্যতিত অন্যস্থানে ব্যয় করা বৈধ হবেনা। যেসব দ্বীনি মাদ্রসা গুলোর ‘লিল্লাহ ফান্ড তথা গরীব ফান্ড’ রয়েছে তাতে যাকাতের অর্থ দেয়া জায়েয অন্যথায় জায়েয হবেনা।

মাসআলা: যাকাতের জাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী, হাসপাতালের ডাক্তার এবং অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দের বেতন/ভাতা আদায় করা জায়েয হবে না। (জাওয়াহিরুল ফাতওয়া ১ম খন্ড হতে সংকলিত)

যাকাত ফরযের দার্শনিক ভিত্তিঃ যাকাত ইসলামের ৩য় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। নামাজের পরেই যাকাতের স্থান। নামাজ হল শারিরীক ইবাদত যা ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল মুসলমানের উপর ফরয। আর যাকাত হল আর্থিক এবাদত যা কেবল নেসব পরিমান মালের অধিকারী ব্যক্তির উপর ফরয।

ইসলামী শরিয়ত ধনীদের জন্য যাকাতকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরয রূপে নির্দ্দিষ্ট করেছে। যাতে নামাজ সহ অন্যান্য শারিরীক এবাদতের মত এই আর্থিক এবাদত দ্বারা ঈমানে সজিবতা, আত্মার পরিচ্ছন্নতা এবং আল্লাহর নেয়ামতের শোকর গোজারীর প্রবণতা জাগে এবং তদ্দারা আল্লাহর নেকট্য অর্জিত হয়, তাঁর দয়াদান আরও বৃদ্ধি পায়। ইসলাম যাকাতের বিধান প্রবর্তন করে। ধনী ও গরীব লোকের মধ্যে এমন এক সামঞ্জস্য স্থাপন করেছে যে, অবস্থাপন্ন মুসলমানগণ যদি সামগ্রিকভাবে যাকাত আদায় করে, তবে মুসলমান সমাজে একদিকে লাগামহীন পঁজিবাদের কবর রচনা হয়, আর অন্যদিকে ক্ষুদার্থ, বস্তুহারা মানুষদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। ফলে মানব জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে এমন এক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয় যাতে বর্তমান যুগের শ্রণীগতদ্বন্দ সংঘাতের অস্তিত্বই বাকি থাকে না।

পরিশেষে, আমি উভয় জাহানের প্রভূ, মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে প্রার্থনা করি তিনি যেন বাংলার প্রত্যেক সম্পদশালী মুসলমান নর-নারীকে যথাযথভাবে সঠিক নিয়মে যথাস্থানে গরীব-দুঃখির দিকে নজর রেখে যাকাত আদায় করার তৌফিক দান করেন।
সূত্র পঞ্জিকা-
আল-কুরআনুল কারীম।
বুখারী শরিফ।
আবু দাউদ শরিফ।
তরিকুল ইসলাম (২য় খন্ড)।
জাওয়াহিরুল ফতোয়া।

Source: https://www.dailyinqilab.com/article/135399/প্রসঙ্গ-যাকাত-:-ধনীর-ধনে-গরীবের-প্রাপ্য-অধিকার-

12
জীবনের স্বতঃস্ফূর্ত বা আপনাআপনি উৎপত্তি ধারণা কিন্তু বহু প্রাচীন। এর প্রমাণ অ্যারিস্টটলের লেখাগুলোয়ও পাওয়া যায়। যদিও এ কথা তার জানাই ছিল যে জীব থেকে জীবের উৎপত্তি হয়, তবুও অ্যারিস্টটল কোনো কোনো ছোট প্রাণী স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্ভূত হয় বলে বিশ্বাস করতেন। তার বিখ্যাত বই প্রাণীজগতের ইতিহাসে এ ধরনের একটি বিবরণ দিয়েছেন-

'অধিকাংশ মাছের জন্ম ডিম থেকে হয়ে থাকে। তবে এমন কিছু মাছ আছে যেগুলোর জন্ম হয় কাদা ও বালু থেকে। একবার নিডোসের কাছে একটি পুকুর শুকিয়ে যায় এবং এর কাদাও শুকিয়ে যায়। এর বেশ কয়েক দিন পর বৃষ্টিতে পুকুরটি ভরে যায়। এতে দেখা গেল নানা রকমের মুলেট জাতীয় ছোট মাছ। কাজেই এটি পরিষ্কার যে কিছু মাছ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জন্মায়। এর জন্য ডিম বা যৌন ক্রিয়ার দরকার হয় না।'

আজকের দিনের জ্ঞানের প্রেক্ষাপটে অ্যারিস্টটলের এই বর্ণনা হয়তো হাসির খোরাক হবে।

জীবন নিয়ে আমাদের কতই না চিন্ত্মাভাবনা যেমন- ছেলেটি একদম তার বাবার মতো হয়েছে, মেয়েটির বুদ্ধিমত্তা তার মায়ের মতো- এমন কথা আমরা প্রায়ই বলতে শুনি, বাস্ত্মবে এমনটি দেখেও থাকি। কিন্তু কেমন করে বাবা-মার বৈশিষ্ট্য সন্ত্মানের মধ্যে স্থানান্ত্মরিত হয়? এই প্রশ্নের জবাব বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তার নাম বংশগতি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসব বৈশিষ্ট্য স্থানান্ত্মরিত হয় কিছু বস্তুর মাধ্যমে যেগুলোকে বলে বংশগতি বস্তু। বংশগতি বস্তুর প্রধান উপাদান হলো ক্রোমোজম। এই ক্রোমোসোম নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করা যাক। মানুষের দেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষের একটি কেন্দ্র থাকে যার নাম নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের ভেতরে থাকে ক্রোমোজম, জোড়ায় জোড়ায়। ক্রোমোজম হলো কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতর অবস্থিত অনুলিপন ক্ষমতাসম্পন্ন রঙ ধারণকারী নিউক্লিও প্রোটিন নিয়ে গঠিত সূত্রাকৃতির ক্ষুদ্রাজ্ঞ, যা বংশগতির প্রভৃতি কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্রোমোজম আবার নিউক্লিয়াসের বাইরে সাইটোপস্নাজমেও থাকতে পারে। প্রত্যেক নিউক্লিয়াসে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য অনুসারে নির্দিষ্টসংখ্যক ক্রোমোজম থাকে। আদিকোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস না থাকায় এতে কোনো সুগঠিত ক্রোমোজম থাকে না। ক্রোমোজমকে একমাত্র কোষ বিভাজনের মেটাফেজ ধাপে মাইক্রোসফটে দেখা যায়। সুগঠিত ক্রোমোজমের ভৌত গঠনকে নিম্নলিখিত অংশে ভাগ করা যায়-

পেলিকল, ম্যাট্রিক্স, ক্রোমাটিড, ক্রোমোনেমাটা, সেন্ট্রোমিয়ার, সেকেন্ডারি কুঞ্চন, স্যাটেলাইট এবং টেলোমিয়ার।

এই ভৌত গঠনের মধ্যে টেলোমিয়ার নিয়ে বর্তমানে গবেষণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, টেলোমিয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করে জীবের বয়স একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির রাখা যাবে। টেলোমিয়ার ক্রোমোজমের উভয় প্রান্ত্মে অবস্থিত একমাত্র অঞ্চল যেখানে ডিএনএ একসূত্রক। স্বাভাবিক কোষে টেলোমিয়ার ছোট হয় প্রত্যেক কোষ বিভাজনে এবং টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্য যখন ছোট হয়ে চরম সীমায় পৌঁছায় তখন কোষের মৃতু্য হয়। এই টেলোমিয়ার টেলোমেরাস এনজাইম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাই এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা খুব আশাবাদী, হয়তো এরই কল্যাণে আমরা অদূর ভবিষ্যতে দেহঘড়িকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাঁধতে পারব। এবার ক্রোমোজমের রাসায়নিক গঠন নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলা যাক। ক্রোমোজমের রাসায়নিক উপাদানের ভেতর রয়েছে উঘঅ, জঘঅ, নন হিস্টোন প্রোটিন, অন্যান্য যৌগিক প্রোটিন, লিপিড, এনজাইম এবং বিবিধ আয়ন। এত সময় ধরে শুধু ক্রোমোজমের গঠন নিয়ে বলা হলো, কিন্তু এর কাজ কী তা বলা হয়নি। ক্রোমোজমকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলা হয়, কারণ তা জীবের বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে, কোষ বিভাজনে সহায়তা করে, জিন অনুধারণ করে। এ জন্যই ক্রোমোজমকে জীবনের মূল ভিত্তি বলা হয়।

আবার জীবনের রহস্য কী? যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে এক কথায় বলে দেয়া যায় ডিএনএ। জীবের সব বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রিত হয় এই ডিএনএ'র মাধ্যমে। আদি কোষগুলোয় কোনো জেনেটিক তথ্য ছিল না, অর্থাৎ ছিল না কোনো ডিএনএ এবং আরএনএ যা আজকের দিনের কোষগুলোর একটি অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য। আমরা জানি, সব জীবিত বস্তু সে উদ্ভিদ হোক আর প্রাণী হোক, তার প্রকৃতি নির্দেশিত হয় বংশগতির বাহক জিনের কতগুলো জটিল রাসায়নিক অণুর মাধ্যমে। জিনের এই রাসায়নিক অণুগুলো হলো ডিএনএ এবং আরএনএ। এই দুটির সমন্বিত সংযোগে রচিত হয়েছে আমাদের জীবনের নীলনকশা। ডিএনএ হচ্ছে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক এসিড এবং আরএনএ হলো রাইবোনিউক্লিয়িক এসিডের সংক্ষিপ্ত রূপ। প্রতিটি ডিএনএতে থাকে চার ধরনের নাইট্রোজেনাস বেস-
অ্যাডেনিন-অ,
গুয়ানিন-এ
সাইটোসিন-ঈ
থায়মিন-ঞ

আবার প্রত্যেক আরএনএ অণুতে থাকে চার ধরনের বেস কিন্তু এখানে থায়ামিনের বদলে ইউরাসিল-ট থাকে। থায়ামিন এবং ইউরাসিলের মধ্যে সাদৃশ্য আছে বটে কিন্তু বৈসাদৃশ্যও কম নয়। আর জীবনের রসায়নে সামান্য তফাতের পরিমাণও বিশাল হতে পারে। এ জন্যই একে অন্যের থেকে আলাদা। ডিএনএ অণুর গঠনে আরো দুটি উপাদান যুক্ত থাকে তা হলো ফসফরিক এসিড ও ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার। এই ফসফরিক এসিড এবং ডিঅক্সিরাইবোজ সুগারকে ডিএনএ অণুর মেরম্নদ- বলা হয়, কারণ এরাই ডাবল হেলিক্স গঠন করে এবং নাইট্রোজেনাস বেসগুলো এই পেঁচানো হেলিক্সের মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে।
ডিএনএ একমাত্র উপাদান যা দেহের সব কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে ক্রোমোজমের ভেতরে কী ধরনের প্রোটিন তৈরি হবে তা ডিএনএ নির্ধারণ করে। এসব প্রোটিনের মাধ্যমেই সব শারীরবৃত্তীয় কাজ সংঘটিত হয়। ডিএনএ'র আরেকটি কাজ হচ্ছে রেপিস্নকেশন তথা সংখ্যাবৃদ্ধি। ডিএনএ নিজের হুবহু প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে, ডিএনএই যেহেতু জীবনের মূল তাই আরেকটি প্রতিলিপি তৈরি হওয়ার অর্থই আরেকটি জীবন তৈরি হওয়া, এভাবেই জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটে। মোট কথা, ডিএনএ জীবনের মৌলিক একক এবং কার্যকর শক্তি, সে-ই জীবের সব কাজকর্ম পরিচালনা করে এবং তার থেকে আরেকটি জীবের উৎপত্তি ঘটায়। ডিএনএ'র মধ্যে তাই জীবের সব বৈশিষ্ট্য ও বংশবৃদ্ধির তথ্য জমা করা থাকে। ডিএনএ'র মধ্যে থাকে জিন, জিনের সিকোয়েন্সই জীবদেহের সব তথ্যের ভা-ার। একটা জীবিত প্রাণী কীভাবে জন্ম হবে এবং বিকশিত হবে এর একটা নীলনকশা থাকে। ক্ষুদ্র জীবাণু থেকে শুরম্ন করে মানুষের মতো জটিল একটা প্রাণীর ক্ষেত্রেও সেই নীলনকশাটি একই প্রক্রিয়ায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা যে কোনো তথ্য সংরক্ষণের জন্য আগে কাগজে লিখে রাখতাম, আজকাল রাখি কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভে কিংবা পেনড্রাইভে। জীবিত প্রাণীরা তাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করে ডিএনএ'র ডাবল হেলিক্স। তাই ডিএনএকে বলা হয় 'ঞযব ংবপৎবঃ ড়ভ ষরভব'।

Source: http://www.jaijaidinbd.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=02-06-2018&type=single&pub_no=2272&cat_id=1&menu_id=66&news_type_id=1&index=0

13
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ অন্যতম। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে অনেকগুলো ফিচার রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে এখনও অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই এমন কিছু ফিচার সম্পর্কে।

• রেস্ট্রিক্টেড গ্রুপ- এই ফিচারটির সাহায্যে গ্রুপ অ্যাডমিন ঠিক করে দিতে পারবেন, কোন কোন সদস্যরা গ্রুপ ইনফো এডিট করতে পারবেন। এছাড়াও এমনও সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে শুধু গ্রুপ অ্যাডমিনই গ্রুপে মেসেজ করতে পারবেন।

• হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল হয়, এটা সবার জানা। কিন্তু অনেকেই জানেন না হোয়াটসঅ্যাপে একসঙ্গে তিনজনের সঙ্গে গ্রুপ ভিডিও কলের ফিচারও খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। এই মুহূর্তে আইওএস ২.১৮.৫২ এবং অ্যানড্রয়েড বেটা ২.১৮.১৪৫+ এই দু’টি অপারেটিং সিস্টেমে এই ফিচার পাওয়া যাচ্ছে।

• কোনো মেসেজ পড়লে অর্থাৎ সিন হলে ব্লু-টিক দেখায়। কিন্তু আপনি যে মেসেজটি পড়েছেন, তা বোঝাতে না চাইলে, ব্লু-টিক অপশনটি ডিজেবল করে রাখতে পারেন। এই ভাবে ব্লু-টিক ডিজেবল করতে পারেন- সেটিংস> অ্যাকাউন্ট> প্রাইভেসি> রিড রিসিপটস। রিড রিসিপটস অপশনটি ডিজেবল করে নিন। এই ফিচারটির ফলে আপনি কোনো মেসেজ পড়লেও রেসিপিয়েন্টের কাছে ব্লু-টিক দেখাবে না। কিন্তু আপনার মেসেজও অন্য কেউ পড়লে আপনি ব্লু-টিক দেখতে পারবেন না।

• কাউকে নিজে থেকে মেসেজ করতে গেলে তার নম্বর সেভ করতে হয়। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ একটি ফিচার এনেছে যার নাম ‘ক্লিক টু চ্যাট’। এর মাধ্যমে কারো নাম্বর সেভ না করেই মেসেজ করা যাবে।

Source: http://www.bd-pratidin.com/tech-world/2018/05/31/334328

14
Common Forum / দরকারি ১০ দক্ষতা
« on: May 07, 2018, 10:16:07 AM »
মানুষের দক্ষতা সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে। কারিগরি ও মানবিক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতার নানান বিষয় ও প্রয়োগ সম্পর্কে জানতে পারি। এর বাইরে বেশ কিছু দক্ষতা আছে, যা নিজে থেকেই আয়ত্ত করতে হয়। সারা পৃথিবীতেই চাকরির ক্ষেত্রে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘সফট স্কিল’ গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে, সফট স্কিল বলতে সাধারণত এই মানবিক দক্ষতাগুলোকেই বোঝানো হয়। কারিগরি দিক দিয়ে আপনি যতই দক্ষ হন না কেন, মানবিক দক্ষতা না থাকলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া কঠিন। ১০টি প্রয়োজনীয় মানবিক দক্ষতার কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি প্রোগ্রামের চেয়ারপারসন, বিজনেস কমিউনিকেশন পরামর্শক ও সহকারী অধ্যাপক সাইফ নোমান খান

১. যোগাযোগ দক্ষতা
পড়াশোনার বিষয়টা যা-ই হোক, যে ক্ষেত্রেই আপনি ক্যারিয়ার গড়েন না কেন, আপনার মধ্যে যোগাযোগের দক্ষতা থাকা জরুরি। ভাষাগত দক্ষতা, ইতিবাচক শারীরিক ভাবভঙ্গি, লেখার দক্ষতা, গল্প বলার দক্ষতা, রসবোধ, শোনার আগ্রহ, পাবলিক স্পিকিং, সাক্ষাৎকার গ্রহণসহ ই–মেইল লেখা, নিজের বক্তব্য তুলে ধরার যোগ্যতা আয়ত্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই এসব দক্ষতা বিকাশে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। চর্চার মাধ্যমে দুর্বলতা দূর করতে হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে টেড টকস: দ্য অফিশিয়াল টেড গাইড টু পাবলিক স্পিকিং বইটি পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, বাংলা ও ইংরেজি, দুটো ভাষাতেই আপনাকে দক্ষ হতে হবে।

২. নেতৃত্ব বিকাশ

যেকোনো ক্যারিয়ারেই নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকা এখন বিশেষ যোগ্যতা। আপনি ম্যানেজার হতে চান কিংবা দক্ষ কর্মী, আপনার মধ্যে নেতৃত্বের সব গুণ থাকতে হবে। দল গঠনের সক্ষমতা, নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি করা, পরামর্শ দেওয়া-নেওয়া, সংঘাত নিরসনের কৌশল জানা, কূটনীতি, মতামত দেওয়া ও নেওয়া, তত্ত্বাবধান করাসহ দূর থেকেই দলকে নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। টম র‍্যাথের স্ট্রেন্থস ফাইন্ডার ২.০ বইটি পড়ে জানতে পারবেন, কোন ধরনের নেতৃত্বের গুণাবলি আপনার মধ্যে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে বিভিন্ন বিজনেস কেস কম্পিটিশন, হ্যাকাথন আরও নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নিজের নেতৃত্ব বিকাশের সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। সংগঠনে কাজের মধ্য দিয়েও নেতৃত্বের গুণ বিকাশ করা যায়।

৩. পেশাগত দক্ষতা
পেশাগত দক্ষতা বলতে প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা, পরিকল্পনা করা, মিটিং পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ, পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর কোথায় কী হচ্ছে, গবেষণা করার আগ্রহ, ব্যবসায় রীতিনীতি সম্পর্কে জানা, প্রশিক্ষণ নেওয়া ও দেওয়া এবং গ্রাহকসেবার নানা দিক সম্পর্কে জানা—এসবই বোঝায়। পেশাগত দক্ষতাগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শেষে কর্মজীবনে পা রাখলে ভয় কিংবা জড়তা তেমন থাকে না। চার্লস দুহিগের দ্য পাওয়ার অব হ্যাবিট: হোয়াই উই ডু হোয়াট উই ডু ইন লাইফ অ্যান্ড বিজনেস বইটি পড়লে জড়তা কাটানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানা যাবে।

৪. ব্যক্তিগত দক্ষতা
আপনি কতটা ইতিবাচক মানুষ কিংবা নেতিবাচক পরিবেশে নিজেকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তার ওপর নির্ভর করছে আপনার ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিগত দক্ষতা বলতে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিবৃত্তিক আবেগ, ব্যক্তি সচেতনতা, আবেগের নিয়ন্ত্রণ, আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ, আপনি কতটা সহানুভূতিশীল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ—এসবই বোঝায়। আপনি কেমন মানুষ, আগে তা খুঁজে বের করতে হবে, তারপর কোথায় কোথায় দুর্বলতা তা বের করে নিজেকে শোধরাতে হবে। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ২.০ বইটি পড়লে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিবৃত্তিক আবেগ কীভাবে, কতটা সৃজনশীল উপায়ে বিকাশ করা যায়, তা জানতে পারবেন।

৫. নিজেকে উপস্থাপন
নিজেকে অন্যের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাও একটি দক্ষতা। এমন নয় যে আপনি যা নন, তা অন্যের সামনে দেখাতে হবে। বরং আপনার শক্তির জায়গাগুলোকে কাজে লাগিয়েই নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করা শিখতে হবে। অন্যের সামনে নিজের ‘ব্র্যান্ডিং’ করতে হবে।


৬. ইতিবাচক চিন্তা করা শিখতে হবে
আপনি কীভাবে চিন্তা করেন—এ থেকেই বোঝা যায় আপনি কতটা দক্ষ। নিজের চিন্তাশক্তি বিকাশের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের থিংকিং, ফাস্ট অ্যান্ড স্লো বইটি পড়তে পারেন। সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক চিন্তা করা শিখতে হবে এবং তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

৭. সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন
জীবনে আপনি কতটা সফল হবেন, তা নির্ভর করে আপনার সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতার ওপর। সৃজনশীলতার সঙ্গে নিজের বুদ্ধিমত্তার নান্দনিকতার সম্পর্ক যুক্ত। উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকাশের জন্য আপনি অভিজ্ঞ কোনো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। যে ভাবনাগুলো আপনাকে আলোড়িত করছে, সেগুলো শুধু মাথার ভেতর না রেখে প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। তাহলেই আপনার শক্তি ও দুর্বলতাগুলো জানতে পারবেন।

৮. সংবেদনশীলতা
আপনার সংবেদনশীলতা আপনার আজীবনের শক্তি। কোনো কারণে ব্যর্থ হলে কত দ্রুত সময়ে স্বাভাবিক হতে পারেন কিংবা ব্যর্থতার প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া কতটা ইতিবাচক, এসব গুণই সংবেদনশীলতা। আপনি নিজের অনুভূতিকে কতটা ইতিবাচক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তা আপনাকে চর্চার মাধ্যমে শিখতে হবে।

৯. সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
আমরা সমস্যা নিয়ে ভাবতে পছন্দ করি। সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে সমাধান নিয়ে ভাবনার সুযোগই পাই না। বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকেই সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য গণিত ও যুক্তির বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ত করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে আবেগের চেয়ে যুক্তি ও বাস্তবতার দিকে খেয়াল রাখতে শিখতে হবে।

১০. শেখার আগ্রহ
সবচেয়ে বড় সফট স্কিল হচ্ছে শেখার আগ্রহ থাকা এবং শিখে তা প্রয়োগের চেষ্টা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিজেকে নিয়ে অহংকারবোধ করি, নিজে থেকে কিছু শিখতে চাই না, যা একটি ফাঁদ। আপনি নিজেকে জ্ঞানী ভাবা শুরু করলেই শেখার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। শিখতে না পারলে ক্যারিয়ার বা জীবনকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আপনার চেয়ে বয়সে বড় কিংবা ছোট সবার কাছে যেতে হবে শেখার জন্য। কে আপনাকে কোন বিষয়টি শেখাবে, তা কিন্তু আপনি জানেন না। আপনার মন যদি নতুন কিছু শেখার জন্য প্রস্তুত না থাকে, তাহলে আপনি নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবেন না।

Source: http://www.prothomalo.com/life-style/article/1479431/দরকারি-১০-দক্ষতা

15
Common Forum / 7 Ways To Make Your Manager Your Biggest Fan
« on: May 05, 2018, 03:04:57 PM »
here are behaviors that some people like, and seek to emulate, that are simultaneously hated by others. I first started to realize this in high school, when boys tended to like some of my behaviors while girls found them crude. These lessons helped me discover which behaviors are socially acceptable while in my youth.  In a similar vein, employees can benefit from knowing the behaviors their manager values most.

Managers typically want their employees to be effective at everything. To identify the behaviors that influence them the most, I first looked at a Zenger Folkman dataset of 58,415 leaders. Next, I selected those who had the largest positive difference between how their manager rated them, and how peers and direct reports rated them. I then separated them into two groups: those the manager rated more positively, and those the manager rated more negatively. This analysis revealed some common key issues that tend to be hot buttons for managers. The following seven behaviors are those that managers value most:

1. Strategic Perspective. Many people think it’s the manager’s responsibility to be clear about the strategy of the organization—setting a strategic direction is not part of most people’s job description. However, managers want direct reports to have strategic perspective before they are required to use it in their job. At Zenger Folkman, we have found that this is the largest skill gap for those rated as having high potential. Do you have a clear perspective about the big picture vision for your organization, while also knowing how your role helps bring about that vision? One way to demonstrate your strategic perspective is to help others clarify and understand the vision.

2. Be A Champion Of Change. Managers need people to accept change, and are often frustrated by those who resist it. Have the courage to try new things—managers know that mistakes may be made when adapting to changing processes. Challenge some of the standard approaches and independently look for a better way forward.

3. Keep Your Manager Informed. Managers need to be well informed about their employees’ work and potential problems that may exist. Imagine your manager is discussing a project you are working on with their boss. When asked about your project, your manager boldly says, “Everything is great!” In reality, you had encountered a problem but did not share it with your manager in case it made you look incompetent. The problem with this omission is that now your manager looks incompetent—and it’s your fault. Providing your manager with quick progress reports will have a lasting impact on creating a positive relationship.

4. Show Some Energy And Be An Inspiration. Mood matters a lot at work. Just like the flu, the mood can spread to others—research has shown that even a person’s happiness is contagious. Cynics or pessimists are less likable. If you complain about having extra work to do, then chances are you are not your manager’s favorite direct report. If you are overwhelmed with work it is often because your boss has given you a stretch goal, which should be viewed positively!

5. Take Initiative And Deliver On Your Commitments. Be the direct report that sees the mess and cleans it up. When there is an unexpected problem, fix it. When you are behind schedule on your work, stay late and catch up. Be willing to move mountains to deliver on commitments. Managers love direct reports who take initiative, and become frustrated when they must point out every mess and problem.

6. Be A Problem Solver. When some people encounter a problem, they stop what they were doing and take the problem to their manager to solve. Managers love direct reports that can anticipate potential problems. Researchers have found that if people take some time to consider what might go wrong with a project, they are very good at anticipating and avoiding problems. When you encounter a problem, come up with potential solutions before taking it to your manager.

7. Be A Trusted Team Member. Have you ever been part of a team where you loved to come to work, enjoyed being with your fellow team members, and the team was highly productive? Conversely, have you ever been part of a team where you hated coming to work, there was conflict, and it was hard to get work accomplished? One of the most challenging aspects of your manager’s job is resolving conflict between team members.  If you have constant problems with your colleagues, chances are your manager does not like you. Be a team member who pulls the team together, not apart.

As you read through the list, you may have identified one to two items you could do to make your manager your biggest fan. Write them down and generate a goal. Set an appointment with yourself once a week to review your progress. Identify people who seem to be talented in those areas and ask them for some coaching. It takes time and reminders to break bad habits, but as your abilities in these areas strengthen, so will your relationship with your manager.

Source: https://www.forbes.com/sites/joefolkman/2018/01/19/7-ways-to-make-your-manager-your-biggest-fan/?utm_source=LINKEDIN_COMPANY&utm_medium=social&utm_content=1512101981&utm_campaign=sprinklrForbesMainLI#433a9de26643

Pages: [1] 2 3 ... 7