Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - mustafiz

Pages: [1] 2 3 ... 22
1
Football / Portugal boosted by return of Pepe to training
« on: July 10, 2016, 03:56:26 PM »
Euro 2016 finalists Portugal received a boost on Saturday when central defender Pepe trained with his team mates and appeared to be free of any injury problems.

The Brazilian-born defender missed the semi-final win over Wales on Wednesday because of a thigh injury and had trained separately on Friday.

But Pepe, 33, took a full part in Saturday's exercises which were witnessed by reporters during the 15 minutes in which training was open to the media and he appeared to be ready to face hosts France in Sunday's final.

Pepe, sent off against Germany in the 2014 World Cup, was outstanding in the centre of the Portugal defence in their first five games at the tournament.

The Portuguese football federation did not comment on his condition.

2
Pharmacy / কচু শাকের পুষ্টিগুণ
« on: February 17, 2015, 05:26:12 PM »
কচু একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর সবজি। এ দেশে কচু তেমন সমাদৃত নয় এবং অনেকটা অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়। অথচ কচু শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এ শাক দুই প্রকার যথা :
(১) সবুজ কচু শাক ও
(২) কালো কচু শাক।


খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ ও কালো কচু শাকে যথাক্রমে ১০২৭৮ ও ১২০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন রয়েছে। এ ক্যারোটিন থেকেই আমরা ভিটামিন ‘এ’ পেয়ে থাকি। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচু শাক থেকে ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৮ গ্রাম শর্করা, ১.৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি, ২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১০ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৫৬ কিলো ক্যালোরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।

সবুজ কচু শাকের চেয়ে কালো কচু শাক অনেক বেশি পুষ্টিকর। প্রতি ১০০ গ্রাম কালো কচু শাকে ৬.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৮.১ গ্রাম শর্করা, ২.০ গ্রাম চর্বি, ৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিনি বি-১ (থায়ামিন), ০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফেবিন), ৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ ও ৭৭ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি রয়েছে।দেহের পুষ্টি সাধনে এসব পুষ্টি উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে আত্তীকরণ হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়া ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে কচুকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মুখী ও পানিকচুর ডগা দেহের ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া জ্বরের রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধকচু খাওয়ানো হয়। ওলকচুর রস, উচ্চরক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয়। আবার মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ানোর প্রথা এ দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় এটি দেহের হজমের কাজে সহায়তা করে।

Source: http://prohornews.com/details.

3
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে তারাপুর ও মালশন এই দুই গ্রামে প্রাচীন ছোট ২টি মসজিদ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শত বছরের এই মসজিদগুলোতে এখন আর কেউ নামাজ পডে না। অনেকের মতে মসজিদ ২টি উপমহাদেশে সবচেয়ে ছোট মসজিদ।


তারাপুর গ্রামের মসজিদে একসাথে ৩ জন এবং মালশন গ্রামের মসজিদে মাত্র ৫ জনের নামাজ পড়ার মতো জায়গা ছিল। ঐতিহাসিক নিদর্শনের গ্রাম তারাপুর ও মালশনের অবস্থান বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকায়। ব্রডগেজ রেললাইন পার হয়ে তারাপুর গ্রামে ঢুকতে প্রথমে পড়ে তালুকদার বাড়ি। এই তালুকদার বাড়ি পেছনে ফেলে বেশ কয়েকটা বাড়ি পেরিয়ে গেলে মিলবে ক্ষুদ্র মসজিদের দু’টির একটি। তারাপুর গ্রামের মসজিদের উচ্চতা ১৫ ফুট আর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ৮ ফুট।

মসজিদে প্রবেশ দরজার উচ্চতা ৪ ফুট আর চওড়া দেড় ফুট। একজন মানুষ সেখানে কোনো রকমে প্রবেশ করতে পারবে। মসজিদের ভিতরে একসাথে মাত্র ৩ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদে সামান্য উঁচু একটি গম্বুজ আছে। গম্বুজের ওপরে ছিল মিনার- যা অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে। আর ইটের তৈরি দেয়াল পুরু দেড় ফুট। যে ইটগুলো মসজিদের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর আকার খুব ছোট। মসজিদের দরজায় দু’টি সুন্দর খিলান আছে। দরজার খিলান এবং ভিতরের মিম্বর ও মেহরাবই বলে দেয় যে স্থাপনাটি মসজিদ। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি স্থাপনাটি এতোটাই পুরনো যে প্রথমে দেখে মসজিদ হিসাবে বোঝা কঠিন।

এই মসজিদের ঐতিহাসিক ভিত্তি সম্পর্কে বলা হয়, সান্তাহার শহরের পাশে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন সদরে ছিল নাটোরের রাজা রামাকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর বাবার বাড়ি। আর সান্তাহারসহ আশপাশের অঞ্চল তথা তারাপুরও ছিল রাণী ভবানীর স্বামীর এবং পরে রাণী ভবানীর রাজ্যত্বের অংশ। সে কারণে রাণী ভবানীর আসা-যাওয়া ছিল এই গ্রামে।

কথিত আছে, তারাবানু নামে একজন পরহেজগারী মুসলমান মহিলার বাসস্থান ছিল এই গ্রামে। কিন্তু হিন্দু প্রধান এলাকা হওয়ার কারণে ওই মহিলার নামাজ পড়াসহ ইবাদত-বন্দেগিতে অনেক অসুবিধা হতো। এক পর্যায়ে রাণী ভবানী এমন কথা জানতে পারেন এবং তিনি নিজেই চলে আসেন এই গ্রামে। আর সেই মহিলার নামাজ পড়াসহ ইবাদত-বন্দেগিতে যেন কেউ কোনো অসুবিধা না করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য পেয়াদাদের হুকুম দেন এবং তার জন্য একটি মসজিদ তৈরি করে দেয়ারও নির্দেশ দেন। এভাবেই এই মসজিদটির গোড়াপত্তন ঘটে।

তারাপুর গ্রামে অবস্থিত মসজিদের মতো অপর মসজিদটি রয়েছে মালশন গ্রামে। তবে মালশন গ্রামের মসজিদটির দের্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতায় তারাপুর মসজিদের চেয়ে একটু বড়। কিন্তু নির্মাণশৈলী একই ধরনের। এ মসজিদটি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য কেউ জানে না।

4

জোরে ‘জগিং’ করলে বেশিদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে।


সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, সপ্তাহে মাত্র এক ঘণ্টা ধীর গতিতে দৌড়ালে বা জগিং করলে দীর্ঘায়ুর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

কোপেনহেগেনের ফ্রেডরিক্সবার্গ হসপিটাল পরিচালিত একটি গবেষণার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট এই তথ্য প্রকাশ করে।

ডেনমার্কের এই হাসাপাতালের গবেষক পিটার স্নর বলেন, “মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে প্রত্যাশিত স্বাস্থ্য পেতে চাইলে সপ্তাহের কিছু সময় হালকাভাবে দৌড়ালেই হয়। এর থেকে বেশি কিছুর প্রয়োজনই নেই।”

প্রতি সপ্তাহে এক থেকে আড়াই ঘণ্টা জগিংয়ের সঙ্গে মৃত্যু হার কমার সম্পর্ক রয়েছে।

গবেষকরা কোপেনহেগেন সিটি হার্ট স্টাডিতে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি অংশগ্রণকারীকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন করেন।

সেখান থেকে গবেষকরা ১,০৯৮ জন স্বাস্থ্যবান জগার এবং যারা জগিং করেন না কিন্তু স্বাস্থ্যবান এরকম ৪১৩ জনকে চিহ্নিত করেন। আর তাদেরকে ১২ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

দেখা গেছে হালকাভাবে যারা দৌড়ায় তাদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক ভাবে কম। বরং যারা দ্রুত জগিং করেন আর যারা স্বাস্থ্যবান কিন্তু জগিং করেন না তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার একই রকম।

স্নর বলেন, “দীর্ঘদিন দ্রুত গতিতে জগিং করলে স্বাস্থ্য বিশেষ করে হৃদপিণ্ডসম্বন্ধীয় কার্যকলাপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পরে।”

গবেষণাটি দ্য আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’র জার্নালে প্রকাশিত হয়।

5
ওপেনিংয়ে বোলিং করতে এসে বোলার কি বল করা ভুলে গেলেন- এ প্রশ্ন জেগেছিল ১০ বছর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটের এক ম্যাচে। ম্যাচটি আবার ছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে।

ভাবছেন, বোলার এক ওভারে অনেক বেশি রান দিয়ে ফেলেছে! ঘটনা কিন্তু মোটেও তা নয়। শুধু বেশি রান দেওয়াকেই যে বাজে বল বা বোলার বলা যায় না, তা বোঝার জন্য ম্যাচের এই ভিডিওতে চোখ রাখতে হবে।

ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করছেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। বোলার নিউজিল্যান্ডের ড্যারেল টাফি। প্রথম বলেই বল সীমানাছাড়া। তার ওপর আম্পায়ার হাত তুলে জানান দিলেন নো-বল। পরিসংখ্যান দাঁড়ালো, বিনা বলে ৫ রান। পরের বলটিও নো।

তারপরের বলে আবারও হাত তুললেন আম্পায়ার আলিম দার। ফলাফল একই। সে কি! পরের বলটি ওয়াইড, নো- দুটিই হলো। যদিও সেটিকে নো বলেই স্বীকৃতি দিলেন আম্পায়ার।

স্কোরবোর্ড বলেছে, বিনা বলে ৮ রান। এটি ছিল টাফির ৭৬তম ম্যাচ। ইতোমধ্যে নিয়েছেন ৯০ উইকেট। পঞ্চম বলটিও সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওয়াইড করলেন টাফি! চিন্তার ভাঁজ অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কপালে। হলো কী! টাফি কি বল করাই ভুলে গেলেন? তার নিজেরও অনুভূতি হয়ত তেমনই ছিল তখন!

বিস্ময়ের বাকি তখনও। ষষ্ঠ বলটি করতে ছুটলেন টাফি। কিন্তু ফলাফল একই। দু’হাত প্রসারিত আম্পায়ারের। স্কোর বিনা বলে (৬টি বল হয়ে গেছে তখন) ১০ রান।

সপ্তম বলটি শুদ্ধ বল হলো বটে, তবে ফের চার খেলেন টাফি। অষ্টম বলটিও ওয়াইড। স্কোরবোর্ডে ১ বলে ১৫ রান! -

Source: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/360352.html#sthash.u1jo7Hn2.dpuf

6
Teeth / দাঁতের সমস্যায় ফল
« on: January 22, 2015, 10:28:28 AM »

ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।



মিষ্টিজাতীয় ফল খাওয়ার ব্যাপারে নির্বাচিত ৪৫৮ জন পেশাদার দন্তচিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী সাবধান বাণী উচ্চারণ করেন।

ফিলেমফার্স্ট ডটকো ডটউকে’র এক প্রতিবেদনে প্রকাশ- পাঁচজনের মধ্যে চারজন পেশাদার চিকিৎসকই সাবধান করে জানিয়েছেন- জলখাবার বা নাস্তা হিসেবে ফল খেলে দন্তক্ষয়, মুখে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বা প্লাক তৈরি, এমামেল ক্ষয় ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এরমধ্যে এক তৃতীয়াংশ চিকিৎসক জানান, চকলেট ও বিস্কুটের মতো আপেল খেলেও দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি হয়।

একই রকমের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে ভিত্তিতে লন্ডনের দ্য কিং’স ডেন্টাল ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ডেভিড বার্টলেট জানান, ‘কার্বোনেটেড ড্রিংকস’ পান করলে দাঁতের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, ফল খেলেও সমপরিমাণ ক্ষতি হতে পারে।

নির্বাচিত চিকিৎসকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই জানান, জুস বা ফলের রসও দাঁত এবং মাড়ির ক্ষতি করতে পারে। আর এক তৃতিয়াংশের ওপর বিশেষজ্ঞের মতে মসলাদার খাবারও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটির ডেন্টাল সায়েন্সের অবৈতনিক অধ্যাপক রবিন সিমর বলেন, “একটি জরিপে দেখা গেছে ২৩ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দিনে মাত্র একবার দাঁত মাজেন। তাছাড়া যারা দুবার দাঁত মাজেন তাদের ক্ষেত্রেও দাঁত ও মাড়িতে সমস্যা দেখা দেয়।”

7
Life Style / মোটা কমাতে শীতের সবজি
« on: January 10, 2015, 11:05:39 AM »
খাবার মেন্যুতে শিশুদের অপছন্দের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে সবজি। কিন্তু শীতকাল হচ্ছে এমন একটি মৌসুম, যখন বাজারে অঢেল শাকসবজি।


শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর দেখতেও সুন্দর খেতেও মজা। শীতের সালাদ গাজর ছাড়া ভাবাই যায় না। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৪১ কিলোক্যালরি রয়েছে। অর্থাৎ, গাজরে মোটা হবার কোন ভয় নেই। ভিটামিন-এ ভরা এই সবজি রান্নার চেয়ে কাঁচা খেতেই বেশ মজার। গাজরের হালুয়ার তো জবাব নেই।

নানা রকম কপির ভেতর ফুলকপি রান্না করে খাওয়া হয়। সালাদেও অনেকে কাঁচা ফুলকপি খান। এছাড়া সবজি স্যুপ তৈরিতে ফুলকপি লাগবেই। এতে ক্যালরি খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ২৬ কিলোক্যালরি। তাজা ফুলকপি ভিটামিন সি-এর উৎস। এছাড়া ফুলকপি আমাদের দেহের খনিজ পদার্থও জোগায়।   

অন্যসব সবজির মত শালগম এত মুখরোচক না হলেও এটি বেশ উপকারী একটি সবজি। শালগম খেলে দেহ পাবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও আয়রন।

কপির ভেতর বাঁধাকপি আমার খুব মজা লাগে। বাধাকঁপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'কে'। বাঁধাকপি আমাদের হাড়ের রোগ থেকে বাঁচায়।   

শীতকালীন সবজির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো শিম। শিমের বীজে রয়েছে প্রোটিন, যা আমদের শরীর গঠনে সাহায্য করে বাজারে শিমের বীজ ভাজা বাদামের মতোই বিক্রি হয়।

যারা সালাদ খেতে ভালবাসে সে টম্যাটোও ভালবাসতে বাধ্য। কিন্তু কাঁচা টম্যাটো খেতে বললে অনেকেই না করে। কিন্তু কাঁচা টম্যাটো আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। টম্যাটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি', যা আমাদের দাঁতের ক্ষয় থেকে বাঁচায়। এছাড়া শশা, ব্রকলি, মটরশুটি, ক্যাপসিকামসহ নানা রঙের দেশি-বিদেশি সবজি ও ফলমূল এই শীতে আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে।

শীত গেলেই এসব সবজি আর এতো তাজা পাওয়া যায় না। এত গুণাগুণও থাকে না। সব চেয়ে বড় কথা শীতের সবজ শীতকালিন রোগ প্রতিরোধ করে।

8
খুব পরিচিত একটি অসুখ হল ডায়াবেটিস। প্রতি ১০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে গড়ে ৫ জনের ডায়বেটিস হয়ে থাকে। কিন্তু এই অসুখটি নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই কিছু প্রচলিত ভুল ধারনা আছে যার আসলে বাস্তব কোনো অর্থ নেই। চলুন তাহলে জেনে নিই ডায়বেটিস নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারনা ও এর বাস্তব সত্য সম্পর্কে।

প্রচলিত ভুল ধারনা
চিনি বেশি খেলে ডায়বেটিস হয়।

বাস্তব সত্য
না এটি সত্য নয়। জিনগত এবং কিছু অজানা প্রভাবক টাইপ-১ ডায়বেটিসের কারণ। টাইপ-২ ডায়বেটিসের কারণ জিনগত এবং জীবনযাত্রার ধরন। ওজন বেশি হলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে এবং বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার, তা চিনি বা চর্বি যেখান থেকেই আসুক না কেন, ওজন বাড়ায়। কারো যদি ডায়বেটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তবে তার উচিত হবে স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখা।

প্রচলিত ভুল ধারনা
শুধু বেশি ওজনের বা মোটা মানুষই ডায়বেটিসে আক্রান্ত হয়।

বাস্তব সত্য
মাত্রাতিরিক্ত ওজন ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার একটি ঝুঁকি মাত্র। এক্ষেত্রে অন্যান্য ঝুঁকি, যেমন পারিবারিক ইতিহাস, জাতিস্বত্বা, বয়স ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকেই এই ধারনা পোষণ করেন যে, বেশি ওজনই ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার একমাত্র ঝুঁকি। অনেক মোটা মানুষেরই ডায়বেটিস নেই। আবার অনেক ডায়বেটিস রোগীর ওজন স্বাভাবিক এমনকি স্বাভাবিকের চেয়েও কম।

প্রচলিত ভুল ধারনা
ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষ ডায়াবেটিক খাবার খেতে হয়।

বাস্তব সত্য
ডায়াবেটিক রোগীদের ও একটি সুস্থ মানুষের খাবার তালিকার মধ্যে তেমন কোন অমিল নেই। কম চর্বি, পরিমিত লবন আর চিনি এর পূর্ণদানাযুক্ত খাদ্য, শাকসবজি ও ফলমূল এগুলোর মিশ্রণই হতে পারে আদর্শ খাবার। তথাকথিত ডায়াবেটিক খাবারে অতিরিক্ত কোন উপকার পাওয়া যায়না।

প্রচলিত ভুল ধারনা
ডায়াবেটিক রোগী মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু বা চকলেট খেতে পারবেনা।

বাস্তব সত্য
যদি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য তালিকার সাথে উপযুক্ত শরীরচর্চার যোগ ঘটানো যায়, তবে ডায়াবেটিক রোগীরাও মিষ্টি জাতীয় খাবার ও ফলাহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিক রোগী ও সুস্থ মানুষের মধ্যে কোন সীমারেখা নেই। মিষ্টি জাতীয় খাবার একদম বাদ দেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই, শুধু পরিমান সীমার মধ্যে থাকা চাই। মিষ্টিজাতীয় খাবারে যে শুধু ক্যালরিই থাকে তা নয়, এতে প্রচুর পরিমানে চিনি থাকে যা রক্তের গ্লুকোজের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তের গ্লুকোজের পরিমান ঠিক রাখতে শুধু কম শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়ার পরই ফলাহার করা উচিত।

প্রচলিত ভুল ধারনা
ফল স্বাস্থ্যকর খাদ্য, তাই যত ইচ্ছা ফল খাওয়া যেতে পারে।

বাস্তব সত্য
ফল অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে আঁশ ছাড়াও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। কিন্তু ফলে শর্করাও থাকে যাকে অবশ্যই খাদ্য তালিকার সাথে সমন্বয় করতে হবে। প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ানের সাথে আলাপ করে ঠিক করুন কোন ফল কতবার কী পরিমানে খেতে পারেন।

প্রচলিত ভুল ধারনা
আপনার অতি সামান্য বা অল্প পরিমানে ডায়াবেটিক থাকতে পারে।

বাস্তব সত্য
সামান্য পরিমান ডায়াবেটিস বলে কোন কথা নেই। হয় আপনার ডায়াবেটিস আছে অথবা নেই, এর মাঝামাঝি কিছু নেই।

9

মসজিদে ঘেরা শহর দেখতে চাইলে যেতে হবে ঝিনাইদহে।


ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার। প্রায় তিন বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখানে আছে প্রাচীন শহর মোহম্মদাবাদ।

১৯৯৩ সালে এখানকার মাটি খুড়ে সন্ধান মিলেছে পনেরটিরও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই প্রাচীন মসজিদ। এসব স্থাপনাগুলো ৭০০ বছরেরও বেশি পুরানো।

শহর মোহাম্মদাবাদের পুরানো ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, প্রাচীনকালে বারোবাজারের নাম ছিল ছাপাইনগর। এ নগর ছিল হিন্দু আর বৌদ্ধ শাসকদের রাজধানী। বারোজন সহচর নিয়ে খানজাহান আলী এখানে আসেন। সেখান থেকেই এর নাম বারোবাজার। যুদ্ধ কিংবা মহামারিতে ছাপাইনগর ধ্বংস হয়ে যায়। থেকে যায় প্রাচীন ইতিহাস।

বারোবাজারের মসজিদগুলোর সঙ্গে বাগেরহাটের কয়েকটি মসজিদের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বারোবাজার। মহাসড়ক ছেড়ে তাহেরপুর সড়ক ধরে পশ্চিম দিকে যেতে রেল লাইন পেরিয়ে হাতের ডানে শুরুতেই পাওয়া যাবে এক গম্বুজ বিশিষ্ট পাঠাগার মসজিদ।

লাল ইটের তৈরি এই মসজিদ আকারে ছোট। দীর্ঘদিন মাটি চাপা পড়ে থাকার পর ২০০৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। জনশ্রুতি আছে সুলতানী আমলে নির্মিত এই মসজিদ কেন্দ্রীক একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল। মসজিদের পাশেই বড় আকারের একটি দিঘি, নাম পিঠেগড়া পুকুর।

আবারও তাহেরপুর সড়ক ধরে সামনে এগুতে হবে। দুটি বাঁক ঘুরলেই বিশাল দিঘি, নাম পীর পুকুর। পশ্চিম পাড়ের মাঝ বরাবর বেশ বড় আকৃতির মসজিদ পীর পুকুর মসজিদ। এই মসজিদও ছিল মাটির নিচে। ১৯৯৪ সালে খনন করে বের করা হয়েছে। এই মসজিদে ছাদ নেই, শুধু দেয়াল আছে। মসজিদটি লাল ইটের তৈরি।

তাহেরপুর সড়ক ধরে সামান্য পশ্চিম দিকে এগুলে হাতের বাঁয়ে একটু ভেতরের দিকে আরেকটি মসজিদের দেখা মিলবে। এর নাম গোড়ার মসজিদ। এই মসজিদ চার গম্বুজ বিশিষ্ট। মসজিদের মিহরাব ও দেয়ালে পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা ফলের নকশাসহ নানান কারুকার্য মণ্ডিত। বাইরের দেয়ালও লাল ইটে মোড়ানো।

১৯৮৩ সালে এই মসজিদের সন্ধান পায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর পূর্ব পাশেও বড় আকৃতির একটি দিঘি আছে। মসজিদটি খননের সময় একটি কবরের সন্ধান মেলে। জনশ্রুতি আছে কবরটি গোড়াই নামে কোন এক দরবেশের। এ থেকেই এর নাম গোড়ার মসজিদ।

গোড়ার মসজিদ থেকে আবারও তাহেরপুর সড়কে সামনের দিকে চলতে হবে। সামান্য গেলে সড়কটির উত্তর পাশে আরও একটি মসজিদ। চার গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের নাম শুনলে ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।

নাম ‘গলাকাটা মসজিদ’। প্রায় ২১ ফুট লম্বা ও ১৮ ফুট চওড়া এই মসজিদ খনন করা হয় তোলা হয় ১৯৯৪ সালে। ছয় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব আছে। এর দেয়ালগুলো প্রায় পাঁচ ফুট চওড়া। মাঝখানে আছে লম্বা দুটি কালো পাথর। ১৯৯৪ সালে মসজিদের পাশেই পুরো এলাকা— তথা শহর মোহাম্মদাবাদের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর নির্দেশনা সম্বলিত হাতে আঁকা একটি মানচিত্র।

জনশ্রুতি আছে, বারোবাজারে এক অত্যাচারী রাজা ছিল। প্রজাদের বলি দিয়ে ওই দিঘির মধ্যে ফেলে দিত সে। এ কারণেই এর নাম হয় গলাকাটা।


গলাকাটা মসজিদ থেকে সামান্য পশ্চিম পাশে, সড়কের বিপরীত দিকে আরেকটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। নাম জোড় বাংলা। মসজিদটি খনন করা হয় ১৯৯৩ সালে। খননের সময় এখানে একটি ইট পাওয়া যায়, তাতে আরবী অক্ষরে লেখা ছিল, 'শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে হুসাইন, আটশো হিজরী'।

জনশ্রুতি আছে মসজিদের পাশে জোড়া কুড়েঘর ছিল বলেই এর নাম জোড় বাংলা মসজিদ।

এবার পাশের সড়ক ধরে আরও কিছু দূরে এগুলে সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদের সাইন বোর্ড চোখে পড়বে। পাকা সড়ক ছেড়ে হাতের ডানে মেঠোপথে সামান্য সামনের দিকে চলতে হবে। এখানেও বড় একটি পুকুরের দক্ষিণ পাশে সাতগাছিয়া আদিনা মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। এটির শুধু দেয়াল আর নিচের অংশই অবশিষ্ট আছে।

জানা জায় সর্বপ্রথম গ্রামের লোকজনই মাটিচাপা পড়ে থাকা এই মসজিদ উদ্ধার করে। আকারে এ এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। প্রায় ৭৭ ফুট লম্বা ও ৫৫ ফুট চওড়া মসজিদের ভেতরে আছে ৪৮টি পিলার। পশ্চিম দেয়ালে লতা-পাতার নকশা সমৃদ্ধ তিনটি মিহরাব আছে।

সাতগাছিয়া মসজিদ থেকে এবার চলে আসা যাক পেছনের দিকে। বারোবাজার রেল লাইনের পশ্চিম দিকে বিশাল এক দিঘির পশ্চিম পাড় ধরে একটি সড়ক চলে গেছে হাসিলবাগ গ্রামে। এখানেও একটি বড় দিঘির পশ্চিম পাশে রয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট নুনগোলা মসজিদ।

বর্গাকৃতির এ মসজিদে তিনটি অর্ধ বৃত্তকার মিহরাব আছে। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ এটি। স্থানীয়রা একে লবণগোলা মসজিদও বলে থাকেন। তবে এ নামকরণের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না।

নুনগোলা মসজিদের সামান্য পশ্চিমে হাসিলবাগ গ্রামে আরও একটি এক গম্বুজ মসজিদ আছে। হাসিলবাগ মসজিদ নামে পরিচিত এ মসজিদের মূল নাম শুকুর মল্লিক মসজিদ। পোড়া মাটির তৈরি মসজিদটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে ছোট এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।

এসব স্থাপনাগুলো ছাড়াও বারোবাজারে আছে আরও কিছু প্রসিদ্ধ স্থান। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঘোপের ঢিবি কবরস্থান, নামাজগাহ কবরস্থান, জাহাজঘাটা, মনোহর মসজিদ, দমদম প্রত্নস্থান, বাদেডিহি কবরস্থান, খড়ের দিঘি কবরস্থান।

সময় থাকলে ঢুঁ মারতে পারেন এসব জায়গাতেও।

10

দেহের বাড়তি ওজন কামানোর জন্য কত আয়োজন! তবে যাদের হালকা পাতলা গড়ন তাদের জন্য চাই স্বাস্থ্য বাড়ানোর খাবার।


বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে আছে ডায়েট কন্ট্রোল এবং ব্যায়াম। তবে অনেকে আছেন যারা নিজেদের হালকা পাতলা গড়ন নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে না তোলা আর অনিয়মের কারণে যাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সম্ভব হয় না, তাদের খাবারের তালিকায় কিছু খাবার রাখা খুবই জরুরি। এমনই কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করে ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ, অফিস অফ ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে সেলেনিয়াম নামক একটি খনিজ উপাদানের নাম উল্লেখ করা হয় যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তবে অতিরিক্ত সেলেনিয়াম আবার স্বাস্থ্যর ক্ষতিও করতে পারে।

‘দ্য সাপ্লিমেন্ট হ্যান্ডবুক’ বইয়ের লেখক ও ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের মেন’স হেল্থ প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী ডা. মার্ক মোয়াদ বলেন, “যদি নিয়মিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত সেলেনিয়াম গ্রহণ করা হয় তাহলে তা টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাছাড়া আরও কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”

তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত সেলেনিয়াম গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলোর নাম এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।

বাদাম

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বাদাম রাখা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। বাদাম শরীরে সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।

মাছ

প্রতিদিনের খাবারে যে কোন মাছ রাখা খুবই দরকার। কারণ মাছে আছে নানান ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা স্বাস্থ্য গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।

তবে টুনা মাছে রয়েছে সব থেকে বেশি পরিমাণে সেলেনিয়াম। সামুদ্রিক মাছ সারডিন, চিংড়ি ইত্যাদিতে সেলেনিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য খাবারের তালিকায় মাছ রাখা দরকার।

মাংস

মাংসে রয়েছে প্রায় মাছের সমপরিমাণ সেলেনিয়াম। গরু, খাসি, মুরগি ইত্যাদি মাংস নিয়ম করে খাওয় উচিত। প্রতিদিন মাংস খাওয়া তেমন একটা স্বাস্থ্যকর নয় বরং ক্ষতি করতে পারে। তাই নিয়ম করে খাবারের তালিকায় মাংস রাখতে হবে।

পনির

সেলেনিয়াম ও ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস। আর স্বাস্থ্য গঠনের জন্য এই দু’টি উপাদান অত্যন্ত জরুরি।

শস্য দানা

ভাত, ওটস, কর্ন ফ্লেকস ইত্যাদি খাবারে স্বাস্থ্য গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে। তবে পরিশোধিত চাল ও গমের তুলনায় লাল আটার রুটি এবং লাল চালের ভাত বেশি পুষ্টিকর। তাই যারা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাদের খাবারের তালিকায় অবশ্যই এই খাবারগুলো রাখতে হবে।

11

খাওয়ার পর অনেকেরই নানান ধরনের অভ্যাস থেকে থাকে। তবে এর অনেকগুলোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই খাওয়ার পর কিছু কিছু অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে খাওয়ার পর অভ্যাস যে অভ্যেসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনে সেগুলো তুলে ধরা হল।

গোসল করা

গোসলের পরপর হাত এবং পায়ের রক্ত চলাচলের পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে পাকস্থলিতে রক্ত চলাচলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কমে যায়। আর খাওয়ার পর পেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত চলাচল খুবই জরুরি। তা না হলে খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটে। তাই খাওয়ার ঠিক আগে বা পরে গোসল করা উচিত নয়।

ধূমপান

যারা নিয়মিত সিগারেট পানে অভ্যস্ত তাদের ভরপেট খাওয়ার পর যেন একটি সিগারেট না হলেই নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার পরপর একটি সিগারেট খাওয়া ১০টি বা তারও বেশি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর।

অনেকেই মনে করেন ভারি খাবার খাওয়ার পর সিগারেট হজমে সাহায্য করে, তবে এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। ধূমপান বরাবরই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, খাওয়ার পরই যদি সিগারেট খাওয়া হয় তাহলে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যায়।

ফল খাওয়া

ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। ওজন কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও জুরি নেই ফলের। তবে রাতে বা দুপুরের খাবারের পরপর ফল না খাওয়াই ভালো। কারণ খাওয়ার পর ফল খেলে তা খাবার হজমের পর পাকস্থলি থেকে অন্ত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই ডাক্তাররা খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

চা পান

চা’য়ে আছে অ্যাসিডিক উপাদান। আর প্রোটিনের সঙ্গে অ্যাসিড বিপরীত প্রতিক্রিয়া করতে পারে যা হজমে সমস্যা করে থাকে। অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাস্তার আগেই চা পানে অভ্যস্ত। তবে এই অভ্যাস যত দ্রুত সম্ভব ত্যাগ করা উচিত। বরং খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর চা পান করা উচিত।

 

 

বেল্ট ঢিলা করে নেওয়া

দাওয়াতে গিয়েছেন। পেট পুরে খাবেন বলে প্যান্টের বেল্ট ঢিলা করে খেতে বসলেন। তবে খেতে বসার আগে যদি বেল্ট ঢিলা করে নেওয়া হয় তাহলে খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায় আর ফলে ওজনও বাড়ে। তাই খেতে বসার আগে বেল্ট ঢিলা করে নেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
 

খাওয়ার পরেই ঘুম

ভারি খাবার খাওয়ার পর কিছুটা ঝিমুনিভাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে খাওয়ার পরপরই ঘুমানো ঠিক নয়। কারণ এতে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমানোর পর পুরো শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ার গতি কমে যায়। তাই খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না। আর খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই খাওয়ার পরপরই না ঘুমিয়ে কিছুটা সময় অপেক্ষা করে তারপর শুতে যাওয়া উচিত।

12

প্রাণঘাতী এইডস রোগের ভাইরাস এইচআইভির সংক্রমণ ও এর সংহারী ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


আফ্রিকার দুই হাজার নারীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, এ ভাইরাস দ্রুত বিবর্তিত হচ্ছে। মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে এইচআইভি সংক্রমণের পর এইডসে আক্রান্ত হতে আরো বেশি সময় লাগছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধারা অব্যাহত থাকলে এক সময় মানব দেহের ক্ষতি করার ক্ষমতা এ ভাইরাস অনেকটাই হারিয়ে ফেলবে বলে গবেষকরা আশা করছেন।

তিন দশক আগে এইডসের বিস্তার শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চার কোটির বেশি মানুষ এ রোগে মারা গেছেন। বিশ্বের সাড়ে তিন কোটি মানুষ নিজেদের শরীরে এইচআইভি বহন করছেন। তবে তাদের সবাই এইডসে আক্রান্ত নন।

এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে শুরু হয় লড়াই।  আর তাতে এইচআইভি জয়ী হলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে অন্য কোনো সংক্রামক রোগ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা শরীরের থাকে না। এই অবস্থার নামই এইডস, যা শেষ পর্যন্ত রোগীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে গবেষক দল প্রধান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ গোল্ডার বলেন, “মোটের উপর বলা যায়, আমরা এইচআইভির দ্রুত এইডস সৃষ্টির সামর্থ্য কমিয়ে দিতে পেরেছি। তবে এইচআইভি তার ক্ষমতা হারিয়েছে এটা বলা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।”
“এটি এখনো একটি ভাইরাস, যাকে নিজের শরীরে রাখতে চাইবেন না,” বলেন ফিলিপ।

সোমবার বিশ্বব্যাপী এইডস সচেতনতা ও প্রতিরোধের নিযুক্ত কর্মীরা জানান, এবারই প্রথম নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা এইডসের চিকিৎসা নিতে আসা নতুন রোগীর সংখ্যার তুলনায় কমেছে। এইডসে মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে তারা মনে করছেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই গবেষণা প্রবন্ধটি সোমবার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

13

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, লাচ্ছি ছাড়াও প্রতিদিনের খাবারে দই থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
 


গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, প্রতিদিন এক সার্ভিং ২৮ গ্রাম দই খাওয়ার সঙ্গে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ১৮ শতাংশ কমাতে সহযোগিতা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের অধ্যাপক এবং এই গবেষণার জ্যেষ্ঠ গবেষক ফ্র্যাঙ্ক হু বলেন, “আমরা দেখেছি যে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর সহযোগী হিসেবে বেশি মাত্রায় দই গ্রহণের সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার এবং মোট দুধ গ্রহণও এই সাহায্য করে না।”

হু আরও জানান, এই আবিষ্কার ধারণা দেয় যে স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হতে পারে দই।

যখন শরীর যথেষ্ট পরিমাণে ইন্সুলিন উৎপন্ন করতে পারে না বা শরীরের কোষ ইন্সুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে তখন দীর্ঘস্থায়ী রোগ হিসেবে টাইপ টু ডায়াবেটিস হয়।

দেখা গেছে, টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর চর্বির প্রকার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা উন্নত করতে পারে লাচ্ছিতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাক্টেরিয়া। গবেষকরা পরামর্শ দেন, এই প্রক্রিয়া রোগের ঝুঁকি কমিয়ে অবস্থা উন্নত করতে পারে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার ইতিহাস ও জীবনযাত্রার অভ্যেস নিয়ে তৈরি করা তিনটি একইরকম গবেষণার ফলাফল একত্র করে গবেষকরা এই কাজ করেন। গবেষণায় মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯শ’ জনের তথ্য যুক্ত করা হয়।

এদের মধ্যে ১৫ হাজার ১শ’ ৫৬ জনের টাইপ টু ডায়াবেটিস ছিল।

খাবারের পাশাপাশি বয়স এবং বিএমআই’য়ের (বডি ম্যাস ইনডেক্স) সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কারণ সমন্বয়ের সময় দেখা গেছে, দই গ্রহণের ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। 

মার্চ ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত এই ধরনের অন্যান্য গবেষাণার ফলাফলের সঙ্গে এই গবেষণার ফলাফল একত্র করার মাধ্যমে গবেষকরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়। 

এই গবেষণা বিএমসি মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়।

14
Fruit / কমলার পুষ্টিগুণ
« on: November 27, 2014, 11:04:11 AM »

ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমন কি হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা।



টক মিষ্টি স্বাদের ফল কমলায় রয়েছে ভরপুর ভিটামিন। তাছাড়া আরও আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কমলার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়।

প্রদাহ সারাতে কার্যকর

রক্তে থাকা ক্ষতিকর ও প্রোদাহজনক মৌল থেকে রক্ষা করে ভিটামিন সি। সিট্রাসজাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। আর কমলা হচ্ছে ভিটামিন সি’র অন্যতম উৎস।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে

কমলায় রয়েছে নারিজেনিনের মতো বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যা উন্নত মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামাটর।  এছাড়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের অক্সিজেনের অণু স্থিতিশীল করতে এবং ফ্রি রাডিক্যালস নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে।  এই নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতার কারণে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না। তাছাড়া ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে কমলা। তাই একটু বেশি বয়সি মহিলাদের জন্য কমলা খুবই উপকারী।

ত্বকের জন্য ভালো

কমলার ভিটামিন ত্বক নমীয়, কোমল এবং সুন্দর করতে সাহায্য করে। প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কমলা ব্যবহার করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

কমলা ‘ক্যালরি ফ্রি’ ফল হিসেবে পরিচিত, আর এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কমলার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি যেমন থিয়ামাইন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি সিক্স, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে কমলায়।

ওষুধ শোষণ

শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে কমলা। এই ফলের রস ওষুধের বায়োকেমিক্যাল ও সাইকলজিকাল প্রভাব শরীরে গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি

চোখের জন্য ভিটামিন এ দরকার। আর কমলায় বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।

হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে

কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে।

পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

কমলার চর্বিহীণ আঁশ, সোডিয়াম মুক্ত এবং কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক

কমলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে আলফা ও বেটা ক্যারোটিনের মতো ফ্ল্যাভনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কমলার উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ হচ্ছে ফ্ল্যাভনয়েড যা ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।

শর্করা নিয়ন্ত্রণ

কমলার খোসায় চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রেণ রাখতে হয়। তাই কমলার পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী।

15
শীত আসি আসি করছে। এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। মাত্রাতিরিক্ত ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের ঠোঁট ফেটেও যায়, যা খুবই অস্বস্তিকর।শীতের সময়ে ঠোট ফাটা সমস্যা খুব সহজ কিছু উপায়ে এড়াতে পারেন।

১. যাদের ঠোঁট ভীষণ শুকিয়ে যায় তাদের একটি বদ অভ্যাস তৈরি হয়। যা হল কিছুক্ষণ পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকে ভাবেন এটি করলে ঠোঁট শুকোবে না। কিন্তু এতে ঠোঁট আরো বেশি শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই এই কাজটি থেকে বিরত থাকুন।

২. ঠোটে লিপজেল বা ভেসিলিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিন। অনেকেই যে কোনো ব্র্যান্ডের লিপজেল বা ভেসিলিন ব্যবহার করে থাকেন। মানহীন পণ্য ব্যবহারে ঠোটের ক্ষতির পাশাপাশি ঠোঁটের শুষ্কতার ভাব বেশ বেড়ে যায়। এসপিএফ সমৃদ্ধ লিপজেল ব্যবহার করুন।

৩. প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের শুকিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে করে ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর আপনি ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

৪. মেয়েরা ঠোঁটে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এতে করে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। ঠোঁটের ত্বকের ক্ষেত্রে যদি ভাল প্রসাধনী ব্যবহার না করেন তবে ঠোঁট শুকিয়ে গিয়ে তা ফেটে যায় এবং আরো অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভাল কোনো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করুন।

৫. ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময় একটু সাবধানে ব্যবহার করুন যাতে ঠোঁটে না লেগে যায়। কারণ এতে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

Source: http://prohornews.com/details.php?.dpuf

Pages: [1] 2 3 ... 22