Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shawket

Pages: 1 ... 5 6 [7]
91
তুতেনখামেনের সমাধিতেই নেফারতিতি?

প্রাচীন মিসরের রানি নেফারতিতিকে সম্রাট তুতেনখামেনের সমাধির ভেতরেই গোপনে কবর দেওয়া হয়েছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব গবেষক নিকোলাস রিভস এ কথা জানিয়েছেন। নেফারতিতির দেহাবশেষ কোথায় তা নিয়ে এ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

সৌন্দর্যের কিংবদন্তি নেফারতিতির জন্ম, মৃত্যু আর শাসনকাল—সবই নানা রহস্যে ঘেরা। কথিত আছে, স্বামী সম্রাট আখেনাতেনের পাশাপাশি তিনিও সাম্রাজ্য পরিচালনায় অনেক ক্ষমতা চর্চা করতেন। অবশ্য এ ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ মেলেনি।

সম্রাট তুতেনখামেনের সমাধির খোঁজ মেলে ১৯২২ সালে। সম্ভবত তিনি নেফারতিতিরই ছেলে ছিলেন। সর্বশেষ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তুতেনখামেনের কবরের পাশে একটি প্রকোষ্ঠের দরজা রয়েছে। রিভস মনে করেন, ওই প্রকোষ্ঠেই চিরনিদ্রায় শায়িত থেকে থাকতে পারেন নেফারতিতি।

প্রাচীন মিসর বিশেষজ্ঞরা মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিক রিভসের ওই ধারণার ব্যাপারে সতর্ক মতামত দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, নেফারতিতির সমাধির খোঁজ সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে তা আসলেই এক বড় সাফল্য হবে।

স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক পুরোনো শিল্পকর্ম সংস্কার বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিষ্ঠান গত বছর তুতেনখামেনের সমাধির ভেতরের বেশ কিছু ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে। নিকোলাস রিভস সেগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে সমাধিকক্ষের দেয়ালে একাধিক ফাটল চিহ্নিত করেন। এ থেকেই পেছনে সম্ভাব্য গোপন কুঠুরির দরজার ইঙ্গিত মেলে।

তুতেনখামেনের সমাধির গঠন নিয়েও গবেষকেরা ধাঁধায় পড়েন। কেন এটি অন্য ফারাওদের (মিসরীয় সম্রাটের উপাধি ছিল ফারাও) কবরের চেয়ে ছোট? রিভস মনে করেন, তুতেনখামেনের কবরের নকশাই বলে দিচ্ছে, সেখানে একজন রানিকে সমাহিত করার কথা ছিল। তিনি স্বীকার করেছেন, এ ধারণা ভুলও হতে পারে। তবে সত্যি হলে মিসরীয় পুরাতত্ত্ব গবেষকদের সামনে খুলে যাবে নতুন দিগন্ত।

Source: www.prothom-alo.com/international/article/601456/তুতেনখামেনের-সমাধিতেই-নেফারতিতি

92
নতুন কর্মজীবীদের জন্য ১০ সতর্কবাণী
সৈয়দ আখতারুজ্জামান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্রিজ ইনস্টিটিউট অব ট্রেনিং অ্যান্ড কনসালট্যান্সি

কর্মজীবনের ২০ বছর শেষে পেছনে ফিরে দেখতে পাই, সারি সারি ভুলের পাহাড়। অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস ফেলি-ভুলগুলো যদি কেউ ধরিয়ে দিত সেদিন! কেউ যদি বলে দিত-কোন পথে বিপদ ঘাপটি মেরে আছে, কোন কোন পথে আছে কাঁটা বিছানো। তাই নতুন কর্মজীবীদের জন্য রইল অভিজ্ঞতালব্ধ ১০ সতর্কবাণী।

এক. লক্ষ্য
১০ বছর পরে আমি কী হতে চাই, তা আজকেই ঠিক করতে হবে। ঠিক করতেই হবে। স্রোতে ভাসমান কচুরিপানার মতো ভেসে চলা যাবে না। নিজের ভবিষ্যৎ ঠিকানা বসের হাতে সঁপে দেওয়া যাবে না। নিজের যোগ্যতা, ভালোলাগা, ভালোবাসা, আগ্রহের জায়গাটা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে। আলোচনা করুন, পরামর্শ নিন, ভাবুন, যোগ-বিয়োগ করুন, যা ভালো মনে হয় সবটা করুন, কিন্তু নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিন। আপনার লক্ষ্য স্থির করুন-কী হতে চান জীবনে।

দুই. আদর্শ নেতা ও আসল বন্ধু
আপনার লক্ষ্য অর্জনে দুজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে-একজন আদর্শ গুরু বা নেতা এবং অন্যজন আসল বন্ধু, যে বিপদে আপনার পাশে থাকবে। যত দিন বেঁচে থাকবেন এই দুজন মানুষের সন্ধান করতেই থাকবেন। দেখবেন আদর্শ গুরু অনেককেই প্রাথমিকভাবে মনে হবে, কিন্তু পরে দেখবেন সে আপনার আদর্শ গুরু নয়। যাঁকে খুব কাছের বন্ধু বলে মনে করেছিলেন, তাঁকে সুযোগসন্ধানী বলে আবিষ্কার করতে পারবেন অচিরেই। ধৈর্যহারা হবেন না। কর্মজীবনে মানুষ চিনতে ভুল করবেন না। বন্ধুবেশী শত্রু, স্বার্থপর বস ভূরি ভূরি পাবেন। কদাচিৎ আদর্শ নেতা আর আসল বন্ধু খুঁজে পাওয়া যায়।

তিন. সুযোগ
সুযোগ বারবার আসে না। প্রথম সুযোগকে আমরা 'এমন সুযোগ আরো আসবে' ভেবে হাতছাড়া করি। ভুল! ভালো চাকরির অফার, বড় দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ, চ্যালেঞ্জিং পেশা ইত্যাদির সুযোগ এলে ভয়ে এড়িয়ে যাবেন না। কেবল সাহসীরাই ঠাণ্ডা মাথায় সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকেন।

চার. সরল মন
সরল মনে সবাইকে সব কথা শেয়ার করবেন না। পরিকল্পনা সব সময় গোপন রাখুন। অহেতুক গল্পের ছলে আপনার কর্মজীবন সম্পর্কে কোনো ভাবনা, পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। অন্যের ভাবনাগুলো শুনুন। ভালো শ্রোতা হন। আরো শুনুন। অনেক শুনুন। কম কথা বলার অভ্যাস আপনাকে বহু বিপদ থেকে বাঁচাবে।

পাঁচ. সামলে রাখুন
আপনার কম্পিউটার, আপনার ফাইল, ডকুমেন্ট, ই-মেইল, আপনার ডায়েরি ইত্যাদি সামলে রাখুন। ফেসবুকে বন্ধু তালিকা নির্বাচন করুন সাবধানে। আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অফিসের কলিগদের সব কিছু সব সময় জানাতে নেই। কিছুটা যা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত, তা সংরক্ষণ করুন একান্তে। দুর্বলতা অনেক সময় শত্রুর হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। আপনার সচ্ছলতায় প্রিয় বন্ধুও জেলাস ফিল করতে পারে। শুরু করে দিতে পারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। তাই সামলে রাখুন আপনার সম্পদ, স্বপ্ন আর সচ্ছলতা।

ছয়. বসের অন্ধ ভক্ত
বসের অন্ধ ভক্ত হবেন না। অনেক বস আছেন, যাঁরা নিজের স্বার্থে অধীনস্থদের ব্যবহার করেন। চৌকস বস মাত্রেই চৌকস বক্তা হন। শব্দ, বাক্য ও উদাহরণের যুক্তিবাণে তরুণ কর্মজীবীদের আবিষ্ট করে রাখেন এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রতিষ্ঠানের বা নিজের স্বার্থে আপনাকে ভুল পথে ধাবিত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হন না তাঁরা। আপনি যদি অন্ধ না হন, অচিরেই বুঝতে পারবেন। চিনে নিন, আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীকে।

সাত. অফিস ও পরিবার
অফিস ও পরিবার দুটি আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনটার গুরুত্ব কোনটার চেয়ে কম নয়। অফিসের কাজের চাপে পারিবারিক সময় জলাঞ্জলি দেবেন না। যিনি অফিসের কাজ ম্যানেজ করে সপ্তাহে এক দিন পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারেন না, তাঁকে কী দক্ষ কর্মকর্তা বলা যাবে? খেয়াল রাখবেন, পরিবারের ইস্যুগুলো অফিসের কাজের ওপর যেন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে।

আট. অফিস রাজনীতি
আপনাকে অফিস রাজনীতি বুঝতেই হবে। রাজনীতি করতেও হবে, যদি ওপরে উঠতে চান। অফিসের উঁচু, নিচু সর্বস্তরে রাজনীতির জাল বিছানো রয়েছে। চোখ-কান খোলা রাখুন, খেলাগুলো বুঝতে পারবেন। নিজেকে রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র নিজেকে যতটা সম্ভব লুকিয়ে রাখা, কথা কম বলা। আপনার সম্পর্কে যেন কেউ সুনির্ধারিত কিছু বলতে বা ভাবতে না পারে। ভাববে এক, ঘটবে আরেক। এই খেলা জটিল। কোনো নির্দিষ্ট গ্রামার নেই। কার সঙ্গে খেলবেন, কেন খেলবেন, কিভাবে খেলবেন, বুঝে যাবেন।

নয়. যোগ্যতা
অনবরত, বিরামহীন, চিরক্ষুুধার্তের মতো পেশাগত জ্ঞান আহরণ করবেন। আমৃত্যু। যোগ্যতা আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু, বৃহত্তম অস্ত্র, পরাক্রমশীল। আপনি যদি যোগ্য, দক্ষ ও সেরা হন, আপনার মূল্যায়ন হবেই-আজ না হয় কাল। হোক এই প্রতিষ্ঠানে, না হয় অন্য কোথাও। আপনার উজ্জ্বলতা কেউ আড়াল করতে পারবে না। আপনি যদি আন্তরিক হন, সচেতন ও সতর্ক হন, আর আপনার কাজটা ভালোভাবে করতে জানেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ার পথ হবে অনেক সুগম, অনেক ফলপ্রসূ।

দশ. ফলাফল
কারণ ছাড়া কোনো কিছুই ঘটে না। যেকোনো কাজের শেষে আছে ফলাফল। হোক তা ছোট, বড় বা নিতান্তই তুচ্ছ। তবু বোঝার চেষ্টা করুন, কেন এই ফলাফল হলো। যেকোনো কাজের আগাম ফলাফল অনুমান করুন। এটা একটা চর্চা। ক্যারিয়ার বা পেশার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চর্চা। আগাম অনুমান করতে পারার চর্চা। এক দিনে সফলতা আসে না। যৌক্তিকতা, ফলাফল, অভিজ্ঞতা এসব মিলেমিশে চর্চা করতে করতে একদিন অনুমান হয়ে ওঠে নির্ভুল। নির্ভুল ফোরকাস্ট করুন। কোনো ঘটনার ফলাফল আগাম প্রেডিক্ট করুন।

Source: http://www.kalerkantho.com/feature/a2z/2015/07/27/248898

93
মালয়েশিয়ায় সংকটে বাংলাদেশি ছাত্ররা

‘আন্তর্জাতিক মানের পড়াশোনা। পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি। নিজের খরচ চালিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠানোর সুযোগ।’—পত্রিকা বা অন্য কোনো মাধ্যমে এমন বিজ্ঞাপন দেখে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় এসে পড়াশোনা-আয়ের কথা ভেবে থাকলে এখনই সাবধান হোন। কারণ, এমন বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে মালয়েশিয়া এসে এখন ভয়াবহ সংকটে আছেন বাংলাদেশি ছাত্ররা। কাজ না পাওয়ায় পড়াশোনাও হচ্ছে না।

গত দুই সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় এমন শতাধিক ছাত্রের সঙ্গে দেখা হয়েছে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হোটেল ও সুপারশপে এখন যত বাংলাদেশি কর্মীর দেখা মিলছে, তাঁদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশি ছাত্র। নিজেদের কষ্টের কথা বলার পাশাপাশি দালালদের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়া না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনও এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে বলেছে।

মালয়েশিয়ায় পড়ার পাশাপাশি কাজ করতে এসে কত ছাত্র প্রতারিত হয়েছেন, তার সঠিক তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে নেই। তবে অনেকের মতে, এই সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ। এঁদের অনেকেই পড়তে এসে অবৈধ শ্রমিক হয়ে গেছেন। কারণ, দালালেরা এখানে আনলেও নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্টে ভিসার স্টিকার লাগায়নি। আবার দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করেও কলেজের ফি পরিশোধ করতে পারছেন না অনেক ছাত্র। ফলে অবৈধ হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হতে হচ্ছে। আবার অনেকে মালয়েশিয়ায় আসার খরচ তুলতে গিয়ে পুরোপুরি শ্রমিক হয়ে গেছেন। অনেকে নিজেরাই দালাল হয়ে দেশ থেকে ছাত্র আনার ব্যবসায় নেমেছেন।

কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনের কাছে মালয়েশিয়ার চেইন সুপারশপ মাইডিনের একটি বিশাল শাখা আছে। সেখানে দেখা গেল, বিক্রেতা হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের প্রায় সবাই বাংলাদেশি তরুণ। তাঁরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কলেজের ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ঢাকার মিরপুরের মাহবুবুর রহমান দুই বছর আগে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এসেছেন টিএমসি কলেজে পড়তে।

মাহবুব বলেন, সপ্তাহে দুই দিন কলেজে যান। বাকিটা সময় কাজ করেন। কিন্তু এরপরও বছর শেষে কলেজে সাড়ে ছয় হাজার রিঙ্গিত (প্রায় দেড় লাখ টাকা) দিতে অনেক কষ্ট হয়। সেই টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেকে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন। তিনি অনুরোধ জানান, দালালদের কথায় প্রলোভনে পড়ে বাংলাদেশ থেকে আর কেউ যেন পড়তে না আসে।
মাইডিনের ওই সুপারশপের ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম। নয় বছর ধরে আছেন এখানে। তিনি বললেন, এই শাখায় ২৬০ থেকে ২৭০ জন বাংলাদেশি ছাত্র খণ্ডকালীন চাকরি করেন। ঘণ্টায় পারিশ্রমিক পাঁচ রিঙ্গিত (এক রিঙ্গিতে বাংলাদেশি ২০ টাকা)। আট ঘণ্টা কাজ করেন। কিন্তু এই আয়ে তাঁরা কিছুই করতে পারেন না। ফলে লেখাপড়াও হয় না। কাজেই এই ভুল যেন আর কেউ না করে। বাংলাদেশ সরকারেরও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সেলানগরের একটি রিসোর্টে কাজ করেন বাংলাদেশি ছাত্র মোহাম্মদ ফাহাদ। বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি বলেন, দালালদের কথায় পটে গিয়ে এসে দেখেন বাস্তবতা ভিন্ন।
বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ছাত্র বললেন, ছাত্র ভর্তি ও প্রতারণার দিক থেকে টিএমসি, লিংকন ও ভিক্টোরিয়া কলেজ সবচেয়ে এগিয়ে। এই তিন প্রতিষ্ঠানে সব মিলে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র আছেন। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড ফরেন একাডেমি, কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, মেলভার্ন কলেজ, লাইফ কলেজ, এডাম কলেজসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানেও আছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। কিছু ভাষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও আছেন। নামসর্বস্ব কলেজেও আছেন।

মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা বললেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনা বন্ধ হওয়ার পর এভাবে ছাত্র আসা বেড়েছে। গত তিন বছরে এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। জমজমাট ব্যবসার কারণে দুই দেশের দালালেরা এক হয়ে মালয়েশিয়ার অলিতে-গলিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। আর ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন স্থানে আকর্ষণীয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমন কয়েক শ ছাত্রকে কর্মস্থল থেকে আটক করেছে।

মালয়েশিয়ার মালয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বললেন, মালয়েশিয়ায় যাঁরা সত্যিকারভাবে পড়তে আসবেন তাঁরা একটু খোঁজখবর করলেই স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। এখানে কোনো স্তরেই ছাত্রদের বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ নেই।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র হিসেবে কেউ মালয়েশিয়ায় আসতে চাইলে তাকে এসে শুধু লেখাপড়া নিয়েই থাকতে হবে। এখানে তার আয়ের সুযোগ নেই। শ্রমিক হিসেবে এলে শুধু শ্রমিক। কেউ যেন ছাত্র হিসেবে এসে শ্রমিক না হয়ে যায়। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করছি।’

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/582550

94
আমেরিকান ভিসা প্রসেসিংয়ের খুঁটিনাটি

আপনি কি আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক? অনেকের কাছেই স্বপ্নের শহর আমেরিকা।তবে আমেরিকা যাওয়া এখন ভীষণ কঠিন।
বর্তমান যুগে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে তবেই আমেরিকার ভিসা আবেদন করতে হয়। অন্য যেকোন দেশের নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করা ও কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয় ইমিগ্রান্ট ভিসার মাধ্যমে। শুধুমাত্র ডাইভার্সিটি ভিসা ব্যতীত সকল ইমিগ্রান্ট ভিসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন সার্ভিসের মাধ্যমে http://www.uscis.gov আবেদন জমা দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ইমিগ্রান্ট ভিসা তাদের জন্য বরাদ্দ যারা:
-যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক বা বৈধভাবে বসবাস কারীদের নিকট আত্মীয়।
-যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃক নির্ধারিত পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন লোকজন।

সাক্ষাৎকারের সময়ঃ
জন্ম, বিবাহ, তালাক, মৃত্যু এবং পুলিশ সনদের মূল এবং ফটোকপির সাতে এক সেট ফটোকপি নিতে হয়। ফটোকপিগুলো রেখে মূলকপিগুলো দিয়ে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কাগজপত্রের পাঠযোগ্য না হলে পুনরায় সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।আবেদনপত্রের সাথে জমা দেয়া কাগজপত্র দূতাবাস থেকে ফেরৎ দেয়া হয় না।আবেদনপত্রের সাথে বাংলা কাগজপত্রের ইংরেজী অনুবাদ কপি জমা দিতে হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজ
পাসপোর্ট: পাসপোর্টের মেয়াদ ভিসা ইস্যুর তারিখ থেকে আট মাস থাকতে হয়; ছবি: প্রত্যেক আবেদনকারীর দু’কপি ইমিগ্রেন্ট/ডিভি ছবি ইমিগ্রান্ট ভিসার আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করতে হয়;  নিবন্ধনকৃত জন্ম ও মৃত্যু সনদপত্র; তালাক/ বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিলপত্র; মেডিকেল রিপোর্ট; ভরন-পোষণের এফিডেভিট বা এফিডেভিট অব সাপোর্ট; আয়কর রিটার্ন;পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ পত্র; পিটিশনারের বর্তমান বাসস্থানের প্রমাণ;পুলিশ সনদ

ফি
যদি এজেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরনের ফি দিয়ে থাকে তাহলে আবেদনকারীকে ফি দিতে হয় না।এজেন্ট ফি না দিলে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বাবদ ২৩০ ইউএস ডলার (সমপরিমাণ টাকা) ফি দিতে হয়। এই ফি নগদ অর্থে পরিশোধ করতে হয়।

বিবাহ সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ সিভিল আইন অনুযায়ী সকল বিবাহকে উপযুক্ত বিবাহ নিবন্ধন কারকের সাথে নিবন্ধন করন করতে হয়।মুসলিম বিবাহ: বিবাহ সনদ ও নিকাহ্ নামার জন্য কাজী অফিস বা যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তার সাথে যোগাযোগ করতে হয়। বিবাহ সনদপত্র ও নিকাহনামায় বাংলা বা ইংরেজী কপি ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হয়।হিন্দু/বৌদ্ধ/খ্রিষ্টান আবেকারীদের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিবাহ নিবন্ধনকরণ বা পুরোহিত/ গির্জা/ মন্দির হতে সনদপত্র ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হয়।আবেদনকারী আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিবারের সদস্যদের থেকে বিবাহের এফিডেভিট কাগজ গ্রহণযোগ্য হয় না।

মেডিকেল পরীক্ষা
দূতাবাসের অনুমোদিত চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে অভিবাসনের বা ইমিগ্রান্টের উপযুক্ত বলে ঘোষিত হতে হয়।  স্বাস্থ্যসম্মত উপযুক্ততার কাগজপত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ পথে দেখাতে হয়।ভিসা সাক্ষাৎকারের আগে নিজ দায়িত্বে ডাক্তারের কাছ থেকে সাক্ষাৎকারের সময় নিতে হয়। ডাক্তারী পরীক্ষার সময় আবেদনকারীর পাসপোর্ট ও একটি করে ফটো সাথে নিয়ে যেতে হয়।

মেডিকেল ফিঃ
১৫ বছরের কম- ১৬০০
১৫ বছরের অধিক-৩০০০

মনে রাখবেন-
কোন টিকা দানের প্রয়োজন হলে ডাক্তারী খরচ বেড়ে যায়।যক্ষা বা অন্যান্য সংক্রামক ব্যধির অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরীতে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে ডাক্তারী পরীক্ষায় ৫ দিনের মধ্যে বাড়তি ফি জমা দিতে হয়।
সকল ইমিগ্রান্টকে সংক্রামক রোগনাশক টিকা অবশ্যই নিতে হয়। এই সকল টিকা অনুমোদিত চিকিৎসকদের কাছে পাওয়া যায়। এই সকল টিকার সুফল ও ঝুঁকি সম্পর্কে ডাক্তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হয়।
ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট সরাসরি কনস্যুলার শাখায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের ৭ দিন আগে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করতে হয়।১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরর যক্ষার স্কিন টেস্ট করতে হয়। এই পরীক্ষার জন্য প্যানেল ডাক্তারের কাছে পরপর তিন দিন যেতে হয়। এই পরীক্ষা সাক্ষাৎকার তারিখের আগে শেষ করতে হয়।ডাক্তারী পরীক্ষায় রিপোর্ট ৬ মাসের বেশী পুরাতন হলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।

ছবি
ভিসা আবেদনকারীর জন্য ২ কপি ২× ২ ইঞ্চি (৫০×৫০ সি.সি) মাপের সাদা বা অফ হোয়াইট ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ্গিন ছবি হতে হয়। ছবিতে চিবুক থেকে চুলসহ পর্যন্ত মুখের মাপ ১ ইঞ্চি থেকে ইঞ্চির মধ্যে হতে হয়।  ছবিতে দুইকান, দুই চোখ ও সম্পূর্ণ চেহারা ভালোভাবে দেখা যেতে হয়।
আবেদনকারীর মাথা, মুখমন্ডল ও চুলসহ মাথার উপরিভাগ হতে থুতনীর নিচ ভাগ পর্যন্ত এবং উভয় পাশের চুলের রেখা দেখা যেতে হয়। ধর্মীয় ভাবে মাথা ঢাকা বা টুপি পরা ছবি গ্রহণযোগ্য হয় কিন্তু মুখমন্ডল খোলা থাকতে হয়।
গাড় রংয়ের চশমা বা মনোযোগ আকৃষ্ট হয় এমন কিছু পরে ছবি তোলা যায় না। তবে মেডিকেলের কারণে চোখের উপর পট্রি বা আচ্ছাদন দেয়া যেতে পারে।
সামরিক বাহিনী, বিমান কোম্পানী বা অন্য কোন প্রকারের টুপি পরা ছবি গ্রহণ করা যায় না।ছবির উপরিভাগ মসৃন ও চকচকে হতে হয়।
ছবি সাক্ষাৎকার তারিখের ৬ মাসের মধ্যে তুলতে হয় যাতে চেহারার বর্তমান অবস্থা বোঝা যায়।

পুলিশ সার্টিফিকেট
১৬ বা তার চেয়ে বেশি বয়সের আবেদনকারীকে নিম্নে উল্লেখিত পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে পুলিশ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
ক) বর্তমান আবাসস্থলের নিকটস্থ থানা থেকে
খ) আবেদনকারী আটক হয়ে থাকলে সেই কর্তৃপক্ষ থেকে
গ) আবেদনকারী যদি আমেরিকা ব্যতীত অন্য কোন দেশে অন্তত একবছর বসবাস করে থাকে তবে সেই দেশের পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকে প্রতি সার্টিফিকেট এর জন্য ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।
পুলিশ সার্টিফিকেট ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এবং বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যালোচিত, অনুমোদিত ও সত্যায়িত হতে হয়। আরো বিস্তারিত জানতে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে হয়। আটক রেকর্ডের পুলিশ সার্টিফিকেট, যাতে আটকের কারণ ও মামলার নিস্পত্তির বিবরণ থাকতে হয়।যেসকল দেশের পুলিশ সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না জানতে ভিজিট করা যেতে পারে এই ঠিকানায়
ttp://travel.state.gov/visa/fees/fees3272.html

জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সার্টিফিকেট
আবেদনকারীকে তার নিকটস্থ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। যেখানে জন্ম  বা যেখানে মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করা হয়েছে।হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডাক্তারের কাছ থেকে মৃত্যু সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়।

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রতিবেশীর কাছে থেকে নেয়া জন্ম সংক্রান্ত এফিডেভিট বা হলফনামা গ্রহণ করা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম যাওয়ার সময় যে জন্ম সনদ ব্যবহার করা হয়েছে তাও আই আর ৫ এম এফ ৪ কেসে জমা দিতে হয়।২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখের সনদ জমা দিতে হয়। সন্তান অভিবাসী হতে না চাইলে বা অভিবাসী হওয়ার যোগ্য না হলেও জন্ম সনদ জমা দিতে হয়।

95
উইন্ডোজের টুকটাক সমাধান

কম্পিউটারের সাধারণ কিছু কাজ অনেক সময় বেশ উপকারে আসে। এমন কিছু সাধারণ কৌশল দেওয়া হলো, যা প্রয়োগ করলে কম্পিউটারের খুঁটিনাটি সমস্যা দূর করা যায়।

কম্পিউটার চালু না হলে
কখনো কম্পিউটার চালু না হলে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সেফ মুড থেকে চালু (বুট) করা যায়। এ জন্য কম্পিউটার চালু করার বোতাম চেপে F8 চাপুন। তালিকা থেকে Last Known Good Configuration নির্বাচন করে আগে ভালো থাকা উইন্ডোজকে ফিরিয়ে আনা যাবে।

কম্পিউটারে বুট সমস্যা হলে Windows Startup Repair চেপে তা ঠিক করা যায়। এটি স্টার্ট-আপ (চালু হওয়া) সমস্যা দূর করে কম্পিউটারকে আবার চালু করবে।

সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট
কম্পিউটার চালাতে গিয়ে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ভালো থাকা অবস্থায় সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করে রাখলে প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো যাবে। এ জন্য Start Menu থেকে Accessories-এ যান। System Tools থেকে System Restore-এ ক্লিক করে খুলুন। আবার উইন্ডোজ সাত বা আটের স্টার্ট মেনুতে rstrui.exe লিখে এন্টার করতে পারেন। সিস্টেম রিস্টোর খুলে গেলে Next চেপে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পরের ধাপে Finish চাপলে নতুন সিস্টেম পয়েন্ট তৈরি হবে। ভবিষ্যতে উইন্ডোজের যেকোনো সমস্যায় তৈরি থাকা সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট থেকে উইন্ডোজকে ফিরিয়ে আনা যাবে।

সিস্টেম ফাইল চেকার
কম্পিউটারের সিস্টেমে কোনো সমস্যা তৈরি হলে সিস্টেম ফাইল চেকার ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা যায়। সাধারণত কম্পিউটারের কোনো ফাইল প্রতিস্থাপিত (রিপ্লেস) হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নষ্ট হলে ভালো ফাইল দিয়ে সিস্টেম ফাইল চেকার সেটি দূর করে।

এ জন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে cmd লিখুন। Command Prompt এলে তাতে ডান ক্লিক করে Run as administrator চেপে খুলুন। এবার কমান্ড প্রম্পটে sfc/scannow লিখে এন্টার করুন। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে রিপোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে কোনো সমস্যা বা ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নষ্ট ফাইল থাকলে ঠিক করে তা জানিয়ে দেবে।

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মুছুন
কম্পিউটারের কন্ট্রোল প্যানেল চালু করে ইনস্টল থাকা প্রোগ্রামগুলো চেক করে নিন। যদি অনাকাঙ্ক্ষিত বা অব্যবহৃত সফটওয়্যার থাকে তাহলে সেটি মুছে ফেলাই উত্তম।

মো. রাকিবুল হাসান

Source: www.prothom-alo.com/technology/article/579067/উইন্ডোজের-টুকটাক-সমাধান

96
সমৃদ্ধ নগর-রাষ্ট্র এথেন্স ফিওদর করোভকিন

খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে গ্রিসে এথেন্স নগর-রাষ্ট্র সবচেয়ে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এথেনীয়দের ধন-সম্পদের ফলে বড় বড় সার্বজনীন ভবন ও নগর রক্ষার্থে বিশাল বিশাল দুর্গ নির্মাণ সম্ভব হয়ে উঠেছিল। নিজেদের শহরের চারদিকে তারা মিনারসমেত দুর্গপ্রাচীর তুলেছিল। এমন সুদীর্ঘ প্রাচীর তারা তৈরি করেছিল যে লোকে বলত ‘লম্বাই’। এথেন্স থেকে পিরেউসগামী পথ এ প্রাচীরটি রক্ষা করত; শত্র“ কর্তৃক আক্রান্ত হলে এরই আড়ালে থেকে এথেন্সবাসী সমুদ্রের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করতে পারত।

স্থাপত্যের বিশেষ প্রসার ঘটেছিল এথেন্সের আক্রোপোলিসে। এখানে পারসিকদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির জায়গায় অপূর্ব সব মন্দির ও মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। এতে শুধু এথেনীয় রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে নয়, সমগ্র এথেনীয় নৌ-জোটের অর্থ-তহবিল থেকে অর্থ ব্যয়িত হয়েছিল। নির্মাণ কার্যের ফলে এথেনীয় কারিগর, পাথর কাটিয়ে, শকটচালক, মাঝি ইত্যাদি পেশার লোকজনদের পক্ষে সর্বদাই উপার্জন করা সম্ভব হয়েছিল।

সমুদ্রের রানী শক্তিশালী নৌবহর টিকিয়ে রেখেছিল। জাহাজে চাকরি করার জন্য এথেন্সের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে মাইনে দেয়া হতো; এথেন্সের বহু লোক দাঁড়ি ও মাঝিমাল্লার চাকরি নিয়ে এ মাইনের ওপরই জীবনধারণ করত।

একইভাবে অন্যান্য পদে আসীন ব্যক্তিদের, বিচারকদের পারিশ্রমিক দেয়া হতো। লটারির মাধ্যমে এসব পদে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বসানো হতো। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে ভূমিহীন নিঃস্ব ব্যক্তিরাও রাষ্ট্রীয় কাজকর্মের প্রায় সব পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অধিকার আদায় করেছিল। প্রচুর গরিব এথেনীয় সরকারি চাকরি করে সেই উপার্জনে কালাতিপাত করত। একটি হাসির কবিতায় বলা হয়েছে-

একটা কথা কি বলবে আমায়, বাবা-
বিচারের সভা নাই যদি বসে তবে,
সকালে ও রাতে মোদেরে কেমন করে
খাওয়াবে? পয়সা, বলি, কোত্থেকে হবে?

বিনামূল্যে কাঙালিভোজ করানোরও চল ছিল। এথেন্সবাসীকে কোনো খাজনা দিতে হতো না। এথেন্সের দাসমালিকভিত্তিক রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়া সম্মানজনক তো ছিলই, উপরন্তু তার সুযোগ-সুবিধাও ছিল বহু।

Source: http://www.jugantor.com/editorial/2015/07/14/293885

97
ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেওয়া-নেওয়ার ওয়েবসাইট (অনলাইন মার্কেটপ্লেস)। মুক্ত পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) এসব সাইট থেকে কাজ নিয়ে থাকেন। কিছু কৌশল জানা থাকলে কাজ পাওয়াটা হয় সহজ।

কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টা আবেদন করেও পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম অর্থে (ডলার) কাজটি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তার ওপর।
যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না, তাদের কাজে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে ভাড়া করতে হলে বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড হতে হয়।
কোনো একটা কাজ দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো। তবে আবেদন করার সময় কাভার লেটারটি এমনভাবে লিখবেন, যেন বায়ার বুঝতে পারে আপনি কাজটির বর্ণনা পড়েছেন এবং তা করতে পারবেন।
আপনি যত বেশি মার্কেটপ্লেসে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা। কারণ, কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো মার্কেটপ্লেসে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাৎ করে কোন ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গেই আপনি তার জবাব দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবে, আপনি কাজের প্রতি আন্তরিক।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন কাজ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব কাজে কোনো কনট্রাক্টরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো।
যেসব কাজে শর্ত দেওয়া রয়েছে, আর সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন, তবে সেসব কাজে আবেদন না করাই ভালো। যেমন Feedback Score: At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hour।
যাঁরা ওডেস্কে দু-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি ডলার দাম ধরে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে কাজের জন্য আবেদন করবেন, তার নিচে দেখুন বায়ারের আগের কাজগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন, বায়ার তার আগের কাজগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ দিয়েছিল, তবে বেশি ডলার হারে আবেদন করতে পারেন।
মো. আমিনুর রহমান
Source: http://www.prothom-alo.com/technology/article/571273/অনলাইনে-কাজ-পাওয়ার-কিছু-কৌশল

98
Internet / ফেইসবুক একাকিত্ব বাড়ায়
« on: September 09, 2014, 10:35:01 AM »
ফেইসবুক একাকিত্ব বাড়ায়

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ফেইসবুক আসক্তির কারণে নিজের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্টি এবং নিরাশা জাগতে পারে। আর এর ফলাফল অবসাদ ও হতাশা।

ফেইসবুক বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তবে বন্ধু এবং কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের এই মাধ্যমের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির কারণে ব্যবহারকারী ডুবে যেতে পারে হতাশায়।

অস্ট্রিয়ান মনোবিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা সাইগিওগ্লৌ এবং টোবাইস গ্রেইটমেইয়ার বলেন, “হতাশা এবং মন খারাপের সঙ্গে ফেইসবুকের সম্পর্ক রয়েছে।”

এ গবেষণার জন্য জার্মানের ১২৩ জন ফেইসবুক ব্যবহারকারীর উপর জরিপ চালানো হয়।

তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ফেইসবুকে বেশি সময় কাটানোর পর তাদের মন কিছুটা হলেও খারাপ হয়ে যায়।

এরপর আমাজন ম্যাকানিকাল টার্ক প্রোগ্রামের ২৬৩ জনের উপর জরিপ চালানো হয়। তাদের ক্ষেত্রেও ফেইসবুকের একই ধরনের প্রভাব দেখা যায়।

এরপর ১০১ জন ব্যবহারকারীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফেইসবুকে লগ-ইন করলে তাদের কেমন অনুভূতি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জানান, ফেইসবুক ব্যবহারের সময় তারা একাকিত্বই বেশি অনুভব করেন।


Source: http://www.ittefaq.com.bd/science-&-tech/

99
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডেভেলপার সুবিধা

সাধারণ ব্যবহারকারীদের নাগালের বাইরে রাখতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবলেটে এর ডেভেলপার সুবিধাটি লুকিয়ে রাখা হয়। যাঁরা অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে মাতামাতি করেন, তাঁরা চাইলে এ সুবিধাটা তাৎণিকভাবে চালু করতে পারেন। তখন অ্যান্ড্রয়েড সেটিংসের মূল মেনুতেই এ অপশনটি পাওয়া যাবে। এ জন্য ফোনের ‘Build Number’ অংশটি খুঁজে নিতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো একেক ফোনে একেক জায়গায় এটি দিয়ে রেখেছে। ফোনের সেটিংস থেকে যেভাবে খুঁজে নেবেন এই বিল্ড নম্বর—
সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড: Settings>About Phone>Build Number স্যামসাং গ্যালাক্সি এস: Settings>About Device >Build Number এলজি: Settings>About Phone>Software information Build Number এইচটিসি: Settings>About>Software information>More>Build Number।
সেটিংসের যে অংশে বিল্ড নম্বরটি খুঁজে পাবেন, তাতে সাতবার চাপুন। দুবার চাপার পরই একটি বার্তা এসে বলবে ডেভেলপার হতে আপনাকে আর কতবার চাপতে হবে। সাতবারের পর ডেভেলপার সুবিধাটি চালু হয়ে যাবে।
প্রধান সেটিংস মেনুতে ডেভেলপার অপশনস নামে একটি আলাদা মেনু চলে আসবে। ডেভেলপার অপশন থেকে আপনি ডেস্কটপ ব্যাকআপ পাসওয়ার্ড, ইউএসবি ডিবাগিং, অ্যানিমেশন, ট্রানজিশন স্কেল, জিপিইউ রেন্ডারিং, ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস লিমিট ইত্যাদি অনেক সুবিধা চালু এবং বন্ধ করতে পারবেন।
ডেভেলপার সুবিধাটি যদি বাতিল করতে চান, তাহলে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হতে পারে। কিছু কিছু ফোনে অবশ্য সব কিছু মুছে ফেলা ছাড়াই (ফ্যাক্টরি রিসেট) এ সুবিধাটি বন্ধ করা যায়। সে ক্ষেত্রে Settings> Apps>Settings চেপে তারপর Clear Data অপশন চাপতে হবে। নিশ্চিতকরণ বার্তা এলে ওকে চাপুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি কাজ করে। —মঈন চৌধুরী


Source: http://www.prothom-alo.com/technology/

Pages: 1 ... 5 6 [7]