Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - moonmoon

Pages: [1] 2 3 ... 8
1
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা
চিকিৎসকের কাছে অনেকে নিজের সমস্যার কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না, কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলেন। অনেকে রোগের ইতিহাস বা ওষুধের নাম-বৃত্তান্ত বলতে পারেন না। ফলে অনেক অপেক্ষার পর সিরিয়াল নিয়ে যখন চিকিৎসকের দেখা পান, তখন অল্প সময়ে তালগোল পাকিয়ে আসল কথাটাই অনেক সময় বলা হয় না। তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেও প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দরকার। এতে আপনার এবং চিকিৎসক—দুজনেরই সুবিধা হবে।

এক. আপনি মূলত যে সমস্যার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন, তা সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। অপ্রধান ও আনুষঙ্গিক সমস্যাগুলো পরে বলবেন। কত দিন ধরে ভুগছেন তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন। এ সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন কি না জানান।

দুই. আপনার যদি এর সঙ্গে অন্য কোনো রোগ থেকে থাকে (যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি) তাও মেয়াদ উল্লেখসহ জানান। সেগুলোর জন্য নিয়মিত কী কী ওষুধ কত মাত্রায় গ্রহণ করছেন, তা উল্লেখ করুন। মনে না থাকলে লিখে আনুন বা ওষুধের পাতা সঙ্গে রাখুন। কোনো বিশেষ ওষুধে ইতিপূর্বে কোনো সমস্যা হলে তা জানাবেন। নিকট অতীতে কোনো অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে তা জানান।

তিন. চিকিৎসকের প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে ও সংক্ষেপে দিন। হঠাৎ করে প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন না। তাতে চিকিৎসকও তাঁর জিজ্ঞাসা থেকে দূরে সরে যেতে পারেন। অপ্রাসঙ্গিক ও অকারণ তথ্য দেওয়ার দরকার নেই। এতে দুজনেরই সময় নষ্ট।

চার. রোগীর সমস্যার কথা তাঁকেই আগে বলতে দিন। তিনি কিছু ভুলে গেলে সঙ্গী ধরিয়ে দিতে পারেন। আগেই সঙ্গে থাকা ব্যক্তির কথা বলা উচিত নয়। চিকিৎসকের কাছে কোনো কিছু লুকানো উচিত নয়, আবার কোনো কিছু বাড়িয়ে বলারও দরকার নেই। রোগীর সঙ্গে অবশ্যই এমন কারও আসা প্রয়োজন, যিনি রোগীর রোগ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন।

পাঁচ. চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগের বিবরণ এবং ওষুধের মাত্রা-মেয়াদ চিকিৎসকের কক্ষ ত্যাগ করার আগেই তাঁর কাছ থেকে ঠিকভাবে বুঝে নিন।

ছয়. একই চিকিৎসকের কাছে আবার এলে আগের প্রেসক্রিপশন অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখা থাকে। আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন। অন্য কারও প্রেসক্রিপশন থাকলেও তা আনুন।

সাত. আর্থিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসককে জানিয়ে রাখুন। তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অল্প কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারবেন। প্রয়োজনে কম খরচে সরকারি হাসপাতালে বা কোথায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়, তাও জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন।

আট. চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে অপেক্ষা করার সময় অসহিষ্ণু আচরণ করবেন না। দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। কক্ষে আপনার মতোই আরেকজন রোগী সেবা নিচ্ছেন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকেই নিজের কষ্ট নিয়ে এসেছেন। জরুরি রোগী, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের আগে যাওয়ার সুযোগ দিতে চেষ্টা করুন।

নয়. অনেকে চিকিৎসকের সামনে গিয়ে ঘাবড়ে যান, রক্তচাপ বেড়ে যায়। ঠিকমতো বলতে পারেন না। দুশ্চিন্তা করবেন না। চিকিৎসকের প্রতি আস্থা রাখুন। আপনার অনাস্থা, অসহযোগিতা, ভুল তথ্য প্রদান আপনারই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ডা. শামীম আহমেদ
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সোর্স – প্রথম আলো।

Tags: দুশ্চিন্তা

2
Psoriasis – ত্বকের একটি সাধারণ রোগ – কি করবেন জেনে নিন
সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ যা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল চর্মরোগ যা কখনোই সম্পূর্ণ সারে না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই রোগ একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক বোঝা।

আমাদের দেশে ঠিক কত জন এই সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত তার কোনো হিসাব বা সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যে কোনো বয়সের নারী ও পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৩০ বছর বয়সের পরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

Psoriasis – ত্বকের একটি সাধারণ রোগ – কি করবেন জেনে নিন। সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ যা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল চর্মরোগ যা কখনোই সম্পূর্ণ সারে না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই রোগ একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক বোঝা।

আমাদের দেশে ঠিক কত জন এই সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত তার কোনো হিসাব বা সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যে কোনো বয়সের নারী ও পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৩০ বছর বয়সের পরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

সাধারণত, মানুষের ত্বকের কোষ প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন করে কোষ তৈরি হয়। সোরিয়াসিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই মারা যাওয়া কোষের সংখ্যা ও বিস্তারের মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে উঠে। ত্বকের সবচেয়ে গভীর স্তর থেকে মৃত কেরাটিনোমাইটস উপরের স্তরে চলে আসতে সাধারণত ২৮ দিন সময় লাগে। কিন্তু সোরিয়াসিস এর ক্ষেত্রে এই সময় লাগে ৫ থেকে ৭ দিন।
এই রোগ সম্পর্কে এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। তকে কিছু কারণ যেমন: ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল ইনফেকশন, ত্বকে আঘাত, আবহাওয়া, কিছু ওষুধ সেবন, অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণ এবং হতাশা ইত্যাদি কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে।

এই রোগে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অংশের চামড়া পুরু হয়ে যায়। ত্বক আক্রান্ত স্থানে রুপালি-সাদা চামড়া দ্বারা আবৃত থাকে। ত্বক চুলকাতে পারে। সাধারণত কনুই, হাঁটু, নাভি, মাথার ত্বক, নখ ইত্যাদি স্থান প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হয়। রোগ দীর্ঘমেয়াদি হলে সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর এই রোগের প্রভাব পড়ে। যেমন: যকৃতের রোগ, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ ও রক্তে কোলেস্টেরলের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। তাই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি, লোশন ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্টেরয়েড প্রিপারেশন ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আলট্রাভায়োলেট থেরাপি ও বায়োলজিক্যাল বিভিন্ন ওষুধ সোরিয়াসিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
https://healthbangla.com/archives/2005

3
3rd July BBC News
মেক্সিকো সিটির একটি এলাকায় প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমন একটি উঁচু ভবনের খোঁজ পেয়েছেন যেটি মানুষের মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ওই ভবনটিতে অন্তত সাড়ে ছয়শো মাথার খুলির সন্ধান পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে খনন যত এগুবে খুলির সংখ্যা আরো বাড়বে।

ভবনের ওপরের দিকে বসানো খুলিগুলো নারী ও শিশুদের।

এই আবিষ্কার দেখে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি প্রাচী আজটেক সাম্রাজ্যের নরবলীর সংস্কৃতির অংশ এবং ওই আমলের সভ্যতা-সংস্কৃতি নিয়ে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলছে।খুলি-নির্মিত ভবনটির ভাঙা ভাঙা অংশ দেখে মনে হয়, এটি নলাকৃতির ছিল। এখন যেখানে মেক্সিকোর রাজধানীর অবস্থান সেখানেই একসময় আজটেকের রাজধানী 'টেনোকটিটলান' ছিল, আর রাজধানীর প্রধান মন্দির ছিল 'টেম্পলো মায়োর'।

স্পেনীয় দখলদার যোদ্ধারা এই মন্দির কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় একসঙ্গে বিন্যস্ত এ রকম অনেক খুলি দেখে ভয় পেয়েছিলেন। কারণ সেগুলো প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগের মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির চিহ্ন বহন করে।

ইতিহাসবিদরা সে নিয়েও ভাবছিলেন।

কিন্তু ২০১৫ সালে প্রত্নগবেষকেরা মেক্সিকো সিটির পুরনো অংশে যে খননকাজ শুরু করেছিলেন তা এখনো শেষ হয়নি।দলের জৈব নৃবিজ্ঞানী রদ্রিগো বোলানোস বলছেন "মাথার খুলি দেখে প্রথমে আমরা ভাবছিলাম কোনো তরুণ যোদ্ধার দেহাবশেষ। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমরা নারী ও শিশুদের মাথার খুলি পাই তখন বুঝলাম এরা যুদ্ধে যেতে পারে না।এটা সম্পূর্ণ নতুন। আমাদের কাছে এর কোনো রেকর্ডও নেই"।

কিন্তু সেখানে নারী ও শিশুর অনেক খুলি দেখে মানুষকে বলি দেয়া বা উৎসর্গ করার সংস্কৃতির ইঙ্গিত মেলে।

আজটেক ও অন্যান্য মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির মধ্যে সূর্যের উদ্দেশ্যে নরবলি দেয়ার রীতি ছিল।

নৃবিজ্ঞানী রাউল বারেরা বলছেন, খুলিগুলো ভবনে বসানোর আগে সেগুলো দেখার জন্য হয়তো জনসম্মুখে রাখা হয়েছিল।

4
ব্রিটেনে পুরুষ মাছের লিঙ্গ বদলে যাচ্ছে?

৩ জুলাই ২০১৭ BBC News

লিঙ্গ বদলে ফেলার জন্য মানুষকে কত চেষ্টা চরিত্রই না করতে হয়। কিন্তু অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পরিবর্তন, বিশেষ করে মাছেদের বেলায় সেটা কেমন?

আগে এমন কথা শোনা না গেলেও, এখন জানা যাচ্ছে ব্রিটেনে মিষ্টি পানির পুরুষ মাছেদের অন্তত কুড়ি শতাংশের লিঙ্গ আপনা থেকেই বদলে যাচ্ছে।

তারা ক্রমশ নারী লিঙ্গের মাছের মত আচরণ করতে শুরু করেছে। এমনকি কিছুকিছু পুরুষ মাছ ডিমও দিচ্ছে।

আবার অনেক পুরুষ মাছের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

এর কারণ আর কিছুই না। বলা হচ্ছে, রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার কারণে বদলে যাচ্ছে পুরুষ মাছের লিঙ্গ।

আরো পড়ুন:'মার্কিন নারীরা বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে একা খেতে চান না'

কাতারকে নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এজন্য যে দুশোটির বেশি রাসায়নিক দায়ী, এর মধ্যে আছে মানুষের ব্যবহৃত জন্ম নিরোধক ওষুধপত্রও।

ব্রিটেনে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা দেখা গেছে, পয়-নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের শরীর থেকে যেসব রাসায়নিক বের হয়ে যাচ্ছে, তা প্রবাহিত হয়ে মিষ্টি পানির মাছেদের মধ্যে গিয়ে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলে দিচ্ছে।

5
Faculty Sections / সপ্তাহে ছয়টি ডিম
« on: March 19, 2017, 07:44:21 PM »
সপ্তাহে ছয়টি ডিম

ওজনাধিক্য, রক্তে চর্বির আধিক্য এবং হূদেরাগ আছে এমন রোগীদের ডিম খেতে মানা—এমনটাই ধারণা প্রচলিত। কিন্তু সম্প্রতি চিকিৎসকেরা বলছেন, ডিমে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন ডি সহ প্রায় ১১ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। একটা ডিমে আছে ৫ গ্রাম চর্বি, প্রায় পুরোটাই রয়েছে শুধু কুসুমে। এর মধ্যে সম্পৃক্ত বা ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ দেড় গ্রাম। অপর দিকে ডিম একটি চমৎকার পুষ্টির উৎস, এর আমিষ সহজপাচ্য ও উপকারী, তা ছাড়া ডিম ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিম খাওয়া বাদ না দিয়ে বরং না বলুন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলোকে, যেমন কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, ভাজা খাবার বা কোমল পানীয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত, তাঁদের সপ্তাহে ছয়টি ডিম খেতে কোনো ক্ষতি নেই।

সূত্র: এবিসি হেলথ।


6
Faculty Sections / ফুলকপির অনেক গুণ
« on: March 19, 2017, 07:43:29 PM »
বাজারে উঠছে শীতের সবজি। এর মধ্যে ফুলকপি ছোট-বড় সবারই প্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টি-ক্যানসার বা ক্যানসার নিরোধক উপাদান।
মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে
যুক্তরাষ্ট্রের রসওয়েল পার্ক ক্যানসার ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত তিনবার ফুলকপি খেতে হবে।
মলাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে
সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি এবং এ জাতীয় সবজি খেলে।
ফুলকপিতে আছে সালফোফেন নামের যৌগ, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে।
গরুর দুধের চেয়েও প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম।
রয়েছে ফুলকপিতে। ২০০ গুণ বেশি আয়রন।
ফুলকপি বেশি সেদ্ধ বা রান্না করলে এর সালফার যৌগ নষ্ট হয়ে যায় এবং এসব গুণাগুণ অনেকটাই বিনষ্ট হয়। সম্পূর্ণ গুণাগুণ পেতে ফুলকপিকে সামান্য ভাপ দিয়ে বা স্টিম করে খেতে হবে।

সূত্র: নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যানসার।


7
ত্বকের যত্নে আলুর ফেসপ্যাক এই শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই অনেকের অবাক লাগছে। হয়ত হাসিও পাচ্ছে। তবে রূপচর্চায় আলুর ব্যবহার অনেক পুরোনো। আমাদের দাদী নানীদের সময় থেকেই আলু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। আর আজও অনেক বিউটিশিয়ানই রূপচর্চার ঘরোয়া উপাদান হিসেবে আলু পছন্দ করেন।

 

আলুতে আছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, পটশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক। আলুতে থাকা উপাদান প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের ত্বকের উপরিভাগের রঙ হালকা করে, কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকে একটা সুন্দর উজ্জ্বলতা এনে দেয়। কিছু উপকারী আলুর ফেসপ্যাক এখানে উল্লেখ করছি। আপনারা নিয়মিত ব্যবহারের জন্য আপনাদের পছন্দমত যেকোনো একটি বা দুটি আলুর ফেসপ্যাক প্যাক বেছে নিতে পারেন।

 

আলু ও লেবুর রসঃ
১ চা চামচ গ্রেট করা আলুর সাথে ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো ,টকদই ও আলুর ফেসপ্যাক :

১ চা চামচ গ্রেট করা আলু, ১ চা চামচ টমেটো পেস্ট ও ১ চা চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে গলা ও মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো, দুধের সর ও আলুর ফেসপ্যাক :

১ চা চামচ গ্রেট করা আলু, ১ চা চামচ টমেটো পেস্ট ও ১/২ চা চামচ দুধের সর একসাথে মিশিয়ে গলা ও মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

স্ট্রবেরি , মধু ও আলুর ফেসপ্যাক :

আরো পড়ুন http://aponardoctor.com/archives/1961#ixzz4bmJAtOpV

8
স্বাভাবিক অবস্থায় একটি শিশু ২৮০ দিন বা নয় মাস ১০ দিন মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠার পর পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। এই সময়ে তার বেড়ে ওঠা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ নির্ভর করে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া পুষ্টির ওপর। গর্ভাবস্থায় অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ এবং অপুষ্টির কারণে একদিকে যেমন কম ওজনের ও অপুষ্ট শিশু জন্মগ্রহণ করে, তেমনি মায়েরও রক্তশূন্যতা, আমিষের অভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ সময় তাই হবু মায়ের খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। তাই প্রতিদিনের সুষম খাদ্য পরিকল্পনা করার সময় কিছু বিশেষ উপাদানের দিকে লক্ষ রাখা উচিত মায়েদের।

আমিষ: স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আমিষ দরকার হয় এ সময়। ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি, স্তনগ্রন্থীর বৃদ্ধি ইত্যাদি নিশ্চিত করতে আমিষ প্রয়োজন। দৈনিক ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম আমিষ দরকার হবে এ সময়। এই আমিষের মূল উৎস হবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল ও সিমের বিচি।

লৌহ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক ৩০ গ্রাম লৌহ বা আয়রন দরকার হয়, কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে দরকার হয় দৈনিক ৩৮ গ্রাম। লৌহ অনেক পরিমাণে পাওয়া যাবে কলিজা, শুকনো ফল, সবুজ সবজি, কালো কচুশাক, পালংশাক, লালশাক, টেংরা মাছ, বিট, গুড়, খেজুর, সফেদা ও টক ফলমূল ইত্যাদিতে।

ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিডের অভাবে মায়েদের রক্তস্বল্পতা হতে পারে। এ ছাড়া ফলিক অ্যাসিড সন্তানের জন্মগত বিকলাঙ্গতা প্রতিরোধ করে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে চার গুণ বেশি ফলিক অ্যাসিড খাওয়া উচিত। পালংশাক, লেটুস, কলিজা, শুকনো সিমের বিচি, ডিম, ডাল, দুধ ইত্যাদি ফলিক অ্যাসিডের উৎস।

ক্যালসিয়াম: নবজাতকের হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য শেষ তিন মাসে প্রচুর ক্যালসিয়াম দরকার হয়। একজন গর্ভবতী নারীর দৈনিক অন্তত এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে হবে। দুধ ও দই ক্যালসিয়ামের একটি আদর্শ উৎস। এ ছাড়া ডাল, সরিষাশাক, বাঁধাকপি, শালগম, বিট, বাদাম, মাছ এবং ফলের মধ্যে কমলা ও আঙুরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক।

আখতারুন নাহার
প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ০৪, ২০১৩

9
ডাবের পানি শক্তি বাড়ায়?

ডাবের পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক—এটাই সাধারণের বিশ্বাস। ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে, পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এবং শক্তির উৎস হিসেবে কচি ডাবের পানি ভীষণ জনপ্রিয়। বলা হয়, একটি ডাবের পানিতে চারটি কলার সমান পটাশিয়াম আছে, সেই সঙ্গে আছে সহজ শর্করা বা চিনি, যা সহজে শোষিত হয়ে শক্তি দিতে পারে।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডাবের পানিকে খাওয়ার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ডায়রিয়া বা বমির পর পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের পানির ব্যবহার প্রচলিত। কিন্তু সম্প্রতি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খেলাধুলা বা কঠোর পরিশ্রমে ঘাম হয়, আর এই ঘামের সঙ্গে দেহ হারায় পানি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। ডায়রিয়া বা বমির পর দেহ থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। কিন্তু ডাবের পানি খেলে সেই অভাব পূরণ হবে কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে। দি পেডিট্রিয়া সাময়িকী বলছে, ডাবের পানিতে যথেষ্ট পটাশিয়াম থাকলেও সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক কম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত খাওয়ার স্যালাইনের তুলনায় অন্তত ৩০ গুণ কম। আর এই দুই তরলের ঘনত্বেও ব্যাপক পার্থক্য আছে। তাই একে অপরের পরিপূরক হতে পারে না।
একটি সাধারণ কচি ডাবে আকারভেদে ২০০ থেকে ১০০০ মিলিলিটার পানি থাকতে পারে। এর ৯৫ শতাংশই পানি। আর সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য লবণের পরিমাপ স্থানভেদে একেক রকম। তবে সাধারণভাবে এক লিটার ডাবের পানিতে পটাশিয়াম আছে ৩৫ থেকে ৮২ মিলিমোল, সোডিয়াম ০.৭ থেকে ০.৯ মিলিমোল ও শর্করা ১.২ থেকে ২.৮ মিলিমোল। আর এক লিটার স্যালাইনে পটাশিয়ামের পরিমাণ ২০ মিলিমোল, সোডিয়াম ৭৫ মিলিমোল ও শর্করা ৭৫ মিলিমোল।

10
Faculty Sections / রসুনের উপকারিতা
« on: March 19, 2017, 07:17:35 PM »
রসুনের উপকারিতা ১ঃপ্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক

গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও উপকারিভাবে কাজ করে। বিশেষ করে খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে ব্যাকটেরিয়াগুলো হেরে যায়। ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।

রসুনের উপকারিতা ২ঃউচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ ভাল দেখা যায়। এর কারন রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।

রসুনের উপকারিতা ৩ঃঅন্ত্রের জন্য ভাল

খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এই রসুন হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।তাই এই রসুন ক্ষুদামদা ভাব দূর করতে অনেক সহায়ক।রসুন স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।তাছাড়া পরিপাকতন্তেরও নানা সমস্যা দূর করে এই রসুন।

রসুনের উপকারিতা ৪ঃশরীরকে ডি-টক্সিফাই করে

অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক উপকারি।

রসুনের উপকারিতা ৫ঃশ্বসন

রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার উপায় সৃষ্টিকারি উৎস বিদ্যমান রয়েছে।

রসুনের উপকারিতা ৬ঃযক্ষ্মা প্রতিরোধক

রসুনে এতো উপাদান যে যদি আপনার যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে থাকলে। যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে করা সম্ভাব।

রসুনের উপকারিতা ৭ঃরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

রোগ-প্রতিরোধে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নাস্তা শেষে এক কোয়া রসুন গিলে ফেলেন। চিবিয়ে খাবেন না, শুধু গিলে ফেলবেন। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

রসুনের উপকারিতা ৮ঃহজমের সমস্যা মুক্তি

২/৩ টি রসুনের কোয়া কুচি করে সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিন। এটি সবজির সাথে কিংবা এমনি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে হজমের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।এবং কোস্টকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান হবে।

রসুনের উপকারিতা ৯ঃজমে যাওয়া কফ থেকে মুক্তি

রসুন কফের জন্য অনেক উপকারি ঔধষ। খুব সামান্য তেলে ১/২ কোয়া রসুন ভেজে তা ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাইলে। এটা যদি নিয়মিত খান তাহলে বুকে জমে যাওয়া কফ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

রসুনের উপকারিতা ১০ঃযৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের ভূমিকা

প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েককোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলেগিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিৎ। এতে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রসদুই বা এক চামচ নিয়ে তার সাথে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতেস্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।

রসুনের উপকারিতা ১১ঃহৃদপিন্ডের সুস্থতায়

হৃদপিন্ডের সুস্থতায় রসুন অনেক উপকার করে থাকে। রসুন কোলেস্টরল কমাতে খুবই সহায়ক।এই কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কম থাকে।সুতরাং হার্ট এর জন্য রসুন অনেক উপকারি। যে প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কেলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার-ভিত্তিক যৌগ অ্যালিসিন মূলত স্বাস্থ্যে এই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, রসুন কাঁচা সেবন সবচেয়ে ভালো। সিদ্ধ করা হলে অ্যালিসিনের ভাবে খেতে হবে ঔষধি গুণ কমতে থাকে।

রসুনের উপকারিতা ১২ঃপ্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে

রসুন শিরা-উপশিরায় প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে। তাছাড়া রসুন শিরা-উপশিরার মারাত্নক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাধাতেও সাহায্য করে।

রসুনের উপকারিতা ১৩ঃগিট বাতের সমাধানে

রসুন গিট বাতের রোগে অনেক উপকার করে থাকে। নিয়মিত ২ কোয়া করে খেলে গিটের বাত সেরে যেতে পারে।

রসুনের উপকারিতা ১৪ঃশরীরের ফুড়া সারাতে

রসুনের রস শরীরের যে কোন পুজ ও ব্যথাযুক্ত ফোড়া সারাতে সাহায্য করে থাকে। যেখানে এই পুজ বা ফোড়া হবে, সেখানে রসুনের রস লাগিয়ে ১৫মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে অতিতাড়াতাড়ি সেইটার নিরাময় হয়।দাদ,খোস পাচড়া ধরনের চর্মরোগ থেকে রসুন উপকার দেই।চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্তনা থেকে মুক্তি দেয় এই রসুন।

রসুনের উপকারিতা ১৫ঃক্যান্সের প্রতিরোধে রসুন

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে এই রসুন।গলব্লাডার ক্যান্সার হওয়া থেকেও মুক্ত রাখে। মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুকি কমায়। এমনকি রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এই রসুন ইস্ট ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।

আরো পড়ুন http://aponardoctor.com/archives/9507#ixzz4bmEvuSPZ

11
Faculty Sections / Health Tips
« on: March 19, 2017, 07:15:32 PM »
হেল্থ টিপস  ১ঃ যারা নিয়মিত সকালের নাশতায় ডিম খাওয়ার অভ্যাস করেছেন তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের চেয়ে অনেক তুখোড়।
হেল্থ টিপস ২ঃ কলা খেয়ে সোজা হয়ে কিছু সময় বসে থাকলে মাথাব্যথা কমে।

হেল্থ টিপস ৩ঃ আপেলের চেয়ে আমড়ার পুষ্টিগুণ বেশি।
হেল্থ টিপস ৪ঃ  প্রতিদিন একটি পাকা টমেটো খেলে শরীরেররক্তকনিকা বাড়ে, ফলে ত্বক পরিস্কার হয়।
হেল্থ টিপস ৫ঃ ঠাণ্ডা লেগে মাথাব্যথা হলে চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দ্বিগুণ পানি মিশিয়ে একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।

হেল্থ টিপস ৬ঃ ডালিম গাছের বাকল, পাতা, অপরিপক্ক ফল এবং ফলের খোসার রস পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।

হেল্থ টিপস ৭ঃ সকালে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উচিত।মুখ ধুয়েই এক থেকে দুই গ্লাস পানি খা‌ওয়া ভাল।এতে সহজে কোন পেটের রোগ হয় না।

হেল্থ টিপস ৮ঃ  পানি খাবার পর কিছুক্ষন খোলা জায়গায় হাটা উচিত।সকালের বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।

আরো পড়ুন http://aponardoctor.com/archives/3949#ixzz4bmEDaUHk

12
জেরিয়াট্রিক নিউট্রিশন
২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ইং, দৈনিক ইত্তেফাক, কড়চা
মুনমুন হক

সাধারণত ষাটোর্ধ্ব যেকোনো ব্যক্তিকেই প্রবীণ বা বয়োজ্যেষ্ঠ লোক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ বয়সে দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্রিয়াকলাপে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে। যেমন—হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত হওয়া, দাঁত ক্ষয় কিংবা পড়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি। এ সময়ে খাবার গ্রহণের রুচিতেও আসে পরিবর্তন, যার ফলে খাদ্য গ্রহণে আসে অনীহা। প্রকৃতপক্ষে এ সময় হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। এছাড়াও রয়েছে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া, হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা। এ বয়সে অবসর গ্রহণের কারণে প্রবীণদের কায়িক শ্রমও কমে আসে, ফলে দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদা হ্রাস পায়। তাই এ বয়সে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা যেমন থাকে; তেমনি ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। এ সময় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত পুষ্টি।

৭০ বছরের যেকোনো পুরুষের দৈনিক প্রয়োজন হয় গড়ে ২০০০ কিলোক্যালরি। তেমনি এ বয়সের একজন নারীর গড়ে ১৬০০ কিলোক্যালরি দৈনিক প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট ৫০-৫৫%, প্রোটিন ১৫-২০%, ফ্যাট ১০-১৫% কিলোক্যালরি গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও শাকসবজি-ফলমূল থেকে ভিটামিন ও মিনারেলস ছাড়াও কিছু খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।

প্রবীণদের খাবারের মেন্যু তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিবেচ্য বিষয় :

l ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব দিতে হবে।

l যেহেতু তাদের খাবার চিবিয়ে খেতে কষ্ট হয়, সেহেতু একটু নরম করে খাবার তৈরি করে দিতে হবে।

l দৈনিক ৪-৫ বেলা খাবার পরিবেশন করতে হবে। খাবারে লবণের আধিক্য রাখা যাবে না।

l ভিটামিন এ, ডি, সি এবং আয়রন, ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

l দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে। সেই সাথে কৌষ্ঠকাঠিন্য ও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ফাইবার বা খাদ্য-আঁশ খেতে হবে। যা শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পাওয়া যাবে।

পরিবারের প্রবীণ (৭০-৮০ বছর) সদস্যের জন্য ১৮০০ কিলোক্যালরির একটি স্যাম্পল মেন্যু :

ব্রেকফাস্ট

আটার তৈরি রুটি :২টি

সবজি ভাজি :১ কাপ

টক দৈ :২ কাপ

চা :১ কাপ চিনি ছাড়া

মিড মর্নিং

ফ্রুট জুস :১ গ্লাস

ভেজিটেবল সমুচা :১টি মাঝারি

লাঞ্চ

ভাত :২ কাপ/১ প্লেট

শাক :১ কাপ

মাছ/মাংস :১ টুকরো

ডাল :১ কাপ

আফটারনুন স্ন্যাক্স

ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল :১ টি

মুড়ি :১ কাপ

ডিনার

ভাত :২ কাপ/১ প্লেট

সবজি :১ কাপ মিক্সড

মাছ/মাংস :১ টুকরো

ডাল :আধা কাপ

এছাড়াও ক্যালরিমূল্য ঠিক রেখে সুবিধামতো খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। তবে নিয়মমতো খাবার খেলে এবং হাঁটাচলা করলে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিটিও সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

 




13
Faculty Sections / নবজাতক শিশুর পুষ্টি
« on: November 22, 2015, 03:20:44 PM »
নবজাতক শিশুর পুষ্টি
নবজাতক শিশুর সুস্থ্য ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজন। একটি শিশু জন্মের পর থেকে পূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান করতে পারে। কিন্তু প্রথম ছয় মাস শিশুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় কেননা এ সময়ের মধ্যে শিশুর বর্ধন দ্রুত হয়। শিশু জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস যে পুষ্টির দরকার হয় তার সব উপাদান মায়ের বুকের দুধেই বিদ্যমান। তাই শিশুর পরিপূর্ণ বর্ধন, বিকাশ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ এর মতে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং এর পূর্ব শর্ত হলো-
   জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হবে।
   শিশুকে তার চাহিদা অনুযায়ী পূর্ণ ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে; অন্য কোনও খাবার কিংবা পানীয় দেয়া যাবেনা; 
   শিশুর মুখে ফিডার কিংবা চুষনি দেয়া যাবেনা;
   আর এই ছয় মাস শিশুকে পানিও পান করানো যাবেনা।
অনেকেই না বুঝে শিশুর জন্ম হওয়ার সাথে সাথে শিশুকে মধু খাওয়ান। এতে করে নাকি শিশুটির কণ্ঠ সুমিষ্ট হবে! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটি ভুল ধারণা। শিশু জন্মের পর ওই মধু হজম করার সামর্থ্যই অর্জন করেনা। ফলে দেখা দেয় ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রিসহ নানা প্রকার হজমের গন্ডগোল। এ কারণে কখনো কখনো সারাজীবন এই হজমের গন্ডগোল থেকেই যায়। আরও একটি ভুল অনেকেই করে থাকে যা হলো শিশু জন্মের পর থেকে প্রথম সাত দিন মায়ের বুকের যে শাল দুধ(কোলোস্ট্রাম)নিঃসৃত হয়, তা শিশুকে পান না করিয়ে ফেলে দেন; কিন্তু এতে করে শিশুটি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন হয়। শিশু জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে তাকে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। এবং শাল দুধ ফেলে দেয়া যাবেনা। কেননা এই শাল দুধে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশুরা ছোটবেলায় মাতৃদুগ্ধ পান করেছে; তারা বড় হয়ে বিভিন্ন রোগবালাইয়ে (যেমন-ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ ইত্যাদি) কম ভুগেছে। কেউ কেউ আবার ভালো মনে করেই শিশুকে ইচ্ছে করেই বাজারের কৃত্রিম ফর্মুলা/ গুড়াদুধ খেতে দিয়ে থাকেন; যা কোনও অবস্থাতেই মায়ের দুধের বিকল্প হতে পারেনা। মা যদি জীবিত থাকেন, আর কোনো ধরণের শারীরিক অসুস্থতায় না ভোগেন তবে অবশ্যই মাতৃদুগ্ধ পান করানো উচিত। এতে করে শিশুও যেমন প্রাকৃতিক নিয়মে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে তেমনি মায়েরও কিছু উপকার হবে। যেমন-
   শিশু যতদিন বুকের দুধ খাবে ততদিন মায়ের পুনরায় গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকেনা।
   গর্ভকালীন সময়ে মায়ের দৈহিক ওজন বেড়ে যায়, শিশুকে বুকের দুধ পান করালে সেই অতিরিক্ত ওজন কমে যায় ।
   মা ও শিশুর আত্মিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়।
   গুঁড়া দুধ কিনে মায়ের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করারও প্রয়োজন হয়না।
কোনও কোনও মা মনে করেন মাতৃদুগ্ধ পান করালে দৈহিক কাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাই জন্মের পর থেকেই শিশুকে ফিডারে করে দুধ পান করান। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ঘটে উল্টো; বরং ব্রেস্ট ফিডিং করালেই বডি ফ্রেম আবারও আগের মত হবে।
মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে; তাহলে কর্মজীবী মায়েরা কি করবেন?কর্মজীবী মহিলাদের জন্য পরামর্শ হল; তারা অফিসে যাওয়ার আগে ব্রেস্ট পাম্পারের সাহায্যে দুধ বের করে রেখে যেতে পারেন; সাধারণ তাপমাত্রায় ছয়-আট ঘন্টা পর্যন্ত তা ভালো থাকে। সেক্ষেত্রে ফিডার ব্যবহার না করে বাটি ও চামচ দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। আর যদি এ পদ্ধতি একান্তই ঝামেলা মনে হয় তবে ফিডার ব্যবহার করা যেতে পারে; কিন্তু তা অবশ্যই ভালো ভাবে ধুয়ে দশ মিনিট ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তানাহলে শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আমাদের দেশে নবজাতক শিশুকে সুজি খাওয়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যার প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। শিশুর জন্ম থেকে ছয় মাস শুধু মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। এই সময় শিশুর যে পুষ্টি ও শক্তি দরকার হয় তা মাতৃদুগ্ধে যথেষ্টই বিদ্যমান। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা আর শিশু পুস্টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা। তাই শিশুকে সঠিক নিয়মে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর মাধ্যমে শিশুর সুস্থ্য, সুন্দর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। 

মুনমুন হক



14
খাদ্য সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা বা কুসংস্কার

সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী। কিন্তু আমাদের মাঝে খাবার সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত মনগড়া কিছু ধারনা/বিশ্বাস প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলন দেখা যায়; যেগুলোর বেশীরভাগই মহিলা ও শিশুদের উপলক্ষ করেই সৃষ্ট। শুধু গ্রামে নয় শহরের শিক্ষিত মানুষের মাঝেও অপ্রয়োজনীয় এসব প্রথার প্রচলন আছে। কখনও কখনও তারা নিজেরাও জানেন যে; এসব হয়ত সত্যি না, তারপরও তারা ঐসব গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। ফলে তারা নিজেরা যেমন বঞ্চিত হন তেমনি তাদের আত্মিয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। খাবার নিয়ে এসব ধ্যান-ধারণা বা কুসংস্কার এতটাই প্রবল আর প্রকট আকার ধারণ করে যে, তা মানুষের অপুষ্টির কারণ তো বটেই, কখনও কখনও মৃত্যু ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:-
•   পাকা কলা খেলে ঠাণ্ডা লাগবে; সর্দি হবে- তাই শীতকালে অনেকেই কলা খেতে চাননা। এটি নিতান্তই ভুল ধারণা। ব্যাক্তি বিশেষে কলায় কারও কারও এলার্জি থাকতে পারে। তবে কলায় এমন কোনও উপাদান নেই যার কারণে সর্দি হতে পারে। বরং এতে রয়েছে শর্করা, আয়রন, ক্যলসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি, বি কমপ্লেক্স প্রভৃতি পুষ্টিকর উপাদান। আমাদের দেশে অনেকেই জোড় কলা খান না; এর কারণ তাদের ধারণা জোড় কলা খেলে যমজ সন্তান হবে। এটি নিতান্তই হাস্যকর এবং যুক্তিহীন একটি  ধারণা। সন্তান একটি হবে নাকি যমজ হবে তা সম্পুর্নই একটি দৈব ঘটনা। এর সাথে জোড় কলা খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
•   আরও একটি ব্যাপক প্রচলিত কুসংস্কার হলো, কোনও ব্যাক্তির শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে কিংবা অপারেশন করার পর টক জাতীয় ফল খাওয়া যাবেনা। অথচ প্রকৃত ঘটনা সম্পুর্ন বিপরীত। শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে কিংবা অপারেশন করার পর টক জাতীয় ফল খেলে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে উঠে। কারণ ওইসব ফলে রয়েছে, ভিটামিন-সি যা ঘা শুকাতে সাহায্য করে। এ কারণে এমন অবস্থায় ভিটামিন-সি জাতীয় ফল যেমন- লেবু, কমলা, আনারস, জাম্বুরা, আমড়া, মাল্টা ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
•   আমাদের দেশে গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন কুসংস্কারে আবদ্ধ করে রাখা হয় ফলশ্রুতিতে তারা মাতৃত্বকালীন অপুষ্টিতে ভোগেন। যেমন- গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে গর্ভপাত হয়। একারনে অনেক গর্ভবতী মহিলা আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো আনারসে এমন কোনও উপাদান নেই যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। আনারস ভিটামিন-সি এর খুব ভালো উৎস। গর্ভাবস্থায় আনারস খুবই উপকারি একটি ফল।
•   অত্যন্ত হাস্যকর আরও একটি কুসংস্কার হলো কেউ কেউ মনে করেন গর্ভাবস্থায় বোয়াল মাছ খেলে শিশুর ঠোঁট বোয়াল মাছের মত হবে। প্রকৃত সত্য হলো এই; সৃষ্টিকর্তা যেভাবে চাইবেন সন্তান সেভাবেই জন্ম গ্রহণ করবে। মাছ খাওয়ার সাথে মাছের মত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। একই ভাবে মৃগেল মাছ নিয়েও রয়েছে ভুল ধারণা। এ মাছ খেলে নাকি মৃগী রোগ হয়! এক্ষেত্রেও একই কথা; এই মাছ খেলে মৃগী রোগ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এসব প্রাচীন কুপ্রথার কারণে আমাদের দেশের গর্ভবতী মায়েরা পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার কিনে খেতে পারেন না, ফলে প্রোটিনের অভাবে ভোগেন, সেই সাথে অনাগত শিশুটিও অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
•   তেমনি ভাবে মাংস নিয়েও রয়েছে অবান্তর ধারণা। গরুর মাংসে এলার্জি থাকায় কেউ কেউ খাসীর মাংসের উপর নির্ভর করে থাকে। কারও কারও ধারণা গর্ভবতী মা খাসীর মাংস খেলে নাকি শিশুর শরীরে ঘন লোম গজাবে। এটিও কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। ফলে দেখা যায় গর্ভবতী মা যেকোন ধরণের মাংস খাওয়া থেকেই বিরত থাকেন; তিনি নিজে তো বটেই শিশুটিও অপুষ্টির শিকার হয়।  আবার কেউ কেউ বলে মাংস অপেক্ষা ঝোল ভালো। কিন্তু ঝোলে থাকে শুধু তেল, চর্বি, মসলা আর পানি। কাজেই ঝোল থেকে প্রোটিন পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
•   আরও প্রচলিত আছে গর্ভবতী মা বেশী খেলে নাকি শিশু আকারে বড় হবে আর জন্মদানের সময় মায়ের ও সন্তানের ক্ষতি হবে। বাস্তবে গর্ভাবস্থায় পুষ্টি চাহিদা একজন সাধারন মহিলার চেয়ে বেড়ে যায়। আর সেই বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য তাকে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে। তানাহলে মা ও শিশু উভয়েরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কখনও কখনও মৃত্যুও হতে পারে। একই ভাবে সন্তান প্রসবের পরও মায়ের উপর নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। যেমন- সদ্যপ্রসুতি মাকে স্বাভাবিক খাবার কিংবা রসালো খাবার দেয়া যাবেনা, তাকে শুকনো খাবার যেমন- মুড়ি, ভর্তা দিয়ে ভাত ইত্যাদি দিতে হবে তাহলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকাবে। এসব ভুলের কারনে তখনও মা সঠিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হন আর নানা রকম রোগে আক্রান্ত হন। ফলে সন্তানের দেখা-শোনাও ঠিকমত করতে পারেন না। এসব ভ্রান্ত ধারণা যদি দূর করা না যায় তবে মা ও শিশুর অপুষ্টি দূর করা যাবেনা।
•   তাই গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে তার চাহিদা, সামর্থ্য এবং রুচি অনুযায়ী খাবার খেতে দিতে হবে। খাবার সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। আমাদের দেশে প্রচুর পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সস্তা খাদ্যদ্রব্য রয়েছে; যা খেয়ে ধনী-দরিদ্র, অসহায় এবং বঞ্চিত জনগোষ্ঠীও তাদের পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হবে।  তাই আসুন দৃষ্টিভঙ্গি বদলে, কুসংস্কার ভুলে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করি, সুস্থ জাতি গঠনে সহায়তা করি।

মুনমুন হক

15
Faculty Sections / ঈদে বুঝে-শুনে খাবেন
« on: September 21, 2015, 05:25:30 PM »
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল আযহা। এই ঈদে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ত্যাগের মহিমা প্রকাশ পায়। গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে মাংস বিতরণের পর প্রায় সব পরিবারেই পোলাও মাংস রান্না করা হয়। এসময় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে রান্নার পদ্ধতির দিকে। গরু কিংবা খাসীর মাংসে অতিরিক্ত চর্বি থাকে। রান্নার জন্য মাংস বাছাই করার সময় সেই অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিতে হবে। যেসব মাংসের রোয়াতেই চর্বি বেশি থাকে; সেই সব মাংস অল্প তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। আবার সব চর্বিই ফেলে দেয়া যাবেনা, তাহলে মাংস ঠিকমত সিদ্ধ হবেনা। মাংস সুসিদ্ধ হওয়ার জন্যও কিছু চর্বির দরকার আছে। মাংসের প্রধান উপাদানগুলো হলো প্রোটিন, ফ্যাট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও ডি। মাংস খেলে প্রোটিন এবং আয়রনের চাহিদা যেমন মিটবে তেমনি কিছু ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ হবে। তবে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে খাওয়াটা অতিরিক্ত  না হয়। আমাদের খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে ফ্যাট অর্থাৎ চর্বি থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমানে ক্যালরি আসে। আর এসব ক্যালরি যদি খরচ না হয়, তবে তা ফ্যাট আকারেই আমাদের দেহে জমা হতে থাকে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা পরবর্তীতে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হার্ট এর রোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগের কারন হয়ে দাঁড়ায়। ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ্য ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ মেনে চলা ভালো। আমরা অনেক সময় ভাবি যে সারা বছর তো আর বেশী খাওয়া হয়না,তাহলে কোরবানির ঈদে একটু বেশী খেলেও সমস্যা নাই। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। খাবার সব সময়ই খেতে হবে পরিমানমত। যেকোনো উৎসবে পার্বণে আমাদের ঘরে পোলাও কোরমা রান্না হয়। এসব তৈলাক্ত খাবার খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর মাঝে ক্যালরিও থাকে বেশি।  কেউ কেউ এই মুখরোচক খাবারগুলো এত বেশী খেয়ে ফেলেন যে একদিনে তার যে পরিমান ক্যালোরি খাওয়া দরকার; একবেলাতেই তার চেয়ে অনেক বেশী খেয়ে ফেলেন। কিন্তু মূলত এসব খাবার খেতে হবে পরিমানে কম । পোলাও যেহেতু তেল বা ঘি দিয়ে রান্না হয় তাই এর ক্যালরিমূল্য বেশী; একারনে খেতে হবে ভাতের তুলনায় কম। আর মাংস খাওয়ার সময় চর্বির অংশ বাদ দিয়ে খেতে হবে, তানাহলে শরীরে মেদ জমে যাবে। এ সময় অবশ্যই শাকসবজি, মিক্সড সালাদ এবং ফ্রুট খেতে হবে। সেই সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে। একটানা অনেকদিন মাংস না খেয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবারের অন্তর্ভুক্তি থাকা ভালো। অনেকেই ঈদের সময় মাংস দিয়ে নানা রকম রেসিপি তৈরি করে খেতে পছন্দ করেন। তাদের জন্য পরামর্শ হল যে পরিমান ক্যালোরি গ্রহন করছেন তা পরিশ্রম বা এক্সারসাইজের মাধ্যমে খরচ করে ফেলতে হবে। নয়ত অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার দেহে জমে আপনার স্বাভাবিক ওজনকে যেমন বাড়িয়ে দিবে; তেমনি নানা রকমের রোগবালাইয়ের আক্রমনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকেও করবে ব্যাহত । তাই পরিমিত এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন; সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন।
মুনমুন হক

https://shar.es/17aOpS

Pages: [1] 2 3 ... 8