Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - moonmoon

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 8
31
অবাক করার মত একটা পোস্ট কারন ঔষধ এর
কাজ করবে কলার খোসা এটা আবার কেমন
কথা। অনেকেই বিশ্বাস ই করবে না কলার
খোসা আবার ঔষধ এর কাজ করে।

বিপুল জনপ্রিয় কলা খেতে যেমন ভালো,
তেমনি ভালো এর পুষ্টি গুন। আরে শুধু পুষ্টি গুন
নয়, কলার খোসাও ব্যবহার করা যায় ঔষধ
হিসাবে তবে চলুন
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কলার
খোসার কার্যকারিতা সম্পর্কে।

ঝকঝকে সাদা দাঁতের জন্যঃ
প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য
কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই
দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই
ওঠাতে পারেন না। কলার খোসার ভেতরের
দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন।
দাঁতে ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজ করে । দাঁতে পাকা কলার খোসা প্রতিদিন
ঘষে টানা এক সপ্তাহ ব্যবহার
করলে তা ভালো কাজে দেবে।

দাদের ওষুধঃ
কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।
চুলকালে সেই অংশে কলার
খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত
দাদ সেরে যাবে।

খোসপাঁচড়া দূর করেঃ
ত্বকে কোথাও পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই
জায়গায় কলার খোসা মেখে রাখুন,
অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সেদ্ধ
করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক
দিন ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

পোকা-মাকড় কামড়ানোর মহৌষধঃ
যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাত্ কামড়
দিয়ে বসে এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার
খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও
চুলকানি সেরে যাবে।

শরীরের অবসাদ কাটায়ঃ
ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার
চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
এতে অবসাদ দূর হয়। কলার খোসায় মুড-
নিয়ন্ত্রণ রাসায়নিক সেরোটোনিন
থাকে প্রচুর পরিমাণে। সেই সেরোটোনিন
শরীরের অবসাদ দূর করে।

32
ফর্সা হবেন যেভাবে।।।

ত্বকের রঙ আরও একটু
ফর্সা কমবেশি আমরা সকলেই
করতে চাই। কিন্তুকীভাবে?
ফর্সা তো দূরে থাক, রোজ রোজ
রোদে পুড়ে আরওযেন
কালো হয়ে যায় গায়ের রঙ।
তবে বেশী চিন্তা করতে হবে না,
ত্বকের রঙফর্সা করতে চাইলে রোজ
সকালে ছোট্ট একটি রুটিনমেনে চলুন।
মাত্র ৭ দিনে লক্ষ্য করতে পারবেন
পার্থক্য,
ত্বকেররঙটা হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও
প্রাণবন্ত। ১
মাসটানা মেনে চললে দারুণ উজ্জ্বল
আর ফর্সা হয়ে উঠবে আপনার রঙ।- ঘুম
থেকে উঠেই এক গ্লাস উষ্ণ
পানি খাবেন খালি পেটে।
চাইলে সামান্য মধু মিশিয়েও
খেতে পারেন। এক গ্লাস
উষ্ণপানি কেবল ত্বক নয়, আপনার
বাকি দেহকেও সতেজ করে তুলবে।
এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য
ত্বককে প্রস্তুত করবে।-মুখে ভাপ নিন।
একটি হাঁড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই
বাষ্পমুখে লাগান কয়েক মিনিট। খুব
বেশী কাছ থেকে বাষ্পলাগাবেন না।
খুব বেশী উত্তাপও যেন না লাগে।
মুখে ভাপদেয়া হলে পরিষ্কার
তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন।-এবার
আসে ফেস মাস্কের পালা।
একটি টমেটো নিন।
মাঝথেকে কেটে দুভাগ
করে ভেতরের পাল্প সবটুকু বের
করে নিন।এর সাথে দিন আধা চামচ
লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ
কাঁচা দুধ,সামান্য মধু। সম্ভব হলে ১
টেবিল চামচ শসার রসও দিন। লেবু
ওটমেটো ন্যাচারাল ব্লিচ
হিসাবে কাজ করবে,
দুধযোগাবে ময়েশ্চার, মধু দূর
করবে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ
আরশসা কমাবে অতিরিক্ত তেল। এই
ফেস মাস্কটি মুখে ও গলায়-
হাতে কিংবা অন্যান্য জায়গায় মাখুন।
২০ থেকে ৩০ মিনিটরাখুন।
রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
মুখমুছে হালকা ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে নিন।বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন
থাকলে অবশসই সানস্ক্রিন ক্রিম মাখুন।-
ত্বকের রঙ ফর্সা করতে রোজ
সকালে এক গ্লাস গাজরের
জুসখাওয়া অভ্যাস করুন।.....
মিস্টি আলু। বাদাম। কম্লার জুস অনেক
উপকারি।।।

33
বাদাম খেতে আমরা অনেকেই
ভালোবাসি।
পার্কে কিংবা অপেক্ষায় বাদাম
অনেকেরই প্রিয় খাবার। বাদাম কিন্তু
শরীরের শুধু পুষ্টি-ই জোগায় না,
বরং বাদামের আছে নানা গুণ।
বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও
প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায়
পুরোটাই অসম্পৃক্ত ধাচের অর্থাৎ
স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন
বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত
পরিমাণে পটাশিয়াম আছে।
তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সহ
প্রয়োজনীয় আরো কিছু খনিজ
এতে রয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ
যারা করেন,
তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার
ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার
চেষ্টা করেন।
বাদামে শর্করা সামান্যই আছে।
ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না।
সেই সাথে এটি গ্লুকোজের
মাত্রা ঠিক রেখে শরীরের জন্য
ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমিয়ে দেয়।
জেনে রাখা ভালো যেসব
নারী নিয়মিত বাদাম খান, তাদের
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক
কমে যায়। যারা সপ্তাহে কয়েক দিন
বাদাম খান, তাদের হৃদরোগের
সম্ভাবনা ৭৪ শতাংশ কমে যায়।
বাদাম এত স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারন
হচ্ছে, এতে রয়েছে প্রচুর
ভিটামিন,খনিজ,আঁশ ,মনস্যাচুরেটেড ও
পলিস্যাচুরেটেড চর্বি আর ওমেগা-৩
ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি।
তবে কাচা বাদাম ও ভাজা বাদাম
এই দুটোর তুলনার কথা বলা হলে,অবশ্যই
কাচা বাদাম ভালো।
কেননা ভাজা বাদামে প্রচুর ফ্যাট
থাকে | এতে এসিডিটি ও বাড়ে |
যাদের এসিডিটির
সমস্যা আছে তাদের ভাজা বাদাম
এড়িয়ে চলাই ভালো। তাছাড়াও
তেলে ভাজা বাদাম, মধু
বা চিনি মেশানো বাদাম
খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারই
বেশি পাওয়া যাবে। এতে ওজন
বাড়বে, রক্তচাপ বাড়বে। তাই
ভাজা বাদাম
খেতে ভালো লাগলেও দৈনিক এক
মুঠোর বেশি খাওয়া উচিত নয়।
পোলাও ,হালুয়া, ফিরনি,
জর্দা প্রভৃতির সাথে বাদাম
খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার
আশংকাই বেশি। অন্যদিকে,
কাচা বাদামে বেশি ভিটামিন
থাকে, এটা শরীরের জন্য বেশ
উপকারী। যারা কখনোই বাদাম খান
না তাদের তুলনায়
যারা সপ্তাহে একবারেরও কম বাদাম
খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ৭ শতাংশ,
যারা সপ্তাহে অন্তত একবার বাদাম
খান তাদের ঝুঁকি ১১ শতাংশ,
যারা সপ্তাহে ২ বা ৪ বার বাদাম
খান তাদের ১৩ শতাংশ
এবং যারা প্রতিদিন বাদাম খান
তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
১.৫ আউন্স বাদামে বিদ্যমান
পুষ্টি (গ্রাম হিসেবে): সাধারণ
বাদাম, ক্যালোরী ২৪৯ গ্রাম, ফ্যাট
২১.১ গ্রাম, প্রোটিন ১০.১ গ্রাম,
পেস্তা বাদাম- ক্যালোরী ২৪৩
গ্রাম, ফ্যাট ১৯.৬ গ্রাম, প্রোটিন ৯.১
গ্রাম, বিদেশী বাদাম-
ক্যালোরী ২৫৪ গ্রাম, ফ্যাট ২২.৫
গ্রাম, প্রোটিন ৯.৪ গ্রাম, বড় বাদাম-
ক্যালোরী ২৭৯ গ্রাম, ফ্যাট ২৮.২
গ্রাম, প্রোটিন ৬.১ গ্রাম, কাজু
বাদাম- ক্যালোরী ২৪৪ গ্রাম, ফ্যাট
১৯.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম, বাদুর
বাদাম- ক্যালোরী ২৭৫ গ্রাম, ফ্যাট
২৬.৫ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৪ গ্রাম,
আখরোট- ক্যালোরী ২৭৮ গ্রাম, ফ্যাট
২৭.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম,
ম্যাকাড্যামিয়াস- ক্যালোরী ৩০৫
গ্রাম, ফ্যাট ৩২.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৩
গ্রাম, পেক্যান্স- ক্যালোরী ৩০২
গ্রাম, ফ্যাট ৩১.৬ গ্রাম, প্রোটিন ৪.০
গ্রাম।

34
কিডনি নষ্টের ১০টি অনিয়ম !
১. প্রস্রাব আটকে রাখা।
২. পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
৩. অতিরিক্ত লবন খাওয়া।
৪. যেকোন সংক্রমনের দ্রুত চিকিৎসা
না করা।
৫. মাংস বেশি খাওয়া।
৬. প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া।
৭. অপরিমিত ব্যথার ওষুধ সেবন।
৮. ওষুধে সেবনে অনিয়ম।
৯. অতিরিক্ত মদ খাওয়া।
১০. পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া।

35
মৌমাছির কামড়ে ছোট
একটি টিপসঃ
মৌমাছি কামড়ালে সাথে সাথে
সেই
জায়গায় পেঁয়াজের রস ঘষে দিন।
চিমটাজাতীয়
জিনিস দিয়ে মৌমাছির
হুলটা তুলে ফেলে দিন এবং স্পিরিট
লাগিয়ে নিন।ব্যথা কমে আসবে।

36
দুটি মূল্যবান টিপসঃ
১) দাঁতের গোড়ায় ব্যথা? আক্রান্ত
স্থানে সামান্য কাঁচা হলুদ
বাটা লাগিয়ে দিন। মাড়ির
ব্যথা নিরাময় হবে। হলুদ যে আয়ুর্বেদ
গুণে ভরপুর একটি উপাদান, সে তো আর
বলার অপেক্ষা রাখে না।
২) দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হলে বা দাঁত
থেকে রক্ত পড়লে ব্যবহার করতে
পারেন
জামের বিচি। পাকা জামের
বিচি গুড়ো করে দাঁত মাজুন নিয়মিত।
উপকার পাবেন, রক্ত পড়া বন্ধ হবে।

37
পৃথিবী জুড়ে যেখানে স্বাস্থ্য
কমানোর ধুম, সেখানে মোটা হওয়ার
টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই?
আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্তু
খুশিই হবেন। কেননা ওজন বাড়াবার
টিপসগুলো তার জন্য এক রকম স্বস্তির
নিঃশ্বাস বয়ে আনবে৷
শারীরিকভাবে ক্ষীণকায়
ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই
শোনা যায়
কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এত
খাই কিন্তু মোটা হই না কেন।
হতাশার এই মুহূর্ত
থেকে মুক্তি দিতে তাদের জন্য
দেয়া হলো ১০টি টিপস। যা আপনার
ওজন বাড়াতে সহায়ক…
১. ঘুম থেকে উঠে বাদাম ও কিসমিস
খান
ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর
কিসমিসের বিকল্প নেই।
রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপ
কাঠ বাদাম ও কিসমিস
ভিজিয়ে রাখুন
৷সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।
২. প্রচুর শাক সবজি ও ফল খান
ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য
খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও
কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল
আর সবজি। এমন অনেক ফল আর
সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ
ক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু,
কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া,
মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল
ওসবজি খেলে ওজন বাড়বে। যদি এইসব
না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়,
তাহলে অবশ্যই একজন
ভালো ডাক্তারের
সাথে যোগাযোগ করুন।
কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার
ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের
অধিকারী হতে পারেন।
৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ান
খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই
একগাদা খেয়ে ফেলা নয়।
আপনি যদি কম খাওয়ার
কারণে রোগা হয়ে থাকেন,
তাহলে খাবারের পরিমাণ
আপনাকে বাড়াতেই হবে।
স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন,
তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার
বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।
৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন
অনেকেই ভাবেন যে বারবার
খেলে বুঝি ওজন বাড়বে।
এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম
মেনে পেট পুরে খান। পেট
পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার
কমে
যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির
অনেকটাই বাড়তি ওজন
হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প
করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম
বাড়িয়ে দেয়, ফলেওজন কমে।
৫. খাদ্য তালিকায় রাখুন
ডুবো তেলে ভাজা খাবার
ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর
পরিমাণে ফ্যাট থাকে।
ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক।
তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক
সবজির স্যালাড।
৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন
ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন
কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন?
কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল
মোটা হলেই হবে না।
সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত
শরীর।
আপনি জিমে যাবেন
পেশী তৈরি করতে,
এবং পুরুষেরা ওজন
বাড়াতে চাইলে এই
জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক।
পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক
বেশী তো বটেই
৭. ‘মাড়যুক্ত’ ভাত খান
অধিকাংশ মানুষই ভাতের মাড়
ফেলে দেয়৷ মাড়
ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের
অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সঙ্গে।
ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের মড়
না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ
উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ
চালের মাড় ভাত মজাও
লাগবে খেতে।
৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খান
ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ
কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার
আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন।
ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন
দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু
মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।
৯. কমান মেটাবলিজম হার
মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির
মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন
স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ
মেটাবলিজম হার।
সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই
এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে।
তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন,
সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার
শরীরে জমার সুযোগ পাবে।
মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য
প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময়
বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১
ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।
bdlove24

১০. খাদ্য তালিকায় বিশেষ খাবার
আপনার নিয়মিত খাবারের
পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ
ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ
করতে হবে খাদ্য তালিকায়,
নাহলে ওজন বাড়বে কেন?উচ্চ
রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে
এই খাবার গুলো খেতে পারেন
অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম,
চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির
মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয়
খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।
এরপরেও যদি ওজন
না বাড়ে তাহলে চিকিৎকের
সাহায্যে শরীর
পরীক্ষা করে যদি কোনো রোগ
পাওয়া যায়, তার
চিকিত্সা করাতে হবে। পেটের অসুখ,
কৃমি, আমাশয় অথবা
কোনো সংক্রামক রোগ
থাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেও
ওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত
ক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজন
কমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম,
নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিক
অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে।

38
Faculty Sections / ৫টি ঘরোয়া নিরাময়!
« on: April 20, 2015, 01:59:06 PM »
৫টি ঘরোয়া নিরাময়!
১. হাসতে গিয়েও হাসতে পারছেন
না? একটু সরিষার তেল এবং লবন
মিশিয়ে দাঁতে লাগান, দাঁত হবে
ঝকঝকে সাদা আর মজবুত।
২. নিজেকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন!
খালি পায়ে দৌঁড়াতে ভাল লাগে?
এটি আপনার পা কে শক্তিশালী এবং
সচল করে।
৩. জ্বর হলে বেশি করে পানীয় এবং
ফলের রস যেমন, বেদানা বা কমলার
রস খান।
বিডিলাভ২৪ ...কম
৪. খাওয়ায় অরুচি ও ক্ষুধা মন্দা হলে
১-৩ গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে
মিহি করে কুচিয়ে নিন
এবং তার সাথে লবন এবং কয়েক
ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন
একবার করে ৭-৮ দিন খান।
৫. মধু খাওয়ায় সতর্কতা।
নিন্ম লিখিত খাবারের সাথে মধু
খাওয়া যাবে না।
ক) মধুর সাথে কোন গরম খাবার।
খ) সমান মাত্রায় মধু এবং ঘি।
গ) মধু ও ঘোল।
ঘ) মধু ও খিচুরী।

39
ভাত খাওয়ার পর যে পাঁচটি কাজ
করবেন না !!!
পৃথিবীতে অন্তত তিনশ কোটি
মানুষের প্রধান
খাবার ভাত ৷চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত
খাবার পর পাঁচটি কাজ করতে
অনুৎসাহিত করেন।
এগুলো হলো:
১. ভাত খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা
১/২ ঘণ্টা পর
ফল খাবেন। কেননা, ভাত খাওয়ার
পরপর কোনো ফল
খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে
পারে।
২. সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট
খেলে যতখানি ক্ষতি হয়,
ভাত খাওয়ার পর
একটি সিগারেট বা বিড়ি তার
চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে।
তাই ধূমপান করবেন না।
৩. চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক
এসিড
থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের
পরিমাণকে ১০০ গুণ
বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম
হতে স্বাভাবিকের
চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। তাই
ভাত খাওয়ার পর
চা খাবেন না।
৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর
ঢিলা করবেন না।
খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা
প্যান্টের কোমর
ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেস্টাইন
(পাকস্থলি)
থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত
খাদ্যনালীর
নিম্নাংশ বেঁকে যেতে পারে,
পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও
হয়ে যেতে পারে। এ
ধরনের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল
অবস্ট্রাকশন
বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে
আগে থেকেই
কোমরের বাধন ঢিলা করে নিতে
পারেন।
৫. গোসল করবেন না। ভাত খাওয়ার
পরপরই গোসল
করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের
মাত্রা বেড়ে যায়।
ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের
পরিমাণ
কমে যেতে পারে যা পরিপাক
তন্ত্রকে দুর্বল
করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময়
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।

40
চুলের সৌন্দর্য বর্ধনে ঘরোয়া শ্যাম্পু!
*রীঠার শ্যাম্পু :

রাতে রীঠার খোসা টুকরো-টুকরো
করে পানিতে ভিজিয়ে দিতে হবে।
অনুপাত হবে ১ ভাগ রীঠার খোসার
সঙ্গে ৪০ ভাগ পানি। সকাল ঐ পানি
কচলে নিয়ে বা ফুটিয়ে নিয়ে মাথা
ধুলে চুল ঘন এবং লম্বা হয়। রীঠা
দেওয়ার আগে চুল একটু গরম পানিতে
ধুয়ে নিলে ভালো হয়। প্রথমে রীঠার
জল খানিকটা নিয়ে ৫-১০ মিনিট
চুলে দিয়ে ঘষে নিতে হবে। তারপর
ধুয়ে ফেলতে হবে। পরে আবার
অর্ধেকটা দিয়ে আগের মতো
ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

41
শিশুদের সর্দি ও নাক বন্ধ?

Posted on March 10, 2015 by jakir_health in চিকিৎসা // 1 Comment

শীত আসি আসি করছে। আর এই সময়টাতে হঠাত্ করে ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। হঠাত্ ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি জমে থাকার মতো উপসর্গ দেখা দিলে শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ও বিরক্ত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব উপসর্গ ভাইরাসের আক্রমণের কারণে বা অ্যালার্জির কারণে হয় এবং এক সপ্তাহের মাথায় সেরে যায়। বর্তমানে ছোট্ট শিশু ও নবজাতকদের এ ধরনের সমস্যায় কোনো ওষুধ বা চিকিত্সার চেয়ে সাধারণ যত্নআত্তির দিকেই জোর দেওয়া হয়।

-আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ গুলে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করুন। বাজারে স্যালাইন নাকের ড্রপ কিনতেও পাওয়া যায়।
-একটা তোয়ালে বা কাপড় রোল করে শিশুর মাথার নিচে দিয়ে তাকে চিত করে শোয়ান। এবার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর পর দুই বা তিন ফোঁটা ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন।
-ড্রপ দেওয়ার পর কাত করে শুইয়ে দিয়ে তরল সর্দি বেয়ে পড়তে দিন, টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। কটন বাড নাকের ভেতর ঢোকাবেন না।
-দুই বছর বয়সের নিচে নাকের ডিকনজেসটেন্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা নিষেধ।
ডিকনজেসটেন্ট জাতীয় ওষুধ নাকের শিরাগুলোকে সংকুচিত করবে, এটি নাক দিয়ে পানি পড়া রোধ করবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

 সূত্র: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ, ইউএসএ।
- See more at: http://www.banglahealth.com/2015/03/10/hello-world/#sthash.oGmLjfiM.dpuf

42
ক্যান্সার প্রতিরোধে ৮ খাদ্য

Posted on March 15, 2015 by jakir_health in খাদ্য ও পুষ্টি, চিকিৎসা // 0 Comments

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সব ধরনের ক্যান্সারের সঙ্গেই পুষ্টিকর খাদ্যের এবং শারীরিক ব্যায়ামের একটা যোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ১৭টি দেশের ১৭০টি গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যতালিকা একটু পাল্টে নিলেই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে। ক্যান্সার প্রতিরোধী বিভিন্ন খাবার প্রতিদিন কিছু পরিমাণে গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে। আসুন, জেনে নিই সেই খাদ্য তালিকা।
১) গাজর, হলুদ ও কমলা রঙের সবজি

এসবে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী বিটা ক্যারোটিন, যা ক্যান্সার কোষের ওপর চড়াও হয়।
২) টমেটো, তরমুজ

টমেটো ও তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন, যার পরিমাণ রক্তে কম হলে অগ্ন্যাশয়ের  ক্যান্সাররের ঝুঁকি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে যায়।
৩) সবুজ শাকসবজি

গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে ক্যান্সাররোধী বিটাক্যারোটিন, ফোলেট ও লিউটেইন থাকে। যে শাকসবজি যত সবুজ, তাতে তত বেশি উপাদান রয়েছে।
৪) বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম

অল্প সেদ্ধ করলে সবজির উপাদান ঠিক থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই সবজি নিয়মিত গ্রহণে খাদ্যনালির ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে।
৫) সয়াবিন

সয়াবিনে ক্যান্সাররোধী অন্তত পাঁচটি উপাদান রয়েছে। এসবের মধ্যে একটি উপাদানের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য স্তন ক্যানসারে ব্যবহূত ওষুধ টেমোক্সিফেনের মতো।
৬) রসুন ও পেঁয়াজ

রসুন-পেঁয়াজজাতীয় সবজিতে রয়েছে খাদ্যনালি, পাকস্থলী, ফুসফুস ও যকৃতের ক্যান্সাররোধী কয়েকটি উপাদান, যা রসুনের নির্যাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির প্রায় ৭১ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
৭) ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল

যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল খায়, তাদের অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
৮) স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধ

স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, রিবোফ্ল্যাবিন, ভিটামিন এ, সি, ডি প্রভৃতি উপাদান, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
- See more at: http://www.banglahealth.com/2015/03/15/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a7%ae-%e0%a6%96%e0%a6%be/#sthash.70ZakWF3.dpuf

43
প্রাকৃতিক কিছু খাবার
খেয়েই বাড়ানো সম্ভব
ত্বকের উজ্জ্বলতা। সেই
সঙ্গে ত্বককে সূর্যের
ক্ষতিকর প্রভাব ও পরিবেশ
দূষন থেকেও রক্ষা করা সম্ভব।
ত্বক ফর্সাকারী এমন
কয়েকটি প্রাকৃতিক খাবার
জেনে নিন।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে আছে প্রচুর
পরিমান ভিটামিন এ। ভিটামিন
এ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল
রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত
মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের
লালচে ভাব কমে এবং উজ্জ্বল
হলুদ আভা বৃদ্ধি পায়।
ফলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল ও
সতেজ।
বাদাম
বাদামে আছে ভরপুর ভিটামিন
ই, ফাইবার ও প্রোটিন। এই
তিনটি উপাদান ত্বককে সজীব
ও উজ্জ্বল
দেখাতে সহায়তা করে এবং ত্ব
মৃত কোষ দূর
করে ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও
প্রানবন্ত। এছাড়াও
ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর
আলোর প্রভাব থেকে মুক্ত
করে বাদাম। ফলে ত্বক
উজ্জ্বল দেখায়।
কমলার রস
কমলার রসে আছে প্রচুর
পরিমান ভিটামিন সি। এছাড়াও
এতে আছে প্রচুর
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
যা ত্বককে রক্ষা করে সূর্যে
ক্ষতিকর প্রভাব ও পরিবেশের
নানান ক্ষতিকর উপাদান
থেকে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব
রাখে। ফলে ত্বক দেখায়
উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
সূর্যমূখীর বীজ
সূর্যমূখীর
বীজে আছে প্রচুর ভিটামিন
ই। ভিটামিন ই
ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর
প্রভাব থেকে মুক্ত
রাখে এবং ত্বকের
পুরনো কোষ পরিষ্কার
করে নতুন কোষ
তৈরি করতে দরুণ কার্যকরি।
এছাড়াও প্রকৃতির ক্ষতিকর
নানান উপাদান
থেকে ত্বককে রক্ষা করে ত্বক
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক

44
এমন মানুষ কমই আছেন যিনি অবশাদে ভোগেন না। কিংবা বিরক্তিকর মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন না- এরকম মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ, ব্যস্ততম জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী এই দুই উপদ্রব। তবে সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও রয়েছে।

আকুপ্রেসারের সাহায্যে অল্প সময়ে রেহাই পেতে পারেন আপনি। কীভাবে? আপনার বাম হাতের বুড়ো আর তর্জনী, এই দুই আঙুলের মাঝখানে যে মাংসপেশী (চীনা চিকিৎসা শাস্ত্রে একে ‘হকু স্পট’ বলে) রয়েছে সেখানে ডান হাতের তর্জনী ও বুড়ো আঙুল দুটি দিয়ে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড চাপ দিন। ম্যাজিকের মতো অবসাদ, মাথাব্যথা চলে যাবে।

45
বাদাম খেতে আমরা অনেকেই
ভালোবাসি।
পার্কে কিংবা অপেক্ষায় বাদাম
অনেকেরই প্রিয় খাবার। বাদাম কিন্তু
শরীরের শুধু পুষ্টি-ই জোগায় না,
বরং বাদামের আছে নানা গুণ।
বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও
প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায়
পুরোটাই অসম্পৃক্ত ধাচের অর্থাৎ
স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন
বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত
পরিমাণে পটাশিয়াম আছে।
তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সহ
প্রয়োজনীয় আরো কিছু খনিজ
এতে রয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ
যারা করেন,
তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার
ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার
চেষ্টা করেন।
বাদামে শর্করা সামান্যই আছে।
ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না।
সেই সাথে এটি গ্লুকোজের
মাত্রা ঠিক রেখে শরীরের জন্য
ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমিয়ে দেয়।
জেনে রাখা ভালো যেসব
নারী নিয়মিত বাদাম খান, তাদের
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক
কমে যায়। যারা সপ্তাহে কয়েক দিন
বাদাম খান, তাদের হৃদরোগের
সম্ভাবনা ৭৪ শতাংশ কমে যায়।
বাদাম এত স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারন
হচ্ছে, এতে রয়েছে প্রচুর
ভিটামিন,খনিজ,আঁশ ,মনস্যাচুরেটেড ও
পলিস্যাচুরেটেড চর্বি আর ওমেগা-৩
ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি।
তবে কাচা বাদাম ও ভাজা বাদাম
এই দুটোর তুলনার কথা বলা হলে,অবশ্যই
কাচা বাদাম ভালো।
কেননা ভাজা বাদামে প্রচুর ফ্যাট
থাকে | এতে এসিডিটি ও বাড়ে |
যাদের এসিডিটির
সমস্যা আছে তাদের ভাজা বাদাম
এড়িয়ে চলাই ভালো। তাছাড়াও
তেলে ভাজা বাদাম, মধু
বা চিনি মেশানো বাদাম
খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারই
বেশি পাওয়া যাবে। এতে ওজন
বাড়বে, রক্তচাপ বাড়বে। তাই
ভাজা বাদাম
খেতে ভালো লাগলেও দৈনিক এক
মুঠোর বেশি খাওয়া উচিত নয়।
পোলাও ,হালুয়া, ফিরনি,
জর্দা প্রভৃতির সাথে বাদাম
খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার
আশংকাই বেশি। অন্যদিকে,
কাচা বাদামে বেশি ভিটামিন
থাকে, এটা শরীরের জন্য বেশ
উপকারী। যারা কখনোই বাদাম খান
না তাদের তুলনায়
যারা সপ্তাহে একবারেরও কম বাদাম
খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ৭ শতাংশ,
যারা সপ্তাহে অন্তত একবার বাদাম
খান তাদের ঝুঁকি ১১ শতাংশ,
যারা সপ্তাহে ২ বা ৪ বার বাদাম
খান তাদের ১৩ শতাংশ
এবং যারা প্রতিদিন বাদাম খান
তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
১.৫ আউন্স বাদামে বিদ্যমান
পুষ্টি (গ্রাম হিসেবে): সাধারণ
বাদাম, ক্যালোরী ২৪৯ গ্রাম, ফ্যাট
২১.১ গ্রাম, প্রোটিন ১০.১ গ্রাম,
পেস্তা বাদাম- ক্যালোরী ২৪৩
গ্রাম, ফ্যাট ১৯.৬ গ্রাম, প্রোটিন ৯.১
গ্রাম, বিদেশী বাদাম-
ক্যালোরী ২৫৪ গ্রাম, ফ্যাট ২২.৫
গ্রাম, প্রোটিন ৯.৪ গ্রাম, বড় বাদাম-
ক্যালোরী ২৭৯ গ্রাম, ফ্যাট ২৮.২
গ্রাম, প্রোটিন ৬.১ গ্রাম, কাজু
বাদাম- ক্যালোরী ২৪৪ গ্রাম, ফ্যাট
১৯.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম, বাদুর
বাদাম- ক্যালোরী ২৭৫ গ্রাম, ফ্যাট
২৬.৫ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৪ গ্রাম,
আখরোট- ক্যালোরী ২৭৮ গ্রাম, ফ্যাট
২৭.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম,
ম্যাকাড্যামিয়াস- ক্যালোরী ৩০৫
গ্রাম, ফ্যাট ৩২.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৩
গ্রাম, পেক্যান্স- ক্যালোরী ৩০২
গ্রাম, ফ্যাট ৩১.৬ গ্রাম, প্রোটিন ৪.০
গ্রাম।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 8