Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - irin parvin

Pages: 1 [2] 3
16
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কানের ভেতরের অংশে থাকা ‘ভেস্টিবুলার সিস্টেম’ নামক এক ধরনের ফ্লুইড ‘মোশন সিকনেস’ বা ভ্রমণ অসুস্থতার কারণ। যানবাহনে থাকাবস্থায় মাথার নড়াচড়ার কারণে এই ফ্লুইডও নড়তে থাকে, যা মস্তিষ্কে এই নড়াচড়ার সংকেত পাঠায়।

এই নড়াচড়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে বমি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, ঘাম হওয়া, অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি। কারও ক্ষেত্রে আবার মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি এবং মাথা ব্যথার লক্ষণও চোখে পড়ে। শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্যে পরিবর্তন এসেছে এমন মনে হলে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

এই অসুস্থতার সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি উপায়।

- পেট অতিরিক্ত ভরা অনুভব হয় এমন কিছু ভ্রমনের আগে খাওয়া উচিৎ নয়। ঝালজাতীয় এবং ভারি খাবার খেলেও সমস্যা বেড়ে যায় অনেকের। অল্প দূরত্বের ভ্রমণের না খেয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। আর দূরপাল্লার যাত্রায় অল্প পরিমাণে খাবার ও পানীয় খাওয়া উচিৎ।

- যাত্রার আগে কড়া সুগন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এধরনের খাবার খেলে বমিভাব হতে পারে। লোভনীয় গন্ধযুক্ত তৈলাক্ত খাবারের চাইতে ক্র্যাকার্স, শুকনা টোস্ট ইত্যাদি খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

- যাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি হয় তাদের যানবাহন যেদিকে চলছে সেটার উল্টা মুখ করে বসা উচিৎ নয়।

- গাড়ির পেছনের সিটের পরিবর্তে সামনে সিটে বসার চেষ্টা করুন। গাড়ির বাইরের পরিবেশের উপর চোখ রাখতে পারলে কানের ভেতরের অংশ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বর রাখা সহজ হবে।

- চলন্ত গাড়িতে বসে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে দিগন্তের দিকে চোখ রাখতে পারেন। আশপাশের চলন্ত বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকলে শারীরিক ভারসাম্যে গড়বড় হতে পারে।

- চলন্ত গাড়িতে বসে বই না পড়াই উত্তম। দিক নির্দেশনার প্রয়োজন থাকলে মানচিত্র বা গাড়ির জিপিএস না দেখে ‘ভয়েস কমান্ড’ ব্যবহার করা উচিৎ।

- সম্ভব হলে গাড়ির জানালা খুলে বাইরের সতেজ বাতাস গায়ে লাগার সুযোগ দিন। এতে ভ্রমণের অস্বস্তি কিছুটা কমবে। বিমান বা ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে সিটের উপরের ‘এয়ার ভেন্ট’ ফুল স্পিডে চালু করে রাখতে পারেন। নৌকা বা জাহাজে সফরকালে যতটা সম্ভব ডেকের বাইরে থাকার চেষ্টা করুন।

- ভ্রমণে অসুস্থতা আছে এমন যাত্রীদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ভ্রমণে অসুস্থতা নিয়ে আলোচনা করলে বা শুনলে এবং অন্যদের অসুস্থ হতে দেখলেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

- গাড়ির গতি কম অনুভূত হয় এমন স্থানে বসার চেষ্টা করুন। বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের মাঝামাঝি বসাই ভালো। পানি পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাহাজ বা লঞ্চের নিচের কেবিনগুলোতে থাকলে উপকার পেতে পারেন।

- সফরকালে চোখ বন্ধ করে থাকলে কিংবা ঘুমালে বমিভাব কমে।

- যাত্রা শুরুর আগে মাথা ঝিমঝিম করা বা বমির ওষুধ খেলে উপকার পেতে পারেন। ভেষজ চিকিৎসায় বিশ্বাসী হলে যাত্রা শুরুর আগে আদা খেতে পারেন।


Source: http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1002674.bdnews

17
Life Style / চিনে নিন খাঁটি ইলিশ
« on: July 27, 2015, 09:46:21 AM »
জানেন কি যে ইলিশ মাছ যত সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিকর৷ কারণ তার নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ গুণ। মাছ খেতে অল্প বিস্তর সব বাঙালিই ভালোবাসে। আর ইলিশ মাছ হলে তো কথাই নেই। দুপুরের খাবার টেবিলে যদি পাতে ইলিশ পড়ে তাহলে, আর অন্য কোনও পদের আর দরকার পড়বেই না। ইলিশের তেল দিয়েই তো অর্ধেক ভাত খাওয়া হয়ে যাবে৷ তবে ইলিশ মাছ কিন্ত্ত স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি তার পুষ্টি গুণও কিন্ত্ত কম কিছু নয়৷ তবে কী ধরনের ইলিশ খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে, যে সেই ইলিশ থেকে আপনি কতটা পুষ্টি পাচ্ছেন৷ আমরা সাধারণত দুই ধরনের ইলিশ খেয়ে থাকি৷ এক মিষ্টি পানির ইলিশ৷ অন্যটা হলো সমুদ্রের ইলিশ৷ মাথায় রাখবেন এদের মধ্যে পুষ্টিকর ইলিশ কিন্ত্ত একমাত্র মিষ্টি পানির ইলিশ। সামুদ্রিক ইলিশ কিন্ত্ত ততটা পুষ্টিকর নয়৷ এবার ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণগুলি একে একে জেনে নিন৷ আমরা জানি ইলিশ মাছে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি৷ সেটা সত্যি৷ তবে সেগুলি হলো ভালো ফ্যাট৷

অর্থাত্‍ ইলিশ মাছে পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণই বেশি৷ ভালো ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য সবসময়েই উপকারী৷ তবে এটাও মাথায় রাখবেন যে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছই কিন্ত্ত আসলে সবচেয়ে পুষ্টিকর৷ মোটামুটি সাতশো থেকে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছের মধ্যেই একমাত্র পলি ও মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়৷ তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মাছ হলেই জানবেন সেটিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি৷ সেটা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর৷ আবার আমরা অনেকেই তার কম ওজনের ইলিশ মাছও খাই৷ খোকা ইলিশও কিন্ত্ত ততটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নয়৷ বিশেষ করে এই মাছে একেবারেই প্রোটিন নেই৷

তাই মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ খান৷ কারণ এই মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, এবং জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ৷ ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন৷ জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো৷ সেলেনিয়াম আবার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণও৷ ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের তেল হার্টের জন্যও খুব ভালো৷ যাদের হাইপার কলেস্টরল আছে, তারাও ইলিশ মাছ খান৷ কারণ তা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে দেয়৷ এলডিএল বেড়ে গেলে কিন্ত্ত হার্ট ব্লকের সমস্যা হতে পারে৷ ইলিশ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই৷ বিশেষ করে ভিটামিন ডি কিন্ত্ত খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়৷ অস্টিওপোরোসিসের জন্যও ইলিশ মাছ খুব ভালো৷ ইলিশ মাছে আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো৷ তাছাড়া ইলিশ মাছ ক্যান্সার প্রতিরোধক৷ হাঁপানি-র উপশমেও উপকারী৷ আবার সর্দি কাশির জন্যও ভালো৷ তবে ইলিশ মাছ আরা বছর নয়, শুধু ইলিশের মরশুমেই খান৷ যদি রোজ ইলিশ খেতে চান, তাহলে হালকা ইলিশের ঝোল খান৷ খুব কড়া করে ভাজা ইলিশ মাছ না খাওয়াই ভালো৷ তাছাড়া রোজ যদি সর্ষে বাটা দিয়ে কষে ইলিশ রান্না খান, তা হলে তা শরীরের পক্ষে খারাপ তো বটেই৷ জেনে রাখুন ইলিশ ডিম দেওয়ার আগেই কিন্ত্ত ভালো খেতে৷ মজার কথা হলো ইলিশ মাছ যত জলে সাঁতার কাটে তত তার শরীর টোনড হয়ে ওঠে৷ আর তত ইলিশ মাছ সুস্বাদু হয়৷ জানবেন যে ইলিশ মাছের যত স্বাদ সেই ইলিশ তত পুষ্টিকর৷

Source: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle

18
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিশেষ করে নাশতায় অনেকেই ডিম খেতে পছন্দ করেন। সময় স্বল্পতার জন্য ভাতের সঙ্গে তরকারির বিকল্প হিসেবে ডিম ভাজি বা ভর্তা করেও অনেককে খেতে হয়। প্রশ্নটা হলো প্রতিদিন বা নিয়মিত ডিম খাওয়া যাবে কি যাবে না, এ নিয়ে চিকিৎসক, রোগী এমনকি সুস্থ মানুষের মাঝেও বিভ্রান্তি বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল এবং এখনো আছে। বিশেষ করে যাঁদের বয়স একটু বেশি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন রোগী অথবা যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির পরিমাণ বেশি, তাঁদের ডিম খেতে নিষেধ বা সম্পূর্ণ বর্জন করতে বলা হতো। অনেকেই আবার ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটুকুই খেতে বলতেন। এর কারণ একটাই, তা হলো ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, তাতে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এত দিনের এ ধারণা আসলে সত্যি নয়।
ডিম খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ততটা বৃদ্ধি পায় না। একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারে। আর একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল।
তাই বিশেষজ্ঞরা, এমনকি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এখন আর তাদের খাদ্যের গাইড লাইনে ডিম খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করছে না। যেকোনো ব্যক্তি ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনো সমস্যা তো হবেই না, এমনকি কুসুমসহ সম্পূর্ণ ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি থাকে না। একটি গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে পাঁচ-ছয়টি ডিম আহারে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক বা অন্যান্য ধরনের হৃদ্রোগের কোনো ঝুঁকি নেই।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে বলা হয়, দিনে একটি ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয়। সকালের নাশতায় একটি ডিম কোলেস্টেরল প্রোফাইলের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না, যতটা প্রভাব ফেলে আপনার সকালের নাশতায় মিষ্টি বা চর্বি জাতীয় খাবার থাকলে।
ডিমের মধ্যে যে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লোবিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে, তা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়। এমনকি অনেক দিন সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার চেয়ে ডিম ভালো বিকল্প খাদ্য হতে পারে।
অনেকে হাঁস বা মুরগির ডিম এমনকি সাদা বা লালচে ডিম খাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, আসলে সব ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণ একই রকম। কেউ কেউ আবার কাঁচা ডিম খেতে পছন্দ করেন, এমনকি কাঁচা ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন, এ ধারণাটাও সত্যি নয়। বরং কাঁচা ডিম খেলে সালমোনেলা জাতীয় ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তরুণেরা এবং যাঁরা বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁরা নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। এমনকি বয়স্করা সপ্তাহে কয়েকটি ডিম খেতে পারবেন। আর যাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত। তবে কিডনি অকেজো বা রেনাল ফেইলুরের রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাবেন, কারণ কিডনি ফেইলুরে প্রোটিন কম খাওয়া উচিত। তবে কারও কারও বেলায় ডিম খেলে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সুস্বাস্থ্য এবং খাদ্যের জরুরি উপাদান প্রোটিন গ্রহণের জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া নিয়ে কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।


লেখক: ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
www.prothom-alo.com/life-style/article/581536

19
হলুদ খেলে কমতে পারে টাইপ টু ডায়বেটিস। জানাচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসলের নিউট্রাসিউটিক্যাল রিসার্চ গ্রুপ। গবেষণায় উঠে এসেছে হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মিশ্রণ যুঝতে পারে টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে। 

যেই ধরণের খাবারে ফোলা কমানোর উপাদান রয়েছে সেইসব খাবারে সাধারণত কারকিউমিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মেলবন্ধন দেখা যায়। এর ফলে প্রভাব পড়ে ইনসুলিন ক্ষরণে। মুখ্য গবেষক অধ্যাপক মনোহর গর্গ জানিয়েছেন ডায়বেটিসে আক্রান্ত ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সী রোগীদের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা গিয়েছে এই দুটি উপাদানই অত্যন্ত সুরক্ষিত। রোগীদের ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম দলকে দেওয়া হয় কারকিউমিন, দ্বিতীয় দলকে শুধুই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, তৃতীয় দলকে দেওয়া হয় দুটি উপাদানের মিশ্রণ। ২০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিনের সঙ্গে ১ গ্রাম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এই অনুপাতে মেশানো হয়। দেখা গিয়েছে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই অসাধারণ কাজ করে এই দুইয়ের মিশ্রণ।


Source:www.kalerkantho.com/online/lifestyle

20
পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা প্রত্যেকের কাছেই খুবই চেনা সমস্যা৷ ব্যস্ত জীবনের কাজের চাপে অথবা বয়সের ভারে আধিকাংশ মানুষই এখন পিঠে ব্যথা বা কোমরে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন৷ ওষুধে প্রথম দিকে কাজ হলেও ব্যথার ওষুধ দীর্ঘদিন খাওয়া উচিত নয় চিকিৎসকদের মতে৷ এদিকে রোজকার নিয়মিত কাজ করাও অসম্ভব হয়ে ওঠে এই ব্যথার তাণ্ডবে৷ তাই এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু ঘরে তৈরি পথ্য দেওয়া হল৷ এগুলিতে ব্যথা অনেকটা কম হয়৷

১. নারকেল তেলে একটু কর্পূর দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করতে দিন৷ ঠান্ডা হলে একটি বোতলে ঢেলে রাখুন৷ সপ্তাহে দুবার করে ঘুমানোর আগে পিঠে ও কোমরে মালিশ করে নিন৷ এতে পিঠে ব্যথা অনেকটা কম হবে৷

২. গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হলে অল্প উষ্ণ গরমজলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে দিন৷ সেই জলে রোজ স্নান করলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন৷

৩. অবসর সময়ে বসে যখন আপনি টিভি দেখছেন বা গল্প করছেন তখন একটি গরম জলের ব্যাগ পিঠের পিছনে রেখে দিন৷ তাতে হেলান দিয়ে বসুন৷ এই গরম সেঁক আপনার ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে৷

৪. স্নানে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সর্ষের তেল দিয়ে এক ঘণ্টা মালিশ করুন৷ এর পর গরম জলে স্নান করুন৷

৫. প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধে একটু হলুদ এবং কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে খেলে পিঠে ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়৷

৬ চায়ে আদা দিয়ে খেলে পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে৷

৭. হার্বাল তেলে মালিশ করলে তাতে পিঠে ব্যথা কম হয়৷

৮. একটি মোজার ভিতরে চাল ভরে মাইক্রোওভেনে তিন থেকে পাঁচ মিনিট গরম হতে দিন৷ যেখানে ব্যথা সেখানে এটি দিলে অদ্ভুত ভালো কাজ হয় এতে৷


Source: http://www.bd24live.com/bangla/article/52347

21
প্রতিদিনের সকাল ভাল হলে সারাদিনও ভাল যায় বলে মনে হয়। সকালের রুটিন যদি ভালভাবে পালন করা যায়, তাহলে তার প্রভাব সারাদিন থাকে। এখানে, কিছু উপায় দেয়া হল, যা আপনি আগের রাতে করে রাখতে পারেন, এতে আপনার সকালে কাজ করতে সুবিধা হবে।

১. প্রয়োজনীয় জিনিস আগের রাতে গুছিয়ে নিন:
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি সকালে জিমের জন্য যান, তাহলে আগের রাতেই আপনার জিম ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন এবং নিশ্চিত থাকুন ব্যাগে প্রয়োজনীয় সব জিনিস নেয়া হয়েছে। ব্যাগে ওয়ার্ক আউট গিয়ার, জুতা, পানির বোতল, তোয়ালে আগের রাতেই গুছিয়ে রাখতে পারেন। যারা অফিসে যান, তারা তাদের প্রয়োজনীয় ফাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র আগের রাতে গুছিয়ে রাখুন।

২. মেক-আপ রুটিন সহজ করুন:
আপনার মেক-আপ যতটা পারেন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। চোখে একটু মাসকারা ও ঠোঁটে লিপ-গ্লস হলেই আপনার জন্য যথেষ্ট।

৩. সকালে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস প্যাক করুন:
আগের রাতেই প্রয়োজনীয় সকল জিনিস আপনি প্যাক করে ফেলার পরেও সকালের জন্য কিছু জিনিস রয়েছে, যা আপনার সকালের প্যাক করতে হবে। দুপুরের খাবার অবশ্যই সকালে গুছিয়ে নিতে হবে। সকালে বের হবার কিছু সময় পূর্বে খাবার প্যাক করে নিন।

৪. আপনার রান্নাঘরের মজুদ নিশ্চিত করুন:
রাতের খাবার রান্না করার সময় সকালের জন্য কিছু তৈরি করে রেখে দিন। যেন তা সকালে গরম করে খেয়ে নিতে পারেন। আগের রাতে পূর্ব-প্রস্তুতি করে না রাখলে সকালে অতি দ্রুত কাজ করতে হয়। যার ফলে আরও বেশি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

আগের রাতে এই ৪টি কাজ করে রাখবেন। এতে সকালে কাজ করার সময় আপ্নারে কষ্ট কম হবে। দিনের শুরুও ভাল হবে, সারাদিন মন ভাল থাকবে।

Source:http://www.bd24live.com/bangla/article/51997/index.html

22
রোজায় শসা, খেজুর আর দই খাওয়া হয়। অনেকদিনের অভ্যাসে সারাদিন পর এগুলো খাওয়া হয়।
তবে অনেকিই হয়ত জানেন না এসব স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।

এই বিষয়ে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. আজমেরি বিনতে আসলাম।

শসা

সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য এই রোজায়, গরমে ইফতারে শসা খান আর তরতাজা বোধ করুন। আর এর উপকারিতা জানার পর তো শসার প্রেমেই পড়ে যাবেন!

-  শসায় থাকে প্রচুর পানি। প্রায় শতকরা ৯৬ ভাগ পানিসমৃদ্ধ ১টি শসা আপনাকে দুই গ্লাস সমান পানি সরবরাহ করবে।

- শসায় থাকে প্রচুর ভিটামিন- এ, বি, সি এবং কে। আরও আছে মিনারেল-ম্যাংগানিজ, পটাসিয়াম, কপার, মলিবডেনাম। শসার এই ভিটামিন আর ম্যাংগানিজ কাজ করে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে।

- শরীরের বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে

- যদিও এখনও গবেষণা পর্যায়ে আছে তাও বিজ্ঞানীরা প্রায় নিশ্চিত যে শসা ব্রেস্ট, ইউটারাস, প্রোস্টেইট, ওভারিয়ান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

- হজমে সাহায্য করে।

- ওজন নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে। কারণ এতে থাকে কম ক্যালোরি আর প্রচুর ফাইবার।

- শরীরের খারাপ চর্বি কমিয়ে আনে।

- রোদেপোড়া চামড়ায় শসা লাগালে ক্ষতি কমে এবং আরাম হয়!

খেজুর

একটি অসাধারণ ফল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফল হোক প্রতিদিনের ইফতারের সঙ্গী। জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা।

- ডেক্সট্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ হল খেজুরের দুই শর্করা। যা অতি দ্রুত আপনাকে শক্তি দেয়।

- সারাদিনের অভুক্ত পাকস্থলী কে তৈরী করে খাবার গ্রহণর জন্য।

- খেজুরে আছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, কে। ভিটামিন এ, সি এবং কে- কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্ক শক্তিশালি করে। পাশপাশি ত্বক করে সুন্দর।

- এতে কোনো ফ্যাট নেই। শুধু তাই নয়, খেজুর ক্ষতিকর কোলেস্টেরল পরিশোষণ করতেও বাধা দেয়।

- এতে আছে পটাশিয়াম, কপার, আয়রন, সোডিয়াম ইত্যাদি। যা শরীরের লবণ ঠিক রাখে, রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।

- রোজায় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের জন্য কোষ্টকাঠিন্য হতে পারে, খেজুর এর থেকে মুক্তি দেয়।

- খেজুরের আছে অ্যান্টিক্যানসার ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুন।

- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া খুবই ভালো।

দই

- দই হজম হয় খুব তাড়াতাড়ি। এটি পাকস্থলির পরিবেশ ভালো রাখে আর, এর পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখে।

- যাদের দুধ হজম হয় না, তারা নিশ্চিন্তে দই খান।

- দইয়ে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড় শক্ত করে।

- দইয়ে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

- যাদের বদহজমের সমস্যা আছে, দই তাদের জন্য খুবই ভালো।

- স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্যও চাই দই।

- ওজন কমাতে খান দই।

- সর্বোপরি শরীর ঠাণ্ডা রাখে দই।


Source:http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article990825.bdnews

23
মহিমান্বিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ অন্যতম। এ মাসের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি। এ মাসে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী করে তাক্বওয়া হাছিলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেজামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “রমাদ্বান শরীফ-এ আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমল দশগুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়ে থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

চলুন জেনে নেই যেসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না:

১. ভুলক্রমে কোন কিছু পানাহার করলে। অতঃপর শেষ সময় পর্যন্ত পানাহার না করলে।
২. ভুলক্রমে নির্জনবাস করলে।
৩. রোযার মধ্যে দিনে ঘুমালে এবং ঘুমের মধ্যে গোসল ফরয হলে।
৪. আহলিয়ার প্রতি দৃষ্টিপাত করার কারণে মনি নির্গত হলে।
৫. শরীরে তেল মালিশ করলে।
৬. শিঙ্গা লাগালে যদিও রক্ত বা পুঁজ বের হয়।
৭. চোখে সুরমা বা ওষুধ দিলে। উল্লেখ্য, ওষুধের স্বাদ গলায় অনুভূত হলে বা সুরমার রঙ থুথুর সাথে দেখা গেলেও রোযা ভঙ্গ হবে না।
৮. আহলিয়াকে বুছা দিলে।
৯. অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।
১০. রোযাদারের গলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া গেলে।
১১. মুখে থুথু এলে বারবার না ফেলে গিলে ফেললে।
১২. রোযা অবস্থায় নখ ও চুল কাটলে।
১৩. রোযাদার ব্যক্তি স্বপ্নে কিছু খেলে বা পান করলে।
১৪. রাস্তায় চলাচলের সময় গাড়ির ধোঁয়া, রান্না করার সময় রান্নার ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে মাজূর বা অক্ষমতার কারণে রোযা ভঙ্গ হবে না।
১৫. রোযা অবস্থায় সন্তানকে দুধ খাওয়ালে মায়ের রোযা ভঙ্গ হবে না। এমনকি ওযূও ভঙ্গ হবে না।

Source: http://www.bd24live.com/bangla/article/48315

24
দাঁত আমাদের একটি অতি মূল্যবান সম্পদ। আমাদের দেহ বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বাদবাকি সব কিছুই খাবারের ওপরে নির্ভরশীল। এবং আমাদের খাবার খাওয়া অনেকাংশে দাঁতের ওপর নির্ভরশীল। দাঁত না থাকলে কি ধরণের সমস্যা পোহাতে হয় তা সাধারণ মানুষ না বুঝলেও যাদের দাঁত নেই বা দাঁতে সমস্যা রয়েছে তারা ঠিকই বুঝতে পারেন।

আমরা আসলেই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। এবং পরিশেষে দাঁতের কোনো সমস্যা হলে তখন তা নিয়ে বিপদে পড়ি। তাই প্রত্যেকরই দাঁত সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী। জানা উচিৎ দাঁত সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক দাঁত সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য।

তথ্য-১
দাঁত মাজতে আমরা নানা ধরণের টুথপেস্ট ব্যবহার করি। অনেক চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বেঁছে নিই টুথপেস্ট। অনেকেই জেল টুথপেস্ট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন, জেল টুথপেস্ট মুখের দুর্গন্ধ এবং মুখ অনেকক্ষণ ফ্রেশ রাখতে সক্ষম হলেও দাঁত পরিষ্কারে একেবারেই অক্ষম। তাই জেল টুথপেস্ট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

তথ্য-২
অনেকেই সকাল বেলা খালি পেতে ১ গ্লাস লেবু পানি পান করে থাকেন। এতে ওজন অনেকটা কমে। কারণ লেবু পানি মেদ কমাতে সহায়ক। কিন্তু এই কাজটির কারণে দাঁতের কতোটা ক্ষতি হয় জানেন কি? সকালে লেবু পানি পান করা দাঁতের ওপরের এনামেলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। লেবু পানির সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে।

তথ্য-৩
স্বাদের কারণে আমরা কতো কিছুই তো খেয়ে থাকি এবং পান করে থাকি। মুখের স্বাদের দিকে নজর দিতে যেয়ে ভুলে যাই দাঁতের কথা। মনে রাখবেন, যে সকল খাবার কাপড়ে দাগ ফেলতে সক্ষম সে সকল খাবার দাঁতের ওপরের এনামেলের ক্ষতি করে দাঁতেও দাগ ফেলতে সক্ষম। অর্থাৎ, মশলা জাতীয় খাবার, চকলেট, চা/কফি, সফট ড্রিংকস জাতীয় সকল খাবারই দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

তথ্য-৪
আমরা অনেকেই দাঁত ব্রাশ করে ব্রাশটি খোলা ভাবে কোনো ব্রাশ স্ট্যান্ডে রেখে দিই। এবং ব্রাশগুলো হরহামেশা বাথরুমেই থাকে। কিন্তু এই কাজটি একেবারেই করা উচিৎ নয়। ব্রাশ খোলা ভাবে বাথরুমে রেখে দিলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় যা পরবর্তীতে ব্রাশের সময় আমাদের মুখ ও পেটে চলে যায়। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

তথ্য-৫
দুধ খেতে অনেকের ভালো না লাগলেও দাঁতের জন্য দুধ বেশ ভালো একটি খাবার। দুধের ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠন মজবুত করে তোলে। গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত দুধ খেলে বাচ্চাদের দাঁতের গঠন মজবুত হয়।

তথ্য-৬
অপরিস্কার দাঁত সকলের কাছেই অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার। কিন্তু আপনি জানেন কি অপরিস্কার দাঁত স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা ক্ষতিকর? দাঁত অপরিস্কার থাকলে মুখে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া জন্মায় তা হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। সুতরাং দাঁত পরিস্কারের ব্যাপারে কোনো অবহেলা নয়।

Source:http://www.bd24live.com/bangla/article/33922

25
ফুসফুসের ক্যানসারে থেরাপির মাধ্যমে একজন রোগীকে দ্বিগুণেরও বেশি সময় ধরে বাঁচিয়ে রাখা যায় বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাওয়া এই ফলকে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
নিভোলাম্ব ওষুধ ব্যবহার করে এই ফল পাওয়া গেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এটি অ্যান্টিবডি হিসেবে মানবদেহের নিজস্ব প্রতিরোধব্যবস্থা থেকে লুকিয়ে ক্যানসার কোষগুলোর বৃদ্ধি বন্ধ করে। ওই কোষগুলোকে দুর্বলও করে ফেলে। নিভোলাম্ব মানবদেহের প্রতিরোধব্যবস্থাকে বদলে ফেলে নিজে কার্যকর হয়। ক্যানসারের কোষকে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে বাধা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। ফলে মানবদেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা টিউমারকে আক্রমণ করতে পারে।
মোট ৫৮২ জনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাওয়া ফল আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অনকোলজিতে উপস্থাপন করে বিশেষজ্ঞরা ‘বাস্তবসম্মত আশা দেন’।
যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসায় নিভোলাম্ব ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার সবচেয়ে মারাত্মক। প্রতিবছর ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ১৬ লাখ মানুষ মারা যায়। এর চিকিৎসা করাও কঠিন, কারণ অনেক দেরিতে এটা ধরা পড়ে। আবার যাঁদের ধূমপানজনিত রোগ থাকে, তাঁরা সার্জারি করার মতো ফিট থাকেন না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গুরুতর পর্যায়ের ফুসফুসের ক্যানসারের রোগী যাঁরা ইতিমধ্যে অন্যান্য চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের ওপর নতুন এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, এ পর্যায়ে আদর্শ থেরাপি নেওয়া রোগীরা গড়ে নয় মাস চার দিন বাঁচেন। কিন্তু যাঁরা নিভোলাম্ব নিয়েছেন, তাঁরা গড়ে ১২ মাস দুই দিন বাঁচেন। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছিল। তাঁরা বেঁচেছিলেন ১৯ মাস চার দিন পর্যন্ত।
ওষুধ কোম্পানি ব্রিস্টল-মায়ার্স স্কুইব এসব তথ্য তুলে ধরে। প্রধান গবেষক স্পেনের একটি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক ড. লুইজ পাজ-অ্যারেজ বলেন, ‘এই ফলাফল ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন বিকল্প হিসেবে মাইলফলক স্পর্শ করেছে।’
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ড. মার্টিন ফরস্টার বলেন, ‘এটা সত্যিই সাড়া জাগানোর মতো বিষয়। আমি মনে করি, এই ওষুধ ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করবে।’ তিনি বলেন, ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ব্যর্থ হওয়ার পর রোগীর টিকে থাকার হার ভয়াবহ পর্যায়ে নেমে গেছে।
যুক্তরাজ্যের ক্যানসার রিসার্চের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞান তথ্য কর্মকর্তা ড. অ্যালান ওর্সলে বলেন, মানবদেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা থেকে লুকিয়ে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি বন্ধের এই প্রক্রিয়া বর্তমান কেমোথেরাপির চিকিৎসার চেয়ে ভালো হতে পারে। যে রোগীদের চিকিৎসার খুব কম বিকল্প আছে, তাঁদের জন্য এটা আশার খবর।

সূত্র: বিবিসি।
http://www.prothom-alo.com/technology/article/541822

26
মন জিনিসটা কি বিচিত্র তাই না? কখনো স্বচ্ছ নীল আকাশ কখনো মেঘে ঢাকা, কখনো আবার অঝোর বৃষ্টি। আকাশের সাথে মনের আদেও কোনো অমিল নেই। মাঝে মাঝে এই মনই আবার রুদ্র রূপ ধারণ করে। তখন সবকিছুই অশান্ত, বিশৃঙ্খল। মনে হয় সব শেষ হয়ে যাক। সব ধ্বংস হয়ে যাক। এ সময় নিজের মন নিজেরই অবাধ্য হয়ে যায়। কোনো কথাই শুনতে চায় না। আর এমনি সময় কিছু মজাদার খাবার আপনার মনকে শান্ত করতে পারে। কি, অবাক লাগাছে? ব্যাপারটা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। আপনি একবার এই খাবার গুলো খেয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কোন খাবার? চলুন জেনে নেই:

কাজুবাদাম:
কাজু বাদাম অত্যন্ত সুস্সাদু একটি বাদাম। কাজু বাদাম আপনার ব্রেইনের জন্য একটি অন্যতম সেরা খাদ্য। কাজু বাদামের ভিটামিন ই আপনার ব্রেইনের কার্যক্রম সঠিক রাখতে ও স্মরণশক্তি বাড়াতে খুব সাহায্য করে। এছাড়া বাদামের জিঙ্ক উপাদান ও মিনারেল ব্রেইনের সেল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে ও উত্তেজিত ব্রেনকে শান্ত করে।

কালো জাম:
কালো জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষের মস্তিষ্ককে শক্তি জোগায়। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে। যখ আপনার মন উদ্বেগ ও হতাশয় ভরে যায় তখন কতোগুলো জাম লবণ মেখে খেয়ে দেখুন মাথা ঠাণ্ডা হবে ও মন শান্ত হবে।

আমন্ড:
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং স্থবিরতা ও অবসাদ দূর করতে আমন্ড খান। ম্যাগনেসিয়ামের উৎস হিসেবে আমন্ড একই সঙ্গে আপনার হৃদপিণ্ডকেও রাখবে সুরক্ষিত। দৈনিক ২৩ থেকে ২৫টি আমন্ড খান। নিজের মেজাজের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।

চকলেট:
চকলেট আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় যা আমাদের মনকে উৎফুল্ল করে তোলে নিমেষেই। তাই মন খারাপ দূর করতে ১ টুকরো চকলেট পুড়ে নিন মুখে।

গ্রিন টি:
গ্রিন টি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মানসিক চাপ দূর করার বিশেষ উপাদান আমাদের দেহের পাশাপাশি মস্তিষ্কের নার্ভকেও উন্নত করতে সহায়তা করে। গ্রিন টি পানের ফলে মস্তিষ্কে উৎপন্ন হয় সেরেটেনিন, যা নিমেষেই দূর করে দেয় বিষণ্ণতা ও মন খারাপের মতো সমস্যা।

সূত্র: হাংরি ফর চেঞ্জ।
http://www.bd24live.com/bangla/article/45627

27
সকলেই স্ট্রবেরির মিষ্টি স্বাদ অনেক পছন্দ করেন। কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কেউ ভালভাবে জানেন না। এটি শরীরের উন্নতি করার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এছাড়াও এটি আমাদের ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক অস্ত্র। ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা রোধ করার জন্য এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিম্নে এর বিভিন্ন গুণাবলী আলোচনা করা হল-

১. দাঁতকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে:
আপনার দাঁত যদি লালচে বা হলুদ মনে হয়, তাহলে ডেন্টিস্টের নিকট না যেয়ে স্ট্রবেরি খেয়ে দেখতে পারেন। সাথে সাথে দাঁতের রঙয়ের পার্থক্য দেখতে পাবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারনে এটি খুব দ্রুত দাঁতের প্লেক দূর করতে পারে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত স্ট্রবেরি খাবার অভ্যাস করেন তাহলে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়ে দাঁত আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

২. হৃদরোগের সমস্যা দূর করে:
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগের কারনে। স্ট্রবেরি খাবার ফলে আপনার হার্টের সমস্যা অনেকাংশে কমতে পারে। তাই, আপনার খাদ্য তালিকায় নতুন করে স্ট্রবেরি যুক্ত করতে পারেন। এতে যে ইলাজিক এসিড রয়েছে, তা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। স্ট্রবেরির ভিটামিন সি রক্তের ধমনী শক্তিশালী করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

৩. বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি দেয়:
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের কোষেরও বয়স বৃদ্ধি পায়। কিন্তু, এই প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করা যায়। সূর্য ও দূষণ ধ্রুবক এক্সপোজার এর কারনে চামড়া দ্রুত পক্কতা পায়। তাই, প্রকৃতির সাথে আপনার ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে স্ট্রবেরি গ্রহণ করা শুরু করুন। এতে যে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা মতে, স্ট্রবেরি খাওয়ার মাত্র আধ-ঘণ্টার মধ্যে শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

৪. ব্রণের সমস্যা দূর করে:
স্ট্রবেরির মাস্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মুখের শক্তিশালী ব্রণের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই গরমে প্রতিদিন মাত্র আধ-ঘণ্টা মুখে মাস্ক ব্যবহারের জন্য ব্যয় করুন। তাহলেই আপনার ত্বকের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৫. হাঁপানি ও এলার্জি দূর করে:
আপনি যদি হাঁপানি ও এলার্জির জন্য ঔষধ খেয়ে ক্লান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য স্ট্রবেরি একটি মহৌষধ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হাপানিত প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য স্ট্রবেরি সবচেয়ে ভাল উপায়।

সূত্র: লাইফ হ্যাক।
http://www.bd24live.com

28

গরমে ঘাম হয়। আর সেই ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় পানি। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় ডিহাইড্রইশন বা পানিশূন্যতা পানিশূন্যতা।কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান এই বিষয়ে বলেন, “ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগ থেকে পানিশূন্যতা হতে পারে। তবে গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যাওয়ার কারণেও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়া সম্ভব।”

এই চিকিৎসক জানান, পানিশূন্যতাকে মাইল্ড বা হালকা, মডেস্ট বা মাঝারি এবং সেভিয়ার বা মারাত্মক— এই তিনভাগে ভাগ করা হয়।

তিনি বলেন, “পাতলা পায়খানা ও বমি হলে পানিশূন্যতা হতে পারে। আর ত্বক, জিহ্বা ইত্যাদি শুকনা হয়ে থাকলে বুঝতে হবে শরীর পানিশূন্যতায় ভুগছে। রোগীর অবস্থা বোঝার জন্য তার ত্বকে চিমটি দিয়ে ধরে ছেড়ে দিয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা মাপা হয়। ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে যত বেশি সময় লাগবে, বুঝতে হবে রোগীর পানিশূন্যতা ততই বেশি।”

“পানিশূন্যতার কারণে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম কমে যায়। বিশেষত, পাতলা পায়খানার কারণে পানিশূন্যতা হলে সোডিয়াম কমে আর বমির কারণে হলে পটাশিয়াম কমে। অবস্থা মারাত্বক হলে কিডনি ফেইলিয়র বা বৃক্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা ‘অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি’। এঅবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।”

পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

ডা. হাসান বলেন, “একজন ৬০ কেজি ওজনের মানুষের দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা আবশ্যক।”

তিনি আরও বলেন, “ওজন বেশি হলে আরও বেশি পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে গরমে বাইরে থেকে এসে স্যালাইন খেতে হবে। এছাড়াও তরমুজ, কমলা, পেঁপে, আনারস ইত্যাদি ফল আস্ত কিংবা জুস করে খেলেও উপকার হবে।”

লেবুর সরবতও বেশ উপকারী।

তবে রাস্তা বা ফুটপাথে বিক্রির সরবত খাওয়া বিষয়ে ডা. হাসান বলেন, “পানিশূন্যতায় লেবুর সরবত অবশ্যই উপকারী। তবে এসব সরবত বিক্রেতাদের ব্যবহার করা পানি এবং অন্যান্য উপকরণগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে সন্দেহ আছে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সরবত তৈরি করে, এরকম কোনো বিক্রেতা জানা থাকলে খাওয়া যায়।”

Source:http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article957934.bdnews

Pages: 1 [2] 3