Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Lazminur Alam

Pages: 1 [2] 3 4 ... 22
16
Heritage/Culture / বেগুনি বক
« on: October 22, 2017, 06:46:57 PM »
সদা সতর্ক হুঁশিয়ার লম্বা পা ও নলাকৃতির লম্বা গলার এই পাখি বিপৎসীমানার ভেতরে মানুষ বা অন্য কোনো শত্রু দেখলে ঘাড়-মাথা ও পুরো শরীর টানটান করে, ঠোঁটটি আকাশমুখো করে স্থির হয়ে যায়। আর যদি ঘাসবন, কাশবন, হোগলাবন বা অন্য কোনো জলজ ঝোপঝাড়ের ভেতরে থাকে, তাহলে মুহূর্তেই নিজেকে আড়াল করে ফেলে। শরীরের রংটাও এদের গাছপালার সঙ্গে মিশে যাওয়ার উপযোগী। ঘাড়ের ওপরের কিছু অংশসহ পিঠ-ডানার উপরিভাগও বেগুনি আভা মাখানো ছাই-ধূসর। পিঠের নিচের দিকটা হালকা লালচে। উড়াল দেওয়ার মুহূর্তে দুই ডানা অনেকটাই খেপজালের মতো খুলে যায়। তখন ডানার প্রান্তের কালো পালকগুলো নজরে পড়ে। চিবুকসহ ঘাড়ের উপরিভাগটা লালচে। গলার কাছ থেকে একটি করে মোট দুটি কালো-সরু রেখা গলার দুই পাশ থেকে নেমে বুকের উপরিভাগে মিশেছে। টিকির মতো দুগাছি কালো সুতাপালক কানের কাছ থেকে পেছন দিকে গিয়েছে। মাথার চাঁদি কালো। ঠোঁটের নিচের গলাটুকু সাদা। হলুদাভ পা-ঠোঁট। বুক ও ঘাড়ের দুই পাশ থেকে সেমাইয়ের মতো সরু কিছু সুতাপালক ঝুলে থাকে।
পাখিটির নাম বেগুনি বক। ঝুঁটিকাক ও খয়রা কানা নামেও দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিত ছিল। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত নদীচর-মোহনা-উপকূল-কাপ্তাই হ্রদ, বৃহত্তর খুলনা ও সিলেট অঞ্চলের হাওর-বিলে দেখা মিলত। এরা আমাদের আবাসিক পাখি। কিন্তু এই ২০১৭ সালে এটি এখন বাস্তুচ্যুত পাখি। হেমন্ত-শীতে কিছু পাখি আমাদের দেশে আসে। পরবাসী এই পাখির ইংরেজি নাম Purple Heron. বৈজ্ঞানিক নাম Ardea perpurea. দৈর্ঘ্য ৭০-৯০ সেন্টিমিটার। ওজন প্রায় দেড় কেজি।
মূল খাদ্য এদের মাছ-ব্যাঙ-জলজ নির্বিষ সাপ-পোকামাকড়-ছোট কাঁকড়া ও দু-চার দিন বয়সী কচ্ছপছানা। এদের বাসা হয় গাছে, সরু-শুকনো কঞ্চি ও ডালপালা দিয়ে বড়সড় বাসা বানায়। সেই গাছে থাকতে পারে অন্যান্য বকের বাসাও। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। ফোটে ২৫-২৬ দিনে।

Source:http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1349271/বেগুনি-বক

17
আবাসিক এই পাখির নাম চিত্রিত গলা কাঠঠোকরা। সবুজ ডোরা কাঠঠোকরা নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Streak-throated woodpecker। বৈজ্ঞানিক নাম picus xanthopygaeus। দৈর্ঘ্য ৩০ সেন্টিমিটার। ওজন ১০০ গ্রাম। মাটিতে চলতে চলতে ক্লান্ত হলে এরা লেজের পালক মেলে দিয়ে, সেই শক্ত পালক মাটিতে ঠেকিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসার মতো বসতে পারে খাড়া হয়ে। লেজটাকে এরা তৃতীয় পা হিসেবে ব্যবহার করে। গাছের চেয়ে মাটিতেই থাকে বেশি।

মূল খাদ্য এদের পিঁপড়া, পিঁপড়ার রসালো সাদা ডিম, বাচ্চা উইপোকাসহ ওদের রস টসটসে ডিম-বাচ্চা, বিটল পোকা-কেঁচো, নানান রকম পোকামাকড়-লার্ভা ইত্যাদি। এ ছাড়া পান করে ফুলের মধুরেণু, তাল–খেজুরের রসসহ শিশিরকণা।

পুরুষ পাখিটির মাথার চূড়া ও তালু শুকনো আলতার মতো লাল, লেজের গোড়ার উপরিভাগ ও পিঠে এক ছোপ করে হলুদ রং, পিঠ হলুদাভ সবুজ, কানের পাশটা চকচকে ছাই বাদামি, চিবুক ধূসরাভ সাদা। তাতে সরু সরু কালচে রেখা টানা। কালচে কমলা রঙের আভা থাকে ঘাড়ে। চোখের ওপর দিয়ে সাদাটে টান থাকে। বোজানো অবস্থায় পাখার প্রান্তদেশ সাদাটে বাদামি ছোপের সারির অপূর্ব বিন্যাস। গলা-বুক-পেটেও শিল্পীর বাদামি ডোরা ও ছিট-ছোপের আশ্চর্য চিত্রিত শিল্পকর্ম।

18
ঘরে-বাইরে এখন দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল। এক বোতল পানি কিনে খেলেন তো বোতলটা হয়ে গেল বারবার পানি খাওয়ার আধার। যত দিন যায় আর কি। শিশু সন্তানের স্কুলে পানি দেবেন? সেখানও ওই প্লাস্টিকের বোতল বা কনটেইনার দেওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত বা শরীরের জন্য নিরাপদ?

Details: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1338666/প্লাস্টিকের-বোতলে-একটু-সাবধান

19
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের নানা পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে একটি হলো বিস্মৃতি। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন, এমন মানুষ কম নন। বিস্মৃতি ছাড়াও এতে বৃদ্ধিবৃত্তির অবনতি, উদাসীনতা, কথা বলতে সমস্যা, কথা জড়িয়ে আসা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। বিস্মৃতির এই রোগের জন্য মস্তিষ্কের বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে দায়ী করা হলেও ইদানীং বলা হচ্ছে, কিছু খাদ্যাভ্যাস এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

সিলিকন ও কোলিনযুক্ত খাবার এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। খাবার প্রক্রিয়াজাত ও রান্না করার সময় সিলিকন নষ্ট হয়ে যায়। সিলিকনকে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে ইদানীং। গরুর মগজ, কলিজা, লেটুস পাতা, পেঁয়াজ, গাঢ় সবুজ সবজি, দুধ, নারকেল ইত্যাদি খাওয়া ভালো। ময়দার চেয়ে আটায় সিলিকন বেশি।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড খেতে হবে পর্যাপ্ত। কোলিন নামের অ্যামিনো অ্যাসিড আছে শিম, বরবটি ও বীজ জাতীয় খাবারে, যা মস্তিষ্কে এসিটাইল কোলিন নামের গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়ক। এ ছাড়া বলা হয় ওমেগা ৩ ফ্যাট বিস্মৃতির ঝুঁকি প্রায় ২৫ শতাংশ কমাতে পারে। এই ফ্যাট আছে মাছ, বাদাম ও জলপাই তেলে। দারুচিনি, হলুদ, পেঁয়াজ, ধনেপাতার মতো মসলা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েড প্রোটিন কম জমে ও প্রদাহ কম হয় বলে প্রাচ্যের লোকেদের পাশ্চাত্যের তুলনায় আলঝেইমার রোগ কম হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেদানা, আনার, আপেল, জাম্বুরা ইত্যাদিও মস্তিষ্কে প্রদাহবিরোধী।

Source: Prothom_Alo, October07,2017

20
Various Useful Links / গুগলের বিকল্প...
« on: September 27, 2017, 06:33:44 PM »
ইন্টারনেটে যেকোনো তথ্য বা উপাদান খোঁজার ক্ষেত্রে এখন যেন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতড়িয়ে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখার পর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়, যা বেশ বিরক্তিকর। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে তথ্য বা উপাদান খোঁজার ক্ষেত্রে এমন কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে, যেসব গুগলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্দিষ্টভাবে অর্থাৎ গান, রেসিপি, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি শিরোনামে সরাসরি পাওয়া যাবে তথ্যগুলো। সে রকম কিছু সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ক্লাস-সেন্ট্রাল ডট কম
www.class-central.com
নতুন কিছু শেখার জন্য ইন্টারনেটে বিনা মূল্যে রয়েছে ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্সেস (এমওওসি)। যেখানে কম্পিউটার বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, ব্যবসা এবং মানবিক-সম্পর্কিত ক্লাস করার সুযোগ থাকছে, যা চাকরির ক্ষেত্রে বেশ ফলদায়ক। আর এই সুবিধা সহজেই ক্লাস সেন্ট্রাল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে, যেখানে সাত শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্সের তথ্য পাওয়া যাবে। আর এসবে অংশও নেওয়া যাবে। এখানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এমআইটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, আইআইটিসহ বেশ কিছু নামীদামি প্রতিষ্ঠানের কোর্সও রয়েছে। কিছু কিছু কোর্সে সনদও দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শুধু একটি অ্যাকাউন্ট খুললেই হবে।

জাস্ট ফ্রি বুক ডট ইনফো
www.justfreebooks.info
যেকোনো ধরনের বই খোঁজার ক্ষেত্রে এই সার্চ ইঞ্জিন ভালো একটি সমাধান। কারণ কিন্ডেল, নুক বা ট্যাবলেটের জন্য ডিজিটাল ও অডিও বই এখানে পাওয়া যাবে। যেখানে গুটেনবার্গ ডট ওআরজি, উইকিবুকস ডট ওআরজি এবং আর্কাইভ ডট ওআরজির মতো সাত শতাধিক ওয়েবসাইটের সমাবেশ রয়েছে। এর সাহায্যে গল্প, উপন্যাস, কাল্পনিক বা রূপকথাসহ যেকোনো ডিজিটাল বই বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। শুধু বইয়ের বা লেখকের নাম লিখে সার্চ করলেই হয়ে যাবে।

লিসেননোটস ডট কম
www.listennotes.com
লিসেননোট পোডকাস্ট বা ডিজিটাল অডিও ফাইলের জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন। যেখানে ৩ লাখেরও বেশি পোডকাস্ট চ্যানেল এবং ১ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি পর্ব রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পোডকাস্ট পর্ব পাওয়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয় লিখে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। আবার এলোমেলোভাবেও খুঁজে নেওয়া যাবে। আর বিভিন্ন পর্ব নামিয়ে নেওয়ারও সুযোগ আছে।

সার্চ ডট ক্রিয়েটিভকমনস ডট ওআরজি
www.search.creativecommons.org
ক্রিয়েটিভ কমনসে পাঁচ কোটিরও বেশি ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়া যাবে; যেখানে বই, মিউজিক, বিভিন্ন শিল্প ও ছবি পাওয়া যাবে। ক্রিয়েটিভ কমনস ব্যবহার করার সময় আপনি ঠিক কোন বিষয়টি চাইছেন, তা উল্লেখ করতে হবে। এখান থেকে যেকোনো উপাদান ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করা যাবে।

এভরিস্টকফটো ডট কম
www.everystockphoto.com
যেকোনো প্রজেক্ট বা উপস্থাপনায় বিনা মূল্যে ছবি পাওয়ার জন্য এই ইঞ্জিন বেশ সাহায্য করতে পারে। ফ্লিকার, ফ্রিরেঞ্জস্টক, আরজিবিস্টক, উইকিমিডিয়া কমনসের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ছবিগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে এই সুবিধা পেতে বিনা মূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে এর সদস্য হতে হবে। আরেকটি সুবিধা হলো, বিভিন্ন মাপের বিভিন্ন পর্দার রেজল্যুশনের ছবি এখানে পাওয়া যাবে।

ফন্টস্কুয়ারেল ডট কম
www.fontsquirrel.com
আপনি যদি ওয়েব ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে একজন নকশাকার হয়ে থাকেন, তাহলে ফন্ট স্কুয়ারেল বেশ কাজে দেবে। কারণ এই ইঞ্জিনের মাধ্যমে ভালো মানের ফন্ট বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। শুধু সার্চ করে নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক কাজেও এই ফন্ট ব্যবহার করা যাবে।

জিনিয়াস ডট কম
www.genius.com
গানের কথা ও অর্থ জানার জন্য বেশ সমৃদ্ধ একটি সার্চ ইঞ্জিন। এখানে ১৭ লাখেরও বেশি গানের ভিডিও ও লিরিক রয়েছে। একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এই সুবিধা উপভোগ করা যাবে। এখানে ভারতের মোহাম্মদ রফি, লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার, এ আর রহমানের গানের ডেটাবেইস রয়েছে।

অলরেসিপিস
www.allrecipes.com
বিশ্বের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি এখানে পাওয়া যাবে। সঙ্গে সেই সব রেসিপির ভিডিও টিউটোরিয়ালও রয়েছে। আপনি ঠিক কোন খাবার তৈরি করতে চাইছেন, তার নাম বা উপাদান অনুযায়ী সার্চ করলে সে-সংক্রান্ত রেসিপি আপনার পর্দায় ভেসে ওঠবে।

21
Learning English / Ten Ways of Writing in English Easily.
« on: September 24, 2017, 06:51:51 PM »
টুকটাক ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও আমাদের অনেকেরই লেখার অবস্থা নড়বড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় লেখালেখি থেকে শুরু করে গবেষণাপত্র, ভিনদেশে ফেলোশিপ বা বৃত্তির জন্য আবেদনপত্র, ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’সহ অনেক লেখাই ঠিক মানসম্পন্ন হয় না। দুর্বল বাক্যগঠন আর অসামঞ্জস্যপূর্ণ ভাষারীতি আমাদের পিছিয়ে দেয়। ইংরেজিতে প্রাঞ্জল আর সাবলীল লেখালেখির উপায় নিয়ে কথা হলো একটি আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাবিরা রহমানের সঙ্গে। তিনি ২০১৪ সালে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল ইয়ুথ ফোরাম সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বললেন, কীভাবে ইংরেজি লেখায় প্রাঞ্জলতা আনা যায়।

প্রতিদিন ইংরেজিতে অন্তত ৩০০ শব্দ লিখুন। মডেল: ইশা, ছবি: কবির হোসেন
নিয়মিত লিখুন, প্রতিদিন অন্তত ৩০০ শব্দ
নিয়মিত ইংরেজিতে লেখা হয় না বলেই আমরা অনেকে ইংরেজি লিখতে ভয় পাই। এই দুর্বলতা কাটানোর প্রথম এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিদিন লেখা। নিয়ম করে প্রতিদিন অন্তত ৩০০ শব্দে কিছু না কিছু লিখুন। যেকোনো বিষয়ে সকালে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিখে ফেলুন। প্রথম দিকে লেখালেখির শুরুতে হয়তো কিছুটা জড়তা থাকবে। টানা ১০ দিন লিখুন, দেখবেন ধীরে ধীরে এই জড়তা কেটে গেছে।

ব্যাকরণে মনোযোগ দিন
ইংরেজিতে লেখালেখির সময় প্রথম থেকেই ব্যাকরণে মনোযোগ দিন। দুর্বল ব্যাকরণ-জ্ঞান অনেক সাবলীল লেখাকেও দুর্বোধ্য করে দেয়। প্রতিদিন ইংরেজি ব্যাকরণের দুই থেকে তিনটি নিয়ম আত্মস্থ করতে চেষ্টা করুন। উদাহরণসহ বুঝে ব্যাকরণ পড়ুন, মুখস্থ করবেন না। একটি ভালো ইংরেজি ব্যাকরণ বইকে ‘রেফারেন্স’ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।

নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন
বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার বাইরে ইংরেজি দৈনিক পড়ার অভ্যাস করুন। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস যেমন আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়াবে, তেমনি লেখালেখির জন্য অনেক নতুন নতুন বিষয় খুঁজে পাবেন। প্রথম দিকে হয়তো অনেক শব্দের অর্থ বুঝবেন না, বুঝতে সময় লাগবে। টানা দুই সপ্তাহ পড়ুন, দেখবেন এরপর ব্যাপারটা আয়ত্তে এসে যাবে। দু-একটা শব্দের অর্থ না জানলেও বাক্যের ভাবার্থটা আপনি ধরতে পারবেন। নিয়মিত পাঠাভ্যাস আপনার লেখার ওপর ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলবে।

বিষয়ভিত্তিক সাময়িকী-নিবন্ধ পড়ুন
টাইম ম্যাগাজিন, রিডার্স ডাইজেস্ট, দ্য ইকোনমিস্টসহ স্বনামধন্য ইংরেজি ম্যাগাজিন বা জার্নালে আপনার পছন্দসই নিবন্ধ পড়ার অভ্যাস করুন। ম্যাগাজিনগুলোতে যে ঢঙে লেখা হয়, তা নিজের লেখার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন। টানা চার সপ্তাহ এমন অভ্যাস করলে নিজের লেখার মধ্যে কী কী পরিবর্তন আসছে, তা নিজেই টের পাবেন।

স্রেফ লেখার জন্য লেখা নয়
দিস্তাভরা কাগজে লিখলেন, আর কী ভুলভ্রান্তি হলো, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেন না, তাহলে হবে না। ভুলগুলো থেকেই যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন যা লিখছেন, তা ভালো ইংরেজি জানেন-বোঝেন, এমন কাউকে পড়ার অনুরোধ করতে পারেন। তাঁর কাছ থেকে মতামত নিয়ে কী কী দুর্বলতা ও ভুল আছে, তা শুধরে নিন। যদি এমন কাউকে না পান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শিক্ষককে অনুরোধ করতে পারেন। কী কী ভুল হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখুন, ভুল শুধরানোর চেষ্টা করুন। writeandimprove.com ওয়েবসাইট থেকে উন্মুক্ত লেখালেখির চর্চা ও কী ভুল হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করতে পারেন।

শব্দভান্ডার বিস্তৃত করুন
আমরা লেখালেখির ক্ষেত্রে খুব প্রচলিত শব্দগুলো ব্যবহার করি। ইংরেজিতে সাবলীল লেখালেখির জন্য বহুমাত্রিক শব্দ ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হোন। একই বাক্য বা একই গঠনের বাক্য বারবার না লিখে শব্দের বৈচিত্র্য ব্যবহার করে খুব ছোট ও সংক্ষিপ্ত লেখাকেও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। প্রতিদিন চেষ্টা করুন নতুন পাঁচ থেকে আটটি শব্দ আত্মস্থ করতে। শুরুতেই জিআরই-জিম্যাট পরীক্ষার শব্দভান্ডারগুলো না শিখে ইন্টারনেট থেকে কার্যকর শব্দগুলো খুঁজে নিন। টানা দুই মাস শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করার পেছনে সময় দিন। যে শব্দগুলো শিখবেন, তা সকালে ঠিক করে নিন, সারা দিন মনে মনে তা স্মরণ করুন। কয়েকবার সেই শব্দগুলো লিখলে মনে রাখা সহজ হবে।

সুন্দর বাক্য লেখা শিখুন, ভিন্নতা তৈরি করুন
উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাসসহ বিভিন্ন থিসিস পেপার ও অ্যাসাইনমেন্ট লেখার জন্য সুন্দর বাক্য লেখার অভ্যাস করুন। ইন্টারনেট ঘেঁটে এমন কিছু উদাহরণ (টেমপ্লেট) দেখে বাক্যগঠনরীতি শিখতে পারেন। একই বাক্যকে নানাভাবে লেখার চর্চা করুন। এভাবে ছয় সপ্তাহ অভ্যাস করুন, দেখবেন লেখালেখিতে পরিবর্তন এসে গেছে। owl.english.purdue.edu ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন বাক্যগঠনরীতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

অনুসরণ করুন, অনুধাবন করুন
আপনি যে লেখকের লেখা পছন্দ করেন, তাঁকে অনুসরণ করে লেখালেখির চর্চা করুন। সেই লেখকের ভাবনাকে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। যতক্ষণ নিজের লেখাটা মনঃপূত না হচ্ছে, ততক্ষণ চর্চা চালিয়ে যান। কোনো কিছু লেখার আগে কী লিখবেন, তার একটি মানচিত্র মাথায় সাজিয়ে নিন। সেইভাবে ভাগ ভাগ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখার অভ্যাস রপ্ত করুন।

প্রতিদিন যা শিখছেন, প্রতিদিনই তা চর্চা করুন
যা শিখছেন প্রতিদিন, তা প্রতিদিনই চর্চা করুন। ফেসবুকে লেখালেখি থেকে শুরু করে ই-মেইলের লেখার মধ্যেও যা শিখছেন, তা প্রয়োগ করতে চেষ্টা করুন। ফেসবুকে লেখালেখি কিংবা খুদে বার্তা লেখার সময় ‘শর্টকাটে’ লেখার অভ্যাস না করাই ভালো। অনলাইনে লেখালেখির ক্ষেত্রে গ্রামারলি, জিনজার সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন অ্যাপস-সফটওয়্যার-ওয়েবসাইটের সহায়তায় নির্ভুল বাক্য লেখায় সহযোগিতা নিন।

ম্যাগাজিনগুলোতে লেখা পাঠান
ইউটিউব ও কোর্সেরার মতো (www.coursera.org) ইংরেজি লেখার উন্মুক্ত কোর্সগুলো থেকেও লেখালেখি শিখতে পারেন। লেখালেখির সময় মনে মনে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করে লিখবেন না। লেখায় সাবলীলতা আনার জন্য ‘লিঙ্কিং ওয়ার্ডস’ ও ‘ফ্রেজ’ ব্যবহারে গুরুত্ব দিন। বৈচিত্র্যময় লেখালেখির জন্য ভালো মানের দেশি-বিদেশি ম্যাগাজিনগুলোর মতামত পাতায় লেখা পাঠানো শুরু করুন। হয়তো শুরুতে ছাপা হবে না, তবু চেষ্টা চালিয়ে যান। ছাপা হলে সম্পাদক কোন অংশগুলো কীভাবে সম্পাদনা করেছেন, সেটা লক্ষ করুন। বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের মধ্যে যাঁরা ভালো ইংরেজিতে লেখালেখি করেন, তাঁদের কাছ থেকে নির্দ্বিধায় পরামর্শ নিন

22
ডিম খাওয়া বেশি ভালো নয়, ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না বা ডিমে কোলেস্টেরল আছে—এসব মিথ সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ডিম সম্পর্কে অনেক ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হতে শুরু করেছে বিগত দশকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বলেছে, যদি সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া কমিয়ে দিতে পারেন, তবে সপ্তাহে ছয়টি ডিম খাওয়া খারাপ কিছু নয়।
একটা ডিমে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ ৫ গ্রামের মতো। কিন্তু তাতে সম্পৃক্ত চর্বি কম, মোটে দেড় গ্রাম। বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, চর্বি একেবারে খাওয়া ভালো নয়, কথাটা সঠিক নয়। যা ভালো নয়, তা হলো সম্পৃক্ত চর্বি এবং ট্রান্সফ্যাট। গরু-খাসির মাংসের জমাট চর্বি, ঘি, মাখন, ক্রিম, পেস্ট্রি ও ডিপ ফ্রাই খাবারে আছে এ ধরনের ক্ষতিকর চর্বি। বাদ দিতে হলে এগুলো বাদ দিন। আর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মানে কেবল অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেওয়া নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরং স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকায় ঢোকানো। ডিম হতে পারে এই তালিকার নতুন সদস্য। কেননা ডিমে আছে উপকারী ওমেগা ৩ চর্বি, যা উল্টো রক্তনালি ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। তাই পুষ্টি উপাদানহীন খাবার বাদ দিয়ে বরং ডিম খাওয়া ভালো।
এ ছাড়া ডিমে প্রায় ১১ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আছে, যা শরীরের জন্য দরকারি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিটামিন ডি, যা বেশির ভাগ খাবারে অনুপস্থিত। ডিমে বায়োটিন নামের পদার্থও আছে, যা আজকাল অনেকে চুল পড়া কমাতে ক্যাপসুল হিসেবে কিনে খান।
ডিম আমিষেরও চমৎকার উৎস। ডিমের আমিষ সহজে হজম ও শোষিত হয় অন্যান্য আমিষের তুলনায়। এটি প্রাণিজ আমিষ, তাই উচ্চমানের। বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও গর্ভবতী নারীদের আমিষের চাহিদা পূরণে ডিম নিয়মিত খাওয়া উচিত।

Dr.Sharbindu Shekhar Ray
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

23
যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গিয়েছিল, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে কোনো অবস্থাতেই পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এই কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন। তাহলে সেই টিউবওয়েলের পানি পানের জন্য নিরাপদ হবে। মনে রাখবেন, কোনো ক্রমেই বন্যায় ডুবে গিয়েছিল এমন টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো শোধন না করে পান করবেন না। এতে পানিবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

24
হৃদ্‌রোগীদের সাধারণভাবে বলা হয় ঝাল মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে। আসলেই কি মসলা বা ঝাল তাদের জন্য খারাপ? তেল–চর্বিযুক্ত খাবার বা রিচ ফুড খারাপ তো বটেই। কেননা, এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা রক্তনালিতে ব্লক বা বাধা তৈরি করে। কিন্তু ঝাল তো আর চর্বি বা তেল নয়। ২০১৫ সালে হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি গবেষণায় দেখান যে যাঁরা মোটেও ঝাল খান না, তাঁদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ঝাল খান, তাঁদের হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস ও ক্যানসারজনিত রোগে মৃত্যুহার কম।

ঝালের মূল উপাদান হলো ক্যাপসেইসিন। এর নানামুখী উপকারিতা আছে। যেমন-

এক. এটি পরিপাকতন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সরিয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।

দুই.  ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ক্যাপসেইসিনের ভূমিকা আছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভালো।

তিন. ক্যাপসেইসিন একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তনালিতে চর্বি জমতে বাধা দেয়।

চার. হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির স্নায়ুগুলো ক্যাপসেইসিনে সংবেদনশীল। এই স্নায়ুগুলোর সুস্থতায় ভূমিকা রাখে এই উপাদান।

কী ধরনের ঝাল ভালো?

শুকনো বা গুঁড়া মরিচের তুলনায় কাঁচা মরিচে ক্যাপসেইসিনের পরিমাণ বেশি। কাঁচা মরিচে ভিটামিন সি অনেক। তাই রান্নায় বা সালাদে কাঁচা মরিচ থাকলে ভালো। আবার দেখা গেছে, সবুজ কাঁচা মরিচের চেয়ে লাল রঙের তাজা কাঁচা মরিচ আরও ভালো। এই গুণ পাওয়া যাবে ক্যাপসিকামেও।

তাই ঝাল মানেই খারাপ, এ ধারণা ভুল। তেলবিহীন বা ভাজাপোড়া ছাড়া খাবার যেমন চটপটি, কাঁচা ছোলা, সালাদ, ফল ইত্যাদিতে কাঁচা মরিচের টুকরা দিয়ে খাওয়া হৃদ্‌রোগীদের জন্য বেশ ভালো একটি নাশতা।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Source: ProthomAlo

25
এটিএম কার্ড প্রতারণার ঘটনা শুধু যে বিদেশেই হচ্ছে তা নয়, দেশেও হচ্ছে। দেশেও কার্ড প্রতারণার বিষয়টি উঠে এসেছে অনেক আগে। তবে সম্প্রতি একাধিক চক্রকে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলে তা আরও বেশি আলোচনায় আসে। বেশ কয়েকটি উপায়ে ডিজিটাল চোর বা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার এটিএম কার্ডের তথ্য। সে উপায়গুলো জেনে নিয়ে সতর্ক থাকাটা অনেকটাই জরুরি হয়ে উঠেছে এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীদের।

কার্ড স্কিমার:
স্কিমিং হলো একটি ম্যাগনেটিক ছোট চিপযুক্ত যন্ত্র, যা এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর ও তথ্য পড়তে সক্ষম। এই ডিভাইস এটিএম মেশিনের ভেতরেও তথ্য সংগ্রহের জন্য দেওয়া থাকে। তবে এটিএম জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনের সঙ্গে তাদের নিজস্ব স্কিমিং ডিভাইস যুক্ত করে দেয়। এতে কোনো এটিএম কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করালে মূল স্কিমিং যন্ত্রের সঙ্গে জালিয়াত চক্রের স্কিমিং যন্ত্রেও কার্ডের তথ্য চলে যায়। তাই এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করানোর আগে এ বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।

নকল কার্ড স্লট:
এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গিয়ে যদি কার্ড স্লট দেখতে অস্বাভাবিক বা বেমানান কিংবা নড়বড়ে মনে হয়, তবে সাবধান! কেননা, জালিয়াত চক্র মূল কার্ড প্রবেশের স্লটের ওপর তাদের নিজস্ব কার্ড স্লট লাগিয়ে থাকতে পারে। এতে কার্ডের সব তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কার্ড ট্র্যাপিং:
অনেক এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গেলে সেটা খুব শক্ত মনে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকাংশেই কার্ডটি চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কার্ডটি ভেতরে আটকে যায় এবং পরবর্তী সময়ে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। তাই কার্ড মেশিনে আটকে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের চেষ্টা করুন। এ ছাড়া এটিএম বুথে নিযুক্ত থাকা সহকারী ছাড়া আর কারও সহায়তা গ্রহণ না করাই শ্রেয়।

নকল এটিএম মেশিন:
শুনে অবাক হবেন, আপনি যে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাচ্ছেন, তার সামনের পুরো অংশটাই নকল হতে পারে। এটিএম জালিয়াত চক্র কোনো আসল এটিএম মেশিনের ওপর তাদের নকল অংশ লাগিয়ে রাখতে পারে আপনার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিতে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নকল অংশ শনাক্তকরণ বেশ দুষ্কর।

নকল কি-প্যাড:
নকল মেশিনের মতো এটিএম মেশিনের নম্বর বা কি-প্যাডও নকল হতে পারে। জালিয়াত চক্র আসল কি-প্যাডের ওপর নকল কি-প্যাড বসিয়ে দিতে পারে। ফলে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করিয়ে সেই নকল কি-প্যাডে গোপন নম্বর চাপলেই তা চলে যাবে চোরের কাছে। তাই গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর আগে দেখে নিতে হবে, কি-প্যাডটা দেখতে অস্বাভাবিক লাগছে কি না।

গোপন ক্যামেরা:
এটিএম জালিয়াতির সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হলো গোপন ক্যামেরা। জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনে বা আশপাশের এমন কোনো অবস্থানে ক্ষুদ্রাকৃতির এমন গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখতে পারে, যা কি-প্যাডমুখী। অর্থাৎ কি-প্যাডে গোপন নম্বর প্রবেশ করালে তা ধারণ হবে সেই ক্যামেরায়। তাই এটিএম মেশিনে গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর সময় যতটা সম্ভব হাত বা অন্য কিছু দিয়ে আড়াল করে রাখুন।

26
ইন্টারনেটে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট দেখছেন, এমন মুহূর্তে হুট করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলো! কিংবা চাইছেন পাতাটিকে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই অন্য সময় দেখবেন। যদি আপনার ইচ্ছে হয়, তবে চাইলেই আপনি যেকোনো ওয়েব পাতাকে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই (অফলাইনে) দেখতে পারেন ব্রাউজারের সেটিংসে কিছুটা পরিবর্তন এনে। কীভাবে? তাহলে আপনাকে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।

গুগল ক্রোমের জন্য
জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোমে আছে সাইট ক্যাশ করে রাখার সুবিধা। তাই এক ঘণ্টা আগে যে ওয়েব পাতা ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে দেখেছেন, সেটি পরে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই আবার দেখতে হলে গুগল ক্রোম ব্রাউজার চালু করে নিন। এবার ক্রোমের অমনি বক্স বা অ্যাড্রেস বারে হুবুহু chrome://flags/#show-saved-copy লিখে এন্টার বোতাম চাপুন। অথবা অমনি বক্সে chrome://flags লিখে এন্টার চেপে আবার কি-বোর্ডের CTRL ও F বোতাম একসঙ্গে চাপুন। সার্চের ঘরে Enable Show Saved Copy Button লিখুন। এবার Enable Show Saved Copy Button নামের হলুদ রং নির্দেশিত একটি ক্রোম ফ্লাগস দেখতে পাবেন। এখানে কোনো দ্বিধা ছাড়াই এর ঠিক নিচের ড্রপডাউন মেনুতে ক্লিক করে Enable: Primary-কে নির্বাচন করুন। কাজ হয়ে গেছে। এবার এই কাজটি পরীক্ষা করতে ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকা অবস্থায় পছন্দের যেকোনো সাইট বা ওয়েব পাতা দেখুন (ভিজিট)। এবার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কি-বোর্ডের CTRL এবং H বোতাম চাপুন। সম্প্রতি দেখা ওয়েব পাতাগুলো এখানে পাবেন। এখানে থাকা যেকোনো লিংকে ক্লিক করলে This page is not available পাতায় Show saved copy নামে একটি নীল রঙের বোতাম পাবেন। এখানে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া সংরক্ষিত এবং কাঙ্ক্ষিত পাতাটি দেখতে পারবেন।

ফায়ারফক্সের জন্য
ক্রোম ব্রাউজারের মতো ফায়ারফক্সে আলাদা কোনো ফ্লাগ পাবেন না, তবে চিন্তার কিছু নেই! আপনার ব্যবহৃত ব্রাউজারটি চালু করে নিন। অফলাইনে ওয়েব পাতা দেখতে হলে ফায়ারফক্সের ওপরে ডান পাশের হ্যামবার্গার মেনুতে (তিন ডট আইকন) ক্লিক করুন। এবার Developer বোতামে ক্লিক করে আবার তালিকার Work Offline-এ ক্লিক করুন। এটি করলে ফায়ারফক্স তার ব্রাউজারের অনলাইনে থাকা পাতাগুলোকে ক্যাশে জমা করবে এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও সেই পাতাগুলোকে যখন খুশি দেখাবে। আগের মতোই অফলাইনে সাম্প্রতিক পাতাগুলোকে দেখতে কি-বোর্ডের CTRL এবং H বোতাম একসঙ্গে চেপে কাঙ্ক্ষিত লিংকে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ওয়েব পাতা দেখতে পারবেন।

27
Scholarship / Scholarship and Fellowship opportunities in Europe
« on: August 12, 2017, 07:44:53 PM »
Good Day, and thanking you for your time to look at the recent Post-Graduate International Scholarships.

There are several International Scholarships and PostDoctoral Fellowship opportunities in Europe, especially in Denmark and Switzerland. Please help and guide Bangladeshi graduates and students to achieve some of these scholarships. These are found on:

Upcoming Scholarships: https://goo.gl/CBrNN4

Switzerland: https://goo.gl/nVh5hx

Demark: https://goo.gl/eamVWz

University of Southern Denmark: https://goo.gl/ge3iXM

University of Aalborg: https://goo.gl/iGxdxP


28
Heritage/Culture / বনমোরগ
« on: August 03, 2017, 07:32:50 PM »
এরা বনমোরগ। বনমুরগি বা জংলি মুরগি নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Red Jungle Fowl। Phasianidae পরিবারের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Gallus gallus murghi. গৃহপালিত মুরগির উৎপত্তি কিন্তু এই বনমোরগ থেকেই। তবে এ নিয়ে মতপার্থক্য আছে।

বনমোরগ ও মুরগি লম্বায় ৬৫-৭৫ ও ৪২-৪৬ সেন্টিমিটার। মোরগের ওজন এক কেজি, আর মুরগির কিছুটা কম। মোরগের মাথার খাঁজকাটা বড় ঝুঁটি, মুখমণ্ডল ও ঠোঁটের নিচের লতিকা টকটকে লাল। পিঠ কমলা-লাল। ডানার পালক লাল-কালো-সোনালি। ঘাড় থেকে সোনালি-হলুদ সরু পালক পিঠে নেমে গেছে। কাস্তের মতো লম্বা কেন্দ্রীয় পালকসহ লেজের পালক সবুজাভ কালো। বুক-পেট কালচে-বাদামি। মুরগি একনজরে বাদামি। মাথা তামাটে, ঝুঁটি ছোট ও লাল। মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে লাল। লেজ কালচে। পিঠ ও ডানা কালচে-বাদামি, তাতে অসংখ্য ছোপ। উভয়েরই ঠোঁট কালচে-বাদামি এবং পায়ের পাতা, নখ ধূসর-বাদামি।

বনমোরগ সচরাচর দৃশ্যমান আবাসিক পাখি। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের সব বনে এবং সুন্দরবনে বাস করে। ভারত, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে দেখা যায়। এককালে দেশের প্রায় সব বনজঙ্গলেই দেখা যেত। ব্যাপক শিকারের কারণে পাহাড়ি বনে এরা হুমকির মুখে। এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কোনো হাটবাজারে বনমোরগ বিক্রি হয়। তবে সিলেটের চা-বাগান ও সুন্দরবনে এরা ভালো আছে। খুব ভোরে ও সন্ধ্যার আগে মাটি থেকে কুড়িয়ে বিভিন্ন শস্যদানা, ঘাসের গোড়া, কীটপতঙ্গ, ফল ইত্যাদি খায়। রাত কাটায় উঁচু গাছের ডালে বা বাঁশঝাড়ে। ভালো উড়তে পারে। কক্ কক্ শব্দে ডাকে।

মার্চ-মে প্রজননকাল। বনের মধ্যে পায়ের নখ আঁচড়িয়ে মাটিতে সামান্য গর্ত করে শুকনো ঘাস ও কাঠিকুটি বিছিয়ে বাসা বানায়। ৪-৬টি ডিম পাড়ে। ২০-২১ দিনে ডিম ফোটে। বাচ্চাগুলো ফোটার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসা ছাড়ে ও মায়ের সঙ্গে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ বছর বাঁচে।

Source: Prothom Alo

29
Heritage/Culture / নলঘোঙ্গা
« on: August 01, 2017, 07:50:54 PM »
পোড়া ইটের মতো লালচে রঙের বকেরা দিনে ক্যামোফ্লেজ হয়ে চুপচাপ থাকে নলবন, কাশবন, হোগলাবন, বাগানের ঝোপঝাড় ও বাঁশবনের গোড়ায়। কচুরিপানার দঙ্গলের ভেতরে বাসা যখন করে, তখন কচুরিপানার ভেতরেই দিনের আশ্রয় নেয়। এদের ঠোঁট তীক্ষ্ণ, ধারালো। বাসা করে গ্রীষ্ম-শরতে। বাসা তৈরির সময় এরা খুব ভোরে অথবা চাঁদনি রাতে উপকরণ আনে, যেন সহজে কেউ দেখতে না পায়। বাসা বাঁধতে সময় লাগে ৩-৫ দিন। ৩-৪টি ডিমে পালা করে তা দেয় মেয়ে ও পুরুষটি। ডিম ফুটে ছানা বের হয় ১৭-২২ দিনে। ছানারা উড়তে পারে ২৫-২৮ দিনে। সদ্য ফোটা ছানা দেখতে খুবই সুন্দর। ঘন লালচে রঙের শরীরে থাকে বিচিত্র রঙের চমৎকার আঁকিবুঁকি। পাখিটির নাম নলঘোঙ্গা। লালবক নামেও পরিচিত।

নিরীহ-ভীত ও নিজেকে আড়াল করার জন্মগত প্রবণতা এদের প্রবল। বিপদের গন্ধ পেলে দুই পাসহ শরীর ও ঘাড়-মাথা-ঠোঁট নলের মতো সোজা করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে টানটান থাকে। এমনভাবে থাকে যে দেখাই যায় না।

সদ্য উড়তে শেখা ছানাদের নিরাপত্তার জন্য এরা প্রথম প্রথম ফুটফুটে জোছনা রাতে বেরোবে। মূল খাদ্য এদের বিভিন্ন রকম পোকামাকড়-কীটপতঙ্গ। মেটেসাপ বা জলসাপসহ ব্যাঙ-কাঁকড়াও গেলে। এরা হাঁটে একেবারে পেশাদার সৈনিকের মতো প্যারেড করে বা মার্চ করে।

অপেক্ষাকৃত খাটো লেজের লাজুক স্বভাবের এই বকদের ইংরেজি নাম Cinnamon Bittern. বৈজ্ঞানিক নাম ixobrychus cinnamomeus. দৈর্ঘ্য ৩৬-৩৮ সেন্টিমিটার। হলুদাভ ঠোঁট ও পায়ের অধিকারী এই পাখিদের পুরুষটি খুবই সুন্দর। চকচকে গলা-বুক। মেয়েটির ঘাড়-গলায় কালচে-বাদামি রেখা টানা থাকে। ঢাকা শহরতলি থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশেই আছে এরা।

30
Heritage/Culture / তিনরঙা মুনিয়া
« on: July 16, 2017, 02:15:04 PM »
মুনিয়া এ দেশের আবাসিক পাখি তিনরঙা মুনিয়া। খয়েরি মুনিয়া নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Tricolored Munia, Three-colored Munia Black-headed Munia। একসময় এরা কালোমাথা মুনিয়া নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে এরা দুটি আলাদা প্রজাতিতে ভাগ হয়ে গেছে; খয়েরি বা তিনরঙা মুনিয়া ও তামাটে বা কালোমাথা মুনিয়া (Chestnut Munia)। Estrildae পরিবারের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Lonchura malacca।

তিনরঙা মুনিয়া লম্বায় প্রায় ১১ সেন্টিমিটার এবং ওজনে মাত্র ১২ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা, ঘাড়, গলা, বুকের কেন্দ্র, অবসারণী ও লেজের তলা চকচকে কালো। বুকের বাকি অংশ সাদা। ডানা, পিঠ ও লেজ লালচে-বাদামি বা খয়েরি। ঠোঁট বেশ শক্ত, ত্রিকোণাকার ও হালকা নীলচে। পা, আঙুল ও নখ কালো।

তিনরঙা মুনিয়া লম্বা ঘাসবন, জলা, ধান‌খেত ও ছোট ঝোপে বিচরণ করে। মুনিয়ারা ছোট থেকে বড় মিশ্র ঝাঁকে থাকে। কখনো কখনো ডোরা বাবুই এবং কালোবুক বাবুইয়ের সঙ্গেও চরতে দেখা যায়। ঘাসবীচি, কাউন, ধান ইত্যাদি প্রিয় খাদ্য। ঘাসবন বা ধান-কাউনের খেতে দলে দলে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়। এমনিতে নিরীহ হলেও ঝাঁক বেঁধে ফসলের বেশ ক্ষতি করে।

মে-নভেম্বর প্রজননকাল। এ সময় জলার ধারে পাতা ও ঘাস দিয়ে বড় বলের মতো বাসা বানায়। বাসায় ঢোকার জন্য লম্বা সুড়ঙ্গের মতো পথ থাকে, ঘাসফুল দিয়ে যার চারপাশটা মুড়ে নেয়। ডিম পাড়ে চার থেকে সাতটি, ধবধবে সাদা। স্বামী-স্ত্রী মিলে ১২-১৩ দিন তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চারা ১৪-১৫ দিনে উড়তে শেখে।

(সূত্র: প্রথম আলো)

Pages: 1 [2] 3 4 ... 22