Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - himelarif

Pages: [1]
1

বাংলাদেশে একটি নতুন দ্বীপের সন্ধান মিলেছে। দ্বীপটির নাম 'বঙ্গবন্ধু দ্বীপ'। প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট নতুন এই দ্বীপটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। খুলনার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দ্বীপটি।

‘বঙ্গবন্ধু দ্বীপ’টি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। তবে এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোগ। তারপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথাযথ প্রচারণা। 

সমুদ্রগামী জেলেরা এ দ্বীপটির আবিষ্কারক হলেও ঠিক কত সালে তারা প্রথম দ্বীপটি খুঁজে পেয়েছিলেন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন তথ্য সূত্র ও জেলেদের কাছে থেকে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একনিষ্ঠ ভক্ত, মালেক ফরাজী নামের এক মৎস্য শিকারী ১৯৯২ সালে দু’জন জেলেকে নিয়ে কোন কারণে এ দ্বীপে অবতরণ করেন। পরবর্তীতে তিনি দ্বীপটির নামকরণ করেন ‘বঙ্গবন্ধু দ্বীপ’ এবং পরবর্তীতে তিনি সেখানে একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে আসেন। 

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে জেলেরা শুধু ট্রলার নিয়ে এ দ্বীপে গেলে ধীরে ধীরে জেলেদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দ্বীপটি পরিচিতি পেতে থাকে। তবে জেলে সম্প্রদায়ের বাইরে দ্বীপটি সম্পর্কে তেমন একটা জানা-শোনা ছিলো না। এখন দ্বীপটি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে। তিনি আরো জানান, বরগুনার পাথরঘাটা কিংবা তালতলীর চেয়ে মংলা থেকে দ্বীপটির অবস্থান অনেকটাই কাছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে দ্বীপটি অবস্থিত। এ দ্বীপের বর্তমান আয়তন প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটারের মতো। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই মিটার উঁচু দ্বীপটি । 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম দু’জন সহকর্মীকে নিয়ে ২৯ সদস্যের একটি গবেষণা দল গঠন করে এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বীপটিতে যান এবং ১৬ দিন সেখানে অবস্থান করে গবেষণা চালান। তার দেয়া তথ্য মতে, গত ২৫ বছরে দ্বীপের স্থায়ী পরিধি ৭.৮৪ বর্গ কিলোমিটারে বর্ধিত ও বিস্তৃত হয়েছে। দ্বীপের চারপাশে প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নিরাপদ সাগর সৈকত রয়েছে। চোরাবালির অস্তিত্ব নেই। সৈকত লাগোয়া সাগরের পানি খুবই স্বচ্ছ। সহজেই নির্ভয়ে সাঁতার কাটা যায়। সৈকতে লাল কাঁকড়ার আবাস রয়েছে। রয়েছে জংগলও। তবে কোন সরীসৃপ নেই। হরিণসহ ৭০টি জীববৈচিত্র্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ দ্বীপের আশপাশে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনো মানববসতি নেই।

অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম জানান, এতো সুন্দর দ্বীপটি সম্পর্কে দেশের খুব কমসংখ্যক মানুষই জানেন। দ্বীপের গবেষণা বিষয়ক কাগজপত্র সরকারের কাছে জমা দেয়া হচ্ছে। দ্বীপটিকে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের জন্য আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে গড়ে তোলা যায়। প্রয়োজন শুধু সরকারী ও বেসরকারীভাবে উদ্যোগের।

বরগুনা ও পটুয়াখালী উপকূলের মানুষসহ সাগরে অবস্থানরত জেলেদের সাথে রেডিও সংযোগ স্থাপনে কাজ করছে এনএসএস নামের একটি স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না জানিয়েছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সাথে মূল ভূখন্ডের যেমন নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা করা রয়েছে, তেমনি বঙ্গবন্ধু দ্বীপের সাথেও তালতলী বা কুয়াকাটার একটি নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সবার আগে প্রয়োজন সরকারীভাবে সরেজমিনে বিশদ অনুসন্ধান ও গবেষণা। বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করাসহ পর্যটনের অংশ করা গেলে কুয়াকাটা ও সোনাকাটার গুরুত্বও বেড়ে যাবে।

2
যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে হংকংয়ের দায়িত্ব প্রাপ্তির ২০ বছর পূর্তিতে দেশটি সফর করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এসময় জিনপিংয়ের কাছে শপথ নিয়েছেন হংকংয়ের প্রথম নারী প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। তবে এ শপথ অনুষ্ঠান চলার বিপরীতে হংকং জুড়ে চলছিলো গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ। তাদের একটাই দাবি, হংকংয়ের ওপর চীনা আধিপত্যের অবসান প্রত্যাশা করেন তারা। শপথ অনুষ্ঠানেই এক ভাষণে হংকংবাসীর এই চাওয়াকে তীব্রভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, হংকংকে চীনের তত্ত্বাবধানেই থাকতে হবে। এসময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে ‘রেড লাইন’ সতর্কতাও জারি করেন তিনি। তবে হংকংয়ের এই দাবি নিয়ে অবশ্য ক্যারি লামের সঙ্গে কথা বলেছেন জিনপিং। হংকংয়ের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ২০ বছর পূর্তিতে তিনি হংকংবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই পতাকা উত্তোলনসহ আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠানাদিতে যোগ দেন তিনি।শি জিনপিংয়ের সতর্কতা সত্ত্বেও দেশটির নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে দফায় দফায় বিক্ষোভে লিপ্ত হয় হংকংবাসী। বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের অনেককে আটকের পর আবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নতুন করে আবার অনেককেই আটক করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলে শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।  প্রো-ডেমোক্রেসি পার্টির ডেমোসিস্টো বলছেন, তাদের দলের পাঁচজন সদস্য এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটদের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমব্রেলা প্রোটেস্ট মুভমেন্টের নেতা জসুয়া ওয়াংকে গ্রেফতারের তথ্যও জানান তিনি।জানা গেছে, গত নির্বাচনে প্রধান নির্বাহী হিসেবে নির্বাচিত ক্যারি লাম বেইজিংপন্থী। প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হওয়ার পর ৫৯ বছর বয়সী ক্যারি লাম সে সময় বলেছিলেন, তিনি হংকংয়ের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি বহাল রাখবেন। সেখানকার মৌলিক মূল্যবোধগুলোর সুরক্ষা দেবেন। এসবের মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন বিচার বিভাগ। বিবিসি।

Pages: [1]