Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - hussainuzaman

Pages: [1]
1
Miscellaneous / যা চলছে ... !
« on: August 13, 2018, 09:31:09 PM »
বোঝাই যাচ্ছে কুমিল্লা থেকে ফোন করার বদলে স্বশরীরে ডিপার্টমেন্টের অফিসে হাজির হওয়া অভিভাবক মায়ের  উদ্বেগ যথেষ্ট গুরুত্বের দাবী রাখে। ওনার ছেলে এবার ৩য় সেমিস্টারে, ইভিনিং ব্যাচ; কিন্তু জিজ্ঞাস্য হল: ও কি ঠিকঠাকমত ক্লাস করছে? ছেলেটি বললো সে ক্লাসে একটু অনিয়মিত, চাকুরী করে তাই। এভাবে বিভিন্ন অভিভাবকগণ নিজে এসে বা ফোনে প্রায়ই খোঁজখবর নেন, কাজেই আমি এই প্রশ্ন শুনে মোটেও বিচলিত হলাম না। সন্ধ্যা বেলায় আমি অফিসে রয়ে গিয়েছিলাম জন্য এই দেখাটা হয়ে গেল; না হলে খোঁজ না নিয়েই হয়তো ওনাকে ফেরত যেতে হত।

ছেলেকে আইডি জিজ্ঞেস করলাম। বলতে পারে না। বললাম আইডি কার্ড দেখে বল --- সেটাও হারিয়েছে। 'তুমি কেমন ছাত্র, তিন সেমিস্টার ধরে পড় অথচ আইডি মনে রাখতে পার না? এটা বড় নম্বর হওয়ার কারণ এগুলো ভর্তি সেমিস্টার আর ডিপার্টমেন্ট কোডের সমন্বয়ে তৈরী - রেজিস্ট্রেশনের সময়েই ছাত্রদেরকে এটা সহজে মনে রাখার সহজ টেকনিক শিখিয়ে দেই। আইডি নম্বর ছাড়া তো অনলাইনে থাকা শিক্ষকদের রিসোর্স থেকে ওর রেজিস্ট্রেশন আর রেজাল্ট জানা যাবে না। অবশ্য এটার‌‌ সমাধান আছে - সেটা হল ছাত্র-তথ্যের ডেটাবেস। রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে ছাত্রদের যে ডেটাবেস থাকে সেখানে নাম, আইডি থেকে শুরু করে মায়ের ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা সবই ইনপুট দেয়া থাকে। যে কোন আইটেম কিংবা ওয়াইল্ডকার্ড দিয়েও সার্চ করে মূহুর্তে সব তথ্য জানা যায়।

মায়ের নাম দিয়ে সার্চ দিয়ে ১৯৫ জনের নাম আসলো, তার মধ্যে এই ডিপার্টমেন্টের ৩জন। কিন্তু সেই ৩ জনের একটাও এই ছেলের নাম নয়। এখন পর্যন্ত এই ডেটাবেসে সার্চ দিয়ে পাইনি এমন কোন অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু এবার তাই ঘটল। ছেলের নামের বানান দিয়ে খুঁজেও কাউকে পাওয়া গেল না। কাজেই সে যে আমাদের ছাত্র না সেই বিষয়টায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, কবে ভর্তি হয়েছ? --- গত নভেম্বরে। কিন্তু নভেম্বরে তো ভর্তি নেয় পরের স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য, সেখানে ভর্তি হলে এখন ওর ২য় সেমিস্টার চলার কথা। এরপর জিজ্ঞেস করলাম কোন সেকশনে পড়? -- উত্তরে জানালো সি সেকশনে। কতজন ছাত্র সেই সেকশনে? এর উত্তরে জানালো ৬০ জনের মত। ঠান্ডা গলায় জানালাম, আমাদের এখানে ৩য় সেকশন আছে যেই ব্যাচে সেটার এখন ১ম সেমিস্টার চলে; ২য় বা ৩য় নয়। তাছাড়া আমাদের কোন সেকশনে সর্বোচ্চ ৪০ জন থাকে - ৬০ জনের প্রশ্নই আসে না; আর ৩য় সেকশনে সর্বোচ্চ আছে ১৭ জন। সর্বোপরী সি-সেকশন বলে এখানে কিছু নাই; সেকশনের নামকরণ করা হয় অন্য একটা নিয়মে যাতে কখনই সি নামে কোনো সেকশন হয় না।

অভিভাবক মা, এখানে খরচ কেমন জিজ্ঞেস করাতে সেটা জানালাম। বললো এটার পরিমান মিলেছে। অর্থাৎ ছেলে এখানে ভর্তি এবং পড়ার কথা বলে নিয়মিত টাকাপয়সা আনিয়েছে। অভিভাবককে আরও জানালাম, অনিয়মিত ছাত্র হলেও রক্ষা নাই, কারণ ধারাবাহিক অনুপস্থিত ছাত্রের কাছে ফোন করে নিয়মিত খোঁজ নেয়া হয়, আবার অভিভাবকের কাছেও ফোন করে সেটার সত্যতা যাচাই করা হয় - আর সব শেষে সেই রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পুলিশের কাছে দিতে হয় সেই হলি আর্টিজানের ঘটনার পর থেকে। আপনার বাসায় কখনো ফোন গিয়েছে? যায় নাই।

কাজেই আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম। জানিনা চলে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে কী কী ঘটলো।

(ফেসবুক নোট আকারে পূর্বপ্রকাশিত: ২৪-আগস্ট-২০১৭)

2
Civil Engineering / স্বাগতম
« on: July 18, 2018, 11:25:37 AM »
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফোরামে স্বাগতম। আশা করছি এই ফোরামের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হব।

3
(নিজস্ব লেখার পুনঃপ্রকাশ)
১।
তাত্বিকভাবে বৃষ্টির পানি পৃথিবীর বিশুদ্ধতম প্রাকৃতিক পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম। মাটির নিচের ভূগর্ভস্থ পানিতে আয়রন, আর্সেনিক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি সহ বিভিন্নরকম খনিজ পদার্থ থাকে যায় কিছু হয়তো আমাদের জন্য ক্ষতিকারক, কিছু হয়ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় অসুবিধা সৃষ্টি করে। আবার, প্রাকৃতিক জলাধারের পানিতে ভাসমান ময়লা, পলি ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন রকম অনুজীব ও জীবানু থাকে। সেই তুলনায় বৃষ্টির পানি খুবই পরিচ্ছন্ন এবং বাতাসে দূষণকারী এসিড গ্যাস এবং ধুলাবালি না থাকলে এটাতে কোনোরকম দূষণ নাই।

একটানা বৃষ্টি হলে তাই প্রথম দিকের কয়েক মিনিটেই বাতাসের ধুলাবালি, গ্যাস সহ দুষিত পদার্থ বৃষ্টির পানির সাথে পতিত হয়, এবং পরবর্তী সময়ের বৃষ্টির পানি থাকে খুবই পরিষ্কার। এজন্য বৃষ্টির পানি সরাসরি যদি ধরে রাখা যেত তাহলে পানযোগ্য পানি সহ অনেক সমস্যা সহজে সমাধান করা যেত।

কিন্তু সমস্যা হল, আমাদের দেশে সারাবছর সমানভাবে বৃষ্টিপাত হয় না। ফলে এর উপর নির্ভর করে কোনরকম সরবরাহ ব্যবস্থা নকশা করা বাস্তবসম্মত হয় না। বৃষ্টির পানিকে অবশ্য বড় জলাধারে আটকে রাখা যায়। আমাদের নদীগুলো দিয়ে যেই পানি গিয়ে সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে মেশে সেগুলোও কিন্তু উজানের দিকের কোনো না কোনো অংশের বৃষ্টির পানি। যা হোক বড় আঙ্গিকে চিন্তা করলে সরকারের বড় বড় প্রকল্প করে এই বৃষ্টির পানিকে নিরাপদ উপায়ে আটকে রাখার প্রকল্প নেয়া যেতে পারে। বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের চিত্রে দেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে সন্দ্বীপের বৃষ্টিপাতের তথ্য দেয়া হল।



বাৎসরিক মোট বৃষ্টিপাত যেমন কম বেশি হয়, তেমনি বছরজুড়ে বিভিন্ন ঋতূতেও বৃষ্টিপাত ভিন্ন। এই লেখচিত্রগুলো তৈরীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (BARC) অনলাইন পাবলিক ডোমেইনের আবহাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় চিত্রই লিব্রে অফিস ক্যালক নামক স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম (এক্সেলের মত) ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে (বাংলা ইংরেজির মিশ্রন, কিংবা পুরা বাংলাতে দুটাই)।



২।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির ফোঁটা যেমন একসময়ে সিন্ধু গড়ে তোলে তেমনি ছোট ছোট চেষ্টাগুলোই একসময় বিরাট কিছু সফলতা এনে দিতে পারে। তাই বাড়ির ছাদের বৃষ্টির পানিকে যেমন তেমন ভাবে চলে যেতে না দিয়ে অল্প এককালীন খরচ করে সেটাকে ব্যবহারের প্রয়াস নেয়া যেতে পারে। প্রথম ব্যবহার হতে পারে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পানিটাকে মাটিতে পড়ে ময়লা হওয়ার আগেই ধরে রাখা। যেহেতু ছাদে আগে থেকেই হয়তো কিছু ধুলাবালি থাকতে পারে, বৃষ্টির পানির সাথে সেগুলোও চলে আসবে। তাই পানি সরাসরি ব্যবহার না করে একটু থিতিয়ে ও ফিল্টার করে তারপর সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা উচিত। নিচের চিত্রে এমন একটি থিতানো ও ফিল্টার ব্যবস্থার ধারণা তুলে ধরা হল।



তবে কেউ যদি ইট বা কংক্রিট দিয়ে অসুবিধাজনক মনে করেন তবে সহজে সরানো ও স্থাপন করা যায় এমন পিভিসি পানির ট্যাংকি (গাজি, সেরা ইত্যাদি) ব্যবহার করেও এরকম স্থাপনা তৈরী করতে পারেন। নিচের চিত্রে এমনই একটা স্থাপনা দেখানো হয়েছে। অবশ্য এটা যেই স্থানের কথা মাথায় রেখে তৈরী করা হয়েছে সেটা হল একটা সাইক্লোন সেন্টার। সেখানে সাইক্লোনের পূর্বাভাষ পেলেই রান্নাঘরের ছাদের ট্যাংকিতে গভীর নলকূপ থেকে পানি ভরে রাখবেন। সাইক্লোনের তাণ্ডবে যদি বিদ্যূৎ ব্যবস্থা অকার্যকরী হয়ে যায় তাহলে এই পানি অন্ততপক্ষে কয়েকদিন তাঁদেরকে পানযোগ্য ও রান্নার উপযোগী বিশুদ্ধপানি দিবে। এর সাথে বৃষ্টির পানি ধরার ব্যবস্থা যুক্ত করলে বিষয়টার পানি প্রাপ্তির নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি পাবে - যেহেতু সাইক্লোনের পরবর্তী সময়েও সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অন্য সময়ে (বর্ষাকালে) বৃষ্টির পানি ব্যবহার করলে সেই পানির জন্য বিদ্যূত খরচ করে গভীর নলকূপ ব্যবহার করতে হবে না, কিংবা কম হবে।



ঢাকার মত শহরগুলোতে বৃষ্টি একটু কম হয়। কিন্তু প্রায় সম্পুর্ন শহরে খোলা জায়গা কমে যাওয়াতে সেই পানির প্রায় পুরাটুকুই মাটিতে প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে ড্রেনেজ সিস্টেমে প্রবেশ করে এবং কিছু সময়ের জন্য কোনো কোনো এলাকা ময়লা পানিতে ডুবে যায়। এখানে কেন্দ্রীয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আছে, তাছাড়া এখানে প্রতি বর্গফুট জায়গা অত্যন্ত দামী, এবং বৃষ্টিপাত কম বলে হয়তো বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ খুব একটা আকর্ষনীয় কিছু হবে না। তবে যদি বৃষ্টির পানিকে ড্রেনে যেতে না দিয়ে সরাসরি মাটির নিচের বালুর স্তরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া যায় তাহলে দুইটি লাভ হবে। প্রথমতঃ জলাবদ্ধতা হ্রাস কিংবা সম্পুর্ন সমাধান করতে পারে। দ্বিতীয়তঃ ভূগর্ভের সংরক্ষিত হয়ে সেই পানিস্তর রিচার্জ করবে। এই দ্বিতীয় বিষয়টি ঢাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এখানে পানি স্তর নিচু হতে হতে প্রায় গভীর নলকূপগুলোকে অকেজো করে ফেলছে। নিচের চিত্রে এরকম একটা রিচার্জ সিস্টেম কেমন হতে পারে সেটা দেখানো হল।



এছাড়া ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানে নিচের মত করেও ময়লা পানি প্রাকৃতিক উপায়ে শোধন করে ভূগর্ভের পানি স্তর রিচার্জ করা যেতে পারে।



[উপরের সবগুলো চিত্র এবং গ্রাফ লিব্রে অফিস ব্যবহার করে তৈরী করা। লিব্রে অফিস একটি মু্ক্ত-সফটওয়্যার, যা উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্সে চলার উপযোগী। আমার চিত্রগুলো লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে (উবুন্টু) তৈরী করা হয়েছে।]

4
(বিশেষত কম্পিউটারের জন্য)
ইন্টারনেটে অনেকগুলো ওয়েবসাইটে সরাসরি বাংলা লেখার উপায় করে রেখেছে। এমনকি গুগলেও এরকম কিবোর্ড আছে যা অন করে লেখা যায়। তবে অপরিচিত কম্পিউটারের বাংলা লেখার জন্য আমার প্রথম পছন্দ avro.im (এখানে ক্লিক করুন)। এখানে লিখে কপি করে যেখানে দিতে চান পেস্ট করে দিন। এটা ফায়ারফক্স ও ক্রোম ব্রাউজারে কাজ করে, অন্য ব্রাউজারে করে কি না জানি না।

আমাদের বেশিরভাগের স্মার্টফোনেই ইতিমধ্যেই এটা দিয়ে লেখার অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই কথা বাড়ালাম না।
নিজেই করে দেখুন। :)

5
(নিজস্ব পোস্টের পুনঃপ্রকাশ)

স্ক্যান করার পর সেই ডকুমেন্টে অনেক অনাকাঙ্খিত জিনিষ চলে আসে। বিশেষ করে স্ক্যান করা পৃষ্টার উল্টা সাইডে যে লেখাগুলো থাকে সেগুলো চলে আসে। নিচের ছবিটা দেখুন, এতে এক সেকেন্ড বিরতিতে স্ক্যান করা ইমেজ আর তারপর সেটা ঠিক করার পর কেমন দেখায় সেটা দেখানো হয়েছে। ঠিক এই কাজটা গিম্পে করতে এক মিনিটের বেশি লাগার কথা না  (GIMP একটি মুক্ত সফটওয়্যার)। শিখতে পরের এনিমেটেড টিউটোরিয়ালটা দেখুন।


এবার এটা করার তরিকা:


এনিমেশনের টাইমিংএ সমস্যা হলে, ঐ এনিমেশনটাতে ডান ক্লিক করে কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন। এরপর গিম্প দিয়ে খুলে ধীরে সুস্থে ফ্রেম বাই ফ্রেম দেখতে পারবেন (মেনু থেকে Filters --> Animation --> Playback)।

এই পদ্ধতিতে নিজের নিয়ন্ত্রন থাকে ভালো। কেউ বেশি কৌতুহলী হলে Curves নামক মেনু অপশনের দুই ধাপ উপরে থাকা Threshold অপশনটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এক/দুই ক্লিকেই কাজ হয়ে যাবে। :)

Pages: [1]