Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - ehsan217

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
সৌরজগতের শনি গ্রহের চাঁদ টাইটানে হাইড্রোকার্বন সমুদ্র থেকে প্রতিফলিত উজ্জ্বল আলো ধরতে পেরেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) পাঠানো নভোযান ক্যাসিনি। নাসার গবেষকেরা দাবি করেছেন, সম্প্রতি টাইটানকে অতিক্রম করার সময় এই সমুদ্রের খোঁজ পায় ক্যাসিনি নভোযানটি।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, এর আগে ক্যাসিনি আলাদাভাবে টাইটানের মেরু অঞ্চলের সমুদ্র ও তার ওপর সূর্যের প্রতিফলনের দৃশ্য ধারণ করেছিল। কিন্তু এবারে প্রথমবারের মতো সমুদ্র ও তার থেকে প্রতিফলিত আলোর দৃশ্য ধারণ করতে পেরেছে ক্যাসিনি।
গবেষকদের দাবি, টাইটানের এই সমুদ্র তরল মিথেন ও ইথেনের তৈরি।
শনি গ্রহের কাছে ক্যাসিনি পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন, টাইটান পৃষ্ঠে উন্মুক্ত তরল পদার্থের সন্ধান পাওয়া যাবে।
ক্যাসিনির তথ্য ঘেঁটে গবেষকেরা দেখেছেন, শনির এই চাঁদের বিষুবরেখা অঞ্চলে কেবল বড় বড় বালুর মাঠ ও পাহাড় দেখা যায় আর উত্তরের মেরু অঞ্চলে রয়েছে হ্রদ ও সমুদ্র।
এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর টাইটানকে ১০৫ বার প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করল ক্যাসিনি। ১৯৯৭ সালে শনি গ্রহটি পর্যবেক্ষণের জন্য এই নভোযানটি পাঠায় নাসা। ৭ বছর যাত্রা শেষে ২০০৪ সাল থেকে শনি গ্রহ পর্যবেক্ষণ শুরু করে ক্যাসিনি।
টাইটানের ছোট্ট নীল নদ!
এর আগে ২০১২ সালে টাইটানে একটি নদীর প্রবাহের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছিলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, পৃথিবীর বাইরে এযাবৎকালে এত বড় নদীর প্রবাহের অস্তিত্ব শনাক্তের ঘটনা এটাই প্রথম। দেখতে এটা পৃথিবীর নীল নদের ক্ষুদ্র রূপ।

তাঁদের দাবি, টাইটানের ওই নদীর উৎপত্তিস্থল থেকে বড় একটা সমুদ্র ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। পক্ষান্তরে পৃথিবীর নীল নদের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
গবেষকদের মতে, টাইটানে রয়েছে পুরু স্তরবিশিষ্ট শীতল বায়ুমণ্ডল। সেখানে তরল পানির প্রবাহের সম্ভাবনা কম। টাইটানে অবস্থিত তরল মূলত মিথেন ও ইথেনের মতো হাইড্রো-কার্বনের মিশ্রণ।

প্লাস্টিক বৃষ্টি!
নভোযান ক্যাসিনির তথ্য ঘেঁটে গবেষকেরা দেখেছেন, প্লাস্টিক তৈরির উপাদান রয়েছে টাইটানে। টাইটানের ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে নাসার পাঠানো নভোযান ক্যাসিনি প্রপলিন নামের এক বিশেষ উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি করেন নাসার গবেষকেরা। এই উপাদানটি প্লাস্টিক শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণ জৈবযৌগ প্রপলিন উপাদানটি প্রপেন নামেও পরিচিত। পৃথিবীতে তেল পরিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় প্রপেনের ব্যবহার দেখা যায়।
নাসার গবেষকেরা দাবি করেন, টাইটানের পরিবেশের সঙ্গে পৃথিবীর পরিবেশের অনেক মিল পাওয়া যায়। পার্থক্য হচ্ছে—পৃথিবীতে যেখানে বৃষ্টি হলে জল পড়ে, সেখানে টাইটানের বৃষ্টিতে প্লাস্টিকের উপাদান ঝরে পড়ে। পৃথিবীতে যেখানে সমুদ্র ভর্তি পানি, সেখানে টাইটানের সমুদ্র ইথেনের।
উল্লেখ্য, মঙ্গল গ্রহের পর গবেষকদের মহাকাশ অভিযাত্রার পছন্দের স্থান এই টাইটান উপগ্রহ। নৌকার মতো কোনো রোবোটযান তৈরি করে টাইটান উপগ্রহে তা পাঠাতে চান তাঁরা।

2
Travel / Visit / Tour / সাদা পাহাড়ের দেশে
« on: November 05, 2014, 06:19:31 PM »
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে সবে। পুরান ঢাকার গলির মোড়ের বাতিটি তখনো জ্বলছে। দোতলার বারান্দা দিয়ে উঁকি দিই গলির ও প্রান্ত দেখার জন্য। সড়কবাতির আবছায়ায় একজনকে দেখা যায় হেঁটে আসছেন। আমি তৈরি হয়ে নিই আর একটু পরে বের হতে হবে। প্রথমে যাব মহাখালী বাস টার্মিনাল, তারপর বাসে চড়ে নেত্রকোনা, দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি-সোমেশ্বরী নদী আর সাদা পাহাড়ের দেশে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে পাঁচজনের একটা দল যাত্রা করি বিরিশিরির উদ্দেশে। দলের বেশির ভাগই শৌখিন আলোকচিত্রী । দীর্ঘ সাত ঘণ্টার যাত্রার পর পৌঁছে যাই বিরিশিরি। আগে থেকেই থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির গেস্ট হাউসের দুটি ঘর আমাদের জন্য। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা একাডেিমর পাশেই লাকী হোটেলে।
বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড়...

সোমেশ্বরী নদীর ওপারে বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড়, অনেকেই এটিকে চীনা মাটির পাহাড় বলে থাকে। যদিও এটি পুরোপুরি সাদা মাটির পাহাড় নয়, এর রং হালকাধূসর থেকে সাদাটে আকার কোথাও আবার লালচে—নানা রঙের খেলা এ পাহাড়ে। কোথাও মসৃণ, কোথাও খসখসে। পাহাড়ের ওপর-নিচে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় দারুণ এক প্রকৃতি। পাহাড়ের নিচে যেখান থেকে মাটি তোলা হয়েছে সেখানে পানি। এই পানির রং অনেকটা সবুজ আর সেই সবুজের ওপর নীল আকাশ আর সাদা মেঘের ওড়াওড়ি। প্রকৃতির এই দৃশ্য দেখতে হলে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে যেতে হবে সেখানে। রিকশা বা মোটরসাইকেল একমাত্র বাহন। আমরা তিনটি মোটরসাইকেল নিয়েছিলাম। ওই পথ দিয়ে যেতে যেতে দেখা হলো ভারতের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের জন্য সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। দেখা হলো, আদিবাসী নারীদের কৃষিকাজ। কথা হলো, টঙ্ক আন্দোলনে জড়িত কুমুদিনী হাজংয়ের সঙ্গে। তাঁর বয়স প্রায় এক শর কাছাকাছি।
বিজয়পুর সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি ওয়াচ টাওয়ার থেকে আঁকাবাঁকা একটা রেখায় দেখা হলো । এ নদীর পানি স্বচ্ছ। নদীতে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখা হলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পাহাড়গুলো। এখানে পাহাড় আর মেঘেরা যেন এক হয়ে মিশে গেছে। বিজিবি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে আমরা চলে এলাম রানীখং মিশন। এখান থেকেও সোমেশ্বরী এবং পাহাড় দেখা যায়।

গোপালপুর পাহাড়ে
রানীখং থেকে আমাদের মোটরসাইকেল ছুটে চলছে গোপালপুর পাহাড়ের দিকে। খোঁজ নিয়ে জানলাম এই পাহাড়ে শতবর্ষী দুজন গাড়ো বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা আছেন। আমরা তাঁদের দেখতে ছুটলাম। কিছুটা পথ যেতেই মোটরসাইকেল থামাতে হলো। কারণ, সেই পথে আর মোটরসাইকেল নিয়ে এগোনো যাবে না। সবাই হাঁটতে শুরু করলাম। অনেকটা পথ হাঁটার পর পেয়ে গেলাম আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত পাহাড়। উঠতে লাগলাম সেই পাহাড়ে। জানতে পারলাম, গাড়ো বৃদ্ধ আর বেঁচে নেই। তবে বৃদ্ধা আছেন। ১০৫ বছর বয়সী সেই নারীর নাম ফলকি মারাক। গত বছর ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন তাঁর ভাই।
পাহাড় থেকেই দেখলাম আমাদের ঠিক সামনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া ওপারে পাহাড়ে ভারতের সীমান্তচৌকি। এবার আমাদের ফেরার পালা। পাহাড়-নদীর অপরূপ সৌন্দর্যেভরা দুর্গাপুর পেছনে ফেলে আবার ছুটলাম ঢাকার দিকে।

3
প্রকৃতিবিষয়ক লাইব্রেরি নওয়াজেশ নলেজ সেন্টার থেকে হুট করেই আয়োজন ছিল এবার। জানলাম, সবাই মিলে ঘুরতে যাবে আড়িয়াল বিলে। নিমেষেই চোখের সামনে ভেসে উঠল ঢেউহীন এক পানির রাজ্য, যেখানে টলটলে জল-জঙ্গলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে শাপলা ফুলের কলি। আর আকাশজুড়ে মেঘের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ছে নাম না-জানা পাখিরা। কল্পনার সব রং একত্র করে রাজি হয়ে গেলাম এই ভ্রমণে। জীবনে কখনো বিল-না-দেখা আমার চোখে তখন নতুন কিছুর তৃষ্ণা। অবশেষে সেই আগ্রহের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটল গত সপ্তাহে।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাটের গাড়িতে উঠে শহর-নগর-নদী পেরিয়ে দুপাশের সবুজ মাঠে চোখ বুলাতে বুলাতেই চলে এল শ্রীনগর বাজার। পানিতে থই থই করছে শ্রীনগর বাজারের চারপাশ। কালভার্টের নিচ দিয়ে বিলের দিকে ছুটছে খালের পানি। সেদিকে তাকিয়েই মনটা আনন্দে নেচে উঠল; অনেক পানি পাওয়া যাবে তাহলে। ভেজবাজার নামের এক জায়গা থেকে ট্রলার নিলাম। দিনচুক্তি ভাড়া। আমাদের বিকেলে আবার এখানে নামিয়ে দেবে।
ট্রলারঘাট থেকে ছোট্ট একটা খাল পেরিয়ে যেতে হয় মূল বিলে। শুরুর দিকের পানিটুকু অনেক ঘোলা। কিছুদূর পেরোতেই বদলে যেতে থাকে দুপাশের দৃশ্যপট। সবুজের মিছিলে একটু একটু করে জানান দিতে থাকে নীলচে পানির ছটা। সেই পানির ওপর কমা-দাঁড়ি-সেমিকোলনের মতো সাদাটে মেঘের আনাগোনা! চোখের সামনে শুধু সবুজ কলমিশাক আর নীলচে পানি। একসময় অজানা লতায় আটকে গেল আমাদের ট্রলারের প্রপেলার। একটুখানি বিরতি। এর পরই আবার যখন ট্রলার চলা শুরু হলো, তখন ঠিক চোখের ওপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ল সুন্দরের কারখানা। একটা বাঁক পেরোতেই চোখে পড়ে অদ্ভুত এক দৃশ্য! অগণিত কচুরিপানাকে একত্র করে নৌকা বানিয়ে ফেলেছেন একজন। বিশাল এক বাঁশ নিয়ে সেই নৌকা চালিয়েও নিয়ে যাচ্ছেন! আরেকটা বাঁক পেরোতেই শুরু হলো দিনের সবচেয়ে ভালো লাগা মুহূর্তগুলোর। খোলা জলাপ্রান্তর পেরোতে পেরোতে হঠাৎ ঢুকি কচুরিপানার জঙ্গলে। সেখান থেকে বের হয়েই শাপলা ফুলের অরণ্যে গিয়ে পড়ি। হাঁচড়েপাঁচড়ে শাপলা তুলে তার ডাঁটায় এক কামড় বসাতে না বসাতেই চোখের সামনে এসে পড়ে একটা হিজলগাছ। তার ওপরে আবার ভুবনচিলের পাখা গুটিয়ে বসে থাকা, সাদা বকের খেয়ালি ওড়াউড়ি।
এলোমেলো পানি পেরিয়ে কিছুদূর যেতেই সামনে পড়ল টলটলে পানি। সেই পানির ডাক উপেক্ষা করার সাধ্য ছিল না আমাদের কারোই। যে কয়টা লাইফজ্যাকেট আনা হয়েছিল, তা-ই গায়ে চড়িয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে ট্রলারের এমাথা-ওমাথা থেকে!
এবারে গন্তব্য ‘গাঁধিঘাট’। পেটভরা খিদে নিয়ে ঘাটে উঠে দেখি ত্রিসীমানায় কোনো হোটেল নেই। অনেক হেঁটে একজনকে পেলাম। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, এখানে ভাত পাওয়া যাবে কোথায়? তিনি হাত নেড়ে বললেন, নেই। এখানে কিচ্ছু পাওয়া যায় না। বিলের মধ্যে খোলা আসমানের নিচে নৌকার ওপরে মাছ-ভাত খাওয়ার স্বপ্ন ততক্ষণে শরতের মেঘের মতোই মিলিয়ে গেছে। রাক্ষুসে খিদে পেটে নিয়ে ছুট লাগালাম মাওয়া ঘাটের দিকে। পাঁচটা ইলিশ চলে গেল আমাদের পেটে। এরপর পেটে হাত বুলানো, ঘুমে চোখ জড়ানো আর ক্লান্ত-অবসন্ন দেহ নিয়ে চোখ বুজে শহরের উদ্দেশে রওনা। চোখের পাতায় এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুবনচিলের ওড়াউড়ি আর চিংড়ির দৌড়ঝাঁপ। নদী-খাল আর সাগর দেখা শেষে এবার স্মৃতিতে গেঁথে রাখলাম বাংলাদেশের একটা ‘বিল’।

যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে আড়িয়াল বিলে এক দিনেই ঘুরে আসা যায়। ঢাকার গুলিস্তান থেকে ‘ইলিশ’ গাড়িতে করে মাওয়া ফেরিঘাটের দিকে রওনা দেবেন। মাঝপথে শ্রীনগরের ভেজবাজারে নেমে পড়বেন। ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা করে। সেখান থেকে ভালো একটা ট্রলার দেড় হাজার টাকায় সারা দিনের জন্য ভাড়া নিয়ে ঘুরে আসুন আড়িয়াল বিল। একটা জিনিস বুকের মধ্যে গেঁথে নিয়ে যাবেন, এ দেশের সবকিছুই আমাদের। কাজেই এগুলো কোনোভাবেই আমরা নষ্ট করব না। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন ও অপচনশীল কিছু ফেলব না। আমি যে সৌন্দর্য দেখার জন্য এখানে ছুটে এসেছি, আমার ছোট ভাই, সন্তান যেন কয়েক দশক পরও এখানে এসে ঠিক আমার মতো করেই চোখে বিস্ময় ফুটিয়ে বলতে পারে, ‘দেখো দেখো, আমাদের বাংলাদেশ কী সুন্দর!

4
আকাশে মেঘ ছিল, বৃষ্টি ছিল না। ভাপসা গরম ছিল, বাতাস ছিল না। এমনি এক আবহাওয়ার মাঝে আমাদের ফুরামন অভিযান শুরু হলো সাপছড়ি থেকে। রাঙামাটি শহরের বনরূপা বাজার থেকে বেরোতেই বেলা গেল ঢলে। এখানকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়চূড়ায় ওঠার এ অভিযাত্রায় আমার সঙ্গী ইশান দেওয়ান। তবলছড়ির চাকমা এ ছেলের সঙ্গে ফুরামনে ওঠার দারুণ এক অনুপ্রেরণা পেলাম। সাপছড়ি থেকে ঘণ্টা দেড়েক হাঁটার পর ফুরামন পাহাড়ের মূল অংশে উঠে পড়লাম আমরা। ক্রমে যতই ওপরে উঠতে থাকলাম, কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি শহর আর চারদিকের নির্জন পাহাড়ি এলাকা দুচোখের সামনে উদ্ভাসিত হতে লাগল অপরূপ শোভা নিয়ে।
এ বছরের শুরুর দিকে একবার ফুরামন চূড়ায় উঠেছিলাম। তবে সময়টা শীতকাল থাকায় মনটা ভরাতে পারেনি ফুরামন। বর্ষাকালে এই পাহাড় চূড়ায় উঠে চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার নাকি মজাই আলাদা! দূরের কাপ্তাই লেক পাহাড়ের মাঝে নীলাভ জলরাশি নিয়ে নীরবে গিয়ে যায় সম্প্রীতির গান। রাঙামাটি শহরটিও যেন লেকের মাঝে ছড়ায় সৌন্দর্যের মুক্তা। আর দূরের পাহাড়ের ভাঁজগুলো টেনে ধরে দুচোখের চাহনি। বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। প্রথমবারের মতো সেবার যাই লেক-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। শুভলং থেকে ফেরার পথে কাপ্তাইলেকে এসে আমার দু’চোখ আটকে যায় ফুরামনের চূড়ায়। কী জাদুকরি দহরম-মহরম মেঘের সঙ্গে তার! মেঘের দল অনুপম মায়ায় আলতো করে আদর করে যায় ফুরামনের চূড়া। দেখে বিস্ময়ের শেষ ছিল না আমার! তখন অবশ্য ফুরামনের সঙ্গে পরিচয় হয়নি আমার। নামও জানতাম না তার।
বছর খানেক আগে ফটোসাংবাদিক ছন্দসেন চাকমার কাছে এ পাহাড়ের খোঁজ পাই। তারপর এক শীতের রাতে বেরিয়ে পড়ি রাঙামাটির উদ্দেশে। মানিকছড়ি থেকে জগদীশ চাকমা ও হৃত্বিক কালাই আমার সঙ্গে যোগ দেন। সেবারের যাত্রা ছিল সাপছড়ি থেকে পায়ে হাঁটার ট্রেইল ধরে। ফুরামনে ওঠার কয়েকটা পথ আছে। এবার ট্রেকিংয়ের সময়টা বর্ষাকাল থাকায় গাড়ি ওঠার পথটাকেই বেছে নিতে হলো। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, যাঁরা ট্রেকিংয়ের জন্য শুধু বান্দরবানকে আদর্শ জায়গা বিবেচনা করেন, তাঁদের ফুরামন দেবে নতুন বৈচিত্র্যের স্বাদ।
বর্ষাকালে পাহাড়ের গাছপালা আর জঙ্গলগুলো সজীব-সতেজ। রাস্তার পাশের সেগুনগাছের বড় বড় পাতা বাতাসের সঙ্গে দোল খেয়ে দারুণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শীতকালে আবার এসব সেগুনগাছ পাতাবিহীন ন্যাড়া কঙ্কালের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু সেগুনগাছ কেন, পাহাড়গুলোই তো হয়ে পড়ে মলিন-বিবর্ণ। বিকেল বেলায় সাঁঝের ঝিঁঝি পোকার মতো নানা কীটপতঙ্গের গান শোনা যায়। এ যেন অন্য এক দুনিয়া।
ফুরামনের একেবারে চূড়ায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ধ্যানঘর। এ পাহাড়েই অবস্থিত আন্তর্জাতিক বনবিহার ভাবনাকেন্দ্র। বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কাছে সাপছড়িতে অবস্থিত বিশাল আকারের এ পাহাড়ের গুরুত্ব অনেক। পর্যটকেরা আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে, চূড়ার ওপর থেকে কাপ্তাই লেকের নৈসর্গিক রূপে হাবুডুবু খেতে। চাকমা ভাষায় ফুরামন শব্দের অর্থ শেষ পাহাড়। অর্থাৎ সবচেয়ে উঁচু চূড়া। রাঙামাটি সদর উপজেলার এটিই সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। অবশ্য এর উচ্চতা নিয়ে আছে দ্বিমত। কেউ বলেন, ফুরামনের উচ্চতা এক হাজার ৮০০ ফুটের বেশি হবে না। তবে দুই হাজার ফুট উচ্চতা টিংকু ট্রাভেলারের জিপিএসে ধরা পড়ে।
গাড়ি ওঠার রাস্তার শেষ প্রান্তে পেয়ে গেলাম কিয়োং অর্থাৎ বনবিহার। সেখানে আছে একটা প্রার্থনাঘর। কঠিন চীবরদানের সময় এই জায়গাটা বেশ জমে ওঠে। এখানে আছে পাঁচ থেকে ছয়টি ধ্যানঘর। যেগুলোর কোনোটি পাহাড়ের পাদদেশে, কোনোটি আবার পাহাড়ের মাথায়। কিয়োং ছেড়ে আরও কিছুটা নিচে নামলে পাওয়া যায় রন্ধনশালা।
কিয়োং চূড়ায় ওঠার বাকি পথের পুরোটাই সিঁড়ি। মিনিট বিশেক লাগে এ সিঁড়িপথে। গাইড ইশান দেওয়ান সিঁড়ি গুনে ৩৮২টি সিঁড়ি থাকার কথা জানালেন। ফুরামনের চূড়ার পরিসর খুব বেশি না। এখান থেকে পুরো দুনিয়াটাই যেন চোখের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। ভাসমান মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা দেখার যেন এটাই উত্তম জায়গা। কাপ্তাই লেক আর আট-দশ কিলোমিটার দূরের রাঙামাটি শহরটিকে বেশ কাছেই বলে মনে হয় এই চূড়া থেকে। বরকল, নানিয়ারচর, জুরাইছড়ি আর কাপ্তাই উপজেলার পাহাড়ের ভাঁজগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে নান্দনিক রূপ নিয়ে। এমনকি বহু দূরের কর্ণফুলী নদীও এখান থেকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
রাঙামাটি শহর ও কাপ্তাইলেকের অবস্থান ফুরামনের পূর্ব দিকে। তাই এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে দুপুরের পর ট্রেকিং করা ভালো। আর খুব সকালে পৌঁছতে পারলে মেঘ-পাহাড়ের অনুপম সম্পর্ক উপভোগ করা যায় অনায়াসে।
সূর্যের তেজ কমে এল ক্রমেই। আর আমাদের ফেরার তাড়নাও বাড়ল সেই সঙ্গে। ফেরার পথেই নেমে এল গৌধূলির আলো, তারপর অন্ধকার। কীটপতঙ্গের গুঞ্জন সন্ধ্যার নীরবতা ভেঙে দিয়ে পাহাড়ি পথে আমাদের চলার গতিতে এনে দিল বেগ।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার কলাবাগান, কমলাপুর ও ফকিরাপুল থেকে এস আলম, হানিফ, শ্যামলী, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ডলফিনসহ বেশ কিছু পরিবহনে রাঙামাটি যাওয়া যায়। ফুরামনে যেতে হলে মানিকছড়িতে নামা ভালো। শহরে নামলে পুনরায় মানিকছড়ি আসতে হবে অটোরিকশায়। ট্রেকিং করতে চাইলে সঙ্গে একজন গাইড নিয়ে সদলবলে বেরিয়ে পড়ুন। আর গাড়িতে যেতে চাইলে রিজার্ভ করুন। চাঁদের গাড়ি বা জিপ কেবল মানিকছড়িতেই পাওয়া যায়। ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।

5
ইবোলা উপদ্রুত কোনো দেশ থেকে দেশে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ জরুরি|
প্রতিদিন দুই বেলা ডিজিটাল থার্মোমিটারে রোগীকে নিজ শরীরের তাপমাত্রা যাচাই করতে হবে|
শরীরের তাপমাত্রা ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা আরও বেশি হলে জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে|
সংক্রমণের দুই থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগীর শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা যায়:
* জ্বর
* মাথাব্যথা
* ডায়রিয়া
* বমি
* পাকস্থলীতে ব্যথা

* অজ্ঞাত কারণে রক্তপাত বা কালশিটে পড়া
* মাংসপেশিতে ব্যথা
তিন সপ্তাহ ধরে স্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা ও শরীরব্যথার ব্যাপারে রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে||
ইবোলার সংক্রমণ বন্ধ করতে হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত ও পরীক্ষা করা জরুরি|||
আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রাখতে হবে। সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে|||
স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়া থেকে সম্ভাব্য আক্রান্তদের বিরত থাকতে হবে|
সূত্র: সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন/ লাইভসায়েন্স|

6
শরীরটা এমনিতে ঠিকঠাকই আছে। মুটিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় পড়তে হয়নি এখনো। কিন্তু দিন দিন শার্টের নিচ থেকে ক্রমশ উঁকি মারছে নাদুস-নুদুস হতে থাকা মেদভুঁড়ি। কেবল চোখের দেখায় খারাপ লাগার বিষয় তো নয়, ভুঁড়িটাকে বাড়তে দিলে অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতেই বা কদিন! খাবারদাবারে সচেতন হয়ে সহজেই এই বাড়তি যন্ত্রণাটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন আপনি। টিএনএন অবলম্বনে এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন কিছু খাবারের গুণাগুণ।

সবুজ চা
কোমরের মাপ ঠিক রাখা আর পেটের নানা প্রদাহের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য দারুণ এক পানীয় এই সবুজ চা। সবুজ চায়ে থাকা ফ্লেভোনয়েড প্রদাহ রোধে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া বহু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সবুজ চা-পান পুরো শরীরকেই মেদমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

ওমেগা-থ্রি
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এবং সঙ্গে কিছুটা ওমেগা-সিক্সসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রদাহ কমানোর জন্য খুবই কার্যকর। ওমেগা-থ্রিসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে আখরোট, তিসি ও তিসির তেল, স্যালমন মাছ ইত্যাদি।

রসুন
প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়মিত রসুন খান। রক্তে শর্করা ও ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীরে জমতে থাকা চর্বি পোড়ানোটা সহজ হয়। এ ছাড়া খাবারদাবার হজমে সহায়ক হিসেবে রসুন খুবই কার্যকর। এভাবে মেদভুঁড়ি কমাতে রসুন আপনাকে ভালোই সাহায্য করতে পারে।

পুদিনাপাতার রস
কিছু পুদিনাপাতা থেঁতলে নিয়ে এক কাপ গরম পানিতে ছেড়ে দিন, এক টেবিল-চামচ মধু এবং খানিকটা কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। পাঁচ মিনিট রেখে দিয়ে পুদিনার রসের এই দাওয়াই পান করুন। পুদিনার রস যেমন পাকস্থলীকে প্রশান্তি জোগাবে, তেমনি মধু আর মরিচ পরিপাকে সহায়তা করে মেদ কমাবে।

তরমুজ
তরমুজের ৮২ ভাগই পানি। কিন্তু রসাল এই ফল আপনার ক্ষুধা নিবারণ করে পাকস্থলীকে শান্ত রাখতে পারে। ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ তরমুজের নানা স্বাস্থ্য সুফল রয়েছে। খাবারদাবারের বিষয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠতে শুরু করলে আপনার খাদ্যতালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। এ ছাড়া এটা মধ্যাহ্নের নাশতা হিসেবেও খুবই কার্যকর।

আপেল
জনপ্রিয় ফল আপেল নানা রোগ মোকাবিলায় কার্যকর। পাশাপাশি এটা পেটে জমতে থাকা মেদ ঝরাতেও উপকারী। আপেলে থাকা পটাশিয়াম এবং নানা ভিটামিন পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। মেদভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাশতায় একটা আপেল রাখতে পারেন।

কলা
আপেলের মতোই কলাও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ এবং এতে নানা ভিটামিন আছে। ক্ষুধা লাগলে ফাস্টফুডের পেছনে না দৌড়ে একটা-দুটো কলা খেয়ে নিন। খাবারদাবার পরিপাকের জন্যও কলা খুবই উপকারী। নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটা মেদ কমাতে সহায়তা করবে।

7
এক শতাব্দী ধরেই ভারত মহাসাগরের উষ্ণতা বাড়ছে। তবে বর্তমানে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার বেড়েছে, যা গ্রীষ্মমণ্ডলের অন্য যেকোনো জলরাশির চেয়ে বেশি। ভারত মহাসাগরের এই উষ্ণতা বৃদ্ধির উচ্চ হারের কারণে এ অঞ্চলে বর্ষাকাল দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এটি বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন ও সাগরের জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে এ দাবি করেছেন ভারত ও ফ্রান্সের গবেষকেরা।

মহাসাগরের পৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার নিয়ে গবেষণায় ভারতের পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজি (আইআইটিএম) ও পুনে ফারগুসন কলেজের সঙ্গে ফ্রান্সের সরবোন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা অংশ নেন। ভারত সরকারের ভূমিবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল মনসুন মিশনের অধীনে ফ্রান্সের সহযোগিতায় চালানো এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন আইআইটিএমের গবেষক ম্যাথিউ কোল রক্সি। সহকারী গবেষক হিসেবে ছিলেন ঋতিকা কাপুর, পাসকেল টেরে ও সেবাস্টিয়ান ম্যাসন। এ-সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি আমেরিকান মিটিওরোলজি সোসাইটির জলবায়ুবিষয়ক সাময়িকীর অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকেরা দেখতে পান, পুরো পৃথিবীরই সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে ভারত মহাসাগর। এ কারণে বিশ্বের জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বর্ষা।

পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ কারণে এর নেতিবাচক প্রভাবও হয় দীর্ঘমেয়াদি।

গবেষক ম্যাথিউ কোল রক্সি বলেন, ভারত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির অস্বাভাবিক বেশি হার এই প্রথম জানা গেল। এর আগে গবেষণাটি ছিল ৫০ বছরব্যাপী। এই প্রথম ১১২ বছরের তথ্য নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।

কোল রক্সি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মহাসাগরের মধ্যে আকারে ভারতের অবস্থান পেছনের দিকে হলেও এর জলরাশি সবচেয়ে উষ্ণ। এশিয়া মহাদেশের জলবায়ু ও বর্ষার পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে এ মহাসাগর বড় ভূমিকা রাখে। বিশ্বের জলবায়ুতেও বড় প্রভাব ফেলে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার গ্রীষ্মমণ্ডলের যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি। আর এ কারণে বর্ষার শক্তি ও গতিপথের পরিবর্তন হতে পারে।

গবেষকেরা বলেন, সাধারণত পশ্চিম ভারত মহাসাগরের ওপরের পৃষ্ঠ শীতল হয়। আর মধ্য-পূর্ব অঞ্চলের সাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হয় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি। এর আগের গবেষণায় দেখা গেছে, গত অর্ধশতাব্দীতে সাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক বেড়েছে। তবে এর কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কোল রক্সি বলেন, তাঁদের গবেষণায় ১৯০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার তথ্য নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য অনুযায়ী তুলনামূলক শীতল পশ্চিম ভারত মহাসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এক শতাব্দী ধরেই বাড়ছে। বর্তমানে এটি ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

গবেষকেরা পশ্চিম ভারত মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে ‘এল নিনো’ পরিস্থিতির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য ও পূর্ব ভাগের সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে সেটিকে এল নিনো বলা হয়। সাধারণত প্রতি চার থেকে ১২ বছরে একবার করে এল নিনো দেখা দেয়। প্রশান্ত মহাসাগরের এই পরিবর্তন সারা বিশ্বের জলবায়ুর ওপর প্রভাব ফেলছে। একই কারণে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে বায়ুপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। আর ‘লা নিনা’ও ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারের পরিবর্তনে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে না। লা নিনা পরিস্থিতি হলো প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য ও পূর্ব ভাগের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস।

কয়েক দশক ধরে এল নিনো ঘটনা বেড়েছে, যা ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি কারণ বলে মনে করেন গবেষকেরা।

কোল রক্সি বলেন, তাঁদের গবেষণার ফলাফল দীর্ঘ মেয়াদে বর্ষায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস বুঝতে সহায়তা করবে।

8
বর্তমান মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে তেল, কয়লা ও গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানির ভিত্তিতে। আমরা শুধু শক্তির জন্যই এসব জ্বালানির ওপর নির্ভর করি না। জীবনের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে এসব জ্বালানি ব্যবহার রয়েছে। এমনকি খাবার প্রস্তুতেও। তবে এসব জ্বালানির কারণে পৃথিবীর জলবায়ুর ওপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতাও বাড়ছে। তার পরও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাদ দেওয়া সহজ নয়।
পৃথিবীর সব জীবাশ্ম জ্বালানি যদি শেষ হয়ে যেত অথবা জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন করা অসম্ভব হতো, তবে কি মানবসভ্যতার ইতিহাস ভিন্ন হতো? বিশ্বে শিল্পবিপ্লব কি ঘটত? বর্তমান সভ্যতাই কি দেখা যেত?
মানবসভ্যতার ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন আগে মানুষ জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পর্কে তেমন একটা জানত না। এর পরও তখনকার মানুষ কিছু জীবাশ্ব জ্বালানি ব্যবহার করত। তবে বর্তমানের মানুষের মতো এর ওপর অতি নির্ভরশীল ছিল না। চতুর্দশ শতাব্দীর ব্রিটেনে কয়লার কিছু ব্যবহার দেখা যায়, যা অষ্টাদশ শতাব্দীতে বৃদ্ধি পায়। তবে ওই সময় পর্যন্ত একে নোংরা হিসেবেই গণ্য করা হতো। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিশ্বে অধিকাংশ মালপত্র বহন ও বাণিজ্য ছিল নৌপথভিত্তিক। আর সপ্তাদশ শতাব্দীতে বায়ুপ্রবাহ ও পানির স্রোত ব্যবহার করে কিছু কারখানা গড়ে ওঠে, যা একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন পৃথিবীর কথা কল্পনা করা হলে প্রথমেই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে মনে হয় বিদ্যুৎ শক্তির কথা। বাস্তবিকই এটি হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির একমাত্র বিকল্প। আর বিদ্যুৎ তৈরির জন্য ব্যবহার হতে পারে নবায়নযোগ্য শক্তি বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত, সূর্যের আলো ইত্যাদি। তখন শহরে প্রধান যানবাহন হিসেবে থাকবে বিদ্যুৎ-চালিত ট্রেন ও বাস। এ ছাড়া বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি, বিমানপ্রযুক্তিরও যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটবে। আন্তর্জাতিক মালামাল পরিবহন অনেকাংশেই হবে নৌপথে। যেখানে বায়ুশক্তিচালিত জাহাজ চলাচল করবে। এই কারণে প্রচুর নদী ও খাল সৃষ্টি করা হবে।
অনেকের মতে, সস্তা জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহারের প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি দেখা যাবে।
বিশ্বে অনেক স্থানে এখনই সৌরশক্তি ব্যবহার করে রান্না করা হয়। ভবিষ্যতে সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তির উন্নতি ঘটলে এটি ব্যবহার করে শিল্প-কারখানাও গড়ে উঠতে পারে।
বর্তমান বিশ্বে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৬ শতাংশই আসে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। পৃথিবীর অনেক স্থানে এখনো জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যায়। নিউসায়েন্টিস্ট।

9
বিশ্বে এই প্রথম পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে চলৎশক্তিহীন কোনো ব্যক্তি চলাফেরার ক্ষমতা পেলেন। নাকের ছিদ্র ও হাঁটুর স্নায়ুকোষ মেরুদণ্ডের মধ্যে প্রতিস্থাপনের বৈপ্লবিক চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে এমনটি সম্ভব করেছেন পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক।
২০১০ সালে পিঠে কয়েকবার ছুরিকাঘাতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন পোল্যান্ডে বসবাসকারী বুলগেরীয় নাগরিক ডারেক ফিডিওকা। হাঁটার ক্ষমতা হারান তিনি। তবে আবার তাঁকে দেওয়া হয়েছে এ ক্ষমতা। বর্তমানে শুধু একটি দণ্ড ধরে তিনি হাঁটতে পারছেন।
যুক্তরাজ্যের গবেষকদের সহায়তায় পোল্যান্ডের শল্যচিকিৎকদের একটি দল যৌথভাবে ডারেক ফিডিওকার চিকিৎসা করেন। গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন।

চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে গবেষকেরা বলেন, এতে মানুষের গন্ধ বুঝতে পারার ক্ষমতা প্রদানকারী বিশেষায়িত কোষ অলফ্যাক্টরি ইনিয়েশিয়েটিং সেল (ওইসি) ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো কিছুর গন্ধ বোঝার জন্য মানুষের অলফ্যাক্টরি স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে। আর এই তন্ত্রের স্নায়ুতন্তুকে ক্রমাগত পুনর্জীবন দেয় ওইসি কোষ।
গবেষকেরা বলেন, প্রথম দুটি অস্ত্রোপচারে শল্যচিকিৎসকেরা রোগীর নাকের ছিদ্রের গোড়ায় থাকা অলফ্যাক্টরি বাল্ব থেকে কোষ নেন এবং পরে ওই কোষের বৃদ্ধি ঘটান। দুই সপ্তাহ পর ওইসি কোষ মেরুদণ্ডের সুষুম্না কাণ্ডের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই সময় চিকিৎসকেরা মাত্র এক ফোঁটা উপাদান সেখানে স্থাপন করলেও সেখানে কোষ ছিল পাঁচ লাখ। প্রায় ১০০টি ইনজেকশনের মাধ্যমে ডারেক ফিডিওকারের মেরুদণ্ডের ক্ষতের ওপরে ও নিচে ওইসি কোষ প্রতিস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে ফিডিওকার হাঁটুর কাছ থেকে নেওয়া স্নায়ুকোষের পাতলা চারটি অংশ তাঁর মেরুদণ্ডের বাঁ পাশের আট মিলিমিটার (দশমিক তিন ইঞ্চি) ক্ষতে লম্বালম্বি প্রতিস্থাপন করা হয়।
গবেষকেরা বলেন, ওইসি কোষ মেরুদণ্ডে স্থাপিত স্নায়ুকোষ জোড়া দেওয়ার কাজ করে। আর স্নায়ুকোষ মধ্যবর্তী ক্ষতস্থান পূরণ করতে সেতুর মতো কাজ করে।

10
ইন্টারনেটে আয়ের তথ্য, বিশেষ করে ফেসবুকের আয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘ফেসবুক ক্যাশ ফর্মুলা’ নামের ই-বই। বইটি লিখেছেন প্রকৌশলী আবির খান। ফেসবুকে আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা এবং অনলাইনে আয়ের তথ্য পাওয়া যাবে ই-বইটিতে। বইটি পাওয়া যাবে www.bdonlineincome.com ঠিকানায়। —বিজ্ঞপ্তি

11
Internet / ইন্টারনেটও ঘুমায়!
« on: October 22, 2014, 06:32:13 PM »
মার্কিন গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বের নানা দেশে অনেকটা যেন যেকোনো প্রাণীর মতোই কোথাও কোথাও টুপ করে ঘুমিয়ে পড়ে ইন্টারনেট, আবার কোথাও দিনরাতই জেগে থাকে। ইন্টারনেটের এই জেগে থাকা আর ঘুমিয়ে পড়ার ওপর ভিত্তি করেই দেশের উন্নতির বিষয়টির ধারণা পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়। মার্কিন এই গবেষকেরা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ব্যবহার ও দৈনন্দিন কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাঁদের দাবি, এশিয়ার কিছু অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপে কখনো কখনো ইন্টারনেট ‘ঘুমিয়ে’ পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের যে অঞ্চলগুলোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে, সেই অঞ্চলে ইন্টারনেট সব সময় জেগে থাকে এবং সক্রিয়ভাবেই তা কার্যকর থাকে। আবার এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু অঞ্চলে দিনের একটা সময়ে ইন্টারনেট ঝিমিয়ে পড়ে বা এর ব্যবহার কমে যেন ঠিক কোনো জীবন্ত প্রাণীর মতোই তা ঘুমিয়ে যায়।
এ গবেষণায় দেখা গেছে, যে দেশ যত বেশি উন্নত, সেই দেশে ইন্টারনেট তত বেশি জেগে থাকবে এবং ২৪ ঘণ্টা কার্যকর থাকবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের এই গবেষণা গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের দেশের উন্নতির জন্য ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিমাপ করতে ও উন্নত পদ্ধতি গ্রহণে সাহায্য করবে।

ইন্টারনেট কীভাবে ঘুমিয়ে পড়ে, সেটা বুঝতে পারলে তাঁরা ইন্টারনেট অচল বা অকার্যকর হয়ে পড়ার সঙ্গে ইন্টারনেটের ঘুমিয়ে পড়ার পার্থক্য ধরতে পারবেন। অর্থাৎ, ইন্টারনেটকে ঘুমিয়ে পড়তে দেওয়া যাবে না। ইন্টারনেট অচল হয়ে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে চালু রাখতে পারলেই তবে উন্নতি আসবে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার(ইউএসসি) গবেষক জন হেইডম্যান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমাদের জীবন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটে বিনোদন থেকে শুরু করে অনলাইনে কেনাকাটা সবকিছুতেই লাগে। ইন্টারনেটনির্ভরতার বিষয়টি উন্নত করতে কখন ইন্টারনেট অচল হয়ে যায়, সে বিষয়টি পরিমাপ করে ব্যবস্থা নেওয়াটিই প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৪ (আইপিভি৪) ইন্টারনেট ঠিকানা রয়েছে। এটি মূলত ইন্টারনেট ঠিকানা লেখার পদ্ধতি। হেইডম্যান ও তাঁর দল ৩৭ লাখ অ্যাড্রেস ব্লককে দুই মাস ধরে প্রতিদিন প্রতি ১১ মিনিট পরপর ইন্টারনেট চালু আছে কি না তা পরীক্ষা চালান। তিনি বলেন, ‘এই তথ্য ইন্টারনেটের জন্য একটি মূলভিত্তি দাঁড় করাতে সাহায্য করে। ইন্টারনেট জেগে থাকে নাকি ঘুমায় তা পরীক্ষা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের উপায় বের করা যায়।’
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউএসসি) গবেষক হেইডম্যানের সঙ্গে লিন কুয়ান ও ইউরি প্র্যাডকিন এই গবেষণায় অংশ নেন। তাঁদের গবেষণা নিবন্ধটি আগামী মাসে ‘২০১৪ এসিএম ইন্টারনেট মেজারমেন্টস’ সম্মেলনে উপস্থাপন করবেন।

12
Daffodil Foundation (DF), in association with Daffodil International University (DIU) donated a desktop computer to Samannita Jonokallyan Kendra (SJK) as a part of Corporate Social Responsibility (CSR). This computer will be used to provide computer training to the beneficiary students of ‘Fund For Education (FFE)’ project of ‘Samannita Jonokallyan Kendra (SJK)’.

Professor Dr. M. Lutfar Rahman, Honorable Vice Chancellor of Daffodil International University handed over the PC to Mrs. Shamsun Nehar, President of Samannita Jonokallyan Kendra (SJK) on July 21, 2014 at his office. Mr.

Mohammed Nadir Bin Ali, Deputy Director (IT), DIU and Mr. Md. Abdullah-Al-Mamun (Badshah), Coordinator (Corporate Office), Daffodil Foundation & Administrative Officer, DIU and Mr. Munshi Mamunur Rahman, Vice Chairman, SJK were also present at the computer donation program.

 

Daffodil Foundation (DF) is a Non Profitable Charity organization running under Daffodil Group. It t does many kinds of CSR activities such as: student scholarship, computer training, blood donation camp, book distribution, social awareness etc. all over Bangladesh on a regular basis

13
CSR / Bringing Quality Education at Affordable Cost:
« on: October 14, 2014, 05:13:32 PM »
The “ethical” business sense has led Daffodil to move into the private education sector with a view to serve the society through developing ICT and Education sector. Daffodil Group has tied up with NCC Education (UK) to provide quality ICT education locally. In 2002, Daffodil International University came into being when there were only a handful of private universities in Bangladesh. The fees are very reasonable, at about 40% of the most expensive private university which allowed disadvantaged rural students entry. Out of the regular 12000 students, 75% are from rural background. Traditionally, the highly competitive entrance examinations of the public universities did not allow a proportionate amount of rural students to get in. So, disadvantaged rural students should make an impact towards poverty alleviation in the rural areas.

14
Daffodil Group has a record to work with Government Organization in several projects and signed agreement for different development causes. The following are noteworthy:

    DIU signed agreement with Bangladesh Institute of Management (BIM) to facilitate collaborative programs for the students.
    Daffodil International University (DIU) and Bangladesh Foreign Trade Institute (BFTI) signed MoU for developing course materials and modules to offer masters program on International Trade in collaboration with foreign universities
    To promote science and increase the number of enrollment of science students in secondary and higher secondary level a Memorandum of Unde standing (MOU) for strategic partnership between Daffodil International University (DIU) and Bangladesh Freedom Foundation (BFF) has been signed.
    Daffodil Institute of IT and Ministry of Women & Children Affairs jointly initiated a project called “Promoting computer literacy amongst women for self employment”.
    Daffodil International University worked as Research and Entrepreneurs Development Partner of Dhaka Chamber of Commerce & Industry in Creating 2000 Entrepreneur Project of along with Bangladesh Bank.
    MOU with CTO Forum, Centre on Integrated Rural Development for Asia and the Pacific (CIRDAP) and Small & Cottage Industries Training Institute (SCITI) a project of BISIC has been signed to contribute to the society.
    DIU is working jointly with Bangladesh Council of Scientific and Industrial Research (BCSIR) which plays a very important role in the field of scientific and industrial development of the country to facilitate the country’s inventions together.

15
CSR / Daffodil Group Inspire the Genius to Explore their Potentiality:
« on: October 14, 2014, 05:11:00 PM »
In Bangladesh there are many potential youth who fail to explore their potentiality for proper guidance and scope. One of the core focuses of Daffodil Group is to inspire those potential young generations to flourish their mastermind. With a view to promoting & popularizing golf, and creating sportive mood among the students, DIU is sponsoring Md. Shakahwat Hossain Sohel, a well known Professional Golfer of the country from the CSR perspective.

Pages: [1] 2 3 ... 7