(https://i2.wp.com/www.the-prominent.com/wp-content/uploads/2016/12/untitled-45_253628_253759.jpg?w=650)
লিডারশিপ ডেস্ক
কোনো উদ্যোগ সফল হওয়ার জন্য উদ্যোক্তার নেতৃত্ব ও আন্তরিকতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। উদ্যোগের জন্য পুঁজির চেয়ে বড় বিষয় হলো উদ্যোক্তার আগ্রহ। দক্ষতাও সফল উদ্যোগের পূর্বশর্ত।
গতকাল শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) আয়োজিত গণবক্তৃতায় বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ এমন মতামত দেন। উদ্যোক্তা উন্নয়নের ওপর এ বক্তৃতার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ও ইনকিউবেশন সেন্টার।
এ. কে. আজাদ বলেন, শুধু সততা, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় থাকলেই সফল হওয়া যাবে তা নয়। এগুলোর পাশাপাশি যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা সম্পর্কে উদ্যোক্তার সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে। নিজের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তরিক হতে হবে। পণ্য ও সেবার সেরা মান নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকতে হবে। লেনদেনে স্বচ্ছ থাকতে হবে। এসব থাকলে পুঁজির অভাব কাউকে আটকাতে পারে না।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে কীভাবে নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন- বক্তৃতার একটি অংশে তা তুলে ধরেন তিনি। পুঁজির অভাব, বাজার প্রতিযোগিতা, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতাসহ নানা সমস্যা সমাধানের গল্প বলেন তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টার (প্রশ্নোত্তর পর্বসহ) বক্তৃতায় উঠে আসে তার ছাত্রজীবন, সমাজ দর্শন এবং সমাজ ও মানবকল্যাণে ভবিষ্যৎ ভাবনাও।
অনুষ্ঠানে ডিআইইউর ব্যবসায় প্রশাসন, ডিপার্টমেন্ট অব এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী, ডিআইইউর বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, সাবেক উপাচার্য লুৎফর রহমান এবং বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে হা-মীম গ্রুপের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ. কে. আজাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ডিআইইউর ইনোভেশন ও ইনকিউবেশন সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের।
এ. কে. আজাদ বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক। এখানে বেসরকারি খাতের অনেক সুযোগ রয়েছে। সেজন্য বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী উদ্যোক্তা দরকার। তিনি বলেন, একার পক্ষে সব কিছু সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ নিতে হয়। কিন্তু যৌথ উদ্যোগে যিনি নেতৃত্ব দেন, তাকে ত্যাগী হতে হয়। ত্যাগ স্বীকার না করলে উদ্যোগ যেমন সফল হয় না, তেমনি নেতাও হওয়া যায় না। কোনো প্রতিষ্ঠান একার মাধ্যমে চলে না। বিভিন্ন পর্যায়ে বহু কর্মীর সন্তুষ্ট থাকাটা খুবই জরুরি। শুধু মুনাফা দেখলেই চলবে না, মুনাফা যাদের মাধ্যমে আসবে, তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে এ. কে. আজাদ দেশে শিক্ষার মান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলাম। সেখানকার নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র ও মৌখিক পরীক্ষা দেখেছি। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর জনবল নিয়োগে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় যারা অংশ নেন, তাদের লেখার মান দেখে আমি বিস্মিত। রেজাল্ট ভালো। নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া করেছে। অথচ নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে যা লিখছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে জনবলের অভাব রয়েছে। যোগ্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের জন্য উপস্থিত শিক্ষকদের অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থী জানতে চান, কেউ যদি শূন্য থেকে উদ্যোক্তা হতে চান তার জন্য তার পরামর্শ কী? জবাবে এ. কে. আজাদ বলেন, পুঁজির চেয়ে বড় বিষয় উদ্যোক্তার আগ্রহ। যদি কেউ উদ্যোক্তা হতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে হবে। বাজার, চাহিদা, পণ্যের মান ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এরপর উদ্যোক্তার পুঁজির সামর্থ্য অনুযায়ী উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তৈরি পোশাকের পরেই বাংলাদেশের কৃষির সম্ভাবনা ব্যাপক বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যের মাধ্যমে প্রচুর আয় করছে। বাংলাদেশেও কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাত খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
যেভাবে উদ্যোক্তা: এ. কে. আজাদ নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে বলেন, ‘১৯৭০ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়ার পরই পরিবার বিশেষ করে বাবার আশার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসি। বাবা মাথায় ঢুকিয়ে দেন বড় কিছু করতে হবে। ১৯৭৬ সালে সফলভাবে মাধ্যমিক পাস করলাম। কলেজে ভর্তি হলাম। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চনা দেখে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হই। সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করি। যার কারণে সময়মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। দু’বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হই।’
তিনি বলেন, ‘একজন ব্যাংকারের কাছ থেকে স্বল্প বেতনে জীবনযাপনের জটিল হিসাব-নিকাশ শুনে চাকরির ইচ্ছা উবে যায়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেককে পাস করে বেকার থাকতে বা টিউশনি করে চলতে দেখে কীভাবে ছাত্রাবস্থায় কিছু একটা করা যায় সেই চিন্তায় ছিলাম। সেই ভাবনা থেকেই প্রথমে নিজের রুমমেট ফার্মেসি বিষয়ে পাস করা এক ছাত্রের সঙ্গে একটি উদ্যোগ নিই। কিন্তু ওই অংশীদারের লিবিয়াতে চাকরি হয়ে যাওয়ায় ভেস্তে যায় সেই উদ্যোগ।’
এ কে. আজাদ বলেন, ১৯৮৩ সালে কয়েক বন্ধু মিলে গার্মেন্ট কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। ৭৮টি মেশিন নিয়ে ছোট পরিসরে কারখানা চালু করেন। কিন্তু সে উদ্যোগে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তৎকালীন আমেরিকান সরকারের এক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটি। পাশাপাশি দেশের কিছু ব্যবসায়ী নতুন ব্যবসায়ীদের চাপে ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র করেন। ব্যবসার পাশাপাশি সে সময়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন থেকে গ্রেফতার হয়ে ২৩ দিন জেল খাটেন। জেল থেকে ফিরে দেখেন বন্ধুদের নিয়ে গড়া উদ্যোগও ভেস্তে গেছে। ছাত্রদের আন্দোলনে নামিয়ে দিয়ে পেছনে নেতাদের সঙ্গে সরকারের আঁতাত দেখে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারান। এরপর একাই ব্যবসার উদ্যোগ নেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছোট একটি জায়গায় মাত্র ২১টি মেশিন নিয়ে চালু করেন আরেকটি গার্মেন্ট কারখানা। এরপর নানা চড়াই-উতরাই এলেও আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত প্রামাণ্যচিত্রে জানানো হয়, ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা হা-মীম গ্রুপ বর্তমানে বছরে ৫২ কোটি ডলার রফতানি আয় করছে। তৈরি পোশাক খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রেই হা-মীম গ্রুপের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর পাশাপাশি গণমাধ্যম খাতেও বিনিয়োগ রয়েছে এ গ্রুপের। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থায় হা-মীম গ্রুপ দেশের অন্যতম। কর্মীদের চিকিৎসা সুবিধা, কর্মীর সন্তানদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে হা-মীম কর্তৃপক্ষ। এ. কে. আজাদ দেশের শীর্ষ করদাতাদের অন্যতম। হা-মীম গ্রুপ অর্জন করেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বীকৃতি। নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এ. কে. আজাদ বলেন, আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে হা-মীম গ্রুপ এক বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয় করবে।
এ. কে. আজাদের বক্তব্যের ভিডিও দেখুন:
(https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcT10EDUaNbFKoSh0AZ3ZL20r61d_aN23vvdxu9LfTI39oturbo1Hw)
কাউকে অনুসরণ করে কখনো সফল হওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আজাদ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার আয়োজিত ‘উদ্যোক্তা উন্নয়নবিষয়ক ডিআইইউ ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া বক্তৃতামালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির সিটি ক্যাম্পাস মিলনায়তনে ১২ পর্বের লোকবক্তৃতামালার পঞ্চম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
একক বক্ত্রতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একে আজাদ বলেন, কাউকে অনুসরণ (ফলো) করে কখনো সফল হওয়া যায় না। সফল হতে হলে নিজের ভেতরে উদ্ভাবনী শক্তি থাকতে হয়। নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করো এবং তা বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করো, সফলতা আসবেই।
নিজের সফলতার গল্প শোনাতে গিয়ে এ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বলেন, ‘গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেছিলাম মাত্র ২১টি মেশিন দিয়ে। এখন হা-মীম গ্রুপের কর্মীর সখ্যাই ৫০ হাজার। একদিনে এই অবস্থান তৈরি হয়নি। এর পেছনে আছে নিরলস পরিশ্রম আর সাধনা।’
বক্তৃতা শেষে ছিল প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। সেখানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়াস সরদার প্রশ্ন করেন, ‘যত দিন যাচ্ছে ভারতীয় চ্যানেলগুলো তত জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের দেশে। বিপরীতে পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে দেশীয় চ্যানেল। এ থেকে মুক্তির কী কোনো উপায় নেই?
জবাবে একে আজাদ বলেন, অবশ্যই মুক্তির উপায় আছে। এ জন্য আমাদের নির্মাতাদের নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। গল্পের উপস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে। সংলাপে পরিবর্তন আনতে হবে। টোট্যাল সিস্টেমটাতেই পরিবর্তন জরুরি।
এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টি জানতে চান, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একে আজাদ কোনো সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা রেখেছেন কি না।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘না, কোনো ব্যবস্থা নেই। কারণ, কারও সাহায্য নিয়ে খুব বেশি দূর অগ্রসর হওয়া যায় না। সফল হতে হলে নিজের পরিশ্রম, চেষ্টা আর যোগ্যতা লাগে। আমি চাই, তোমরা নিজের যোগ্যতায় বড় হও।’
অপর এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে একে আজাদ বলেন, দেশে যে হারে ব্যবসা বাড়ছে সেই হারে যোগ্য ও দক্ষ লোক বাড়ছে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে পারছে না।’
এ সময় তিনি গুণগত শিক্ষার প্রতি নজর দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ইউনির্ভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম ও ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের পরিচালক মো. আবু তাহের।
ডিআইইউ থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমন্ত্রিত এই ১২ জন সফল উদ্যোক্তার বক্তৃতাগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে একটি বই প্রকাশিত হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ব্যবসা, অথনীতি ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই ১২ জন উদ্যোক্তার ওপর ডিআইইউ থেকে ১২টি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।