Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Zannatul Ferdaus

Pages: [1] 2 3 ... 9
1
অনেক রোগী নাক বন্ধ থাকার অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কিছু সময় একদিক বন্ধ থাকে, কিছু সময় অন্যদিক বন্ধ থাকে। এ রোগীদের নাক দিয়ে সর্দি ঝরে, নাকে গন্ধ ঠিকমতো পান না, অনেক সময় নাকে দুর্গন্ধ হয়।

নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার কারণে রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়। ফুসফুসে কাশি ও রোগী কানে কম শোনে।

রোগ নির্ণয়- পরীক্ষা করে দেখা যায় এ রোগীদের নাকের হাড় বাঁকা থাকে। নাকের পর্দা একদিকে বেঁকে যেতে পারে বা দু’দিকেই বেঁকে যায়। এর সঙ্গে নাকের ভেতরে অ্যালার্জি বা ইনফেকশন বা পলিপ থাকতে পারে।

চিকিৎসা- নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এবং তা সমস্যার সৃষ্টি করলে অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হয়। এর সঙ্গে সাইনাস বা কানের সমস্যা থাকলে সে সমস্যারও একই সঙ্গে সমাধান করে নেয়া দরকার।

আধুনিক যুগে হাড় বাঁকা সোজা করার জন্য সেপ্টোপ্লাস্টি অপারেশন করা হয়। এ অপারেশনের বাড়তি সুবিধা হল নাকের বাহ্যিক কাঠামোর কোনো সমস্যা থাকলে রাইনোপ্লাস্টি অপারেশনের মাধ্যমে একই সঙ্গে ঠিক করে নেয়া হয়।

৬-৭ বছর বয়সেও এ অপারেশন করা হয়। তবে অপারেশন করতে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সূক্ষ্ম টেকনিক অবলম্বন করতে হয়।

যাদের নাকের হাড় বেশিমাত্রায় থাকে এবং উপরোক্ত সমস্যায় ভুগছে তারা অতি শিগগিরই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।


2
Wow!!! very easy to maintain. Must be tried   :)

3
ওজন বাড়ছে? শুধু কি খাওয়া আর বসে থাকার দোষ? আপনার বাসাবাড়ির দিকেও একবার ফিরে তাকান। ঘরে জমে থাকা ধুলাবালু আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষকেরা বলেন, ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখা উচিত। কারণ, ঘরে ধুলা জমলে নানা রোগব্যাধি তৈরি হয়। ঘরের ধুলা থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। হাঁচি-কাশি ছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে ঘরে জমা ধুলা থেকে শরীরে চর্বি জমার বিষয়টি নতুন করে পাওয়া গেছে।

‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।

গবেষকেরা ঘরে জমে থাকা ধুলার অপকারিতা নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। তাঁরা বলছেন, ঘরে জমা সাধারণ ধুলায় হরমোন পরিবর্তনে সক্ষম রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। এতে শরীরের কোষের দ্রুত পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা চর্বি জমায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প পরিমাণ ধুলাও যদি নাকে যায় বা ত্বকের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে, তবে এ ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরের ধুলা থেকে তৈরি স্বাস্থ্যঝুঁকি শিশুদের বেশি থাকে। প্রতিদিন একটি শিশু গড়ে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্ষতিকর ধুলা গ্রহণ করে। ধুলায় যে এন্ডোক্রিন-ডিসরাপটিং কেমিক্যালস (ইডিসিএস) থাকে, এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ইডিসিএস চর্বি কোষে প্রভাব ফেলে। তাঁরা ১১টি বাড়ি থেকে ধুলা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করেন।

গবেষক হিদার স্ট্যাপলটন বলেন, ঘরের ধুলায় যে রাসায়নিকের মিশ্রণ থাকে, তা ট্রাইগ্লিসারাইড ও ফ্যাট কোষ জমতে সাহায্য করে।

4
Textile Engineering / Re: A multidimensional view on wastage.
« on: August 01, 2017, 11:16:18 AM »
This is the high time that we have to concern about wastage......Thanks for thinking at root....

5
 
Now a days Environmental Science and Disaster Management related education is needed for the human beings to live with peace and happiness in this world and to be a researcher to control pollution and manage various kinds of disaster and hazards.
Environmental Science and Disaster Management Department at Daffodil International University has opened a huge opportunity for the knowledge seekers about the world and outer planets by establishing a world class laboratory facility at green campus of DIU. We are here to provide the desired tertiary level education both literally and practically. We monitor the quality of surface water, ground water and industrial effluents, contaminated soil and the air quality with well-equipped instruments.
Pursue your higher education in the department of Environmental Science and Disaster Management at Daffodil International University.

https://www.facebook.com/daffodilvarsity.edu.bd/photos/pcb.10155402602372203/10155402593562203/?type=3

https://www.facebook.com/daffodilvarsity.edu.bd/photos/pcb.10155402602372203/10155402588482203/?type=3

9
ক্যানসার চিকিৎসার সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি কেমোথেরাপির কারণেই ক্যানসারের কবলে পড়া কোষগুলি আরো ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের এক গবেষণাপত্রে এমনটিই উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ‘নিওঅ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি ইনডিউসেস ব্রেস্ট ক্যানসার মেটাস্টাসিস থ্রু আ টিএমইএম-মেডিয়েটেড মেকানিজম’। গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ এর ৫ জুলাই সংখ্যায়। তবে এ গবেষণাপত্রটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ সমর্থন করছেন, কেউ বা বলছেন ভিন্ন কথা। ফলে, বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। আলোড়নও চলছে।

এ গবেষণার মূল গবেষক নিউইয়র্কের ইয়েসিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিনের অধ্যাপক, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ জর্জ ক্যারিগিয়ান্নিস ইমেলে লিখেছেন, ‘শরীরে কোষগুলির একটি বিশেষ জোট (গ্রুপ) রয়েছে। যার নাম টিউমার মাইক্রো-এনভায়রনমেন্ট অফ মেটাস্টাসিস (টিএমইএম)। এরাই টিউমার কোষগুলিকে আরো বেশি করে ঢুকতে ও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে। আমরা স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধগুলির মধ্যে দু’টি ওষুধকে নিয়ে কাজ করেছি। তাতে দেখেছি, ওই ওষুধগুলিই শরীরে টিএমইএমের সক্রিয়তাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্যানসার কোষগুলিকে রক্তে আরো দ্রুত, আরো সহজে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।’

স্তন ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের আগে কেমোথেরাপিতে যে ওষুধগুলি দেওয়া হয়, সেই সব ওষুধ শরীরে ক্যানসারের কবলে পড়া কোষগুলিতে পৌঁছে কী কী কাজ করছে আর তাদের ফলাফল কী হচ্ছে, সেটাই ছিল গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। শুধু ইঁদুরের ওপরে নয়, গবেষণাটি চালানো হয়েছিল মানুষের ওপরেও। এতে গবেষকরা দেখেছেন, কেমোথেরাপির ওষুধগুলি শরীরে ঢুকে তাদের টার্গেট ক্যানসারের কবলে পড়া কোষগুলিতে পৌঁছে ফুলে-ফেঁপে ওঠা কোষগুলির ‘বাড়তি মেদ’ ঝরিয়ে তাদের প্রাথমিকভাবে কিছুটা হাল্কা (শ্রিঙ্ক) করে দেয়। কিন্তু সেটা খুবই অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু যে ‘বিষ’ ঢেলে ওষুধগুলি ক্যানসার কোষকে প্রথমে কিছুটা নিস্তেজ করে দিচ্ছে, সেই ‘বিষ’ই পরে শরীরের গঠন ব্যবস্থার (রিপেয়ার মেকানিজম) মাধ্যমে ক্যানসার কোষগুলি আরো দ্রুত, আরো বেশি সংখ্যায় শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।

 দ্য টেলিগ্রাফ।

10
1.অপরিকল্পিত নগরায়ন

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা মহানগরীতে এখন প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস করছেন৷ এই শহরের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে৷ ফলে শহরের বেশিরভাগ এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে৷

২.যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা

ঢাকা শহরের অনেক এলাকাতেই এখনো ময়লা ফেলা হয় খোলা জায়গায়৷ এসব ময়লা আবর্জনা, বিশেষ করে কঠিন বর্জ্যের একটা অংশ সরাসরি ড্রেনে গিয়ে প্রবাহ বন্ধ করে দেয়৷ ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় রাস্তাঘাটে৷

৩.বর্ষায় খোড়াখুড়ি

ঢাকা শহরের সড়কগুলোতে খোড়াখুড়ির মহোৎসব শুরু হয় বর্ষা মৌসুমের ঠিক আগে থেকে৷ পুরো বর্ষা মৌসুম ধরেই চলে এসব খোড়াখুড়ি৷ সামান্য বৃষ্টিতেই তাই জলাব্ধতার সৃষ্টি হয় শহরে৷

৪.নদী ভরাট

ঢাকা শহরের চারপাশে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতালক্ষ্যা প্রভৃতি নদীগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট করে ফেলেছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা৷ আর তাই বিশাল জনসংখ্যার এ শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷

৫.খাল দখল

ঢাকা নগরীর ৬৫টি খাল এক সময়ে এ মহানগরীর পানি নিষ্কাশনে বিশেষ ভূমিকা রাখত৷ কিন্তু রাজধানীর এই খালগুলো এখন খুঁজে পাওয়াও কঠিন৷ বেশিরভাগই চলে গেছে দখলদারদের হাতে৷ অনেকগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে৷ যে দু’য়েকটি টিকে আছে সেগুলোও দখলে জর্জরিত৷

৬.জলাশয় ভরাট

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রাকৃতিক জলাধারগুলো ভরাট করে আবাসান ব্যবস্থা গড়ে তোলায় বড় এই শহরের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়েছে৷

৭.বুড়িগঙ্গা দূষণ আর দখল

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী দখল আর দূষণে জর্জরিত৷ দখলে এ নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্থ হয়েছে আর দূষণে নদীর তলদেশে নানান বর্জ্য্ জমে এর গভীরতা কমিয়েছে৷ ফলে পানির প্রবাহ বাড়লেই তা উপচে পড়ে৷

৮.অপরিকল্পিত বক্স কালভার্ট


রাজধানীর জলাবদ্ধতা রোধে ঢাকা ওয়াসা বিভিন্ন সময়ে যেসব বক্স কালভার্ট নির্মাণ করেছে, তার বেশিরভাগই অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত৷ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তৈরি এসব বক্স কালভার্ট প্রয়োজনের তুলনায় সরু হওয়ায় বৃষ্টির পানি অপসারণে তেমন কাজে আসে না৷ অনেক ক্ষেত্রে এসব কালভার্টে অপচনশীল কঠিন বর্জ্য আটকে গিয়ে পানি নির্গমন পথও বন্ধ হয়ে যায়৷

৯.সমন্বয়হীন সংস্কার কাজ

ঢাকা শহরে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর উন্নয়ন কাজে কোনো সমন্বয় না থাকায় সারা বছরই সড়ক খোড়াখুড়ি চলতেই থাকে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ওয়াসা স্যুয়ারেজ নির্মাণের জন্য একটি সড়ক খোড়া হলো, সে কাজ শেষ হতে না হতেই আবার খোড়াখুড়ি শুরু করল গ্যাস কিংবা বিদ্যুৎ বিভাগ৷ ফলে সারা বছর সড়কগুলোতে এ ধরনের কাজ চলায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়৷

১০.পলিথিনের অবাধ ব্যবহার

ঢাকা শহরে চলছে পলিথিনের অবাধ ব্যবহার৷ পলিথিন ব্যবহার না করার আইন থাকলেও তার সামান্যটুকুও মানা হয় না৷ ফলে দুই কোটি মানুষের এই শহরে প্রতিদিন যে বর্জ্য তৈরি হয় তার অধিকাংশজুড়েই থাকে পলিথিন৷ এসব পলিথিন পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ করে দেয়৷

১১.ড্রেনের ময়লা ড্রেনে

ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রেন থেকে ময়লা তুলে সেগুলো দিনের পর দিন ড্রেনের পাশেই ফেলে রাখা হয়৷ ফলে বৃষ্টি হলেই সে ময়লার পুনরায় ঠিকানা হয় ড্রেন৷ সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা৷

১২.নতুন আতঙ্ক ফ্লাইওভার নির্মাণ

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ফ্লাই ওভার নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রিতা৷ ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের ফলে এ এলাকার রাস্তাঘাটের দিনের পর দিন যে ক্ষতি হয়েছে, তার কখনোই সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিশাল এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা৷

12
দুধের সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। অ্যাসিড হয়ে যাবে। ভাজা খেয়ে জল খেলে বিপদ। দুধের পর টক খেলে বদহজম হবে। এ রকম কথাগুলো আমরা শুনে বড় হয়েছি। কোন খাবারের সঙ্গে কোনটা খাওয়া উচিত নয় সে ব্যাপারে বাঙালি মোটামুটি সচেতন। আবার এ রকমও অনেক কম্বিনেশন রয়েছে যেগুলো শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারি। জেনে নিন এমনই কিছু ফুড কম্বিনেশন যা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

ফলের সঙ্গে অন্য কিছু না খাওয়ার কথাই চিকিত্সকরা বলে থাকেন। তবে সব ফলের সঙ্গে সব খাবারের কম্বিনেশন কিন্তু মোটেই খারাপ নয়। মেলন জাতীয় ফলের সঙ্গে অন্য কিছু খাওয়া উচিত না হলেও ডায়টিশিয়ানরা জানাচ্ছেন কলা ও ইয়োগার্ট কিন্তু উপকারি কম্বিনেশন। দুটো খাবারের মধ্যেই থাকে প্রোবায়োটিক। তাই কলা ও ইয়োগার্ট এক সঙ্গে খেলে প্রোবায়োটিকের মিশ্রণ শরীরে পৌঁছয়। পটাশিয়াম আর প্রোটিন পুষ্টি জোগাতে ও পেশীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
হজমের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে কলা খেতে বারণ করেন ডাক্তাররা। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা খেতে পারেন। এ ছাড়াও আমন্ড মিল্ক, সয় মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক ইয়োগার্টের সঙ্গে খেতে পারেন। ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা খেলেও একই উপকার পাবেন।

স্ট্রবেরি ও পালং শাক

ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে এবং পালং শাক আয়রনের আধার। যদি শরীরে আয়রনের অভাব থাকে তা হলে এই কম্বিনেশন আপনাকে রক্তাল্পতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

বেরি ও ওটমিল

বেরিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ওটমিল আয়রন ও বি ভিটামিনের পাশাপাশি আয়রনের উত্স। ভিটামিন সি বেরি থেকে আয়রন ও জল শোষণ করে শরীরে ফাইবাব প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে ওটমিলের সঙ্গে ব্লুবেরি ও সামান্য দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। খেতে যেমন ভাল লাগবে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

লেবু ও শাক

যে কোনও ধরনের সবুজ শাকের সঙ্গে লেবু খুবই ভাল কম্বিনেশন। লেবু ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ, শাক আয়রনে। তাই একই নিয়মেই লেবু শাকে থাকা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। লেবুর রস স্যালাড যেমন সুস্বাদু করে তোলে, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি।

মাছ ও হলুদ

বাঙালি হলুদ ছাড়া মাছ রান্না করার কথা ভাবতেই পারে না। হলুদ যে শুধু মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করে বা স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে মাছ-হলুদের কম্বিনেশন। মাছে থাকা এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে হলুদের কম্বিনেশন শরীরে টিউমরের বৃদ্ধি ও ক্যানসার কোষের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারে। এ ছাড়াও হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়িয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

13
ডাইনোসরের পর এ বার মানুষ। ‘মাস এক্সটিঙ্কশন’  বা গণবিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে গোটা মানবসভ্যতা?

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে এই ‘অশনি সংকেত’ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, ষষ্ঠতম এই বিলুপ্তির নাম হবে ‘অ্যানথ্রোপোজেনিক বা হ্যালোসিন এক্সটিঙ্কশন’। যাতে শেষ হয়ে যাবে মানবসভ্যতা। আর এই প্রথম তার জন্য দায়ী থাকবে মানুষই।
জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন তাঁর ‘ডারউইনবাদ’-এ এই ধরনের বিলুপ্তির নাম দিয়েছিলেন- ‘যোগ্যতমের উদবর্তন’ (সার্ভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট)। যার মানে, যে সব প্রাণী জীবন সংগ্রামে টিঁকে থাকতে পারবে পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজন ঘটিয়ে, তারাই কেবল বেঁচে থাকতে পারবে। তাদেরই হবে উদবর্তন। বাকিরা কালে কালে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। বহু কোটি বছর আগে ঠিক যে ভাবে হারিয়ে গিয়েছিল ডাইনোসররা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এর আগে পাঁচ বার এমন গণবিলুপ্তি হয়েছে পৃথিবীতে। যার মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছিল ২৫ কোটি বছর আগে। প্রায় ৯৬ শতাংশ জলচর এবং ৭০ শতাংশ স্থলচর প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যু হয়েছিল ওই মহাধ্বংসে। সেই তালিকায় ছিল ডাইনোসররাও। শাকাহারী বা হার্বিভোরাস তো বটেই,  এমনকী  বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর মাংসাশী বা কার্নিভোরাস ডাইনোসররাও। উল্কাপাত, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরনো লাভাস্রোতের মতো নানা প্রাকৃতিক এবং মহাজাগতিক শক্তিই ছিল সেই বিনাশের মূল কারণ।
গবেষণা বলছে, অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধির জন্য গত ৫০ বছরে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৩০ শতাংশ। ২০৬০-র মধ্যে যা পৌঁছবে ১০ লক্ষ কোটিতে। বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য ও বাসস্থানের জোগান দিতে হিমশিম খাবে মানবসভ্যতা। টান পড়বে প্রকৃতির ভাঁড়ারেও। ইতিমধ্যেই ক্রমবর্ধমান দূষণ, চোরাশিকার, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ আর মানুষের জন্য হওয়া প্রাকৃতিক অবক্ষয়ের কারণে ২৫ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ১৩ শতাংশ পাখি বিলুপ্তির পথে।

জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেই বিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বোঝা যায়। তাতেই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় এই বিনাশ ঘনিয়ে আসবে পৃথিবীর বুকে। কারণ,-

-দ্রুত হারে কমে আসছে জৈব সম্পদ
-মাত্রা ছাড়াচ্ছে দূষণ
-সেই সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের মতো গ্রিন হাউস গ্যাস
-তার ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উষ্ণায়ন
 

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে নাসার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তুষার যুগের পর থেকে গত পাঁচ হাজার বছরে পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা নাসার বিজ্ঞানীরা

‘নেচার’-এর ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মানুষের গণবিলুপ্তি এর আগেও হয়েছে। তবে খুব বড় আকারে নয়। এই বিলুপ্তির সূচনা হয়েছিল যখন বিবর্তনের ধারায় আধুনিক মানুষ আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল। ৫০ হাজার বছর আগে থেকে শুরু করে এই বিলুপ্তির ঢেউ আছড়ে পড়ে পরবর্তী প্রজন্মগুলিতেও। ১০ থেকে ১১ হাজার বছর আগে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ৩ থেকে ১২ হাজার বছর আগে ইউরোপে ব্যাপক হারে গণবিলুপ্তি হয়। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় প্রায় তিন হাজার বছর আগে। অর্ধেকেরও বেশি ‘মেগাফনা’ প্রজাতি অর্থাৎ বৃহৎ স্তন্যপায়ীরা হারিয়ে যায় পৃথিবী থেকে। সেই সঙ্গে বিলুপ্ত হয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও।

গণবিলুপ্তিতে লাগাম টানতে সমাধান সূত্রও বাতলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, সংরক্ষণ নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রকৃতি বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকদের একজোট হয়ে সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে মানুষের অভ্যাসেও। তা হলেই বাঁচবে মানুষ। রক্ষা পাবে আগামী প্রজন্ম।


14
Happy to know as a local guardian for one of the student of DIU  :)

15
মোবাইল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংকের দিন মনে হয় ফুরিয়ে আসছে। কারণ তৈরি হয়েছে বিশ্বের প্রথম ব্যাটারিবিহীন মোবাইল ফোন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন এই মোবাইল তৈরি করেছে। এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের দাবি, আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের সাহায্যেই এই মোবাইল ফোন কাজ করবে। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকার।

মোবাইলের প্রোটোটাইপ তৈরি করে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি অন ইন্টারঅ্যাকটিভ, মোবাইল, ওয়্যারেবল অ্যান্ড ইউবিকুইটাস টেকনোলজিস নামক জার্নালে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রোটোটাইপটি ব্যবহার করতে খরচ হবে মাত্র সাড়ে ৩ মাইক্রোওয়াট পাওয়ার। যার জন্য ব্যাটারির প্রয়োজন নেই। অ্যাম্বিয়েন্ট রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মাধ্যমে সেই পাওয়ার নিয়ে নেবে মোবাইলটি।

গবেষক দলের একমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী শ্যাম গোল্লাকোটা বলেন, এই প্রথম আমরা এমন একটি মোবাইল তৈরি করেছি যা প্রায় জিরো-পাওয়ার ব্যবহার করে। এতে স্কাইপ-এর সাহায্যেই কল রিসিভ বা কথাবার্তাও বলা যাবে। গবেষণাটি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনসহ গুগল ফ্যাকাল্টি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডসের অর্থায়নে করা হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রচলিত ব্যাটারি নয়, এই মোবাইল চলবে আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মতো অপ্রচলিত উপাদানের সাহায্যে। রেডিও সিগন্যাল থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মোবাইলের বেস স্টেশন থেকে ৩১ ফুট দূর পর্যন্ত কথাবার্তা বলা যাবে। কিন্তু আলোকতরঙ্গের সাহায্যে মোবাইলটি চললে তা বেস স্টেশনের ৫০ ফুট দূর পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে।

ব্যাটারি ছাড়া কীভাবে কাজ করবে মোবাইল ফোনটি- এ বিষয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কথা বলতে হলে মাইক্রোফোনের শব্দতরঙ্গগুলো ব্যবহার করবে মোবাইল। এরপর শব্দতরঙ্গগুলোকে শ্রবণযোগ্য সাঙ্কেতিক সিগন্যাল বদলে ফেলে তা তার প্রতিফলন ঘটাবে। এর উল্টোটা হবে কল রিসিভের সময়। ফোনের স্পিকারে আসা সাঙ্কেতিক রেডিও সিগন্যালগুলোকে শব্দতরঙ্গে বদলে নেবে মোবাইলটি।

Pages: [1] 2 3 ... 9