Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - subrata.ns

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7
31
Science and Information / ultra-fast charging battery!!
« on: March 13, 2017, 12:03:26 PM »
Scientists at Nanyang Technology University (NTU) have developed ultra-fast charging batteries that can be recharged up to 70 per cent in only two minutes !!

The new generation batteries also have a long lifespan of over 20 years, more than 10 times compared to existing lithium-ion batteries.

This breakthrough has a wide-ranging impact on all industries, especially for electric vehicles, where consumers are put off by the long recharge times and its limited battery life.

With this new technology by NTU, drivers of electric vehicles could save tens of thousands on battery replacement costs and can recharge their cars in just a matter of minutes.

Commonly used in mobile phones, tablets, and in electric vehicles, rechargeable lithium-ion batteries usually last about 500 recharge cycles. This is equivalent to two to three years of typical use, with each cycle taking about two hours for the battery to be fully charged.

In the new NTU-developed battery, the traditional graphite used for the anode (negative pole) in lithium-ion batteries is replaced with a new gel material made from titanium dioxide.

Titanium dioxide is an abundant, cheap and safe material found in soil. It is commonly used as a food additive or in sunscreen lotions to absorb harmful ultraviolet rays.

Naturally found in spherical shape, the NTU team has found a way to transform the titanium dioxide into tiny nanotubes, which is a thousand times thinner than the diameter of a human hair. This speeds up the chemical reactions taking place in the new battery, allowing for superfast charging.

The technology is currently being licensed by a company for eventual production. Prof Chen expects that the new generation of fast-charging batteries will hit the market in the next two years. It also has the potential to be a key solution in overcoming longstanding power issues related to electro-mobility.

32
পুরো নামঃ স্টিফেন উইলিয়াম হকিং
জন্মঃ ৮ জানুয়ারী, ১৯৪২
জাতীয়তাঃ ব্রিটিশ
যেসব ক্ষেত্রে কাজ করেছেনঃ জেনারেল রিলেটিভিটি, কোয়ান্টাম গ্রাভিটি
তার বিখ্যাত কিছু বইঃ আ ব্রিফ হিস্টোরি অফ টাইম, দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল, অন দ্য শোল্ডার্স অব জায়ান্টস ও ইত্যাদি।

উক্তিঃ
১) বুদ্ধিমত্তা তাকেই বলে যখন আপনি পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।
২) আকাশের নক্ষত্ররাজির দিকে তাকাও, কখনো তোমার পায়ের দিকে নয়। তুমি যা দেখছ তা উপলব্ধি করার চেষ্টা কর এবং বিস্ময়াভূত হও যে সমগ্র বিশ্ব কেমন করে টিকে আছে। কৌতুহলী হতে শেখো।
৩) জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।
৪) বিজ্ঞান শুধুমাত্র অনুসন্ধানের বা কার্যকারণের শিষ্যই নয়; বরং তা এক ধরণের ভালোবাসা ও অনুরাগও বটে।
৫) যদি আপনি সবসময় রাগান্বিত থাকেন এবং অভিযোগ করতে থাকেন, কেউ আপনার জন্য নিজের মূল্যবান সময়টুকু দিতে চাইবে না।
৬) জীবনটা খুবই ছন্দহীন হয়ে যেত যদি জীবনে কোন হাসি ঠাট্টা না থাকত।
৭) একটি বৃহৎ মস্তিষ্কের নিউরণগুলো যেভাবে একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকে, আমরাও বর্তমানে ইন্টারনেটের সাথে এভাবেই যুক্ত আছি।
৮) আমার মত অন্যান্য চলৎশক্তিহীন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমার উপদেশ হবে এই যে, আপনারা কখনো নিজেদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না বা আপনার অবস্থা কেন এমন হল তা নিয়ে কারণ খুঁজতে যাবেন না। এর কোন কারণ নেই। এর চাইতে নিজের মাঝে যতটুকু শক্তি রয়েছে, তা দিয়ে অন্যের উপকার করুন।
৯) কয়েকদিনের পূর্বাভাস না দেখে কেউ হঠাৎ করে একদিনের আবহাওয়া পূর্ভাবাস বলে দিতে পারবে না।
১০) অভিকর্ষ থাকবার কারণেই এই বিশ্ব শূন্য থেকে তৈরি হয়ে যেতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ ব্রেইনিকোটস ডট কম

33
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ইনবক্সে বন্ধুদের কাছ থেকে সম্প্রতি নতুন একটি ভিডিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

 

হ্যাকাররা ভাইরাসযুক্ত একটি ভিডিও লিংক ইনবক্সে মেসেজ হিসেবে পাঠাচ্ছে। ফেসবুকে আপনার যে প্রোফাইল পিক রয়েছে সেটি ভাইরাসযুক্ত ভিডিওতে প্রদর্শন করা হচ্ছে কৌশলে। ফলে ব্যবহারকারীদের ইনবক্সে যখন ভিডিও লিংকটি আসছে তখন অনেকেই কৌতূহলী হয়ে সেটি দেখার জন্য ক্লিক করছেন।

 

দেখার জন্য ক্লিক করলেই, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এন্ট্রি পেয়ে যাচ্ছে ভাইরাসটি। আর আপনার অ্যাকাউন্টে এই ভাইরাসের প্রবেশ মানেই, অ্যাকাউন্টের তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কা।

 

শুধু তাই নয়, আপনার নামে আসা ভিডিও ভাইরাসের লিংকটিতে ক্লিক করা মাত্রই আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সব বন্ধুরা এই ভিডিও ভাইরাসটিতে ট্যাগ হয়ে যাবে এবং তাদের ইনবক্সে আপনার মাধ্যমে তা মেসেজ হিসেবে পৌঁছে যাবে।

 

সুতরাং মেসেজ বক্সে বন্ধুদের কাছ থেকে আসা আপনার প্রোফাইল পিক সংবলিত ভিডিও লিংকটিতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।

34
সম্প্রতি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। অসাধারণ এ প্রযুক্তির কারণে আপনি কোনো স্থানে না গিয়েও সে স্থানে ভ্রমণের স্বাদ পাবেন। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এ প্রযুক্তিতে। আর এসব কারণে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির প্রসার বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটি কি শিশুদের জন্য নিরাপদ? চোখের কোনো ক্ষতি করে কি এ প্রযুক্তি? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তি বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও খুবই প্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৩ বছরের নিচের শিশুদের এ জিনিসটি দেওয়া উচিত নয়। প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতারাও এ বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয়েছে। এ কারণে স্যামসাং গিয়ার ভিআরহেডসেটে ১৩ বছরের বয়সের ওপরের ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার করার নির্দেশনা রয়েছে। অন্যদিকে প্লেস্টেশন ভিআর তাদের নির্দেশনায় ১২ বছরের নিচের শিশুদের তা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। একইভাবে এইচটিসি ভাইভও শিশুদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এইচটিসি জানিয়েছে, অল্পবয়সী কোনো শিশুকেই এ হেডসেট ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়া গুগলের লো-টেক কার্ডবোর্ড হেডসেটটিও শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড়দের তত্ত্বাবধানে চালানোর নির্দেশনা রয়েছে।

কিন্তু কী কারণে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি শিশুদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে? এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এ বিষয়টির কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে।

মস্তিষ্কের উন্নতিতে প্রতিবন্ধক

২০১৪ সালের এক গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে অনুসন্ধান করেন। এতে তারা জানান, মস্তিষ্কের স্থানিক বা স্থানসম্পর্কিত অনুভূতি শেখার বিষয়টির গুরুত্ব রয়েছে। তবে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এ স্থানিক বিষয়গুলো শিখতে বাধা দেয়। আর এতে মস্তিষ্কের উন্নতিও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে শিশুদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধানের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব বাস্তব জীবনে আমরা কাছের ও দূরের বিভিন্ন বস্তুর দিকে তাকাই। আর এ জন্য আমাদের চোখের দৃষ্টি ঠিক করতে প্রতিনিয়ত লেন্স অ্যাডজাস্ট করতে হয়। আর ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে এ কাজের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে চোখ রাখলেই চলে। এ অবস্থায় বাস্তবতার সঙ্গে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে চোখের কাজের পার্থক্য দেখা যায়। আর এটি শিশুদের চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

35
টেলিভিশন দেখা শেষে সেটি ভাঁজ করে রেখে দেয়া যাবে ঘরের এক পাশে।আশ্চর্য মনে হলেও এমনই টেলিভিশন তৈরির কথা জানিয়েছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজি।

এলজি জানিয়েছে, নমনীয় স্ক্রিন তৈরিতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পলিমাইড ফিল্ম ব্যবহার করা হয়েছে।আর ট্রান্সপারেন্ট পিক্সেল ডিজাইন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে ফলে, অস্পষ্ট বা ঘোলাটে ছবি দেখার ঝামেলা থেকেও মিলবে মুক্তি।

পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি এই টেলিভিশনটির স্ক্রিনের মাপ ১৮ ইঞ্চি।তবে পরবর্তীতে তা ৫৫ ইঞ্চি আকারের তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।ফোর-কে মানের নমনীয় এই টিভির স্ক্রিন হবে এইচডির চেয়েও চারগুণ বেশি উন্নত।রেজুলেশন হবে ১২০০ বাই ৮১০।

প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রচলিত টিভি স্ক্রিনের চেয়ে নমনীয় টিভি স্ক্রিন হবে টেকসই।চলতি বছরেই বাজারে আসতে পারে এমন টিভি।তবে এর দাম কেমন হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

36
আগে মানুষ ঘড়ি কেবল সময় দেখার জন্য ব্যবহার করত কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ এখন এন্ড্রয়েড ওয়্যার নামক বস্তুটির সাথে পরিচিত হয়েছে। বেশ রাশভারী শুনতে মনে হলেও এটি আদতে একটি ঘড়িই কিন্তু সময় দেখা ছাড়াও এতে আরো নানা ধরণের কাজ করা যায়।

স্মার্টওয়াচ ধারণাটি ২০১৪ সালে এলেও কেবল মটোরোলা ও এল জি- এই দুই কোম্পানী তাদের একচেটিয়া বাজার শুরু করেছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে অন্যান্য নানা প্রতিষ্ঠানও তাদের স্মার্টওয়াচ বাজারে আনা শুরু করে প্রতিযোগিতার স্বার্থে। কিন্তু মটোরোলার চাহিদা এখনো তুঙ্গে।

মটো থ্রি সিক্সটিঃ

মটো থ্রি সিক্সটি যখন বাজারে প্রথম আসে তখনই এটি গ্যাজেটপ্রেমীদের নজর কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে এই উত্তরাধিকাররা অর্থাৎ, এই সিরিজের আরো কিছু স্মার্টওয়াচ বাজারে আনা হলে তারাও বেশ সুনামের সাথে টপ লিস্টে নিজেদের নাম ধরে রাখতে সমর্থ।

মটোরোলা মটো ৩৬০ (সেকেন্ড জেনারেশন) ঘড়িটির ব্যাটারী পূর্ববর্তীদের থেকে বড়, স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ প্রসেসর রয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য এটি দুটি ভিন্ন সাইজে বাজারে রয়েছে। মটো মেকারের সাহায্যে এটিকে কাস্টোমাইজও আপনি করতে পারবেন চাইলে।

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটিকে মকাস্টোমাইজ করা যাবে এবং আপনি চাইলেই যে কোন মুহুর্তে এটির বেল্ট পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছামত বেল্ট যুক্ত করতে পারবেন।

কি আছে এতেঃ

    ১.৩৭ ইঞ্চি আইপিএস এলইডি ডিসপ্লে
    ১.২ গিগাহার্টয কোয়াড-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ প্রসেসর
    ৫১২ মেগাবাইট র‍্যাম
    অন বোর্ড স্টোরেজ ৪ জিবি
    ৩০০ এমএএইচ ব্যাটারী
    ৪২.০*৪২.০*১১.৪ মিমি
    পানি ও ধূলাবালি নিরোধক

37
এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় অনুবাদ করতে গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্য নেওয়া যায়।এই অ্যাপকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। এখন থেকে পুরো বাক্য শুদ্ধ অনুবাদ করতে পারবে গুগল ট্রান্সলেট।

গুগলের এক ব্লগ পোস্টে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, বড় অনুবাদও প্রাসঙ্গিক করবে গুগল। মানুষ যেভাবে ব্যাকরণ ব্যবহার করে কথা বলে, সেভাবে গুছিয়ে বাক্য গঠন করবে অ্যাপটি।এতে ব্যবহৃত হবে নিউরাল মেশিন ট্রান্সলেশন।

নিউরাল মেশিন পদ্ধতি হচ্ছে মানুষের ভাষা কম্পিউটারকে শেখানোর পদ্ধতি।গত বছরের সেপ্টেম্বরে গুগল এ-সংক্রান্ত গবেষণার কথা জানায়।

গত বছরের নভেম্বর থেকে পদ্ধতিটি গুগল ট্রান্সলেটরে যুক্ত করা হয়েছে।ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, স্প্যানিশ ও চায়নিজ ভাষা ট্রান্সলেটে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ হবে।

38
অনলাইন থেকে নকল ইলেকট্রিক গেজেট কেনা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।এতে জানা গেছে, চারশ’ নকল চার্জারের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বৈদ্যুতিক শক ঠেকাতে যথেষ্ট প্রতিরোধোক ব্যবহার করা হয়।যার ফলে চার্জার ব্যবহারকারীর অনেকে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন বলে সতর্ক করেছেন তদন্তকারীরা।অ্যামাজনে এই সময়ে ‘নকল’ গেজেট বিক্রির ‘হিড়িক’ পড়েছে বলে অ্যাপলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, এর পর থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

যেভাবে চিনবেন ঝুঁকিপূর্ণ নকল চার্জার

প্লাগ পিন:

কোনো সকেটে সুইচ চালু করে আর প্লাগটি কোনো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট না করে, প্লাগের পিন সকেটে ঢুকানোর পর যদি দেখা যায় তা সঠিকভাবে খাপ খাচ্ছে না, তাহলে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো হয়েছে বলে ধরা যেতে পারে। পিন-এর ধার আর চার্জারের ধারের মধ্যে অন্তত ৯.৫ মিলিমিটার জায়গা থাকতে হবে।

মার্কিং:

উৎপাদনকারী সংস্থাটির ব্র্যান্ড নাম বা লোগো, মডেল, ব্যাচ নাম্বার আর নিরাপত্তা নির্দেশক চিহ্ন যাচাই করতে হবে। যদিও এগুলো সহজেই নকল করা যায়, তা নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

সতর্কতা ও নির্দেশনা:

ইউজারদের নির্দেশনায় শর্ত আর ব্যবহারের নীতিমালা দেওয়া থাকতে হবে।এগুলোর মধ্যে কীভাবে নিরাপদে চার্জার ব্যবহার করতে হবে- এমন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনা ও ব্যবহার শেষে তা নষ্ট করার উপায় বলা থাকতে হবে।

39
আফ্রিকার দক্ষিণ তাঞ্জানিয়ার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে নয় মাইল দূরে এনগারো সেরো গ্রামের লেক ন্যাট্রনের তীরে ভূতত্ত্ববিদরা ১০ হাজার-১৯ হাজার বছরের আগেকার আদিম মানুষের ৪০০ এরও বেশি পায়ের ছাপের সন্ধান পেয়েছেন ।

মূলত আগ্নেয়গিরির ছাই এবং কর্দমাক্ত প্রবাহের কারণেই এগুলো এতদিন ঢাকা পড়ে ছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, আধুনিক মানব সভ্যতার ঊষালগ্নে মানুষ যখন পৃথিবীর বুকে হেঁটেছিল, এ ছাপ সে সময়কার। ১০ হাজার বছরের পুরোনো ছাপ যেমন রয়েছে এখানে, আবার কোনো কোনো ছাপের বয়স ১৯ হাজার বছর।

১৯ হাজার বছর মানে সে এক অদ্ভুত সময়। শারীরবৃত্তীয় ভাবে আধুনিক মানুষ (হোমো স্যাপিয়েন্স) মোটামুটি এই সময়েই, বা এর সামান্য আগে, সংস্কৃতিগত ভাবেও আধুনিক সৃষ্টিশীল মানুষ (হোমো স্যাপিয়েন্স) হয়ে উঠেছে। মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার এটাই অন্তিম গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। ঠিক সেই সময়কার পায়ের ছাপ হাতে পেয়ে যাওয়াটা বিজ্ঞানীদের কাছে ‘সোনার খনি’ পেয়ে যাওয়ার মতোই। আধুনিক মানুষের পথ চলার শুরুর কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে এখানেই! আফ্রিকা তো বটেই, দুনিয়ার আর কোনো জায়গায় হোমো স্যাপিয়েন্সের এতো পুরোনো পায়ের ছাপ মেলেনি।

গবেষক দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অনুদানপ্রাপ্ত অ্যাপালেচিয়ান স্টেট ইউনিভার্সিটির ভূবিজ্ঞানী ড. সিনথিয়া লিউটকাস পিয়ার্স। ড. পিয়ার্স মেইল অনলাইনকে বলেন, ‘পায়ের ছাপগুলো তৈরি হয়েছিল প্রায় ১৯ হাজার এবং ১০ হাজার বছর আগে। এর মানে হলো যে, এই পদচিহ্নগুলোই প্লেইস্টোসিন যুগের সর্বশেষ নিদর্শন।

এনগারো সেরো গ্রামের এই পদচিহ্নগুলো বিশ্বের সর্বত্র জীবাশ্ম পদাঙ্ক সাইটের ক্ষেত্রে অনন্য রেকর্ড যোগ করেছে। এ থেকে প্লেইস্টোসিন যুগের আমাদের পূর্বপুরুষদের কার্যকলাপ ও আচরণের সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে।

এছাড়াও গবেষক দলটি এমন অন্তত ২৪ ট্র্যাক শণাক্ত করছেন, যা প্রমাণ করে যে কিছু পদচিহ্ন মানুষের জগিং করার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। একত্রে ১২ জনেরও বেশি মানুষের একত্রে যাত্রা করারও প্রমাণ মিলেছে পদচিহ্নগুলো থেকে।

যদিও দশ বছরেরও বেশি সময় আগে স্থানীয় গ্রামবাসী কর্তৃক কিছু পদচিহ্নের খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু ২০০৮ সালে একজন আমেরিকান সংরক্ষণবাদী এলাকাটি পরিদর্শন করার পরই মূলত তা বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ কাড়ে।

গবেষকরা এখন স্থানটির দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের উপায় খুঁজছেন। যদিও প্রতিটি পায়ের ছাপের তোলা থ্রিডি ছবিও দরকারী ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে। গবেষকদের বিশ্বাস, সেখানে সম্ভবত আরো বেশি পদচিহ্ন কাঁদার নিচে চাপা পড়ে আছে।

40
Science and Information / দ্বিতীয় পৃথিবী !!!
« on: February 14, 2017, 10:34:18 AM »
সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার সেরা সম্ভাবনা এবার সম্ভবত পাওয়া গেছে। কারণ পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ আলোকবর্ষ দূরে প্রাণ ধারণের উপযোগী ‘প্রক্সিমা বি’ নামক যে পাথুরে গ্রহটি এ বছরের আগস্টে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছিলেন, সেই গ্রহটিতে তরল সমুদ্র থাকার সম্ভাবনার কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ফ্রান্সের সিএনআরএস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, গ্রহটির তাপমাত্রা এবং পৃথিবীর সঙ্গে অন্য বিষয়গুলোর সাদৃশ্য থাকায় গ্রহটিতে তরল সমুদ্র থাকার সম্ভাবনা প্রবল, এমনকি পানির অস্তিত্বও থাকতে পারে।

পৃথিবীর মতো পাথুরে পরিবেশ এবং সমুদ্র ও পানির অস্তিত্বের সম্ভাবনার ফলে মনে করা হচ্ছে, গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গ্রহটিকে অভিহীত করা হয়েছে, দ্বিতীয় পৃথিবী হিসেবে।

সৌরজগতের বাইরে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর মধ্যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম। গবেষকদের দাবী সৌরজগতের বাইরের এই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের অভিযান ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, আমাদের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরিকে প্রদক্ষিণ করছে নতুন এই গ্রহটি। ভবিষ্যতের আরো অনেক অগ্রগতির সময়ে পৃথিবী থেকে মহাকাশচারীদের পদচারণা ঘটতে পারে গ্রহটিতে। এসব কিছুই হতে পারে কারণ প্রক্সিমা সেন্টরি নক্ষত্রটি অনুজ্জ্বল এবং এর ৪.৬ মিলিয়ন মাইল দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহটি।

যেহেতু প্রক্সিমা সেন্টরি নক্ষত্রটি অনুজ্জ্বল বামন নক্ষত্র, সূর্যের চেয়ে অনেক কম তাপের এবং প্রক্সিমা বি গ্রহটি উপযুক্ত দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় এর তাপমাত্রা খুব গরম নয় আবার খুব ঠান্ডাও নয়, সেহেতু মনে করা হচ্ছে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বে সম্ভাবনা প্রবল।

ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এ বছরের আগস্টে আবিষ্কৃত রোমাঞ্চকর এই নতুন বিশ্বকে ‘প্রক্সিমা বি’ নাম দিয়েছেন গবেষকরা। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গুইলিম অ্যানগালাডার নেতৃত্বে ৩০ জন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল গ্রহটি আবিষ্কারে কাজ করেছেন।

হাজারের বেশি এক্সোপ্ল্যানেট এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়েছে, কিন্তু এটি অন্যগুলো থেকে ভিন্ন। এটি আমাদের নাগালের মধ্যে মাত্র চার আলোকবর্ষ দূরে। যদিও চার আলোকবর্ষ অনেক দীর্ঘ একটা পথ, ২৫ ট্রিলিয়ন মাইলেরও বেশি। বর্তমানে যে প্রযুক্তির রকেট রয়েছে, তাতে এই দূরত্ব পারি দিতে সময় লেগে যাবে ৭৬ হাজার বছর! তবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ভবিষ্যত প্রজন্মের অতিদ্রুত মহাকাশযান, গ্রহটি ভ্রমণে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

41
সম্প্রতি রাশিয়ার একটি অনুসন্ধানী দল রহস্যময় আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের সন্ধান মিলেছে। তারা মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভয়ংকর সেই জ্বালামুখে বিজ্ঞানীরা-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করেছেন।

সাইবেরিয়ার উত্তর দিকে প্রত্যন্ত অঞ্চল ‘ইয়ামাল পেনিনসুলাতে’ এ আগ্নেয়গিরি জ্বালামুখটির সন্ধান পাওয়া যায়।আবিষ্কৃত হওয়ার পর রাশিয়ান সেন্টার অফ আর্কটিক এক্সপ্লোরেশনের কয়েকজন বিজ্ঞানী সেখানকার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত পোষাক পরে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে সেই জ্বালামুখের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা জ্বালামুখের ৫৪ ফুট গভীর পর্যন্ত যান।
এই অনুসন্ধান দলের প্রধান ভ্লাদিমির পুশকারেভ জানিয়েছেন,এই প্রথমবারের মত কোন দল নিরাপদে এই জ্বালামুখের ভেতরে অবতরণ করতে পেরেছে। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে ঠাণ্ডায় জায়গাটা জমে শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই।তবে বিজ্ঞানীরা এখনো জায়গাটা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন।

42
কানাডার অন্টারিওতে একটি কয়লা খনি খনন করতে গিয়ে গবেষকরা পেলেন সময়ের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া একটি অতি মূল্যবান সূত্র। বলা হচ্ছে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জলাধার। পৃথিবীর ভূগর্ভের প্রায় দুই মাইল নিচে এটি পাওয়া গিয়েছে।

খনিটি খনন করা শুরু হয়েছিল মূলত মূল্যবান খনিজ উত্তোলনের জন্য। যেমন, কপার, জিঙ্ক, ও রুপা। কিন্তু নতুন এই আবিষ্কার আরো বেশি মূল্যবান বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই পানি পরীক্ষা করে জানা যাবে দুই বিলিয়ন বছর আগে আজকের পৃথিবীর অবস্থা কেমন ছিল। ভূগর্ভের প্রচন্ড তাপে পানি কতটুকু পরীক্ষাযোগ্য হবে তাতেও রয়েছে বিজ্ঞানীদের নানা সংশয়।
“যদি এই জলাধারের পানি সত্যিই দুই বিলিয়ন বছর আগের হয়ে থাকে, তাহলে অনেক অজানা তথ্য আমাদের হাতে চলে আসবে। গবেষনার আরো নতুন নতুন দিক খুলে যাবে” – বলেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশেল চং।

পানিতে কি পরিমাণ হিলিয়াম, আর্গন, জেনন ইত্যাদি পদার্থ পরীক্ষা করার মাধ্যমে তার বয়স কত তা নির্ধারণ করা যায়।

43
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ। এ প্রকল্পটি পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। ওই দিন সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম তাদের গ্লোবাল অপারেশন চালু করতে যাচ্ছে। সি-মি-উই ৫ হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ ৫-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পায়। আর দ্বিতীয় ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর আরও ১৫০০ জিবিপিএস বাড়তি পাওয়া যাবে। কক্সবাজারে প্রথম স্থাপিত সাবমেরিন স্টেশনের চেয়ে আট গুণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে পটুয়াখালীর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি। এটি এক কনসোর্টিয়াম যাতে সংযুক্ত রয়েছে ১৭টি দেশের ১৫টি শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তাদের এই অপারেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের বিষয়। সমুদ্রের তলদেশের ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হলে বাংলাদেশ সব সময় অনলাইনে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ট্রেডের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে যুক্ত হবে। তবে এ প্রজেক্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশ হয়তো উদ্বোধনের দিন থেকেই পূর্ণাঙ্গ ব্যান্ডউইথের সুবিধা পাবে না। রাজধানী ঢাকা এবং পটুয়াখালীতে সি-মি-উই ৫-এর স্টেশনের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত বিষয় এতে বাধ সাধতে পারে। সংশ্লিষ্ট কাজ হয়তো সময়মতো সম্পন্ন হবে না। কিন্তু এ বিষয়ে আশাবাদী বিএসসিসিএল।
সময়মতোই সব কাজ শেষ করা হবে বলে মনে করছেন মনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালুর মাধ্যমে দেশের আইসিটি খাতে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে, ও সব সংকট মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ বিদেশে রফতানি করা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিএসসিসিএলের কোম্পানি সচিব আবদুল সালাম জানান, প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়ক কনসোর্টিয়ামের আওতায় একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত। এ ক্যাবলটি কোনো কারণে বিচ্ছিন্ন হলে তার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। বাংলাদেশ সি-মি-উই ৫ কনসোর্টিয়ামে যোগ দেয় ২০১৪ সালের মার্চে। এতে খরচ হয় ৬৬০ কোটি টাকা। মোট খরচের মধ্যে সরকার ১৬৬ কোটি টাকার জোগান দেয়। বিএসসিসিএল দিয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। আর বাকি ৩৫২ কোটি টাকা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ সি-মি-উই ৪ পায় ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে তার জীবন অর্ধেকে গড়িয়েছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই আরেকটি ক্যাবলের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ভারতের রয়েছে ৮টি সংযোগ, পাকিস্তানের ৪টি এবং শ্রীলংকার ৪টি সংযোগ।

44
১) দুর্বলতা- হার্টের সমস্যার জন্য ধমনীতে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। আর তার ফলেই কমতে থাকে শরীরে জোর। দুর্বলা অনুভব করবেন আপনি।

২) ঝিমনি- অদ্ভূত ভাবে একটি ঝিমুনি অনুভব হবে প্রতি মুহূর্তে। সেই সঙ্গে রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে শরীরে একটা শীতল ভাবও অনুভূত হবে হার্ট অ্যাটাক আসার আগেই।

৩) বুকে ব্যাথা- হার্ট অ্যাটাক আসার প্রায় এক মাস আগে থেকেই বুকে ব্যথা অনুভূত হতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, বুকে থেকে ব্যথা শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়বে ক্রমাগত। বিশেষ করে পীঠ, হাত ও কাঁধে ছড়িয়ে বড়বে ব্যথা।

৪) ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা- হার্ট অ্যাটাক আসার আগে কিছুদিন আগে থেকেই ঠাণ্ডা লাগার একটা প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাওয়া অনেকটাই ভালো।

৫) ক্লান্তি- একটু কাজ করলে বা হাটাহাটি করলেই শরীরের মধ্যে ক্লান্তি অনুভব করা। সেই সঙ্গে হাপ ধরে যাওয়া। এমন সমস্যা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হতে পারে আপনার হার্ট দুর্বল। যে কোনও মুহূর্তে অ্যাটাক আসতে পারে।

৬) নিশ্বাসে সমস্যা- এটিও একটি নির্দেশ হার্টের পক্ষ থেকে যে তা অত্যন্ত দুর্বল। ছোটো বড় যে কোনও কাজ করলেই নিশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তা হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

45
Common Forum/Request/Suggestions / জিরা পানি !!
« on: November 07, 2016, 02:28:34 PM »
মসলা হিসেবে জিরার গুণের কথা সবারই জানা। রান্না করা খাবারকে সুস্বাদু ও সুগন্ধি করতে জিরার জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর মসলা হিসেবে জিরা সমাদৃত। কিন্তু এর বাইরেও জিরার কিছু গুণ আছে। বিশেষ করে জিরা-পানি বা জিরা-চা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যাঁরা প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য জিরা-পানি উৎকৃষ্ট উপাদান। গবেষকেরা বলেন, শরীরের ক্ষতিকর চর্বি ও অস্বাস্থ্যকর কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ওজন কমাতে এটি সহায়তা করে।
ভালো হজম হয়
জিরায় আছে থাইমলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তেল, যা লালাগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। এ ছাড়া হজমপ্রক্রিয়ার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেও সহায়তা করে জিরা। যাঁরা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা জিরা-চা খেতে পারেন। কলার সঙ্গে জিরা মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। কারণ, কলাও ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে জিরা-চা
জিরা-চা বানানোর নিয়ম হচ্ছে এক চামচ জিরা এক গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। পানি ফুটে বাদামি রং হলে জাল বন্ধ করে পাত্রটি ঢেকে রাখতে হবে। এরপর ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হালকা পেটব্যথা কিংবা ভালো হজমের জন্য দিনে তিনবার এ চা খেতে পারেন। যাঁরা আরেকটু হালকা চা খেতে চান, তাঁরা গরম পানিতে জিরা মিশিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। এরপর কিছুটা থিতিয়ে সে চা খেতে পারেন। এ ছাড়া পানির ভেতর দুই চামচ জিরা মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিতে পারেন। সকালে ওই পানি ফুটিয়ে খেতে পারেন। ভেজানো জিরা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরের চর্বি দূর হবে।

খাবারে জিরা
শরীরের চর্বি কমাতে খাবারে জিরার পরিমাণ কিছুটা বাড়াতে পারেন। এ ছাড়া ওজন কমাতে অল্প পরিমাণ দইয়ের মধ্যে জিরা দিয়ে কিংবা মধুর সঙ্গে জিরা মিশিয়ে খেতে পারেন। স্যুপ তৈরি বা বাদামি ভাত রান্নাতেও হালকা জিরা গুঁড়া দিতে পারেন। ওজন কমাতে রসুন আর লেবুর গুণের কথা অনেকেই জানেন। গাজরসহ অন্যান্য সবজি একত্রে সেদ্ধ করুন। এতে রসুনবাটা ও লেবুর রস দিতে পারেন। তারপর কিছুটা জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। প্রতিদিন রাতে খেলে ওজন কমবে।

ক্যানসার প্রতিরোধে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জিরার মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং পেটের চর্বি কমায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার হিলটন হেড আইল্যান্ডের ক্যানসার রিসার্চ ল্যাবরেটরির তথ্য অনুযায়ী, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ার উপাদান আছে জিরাতে। এতে কুমিনঅ্যালডিহাইড নামের উপাদান আছে, যা টিউমারের বৃদ্ধি ঠেকাতে পারে। এর পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।

জিরা-পানিতে গোসল
শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বা চুলকানি মনে হলে জিরা দিয়ে পানি সেদ্ধ করে তা ঠান্ডা করুন। এরপর সেই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7