Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Monir Zaman

Pages: [1]
1
Science and Information / Re: What Should We Expect From AI?
« on: May 24, 2018, 02:32:52 PM »
Thanks

2
good article

3
good

5
আপনি কি টুইটার ব্যবহার করেন? দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। ৩৩ কোটি টুইটার ব্যবহারকারীর কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে সফটওয়্যার ত্রুটি ধরা পড়ার পর ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে টুইটার। আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ত্রুটি বের হওয়ার ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তাতে দেখা গেছে, টুইটার ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য চুরি হয়নি বা টুইটারের কোনো কর্মী এসব তথ্যের অপব্যবহার করেননি। তারপরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সব টুইটার ব্যবহারকারীকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
অবশ্য, এ ঘটনায় কতজনের টুইটার পাসওয়ার্ডের ওপর প্রভাব পড়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেয়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
তবে এ ঘটনায় যথেষ্টসংখ্যক পাসওয়ার্ড কয়েক মাস ধরেই উন্মুক্ত হয়ে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে ওই বাগ বা সফটওয়্যার ত্রুটির খোঁজ পায় টুইটার। টুইটারের এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ত্রুটির খোঁজ পাওয়ার পরপরই তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জানানো হয়।
এ ঘটনার পর টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসি এক টুইটে বলেছেন, ‘আমরা সম্প্রতি একটি ত্রুটির খোঁজ পায় যাতে টুইটারের পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত হওয়ার আগে অভ্যন্তরীণ একটি লগ সিস্টেমে লেখা হত। এটি ঠিক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারও পাসওয়ার্ড বেহাত হয়নি। অভ্যন্তরীণ এ ঘটনাটি সবাইকে জানানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছি।’
টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে গেলে সতর্ক বার্তা পাচ্ছেন।
টুইটারের ব্লগে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পাশাপাশি টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করে নিতে বলা হচ্ছে। এতে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া ঠেকানো যাবে।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা হিসেবে দুটি ধাপ থাকে। এর মধ্যে প্রথম ধাপটিতে ব্যবহারকারী সচরাচর ব্যবহার করে-এমন ফ্যাক্টর (পাসওয়ার্ড) থাকে। দ্বিতীয় ধাপটি হয় লগ-ইন প্রক্রিয়াটি বৈধ বা অনুমোদন বা অ্যাকসেস পাওয়ার চেষ্টা। প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথম ফ্যাক্টরটি পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বর ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় ফ্যাক্টর হিসেবে কোনো সংখ্যা, নম্বর বা অক্ষরের মিলিত সেট বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়।

source: prothom-alo

6
বছরে দুবার উইন্ডোজ টেনের গুরুত্বপূর্ণ হালনাগাদ প্রকাশ করে অপারেটিং সিস্টেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। সর্বশেষ হালনাগাদ প্রকাশ করেছে গতকাল সোমবার। ‘উইন্ডোজ টেন এপ্রিল ২০১৮ আপডেট’ নামের এই হালনাগাদ বর্তমান উইন্ডোজ টেন ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে করতে পারবেন। তবে তার আগে কিছুটা সময় ব্যয় করে আপনার কম্পিউটার হালনাগাদের জন্য প্রস্তুত করে নিন। এতে নতুন সংস্করণে আপনার কম্পিউটার চলবে নির্ঝঞ্ঝাট।

ফাইল ব্যাকআপ করতে ভুলবেন না
অপারেটিং সিস্টেমের যেকোনো বড় হালনাগাদের আগে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ নেওয়া ভালো। কোনো কারণে হালনাগাদ পরিকল্পনামাফিক না হলে যেন দ্বিতীয় অপশন হাতে থাকে। পছন্দমতো যেকোনো ক্লাউড স্টোরেজে ছবি ও ফাইল আপলোড করে রেখে দিন। এ ক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভ (drive.google.com), ওয়ান ড্রাইভ (onedrive.live.com), আইক্লাউড (www.icloud.com), ড্রপবক্স (www.dropbox.com), আমাজন ড্রাইভ (www.amazon.com/clouddrive) বা বক্স (www.box.com)-এ নিবন্ধন করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লাউড স্টোরেজ বিনা মূল্যে পাবেন। তা ছাড়া এক্সটারনাল ড্রাইভেও ফাইল সংরক্ষণ করতে পারেন। আর উইন্ডোজের বিল্ট-ইন ব্যাকআপ সেবা ব্যবহার করতে চাইলে যেতে হবে Settings > Update & security > Backup।

পুরো সিস্টেম ব্যাকআপ করে নিন
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম ইমেজ তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হলে সিস্টেম ইমেজ রিস্টোরের মাধ্যমে ফাইল তো বটেই, সেটিংসও ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তৈরি করতে হলে প্রথমে Control Panel-এ যান। এরপর System and Security থেকে Backup and Restore (Windows 7) অপশনে ক্লিক করুন। বাঁ থেকে Create a system image নির্বাচন করুন। এরপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভ বা ডিভিডিতে সিস্টেম ইমেজ সংরক্ষণ করুন।

হার্ডডিস্কে পর্যাপ্ত জায়গা খালি রাখুন
গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো হালনাগাদের আগে অপারেটিং সিস্টেমের ড্রাইভে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা করে নিন। ফেলে দেওয়ার মতো অপ্রয়োজনীয় অনেক ফাইল পাবেন। সেগুলো মুছে ফেলুন। দরকারি হলে অন্য কোথাও সরিয়ে রাখুন। আর ঝটপট জায়গা ফাঁকা করতে প্রথমে রিসাইকেল বিন দেখুন, ফাইল ডিলিট করার পর সেগুলো রিসাইকেল বিন থেকে মুছে ফেলতে ভুলে যান অনেকে। এরপর ‘ডিস্ক ক্লিনআপ’ সুবিধার সাহায্য নিন। স্টার্ট মেনু থেকে All apps > Windows Administrative Tools > Disk Cleanup নির্বাচন করুন। অপারেটিং সিস্টেমের ড্রাইভ নির্বাচন করে OK করে অপেক্ষা করুন। আর সিস্টেম ফাইল মুছে ফেলতে চাইলে Cleanup system files অপশনে ক্লিক করুন।

অতিরিক্ত যন্ত্র বিচ্ছিন্ন করুন
কম্পিউটারে যুক্ত যেকোনো যন্ত্র বা ডিভাইস হালনাগাদের আগে খুলে রাখুন। তবে ডেস্কটপ কম্পিউটারে কি-বোর্ড ও মাউস থাকতে পারে। প্রিন্টার, স্ক্যানার বা এক্সটারনাল ড্রাইভ যুক্ত থাকলে হালনাগাদের সময় সে যন্ত্রগুলোর ড্রাইভারও হালনাগাদ করতে চাইবে। ড্রাইভার হালনাগাদ আপনি পরেও করতে পারবেন।

অ্যান্টিভাইরাস নিষ্ক্রিয় রাখুন
অতিরিক্ত যন্ত্রের মতো অ্যান্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার সাময়িক সময়ের জন্য নিষ্ক্রিয় করে রাখুন। তবে হালানাগাদ শেষ হলো পুনরায় সক্রিয় করতে ভুলবেন না। Settings > Update & security > Windows Security অপশনে গিয়ে Open Windows Defender Security Center বোতামে ক্লিক করে Windows Defender-এর নিরাপত্তা টুল নিষ্ক্রিয় করে রাখুন। অথবা তৃতীয় পক্ষের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের রিয়াল টাইম স্ক্যান ও ফায়ারওয়াল বন্ধ করে দিন।
সূত্র: সিনেট

7
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে কাজ করতে অনেকেই আগ্রহী। ঘরে বসে এখন অনলাইনে অনেক কিছুই শেখা যায় এবং যাঁরা অনলাইনে কাজে আগ্রহী, তাঁরা নিজে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। অনলাইনে আয়ের ওপর বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণ দিতে একটি উদ্যোগ নিয়েছে দেশের কয়েকজন উদ্যোক্তা।

অনলাইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে আয়ের উপযোগী এসব কোর্স ম্যাটেরিয়ালে রয়েছে ই-বুক, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ নানা দরকারি দিকনির্দেশনা, যা একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য প্রয়োজনীয়। কম খরচে এসব কোর্স ম্যাটেরিয়াল কিনে নিজে থেকেই শেখা যাবে অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি।

মানিমেকিং কোর্সবিডি ডটকম নামের এই সাইটে অনলাইন আর্নিং-বিষয়ক এক হাজারের বেশি ইন্টারঅ্যাকটিভ কোর্স ম্যাটেরিয়াল আছে, যা মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করা যাবে।

যাঁরা ঘরে বসে কাজ শিখতে চান বা যাঁরা অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে নতুন, তাঁদের জন্য এই কোর্সগুলো খুবই কাজে আসবে। বিস্তারিত জানা যাবে https://www.moneymakingcoursebd.com/ সাইট থেকে

8
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলার মতে, পুরো পৃথিবীটাই একটি কম্পিউটার। এর জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টার অব থিংস আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণেই পুরো পৃথিবীকে কম্পিউটার বলা যেতে পারে। সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাদেলা বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে সবখানে সমাদৃত হচ্ছে। প্রতিটি জিনিসে, প্রত্যেক ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়ি, কাজের ক্ষেত্র বা বিনোদনেও এটি ঘটছে। পৃথিবীটাকে কম্পিউটার হিসেবে কল্পনা করা দারুণ মজার। আমরা যেহেতু সামনে এগোচ্ছি, এটিকে সঠিক রূপক বলা যেতে পারে।’

তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরেই মাইক্রোসফটে বিভিন্ন রূপান্তর নিয়ে কাজ করছেন নাদেলা। ক্লাউড প্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) মতো প্রযুক্তিগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড ব্যবসা গত প্রান্তিকেই ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। গত মার্চ মাসে ক্লাউড ও এআইকে গুরুত্ব দিয়ে উইন্ডোজ ও ডিভাইস গ্রুপকে পৃথক করেছে মাইক্রোসফট।

নাদেলা বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার মূলে। সামনে যত এগোব, বিশেষ করে অ্যাপ্লিকেশন ও প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে, সবকিছুই এআইনির্ভর হবে।’

মাইক্রোসফট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তাদের সব পণ্য একসঙ্গে যুক্ত করার কথা ভাবছে বলে জানান নাদেলা। তিনি বলেন, ‘আপনার চারপাশে যত কম্পিউটিং শক্তি আছে, তা কাজে লাগাতে পারছেন আপনি আর এতে সবার সঙ্গে বৈঠকের প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছেই। একেই পুরো বিশ্ব একটি কম্পিউটার, সে ধারণা সঙ্গে মেলানো যায়।’

নাদেলা বলেন, মাইক্রোসফট সবখানে ক্লাউড অবকাঠামো তৈরিতে জোর দিলেও তা যথেষ্ট নয়। কারণ তাঁর মতে, যেখানে বিশাল পরিমাণ তথ্য উৎপন্ন হচ্ছে, সেখান পর্যন্ত কম্পিউটিংকে নিতে হবে। সেটি তেলের খনি, খুচরা দোকান কিংবা কোনো কারখানা হতে পারে। এসব জায়গায় অসংখ্য ছোট সেন্সর থেকে তথ্য তৈরি হতে পারে। সেগুলো ধরার চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট। প্রতিবছর রেফ্রিজারেটর, ড্রিল মেশিন কিংবা টোস্টারের মতো যন্ত্র থেকে শুরু করে নানা ডিভাইসে ৯০০ কোটির বেশি মাইক্রোকন্ট্রোলার বাজারে আসছে। এসব যন্ত্রকে ক্লাউডের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে মাইক্রোসফটের।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির সময় তা নৈতিকতা মেনে করা উচিত বলে সতর্ক করেন তিনি।

source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1494546/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF

9
"টেকি" খুবই ছোট এবং বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। আমাদের দেশে অনেকেই দুই-একটি টেকনোলজি বিষয়ক ব্লগটিউন লিখেই টেকি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। আবার অনেকে CSEতে অনার্স মাষ্টার্স করে সারা জীবন প্রযুক্তি নিয়ে পড়ে থাকলেও সেই স্থানে পৌছাতে পারে না।

এই টিউনে বাংলাদেশের সেরা ১০জন টেক-প্রফেশনালদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। বলাবাহুল্য সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু করে দেখিয়েছেন। এরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। মনে হতে পারে এই লিস্টটি ঠিক হয়নি, একটু অগোছালো হয়ে গেছে। আসলে এতজন শ্রেষ্ট টেকি আছে যে বাছাই করা যে কত কষ্ট তা নিজে বাছাই শুরু না করলে বোঝা যাবে না। চেষ্টা করা হয়েছে এতে সবক্ষেত্রের একটি ব্যালেন্স রাখতে।

এই টিউনটি লেখার পিছের অন্যতম কারণ, বাংলাদেশের টেক জগতে এক বিরাট অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেউ ব্লগিং, কেউ ফ্রিল্যান্সিং, কেউ কোডিং, কেউবা শুধু PTC নিয়েই পড়ে আছে। এই টিউন দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে কিছু মানুষকে বিরাট এই প্রজন্মের আইডল বা আনুসরণীয় পাত্র হিসেবে দাড় করানো। হতে পারে তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকেই খুজে পাবে আলোর দিশা। লিস্টে নামগুলো সাজানো হয়েছে নামর প্রথম বাংলা বর্ণের ক্রম অনুসারে।


অমি আজাদ - Developer Evangelist, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ

“অমি আজাদ” টেকি দুনিয়ার অতি পরিচিত একটি নাম। একবিংশ শতাব্দীর শুরু দিকে একুশে থেকে একটি বাংলা ফন্ট মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। তার ক্যারিয়ারের লিস্টটি একটু বেশীই লম্বা। সাংবাদিক, ফ্রিল্যান্সার, ওয়েব ডিজাইনারসহ নানান কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার ঝুলিতে। মাইক্রোসফট তার অবদানের জন্য একাধিকবার MVP (Most Valuable Professional) পুরস্কারে ভূষিত করেছে। বর্তমানে মাইক্রোসফটের Developer Evangelist (Evangelist= প্রচারক) রূপে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাগিব হাসান - Assistant Research Scientist, Johns Hopkins University

রাগিব হাসান কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। রাগিব হাসান বাংলাদেশের অনেক ছাত্রের স্বপ্ন পূরণ করে দেখিয়েছেন। এই বুয়েট এলামনাই নিজের ইন্টার্ণশীপ সম্পন্ন করেছেন টেকি জায়ান্ট গুগলে ! গুগলে অবস্থানকালের তার অভিজ্ঞতাগুলো ব্লগে লিখে তিনি অনেকেরই কল্পনার সীমা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বাংলা উইকিপিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

জাওয়েদ করিম - সহপ্রতিষ্ঠাতা, ইউটিউব

কল্পনা করা যায় বাংলাদেশের বংশউদ্ভুদ্ব কেউ ইউটিউবের পরিকল্পনা ও তৈরীকারী হতে পারেন ? সেই কল্পনাতীত কাজই বহু বছর আগে সত্যি করে ফেলেছেন জাওয়েদ করিম। ৩১ বছর বয়সী এই প্রোগ্রামার Paypal এর শুরু দিককার ইন্জিনিয়ার ছিলেন। Paypal র মূল কাঠামোর অনেক কিছুই তার ডিজাইন করা। বর্তমানে তিনি নতুন ভেন্চার Youniversity Ventures নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

জাকারিয়া চৌধুরী - ফ্রিল্যান্সার

বলতে গেলে দেশে অনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সার এবং অনেক প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সিং টিম আছে। এদের মধ্য থেকে বেছে জাকারিয়া চৌধুরীকে লিস্টে রাখার অন্যতম কারণ, তিনি শুধু নিজে ফ্রিল্যান্সিংই করেননি, নিজের অভিজ্ঞতা ব্লগের দ্বারা সবার সাথে শেয়ার করে গেছেন প্রথম থেকেই। সম্প্রতি তিনি লাভ করেছেন বেসিসের বিশেষ ফ্রিল্যান্সার পুরস্কার। তিনি নিয়মিত মাসিক কম্পিউটার জগত পত্রিকায় লেখা লেখি করেন।

সালমান খান - প্রতিষ্ঠাতা, খান একাডেমী

এক বাংলাদেশী ইউটিউব তৈরী করেছেন তখন আরেকজন ইউটিউবকে পরিণত করেছেন শিক্ষার মাধ্যমে। কোন লাভের চিন্তা ছাড়াই সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের গণিত, বিজ্ঞানসহ নানান বিষয়ের জটিল সব তত্ত্ব অতি সাধারণ ভাষায় ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে প্রকাশ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন সারা বিশ্বে। স্বয়ং বিল গেটস ও তার পুত্রও আছেন তার ছাত্রদের তালিকায়। জিতেছেন গুগলের ২০ লাখ ডলার পুরস্কারও, যার পুরোটাই কাজে লাগাবেন তার তৈরী খান একাডেমীতে।

হাসিন হায়দার - উদ্দ্যোগক্তা, Leevio

পিএইচপি ডেভেলপারদের গুরু হাসিন হায়দার সিভিল ইন্জিনিয়ার হলেও পিএইচপি প্রোগ্রামিংকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন। তিনি একজন সফল উদ্দ্যগতাও (Entrepreneur) বটে। তার প্রতিষ্ঠানের তৈরী করা ফেসবুক পেজ ডিজাইনিং এপ্লিকেশন Miproapps আন্তজার্তিক বাজারে বেশ সাড়া ফেলেছে।

শাহরিয়ার মন্জুর - চেয়ারম্যান, সিএসসি ডিপার্টমেন্ট, সাউথ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি

৩৫ বছর বয়সী এই প্রোগ্রামিং প্রেমী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জল করেছেন। তিনি ACM-ICPC এর মত বড় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্রবলেম সেটার(প্রশ্ন তৈরীকারী) ও বিচারকের দায়িত্ব সম্পন্ন করে থাকেন। এই বয়সেই তিনি সাউথ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি সিএসসি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠ হয়েছেন। ইন্টারনেট জগতে কিছুটা অপরিচিত থাকলেও আন্তজার্তিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বেশ নামডাক তার।

মুনির হাসান - BDOSN

গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বিশেষভাবে পরিচত হলেও দেশের প্রযুক্তিখাতে তার অবদান অস্বীকার করার মত নয়। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্কের গড়ার মাধ্যমে দেশে মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনকে নতুন প্রাণ শক্তি প্রদান করেন। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ওপেনসোর্স নেটওয়ার্ক খোলা, সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে মুক্ত সফটওয়্যারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন বড়-ছোট শহরের তরুণদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপর সেমিনার আয়োজন করে থাকেন।

মেহেদী হাসান খান - প্রতিষ্ঠাতা, অমিক্রন ল্যাব

এই টিউনটি হয়তবা লেখা হতো না যদি না একজন স্বপ্নবাজ বাংলা লেখার মুক্ত পদ্ধতির কথা ভাবতেন। মেহেদী হাসান খানই জনপ্রিয় ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা লেখার টুল অভ্রুর পেছনের মানুষ। মেডিকেল স্টুডেন্ট এই ডেভেলপার একটু আড়ালে থাকতেই পছন্দ করেন।

মেহেদী হাসান আরিফ - প্রতিষ্ঠাতা, টেকটিউনস

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু টেকটিউনসের নাম শোনে নাই এমন কেউ পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের  আন্ডারগ্রেজুয়েট পর্যায়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি এমন একটি প্লাটফরম দাড় করিয়ে দিয়েছেন যা এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা সৌশল নেটওয়ার্ক। যা তাকে স্মরণীয় করে রাখবে দীর্ঘ দিন। এখন তিনি Entrepreneurship ও হাইব্রিড এপ্লিকেশন ডেভলপমেন্টের দিকে ঝুকে পড়েছেন।

মজার ব্যাপার হচ্ছে এদের বেশীরই ভাগই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেননি। নিজের ইচ্ছা থাকলে আর পর্যাপ্ত পরিশ্রম দিলে কোন কিছুই যে অসাধ্য নয় তার প্রমাণ এই ১০জন। তাই তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, চেষ্টা ছেড়োনা, অযথা জিনিস নিয়ে সময় নষ্ট করো না, পরিশ্রম কর। সফলতা আসবেই।


source: https://www.techtunes.com.bd/featured/tune-id/64143

10
Latest Technology / মাইন্ড আপলোডিং
« on: May 09, 2018, 11:17:01 AM »
সময়ের পরিবর্তনের সাথে আমরা আমাদের ব্রেইনকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাথে তুলনা করে আসছি—আগে ঘড়ি, টেলিফোন, ক্যালকুলেটর এবং বর্তমানে কম্পিউটারের সাথে মানুষের ব্রেইনকে তুলনা করা হয়। যদিও আমাদের ব্রেইন আমাদের বানানো সকল প্রযুক্তি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে কাজ করে। আমরা মানুষেরা অনেক অসাধাদ্ধ সাধন করতে সক্ষম হয়েছি এবং বর্তমানে নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মতো প্রযুক্তির পেছনে ছুটছি আর ভবিষ্যতে পৌঁছে যাবো মহাকাশের আরো গভীরে।

কিন্তু আমাদের রয়েছে একটিই সীমাবদ্ধতা, বলতে পারেন সকল প্রাণীকূলের একটিই ফ্যাক্ট—”প্রত্যেকটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হয়”। অর্থাৎ আমরা মরে যাই, আর আমরা মৃত্যুকে আটকাতে সক্ষম নয়। মৃত্যুকে ঠেকানোর কথা বাদ দিয়ে চলুন বিষয়টিকে আরেকভাবে ভাবা যাক। আচ্ছা বলুন তো কেমন হয়, যদি আপনার ব্রেইনের সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করা যায় এবং সেটিকে কম্পিউটারে সংরক্ষিত করা যায় এবং পরে এই সমস্থ ডাটা কোন আর্টিফিশিয়াল বডিতে প্রবেশ করানো যায়? হ্যাঁ প্রসেসটা অনেকটা এই রকম “কোন কম্পিউটারে কোন পেনড্রাইভ থেকে সমস্থ ডাটা কপি করে রাখলেন এবং পরে প্রয়োজন অনুসারে সেই ডাটা গুলোকে সংরক্ষন বা অন্য কোন মিডিয়াতে ডাউনলোড করে দিলেন”। তবে মানুষের চেতনা কি কম্পিউটারে আপলোড করা সম্ভব? জি হ্যাঁ, এমনি কিছু ক্রেজি ধারণা নিয়ে মাইন্ড আপলোডিং (Mind Uploading) প্রযুক্তির উপর কাজ করা হচ্ছে। এমনকি স্যার স্টিফেন হকিং এর মতে ২০৪৫ সালের মধ্যেই আমরা এই প্রযুক্তি ব্যস্তবে দেখবে পাবো। তো চলুন অসাধারণ এই প্রযুক্তির সম্পর্কে সমস্থ কিছু জেনে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক।

মাইন্ড আপলোডিং | অমরত্ব
ব্রেইনচিরকাল বেঁচে থাকা—মূলত এটিই এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য, তাই এই প্রযুক্তিকে অমরত্ব প্রযুক্তিও (Immortality Technology) বলা হয়।আমাদের দেহে কোটি প্রকারের কোষ রয়েছে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই কোষ গুলো ধীরেধীরে নিজে নিজেই রিপেয়ার হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, ফলে আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা আর আগের মতো থাকে না এবং বিভিন্ন রোগ ব্যাধি শরীরে বাসা বেঁধে নেয় এবং ধীরেধীরে আমরা মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হই। এখন মৃত্যুকে এড়াতে প্রয়োজন আর্টিফিশিয়াল কোষ (যে কোষ কখনোই বৃদ্ধ হবে না) তৈরি করা এবং আমাদের আসল কোষ পরিবর্তন করে আর্টিফিশিয়াল কোষ শরীরে প্ল্যান্ট করা—যেটা আরো জটিল প্রযুক্তি।

তবে বিজ্ঞানীরা অমরত্ব লাভ করার আরেক মাধ্যম খুঁজে নিয়েছে, তা হলো আমাদের ব্রেইনের রহস্য ভেদ করে সমস্ত ব্রেইনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে কম্পিউটারে আপলোড করে রাখা এবং কোন বডিতে সেই ব্রেইন ডাটা ডাউনলোড করে দেওয়া। সায়েন্স অনুসারে আমরা প্রত্যেকটি প্রাণী আমাদের মস্তিস্কেই বেঁচে থাকি। আমাদের অনুভূতি, বুদ্ধিমত্তা, মন, চেতনা ইত্যাদি সবকিছুই আমাদের মস্তিষ্কেই বাসা বেঁধে থাকে। সুতরাং যদি কোনভাবে কারো মস্তিষ্ক কপি করে নেওয়া সম্ভব হয় (যদিও এটা শুনতে উদ্ভট লাগে) তবে সে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে—কেনোনা এতে তার চালচলন, বুদ্ধি, অনুভূতি সবই সংরক্ষিত থাকবে, যেমনটা একটি কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ ক্লোন করে আরেকটি সম্পূর্ণ আলাদা ফিজিক্যাল কম্পিউটারে লাগানোর পরেও মনে হয় আপনি একই কম্পিউটার ব্যবহার করছেন।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানিদের উদ্দেশ্য হলো অন্যকারো পারসোনালিটিকে একটি সম্পূর্ণ আলাদা বডিতে প্রবেশ করিয়ে তার ক্লোন হিসেবে তাকে বাচিয়ে রাখা—যে কিনা সম্পূর্ণ আগের ব্যক্তির হুবহু ভার্সনে কাজ করবে। কিন্তু বিরাট প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের ব্রেইনকে কি আমরা কম্পিউটারে আপলোড করতে পারবো, মানে মাইন্ড আপলোডিং বা মানুষের চেতনাকে ডিজিটাইজ করা কতটুকু সম্ভব? এই সমস্থ বিষয়টি সায়েন্স ফিকশন বা কোন হলিউড মুভির মতো মনে হলেও বর্তমানে এই প্রযুক্তিকে সফল করার লক্ষ্যে ২০৪৫ ইনিশিয়েটিভ নামে একটি প্রোজেক্ট চলছে এবং বিজ্ঞানীরা মনে করেন ২০৪৫ সালের মধ্যেই আমরা সফলভাবে অমরত্ব প্রযুক্তি হাসিল করে নেব। কিন্তু সর্বপ্রথম আমাদের কি করতে হবে? আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের ব্যাকআপ তৈরি করতে হবে! কিন্তু কীভাবে বা কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটি সম্ভব হবে? কেনোনা কম্পিউটার এবং আমাদের ব্রেইন সম্পূর্ণ আলাদা সিস্টেমে কাজ করে। তাহলে কীভাবে সম্ভব?

মানুষের মস্তিষ্ক এবং চেতনা
মস্তিষ্কমানুষের মস্তিষ্ক এবং এর কাজ করার ধরন সত্যিই এই দুনিয়ার মধ্যে অত্যন্ত আশ্চর্যকর জিনিষ গুলোর মধ্যে একটি। আমাদের মাথায় কোন ইউএসবি পোর্ট নেই যে, এতে আপনি ক্যাবল লাগাবেন এবং সকল ডাটা কম্পিউটারে ট্র্যান্সফার করে নেবেন। আবার আপনার মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারের কাজ করার সিস্টেম সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার মস্তিষ্ক অবশ্যই ডিজিটাল ফরম্যাটে কাজ করে না, তাই মস্তিস্কর সকল তথ্য কম্পিউটারের কাছে মিনিং লেস। তখনই কেবল কোন ডাটা কম্পিউটারে সংরক্ষিত রাখা সম্ভব যখন সেটিকে ডিজিটাইজ করা হবে। কিন্তু মস্তিষ্ককে কীভাবে ডিজিটাইজ করা সম্ভব? এটি কোন সার্কিট বা ইলেক্ট্রনিক চিপ নয়—বরং এতে রয়েছে অনুভূতি, চেতনা ইত্যাদি আর এই সমস্ত কিছু একত্রে জীবন্ত এবং গরম ব্যায়োলজিক্যাল একটি অঙ্গে বদ্ধ রয়েছে, যা আমাদের মাথার ঘিলু নামে পরিচিত।

আপনার দেহে মস্তিষ্ক এমন একটি উপাদান যা আপনার মানুষ হওয়ার অস্তিত্বকে বহন করছে এবং আপনাকে প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দিচ্ছে আপনি মানুষ এবং আপনি কি কি করতে পারেন। মানুষের মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের (তবে ৫০ বিলিয়ন থেকে ৫০০ বিলিয়ন পর্যন্ত থাকতে পারে) মতো অতিক্ষুদ্র কোষ থাকে—যাকে নিউরন বলা হয় এবং প্রত্যেকটি নিউরন একে অপরের সাথে কানেক্টেড রয়েছে। এই নিউরন গুলোর প্যাটার্ন এবং একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকার সিস্টেমের উপর নির্ভর করে আপনার কোন তথ্যকে প্রসেস করা। এই পদ্ধতির উপর আপনার মেধা, চেতনা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি সবকিছুই নির্ভর করে। কোন তথ্য প্রসেস হওয়ার সময় সেটি বিভিন্ন নিউরন হয়ে অতিক্রান্ত করে এবং আপনাকে একটি শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে—ঠিক যেভাবে নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজ করানো হয়।

মাইন্ড আপলোডিং কীভাবে কাজ করে?
আগেই বলেছি, আমাদের মস্তিষ্ক অনেক কমপ্লেক্স একটি জিনিষ এবং এর চাইতেও কমপ্লেক্স ব্যাপার হলো আমাদের ইমোশন। মানুষের ইমোশন কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিটেক্ট করা এতোটা সহজ ব্যাপার নয়। যদিও বর্তমানে বিভিন্নভাবে মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা এবং কম্পিউটারকে বোঝানোর অনেক প্রযুক্তি রয়েছে। একটি প্রযুক্তিতে মানুষের মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহের ধারার উপর নির্ভর করে একটি থ্রিডি ইমেজ তৈরি করা হয় এবং একটি কম্পিউটারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া আছে যে, সে এই থ্রিডি ইমেজ থেকে ডিটেক্ট করতে পারে যে মানুষটি এই মুহূর্তে ঠিক কোন জিনিসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মস্তিষ্কটি কি অনুভব করছে এটি ডিটেক্ট করা এতোটা সহজ কাজ নয়।

মাইন্ড আপলোডিং mind uploadingযাই হোক, কোন মস্তিষ্ক ডিজিটাইজ বা কপি করার জন্য প্রয়োজন পড়বে মস্তিষ্কটির সম্পূর্ণ ম্যাপ, যেটিকে ব্রেইন ম্যাপ বলতে পারেন। যেখানে বর্ণিত থাকবে প্রত্যেকটি নিউরন একে অপরের সাথে কীভাবে সম্পর্ক যুক্ত রয়েছে এবং কীভাবে কাজ করছে বা একে অপরের সাথে সিগন্যাল আদান প্রদান করছে। কিন্তু এখানে ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের মতো নিউরন রয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এবং তাত্ত্বিকভাবে দেখতে গেলে মানুষের ব্রেইন ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা কেঁচোর ব্রেইন ম্যাপ থেকে রোবট বানাতে সক্ষম হয়েছে। তারা কেঁচোর ব্রেইনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে কম্পিউটারে আপলোড করে সেই ডাটাকে রোবটে ডাউনলোড করে দিয়েছে, ফলে একটি রোবট সম্পূর্ণ কেঁচোর ব্রেইনে কাজ করছে। মস্তিষ্ক ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালের উপর কাজ করে আর এই সিগন্যাল গুলোকে একত্রিত করে ডিজিটাল ফরম্যাটে পরিণত করা সম্ভব—যাতে মাইন্ড আপলোডিং বা মস্তিষ্ককে কম্পিউটারে আপলোড করা যায়। কেঁচোর মস্তিষ্কে ৩০২টি নিউরন থাকে এবং প্রত্যেকের মধ্যে ৭,০০০ নিউরন ইন্টারকানেকশন থাকে। বিজ্ঞানীরা এই নিউরন গুলোর একটি নিখুদ মডেল তৈরি করে এবং এর নিউরাল নেটওয়ার্ক গঠনের উপর ভিত্তি করে একটি রোবট বানাতে সক্ষম হন। “the Lego worm robot” লিখে গুগল করলে এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তাত্ত্বিকভাবে, এই একই প্রসেস ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্কও ম্যাপ করা এবং সেখান থেকে ডাটা ডিজিটাইজ করে কম্পিউটারে আপলোড করা সম্ভব। কিন্তু মানুষের মস্তিকের ক্ষেত্রে আরো অধিক আঁকার নিয়ে কাজ করতে হবে—১০০ বিলিয়ন নিউরন এবং এদের মধ্যেকার ১০০ ট্রিলিয়ন কানেকশন। তবে এতো সুবিশাল পরিমান নিয়ে কাজ করাটা সত্যিই অনেক কমপ্লেক্স।

একবার ব্রেইন ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব হয়ে গেলে প্রয়োজন পড়বে আরেকটি হুবহু আর্টিফিশিয়াল ব্রেইন তৈরি করার। যেখানে ১০০ বিলিয়ন আর্টিফিশিয়াল নিউরন তৈরি করতে হবে এবং এক একটির সাথে কোটির কানেকশন নিশ্চিত করতে হবে। তারপরে আমাদের জানতে হবে যে, কীভাবে মস্তিষ্কে নতুন স্মৃতি রাইট হয় এবং কিভাবে কোন মেমোরিকে ইরেজ বা ডিলিট করা যেতে পারে। এর পরে আমরা মস্তিষ্কে ফলস (False) মেমোরি রাইট করতে পারবো।
তো এখন ধরুন আমরা মস্তিষ্ক রীড এবং রাইট করার ক্ষমতা পেয়ে গেলাম, তাহলে নেক্সট স্টেপ কি হবে? এখন কাজ হলো জাস্ট একটি ব্রেইন থেকে আরেকটি ব্রেইনে সমস্ত ডাটা গুলোকে কপি করা। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক বা যেকোনো মস্তিষ্ক আর কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ এক জিনিষ নয়। বিজ্ঞানিদের মতে আমাদের মস্তিকের সমস্ত মেমোরি প্রায় ২.৬ মিলিয়ন গিগাবাইটের সমান। এতো বিশাল পরিমানের ডাটা ট্র্যান্সফার করাও এক বিশাল মাথা ব্যাথা। ইউএসবি ৩.০ কানেকশনে এই পরিমান ডাটা কপি হতে লাগাতার ৮০ দিনের উপর প্রয়োজন এবং থান্ডারবোল্ড ৩ কানেকশনে সপ্তাহর উপর সময় লেগে যাবে। আবার শুধু ডাটা প্ল্যান্ট করে দিলেই হবে না, মস্তিষ্কের প্রপার ম্যাপ লাগবে, যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি নিউরন দ্বারা সেই ডাটা গুলোকে প্রসেস করা সম্ভব হয়।

সুবিধাএতক্ষণে নিশ্চয় আন্দাজ করতে পেড়েছেন যে এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে এবং আমরা এই প্রযুক্তি থেকে আর কতটা দূরে। এবার চলুন ভেবে দেখা যাক সেই দুনিয়ার কথা বা ২০৫০ সালের কথা যেখানে আমাদের কাছে মাইন্ড আপলোডিং প্রযুক্তি বা ইমর্টালিটি প্রযুক্তি ব্যাস্তবে থাকবে। এথেকে আমরা কি সুবিধা গুলো পাবো? এই প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করা যতোটা ক্রেজি এই প্রযুক্তি ব্যস্তবে আসার পরে কি কি হতে পারে সেটা কল্পনা করা আরো দ্বিগুণ ক্রেজি। একে তো আপনার পারসোনালিটি কখনোই মরবে না, অর্থাৎ আপনার ব্যায়োলজিক্যাল বডি মরে গেলেও আপনার আর্টিফিশিয়াল বডি বেঁচে থাকবে অমর হয়ে। সেখানে হুবহু আপনার ফিলিংস থাকবে, আপনার বুদ্ধিমত্তা থাকবে এবং আপনার সকল চেতনা থাকবে। হাজার বছরের পরের সভ্যতাকেও আপনি দেখতে পারবেন। হতে পারে অন্য মস্তিষ্ক থেকে ডাটা কপি করে আপনার ইন্টেলিজেন্স লেভেলকে আরো বাড়ানো যেতে পারে। আপনার মস্তিস্ক থেকে সকল অস্থিরতা দূর করে আপনাকে হ্যাপি লাইফ প্রদান করা যেতে পারে। এতো শুধু শুরুর দিকের কল্পনা, পৃথিবীর উপর যখন এর প্রভাব নিয়ে ভাববেন সেটা এক অফুরন্ত কল্পনা হবে যেটা এই ছোট আর্টিকেলে বর্ণনা করা সম্ভব হবে না।

শেষ কথামাইন্ড আপলোডিং প্রযুক্তির উপর অনেক ইউনিভার্সিটি, অনেক বিজ্ঞানী, দেশের সরকার ইত্যাদি কাজ করছে এবং অলরেডি এই প্রজেক্টের উপর কোটি ডলার খরচ হয়ে গেছে। বিজ্ঞানিদের আশানুরূপ ফল পাওয়া গেলে সৌভাগ্যবশত আপনি আমি বেঁচে থাকতেই এই প্রযুক্তি দেখতে পাব। তো আপনার কি মনে হয়, ২০৪৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তিকে ব্যস্তব রুপ প্রদান করা সম্ভব হবে? আপনি যদি অমর হোন তো কি করবেন? আজকের এই ক্রেজি আর্টিকেলের উপর আপনাদের সকলের ক্রেজি সব টিউমেন্ট কামনা করছি। নিচের টিউমেন্ট সেকশনে যান এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনার মতামত আমাদের সকলের সাথে বর্ণিত করুন।

source: https://www.techtunes.com.bd/featured/tune-id/476278

Pages: [1]