Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - tnasrin

Pages: 1 [2] 3
16

আমাদের প্রতিদিনের কাজের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বাচ্চাদের পড়াতে বসানো। বাচ্চারা বড় হলে কেবল তাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেই  দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না, বরং স্কুলের পড়াগুলো ঠিক মতো তৈরি করতে বাচ্চাকে সাহায্য করা ও তার পড়াশোনার প্রতি সঠিক মনোযোগ স্থাপনে সাহায্য করতে একজন অভিভাবক হিসেবে মায়ের দায়িত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

শুধু যে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মাফিক আপনার বাচ্চাকে পড়াতে বসালেই আপনার বাচ্চা ঠিকমতো এমনটা নয়। আপনাকেও এমন কোন ভালো উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে আপনার বাচ্চা পড়তে বসতে আগ্রহী হয়ে ওঠে ও তার পড়ার সময়টুকু বাচ্চা সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করে।

আজ এই লিখাতে জানাবো বাচ্চাদের পড়াতে বসিয়ে মায়েরা মনে রাখবেন যে বিষয়গুলো।
পড়াতে বসানোর একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন

আপনার বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জন্য প্রথমে যা করতে হবে তা হল একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করা। তবে মনে রাখবেন টাইম টেবিলটা হবে আপনার শিশু কখন পড়তে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে তার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি আপনার সময় অনুযায়ী আপনার বাচ্চার পড়ার সময় বাছাই করেন এতে  আপনার বাচ্চার পড়ার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকবে।

বাচ্চাকে পড়তে উৎসাহী করতে প্রশংসা করুন

আপনার বাচ্চার পড়ার গতি ও মনোযোগ উভয়ই বাড়াতে তাকে তার পড়ার ভালো ফলাফলের জন্য প্রশংসা করুন। সে কোন বিষয়ে ভালো অগ্রগতি দেখালে  হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করুন।

বাচ্চার সাথে সাথে আপনিও পড়ুন

বাচ্চারা একা একা পড়ার থেকে সাথী নিয়ে পড়তে বেশী পছন্দ করে। আর তাই বাচ্চাকে পড়াতে বসিয়ে আপনি চুপচাপ না থেকে বাচ্চার সাথে সাথে পড়ুন। এতে আপনার বাচ্চা দ্রুত পড়া আয়ত্ব করতে পারবে।
পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চার সাথে খেলুন

পড়া যাতে একঘেঁয়েমি কোন ব্যাপারে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে বাচ্চার সাথে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলায় অংশগ্রহণ করুন। হতে পারে সেটা পড়া বিষয়কই কোন খেলা, যার মাধ্যমে বাচ্চা খেলতেও পারবে আবার সাথে পড়াও হবে।

বাচ্চাকে বার বার প্রশ্ন করুন

বাচ্চার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পড়ার ফাঁকে তাকে জানা বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করুন। আর আপনার বাচ্চা যদি প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দেয় তাহলে তার প্রশ্নের উত্তরের বিপরীতে ভালোবাসা আর আদর দিন।

বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জায়গা বিস্তৃত করুন

আপনার বাচ্চার পড়ার জায়গা শুধু একটি নির্দিষ্ট ঘরে না রেখে একটু বিস্তৃত করুন। যেমন টেবিল চেয়ারে একটানা না পড়িয়ে বিছানায় বসাতে পারেন, মেঝেতে বসাতে পারেন কিংবা বারান্দায়। এতে স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চার পড়ার একঘেঁয়েমি কেটে যাবে।
পড়ানো শেষে বাচ্চাকে খেতে দিন তার পছন্দের কোন খাবার

প্রতিদিনের পড়ানোর শেষে সারপ্রাইজ হিসেবে আপনার সোনামণিকে দিতে পারেন তার পছন্দের কোন খাবার। দেখবেন এই উপায়ে আপনার বাচ্চার পড়াও হবে সাথে খাওয়াও হবে।

বাচ্চাকে সময় পেলে তার ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষণীয় ভিডিও গেম দেখান, যেখানে বাচ্চার মজা করে পড়া লেখা করছে, কবিতা পাঠ করছে, টিচাররা বাচ্চাদের সাথে মজা করছে তাদের অনেক কিছু শিখাচ্ছে এমন ভিডিও দেখলে বাচ্চারা খুব আগ্রহ বোধ করে তাদের পড়ালেখা ঠিক মতো করতে।

17
ওষুধের দোকান থেকে কিনে ক্যালসিয়াম বড়ি খান অনেকেই। একটু হাত-পা ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ বা বয়স হয়েছে বলেই ক্যালসিয়াম খেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কেননা আমাদের দৈনন্দিন নানা খাবারেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। প্রতিদিন এ রকম খাবার থেকেই আমরা ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারি।
ক্যালসিয়াম নামের খনিজ উপাদানটি আমাদের হাড় ও দাঁত শক্ত করে, ক্ষয় রোধ করে। স্নায়ু, হৃৎস্পন্দন, মাংসপেশির কাজেও ক্যালসিয়াম দরকার হয়। এটির অভাবে হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপোরাসিস রোগ হতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারগুলো কী তা জেনে নেওয়া উচিত।
দুধ, দই, পনির, কাঁচা বাদাম, সয়াবিন, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, কালো ও সবুজ কচুশাক, শজনে পাতা, পুদিনা পাতা, সরিষাশাক, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিংড়ি শুঁটকি, ডুমুর ইত্যাদি হলো উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার। ১০০ গ্রাম দুধে ক্যালসিয়াম আছে ৯৫০ মিলিগ্রাম, একই পরিমাণ পাবদা মাছে ৩১০ মিলিগ্রাম, সামুদ্রিক মাছে ৩৭২ মিলিগ্রাম, শজনে পাতায় ৪৪০ মিলিগ্রাম, ট্যাংরা মাছে ২৭০ মিলিগ্রাম।
তবে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয় কিছু জিনিস, যেগুলো ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো। যেমন উচ্চমাত্রার চর্বি ও অক্সালিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার। চকলেট, পালংশাক, কার্বোনেটযুক্ত পানীয় ইত্যাদিও ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। কিন্তু ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে ভিটামিন এ, সি এবং ডি। আয়রন ও ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবারও ক্যালসিয়ামের কাজে সাহায্য করে।

18
Nutrition and Food Engineering / লবণ কতটা খাব?
« on: July 18, 2016, 11:50:05 AM »
আমরা যারা ভোজনরসিক, তাদের অনেকেই খাওয়ার টেবিলে বসে ভাবি, আজ না হয় পাতে একটু লবণ নিয়েই দেখি না, কী আর হবে! পাতে লবণ নেওয়া ঠিক কি না, এটা অনেকেরই ভাবনার বিষয়। আসুন, দেখি পাতে লবণ আসলেই কতটা বিপদের।
১. লবণ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। এতে সোডিয়াম থাকে। যাঁদের রক্তচাপ বেশি, তাঁদের কম সোডিয়াম বা লবণ খেতে বলা হয়। কারণ সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়। কিন্তু এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে খুব কম লবণ খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় এটা দেখা গেছে।
২. ১ লাখ ৩৩ হাজার ১১৮ ব্যক্তির ওপর চার বছর ধরে পরিচালিত এক পর্যবেক্ষণমূলক জরিপের ফলাফল দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় বেরিয়েছে। পরীক্ষায় নিয়মিত রক্তচাপ ও ইউরিনে লবণের পরিমাণ দেখা হয়। এঁদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৫৫৯ জন ছিলেন উচ্চ রক্তচাপমুক্ত। এই গ্রুপের যাঁরা দিনে সাত গ্রামেরও বেশি সোডিয়াম, অর্থাৎ প্রায় তিন চা-চামচের বেশি লবণ খেয়েছেন, তাঁদের অসুখ-বিসুখ বা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়েনি। কিন্তু যাঁরা তিন গ্রামেরও কম সোডিয়াম খেয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি বা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৬ শতাংশ বেড়েছে (যাঁরা দিনে চার-পাঁচ গ্রাম সোডিয়াম খেয়েছেন তাঁদের তুলনায়)।

৩. যাঁদের রক্তচাপ বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রেও হিসাবটা প্রায় একই ধরনের। যাঁরা দিনে সাত গ্রামের বেশি সোডিয়াম খেয়েছেন, তাঁদের ঝুঁকি বেড়েছে ২৩ শতাংশ, কিন্তু যাঁরা খেয়েছেন দিনে তিন গ্রামেরও কম সোডিয়াম, তাঁদের ঝুঁকি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ (যাঁরা দিনে চার-পাঁচ গ্রাম সোডিয়াম খেয়েছেন তাঁদের তুলনায়)।

৪. পরীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, কম লবণ রক্তচাপ কমায় বটে, কিন্তু খুব কম খেলে আবার ঝুঁকি বাড়ে।

৫. বতর্মান নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষ দিনে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৩ গ্রাম সোডিয়াম খেতে পারেন; যা এক চা-চামচ লবণে রয়েছে। বয়স বেশি হলে আরেকটু কম লবণ খেতে হবে।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ২৫ মে ২০১৬

19
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি কি পান করেন? সাধারণত বেশির ভাগ মানুষ দুধ পান করে থাকেন। আবার কিছু মানুষ চা পান করেন। এমন কিছু পানীয় আছে যা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করলে আপনার পেটের মেদ কমিয়ে দিবে অনেকখানি। পেটের মেদ নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। ডায়েট, ব্যায়াম কত কিছুই না করা হয়ে থাকে পেটের মেদ কমানোর জন্য। নিয়মিত এই পানীয় পান করার ফলে দ্রুত পেটের মেদ কমে যাবে। এই পানীয়গুলো পেটের মেদ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করে থাকে।
১। শসা, আদা, লেবুর ডিটক্স

১/৩ কাপ পানি
১/২ টা লেবু
১ চা চামচ আদা কুচি
১টি শসা
১ গুচ্ছ পার্সলে পাতা
পানি, শসা, আদা কুচি, পার্সলে পাতা দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। খুব বেশি পাতলা যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয় পান করুন। ১০ দিনের মধ্যে পেটের মেদ অনেকখানি কমে যাবে।

এই পানীয়টি দেহের টক্সিন দূর করে। এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। দেহের অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দিয়ে থাকে।
২। নাশপাতি ডিটক্স

১টি নাশপাতি
একটি লেবু
একটি ছোট আকৃতির শসা
এক গুচ্ছ পালং শাক

নাশপাতি, লেবুর রস, শসা এবং পালং শাক মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেণ্ড করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এটি পান করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার পেটের মেদ কমে যাবে। এটি পেটের মেদ কমানোর পাশাপাশি দেহের সার্বিক ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই পানীয়টি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ক্ষুধা দমন করে দেয়। পালং শাক শরীরের প্রদাহ দূর করে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে দেয়।

20
সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি পান করা জরুরি। এটি শরীরের কার্যক্রমকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। খাবার না খেয়ে হয়তো ৪০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়, তবে পানি ছাড়া বাঁচা অসম্ভব!

ঘুমের আগে পানি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। পানি ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে, ওজন কমায়। এ ছাড়া ঘুমের আগে পানি পান করার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। জীবনযাত্রাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন।

শরীরকে আর্দ্র রাখে

পানি শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। সারাদিন তো পানি খাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে ঘুমের সময় তো আর পানি খাওয়া যায় না। তাই ঘুমের আগে পানি খেলে শরীর ভালোভাবে আর্দ্র থাকে। এটি শরীরকে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে।

বিষাক্ত পদার্থ দূর করে

শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পানি পান করা জরুরি। আমাদের শরীর বিভিন্নভাবে বিষাক্ত পদার্থ গ্রহণ করে থাকে। এতে বিভিন্ন রোগ হয়। ঘুমানোর আগে পানি পান করলে শরীর থেকে এসব বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। 

ভালো ঘুমের জন্য

ঘুমের আগে পানি খেলে ঘুম ভালো হয়। পানি শরীরের ভিটামিন, মিনারেল ও পুষ্টির ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ঘুমের সময় যেহেতু কোনো কায়িক পরিশ্রম করতে হয় না, তাই পানি এসব পুষ্টিকে শরীরের সব অংশে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।

পেশির টান কমে

ঘুমের আগে পানি পান করা পেশি এবং গাঁটকে শিথীল রাখতে সাহায্য করে। এতে পেশিতে টান বা ক্রাম্প হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। তা ছাড়া পরের দিনের জন্য আপনার পেশি থাকবে পুরোপুরি ফিট।

ওজন কমায়

পানি একটি জিরো ক্যালোরির খাবার। ঘুমের আগে ঠান্ডা পানি পান ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আপনি যদি ঠান্ডা পানি পান করেন, তাহলে শরীর এই পানিকে গরম করতে বেশ পরিশ্রম করে, মানে ক্যালোরি বেশি পোড়ে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে এই ওজন কমানোর পরিমাণ বেশ নগণ্যই হয়।

21
অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে, আর নিয়মিত ব্যায়াম না করলেই কি শুধু ওজন বাড়ে? মোটেই তা নয়। রান্নার সময়ও আমরা কিছু ভুল করি, যেগুলো আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রান্নার সময় কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন নিজের ওজন।

১. বেশি চিনি 
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা লবণ ও চিনি যোগ করি। তবে এগুলো বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে খাবারে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যায়। আর যেহেতু এগুলো দিলে স্বাদ বাড়ে তাই খাওয়াও বেশি হয়। এতে ওজন বাড়ে। তাই রান্নার সময় এগুলো বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। 

২. বেশি তেল
অনেকেই খুব বেশি তেল দিয়ে খাবার রান্না করতে ভালোবাসেন। এই অতিরিক্ত তেল শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি ওজন বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। তাই রান্নার সময় অতিরিক্ত তেল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

৩. ভুল তেল
অনেকেই এক ধরনের তেল দিয়ে সব রকম রান্না করেন। এটা ঠিক নয়। এতে অপ্রয়োজনে অনেক তেল খাওয়া হয়। এতে ওজন বাড়ে। সালাদ ড্রেসিংয়ে অলিভ ওয়েল এবং ওয়াল নাট তেল ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া গ্রিল করতে সয়াবিন তেল এড়িয়ে সূর্যমুখি তেল বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। 

৪. রান্নার সূত্র মেনে চলা
অনেকে রান্নার প্রণালি বা রেসিপি খুব কঠোরভাবে মেনে চলেন। আর এতেই আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ধরুন কোনো খাবারে ক্রিম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে যদি ক্রিমের বদলে দই ব্যবহার করেন তাহলেই কিন্তু খাবারটি অনেক স্বাস্থ্যকর হয়, মানে ওজন বাড়া থেকে রেহাই পাবেন। আর এটা তো সবাই জানেন ক্রিম ব্যবহার করলে ওজন বাড়ে। তাই নিজে থেকেই দেখুন তো কী কী বাদ দিলে বা যোগ করলে স্বাস্থ্যকর হয় রান্নাটি?   



22
প্রবাদে রয়েছে ‘নো পেইন, নো গেইন’। অর্থাৎ ব্যথা ছাড়া জেতা যায় না। তবে আমি এই কথাকে তেমন পছন্দ করি না। সে যাই হোক, ব্যথা কিন্তু জীবনেরই অংশ। সেটা শরীর ব্যথা হোক, আর মনের ব্যথা। 

ব্যথা হলে ওষুধ খেতে হবে, ম্যাসাজ করতে হবে এবং চিকিৎসক বললে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তবে কিছু ঘরোয়া উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যথাকে দূর করতে বেশ কার্যকর। এগুলো ব্যবহারে ব্যথা একেবারই দূর হয়ে যাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা কেউই দিচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, উপশম তো একটু হবেই। আর এগুলো আপনি পেয়ে যাবেন হয়তো রান্না ঘরে বা বাগানে।

আর জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই আমাদের দিয়েছে ব্যথা উপশমের এই ঘরোয়া উপাদানগুলোর সন্ধান।

আদা ও হলুদ

এই দুটো জিনিসের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এগুলো আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেরও বেশ ভালো ঔষধি উপাদান। হলুদের মধ্যে রয়েছে পেশি ও গাঁট ব্যথা উপশম করার ক্ষমতা। হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ রোধ করে। কখনো কখনো রক্ত জমাট বাঁধাও প্রতিরোধ করে।

রসুন

রসুনে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট; এটি প্রদাহরোধী উপাদানও বটে। কাঁচা রসুন খেলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা অনেকটা কমে এবং অন্যান্য ব্যথাও উপশম হয়।

লবঙ্গ

দাঁতের ব্যথা উপশমে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। লবঙ্গ তেলের মধ্যে তুলা ভেজান। এই তুলাকে দাঁতে লাগান। এ ছাড়া লবঙ্গ চিবাতেও পারেন। এতে ব্যথা অনেকটা কমবে।

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা ব্যথা উপশমের জন্য একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান। এটি মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা, গাঁট ব্যথা কমাতে কাজ করে। সামান্য পুদিনার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। দেখুন জাদু!

23

কোনটা খাবেন?
নুডলস নাকি পাস্তা?
 
.সকাল কি বিকেল, নাশতায় নুডলস কিংবা পাস্তার কদর কিন্তু একই। প্রস্তুত প্রণালিও কাছাকাছি। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ জানালেন, নুডলস ও পাস্তা—দুটিই উচ্চ প্রোটিন এবং খাদ্য আঁশসমৃদ্ধ খাবার। না ভেজে বরং সেদ্ধ করে খেলে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক নুডলসের চেয়ে তাই সেদ্ধ করা নুডলস খাওয়া বেশি ভালো। আরও ভালো হয় যদি স্যুপ হিসেবে খাওয়া যায়। তবে এ দুটি খাবারের গুণাগুণ সাধারণত রান্নার ওপর নির্ভর করে। যেমন পাস্তা যদি মাখনের সঙ্গে গ্রেভি করে তৈরি করা হয়, তবে তাতে ক্যালরির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়। অন্যদিকে মাংস ও সবজির সঙ্গে তৈরি করলে পুষ্টিগুণ হবে ভিন্ন ধরনের। ছোটদের জন্য তৈরি করা হলে কিংবা যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিয়াক সমস্যা আছে, তাদের সঙ্গে দেওয়া মসলা পরিহার করতে হবে বলে জানালেন শামসুন্নাহার নাহিদ। এখানে প্রতি ১০০ গ্রাম নুডলস ও পাস্তার গুণাগুণের একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো। সিদ্ধান্ত আপনার।
.খাদ্য উপাদান নুডলস পাস্তা
ক্যালরি ১৩৮ ১৩১
চর্বি ২.১ গ্রাম ১.১ গ্রাম
কোলেস্টেরল ২৯ মিলিগ্রাম ৩৩ মিলিগ্রাম
শর্করা ২৫ গ্রাম ২৫ গ্রাম
প্রোটিন ৪.৫ গ্রাম ৫ গ্রাম
সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম ৬ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৩৮ মিলিগ্রাম ২৪ মিলিগ্রাম
গ্রন্থনা: মেহেদী হাসান
সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ওয়েবসাইট

24
বর্তমানে স্থুলতা বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। স্থূলতার জন্য চারপাশের দূষিত পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শৃঙ্খলাবিহীন জীবনযাপন দায়ী।

পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর জন্য যদি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে না পারেন, তাহলে কিছু পানীয় পান করে দেখতে পারেন। যা আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।

পানি:

ওজন কমানোর জন্য পানি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। যত বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন, ততই আপনার ওজন কমবে। সাধারণ পানীয়কে স্বাস্থ্যকর করতে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে করতে পারেন। ব্যায়াম শুরুর আগে লেবুর শরবত পান করতে পারেন।এটি আপনার চর্বি ঝরাতে সাহায্য করবে।

শাকসবজির স্যুপ:

প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তরল খাবার। আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করবে। রাতের খাবারের আগে স্যুপ খেলে শরীরে কম পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণে সহায়তা করে। সবুজ চা: সবুজ চা ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন দুই কাপ সবুজ চা খান। তাছাড়া, সবুজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

শাকসবজির জুস:

স্যুপের মতো শাকসবজির জুসও উপকারী। গ্রীষ্মকালে শাকসবজির জুস এবং শীতকালে স্যুপ খেতে পারেন।

কালো কফি:

আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করবে কালো কফি। এটি আপনার দ্রুত ওজন কমাবে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে। কালো কফির ক্যাফেইন আপনি বিশ্রামে থাকলেও ক্যালোরি কমাবে। খালি পেটে কফি পান করলে আপনার বিপাক প্রক্রিয়ার ক্ষতি সাধন করতে পারে।

পাস্তুরিত দুধ:

চর্বিহীন প্রোটিন, ভিটামিন-ডি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে পাস্তুরিত দুধে। ক্যালোরিবিহীন ভিটামিন এবং হাড় শক্ত করতে এই দুধ পান করতে পারেন।

25
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এ ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং তাতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ লোক আক্রান্ত হতে পারে। এ লেখায় রয়েছে জিকা ভাইরাস নিয়ে কয়েকটি তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি।

১. জিকা ভাইরাস কী? পশ্চিম গোলার্ধের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় একটি ভাইরাস জিকা। যা অনেকটা ডেঙ্গুর মতো হলেও তার চেয়ে হালকা প্রভাব ফেলে দেহে। উগান্ডার বনে ১৯৪৭ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। তবে আফ্রিকা ও এশিয়ায় প্রায়ই এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।

২. কিভাবে ভাইরাসটি ছড়ায়? এডিস মশার মাধ্যমে দ্রুত এ ভাইরাসটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে এমন কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে। এরপর ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে।

৩. ভাইরাসটি শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি করে কিভাবে? গর্ভবতী নারীরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করে এবং শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণেই জিকা ভাইরাস বিশ্বের মনোযোগ টেনেছে। এটির মূল কারণ মাইক্রোসেফালি নামে একটি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার ও ভাইরাসটির মধ্যে যোগসূত্র। এর কারণে সদ্যজাত শিশুদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক আকারের চেয়ে ছোট হয় । এছাড়া এর কারণে শিশুদের মাঝে বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং কখনো কখনো মৃত্যুও হতে পারে।

৪. বিশ্বের কোন কোন দেশে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি বিপজ্জনক? বাংলাদেশে এ রোগটি আক্রমণের সম্ভাবনা কতখানি? বিশ্বের প্রায় দুই ডজন দেশে এ ভাইরাসটির আশঙ্কা রয়েছে। এসব দেশের মধ্যে ক্যারিবিয়ান, মধ্র আমেরিকান ও দক্ষিণ আমেরিকান দেশ উল্লেখযোগ্য। এল সালভাদোর, কলম্বিয়া, হন্ডুরাস, ইকুয়েডরের মত দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি ২০১৮ সাল পর্যন্ত মহিলাদের সন্তানধারণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। তারা জানিয়েছে জিকা ভাইরাস ‘বিস্ফোরণের মত ছড়িয়ে পড়ছে।’ ভারতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে হু। এ কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশেও আক্রমণ হতে পারে জিকা ভাইরাসের।

৫. কিভাবে বুঝব জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি কি না? সংক্রামিত ব্যক্তিদের শরীরে ভাইরাসটির সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, র‌্যাশ এবং চোখ গোলাপি রঙ ধারণ করা। প্রকৃতপক্ষে শতকরা ৮০ শতাংশ সংক্রামিত ব্যক্তিই আঁচ করতে পারেন না যে তাদের শরীরে ভাইরাসটি রয়েছে। এসব কারণে ভাইরাসটি নির্ণয় করা কঠিন আর এ সুযোগে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আপনার রোগটি হয়েছে বলে সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. আমি গর্ভবতী এবং জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করেছি। এখন কী করা উচিত? গর্ভবতী নারী এবং জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করলে আপনার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষাও করতে হবে। চিকিৎসক আপনার দেহের লক্ষণ মিলিয়ে জিকা ভাইরাস হয়েছে কি না, তা জানাবেন।

৭. গর্ভাবস্থার কোন পর্যায়ে জিকা ভাইরাস বেশি বিপজ্জনক? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যদি জিকা ভাইরাস আক্রমণ করে তাহলে তা বেশি বিপজ্জনক। এ সময় ভাইরাসটি গর্ভস্থ শিশুর দেহে আক্রমণ করে এবং শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৮. জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে শিশুরও পরীক্ষা করতে হবে কি? জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে শিশুরও পরীক্ষা করতে হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মায়ের যদি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকে কিংবা অন্য কোনোভাবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে শুধু তা হলেই শিশুর পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

৯. জিকা ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা আছে কি? না। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এ রোগটি সাধারণ মানুষের তেমন ক্ষতি করে না। কয়েক দিন বিশ্রাম করলেই তা সেরে যায়। শুধু গর্ভবতী নারীদের আক্রান্ত হলেই শিশুর মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

১০. এর কী কোনো টিকা রয়েছে? না। এখনও জিকা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এটি বানানোর চেষ্টা করছেন গবেষকরা। এটি হাতে আসতে এক দশক সময় লাগতে পারে। ১১. আগেই ভাইরাসটি শনাক্ত হলেও কেন তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? অতীতে জিকা ভাইরাস আক্রান্তদের তেমন কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পাওয়া যায়নি। তাই ভাইরাসটির প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করা হয়নি। এছাড়া ভাইরাসটিকে তেমন ক্ষতিকর মনে না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে টিকাও আবিষ্কৃত হয়নি। বর্তমানে এ ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক জানতে পারার পর এ ভাইরাসটি প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

26


চা বলতে সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরণের ঊষ্ণ পানীয়কে বোঝায়, যা চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরী করা হয়। দৈনন্দিন জীবনে চা পান করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ঘরে বা বাইরে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কাপ চা তৈরি হয়। ফেলে দেয়া হয় মণ কে মণ চা পাতা।

কিন্তু এই অকাজের চা পাতাও কিন্তু অনেক কাজে ব্যবহার করা যায়। ঘরে যদি টি ব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চা বানানোর পর সেই টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে রেখে দিন। আসুন জেনে নিন এই রেখে দেওয়া চা পাতা দিয়ে আপনি কি কি করতে পারেন:

খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে:
রান্না খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে চা পাতা একটা চমৎকার উপাদান। ওভেনে মুরগী বা গরু রোস্ট করতে চাইলে মেরিনেশনে দিন চমৎকার সুগন্ধ যুক্ত কোনও চায়ের লিকার। আপনার পছন্দ মতন যে কোনও চায়ের ব্যবহার চলতে পারে। এছাড়াও জেসমিন টি আস্তই দিতে পারেন মেরিনেশনে। মাংসের স্বাদ বাড়াতে চা খুব চমৎকার একটা উপাদান।

পরিষ্কারক হিসেবে:
পরিষ্কার করতে চান ঘোলাটে বা ময়লা আয়না? একটা ব্যবহার হয়ে যাওয়া টি ব্যাগ ভালো করে ঘষুন আয়নায়। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কাঠের আসবাব থেকে ফাঙ্গাসের আক্রমণ কমাতে চায়ের লিকারের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে:
চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শ্যাম্পুর মতো করে গ্রিন টি লাগাতে পারেন চুলে। অথবা ব্ল্যাক টি। গ্রিন টি চুলের বৃদ্ধি ঘটাবে আর ব্ল্যাক টি চুল পড়ে যাওয়া ঠেকাবে। চা মাখানোর ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোমতো ধুয়ে ফেলুন।

পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে:
যাদের পায়ে মোজা পরলে দুর্গন্ধ তৈরি হয় তারা চা পাতার সাহায্য নিতে পারেন। এক হাড়ি পানিতে এক চা চামচ ব্ল্যাক টি দিয়ে ভালো মতো সেদ্ধ করুন। তারপর সেই পানি দিয়ে পা মুছে নিন। দূর্গন্ধ দৌড়ে পালাবে।

গাছপালার পরিচর্যায়:
গাছপালায় অনেক পোকামাকড়ের সমস্যা? ব্যবহৃত চা পাতা ধুয়ে গাছের গোঁড়ায় দিয়ে রাখুন। পোকামাকড় দূরে থাকবে, আবার গাছের সার হিসাবেও কাজ করবে।-সূত্র: লাইফ হ্যাকারি।

27
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নিয়ে বানানো হলিউড চলচ্চিত্র দ্য মার্সিয়ান-এ এক নভোচারীকে মঙ্গল গ্রহে আলু চাষ করতে দেখা যায়। বাস্তবে এখনো মঙ্গল গ্রহে সম্ভব না হলেও মহাকাশে গাছ লাগিয়ে ফুল ফুটিয়েছেন নাসার নভোচারীরা। খবর টেলিগ্রাফের।
মহাকাশে স্থাপন করা গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ স্থাপনা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) অবস্থানরত নভোচারী স্কট কেলি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে রোববার একটি জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করেছেন। কেলি বলেছেন, এটিই মহাকাশে প্রথম ফোটা ফুল।
২০১৪ সালে আইএসএসে পরীক্ষামূলকভাবে তৃণলতা লাগানোর প্রকল্প চালু করা হয়। প্রকল্পটির প্রধান গিয়োইয়া মাসা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি তাঁদের জন্য বড় ধরনের সাফল্য। এর মাধ্যমে পৃথিবী ও মহাশূন্যে তৃণলতার বেড়ে ওঠার মধ্যে কী ধরনের ফারাক তা বোঝা অনেক সহজ হবে। ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য তা আরও সহায়ক হবে। নাসা জানিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় আইএসএসে লেটুস পাতা, জিনিয়াসহ বেশ কয়েক প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করা হচ্ছে এবং এগুলোর বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

28
আমাদের দেহকে পরিচালনার জন্য হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই জানি। যত সময় যাচ্ছে, ততই পৃথিবীর আবহাওয়া ও পরিবেশ আমাদের বসবাসের জন্য প্রতিকূল হয়ে উঠছে। এর মধ্যেই আমাদের নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে।

আমাদের প্রত্যেকেরই দরকার আমাদের হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় যতটা নিয়ম মেনে চলা সম্ভব মেনে চলা। আমরা অনেকেই জানি না যে নিয়মিত জীবন যাপনের রুটিনে কিছু কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যোগ করলেই আমাদের হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মক্ষম রাখতে পারি। আসুন দেখে নেই ৭টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যার মাধ্যমে আমাদের হৃৎপিণ্ডকে রোগমুক্ত রাখতে পারব।

নিয়মিত হাঁটুন:
আমাদের ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেকেই হাঁটার সময় পাই না অথবা আলসেমি করে হাঁটতে যাই না। কিন্তু আমরা জানি না এতে করে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে চলেছি প্রতিদিন। হাঁটার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। কারণ হাঁটলে পুরো দেহে রক্ত ও অক্সিজেনের সঞ্চালন ভালো মত হয়। ডাক্তাররা সবাইকে দিনে অন্তত ২০-৩০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সকালে কিংবা বিকেলে হাঁটতে পারেন। যদি হাঁটার সময় না পান তবে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পরে খানিকটা হেঁটে নিন। অথবা ফোনে কথা বলার সময় হাঁটুন। হাঁটাকে অভ্যাসে পরিনত করলে হৃৎপিণ্ড থাকবে রোগমুক্ত।

খাবার তালিকার প্রতি লক্ষ্য রাখুন:
শরীর সুস্থ আছে কিংবা আপনি ক্ষীণ দেহের অধিকারী দেখে ভেবে বসবেন না অস্বাস্থ্যকর তেল, মশলা, ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার আপনি বিনা দ্বিধায় খেতে পারবেন। যদি হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ ও সবল রাখতে চান তবে অবশ্যই তেল, মশলা, ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি কার্ডিওভাস্কুলার রোগ সমূহ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন:
ব্যস্ত জীবনে নানান কারনে মানসিক চাপ আসতেই পারে। কিন্তু এই জন্য মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করে নিজেকে অসুস্থ করে ফেললে চলবে না। আপনি মানসিক চাপ নিলে আপনার ব্রেইনের পাশাপাশি হার্টের ওপর চাপ পড়ে।

নার্ভ সিস্টেমে চাপ পড়ে। কর্টিসোল লেভেল বাড়ে ফলে হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সমস্যা নিয়ে পড়ে থেকে চিন্তা করলে সমাধান হয় না। মাথা ঠাণ্ডা ও মানসিক চাপ মুক্ত রেখে সমাধানের চিন্তা করুন। সুস্থ থাকবেন।

ধূমপান ও মদ্যপান কে না বলুন:
ধূমপান ও মধ্যপান উভয়েই হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে রাখতে চাইলে ধূমপান ও মদ্যপান এখনই ত্যাগ করুন। ধূমপান ও মদ্যপান উভয়ের মাধ্যমে দেহে কোলেস্টেরল বাড়ে। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

বাদাম খান:
বাদামে রয়েছে হাই ডেনসিটি লিপ্রোপ্রোটিন যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। হার্টের রোগীদের ডাক্তাররা নিয়মিত পরিমিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন বাদাম খান।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান:
ব্যস্ত জীবনে অফিস কিংবা নানা কাজে রাতে ঘুমানো হয় অনেক কম। দিনের বেলা ঘুম আসার তো কোন প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেও যে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি হয় তা আমরা অনেকেই জানি না।

ঘুমের সাথে উচ্চরক্ত চাপের যোগ রয়েছে। পর্যাপ্ত না ঘুমালে উচ্চ রক্তচাপ রোগে পড়তে পারেন সহজেই। একজন পূর্ণ বয়স্ক হিসেবে দিনে ৬/৭ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাবেন। হার্ট ভালো থাকবে। দেহও নীরোগ রাখতে পারবেন।

নিয়মিত চেকআপ করান:
আমরা অনেক সময়েই নিয়মিত চেকআপ করার প্রয়োজন বোধ করি না। সুস্থ আছি কিংবা সামান্য কারনে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে না এই ভেবে চেকআপ করাই না। কিন্তু এতে কিন্তু সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

হয়তো ছোটোখাটো কিছুর জন্য আমরা ডাক্তারের কাছে গেলাম না যা সামান্য চিকিৎসায় ভালো হতে পারতো। পরবর্তীতে বড় সমস্যা ধরা পড়লে অনেক সম্য ডাক্তারদের কিছুই করার থাকে না। সুতরাং অবহেলা করবেন না। নিয়মিত চেকআপ করবেন সুস্থ থাকতেও।

29

ওজন কমাতে নিয়ম মেনে পরিমাণমতো ভাত খেতে পারেন। মডেল: দয়িতা। ছবি: খালেদ সরকারধোঁয়া ওঠা এক প্লেট ভাত নিমেষেই মন ভালো করে দেয় ভেতো বাঙালির। তিন বেলা খাবারের দুই বেলাতে অনেকে ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ায় ইদানীং উপেক্ষা করছেন এই খাবারটিকে। কিন্তু ওজন তো কমে না। কী দরকার ভাত খাওয়া বন্ধ করার? ভাত খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো।
আখতারুন্নাহার বলেন, ‘ওজন কমানোর জন্য শুরুতেই আমরা ভাতটাকে বাদ দিয়ে দিই। কিন্তু ভাত খাওয়া তো আমাদের অনেক দিনের অভ্যাস। তার জন্য মন টানবেই। দুপুরে আমরা ভাত না খেয়ে এটা-ওটা নানা জিনিস খেয়ে পেট ভরাই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত তেল থাকে, তাই ওজন কমার বিপরীতে বেড়ে যেতে পারে।’ তাঁর মতে, পরিমাণমতো ভাত দুপুরে ও রাতে খেয়ে নিলে পেটের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভরবে। ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবারের দিকে আকর্ষণ থাকবে না। থাকবে না ওজন বাড়ার আশঙ্কাও।
সকাল-দুপুর-রাত—তিন বেলা না হোক, দুই বেলা তো ভাত আমরা খেতেই পারি। অবশ্যই তা নিয়ম মেনে। দুই বেলা ভাত খেয়েও কীভাবে আমরা আমাদের ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব, তা নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন আখতারুন্নাহার। প্রথমেই ভাতটাকে একটা মাপের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সেটা হতে পারে এক কাপ কিংবা দেড় কাপ। যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সমপরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খেতে হবে। এই সালাদে থাকতে পারে শসা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর ইত্যাদি। খুব সামান্য লবণ। মনে রাখতে হবে, সালাদে তেল দেওয়া যাবে না। আরেকটা কথা মাথায় রাখতে হবে, আমরা ভাত দিয়ে তরকারি খাব না, তরকারি দিয়ে ভাত খাব। সেই হিসাবে খাওয়ার শুরুতে যদি আমরা পাতে ভাত নেওয়ার বদলে তরকারি নিই, সেটা হবে একটা ভালো উদ্যোগ। সালাদ কিংবা সবজির তরকারি বেশি করে নিয়ে পরে ধীরে ধীরে প্লেটে ভাত তুললাম। কিন্তু সেটাও খুব অল্প করে। এতে দেখবেন ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমে গেছে অনেকখানি। ভাতের সঙ্গে খেতে হবে ডাল। মাছ বা মাংস—যেকোনো একটা খাওয়া যায়। সালাদ, ডাল ইত্যাদি আপনার ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে। খেতে বসে অজান্তে বেশি যেন খেয়ে না ফেলেন, সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।
মনে রাখতে হবে, ভাত যদি খেতেই হয়, তবে রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসাভাত খাওয়া যাবে না মোটেও। বাদ দিতে হবে ভাতের সঙ্গে কোনো আলুভর্তা বা আলুর তরকারি। এর বদলে তাজা সবজি ও শাক খেতে হবে বেশি পরিমাণে। একটা কাজ ইচ্ছা করলেই করতে পারেন আপনি, তা হলো ভাতের টেবিলে বসেই পান করে নিন এক গ্লাস পানি। এরপর এক বাটি সালাদ। দেখবেন, ভাতের খিদেটা কমে গেছে।
প্লেটভর্তি ভাতের বদলে এক চামচ ভাতই তখন মনোযোগ পাবে আপনার। আবার নিজেকে দুই কাপ ভাত থেকে দেড় কাপ এবং এরপর এক কাপ, এ রকম গণ্ডির মধ্যে বেঁধে ফেললে দেখবেন, ওজন আর বাড়ছে না। ওজন কমানোর জন্য ‘আমি তো ভাত খাই না’, তারপরও এমন মোটা হচ্ছি কেন? এমন প্রশ্ন যাঁরা করেন, তাঁরা একটু ভেবে দেখুন তো, ভাত বন্ধ করলেও প্রক্রিয়াজাত কিংবা তেলে ভাজা খাবার কি বন্ধ করেছেন আপনি? ডায়েটে ভাত বন্ধ নয়, বন্ধ করলে করতে হবে প্রক্রিয়াজাত-তেলে ভাজা খাবার ও কোমল পানীয়। দেখবেন, শরীরের স্থূলভাব কমে যাবে এমনিতেই।
আর যারা আমরা নিয়মিত পরিমাণমতো ভাত খাচ্ছি, তারা মনে রাখব, খাওয়ার পরপরই বিছানায় যাওয়া যাবে না। হোক সেটা দুপুরের ছোট্ট তন্দ্রা। দুপুর ও রাতে ভাত খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিতে হবে।
খাবারের চেয়ে ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই সচেতন হওয়া যায় সেদিক থেকেও। আমরা আমাদের পছন্দমতো ভাত খেলাম ঠিকই, কিন্তু যেটুকু জায়গায় রিকশার বদলে হেঁটে যাওয়া যায়, সেখানে হেঁটে গেলে এবং টুকটাক ঘরের কাজ শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।

30

এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানের একটি মাধ্যম পেনড্রাইভ। অনেক সময় পেনড্রাইভে থাকা জায়গার পরিমাণ সঠিক দেখায় না। অর্থাৎ পেনড্রাইভের ধারণক্ষমতা হয়তো ৮ গিগাবাইট, কিন্তু দেখাচ্ছে ৭.৭৫ বা ৭.৭৯ গিগাবাইট। অপারেটিং সিস্টেম, পেনড্রাইভ কোন ফাইল সিস্টেমে রয়েছে এবং সিস্টেম মেমোরির ওপর নির্ভর করে এমনটা হয়ে থাকে।
তবে বুটিস নামের ছোট্ট একটি প্রোগ্রাম পেনড্রাইভের পার্টিশনগুলোকে এক করে সঠিক আকার নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। এটি http://goo.gl/NMbguu ওয়েব ঠিকানা থেকে নামিয়ে নিন।
যেভাবে কাজটি করবেন
প্রোগ্রামটি বহনযোগ্য (পোর্টেবল) হওয়ায় ইনস্টল করার ঝামেলা নেই। তাই নামিয়ে নিয়ে দুই ক্লিকে চালু করুন। কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ লাগিয়ে নিন। পেনড্রাইভে দরকারি কোনো ফাইল থাকলে আগেই অন্য কোথাও সরিয়ে নিন। বুটিসের Physical Disk ট্যাবের Destination Disk-এর নিচের তালিকা থেকে আপনার পেনড্রাইভ দেখিয়ে দিন। কাজটি সাবধানে করুন। কারণ, ভুলে হার্ডডিস্ক সিলেক্ট হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে।
এবার নিচের Parts Manage বোতাম চাপুন। এখানে পেনড্রাইভের সব পার্টিশন দেখাবে। এখানে শুরুর পার্টিশন নির্বাচন করে নিচের Re-Partitioning বোতামে আবার ক্লিক করুন। Removable disk repartitioning ডায়ালগ বক্স চালু হলে এখানের Disk Mode এর USB-HDD mode (Single Partition) নির্বাচন করুন। File system এ FAT 32 নির্বাচন করুন। Vol Label এর ঘরে যেকোনো নাম দিন। Start LBA ঘরে 1 লিখে Reserved Secs ঘরে 32 লিখে এবার ওকে করুন।
এবার রি-পার্টিশন এবং সব পার্টিশনের তথ্য (ডেটা মুছে ফেলার আগে একটি সতর্কতামূলক বার্তা আসবে। এখানে OK করুন। কিছুক্ষণ পর Congratulations! Formatting was successful! বার্তা দেখিয়ে কাজটি সম্পন্ন হবে। এখানে OK চেপে কম্পিউটারে গিয়ে পেনড্রাইভের জায়গা দেখুন। পেনড্রাইভের অতিরিক্ত জায়গা মুছে গিয়ে সঠিক আকার পাবেন। জায়গা না বাড়লে বুঝতে হবে এটি সিস্টেম মেমোরিতে রয়ে গেছে বা নির্মাতা এটুকু জায়গাই বরাদ্দ রেখেছে।

Pages: 1 [2] 3