1
Textile Engineering / অরেঞ্জ ফাইবারের সেকাল একাল
« on: June 01, 2019, 03:25:15 PM »
সাইট্রাস বর্জ্র্য থেকে আমরা কি টেক্সটাইল ফাইবার তৈরি করতে পারি?
( #সাইট্রাস_বর্জ্র্য হল লেবু, কমলা বা মাল্টা জাতীয় ফলের আবরণী অংশ যা আমরা ফেলে দেই)
প্রশ্নটি প্রথম জাগে সিসিলিয়ান দুই মেয়ের মনে। পরবর্তীতে ইতালিতে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় এটা নিয়ে আইডিয়া ডেভেলপ করে নতুন কিছু উদ্ভাবনে সহায়তার জন্য। এরপর উঠে আসে কমলা লেবুর নাম, যার আবরণী বা খোসা থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে সেলুলোজ আলাদা করে উন্নতমানের টেক্সটাইল ফাইবার পাওয়া সম্ভব। এমনকি এই ফাইবার এসেনশিয়াল ওয়েল সমৃদ্ধ। তাই বলা যায় এই ফাইবার দিয়ে তৈরি টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য এতটাই উপকারী যা বডি লোশনকেও হার মানায়। এমনকি এটি বায়োডিগ্রেডেবল একটি ফাইবার।
তাই আমাদের উচিত এই জাতীয় ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে গবেষণার মাধ্যমে এই ফাইবারকে আরো উন্নত রূপ দান করা। যার ফলে অধিক কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে এবং টেক্সটাইল সেক্টরও সমৃদ্ধ হবে।
ঘটনার শুরু ২০১১ তে। অরেঞ্জ ফাইবার যখন আবিষ্কার করেন আড্রিয়ানা স্যান্টানোসিটো এবং এনরিকা এরিনা, দুজনেই তখন মিলানে টেক্সটাইল নিয়েই পড়াশোনা করছিলেন। আড্রিনা রিসার্চ করছিলেন এমন কোনো ফাইবার নিয়ে যা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং ত্বকের জন্য উপকারী। আর তার রুমমেট এরিনা ছিলেন মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন এক্সপার্ট। এড্রিনার গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসে অরেঞ্জ ফাইবার এবং এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত ভাবে সাসটেইনেবল একটি থিসিস দেন। বাকি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এরিনা। তিনি এই থিসিসকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। টেক্সটাইলের নানা গবেষকদের পর্যন্ত পৌছে দেন। পরবর্তীতে এই থিসিসটাই মিলান পলিটেকনিক এর একটি প্রোজেক্টে পরিণত হয় এবং একটি দল বিষদ গবেষণা করে এড্রিনার থিসিসের সাথে একমত হয়।
এরপর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালির ক্যাটানিয়া এবং রোভেরেতো শহরে Trentino Sviluppo নামের এক বিজনেস কোম্পানি ও এক আইনজীবীর আর্থিক সহায়তায় এই অরেঞ্জ ফাইবার অফিশিয়াল ভাবে হয়ে ওঠে এক উদ্ভাবনী স্টার্টআপ। এরপর ২০১৪ সালেরই সেপ্টেম্বরে মিলানের এক এক্সপোতে অরেঞ্জ ফাইবারকে বিশ্বের কাছে অফিশিয়াল ভাবে প্রথম বারের মত প্রকাশ করা হয়।
সিসিলিয়ান অঞ্চলের সাথে অরেঞ্জ ফাইবারের সম্পর্ক খুবই গভীর। সিসিলি দ্বীপে প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে কমলা উৎপাদন করা হয়। এবং প্রতিবছর শুধুমাত্র সিসিলি অঞ্চল থেকেই ৭০০ টন সাইট্রাস বর্জ্র্য পাওয়া যায়। এই সংখ্যা থেকেই কমলা উৎপাদনের পরিমানটা ধারনা করা যায়। এই বর্জ্র্য পরিবেশের উপর অবশ্যই খারাপ প্রভাব ফেলছে।
কিছু অরেঞ্জ ফাইবার প্রোজেক্ট একটি স্থায়ী সমাধান নিয়ে আসতে পারে এই সমস্যার। যা সিসিলি এবং সর্বপরি সমগ্র বিশ্বকে পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক উভয় ভাবেই এগিয়ে নিবে।
এই আইডিয়া ইতোমধ্যে বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছে। এরমধ্যে ২০১৫ সালের UNECE Ideas for Change Award উল্লেখযোগ্য। এই ফাইবারের ব্যবহার টেক্সটাইল বা হোম টেক্সটাইল এমনকি কসমেটিকস পর্যন্তও বিস্তৃত। তাই বলা যায় অবশ্যই এই ফাইবারের ভবিষ্যৎ এক শক্তিশালী অবস্থানেই রয়েছে যা অত্যন্ত টেকসই।
এর আরো বহু গুণাবলি রয়েছে যা গবেষণার মাধ্যমে ডেভেলপ করে সফল করা সম্ভব। তাই এটা নিয়ে গবেষনা বৃদ্ধি করা উচিত এবং টেক্সটাইলের বড় বড় ব্র্যান্ড গুলোর উচিত বিষয়টির উপর নজর দিয়ে একে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা।
( #সাইট্রাস_বর্জ্র্য হল লেবু, কমলা বা মাল্টা জাতীয় ফলের আবরণী অংশ যা আমরা ফেলে দেই)
প্রশ্নটি প্রথম জাগে সিসিলিয়ান দুই মেয়ের মনে। পরবর্তীতে ইতালিতে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় এটা নিয়ে আইডিয়া ডেভেলপ করে নতুন কিছু উদ্ভাবনে সহায়তার জন্য। এরপর উঠে আসে কমলা লেবুর নাম, যার আবরণী বা খোসা থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে সেলুলোজ আলাদা করে উন্নতমানের টেক্সটাইল ফাইবার পাওয়া সম্ভব। এমনকি এই ফাইবার এসেনশিয়াল ওয়েল সমৃদ্ধ। তাই বলা যায় এই ফাইবার দিয়ে তৈরি টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য এতটাই উপকারী যা বডি লোশনকেও হার মানায়। এমনকি এটি বায়োডিগ্রেডেবল একটি ফাইবার।
তাই আমাদের উচিত এই জাতীয় ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে গবেষণার মাধ্যমে এই ফাইবারকে আরো উন্নত রূপ দান করা। যার ফলে অধিক কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে এবং টেক্সটাইল সেক্টরও সমৃদ্ধ হবে।
ঘটনার শুরু ২০১১ তে। অরেঞ্জ ফাইবার যখন আবিষ্কার করেন আড্রিয়ানা স্যান্টানোসিটো এবং এনরিকা এরিনা, দুজনেই তখন মিলানে টেক্সটাইল নিয়েই পড়াশোনা করছিলেন। আড্রিনা রিসার্চ করছিলেন এমন কোনো ফাইবার নিয়ে যা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং ত্বকের জন্য উপকারী। আর তার রুমমেট এরিনা ছিলেন মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন এক্সপার্ট। এড্রিনার গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসে অরেঞ্জ ফাইবার এবং এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত ভাবে সাসটেইনেবল একটি থিসিস দেন। বাকি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এরিনা। তিনি এই থিসিসকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। টেক্সটাইলের নানা গবেষকদের পর্যন্ত পৌছে দেন। পরবর্তীতে এই থিসিসটাই মিলান পলিটেকনিক এর একটি প্রোজেক্টে পরিণত হয় এবং একটি দল বিষদ গবেষণা করে এড্রিনার থিসিসের সাথে একমত হয়।
এরপর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালির ক্যাটানিয়া এবং রোভেরেতো শহরে Trentino Sviluppo নামের এক বিজনেস কোম্পানি ও এক আইনজীবীর আর্থিক সহায়তায় এই অরেঞ্জ ফাইবার অফিশিয়াল ভাবে হয়ে ওঠে এক উদ্ভাবনী স্টার্টআপ। এরপর ২০১৪ সালেরই সেপ্টেম্বরে মিলানের এক এক্সপোতে অরেঞ্জ ফাইবারকে বিশ্বের কাছে অফিশিয়াল ভাবে প্রথম বারের মত প্রকাশ করা হয়।
সিসিলিয়ান অঞ্চলের সাথে অরেঞ্জ ফাইবারের সম্পর্ক খুবই গভীর। সিসিলি দ্বীপে প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে কমলা উৎপাদন করা হয়। এবং প্রতিবছর শুধুমাত্র সিসিলি অঞ্চল থেকেই ৭০০ টন সাইট্রাস বর্জ্র্য পাওয়া যায়। এই সংখ্যা থেকেই কমলা উৎপাদনের পরিমানটা ধারনা করা যায়। এই বর্জ্র্য পরিবেশের উপর অবশ্যই খারাপ প্রভাব ফেলছে।
কিছু অরেঞ্জ ফাইবার প্রোজেক্ট একটি স্থায়ী সমাধান নিয়ে আসতে পারে এই সমস্যার। যা সিসিলি এবং সর্বপরি সমগ্র বিশ্বকে পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক উভয় ভাবেই এগিয়ে নিবে।
এই আইডিয়া ইতোমধ্যে বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছে। এরমধ্যে ২০১৫ সালের UNECE Ideas for Change Award উল্লেখযোগ্য। এই ফাইবারের ব্যবহার টেক্সটাইল বা হোম টেক্সটাইল এমনকি কসমেটিকস পর্যন্তও বিস্তৃত। তাই বলা যায় অবশ্যই এই ফাইবারের ভবিষ্যৎ এক শক্তিশালী অবস্থানেই রয়েছে যা অত্যন্ত টেকসই।
এর আরো বহু গুণাবলি রয়েছে যা গবেষণার মাধ্যমে ডেভেলপ করে সফল করা সম্ভব। তাই এটা নিয়ে গবেষনা বৃদ্ধি করা উচিত এবং টেক্সটাইলের বড় বড় ব্র্যান্ড গুলোর উচিত বিষয়টির উপর নজর দিয়ে একে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা।