Daffodil International University

Faculty of Science and Information Technology => Science and Information => Topic started by: Md. Alamgir Hossan on February 15, 2020, 11:15:52 AM

Title: সফটওয়্যার বাজার বড় হচ্ছে
Post by: Md. Alamgir Hossan on February 15, 2020, 11:15:52 AM

প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সম্পর্কে আগ্রহী দর্শনার্থীদের তথ্য দিচ্ছেন একটি স্টলের কর্মীরা। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়।  ছবি: প্রথম আলো
প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সম্পর্কে আগ্রহী দর্শনার্থীদের তথ্য দিচ্ছেন একটি স্টলের কর্মীরা। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। ছবি: প্রথম আলো
দেশের সফটওয়্যার খাত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই খাতে এখন নানা সাফল্য ধরা দিচ্ছে। ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন বিদেশেও কাজ করছে। বদৌলতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে (আইটি) বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন বাড়ছে। আইটি খাতে বাংলাদেশের এই আয়কে ‘ডিজিটাল বিপ্লব’ মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে চলমান ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২০’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে গিয়ে দেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে এমন ধারণাই পাওয়া গেল। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত প্রদর্শনীটি শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। চার দিনের এই প্রদর্শনী শেষ হবে আজ রোববার।


তৃতীয় দিনে গতকাল শনিবার মেলায় সফটওয়্যার প্রদর্শন জোনে গিয়ে দেখা গেল, দেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। মেলায় জেনেক্স ইনফোসিস, সিনেসিস আইটি, ব্রেইনস্টেশন ২৩, ইক্সোরা, বিজেআইটি, প্রাইডসিস, ব্র্যাক আইটি, মাই সফট, মিডিয়া সফট, ইরা ইনফোটেক, নেসেনিয়া, টিকন, পিপল অ্যান্ড টেক, এন আইটি এস, বিভি ক্রিয়েটিভস, টেকনো ভিস্তা, আমরা টেকনোলজিস, বি-ট্র্যাক টেকনোলজিস ও এডিএন টেকনোলজিসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টল বা প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

প্রদর্শনীর স্টলেই পাওয়া গেল সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান টিকনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম এন ইসলামকে। তিনি বলেন, দেশের সফটওয়্যার বাজার বড় হচ্ছে। তিনি জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘মিডিয়া সলিউশন’ নিয়ে কাজ করে, বছরে যার বৈশ্বিক বাজার প্রায় ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলারের। বাংলাদেশে এই বাজারের লেনদেনের পরিমাণ ইতিমধ্যে হাজার কোটি টাকার মতো দাঁড়িয়েছে।

সফটওয়্যার জোনে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিংয়ের (ইআরপি) সফটওয়্যার সমাধান দেয়। জানা গেছে, ইআরপি সফটওয়্যার এখন দেশের প্রোগ্রামাররাই তৈরি করছেন।

বেসিসের ডিজিটাল এডুকেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. সাকিব রাব্বানী বলেন, দেশে শুধু শিক্ষা খাতে সফটওয়্যার সেবার বাজার ৩ হাজার কোটির টাকার মতো দাঁড়িয়েছে।

খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) সফটওয়্যার নির্মাতা মিডিয়া সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল দেবনাথ বলেন, স্থানীয় সফটওয়্যারের বাজার অনেক বড় হচ্ছে। এই বাজারে টিকে থাকতে এখন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।

এর বাইরে আর্থিক খাতেও বেড়েছে দেশি সফটওয়্যারের চাহিদা। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, ব্যাংকসহ দেশের আর্থিক খাতে স্থানীয় সফটওয়্যার ব্যবহার বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে আরও সম্ভাবনা রয়েছে।

বেসিসের তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থানীয় সফটওয়্যারের বাজার দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটি ডলারে, যা তার এক বছর আগে ছিল ১১০ কোটি ডলার। সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘দেশের সফটওয়্যার নির্মাতারা এখন সম্মান বয়ে আনছেন। সফটওয়্যার নির্মাতাদের আরও সামনে এগিয়ে নিতে ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় প্রস্তুত করার কাজ করছে বেসিস।’

আজ সন্ধ্যায় শেষ হবে বেসিস সফটএক্সপো। তবে আজও সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। বেসিস সফটএক্সপো নামের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে বিনা মূল্যে প্রদর্শনীতে প্রবেশ করা যায়।