Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mousumi Rahaman

Pages: 1 ... 12 13 [14] 15
196
রোজায় প্রথম দিকে দেখা যায় নানা শারীরিক সমস্যা। মাথাব্যথা, অবসন্ন ভাব। ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠি আমরা। কিন্তু এই সময়ে দেখা যায় আমাদের ত্বকেও নানা সমস্যা। তার মধ্যে পানিশূন্যতা অন্যতম। রোজায় ত্বকের পানিশূন্যতা রোধ এবং ত্বকের যত্ন-আত্তি নিয়ে কথা বলেছেন বিন্দিয়া বিউটি পারলারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
তিনি বললেন, রোজা রাখার কারণে পানি পানের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক প্রাণহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের একটু যত্ন নিলে ত্বক থাকবে সতেজ ও সজীব।
এ ব্যাপারে শারমিন কচির পরামর্শ হলো, ‘আমরা অনেকেই ইফতার কিংবা সেহ্রির পর একসঙ্গে অনেক পানি পান করি। যা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ইফতারের পর পানি পান করা উচিত প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে। কিংবা আধা ঘণ্টা পরপর। নিজের তৃষ্ণা অনুযায়ী। একসঙ্গে অনেকখানি পানি পান করা যাবে না। আর সেহ্রির সময়টাতেও করতে হবে এমন। সম্ভব হলে সময় শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সেহ্রি খাওয়া শেষ করে অল্প অল্প করে পানি পান করতে হবে।
পানিশূন্যতা রোধে নিয়ম করে পানি পান ছাড়াও নজর দিতে হবে খাবারদাবারের দিকে। ভাজাপোড়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। ত্বক ভালো রাখতে ইফতারিতে ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার কম খেয়ে ঘরে তৈরি ফলের রস ও শরবত খেতে হবে। ফল, দই, চিড়া ও শরবতে দিতে হবে প্রাধান্য।’
যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা অবশ্যই এই সময়ে টোনার জাতীয় প্রসাধনী এড়িয়ে চলবেন। টোনার-জাতীয় প্রসাধনী ত্বককে আরও শুষ্ক করে তুলতে পারে। এ সময়ে অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়। তাঁরা রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ভালো করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঘুমাবেন। ত্বকের শুষ্কতা থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক সজীব হবে।
আর ত্বকের যত্ন-আত্তির ক্ষেত্রে কিছু প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়া ও ১ টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর কারার পাশাপাশি ব্রণের দাগও দূর করবে। এটি ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে তিন দিন।
১ টেবিল চামচ পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজনমতো চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদামবাটা, ঠান্ডা দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুষ্ক ও পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
এ ছাড়া টমেটো, কলা, শসা একসঙ্গে মিলিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। ইফতারের ঘণ্টা খানেক পর ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

সুত্রঃরূপ নকশা

197
১) মশা দূরে রাখতে

মশার উপদ্রবে বিরক্ত? আবার ঘরে মশা তাড়ানোর কিছু নেই? তাহলে এক কাজ করুন কয়েক ফোঁটা নারকেল তেলের সাথে পুদিনার এসেনশিয়াল অয়েল অর্থাৎ মিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন এরপর তা ত্বকে ব্যবহার করুন। মশা দূরে পালাবে।
২) সানস্ক্রিন লোশনের মতো কাজ করে

কেমিক্যাল সানস্ক্রিন লোশনে যদি ত্বকের সমস্যা হয় তাহলে বেছে নিন প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন লোশন। সাধারণ নারকেল তেল এসপিএফ ৪ সানস্ক্রিন লোশন হিসেবে কাজ করে।
৩) ডিওডোরেন্টের মতো কাজ করে

ঘামের যন্ত্রণা এবং ঘামের দুর্গন্ধের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ডিওডোরেন্টের মতো ব্যবহার করুন নারকেল তেল। খুব ভালো কাজে দেবে।
৪) দেহে এনার্জি সরবরাহ করে

খাবার উপযুক্ত নারকেল তেল প্রতিদিন খেলে তা আপনার দেহে অনেক এনার্জি সরবরাহ করবে। এছাড়াও নারকেল তেলের লেউরিক অ্যাসিড এমসিএফএ হজম ক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক।
৫) শেভিং ক্রিম অ্যান্ড আফটার শেভ লোশন হিসেবে কাজ করে

নারকেল তেল খুব ভালো শেভিং ক্রিমের কাজ করে। এছাড়াও শেভ করার পর আফটার শেভ লোশনের মতো কাজ করে এবং ত্বককে দারুণ ময়েসচারাইজ করে।
৬) বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে

নারকেল তেল মস্তিষ্ক রিলাক্স করতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। খাবার যোগ্য নারকেল তেল খাওয়া এবং মাথায় নারকেল তেলের ম্যাসেজ দুটোই কার্যকরী।
৭) মেকআপ রিমুভারের কাজ করে

নারীরা যারা মেকআপ করেন দিন শেষে মেকআপ তুলে ফেলাটা ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নারকেল তেল খুব ভালো মেকআপ রিমুভারের কাজ করে। এবং এটি সাধারণ ময়েসচারাইজার হিসেবেও বেশ ভালো এবং ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।
৮) ন্যাচারাল লিপগ্লস

নারকেল তেল প্রাকৃতিক লিপগ্লস হিসেবেও অনেক কার্যকরী। এবং ঠোঁটের ত্বককে নরম রাখতে এর জুড়ি নেই।

সূত্রঃ ideadigezt.com

198
কুকিজ কমবেশি সকলেরই পছন্দের স্ন্যাকস। ঘরে কিছু না থাকলেও চায়ের সাথে দুটি কুকি নিয়ে বসেও আনন্দে সময় পার করে দেয়া যায়। আর তাই বাজার থেকেই অনেকে কুকি কিনে বয়ামে ভরে রাখেন। অনেকে আবার নিজেই ঘরে তৈরি করে নেন সুস্বাদু কুকি। কিন্তু যারা ঘরে কুকি তৈরি করেন তারা অনেকেই বলবেন কুকি বেক করা অনেক বেশি ঝামেলার। কিন্তু কেমন হয় যদি বেকিংয়ের ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করে ফেলা যায় সুস্বাদু কুকি? অবাক হচ্ছেন? চলুন আজকে শিখে নেয়া যাক বেকিংয়ের ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে অত্যন্ত সুস্বাদু কুকি তৈরির দারুণ রেসিপিটি।
উপকরণঃ

- ২ কাপ চিনি
- ৩ টেবিল চামচ কোকো পাউডার
- আধা কাপ বাটার
- আধা কাপ দুধ
- ১ চিমটি লবণ
- ৩ কাপ ওটস বা দেড় কাপ ময়দা
- আধা কাপ পীনাট বাটার
- ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
পদ্ধতিঃ

    - প্রথমে একটি বড় প্যানে চিনি, কোকো পাউডার, বাটার, দুধ ও লবণ দিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিন। ভালো করে জ্বাল দিতে থাকুন। ফুটে উঠতে দিন।
    - প্রায় ২ মিনিট এই মিশ্রণটি ফুটতে দিন ভালোভাবে কুকি তৈরি করতে।
    - এরপর প্যানে দিন ওটস বা ময়দা, পীনাট বাটার ও ভ্যানিলা এসেন্স। ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে ফেলুন। এবং ঘন আঠালো মিশ্রন তৈরি হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
    - এবারে একটি ট্রে তে বেকিং শিটের উপরে চামচের মাধ্যমে বা আইসক্রিম স্কুবের মাধ্যমে ছোটো ছোটো কুকি ডো গোল করে মাঝে জায়গা রেখে সাজিয়ে নিন। এই কাজটি গরম থাকতেই করে ফেলবেন দ্রুত।
    - তারপর কুকিগুলো ভালো করে ঠাণ্ডা হতে দিন। খুব ভালো করেই ঠাণ্ডা করে নেবেন, তবে ফ্রিজে রেখে নয়। কারণ ফ্রিজ থেকে বের করে নিলে তা ঘেমে আবার নরম হয়ে যেতে পারে।
    - পুরোপুরি ঠাণ্ডা হলে কুকি শক্ত হয়ে যাবে। ব্যস, এবারে পরিবেশন করুন বেকিংয়ের ঝামেলা ছাড়াই তৈরি অত্যন্ত সুস্বাদু কুকি।

সূত্রঃ (প্রিয়.কম)

199
যা যা লাগবে

একটি টেবিল ফ্যান
বড় এক বাটি বরফ

যা করবেন

-ঘরের জানালা খুলে দিন।
-এই জানালার দিকে পেছন অংশটা দিয়ে টেবিল ফ্যান ছেড়ে দিন। এমনভাবে দিন যেন জানালার খোলা অংশের ঠিক সামনেই ফ্যানটা ঘরে। এই টেবিল ফ্যান বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে টেনে আনবে।
-তারপর টেবিল ফ্যানের ঠিক সামনে একটি বড় বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এমনভাবে রাখুন যেন বাতাস এই বরফের গায়েও লাগে।
– আর তারপর দেখুন ম্যাজিক। কিছুক্ষণের মাঝেই আপনার ঘর থেকে গরম হয়ে যাবে একেবারে গায়েব! শুধু গায়েব না, ঘরটা হয়ে উঠবে শীতল। যতক্ষণ বরফ থাকবে, শীতল ভাব বজায় থাকবে। বরফ গলে গেলেও ঘরটা গরম হবে না।
সুত্রঃ প্রিয় লাইফ

200
 পিচ্ছিল ভাবের জন্য ঢেঁড়স খাবারটা অনেকেই খেতে চান না। রান্না করুন বা ভাজা, ঢেঁড়সের পিচ্ছিল ভাব থেকেই যায়। যদি বলি, এই ঢেঁড়সকেই মুচমুচে করে ফেলা যায়, ঠিক যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ঢেঁড়স দিয়ে একেবারেই ভিন্নধর্মী একটা খাবার রান্না করতে পারবেন, যা আগে কখনোই দেখেন নি। ফারাহ তানজীন সুবর্ণা নিয়ে এসেছেন ক্রিসপি ঢেঁড়সের একটি দারুণ মজার রেসিপি।
উপকরণ

ঢেঁড়স – ২৫০ গ্রাম
কর্ণ ফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো – ১/৩ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
আমচুর – স্বাদ মত
লবণ – স্বাদ মত
তেল – প্রয়োজন মত
প্রণালী

    -ঢেঁড়স ২ ইঞ্চি লম্বা করে কুচি করে নিন।
    -তারপর আমচুর বাদে বাকি উপকরণ গুলো মাখিয়ে ফুটন্ত ও ডুবন্ত তেলে অল্প অল্প করে দিয়ে মুচমুচে করে ভেজে কিচেন টিস্যুর উপরে তুলে নিন।
    -তারপর স্বাদ মত আমচুর ছড়িয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
    -এই ভাজিটা কখনই আগে থেকে করে রাখবেন না। তাতে মুচমুচে ভাবটা নষ্ট হয়ে যাবে, সাথে স্বাদ-ও। তাই পরিবেশনের আগ দিয়ে তৈরি করে নিন।

সুত্রঃপ্রিয়.কম

201
দাগ পড়ে কত প্রিয় জিনিসই তো নষ্ট হয়ে যায় আমাদের। হয়তো পছন্দের জামাটা আর পরাই হয়না, হয়তো প্রিয় আয়নাটাই হয়ে যায় ব্যবহার অযোগ্য। অনেক সময় আবার কিছু কাটাকাটি করতে গিয়ে হাতে দাগ বসে যায়, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তখন। কি ভালো হতো, যদি এসব বিচ্ছিরি দাগ দূর হয়ে যেত নিমিষে! আজকে আপনাদের এমন ৮ উপায় জানাবো যাতে সহজে দাগ উঠিয়ে ফেলতে পারেন।

লোহার জিনিসে মরিচার দাগ
লোহার জিনিসে অনেক সময়ই মরিচার দাগ পড়ে। এক্ষেত্রে একটা সুতি কাপড়ে টুথপেষ্ট নিয়ে সেই স্থানে ভালো করে ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দাগ চলে যাবে। বেকিং সোডাও চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।

আয়নায় পড়া ঘোলাটে দাগ
অনেক সময় বেসিনের আয়নায় পানির ছিটা লেগে ঘোলাটে দাগ পড়ে যায়। পুরনো নাইলনের মোজা দিয়ে মুছে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে। পুরোনো পেপারে একটু লেবুর রস ঢেলে সেটা দিয়েও ঘষতে পারেন।

কাপড়ে তরকারীর ঝোল
অনেক সময় কাপড়ে তরকারির ঝোল পড়ে। যার কারণে হয়তো বাতিল হয়ে যায় সেই কাপড়টি। এ দাগ থেকে মুক্তি পেতে দাগ পড়া অংশে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। তারপর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন দাগ বিলীন।

জানালার কাঁচে ধুলো জমা দাগ
জানালার কাঁচে অনেক সময় ধুলো জমে দাগ পড়ে যায়। পরিষ্কার করার জন্য পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা অ্যামোনিয়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আর দাগ থাকবেনা। মনে রাখবেন, বেশি রোদের তাপ যেদিন থাকবে সেদিন জানালা পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকবেন।

বাথরুমের মেঝেতে দাগ
বাথরুমের মেঝেতে পানি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যায়, দাগ পরে পানির। খুব সহজেই এটা কিন্তু দূর করতে পারবেন। কীভাবে? কফি খাওয়ার পর মগে যে বাকি অংশ তা দিয়ে মেঝে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন, দাগ আর থাকবে না।

তরকারি কাটায় হাতের দাগ
পেঁয়াজ বা তরকারি কাটলে হাতের আঙুল কালো হয়ে যায়। বিচ্ছিরি এই দাগ দূর করা কিন্তু খুব সোজা। তরকারি কাটার পর হাতে এক টুকরো লেবু ঘষে নিন। তারপর হাত ধুয়ে ফেলুন, দাগ চলে যাবে।

বেসিনের হলুদ দাগ
বেসিনে সারাক্ষণ পানি পড়ে হলুদ দাগ হয়ে যায়। কী করবেন ভাবছেন? একটু ভিনেগার বা অর্ধেক লেবু ঘষুন, দাগ উঠে যাবে। বেসিনে লালচে দাগ পড়লে তারপর আর নুনের মিশ্রণ তৈরি করে ঐ অংশে ঘষুন। দাগ হাওয়া হয়ে যাবে।

জানালার কাঁচে পড়া দাগ
জানালার কাঁচে দাগ পড়লে হালকা গরম পানির সাথে কয়েক ফোটা লিকুইড সাবান মিশিয়ে নিন। এক্ষেত্রে সবসময় উপরের দিক থেকে মোছা শুরু করবেন এবং নীচের দিকে এসে শেষ করবেন। তাহলে জানালায় আর হাতের দাগ লাগবে না।

202
দাঁতের সুরক্ষায় টুথপেস্ট কতোটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। দিনে দুবার ভালো করে দাঁত ব্রাশ না করলে দাঁতের ক্ষতি হয় তাও আমাদের অজানা নয়। কিন্তু আপনি জানেন কি টুথপেস্টের দাঁত মাজার পাশাপাশি আরও কিছু ব্যবহার রয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে? অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এই সাধারণ টুথপেস্ট দিয়েই অনেক সমস্যার সমাধান করে ফেলা যায় নিমেষেই। জানতে চান টুথপেস্টের ব্যতিক্রমী ব্যবহার? চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) দেয়ালের দাগ তুলতে

দেয়ালে রংপেন্সিল দিয়ে আঁকিবুঁকি করা বাচ্চাদের স্বভাব। কিন্তু এই দাগ তোলা নিয়ে অনেক বিপদে পড়ে যাওয়া হয়। টুথপেস্ট খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। টুথপেস্ট দাগের উপরে লাগিয়ে একটি ভেজা কাপড় ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যস, দাগ গায়েব।
২) কাঠের জিনিস থেকে দাগ তুলতে

চা/কফি কাঠের টেবিলে দাগ ফেলে দেয় যা সহজে তোলা সম্ভব হয় না। আঙুলে টুথপেস্ট নিয়ে ভালো করে দাগের উপর ঘষে নিন। এরপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
৩) কাপড়ের দাগ তুলতে

কাপড়ের দাগ তুলতেও টুথপেস্টের জুড়ি নেই। সেই সাথে কার্পেটের দীর্ঘদিনের কালচে দাগও তুলতে পারে টুথপেস্ট। প্রথমে দাগের উপরে পানি আর পেস্ট দিয়ে ঘষে নিন। তার পর ব্রাশ দিয়ে ঘষুন, দেখবেন দাগ উঠে গেছে।
৪) রূপার জিনিস পলিশ করতে

রূপার তৈরি কোনো জিনিস পলিশ করতে স্বর্ণের দোকানে গিয়ে পয়সা খরচ করার প্রয়োজন নেই। টুথপেস্ট ভালো করে রূপার জিনিসে ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে খুব ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন নতুনের মতো চকচকে হয়ে উঠেছে।
৫) সিংক ও বেসিন পরিষ্কার করতে

বাথরুমের বেসিন এবং রান্নাঘরের সিংক অনেক ব্যবহারের ফলে দাগ পড়ে বিশ্রী হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে টুথপেস্ট। ভালো করে একটি কাপড় দিয়ে টুথপেস্ট ঘষে নিন। দাগ উঠে যাবে।
৬) পোকামাকড়ের কামড়ের চুলকোনি ও সমস্যা রোধ করতে

পোকামাকড়ের কামড়ে অনেকের অ্যালার্জি হয়ে থাকে এবং প্রচণ্ড চুলকোনি হয় ও ফুলে উঠে। এক কাজ করুন পোকামাকড়ের কামড়ে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। জ্বলুনি এবং ফোলা কমে যাবে।
৭) হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিকল্প

আসে পাশে হাত পরিষ্কারের কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না? টুথপেস্ট হাতে ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং হাত ম্যাসেজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ কাজে দেবে।
৮) চশমা ও সানগ্লাসের ঝাপসা হয়ে যাওয়া কাটাতে

চশমা ও সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে সহজেই গ্লাস ঝাপসা হয়ে আসে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হালকা করে টুথপেস্ট ঘষে নিন গ্লাসে। এরপর ভেজা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। ঝাপসা ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।

203

ইফতারীতে মজাদার টক ঝাল মিষ্টি ছোলার ঘুগনি


ছোলার ঘুগনি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার।  খেতে সুস্বাদু এই খাবারটি রোজার সময় ইফতারিতেও বেশ প্রচলিত। বাড়িতে বৈকালীন নাস্তায় কিংবা অতিথি আপ্যায়নে রয়েছে ছোলার ঘুগনির বিশেষ কদর।

বাহিরে অহরহ কিনতে পাওয়া যায় ছোলার ঘুগনি। এই খাবারটির চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। বাহিরে ছোলার ঘুগনির বিক্রেতাকে মানুষের ঘিরে থাকা দেখলেই এর চাহিদা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়।

সবসময় বাহিরে খাওয়া সম্ভব হয় না বলে বাড়িতেও বানিয়ে খাওয়া যায় ছোলার ঘুগনি। সুস্বাদু এই খাবারটি রান্না করাটাও সহজ। কাজেই খুব অল্প সময়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায় ছোলার ঘুগনি।

 
উপকরণ

— ছোলা,— আলু,— টমেটো কুচি,— পেঁয়াজ কুচি,— হলুদ গুঁড়া,— শুকনা মরিচ গুঁড়া,— জিরা গুঁড়া,— গরম মসলা গুঁড়া,— আদা বাটা,— রসুন বাটা,— তেজপাতা,— তেল,— লবন,
— ধনিয়াপাতা কুচি

 
প্রস্তুত প্রণালী

ঘুগনি রান্না শুরু করার আগে ছোলা বেশ খানিক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বিশেষ করে সারারাত ভিজিয়ে রাখলে বেশি ভালো হয়। রান্না শুরুর প্রথমে ভিজিয়ে রাখা ছোলা ভালো করে ধুয়ে প্রেসার কুকারে পানি ও লবন দিয় সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে ছোলার পানি ছেঁকে ধুয়ে নিতে হবে। আলু ছিলে কিউব করে কেটে আধা সেদ্ধ করে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। এবার প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। পেঁয়াজ ভাজা হলে সব মসলা দিয়ে ১-২ মিনিট ভেজে এরপর সেদ্ধ আলু ও টমেটো কুচি দিয়ে ১ মিনিটের মতো ভেজে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে ৩-৪ মিনিট রান্না করতে হবে। মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে আসলে এরমধ্যে সেদ্ধ করে রাখা ছোলা দিয়ে ভালোকরে মসলার সাথে মিশিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে অল্প আঁচে ১০-১২ মিনিট রান্না করতে হবে। রান্না হয়ে গেলে চুলা থেকে নামানোর আগে ধনিয়াপাতা কুচি উপরে ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এবার গরম গরম পরিবেষনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত অনন্য স্বাদের মজাদার ছোলার ঘুগনি।

 

204
বাসায় থেকে চুড়িগুলো বেশ পুরনো হয়ে গেছে। রঙে ফ্যাকাসে ভাব দেখা যাচ্ছে। ইচ্ছে থাকলেও প্রিয় চুড়িগুলো পরা হচ্ছেনা স্টোন পড়ে যাবার কারনে। পছন্দের চুড়িগুলো পুরনো হয়ে গেলে কার না মন খারাপ হয়? রঙ উঠে যাওয়া চুড়ি পরে তো আর পরে বাইরে যাওয়া যায়না। তবে আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে এই অব্যবহারযোগ্য চুড়িগুলোকে অল্প সময়ে আপনি করে ফেলতে পারেন ব্যবহারযোগ্য। দেখতেও নতুন হয়ে যাবে আর আপনাকেও স্টাইলিশ করে তুলবে। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে চুড়িগুলোকে নতুন করে সাজাবেন।

যা যা লাগবেঃ
• বিভিন্ন রঙের রেশমি সুতা।
• ১ ইঞ্চি মোটা তার – ২০ ইঞ্চি।
• ছোট ছোট ডিজাইন করা চুমকি বা পুতি বা মেটালের নকশা।
• গ্লু
• কেঁচি
কিভাবে করবেনঃ
• চুড়িগুলোকে ভালো করে সুতি কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
• চারটি করে রেশমি সুতা নিন।
• এবার চুড়িতে অল্প একটু গ্লু দিয়ে সুতা আটকে দিন
• ধীরে ধীরে পুরো চুড়িকে সুতা দিয়ে প্যাচান। একবার প্যাচানো হলে অল্প গ্লু দিন আবার প্যাচান, ফের আবার গ্লু দিন... এভাবে পুরো কাজটি শেষ করুন।
• বাড়তি সুতার অংশ কেটে ফেলুন।
• তার কেটে ছোট ছোট লুপ তৈরি করুন।
• এবার চুড়িতে ৬/৭ টি লুপ আর ইচ্ছে মত মেটালিক নকশা লাগিয়ে নিন।

দেখুন তো আগের সেই পুরনো চুড়ি কি এখন আর চেনা যাচ্ছে? না। বরং নতুন একগুচ্ছ ফ্যাশনাবেল চুড়িতে পরিণত হয়েছে পুরনো চুড়িগুলো। তাহলে এখন থেকে পুরনো চুড়ি গুলোকে ফেলে না রেখে একটু সময় ব্যয় করে সেগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করে ফেলুন।

টিপসঃ
• প্রিন্টের পুরনো কাপড় কেটে দুই ভাজ করে সেগুলো দিয়েও চুড়ি সাজাতে পারেন। এক্ষেত্রে বাড়তি সুতার খরচ বাঁচবে।
• দুই-তিনটি চিকন চুড়িকে পাশাপাশি আটকে, সুতা দিয়ে প্যাচিয়ে ব্রেসলেট বানিয়ে ফেলতে পারেন।
• চাইলে চুড়ির উপর বাড়তি স্টোন বসাতে পারেন যা চুড়িকে দিবে অন্যরকম মাত্রা।

205
 

আপনার ভালোবাসার জগত পুরোটা জুড়েই আছে আপনার সোনামনি। পুরো ঘরে হয়তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা রঙ বেরঙের খেলনা। বাজারের কেনা খেলনায় তো অনেক খেলল সন্তান কেমন হবে যদি এবার আপনার ছোট্ট সোনামনি খেলে আপনার নিজের বানানো খেলনায়। আর তা যদি হয় ফেলনা ওয়ান টাইম ইউজ প্লেট থেকে তৈরি তাহলে তো কথাই নেই। খরচ ও কম হলো, আবার খেলনাও তৈরি হলো, তাইনা? তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে ফেলনা ওয়ান টাইম ইউজ প্লেট থেকে খেলনা বানাতে পারেন।

যা যা লাগবেঃ
• ওয়ান টাইম ইউজ প্লেট – ১০ পিস
• পোষ্টার কালার – ৩/৪ রঙের
• কালো মার্কার পেন।
• কেঁচি
• গ্লু

যেভাবে বানাবেনঃ
• ওয়ান টাইম ইউজ প্লেট গুলোকে ভালো করে পোষ্টার কালার দিয়ে রঙ করে নিন।
• ভালো করে রঙ শুকিয়ে নিন।
• এবার পিৎজা কাটার মত তিন কোনা করে প্লেটের একটা টুকরা কেটে ফেলুন।
• কাটা টুকরো কে প্লেটের নিচ দিয়ে অপর পাশে আঁটকে দিন।
• কয়েকটা প্লেটে কাটা অংশ কেটে গোল গোল ডিজাইন করুন।
• কিছু ফুল করুন, কিছু বো বা হ্যাট ডিজাইন করুন। মূলকথা আপনার ইচ্ছে মত প্লেটের কাটা অংশ গুলোকে কেটে গ্লু দিয়ে প্লেটে লাগান।
• এবার মার্কার দিয়ে সুন্দর করে চোখ আকুন। যে প্লেটগুলো কাটেন নি সেগুলো তে হাসি মাখা মুখ আঁকুন।
দেখুন কি সুন্দর খেলনা মাছ হয়ে গেছে।

কিছু টিপসঃ
• আপনি চাইলে মাছ ছাড়াও অন্য কোন ডিজাইন ও করতে পারেন।
• ইচ্ছে হলে প্লেটগুলোতে বাংলা ইংরেজী অক্ষর ও লিখতে পারেন। বাবু খেলতে খেলতে শিখতে পারবে।
• ০-৩ বছরের বাচ্চাদের এ ধরনের খেলনা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• চাইলে বাবুর ছবি প্লেটে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে প্লেটটিকে দেওয়ালে বা শোকেসে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

206
একটু দেরিতে হলেও শুরু হয়ে গেলো বৃষ্টি। গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে গরমের যন্ত্রণা কমলেও আরেকটি যন্ত্রণা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, আর তা হচ্ছে টানা বৃষ্টিয় ফলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ। বৃষ্টি ও বৃষ্টির গন্ধ ভালো লাগলেও টানা বৃষ্টির এই গন্ধ ও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের যন্ত্রণা নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। তবে চিন্তা করবেন না। খুব সহজেই বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করে দিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কৌশলগুলো।
১) লেবুর রসের ব্যবহার

লেবুর রসের অ্যাসিডিক ফরমেশন ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জনিত স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ২:১ অনুপাতে লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে যেসকল স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ বেশি হয় সে স্থান মুছে নিন ভালো করে। আর তাজা লেবুর রস ঘরের কোণে স্প্রে করে দিলে গন্ধও দূর হয়ে যাবে নিমেষেই।
২) ভিনেগারের ব্যবহার

স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের মূল কারণ হচ্ছে টানা বৃষ্টিতে অনেকটা সময় ধরে ভেজা থাকা স্থান ও ভেজা থাকার ফলে সেই স্থানে ফাঙ্গাসের উৎপত্তি। আর এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনেগার। পানিতে সমপরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে ঘর মুছে নিন। এরপর ফ্যানের বাতাসে ঘর শুকিয়ে নিন। ভিনেগারের গন্ধ দূর করতে ভালো কোনো এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন বা লেবুর রসই স্প্রে করে দিন। দেখবেন ঘর অনেকটাই ফ্রেশ লাগবে।
৩) বেকিং সোডার ব্যবহার

বেকিং সোডাও অ্যাসিড জাতীয় একটি উপকরণ যা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। এছাড়াও বেকিং সোডার গন্ধ শুষে নেয়ার ভালো একটি গুণ রয়েছে। ঘরের যেসকল স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা বেশি এবং গন্ধ বেশি হয়ে আছে, সেখানে বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। দেখবেন বেকিং সোডা গন্ধ শুষে নিয়েছে। পড়ে বেকিং সোডা সরিয়ে ফেললেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
জেনে রাখুন কিছু কার্যকরী টিপসঃ

    - বৃষ্টির দিনে ঘর মুছে ফ্যানের বাতাসে ঘর ভালো করে শুকিয়ে নিন। এতে গন্ধ হবে না।
    - বৃষ্টি হলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার সাথে সাথে দরজা জানালা খুলে তাজা বাতাস ঘরে ঢুকতে দিন। এতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও গন্ধ অনেকটাই কমে যাবে।
    - ভালো এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন বা ঘরে রাখুন তাজা ফুল।
সূত্রঃ afternoondc

207
বেকিং সোডা কার্যত সব কিছুর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বিভিন্ন কাজেই নির্বিশেষে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন- খাবার তৈরিতে, বাহ্যিক ভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে, গোসলের ক্ষেত্রে বা দেহের অভ্যন্তরে কোলন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে। এছাড়া এসব নিরাময়ক বৈশিষ্ট্য ছাড়াও বেকিং সোডা বিভিন্ন গৃহস্থালী কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যদি কোন রোগের চিকিৎসায় বা স্বাস্থ্যগত কারনে ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তাহলে ঔষধের দোকানে প্রাপ্ত ফার্মাসিউটিকেল বেকিং সোডা আর গৃহস্থালী কাজের জন্য সাধারণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করাটাই সবচাইতে ভালো। তাই কী কী ক্ষেত্রে এই জাদুকরী উপাদানটি ব্যবহার করা যায় চলুন জেনে নেই।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেকিং সোডার ব্যবহার


সকালে ঝরঝরে অনুভব করতে-
দিনে দুইবার বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে পান করলে, বিশেষ করে সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে তা কোন ক্ষতি করে না বরং তা পরেরদিন সকালের জন্য অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।

বমি বমি ভাবের চিকিৎসা-
বেকিং সোডা ও ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড একসাথে মিশিয়ে বমি বমি ভাবের চিকিৎসায়, যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় বা রোগে যেমন হৃদ রোগ, স্নায়ুবিক রোগ, ক্যান্সার ও ফ্লু এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। এই দুইটি উপাদান একসাথে মিশে দেহের কোষ, কলা এবং অঙ্গ থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও এসিড বের করে দিয়ে এদের সংযোগকে শক্তিশালী করে।

শক্তিশালী পানীয় তৈরিতে-
আপেল সিডার ভিনেগার বা লেবুর রসের সাথে মিশালে বেকিং সোডার কার্যক্ষমতা আরো শক্তিশালী হয়। আধা চা চামচ বেকিং সোডা তে ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার বা লেবুর রস মিশালে অনেক ফেনা তৈরি হবে মিশ্রণটিতে। ফেনা কমে গেলে তাতে সামান্য পানি যোগ করে খেতে হবে।

ক্যান্সার সহ কিছু গুরুত্বর রোগের চিকিৎসায়-
বেকিং সোডা ঝোলা গুর,ম্যাপল সিরাপ বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ক্যান্সার সহ বেশ কিছু গুরুত্বর রোগের মোকাবেলা করা সম্ভব। তবে ১৪ দিনের বেশি একটানা খাওয়া উচিত নয়। ১ চা চামচ তরল ঝোলা গুঁড়ের সাথে ১ চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ম্যাপল সিরাপ এবং বেকিং সোডা ৩:১ অনুপাতে মিশিয়ে অল্প আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে হবে এবং কিছুক্ষন পর মানিয়ে মিশ্রণের থেকে ফেনা সরিয়ে ফেলতে হবে এবং মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে সেটা প্রতিদিন ১ চামচ করে একবার খেতে হবে। ম্যাপল সিরাপের মতো ঠিক একই নিয়মে মধু বেকিং পাউডারের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।

গোসলের ক্ষেত্রে বেকিং সোডার ব্যবহার-
দেহের পেশীতে টান পরা, ক্লান্তি ও ত্বকের মরা কোষ থেকে রক্ষা পেতে গোসলের পানিতে ১ কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে গোছল করলে ত্বক হবে নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল।

ভাইরাস জনিত ত্বকের প্রদাহের চিকিৎসায়-
ত্বকের প্রদাহ থেকে রক্ষা পেতে কিছু বেকিং সোডা নিয়ে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে মৃদু মালিশ করতে হবে। ঠিক এভাবে যতদিন ভালো না হয় ততদিন লাগাতে হবে।
গৃহস্থালি কাজে বেকিং সোডার ব্যবহার

পোকার কামড়ে বা পুড়ে গেলে-
বেকিং সোডার সাথে পানি দিয়ে ঘন করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ঈষ্ট হিসেবে-
বেকিং সোডা ও সমপরিমান ভিটামিন সি পাউডার মিশিয়ে ডো তৈরি করলে তা খুব দ্রুত ফুলে উঠে।

ফল ও সবজি পরিষ্কারে-
বেশি গভীরতার একটি বোলে বেশি করে পানি নিয়ে তাতে ২-৩ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ফল বা সবজি গুলো বেশ কিছুক্ষন রেখে পরে ভালো করে ধুয়ে নিলে ভালো পরিষ্কার হয় এবং বিষাক্ততা দূর হয়।

ওয়াশিং মেশিন পরিস্কারে-
বেশ কয়েকবার ব্যবহারের ফলে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ময়লা জমে যায়। আধা কাপ বেকিং সোডা দিয়ে খালি ওয়াশিং মেশিন কিছুক্ষণ ’rinse mode’ এ চালিয়ে রাখলে মেশিন ঝকঝকে হয়ে যাবে।

আটকে যাওয়া ড্রেন খোলার জন্য-
বেসিন বা কোন পাইপে ময়লা জমে প্রায়ই আটকে যায়। তখন এক কাপ বেকিং সোডা ও এক কাপ সিরকা একসাথে মিশিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া ড্রেনে ঢেলে দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।তারপর সেখানে বেশি করে গরম পানি ঢেলে দিলেই ম্যাজিকের মতো কাজ হবে।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে-
ফ্রিজে অনেক সময়ই বাজে গন্ধ হয়ে যায় সেটা দূর করার জন্য এখন আর ফ্রিজ ফ্রেশনার কিনতে হবে না। আধা কাপ বেকিং সোডা রেখে দিন।

মগ থেকে চা/কফির দাগ দূর করতে-
অনেক দিন ব্যবহারের ফলে মগ বা চায়ের কাপে দাগ হয়ে যায়। পানির সাথে কিছু বেকিং সোডা মিশিয়ে মগ বা কাপ ঘষে ধুয়ে ফেললেই নিমিষেই দাগ উঠে যাবে।

হাঁড়ি/কড়াই এর পোড়া দাগ তুলতে-
রান্না করতে গেলে কড়াই বা হাড়ি পোড়ার অভিজ্ঞতা কম বেশি সবারই আছে। কিন্তু এই পোড়া দাগ তোলা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। সিরকার সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই মিশ্রণ পাতিল বা কড়াই এ বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিলে বা খুব বেশি পোড়া হলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে ঘষে তুলে ফেলুন। খুব সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কাটিং বোর্ডের দাগ তুলতে-
কিছুদিন ব্যবহার করলেই ফল ও সবজি কাটার কাটিং বোর্ডে দাগ পরে যায়। ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা, ১ টেবিল চামচ লবন এবং ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে কাটিং বোর্ড ঘষে ঘুয়ে ফেলে দেখুন জাদু।

চুলের ব্রাশ চিরুণি জীবাণুমুক্ত করণে-
বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে চুলের ব্রাশ, চিরুণি ইত্যাদি ধুয়ে নিয়মিত ভাবে জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

প্লেট বাটি ধোয়ার ক্ষেত্রে-
ডিটারজেন্ট এর সাথে ৩ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ধুয়ে নিলে প্লেট বাটি দাগহীন ঝকঝকে হয়ে যায় এবং হাতও কোমল ও মসৃণ হয়।

হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে-
মাছ, মাংস কাটার পর হাতের বাজে গন্ধ সহজেই দূর করতে হলে বেকিং সোডা মিশ্রিত পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে খুব দ্রুত গন্ধ চলে যায়।

লেখক
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)

তথ্য সূত্র- হেলদি ফুড স্টার

208
ওজন কমানোর জন্য আমরা কত ভাবেই না চেষ্টা করি। দেখা যায় পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করার পরও অনেকেরই ওজন সহজে কমতে চায় না। এই ডায়েট প্ল্যানটিকে গত কয়েক বছরের মাঝে সবচেয়ে কার্যকরী ডায়েট প্ল্যান হিসাবে ধরা হয়। অনেকের দ্বারা স্বীকৃত এবং অনেকেই এর মাধ্যমে ভালো ফল পেয়েছেন। যারাই এটা অনুসরণ করেছেন তারাই ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করেছেন। তাই ব্যায়াম ছাড়া শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সবাই যেন প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে পারেন এরকম একটি ডায়েট প্ল্যান জানাচ্ছি।

এই ডায়েট প্ল্যানটি ১৫ দিনের জন্য। অর্থাৎ সপ্তাহে ৫ দিন করে ৩ সপ্তাহ অনুসরণ করতে হবে। এই ১৫ দিনে সকালে একই নাস্তা খেতে হবে প্রতিদিন। সেটা হলো-
সকালের নাস্তা

ফল-১ টি (কমলা, নাসপাতি, পিচ, বাঙ্গি, তরমুজ বা যেকোনো ফল। তবে কলা আর আঙ্গুর ছাড়া)
টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট- ১টি
চা/কফি- ১ কাপ (চিনি ছাড়া)
১ম দিন যা খাবেন

দুপুরে-
কমলা-১টি,
ডিম সেদ্ধ-১টি,
টক দই- ১কাপ

রাতে-
টমেটো- ২টি (কাঁচা বা সেদ্ধ)
ডিম সেদ্ধ- ২টি
টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট- ২টি
শশা- ১টি
২য় দিন যা খাবেন

দুপুরে-
কমলা-১টি,
ডিম সেদ্ধ-১টি,
টক দই- ১কাপ

রাতে-
গরুর মাংস- ১৩৬ গ্রাম (কম মশলায় রান্না করা)
টমেটো- ১টি
কমলা- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
চা/কফি- ১কাপ (চিনি ছাড়া)
৩য় দিন যা খাবেন

দুপুরে-
কমলা-১টি,
ডিম সেদ্ধ-১টি,
টক দই- ১কাপ
শশা-১ টি

রাতে-
গরুর মাংস- ১৩৬ গ্রাম(কম মশলায় রান্না করা)
কমলা- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
চা/কফি- ১কাপ (চিনি ছাড়া)
৪র্থ দিন যা খাবেন

দুপুরে-
পনির- ১৩৬গ্রাম
টমেটো- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি

রাতে-
গরুর মাংস- ১৩৬ গ্রাম (কম মশলায় রান্না করা)
টমেটো- ২টি
আপেল- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
৫ম দিন যা খাবেন

দুপুরে-
যেকোনো মাছ- ২৩০গ্রাম(কম মশলায় রান্না করা)
টমেটো- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট- ১টি

৬ষ্ঠ দিন ও ৭ম দিন কোন নির্দিষ্ট খাবার নেই যেকোনো খাবার খেতে পারেন তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মাঝে থেকে এবং তেল মশলা কম দিয়ে।

এভাবে খাওয়ার ৫ দিন পর ৫-১০ পাউন্ড ওজন কমবে। ঠিক এভাবে ২ দিন বাদ দিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন করে ৩ সপ্তাহে ৩ বার এই ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করতে হবে। তাহলে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রায় ৩৩পাউন্ডের মতো ওজন কমার সম্ভাবনা আছে। এরপর স্বাভাবিক খাবারে ফিরে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে হারানো ওজন যেন আবার ফিরে না আসে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে এবং যদি সম্ভব হয় প্রতি সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে নিচে উল্লেখিত খাবার তালিকাটি অনুসরণ করলে হারানো ওজন আবার ফিরে আসবেনা।

সকাল- এক কাপ লেবুর জুস চিনি ছাড়া
দুপুরে- ১টি আপেল, ১টি টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট
রাতে- ১টি সেদ্ধ ডিম, ১টি টমেটো, ১টি টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট

টিপস
• গরুর মাংস, সবজি রান্না করার সময় রিফাইন মশলা ব্যবহার করা যাবে না।
• বাটার টোষ্ট বিস্কিট খাওয়া যাবে না।
• চাইলে সেদ্ধ মাংস বা মাছ সবজির সাথে সালাদ করে খেতে পারেন।

সতর্কতা- অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থরাই এটা অনুসরণ করবেন।

লেখক
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)

209
Faculty Sections / How to Make Simple Tie Dye
« on: June 10, 2015, 08:31:54 AM »


1
Get a piece of fabric or shirt (ideally white cotton), coloured dye, elastic bands (number depending on the number of rings to create) and a small amount of soap. Set-up at a place with a water supply nearby (sink area).


2
Rinse the fabric in water and soap, then wring.



3
Pinch about 1 inch (2.5 cm) of the fabric at the center. Tie tightly with an elastic band.


4
Continue tying more elastic bands below each other, spacing about one inch apart. Tie as many as you like. These will create circle patterns on the fabric.



5
Soak the fabric in the dye (and salt) and boiling water mixture as instructed on pack.



6
Rinse well in clean water. The water from the squeezed fabric should run clear after. Wring the fabric.



7
Hang outside to dry.

210

ওজন কমাতে বিশেষ পদ্ধতির মাংস রান্না


দিন দিন আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে আপনার দেহের ওজন। এরই মধ্যে ফ্যাট জাতীয় সব খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছেন। খাবারের প্রতি লোভ থাকলেও সংবরণ করে চলেছেন অতি কষ্টে। অথচ প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে দেহ হয়ে পড়েছে একদম দূর্বল। কিন্তু, আপনাদের জন্য রয়েছে সুখবর! পছন্দের মাংস খাবেন, ওজন বাড়বে না বরং কমবে। তাই আসুন শিখে নেয়া যাক ওজন কমাতে বিশেষ পদ্ধতির মাংস রান্নার পদ্ধতি।
যা যা লাগবে
— চর্বি ছাড়া মুরগী,
— গরু বা খাসির মাংস টুকরো আধা কেজি,
— লেবুর রস ২ চা চামচ,
— পিঁয়াজকুচি বড় ১ টি,
— কাঁচা মরিচ কুচি ২টি,
— রসুন মিহি কুচি ২ কোয়া,
— আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ,
— ভিনেগার ১ চা চামচ,
— টক দই আধা কাপ,
— মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ,
— জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ,
— ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ,
— গরম মশলা গুঁড়া আধা চা চামচ,
— লবণ স্বাদমতো,
— তেল এক টেবিল চামচ।
 
যেভাবে করবেন
— একটি বাটিতে মাংসের টুকরোতে লেবুর রস, কাঁচামরিচ কুচি, আদা রসুন কুচি, ভিনেগার আর পিঁয়াজ কুচি দিয়ে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। অন্য একটি বাটিতে টক দই, লবণ, ধনে, জিরা, মরিচ, গরম মসলা গুঁড়া, তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।
— এবার মেখে রাখা মাংসের সঙ্গে মিশ্রণটি মিশিয়ে আরও ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। একটি নন স্টিক পাতিলে করে মাঝারি আঁচে মেখে রাখা মাংস দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাংস থেকে পানি বের হতে থাকবে।
— পাঁচ মিনিট পর সামান্য একটু পানি দিয়ে মৃদু আঁচে আরও ১৫ মিনিট রান্না করতে হবে। ঝোল শুকিয়ে এলে মাংস নামিয়ে আনুন।
— যারা নিজেদের বেশি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা মজার এই খাবারটি খেতে পারেন একদম চিন্তা বাদেই। বরং খুশি থাকুন ওজন কমে যাওয়ার আশায়।
 
সুত্রঃ ইন্টারনেট


Pages: 1 ... 12 13 [14] 15