Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Umme Salma Panna

Pages: 1 2 3 [4] 5 6
46
Useful information for Outing.

47
ঢাকা : দোকানে মিনারেল ওয়াটার, কোকা-কোলা, সেভেনআপ, স্প্রাইট, আরসি কোলা ইত্যাদি পানীয় এবং বিভিন্ন ফলের জুস পাওয়া যায় প্লাস্টিকের বোতলে। এ বোতলগুলো পলিইথিলিন টেরেপথেলেট নামের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। যা একবার ব্যবহার্য। কিন্তু এ বোতলগুলো হরহামেশাই একাধিকবার ব্যবহার হচ্ছে। আমরা প্রায় সবাই এগুলো সপ্তাহ বা মাস ধরে বারবার ব্যবহার করি। বস্তুত যতোদিন নষ্ট না হচ্ছে, ততোদিনই ব্যবহার করি।

বাইরে বের হলে সঙ্গে পানি বহন বা ফ্রিজে রাখার জন্য এই প্লাস্টিকের বোতলই ভরসা। কারণ আলাদা করে  পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। আমরা ভেবে থাকি, বোতলে পানিই তো ছিল, ময়লা হওয়ার সুযোগ কোথায়। কিন্তু আসলেই কি তাই? তাহলে সাবধান। প্লাস্টিক বোতলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মহাবিপদ। একই প্লাস্টিক বোতল বারবার ব্যবহারের ফলে শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে বাইরে থেকে পানি কিনে খান অনেকে। আবার সেই পানির বোতলেই পানি ভরে ব্যবহার করেন। বারবার এই প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারের ফলে জন্ডিসসহ বিভিন্ন পেটের সমস্যাজনিত রোগ দানা বাঁধছে শরীরে।

যাদবপুরের কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, ‘বাজারে যেসব প্লাস্টিকের বোতল বিক্রি হয়, সেগুলো নষ্ট হয় না। বহুদিন থেকে যায়। আর এই প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহার করলে তার মধ্যে প্যাথজেনিক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।’

সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, ‘আমরা পানি পান করি। তারপর সেই বোতলের মুখ ভালো করে বন্ধ করি না। বোতলে আবার পানি ভরলে, চিনি বা গ্লুকোজ জাতীয় তরল ভরলে তা থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এর থেকে জন্ডিস, লিভার ও কিডনির সমস্যা হতে পারে।’
 
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণার এক সদস্য উত্তরীয় রায় বলেন, ‘প্লাস্টিকের বোতল ভালো করে না ধুয়ে আবার পানি পান করলে ব্যাকটেরিয়া শরীরে যেতে পারে। তবে যে ব্যাকটেরিয়া সবচেয়ে বেশি শরীরে ঢোকে তা হল কে টেরিজেনা।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিশুদের যেভাবে প্লাস্টিকের ফিডিং বোতলে দুধ খাওয়ানো হয়, তাতে শিশুদের শরীরেও ব্যাকটেরিয়া যায়। যার ফলে শিশুদের ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে প্লাস্টিকের বোতল ভালো করে ধুয়ে পানি পান করতে হবে।’ পারলে প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।

বাংলামেইল২৪ডটকম/ এস

48
এ বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণিতে উপজেলাভিত্তিক অভিন্ন প্রশ্নে মূল্যায়ণ পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে দেয়া হবে মেধাবৃত্তি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, অন্যান্য বার্ষিক পরীক্ষার মতোই এই পরীক্ষা নেয়া হবে।

শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে প্রাথমিক শিক্ষা এখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এ বছর আর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী বা পিএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। পিএসসি পরীক্ষার মেধা তালিকা থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেয়া হতো।

কিন্তু এ পরীক্ষা না থাকায় মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ জন্য বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধাতেই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেছেন, আগে সেরা মেধাবীদের বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হতো। শিক্ষকদের নজরও থাকতো তাদের দিকে বেশি। তবে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে সব শিক্ষার্থীকেই। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে।

চ্যানেল আই অনলাইন : মোস্তফা মল্

49
আজকের দিনে আমরা প্রায় সবাই বাড়িতে গ্যাস-সিলিন্ডার ব্যাবহার করি। অনেক সময় শোনা যায় যে সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে মানুষ মারা গেছেন। কিন্তু এই ব্লাস্ট কেন হয় তা আমরা অনেকেই জানি না। সবজিনিসের মত সিলিন্ডারেরও মেয়াদ শেষ বা expire date থাকে যা আমরা অনেকে জানি না। মেয়াদ শেষ হওয়া কোনও সিলিন্ডারকে ঘরে রাখা মানে টাইম বম রাখার সমান। ব্যাপার হল আমরা চিনব কিভাবে যে সিলিন্ডার মেয়াদপুর্ন?

ফটোতে মার্ক করা কালো রঙের লেখাটাই হল এক্সপায়ারি ডেট। এখানে A,B,C,D সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়েছে। A= বছরের প্রথম তিন মাস যেমন জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ। B= তার পরের তিন মাস যেমন, এপ্রিল, মে, জুন। একইভাবে C,D দ্বারা ক্রমানুসারে বাকি ছয় মাসকেই বোঝানো হয়। আর সবার শেষে বছরের শেষ দুই ডিজিট থাকে, অর্থাৎ C13 (2013 ইং) যদি C18 থাকে তারমানে হল 2018 সালের জুলাই, আগস্ট, অথবা সেপ্টেম্বর মাসেই আপনার সিলিন্ডারের মেয়াদ বা (expire date) হবে।

50
সাধারণত সালাদ তৈরিতে আমরা কী কী ব্যবহার করি? লবণ, গোলমরিচ এবং লেবু এই তো? এই লবণ, গোলমরিচ এবং লেবুর আলাদা আলাদা স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। আপনি কি জানেন এই তিনটির মিশ্রণ সারা বিশ্বে অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়? শুধুমাত্র এই তিনটি উপাদান কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া সারিয়ে তুলবে আপনার অসুখ।

১। গলা ব্যথা
১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ লবণ এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন দিনে দুইবার। এটি গলার কফ তরল করে গলা ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকবে।

২। বন্ধ নাক
সমপরিমাণে গোল মরিচ গুঁড়ো, দারুচিনি, এলাচ এবং জিরা গুঁড়ো এক সাথে গুঁড়ো করে নিন। এই মিশ্রণটি ঘ্রাণ নিন। আর দেখুন কত সহজেই আপনার বন্ধ নাক পরিষ্কার হয়ে গেছে।

৩। পাথর দূর করতে
পিত্তকোষ বা গলব্লাডারে পাথর খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এটি পরিপাক নালী ব্লক, ব্যথা হজমের সমস্যা আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। এই পাথর দূর করতে সাহায্য করবে এই মিশ্রণটি। তিন অংশ অলিভ অয়েল, এক অংশ লেবুর রস এবং এক অংশ গোল মরিচের গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এটি পান করুন। এটি পাথর দূর করতে সাহায্য করবে।

৪। মুখের ঘা
এক টেবিল চামচ বিট লবণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে মুখের ঘা ভাল করে দিয়ে থাকে।

৫। ওজন হ্রাস
১/৪ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি আপনার মেটাবলিজমকে উন্নত করে থাকে। লেবুতে পলিফেনল নামক উপাদান রয়েছে যা শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং শরীরের চর্বি পুড়িয়ে দিয়ে থাকে।

৬। বমি বমি ভাব
অস্থির পাকস্থলিকে শান্ত করতে গোল মরিচ বেশ কার্যকর। এছাড়া লেবুর গন্ধ বমি বমি ভাব দূর করে থাকে। এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি আস্তে আস্তে পান করুন। এটি বমি বমি ভাব দূর করে দিবে এক নিমিষে।

৭। দাঁত ব্যথা
১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো এবং ১/২ চা চামচ লবঙ্গের তেল মিশিয়ে ব্যথার দাঁতে রাখুন। এটি দ্রুত দাঁতের ব্যথা কমিয়ে দিবে।

৮। ঠান্ডা এবং ফ্লু
অর্ধেকটা লেবুর রস এবং এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি ঠান্ডা দূর করে দিবে। এছাড়া লেবুর খোস ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর মধু মিশিয়ে এটি পান করুন।

৯। নাকের রক্ত বন্ধ
এক টুকরো তুলোর বল লেবুর রসে ভিজিয়ে নিন। এরপর এটি নাকে ধরে রাখুন। কিছুক্ষণে মধ্যে দেখবেন নাকের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

১০। অ্যাজমা অ্যাটাক
১০ গ্রাম গোল মরিচ গুঁড়ো, ২টি লবঙ্গ এবং ১৫ টি তুলসি পাতা এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ১৫ মিনিট ফুটানো হয়ে গেলে এতে ২ টেবিল চমাচ মধু মিশিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এটি ফ্রিজে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখতে পারবেন। ভাল ফল পেতে দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। আপনি যদি হাঁপানির রোগী হয়ে থাকেন তবে এই মিশ্রণটি ঘরে তৈরি করে রাখুন।

51
নাস্তায় প্রায়ই খাওয়া হয় যে ফলটি তা হল কলা। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ সদ্যপাকা কলা খেতে পছন্দ করেন। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলে এর চামড়ায় কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। আর এই দাগের কারণে বেশির ভাগ সময় অতিরিক্ত পাকা কলা ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই অতিরিক্ত পাকা কলার রয়েছে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগুণ?

১। পুষ্টির পরিমাণ
প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হল কলা। কলা যখন অতিরিক্ত পেকে যায় এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২। বুক জ্বালাপোড়া রোধ
কলাতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অ্যাসিড রয়েছে যা বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে। বুক জ্বালাপোড়া করলে একটি কলা খান দেখবেন অনেকখানি কমে গেছে।

৩। রক্তচাপ
কলা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি স্টোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে।

৪। হজমশক্তিতে বৃদ্ধিতে
অতিরিক্ত পাকা কলায় ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়, যার কারণে এটি সহজে হজম হতে পারে।

৫। ক্যান্সার প্রতিরোধে
২০০৯ সালে জাপানিজ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত পাকা কলাতে টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ ভেঙ্গে দেয়। এটি ক্যান্সার নিরাময় করে না তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৬। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
কলাতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পাকা কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৭। রক্তস্বল্পতা দূর করতে
কলায় আয়রন রক্ত কোষকে উজ্জীবিত করে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা রক্ত স্বল্পতা দূর করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন একটি পাকা কলা।

52
অনলাইন ডেস্ক : অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণ পেট ব্যথার তুলনায় বেশ আলাদা। এটা শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় শল্যচিকিৎসা নিতে হয়। অনেক সময় এ ব্যথাকে আমল না দিয়ে নানা রকম ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এতে পরবর্তী সময়ে রোগীর শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়।
মানুষের বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো কনিষ্ঠ আঙুলের মতো একটি সরু থলের নাম অ্যাপেন্ডিক্স। লম্বায় এটি ২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। থাকে তলপেটের ডান দিকে। এর সঠিক কাজ যে কী, তা এখনো অস্পষ্ট। কিন্তু এই ছোট্ট থলেতে আকস্মিক প্রদাহ হলে দেখা দেয় অসহনীয় ব্যথা। এর নাম অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
কেমন এই ব্যথা : অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপর থেকে শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকের অংশে ব্যথাটা স্থায়ী হয়। থেমে থেমে ব্যথা ওঠে সেটা তীব্র ও হালকা—দুই রকমেরই হতে পারে। এ ছাড়া বমি বমি ভাব বা দু-একবার বমি হতে পারে। সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ব্যথা তীব্র হলে রোগী হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়। তবে হালকা ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে। কেননা, পরবর্তী সময়ে রোগীর অ্যাপেন্ডিক্সের চারদিকে বিভিন্ন উপাদান জমা হয়ে পেটে একটি চাকা বা ফোঁড়া তৈরি হতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে খাদ্যনালির ভেতরের বিভিন্ন উপাদান, পরিপাক হয়ে যাওয়া খাবারের অংশ ও মল বেরিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পেটের ভেতরে, এমনকি রক্তেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গুরুতর সংক্রমণ। এ ধরনের ঘটনায় রোগীর জীবনের আশঙ্কাও দেখা দেয়ে।
চিকিৎসা কী : অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

53
Very helpful information.

58
আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় তৈরি সব বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে কিডনির মাধ্যমেই বের হয়ে যায়। কিডনি অকার্যকর হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে কিডনি অকার্যকারিতার হার ক্রমাগত বাড়ছে। আর কিডনি রোগ চিকিৎসার জনবল ও অবকাঠামো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই দুর্বল। তাই কিডনি সুস্থ রাখার দিকে নজর দিতে হবে এখনই।
কিডনি কেন নষ্ট হয়?
কিডনির অকার্যকারিতা দুই ধরনের। একটা হলো, স্বল্প সময়ে কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়া। কোনো কারণে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ কমে গেলে, যেমন: মারাত্মক ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতায় এমন ঘটতে পারে। এর মূলে রয়েছে সুপেয় ও নিরাপদ পানির অভাব। পানিবাহিত রোগবালাই (যেমন: ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি) হলো এ ধরনের কিডনি অকার্যকারিতার প্রধানতম কারণ। টাইফয়েড বা ডেঙ্গুজ্বর, অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশকজাতীয় ওষুধ সেবনের কারণেও হঠাৎ কিডনির সমস্যা হতে পারে। গ্রামাঞ্চলে অনিরাপদ উপায়ে প্রসবের কারণে অতি রক্তক্ষরণ হয় বা বিলম্বিত প্রসবের কারণেও কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাই দেখা যাচ্ছে এ সমস্যার কারণগুলো প্রায় সবই প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য প্রয়োজন একটু সচেতনতা আর সতর্কতা।আরেক ধরনের কিডনি অকার্যকারিতা হয় ধীরে ধীরে। একে বলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ এবং কিডনির নিজস্ব কিছু রোগ এমন সমস্যার জন্য প্রধানত দায়ী। এই সমস্যার হার আমাদের দেশে বাড়ছে।
কিডনির চিকিৎসা ব্যয়বহুল.
কিডনি অকার্যকারিতার সবচেয়ে শেষ ধাপ হচ্ছে এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ। এই পর্যায়ে ডায়ালাইসিস করাতে হয় অথবা প্রতিস্থাপন। দেশে চাহিদার তুলনায় কিডনি রোগের চিকিৎসা খুবই অপ্রতুল। তাই প্রতিরোধের দিকে নজর দেওয়া বেশি জরুরি। কিডনির সুস্থতার জন্য সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক সম্প্রদায় ও কর্তৃপক্ষ—সবারই সচেতনতা দরকার।
কীভাবে কিডনি ভালো থাকবে?
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতো রোগ যথাসময়ে নির্ণয় করা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুনিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। বয়স ৪০ পেরোনোর পর প্রত্যেকেরই উচিত রক্তে শর্করা, রক্তচাপ ও প্রস্রাবে আমিষ ইত্যাদি পরীক্ষা করা। ধূমপান বর্জন করুন। ওজন যেন না বাড়ে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। খাবারে লবণের পরিমাণ কমান। আমরা প্রতিদিন প্রায় ১০ গ্রামের মতো লবণ খাই, কিন্তু ৬ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়। অকারণ ওষুধ খাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে বা দোকানদারের পরামর্শে তো নয়ই। নিরাপদ পানি পান করুন। সরকার যথাসময়ে কিডনি রোগ নির্ণয়ের লক্ষ্যে দেশের ১২ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের জনবলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে, যাঁরা রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও প্রস্রাব পরীক্ষা করে স্ক্রিনিং করতে পারবেন। ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নিকটস্থ পাবলিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। কেবল এটুকু উদ্যোগেই ৬ কোটি মানুষ কিডনি অকার্যকারিতার ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবে।

অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ : কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা

59
ICT / Re: আইফোনের `I` এর মানে কী?
« on: May 30, 2016, 10:50:22 AM »
Stive Jobs was so prudent that he could realize the importance of Internet and put his mobiles name I-Phone.

Pages: 1 2 3 [4] 5 6