Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mst. Eshita Khatun

Pages: [1] 2 3 ... 10
1
Thanks for sharing

2
Wow its great

4
আমাদের বিশ্ব আগের চেয়ে আরও বেশি সংযুক্ত
বিদায় নিচ্ছে ২০২১। করোনা মহামারিসহ নানা কারণে ঘটনাবহুল ছিল বছরটি। তবে কঠিন সংকটের মধ্যেও এ বছর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে নিজের ব্লগ ‘গেটসনোট’-এ গত মঙ্গলবার পর্যালোচনা তুলে ধরেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। পাশাপাশি ২০২২ সাল নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। আজ প্রথম পর্ব।

বৈশ্বিক বড় সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য নানা দেশ ও খাতের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়—বিষয়টি আগে কখনোই এতটা স্পষ্ট ছিল না।

অবিশ্বাস্য কঠিন এক বছর ছিল ২০২১ সাল, আমিসহ অনেকের উপলব্ধিই এমন। কিন্তু আমি আশাবাদী, ২০২২ সাল অপেক্ষাকৃত ভালো হবে।

এ বছর অন্যতম ভালো খবর হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়ার টিকার অনুমোদন দিয়েছে।

বিল গেটস
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ১২
অ+
অ-
বিল গেটস
বিল গেটস
পল অ্যালেন ও আমি যখন মাইক্রোসফট শুরু করছিলাম, তখন আমাদের একটি স্বপ্ন ছিল। সেটা হলো, ব্যক্তিগত কম্পিউটার একদিন মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু আমি মনে করি না যে আমরা কেউই এমন একটি ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিয়েছি, যেখানে সেটাই হবে বিশ্বের সঙ্গে আপনার একমাত্র সংযোগমাধ্যম। অনেক মানুষের মতো এ বছর এমন সব দিন গেছে, যেখানে আমার সব ধরনের যোগাযোগ হয়েছে একটি স্ক্রিনের মাধ্যমে।

ফলে এটা আমার জীবনের সবচেয়ে অস্বাভাবিক ও কঠিন বছর হয়ে ওঠে। (ধারণা করছি, এই লেখা পড়ে অনেকেই একই কথা বলতে পারেন)। কোভিড-১৯ সবকিছুকে ওলটপালট করে দেওয়ার আগে ২০২০ সালে অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিকতার একটি সংক্ষিপ্ত সময় ছিল। ২০২১ সালের প্রথম দিন থেকেই মহামারি আমাদের জীবনে আধিপত্য বিস্তার করেছে। আমাদের সবাইকে একটি ‘নতুন স্বাভাবিকের’ সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছে। যদিও তা দেখতে কেমন, সেটি প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, বছরটির বেশির ভাগই অনলাইনে কাটিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমি মানুষের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ ছাড়াই বিরামহীনভাবে সময় পার করেছি। আমি যদি মিটিংয়ের মধ্যে বিরতি পেতাম, তাহলে ভিন্ন কিছু দেখার জন্য আমার বাড়ির ফাঁকা জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। কাজের পরে আমি অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে ব্রিজ খেলতাম বা ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। টিকা নেওয়ার পর আমি কিছু ছোটখাটো মিলনমেলায় সশরীর যাওয়া শুরু করি। কিন্তু আমার সামাজিক জীবন এখনো আগের চেয়ে অনেক বেশি ডিজিটাল।

এটা একটা অদ্ভুত ও বিভ্রান্তিকর অভিজ্ঞতা। গত ১২ মাসে আমার ব্যক্তিগত জগৎ যতটা ছোট মনে হয়েছে, তা আগে কখনো মনে হয়নি।

২০২২ সালে যে চারটি বিষয় আমার মনে গুরুত্বের শীর্ষে থাকবে, সেগুলো সম্পর্কে লিখতে চেয়েছিলাম: কোভিড-১৯ মহামারি অবসানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ অগ্রগতি; কেন প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হ্রাস আমাদের চলার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে; জলবায়ু আলোচনা আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে কী শিক্ষা দিতে পারে; এবং মহামারির দ্বারা হওয়া দ্রুত ডিজিটাইজেশন কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ গঠন করবে।
একই সময়ে এই বছর এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে যে আমাদের পৃথিবী আগের চেয়ে আরও বেশি সংযুক্ত। চরম আবহাওয়া, মহামারির চলমান প্রভাব, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়াসহ নানা বৈশ্বিক ঘাত–প্রতিঘাতের ঘটনায় পরিপূর্ণ ছিল ২০২১ সাল। প্রতিবার আপনি যখন খবরের দিকে তাকিয়েছেন, আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বিশ্বের অন্য প্রান্তে ঘটে চলা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাগুলো কীভাবে আপনার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে (শুধু দেখুন, কীভাবে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এক সপ্তাহ ধরে সুয়েজ খালে আটকে থাকার কারণে সারা বিশ্বে শিপিং বিলম্বিত হয়েছে)। বিষয়টি কখনোই এতটা স্পষ্ট ছিল না যে বড় সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য নানা দেশ ও খাতের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

শিশুদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। চীনের পূর্ব ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংবোতে
শিশুদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। চীনের পূর্ব ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংবোতে ছবি: এএফপি
এ বছর আমার কাজের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত প্রতিপাদ্য হয় সহযোগিতা। আমার বেশির ভাগ সময় ফাউন্ডেশনের পেছনে ব্যয় করে চলছি। ২০২১ সালে আমাদের দল ও অংশীদারদের অর্জন করা আশ্চর্যজনক অগ্রগতি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। যাঁরা আমাদের কোভিড সাড়া নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে বেশির ভাগ সপ্তাহে আমাদের ভার্চ্যুয়াল মিলনমেলা হয়। প্রতিটি মিটিংয়ে একটি ভিন্ন বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। যেমন: রোগের মডেলিং বা টিকা বিতরণ। বিভিন্ন গ্রুপ কীভাবে সমাধান খুঁজে পেতে একত্রে কাজ করছে, তা শোনাটা অনুপ্রেরণাদায়ক।

আমাদের বিশ্ব আগের চেয়ে আরও বেশি সংযুক্ত
ফাইল ছবি: রয়টার্স
যদিও কোভিড-১৯ একটা বড় গুরুত্ব পেয়েছে, তা সত্ত্বেও ফাউন্ডেশন অন্যান্য ক্ষেত্রে তার অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। আমাদের মার্কিন কর্মসূচি মহামারি যুগের শিক্ষার অদ্ভুত নতুন বিশ্বে কার্যক্রম পরিচালনায় ছাত্র ও শিক্ষকদের সাহায্য করার জন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। আর আমার যে সহকর্মীরা লিঙ্গসমতা নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা আরও ন্যায়সংগত বিশ্ব পুনর্গঠনের জন্য লড়াই করছেন।

বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন দলগুলো পোলিও, টিবি, এইচআইভির মতো রোগের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি রক্ষা এবং শিশুমৃত্যুর হার কমানোর অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য সৃজনশীল সব উপায় খুঁজে পেয়েছে। (আশঙ্কা অনুযায়ী মহামারি কীভাবে অতটা বাজেভাবে আমাদের ক্ষতি করতে পারেনি, তা এ বছরের গোলকিপার্স রিপোর্টে উঠে এসেছে) সবচেয়ে উদ্দীপনার যে বিষয়গুলো ঘটেছে, তার মধ্যে একটি হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ম্যালেরিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। যাদের অর্ধেকের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। ম্যালেরিয়া এখনো নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে রয়ে গেছে। আমরা ২০০১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে টিকার শেষ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করেছি। কীভাবে এটির কার্যকারিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ের গবেষণাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। কীভাবে দ্বিতীয় প্রজন্মের টিকা তৈরি করা যায়, কীভাবে প্রতিরোধমূলক সরঞ্জাম তৈরি করা যায়, যা সব বয়সীদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আরও বেশি কার্যকর, যা রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের সাহায্য করতে পারে, সে সম্পর্কে এই নতুন টিকা আমাদের অন্তর্দৃষ্টি জোগাচ্ছে।

এ বছর আমার জলবায়ু-সংক্রান্ত কাজের একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হয়েছে। আমি আমার কীভাবে জলবায়ু বিপর্যয় এড়ানো যায়’ শীর্ষক বই প্রকাশ করেছি। নতুন ক্লিন-এনার্জি প্রযুক্তিতে অর্থায়ন, উৎপাদন, কেনাকাটায় সহায়তার জন্য ব্রেকথ্রু এনার্জি ক্যাটালিস্ট ও ফেলো প্রোগ্রাম চালু করেছি। আমাদের প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করার জন্য আমার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বোধ করার কারণ হলো, ব্রেকথ্রু এনার্জি ভেঞ্চারস থেকে আমি অবিশ্বাস্য অগ্রগতি দেখেছি, যেখানে আমরা এখন ৭০টির বেশি বিস্ময়কর কোম্পানিকে সমর্থন দিচ্ছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ম্যালেরিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। যাদের অর্ধেকের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
আমি দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু ও এনার্জি ইস্যু নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু গত ১২ মাসে এই ক্ষেত্র আমার গুরুত্বের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে। আমি কিছু নন-ফাউন্ডেশন এবং জলবায়ুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়—এমন ক্ষেত্রে কাজ করার জন্যও সময় পেয়েছি। যেমন আলঝেইমার গবেষণা ও শিক্ষকদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষাসংক্রান্ত সম্পদের প্রসার।

যদিও আমি মনে করি, যে বিষয়গুলো নিয়ে আমি কাজ করছি, তা আমার বছরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। তবে আমি জানি, অনেক লোক আমার বিবাহবিচ্ছেদের বিষয় সম্পর্কে কৌতূহলী। মেলিন্ডা ও আমি একসঙ্গে আমাদের ফাউন্ডেশন চালিয়ে যাচ্ছি। একটি ভালো নতুন কাজের ছন্দ পেয়েছি। তবে আমি অস্বীকার করতে পারি না যে এটি আমার জন্য একটি বড় ব্যক্তিগত বেদনার বছর। পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কখনোই সহজ নয়, তা যা-ই হোক না কেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমার প্রিয়জনেরা, বিশেষ করে আমার সন্তানেরা কতটা পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, তা দেখে আমি ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছি।

আপনি সম্ভবত খবরে যা দেখেছেন, তার বাইরে আমার পরিবারও অনেক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছে। আমার বড় মেয়ে জেনিফার এই শরতে বিয়ে করেছে। তার বিয়ে আমার জন্য বছরের উজ্জ্বলতম বিষয় ছিল। আমাদের সবচেয়ে ছোট মেয়ে ফোবি হাইস্কুল শেষ করে কলেজে গেছে। যেহেতু আমার ছেলে ররিও দূরে, তার মানে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে একা। সারাক্ষণ একদল কিশোর-কিশোরীর উপস্থিতি ছাড়া বাড়িটি অনেকটা নিরিবিলি। আজকাল বই পড়া বা কাজ করায় মন দেওয়া সহজ হলেও আমি বাড়িতে তাদের অনুপস্থিতি অনুভব করি।

এ বছর আমার জলবায়ু-সংক্রান্ত কাজের একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হয়েছে।আমাদের প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করার জন্য আমার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বোধ করার কারণ হলো, ব্রেকথ্রু এনার্জি ভেঞ্চারস থেকে আমি অবিশ্বাস্য অগ্রগতি দেখেছি, যেখানে আমরা এখন ৭০টির বেশি বিস্ময়কর কোম্পানিকে সমর্থন দিচ্ছি।
বিজ্ঞাপন

২০২১ সাল আমার জন্য একটি বড় পরিবর্তনের বছর। কিন্তু আমি যে কাজটি করি, তা কেন ভালোবাসি, সেটার পরিবর্তন হয়নি। বছর শেষ হয়ে আসায় আমি বসতে চেয়েছিলাম। ২০২২ সালে যে চারটি বিষয় আমার মনে গুরুত্বের শীর্ষে থাকবে, সেগুলো সম্পর্কে লিখতে চেয়েছিলাম: কোভিড-১৯ মহামারি অবসানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ অগ্রগতি; কেন প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হ্রাস আমাদের চলার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে; জলবায়ু আলোচনা আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে কী শিক্ষা দিতে পারে; এবং মহামারির দ্বারা হওয়া দ্রুত ডিজিটাইজেশন কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ গঠন করবে।

(চলবে)

ভাষান্তর: সাইফুল সামিন

5
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তব্য ছড়াতে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। আর ফেসবুকও এ বক্তব্য অনুমোদন দিয়েছে। এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দিয়েছে ফেসবুক।

মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফেসবুকের কাছে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দাবি করা হয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এ অভিযানে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা নিহত হন। লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে ঘৃণা ও মারাত্মক ভুল তথ্য প্রচারে বাধা দেয়নি ফেসবুক।
যেসব অভিযোগ
যুক্তরাজ্যে থাকা কয়েকজন রোহিঙ্গার প্রতিনিধি হিসেবে দেশটির একটি আইনি সংস্থা ফেসবুককে একটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে ফেসবুকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—

* রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে ফেসবুক।
* মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত মডারেটর ও ফ্যাক্ট চেকারদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ফেসবুক ব্যর্থ হয়েছে।
 রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়া পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক।
* বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থা বারবার সতর্ক করার পরও এ বিষয়ে ফেসবুক যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতেও ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, বাজার ধরতে রোহিঙ্গাদের জীবন নিয়ে ব্যবসা করেছে ফেসবুক।

7
Common Forum / Re: অচিন পাখী
« on: December 10, 2021, 01:22:54 AM »
Beatiful

8
According to reports, the long-rumoured in-house smartwatch from Google will finally launch in 2022.

Insider reports that a smartwatch from Google codenamed Rohan will launch next year. When it hits the market, it will probably launch commercially as the Pixel Watch.

Rohan is said to have a round design without a physical bezel. Google employees have reportedly been allowed to use the prototype for feedback purposes but claim that it currently needs to be charged daily.

Jon Prosser spoke of the existence of a Google smartwatch under the codename of Rohan earlier this year and created some renders in collaboration with RendersByIan:
Google’s wearable efforts have left much to be desired, especially when compared to the Apple Watch. However, it hasn’t been entirely Google’s fault.

Apple fans often boast of how the company is able to offer a great experience through having tight control over both the software and hardware of its devices. Google, meanwhile, has been forced to rely on third-party hardware.

WearOS devices have used Qualcomm Wear chips that, for a long time, used the now-archaic 28nm process and offered sluggish performance and poor battery life.

Last year, Qualcomm released the Wear 4100 chip which bumped up to using a 12nm process with four A53 CPU cores clocked at 1.7GHz. However, the only manufacturer to use it was Mobvoi.
What has been in Google’s control is the WearOS software which has seemed to be just ticking (pun intended) along. Most updates have been quality-of-life rather than major features. Google just hasn’t shown much interest in its wearable platform

Fixing WearOS
On the hardware front, Google is known to be working on its own chips for Pixel devices. These may not make it into the company’s wearables – at least not initially – but it would allow Google to have the same tight hardware-software integration as Apple.

Even if Google doesn’t use its own chip, the Wear 4100 is now perfectly adequate. There’s also the option of using a chip from its new WearOS partner, Samsung

9
great

10
চার্জিং পোর্টকে বিদায় জানাচ্ছে অ্যাপল। নতুন মডেলের আইফোনে আর দেখা যাবে না চার্জিং পোর্ট। এর বদলে ডিভাইসটি হবে সম্পূর্ণ তারবিহীন বা ওয়্যারলেস। এরই মধ্যে চার্জিং পোর্ট ছাড়া আইফোন তৈরিসংক্রান্ত গবেষণা এগিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। ২০২১ সাল নাগাদ আইফোনের নতুন মডেলে সর্বাধুনিক এ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এমনটাই জানিয়েছেন হংকংভিত্তিক টিএফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের অ্যাপলসংক্রান্ত শীর্ষ বিশ্লেষক মিং-চি কুও।

অ্যাপলের নতুন নতুন ডিভাইস ও ব্যবসা কৌশল নিয়ে বিশ্বব্যাপী যারা গবেষণা করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মিং-চি কুও। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ওয়্যারলেস চার্জিং পোর্টের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে অ্যাপল। ২০২১ সাল নাগাদ আইফোনের নতুন মডেলগুলোয় আর চার্জিং পোর্ট থাকছে না। সর্বাধুনিক এ সুবিধা যুক্ত করার কারণে আইফোনের দামও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

11
মাইক্রোসফট সার্ভিস এবং ক্লাউড সেবা অ্যাজারের ৪ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারী চুরি যাওয়া পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন সময় হ্যাকারদের কবলে পড়া ডাটায় এসব পাসওয়ার্ড রয়েছে। গত সপ্তাহে মাইক্রোসফট সিকিউরিটির প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ভয়ংকর এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। খবর জিডিনেট।

থার্ড পার্টি সোর্সের মাধ্যমে চুরি যাওয়া ৩০০ কোটির বেশি অনলাইনে পরিচয়জ্ঞাপক তথ্য (ক্রেডেনশিয়াল) বিশ্লেষণ করেছে মাইক্রোসফট। এরপর সেসব তথ্য মাইক্রোসফট করপোরেশনের বিভিন্ন সেবা ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।

তাতে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত মাইক্রোসফট সার্ভিসেস অ্যাকাউন্ট এবং অ্যাজার অ্যাড অ্যাকাউন্টের ৪ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারীর সঙ্গে চুরি যাওয়া তথ্য মিলে গেছে। এসব ব্যবহারকারীকে পরে তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

এ ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকার বা অন্য অপরাধীরা যখন খোয়া যাওয়া বা দৈবচয়নে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল হাতে পেয়ে যায়, তখন তারা দ্বিতীয়বার আক্রমণ করতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রমণকারী ওই ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহারকরে ব্যবহারকারীর অন্য অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে। ফলে এটা মিলে গেলে আক্রমণের শিকার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সর্বস্ব লুট হয়ে যেতে পারে।

মাইক্রোসফট বলছে, চুরি যাওয়া ক্রেডেনশিয়ালের পাসওয়ার্ড যারা ব্যবহার করছিলেন, তাদের পাসওয়ার্ড রিসেট করতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে যারা একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিকিউর অথ করপোরেশনের স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চের পরিচালক মার্টিন গ্যালো প্রযুক্তি পত্রিকা সিলিকন অ্যাঙ্গেলকে বলেন, আমরা জানি, একই পাসওয়ার্ড বারবার বা একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করার সমস্যাটি এখনো ব্যাপকভাবে রয়েছে। এক্ষেত্রে ক্রেডেনশিয়াল যখন চুরি হয়ে যায়, তখন ঝুঁকি আরো বাড়ে।


 
মাইক্রোসফটের ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। মার্টিন গ্যালো বলেন, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তায় এ কৌশলটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং একই পাসওয়া

র্ড বারবার ব্যবহার রোধে কার্যকর। তবে এটির প্রতি ব্যবহারকারীদের অনীহা আশঙ্কাজনক। এ পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে খুবই ধীরগতিতে।তিনি বলেন, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার না করার পক্ষে কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়। কারণ যেকোনো সফল কোম্পানির মূলমন্ত্র উৎপাদনশীলতা। মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অ্যান্ড ইউজারের কাজকে ব্যাহত করে এবং নিদেনপক্ষে ব্যবসার গতি শ্লথ করে দেয়। তবে মাইক্রোসফটের এ প্রতিবেদন তাদের জন্য ‘ওয়েকআপ কলের’ মতো কাজ করবে।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে নো বি ফোর ইনকরপোরেশন। এ প্রতিষ্ঠানের জাভাদ মালিক বলেন, বর্তমানে একই ব্যক্তি বিভিন্ন সেবা ও অ্যাপ ব্যবহার করে যেগুলোতে সাইন আপ করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর একই ক্রেডেনশিয়াল বারবার ব্যবহার করাটা খুবই স্বাভাবিক। এ কারণে তিনি সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের সচেতন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বলতে কী বুঝায়, ক্রেডেনশিয়াল কীভাবে কাজ করে এবং কোন কৌশল অবলম্বন করলে এ তথ্য নিরাপদ থাকবে, এটি হাতে-কলমে দেখিয়ে না দিলে অনেকে বুঝতে পারেন না- যোগ করেন মালিক।
মাইক্রোসফটের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্রেডেনশিয়াল চুরির প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয়া গেছে।

12
Interesting

13
Wow great Content

14
বিজ্ঞাপনে ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য’ ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক সেবাদাতা হিসেবে দাবি করেছিল টি-মোবাইল
বিজ্ঞাপনে ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য’ ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক সেবাদাতা হিসেবে দাবি করেছিল টি-মোবাইলপিক্সাবে
বিজ্ঞাপনে নিজেদের ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য’ ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক সেবাদাতা হিসেবে দাবি করেছিল মার্কিন মুঠোফোন অপারেটর টি-মোবাইল। এরপর অভিযোগ দিয়ে বসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটি। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেটার বিজনেস ব্যুরোর ন্যাশনাল অ্যাডভারটাইজিং ডিভিশন (এনএডি) রায় দিয়েছে, তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলের ওপর নির্ভর করে ‘সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য’ ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক সেবাদাতা হিসেবে প্রচারণা চালানো যাবে না।

টেকরাডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিভি এবং অনলাইনে টি-মোবাইলের দুটি বিজ্ঞাপন প্রচারের পর অভিযোগ জানায় এটিঅ্যান্ডটি। এরপর এল এনএডির রায়। এদিকে টি-মোবাইল বলেছে, তারা এনএডির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী টি-মোবাইলের ৭০ হাজারের বেশি ফাইভ–জি গ্রাহকের ৪ কোটি ৩০ লাখ তথ্যের নমুনা ঘেঁটে প্রতিবেদনটি পেশ করে উমলাউট নামের অ্যাকসেঞ্চার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। সে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টি-মোবাইলের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রেসিডেন্ট নেভিল রে গত জুলাইয়ে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে দেশের সর্বাধিক এলাকায় দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ফাইভ–জি সংযোগের জন্য টি-মোবাইলের ওপর নির্ভর করতে পারেন ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকেরা। উমলাউটের প্রতিবেদন তারই সর্বশেষ প্রমাণ। অন্যান্য নেটওয়ার্কও এগিয়ে যাচ্ছে, তবে দেশজুড়ে গ্রাহকদের চমৎকার অভিজ্ঞতা দিতে আমরা ফাইভ–জি কভারেজ ও সক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছি।’

ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের নির্ভরযোগ্যতা পরিমাপের জন্য টি-মোবাইলের নেটওয়ার্কের তিনটি দিক পরীক্ষা করে দেখে উমলাউট-ফাইভ–জি কভারেজ, গ্রাহকসংখ্যা এবং ডাউনলোডের গতি।

টি-মোবাইলের লোগো
টি-মোবাইলের লোগোরয়টার্স
বিজ্ঞাপন

টি-মোবাইলের যুক্তি দেখিয়েছিল, অনেক গ্রাহক ফোর–জি থেকে ফাইভ–জি, আবার ফাইভ–জি থেকে ফোর–জি নেটওয়ার্কে পরিবর্তন করে থাকে এবং উমলাউটের পরীক্ষায় কত গ্রাহক ফোর–জি থেকে ফাইভ–জি ব্যবহার শুরু করেছেন, তা দেখা হয়েছে। তবে এনএডি বলছে, ফাইভ–জি সম্পর্কে কোনো দাবি করতে হলে তা অবশ্যই কেবল ফাইভ–জি গ্রাহকের তথ্য নিয়ে করতে হবে। তা ছাড়া কেবল গতি আর কভারেজের ওপর নির্ভর করে নির্ভরযোগ্যতার দাবি করা যায় না।

এনএডির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছে বলে জানিয়েছে টি-মোবাইল। সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করবে বলেও জানিয়েছে। উমলাউটের স্বাধীন পর্যবেক্ষণে ফলাফলের ওপর নির্ভর করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারা উচিত বলেও যুক্তি দেখিয়েছে তারা।

15
আমরা এমন এক বিস্ময়–জাগানিয়া জমানায় বাস করছি, যখন বিশ্বের অর্ধেকের বেশি অংশে একটি প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। সেই প্রযুক্তির নাম ইন্টারনেট। এটি এমন এক প্রযুক্তি, যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে শুরু করে জীবনের প্রায় প্রতিটি খাতে এখন নিয়ামক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে; যা মহাদুর্যোগ থেকে মহামারির সময় মানুষের প্রাণ সঞ্জীবনী হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর এমনভাবে এর ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে প্রতিটি মানুষের জন্য তা অবারিত থাকবে কিন্তু কেউ তার মালিক হতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা ইন্টারনেটের উপযোগিতা সম্পর্কে আন্দাজ করতে পেরেছি। শারীরিকভাবে একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াই দূর থেকে এই সময়টাতে আমরা আমাদের হাজারো দাপ্তরিক কাজ সেরে ফেলতে পেরেছি। খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমরা এমন এক জমানাতেও বাস করি যেখানে ভয়, আতঙ্ক ও সন্দেহের ধোঁয়া আমাদের সর্বক্ষণ আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ইতিপূর্বে সংঘটিত যেকোনো যুদ্ধ বা মহামারির চেয়েও নিকৃষ্ট জিনিস হলো ইন্টারনেট—এমন দাবির সন্ধান পেতে আপনাকে গুগলে আঁতিপাঁতি করে খুঁজতে হবে না। সাধারণ অনুসন্ধানেই এ ধরনের দাবির কথা খুব সহজেই পাওয়া যাবে। সন্ত্রাসবাদ, শিশু পীড়ন এবং এমনকি গণতন্ত্রের অপব্যবহারসহ বহু সমস্যার বলির পাঁঠা হয়ে থাকে ইন্টারনেট।

আসুন একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখি। যদি আমরা ফেক নিউজ বা ভুয়া খবরকে ইন্টারনেটের ত্রুটি বলে বিশ্বাস করি, তাহলে তা বিংশ শতকের রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা যন্ত্রের ক্রমাগত মিথ্যা প্রচারের কথা ভুলে যাওয়ারই নামান্তর হবে। অনেকে সামাজিক মূল্যবোধর অবনমনের জন্য ইন্টারনেটকে দায়ী করে থাকেন। ভাবটা এমন যেন টুইটার আসার আগে মিথ্যুক রাজনীতিকেরা মিথ্যা ও ঘৃণা ছড়ানো কথা বলতেন না। সমাজ ও ব্যক্তির ওপর নিয়ত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। আমরা ক্ষিপ্রগতিতে বিবর্তিত হচ্ছে এমন একটি সমাজবাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই বিবর্তনে প্রশ্নাতীতভাবে ইন্টারনেটের উত্থান একটি বড় ভূমিকা রাখছে। কারণ, ইন্টারনেট দ্রুত নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

যদি আমরা ফেক নিউজ বা ভুয়া খবরকে ইন্টারনেটের ত্রুটি বলে বিশ্বাস করি, তাহলে তা বিংশ শতকের রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা যন্ত্রের ক্রমাগত মিথ্যা প্রচারের কথা ভুলে যাওয়ারই নামান্তর হবে। অনেকে সামাজিক মূল্যবোধর অবনমনের জন্য ইন্টারনেটকে দায়ী করে থাকেন। ভাবটা এমন যেন টুইটার আসার আগে মিথ্যুক রাজনীতিকেরা মিথ্যা ও ঘৃণা ছড়ানো কথা বলতেন না।
এই সব সুযোগকে ভালো এবং মন্দ—উভয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষ এই প্রযুক্তির কারণে এখন আগের চেয়ে অনেক সহজে এবং অনেক কম খরচে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। আবার প্রতারক চক্র এই ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেয়। প্রথাগত কর্তৃপক্ষ ও নীতিনির্ধারকেরা ইন্টারনেটের কারণে তঁাদের এত দিনকার তথ্য
নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। কারণ, জনসাধারণ ইন্টারনেটের সুযোগে নানা ধরনের বিকল্প পথে তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।

তবে এমন অনেক ক্ষতির বিষয় আছে, যার জন্য ইন্টারনেটকে দায়ী করা হলেও আদতে তার জন্য ইন্টারনেট মোটেও দায়ী নয়। ইন্টারনেটকে দোষারোপ করার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের দিক থেকে ইন্টারনেটের ওপর দোষ চাপানো হয়। কিন্তু কোনো কিছু বন্ধ করা বা নিয়ন্ত্রণ করার আগে আমাদের ভালো করে বুঝে নিতে হবে, আমরা ঠিক যন্ত্রটি বন্ধ করছি কি না। আজকের দিনের বৃহৎ প্রযুক্তি করপোরেশনগুলোর সমস্যা এবং বাণিজ্য ও জনপরিসরের আলোচনায় তাদের প্রভাবের বিষয় চিন্তা করে দেখুন। যখন এসব কোম্পানি কোনো নির্দিষ্ট বাজার দখল করে ফেলে বা কোনো নির্দিষ্ট মাত্রার মুনাফা অর্জন করে, তখন কেউ কেউ সেসব কোম্পানির ওপর বিশেষ বিধি আরোপ করা উচিত বলে মত দেন। কিন্তু করপোরেট পুঁজির একচ্ছত্র বিস্তৃতি যে শুধু এখনই হচ্ছে তা নয়।

উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য অনেক দেশের পেট্রোলিয়াম শিল্পে স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল প্রাধান্য বিস্তার করার পর অনেক দেশ এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির আধিপত্যকে আতঙ্কের চোখে দেখা শুরু করেছিল। তখন তারা বলেছিল, স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল ‘তেল নীতি’ চর্চা করে না, তারা ‘অবিশ্বস্ততার নীতি’ চর্চা করে। অনেকে ইন্টারনেটনির্ভর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবেই এই উদ্বেগ প্রকাশ ভুল। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন প্রত্যেকেই ইন্টারনেট-পূর্ব জমানায় সহিংস আন্দোলনের মুখে পড়েছে। ইন্টারনেট আসার আগে থেকেই এক দেশ অন্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে, বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দাবৃত্তি করেছে। শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক আচরণ আমাদের সে কথা মনে করিয়ে দেয়।

রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিশেষ করে গণতন্ত্র নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের বৈধতা ও কার্যকর থাকার ক্ষমতার ওপর। কোনো সরকারের ওপর জনগণ ক্ষুব্ধ হলে সেই ক্ষোভ দমন করে বা দেশের তথ্য বিদেশের মানুষকে জানতে না দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এটি সত্য যে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যেমন ইন্টারনেট প্রযুক্তির কারণে আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে তথ্য আদান–প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যে আইডি থেকে কোনো তথ্য ছড়াচ্ছে, সেই আইডির মালিক যে সত্যিই আইডিতে উল্লেখিত পরিচয়ের আসল ব্যক্তি, তা নিশ্চিত হওয়া অনেক সময়সাপেক্ষ।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু ইন্টারনেটের বৃহৎ জগতের কাছে এগুলো খুবই সংকীর্ণ ইস্যু। আদতে ইন্টারনেট হলো একটি বাস্তুসংস্থান (ইকোসিস্টেম) ব্যবস্থা, যার সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। ইন্টারনেটকে কোনোভাবেই বলির পাঁঠা বানানো যাবে না। অর্থাৎ, এই প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ, এটি আমাদের সবার সম্পদ। এটিকে ঠিকমতো সুরক্ষা দেওয়ার মানে হলো আমাদের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষা দেওয়া।

ইংরেজি থেকে অনূদিত, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট

Pages: [1] 2 3 ... 10