Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - mustafiz

Pages: 1 ... 31 32 [33] 34 35
481
Pharmacy / Bolt the year again
« on: November 19, 2013, 03:50:29 PM »
টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বসেরা পুরুষ অ্যাথলেট নির্বাচিত হয়েছেন জ্যামাইকার গতিমানব উসাইন বোল্ট। সেরা নারী অ্যাথলেটের স্বীকৃতি পেয়েছেন তারই স্বদেশী শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস।

মোনাকোয় শনিবার রাতে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের (আইএএএফ) এক অনুষ্ঠানে বছরের সেরা দুই অ্যাথলেটকে পুরস্কৃত করা হয়।

হ্যাটট্রিক বর্ষসেরার পাশাপাশি গত ছয় বছরে পাঁচবার এই সম্মান পেলেন দ্রুততম মানব বোল্ট।

গত অগাস্টে মস্কোর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতেছিলেন বোল্ট। ২০০৯ সালের বার্লিন চ্যাম্পিয়নশিপেও এই তিন ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন তিনি। আর ২০১১ সালে দেইগুতে জিতেছেন ২০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে সোনা।

সবমিলিয়ে আটটি সোনা জিতে ৩০ বছরের অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের সফলতম অ্যাথলেট বোল্ট। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি রুপাও জিতেছেন তিনি।

২৭ বছর বয়সী বোল্টের দখলে আছে অলিম্পিকের এই তিন ইভেন্টের শ্রেষ্টত্বও। শুধু লন্ডন অলিম্পিকেই নয়, বেইজিং অলিম্পিকেও ঐ তিন ইভেন্টের সোনা জিতেছিলেন ১০০ ও ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ডের মালিক বোল্ট।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে বোল্ট জানালেন, ২০১৪ সালে তার লক্ষ্য নিজের ২০০ মিটার দৌড়ের বিশ্বরেকর্ড (১৯.১৯ সেকেন্ড) ছাড়িয়ে যাওয়া।

“এটা সব সময়ই আমার স্বপ্ন ছিল; এটা সবসময়ই আমার লক্ষ্য। এই মৌসুমেই আমি ২০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডের দিকে এগুতে চাই। কারণ এ বছর বড় কোনো টুর্নামেন্ট নেই ।

এর আগে ২০০ মিটারে নিজের রেকর্ড ১৯ সেকেন্ডের নিচে নামিয়ে আনার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ছয়টি অলিম্পিক সোনার মালিক।

“১০০ মিটারের চেয়ে ২০০ মিটার রেকর্ড গড়া সহজ। এই মৌসুমে এটাই হবে আমার লক্ষ্য।”

বোল্ট একবার বলেছিলেন, ২০১৬ সালের অলিম্পিকের পর অবসরে যেতে পারেন তিনি। তবে মোনাকোতে বললেন, ভক্তদের দাবির মুখে আরো এক বছর ট্র্যাকে থাকতে পারেন তিনি।

এদিকে এবারই প্রথম বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন প্রাইস। এবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্টের মতোই ১০০, ২০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতেছিলেন প্রাইস। ২০০৯ সালে বার্লিনেও ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতেছিলেন তিনি।

বর্ষসেরার দৌড়ে বোল্ট ও প্রাইসের এই সাফল্য অ্যাথলেটিকস রাজ্যেও গত ২০ বছরে নতুন একটা প্রাপ্তি দিয়েছে। ১৯৯৩ সালের পর এবারই প্রথম একই দেশের দুই অ্যাথলেট এই পুরস্কার পেলেন। এর আগে পেয়েছিলেন ব্রিটেনের দুই ক্রীড়াবিদ।

বর্ষসেরার পুরস্কার জিতে দারুণ খুশি ফ্রেজার বলেন, “আমি হতবাক ও বিস্মিত। এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো একটা ব্যাপার।”

বোল্ট ও প্রাইস এক লাখ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন।

482
Pharmacy / Re: Drug Abuse
« on: November 19, 2013, 03:48:24 PM »
Thanks for the nice & Informative Information.

483
Pharmacy / The three stars
« on: November 19, 2013, 03:46:46 PM »
পাকিস্তানের মেয়ে মালালা ইউসুফজাইকে এখন বিশ্বের তাবৎ মানুষ চেনে। শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে তালেবানদের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে।

কিন্তু কেবল মালালাই কি একা এমন বন্ধুর পথে বন্ধুহীন পথ চলছে? আরও আছে  অনেকেই। ওরা একেকজন বিশ্বের একেক প্রান্তে এমনি সংগ্রাম করে যাচ্ছে। লড়াই করে যাচ্ছে মানুষের জন্য, মানবতার জন্য।

এমনি তিন জন-- ঝান হাইতে, রাশিয়া খেপরা এবং কেলভিন ডো। ঝান হাইতের সংগ্রাম চলছে চীনে। রাশিয়া খেপরার লড়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আর কেলভিন ডোর কাজ-কারবার তার দেশ সিয়েরা লিওনে।

 

ঝান হাইতে

 

চীনের প্রায় সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই উঠে এসেছেন সমাজের উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে; কেউ ব্যক্তিজীবনে ছিলেন উকিল, কেউ শিল্পী অথবা এমনি কিছু। ঝান হাইতে অবশ্য এমন কিছুই ছিল না; তার বাবা-মা নিতান্তই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ।

ঝান প্রাইমারি পড়াশোনা শেষ করে সাংহাইয়ের ছোট্ট একটি গ্রামের স্কুলে। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে শহরে আসতে চাইলেই বাঁধে গোল। তখন চীনের শহরতলিতে অত্যন্ত কঠোরতার সঙ্গে মানা হচ্ছিল আবাসিক নিবন্ধন আইন, যে আইন প্রয়োগ করে চীনের শাসকেরা আটকে রাখছিল চীনের গ্রামগুলোর শত-শত শ্রমিককে। তুমি যেখানে তোমার আবাস, মানে বাসার নিবন্ধন করিয়েছ, তোমাকে সেখানেই থাকতে হবে। মানুষ একরকম নিরুপায় হয়েই মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল এই আইন।

কিন্তু ঝান মানেনি। সে সব ভয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। চীনের এক নম্বর আলোচ্য বিষয় হিসেবে নিয়ে এসেছে বিষয়টি। এই একরত্তি মেয়ের সাহসিকতার সামনে চীনা সরকার পর্যন্ত টলে গেছে!

তারপর? শহরে এসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় ঝান। সফলতার সঙ্গে পাসও করে সে।

 

রাশিয়া খেপরা

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহর-- শিকাগো। যেখানে ২০১২ সালে গোলাগুলিতে মারা যায় পাঁচশ’ মানুষ। সেখানকার বাসিন্দা রাশিয়া খেপরা। কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এর আগেও মৃত্যু দেখেছে সে। ক্রমবর্ধমান হারে প্রতিবছরই শিকাগোর মৃত্যুর হার বাড়ছিল। হয়তো এভাবেই অন্যের মৃতদেহ দেখতে দেখতে নিজেও একদিন লাশে পরিণত হত খেপরা।

কিন্তু ওর টনক নড়ে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনায়। ২০১২ সালে মারা পড়া ওই পাঁচশ’ জনের মধ্যে তার সেই বন্ধুও ছিল। বন্ধুর মৃত্যুতে প্রথমে ভীষণ মুষড়ে পড়ে ও। পরে সেই শোককেই শক্তিতে রূপান্তরিত করে খেপরা।

নেমে পড়ে কাজে। শুরু করে ক্যাম্পেইন-- ‘অরেঞ্জ ট্রি’। সচেতনতার বাণী পৌঁছে দিতে শুরু করে শিকাগোর সকলের কাছে।

ইতিমধ্যেই ওর লক্ষ্যের অনেকটাই পূরণ হয়েছে। কমে এসেছে শিকাগোতে মৃত্যুর হারও।

 

কেলভিন ডো

 

ছোটবেলা থেকেই কেবল মায়ের কাছে কাছে থাকত ছেলেটি। নাম কেলভিন ডো। আর ভালোবাসত নষ্ট যন্ত্রপাতি ঘাটতে, সেগুলো সারিয়ে তুলতে। প্রায়ই ডাস্টবিনের কাছে পাওয়া যেত সিয়েরা লিওনের এই ছোট্ট ছেলেটাকে। বসে বসে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ভেঙে-যাওয়া টুকরো বাছত।

এমনি করে যন্ত্রের নানা রহস্য নিজে থেকেই শিখতে থাকল ছেলেটি। আর একদিন এই একরত্তি ছেলেটিই একা একা বানিয়ে ফেলল এক রকমের সাশ্রয়ী ব্যাটারি। তখন তার বয়স মোটে ১৩ বছর!

শুধু ওই সাশ্রয়ী ব্যাটারি বানিয়েই বসে থাকল না ডো। প্রচণ্ড লোডশেডিংয়ের দেশে বসে নিজে নিজেই পরিত্যক্ত যন্ত্রাংশ দিয়ে বানিয়ে ফেলল আস্ত একটা জেনারেটর। তারপর সেই জেনারেটরের সাহায্যে বানাল আস্ত একটা রেডিও স্টেশন! সেখানে কাজ করে তারই বন্ধুরা।

এখন অবশ্য কেলভিন ডো আর সিয়েরা লিওনে থাকে না। কারণ ও এখন বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট আব টেকনোলজির (এমআইটি) সবচাইতে কমবয়সী প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে কাজ করছে।

484
Nice & Informative post.

485
Pharmacy / Re: Cheap and effective method to test formalin
« on: November 19, 2013, 03:43:11 PM »
nice post.

486
Pharmacy / Re: "Don't take more paracetamol"
« on: November 19, 2013, 03:42:07 PM »
Thanks for this information.

487
too much important for us...

488
Pharmacy / Aison in now in Bangladesh.
« on: November 19, 2013, 03:39:41 PM »
২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। ভিতালি নোভস্কি ও আর্তিয়েম নেভাচিনক। রাশিয়ার দুজন সৌখিন জ্যোতির্বিদ। চোখ লাগিয়ে ছিলেন দুরবিনে। দুরবিনেই আবিষ্কার করে ফেললেন একটি ধূমকেতু।

পরে গবেষণা করে দেখা গেল, হ্যাঁ, তারা সত্যিই নতুন একটা ধূমকেতু আবিষ্কার করে বসেছেন। ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক (আইসন) এর নাম থেকে ধূমকেতুটির নাম দেওয়া হল ‘আইসন’।

রাশিয়ায় যে ধূমকেতু দেখা গেছে, তা নিয়ে আমাদের মাতামাতির কী আছে? আছে; কারণ, আইসনকে দেখা গেছে বাংলাদেশ থেকেও। আর এর কৃতিত্ব অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের।

বিভাগটির সভাপতি শাহজাহান মৃধা বেনু। তারা প্রায় মাস দেড়েক চেষ্টা চালিয়ে টেলিস্কোপের সাহায্যে নির্ণয় করেছে ধূমকেতুটির অবস্থান। আইসন এখন অবস্থান করছে ভোরের পূর্বাকাশে কন্যারাশি তারাম-লের জপজবা তারার একটু নিচে, ডানদিকে।

সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতু

আইসনকে বলা হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতু। সাম্প্রতিক কালে যে ধূমকেতুগুলো দেখা গেছে, তার মধ্যে এই আইসনই সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিয়েছে জ্যোতির্বিদদের চোখে। আর ধীরে ধীরে এর উজ্জ্বলতাও বাড়ছে। ধূমকেতুটি যেভাবে দিনদিন উজ্জ্বল হচ্ছে, তাতে বিজ্ঞানীদের ধারণা, নভেম্বরের শেষ নাগাদ এটি খালি চোখেই দেখা যাবে।

আগামীতে যে সব ধূমকেতু দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তার মধ্যেও আইসন সবচেয়ে উজ্জ্বল বলে প্রমাণিত হবে বলেও ধারণা জ্যোতির্বিদদের।

বাংলাদেশে আইসন

আইসন সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতু, তাতে আমাদের তেমন আনন্দ নেই। আমাদের আনন্দের কারণ অন্য-- বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো আলোচিত এই ধূমকেতুটি শনাক্ত করা গেছে। এমনকি ধূমকেতুটির ছবি তোলা গেছে। আর এ সাফল্য অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের।

এ জন্য অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শাহজাহান মৃধা বেনুর নেতৃত্বে একটি দল কাজ শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে তারা আকাশ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প বসায় ৩ নভেম্বর রবিবার ভোর পাঁচটায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার শিশুলিয়া গ্রামে। গ্রামটির অবস্থান ৯০ ডিগ্রি ১৮ মিনিট পূর্ব অক্ষাংশ ও ২৩ ডিগ্রি ২৮ মিনিট উত্তর দ্রাঘিমাংশ। সেখান থেকেই আইসনকে শনাক্ত করা হয়। ক্যামেরা দিয়ে ছবিও তোলা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুসন্ধিৎসু চক্রের কর্মীরা মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার খইরা গ্রামে পরবর্তী ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প বসান। সেই ক্যাম্প থেকে অনুসন্ধিৎসু চক্রের ৮ ইঞ্চি মিড ক্যাসিগ্রেইন টেলিস্কোপ ও ক্যানন ফাইভ ডি ক্যামেরা দিয়ে ধূমকেতুটির ছবি তুলতে সক্ষম হন তারা। ছবির এক্সপোজার ছিল-- ৩ মিনিট।

এখন, প্রশ্ন হল, এই ছবির ধূমকেতুটিই আইসন কিনা? সে ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে ছবিটি পাঠানো হল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার কাছে। ১০ নভেম্বর সকালে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাংলাদেশ থেকে তোলা ছবির ধূমকেতুটিই আইসন।

ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ দলের সভাপতির নাম তো আগেই জানা গেছে, অন্য সদস্যরা হলেন-- চক্রের আজীবন সদস্য আজহারুল হক, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ, জাহাঙ্গীর আলম দীপু ও অপূর্ব।

আসলেও সবচেয়ে উজ্জ্বল?

আইসনের উজ্জ্বলতা সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে যে রকম ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছিল, ধূমকেতুটি আদতে তেমন উজ্জ্বল অবশ্য নয়। খালি চোখে তো নয়ই, বাইনোকুলার দিয়েও এখনও আইসন দেখা যাচ্ছে না। তবে ধীরে ধীরে এর উজ্জ্বলতা ঠিকই বাড়ছে।

২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর এই ধূমকেতুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি অনুসর বিন্দুতে থাকবে। সে সময় আইসন সূর্য পৃষ্ঠের মাত্র ১.১ মিলিয়ন বা ১১ লক্ষ কিলোমিটার উপর দিয়ে পার হবে। অনুসর বিন্দু পার হওয়ার পর সন্ধ্যার আকাশে দুই গোলার্ধ থেকে একে দেখা যাবে পশ্চিম আকাশে। আর ২৬ ডিসেম্বর ধূমকেতুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাবে।

489
Pharmacy / Highest bulk in Nepal
« on: November 19, 2013, 03:30:46 PM »
নেপাল বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ। পাহাড়ঘেরা ছোট্ট একটি দেশ। ভীষণ সুন্দর। নেপালকে বলা হয় হিমালয়কন্যা। হিমালয়ের একেবারে কোলেই যে নেপাল। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু শহর থেকেই মাউন্ট এভারেস্ট দেখা যায়। শুধু তাই না, নেপালে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার অনেক নিদর্শন। তেমনি একটি ঐতিহাসিক স্থান স্বয়ম্ভূ স্তূপ।

নেপালে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক আসেন, দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনার আকর্ষণে। এই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে স্বয়ম্ভূ স্তূপ। এমনকি নেপালের আকাশ থেকেও এটা দেখা যায়।

স্বয়ম্ভূ স্তূপ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে, বিষ্ণুমতী নদীর তীরে অবস্থিত। এটি নেপালের অন্যতম প্রাচীন ধর্মস্থান। বিশেষ করে বৌদ্ধ মতাবলম্বীদের কাছে স্বয়ম্ভূ স্তূপ অত্যন্ত পবিত্র। এই স্তূপ একটি পাহাড়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত। এখান থেকে একদিকে পুরো কাঠমান্ডু উপত্যকা, আর অন্যদিকে হিমালয় পর্বতমালার বিভিন্ন শৃঙ্গ দেখা যায়।

স্বয়ম্ভূ স্তূপের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক পৌরাণিক কাহিনি। বলা হয়ে থাকে, পুরো স্থানটি এক সময় ছিল বিশাল হ্রদ। বোধিস্বত্ব মঞ্জুশ্রী এখানে আসার পর, হ্রদের পানিতে একটি বিশাল পদ্মফুল ফোটে। পদ্মফুলটি হয়ে ওঠে স্তূপ, মৃণাল হয় পাহাড়, আর লেকের পানি অন্যদিকে প্রবাহিত হয়ে চলে যায়। সৃষ্টি হয় কাঠমান্ডু উপত্যকার। নিজে থেকে, মানে স্বয়ং আবির্ভূত হয়েছে বলে, এই স্তূপের নাম স্বয়ম্ভূনাথ।

পুরাণ অনুযায়ী, পুরো স্তূপটি একসময় স্ফটিকের তৈরি ছিল। এখনও এই স্তূপ ও মন্দিরের কারুকার্য দেখে অবাক হতে হয়। বজ্রযানপন্থী বৌদ্ধদের কাছে তো বটেই, অন্যপন্থী বৌদ্ধদের কাছেও পরম পবিত্র তীর্থ স্বয়ম্ভূ স্তূপ। প্রতিদিন শত শত বৌদ্ধ পুণ্যার্থী সিঁড়ি ভেঙে পাহাড়ের পুবদিক থেকে স্তূপ প্রদক্ষিণ শুরু করেন।

স্তূপ এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন সুন্দর তেমনি সুন্দর স্তূপের স্থাপত্য। এখানে একটি স্তূপ, অসংখ্য গাছ, তিব্বতি উপাসনালয় এবং একটি মন্দির আছে। মন্দিরটি ‘মাংকি টেম্পল’ বা বানর মন্দির নামে পরিচিত। স্বয়ম্ভূ স্তূপেও প্রচুর বানর রয়েছে। বৌদ্ধ ও হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানকার বানরগুলো পবিত্র। অনেক পর্যটক ওদের খাবারও দেন খেতে। বানর মন্দির ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি বিশাল বজ্র এবং স্তূপ চত্বরে প্রবেশের মুখেই রয়েছে বিশাল সিংহমূর্তি।

স্বয়ম্ভূ স্তূপে পৌঁছানোর দুটি পথ রয়েছে। পুরনো পথটি দিয়ে যেতে হয় পায়ে হেঁটে। এই পথ দিয়ে প্রবেশদ্বার থেকে ৩৬৫ ধাপের সিঁড়ি ভেঙে মূল স্তূপে পৌঁছাতে হয়। এখন অবশ্য নতুন আরেকটি রাস্তা বানানো হয়েছে। সে রাস্তায় গাড়ি দিয়ে মূল স্তূপ চত্বরের একেবারে কাছাকাছি চলে যাওয়া যায়। এই পথটিও ভীষণ সুন্দর, পাহাড়ের চারপাশ দিয়ে ঘুরে ঘুরে উপরে উঠে গেছে।

মূল স্তূপে রয়েছে একটি গম্বুজাকৃতির কাঠামো। এর উপর রয়েছে ঘনক আকৃতির আরেকটি কাঠামো, যার সবদিকেই আঁকা রয়েছে বিশাল চোখ। বলা হয়ে থাকে, এ চোখ জোড়া গৌতম বুদ্ধের। তিনি পরম শান্তি ও করুণার দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন বিশ্বের দিকে। স্তূপ চত্বরে বিশালকার বুদ্ধমূর্তিও রয়েছে।

মূল স্তূপে আরও রয়েছে পাঁচ কোণাকৃতির একটি তোরণ। এই তোরণে রয়েছে ১৩টি স্তর। কারণ বুদ্ধত্ব অর্জন করতে হলে ১৩টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। আর চারদিকে পঞ্চবুদ্ধের ছবি খোদাই করা আছে। এই পঞ্চবুদ্ধ তন্ত্রযানের প্রতীক। এই পঞ্চবুদ্ধের নাম হল-- বৈরোচন, অক্ষভয়, রত্নসম্ভব, অমিতাভ এবং অমোঘসিদ্ধি।

পঞ্চম শতাব্দীতে রাজা ব্রজদেব এই বৌদ্ধস্তূপ প্রতিষ্ঠা করেন। এই রাজা ব্রজদেব ছিলেন রাজা মাণ্ডবের পূর্বপুরুষ। আবার অনেকে বলে, সম্রাট অশোক খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এখানে এসেছিলেন। তখন তিনি একটি উপাসনালয় নির্মাণ করেছিলেন। সেটি পরে ধ্বংস হয়ে যায়। এখানে এক সময় ‘লিচ্ছবি’ গণরাজ্য ছিল। শুধু বৌদ্ধ রাজাদের কাছেই যে এ স্থান পরম পবিত্র ছিল তাই নয়, হিন্দু রাজারাও স্বয়ম্ভূ স্তূপে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সপ্তদশ শতকে কাঠমান্ডুর রাজা প্রতাপমল্ল এই স্তূপে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তখন তিনি এই স্তূপের অনেক সংস্কারও করেন।

গত ১৫শ বছর ধরে স্বয়ম্ভূ স্তূপ এলাকায় প্রায় ১৫ বার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয় ২০১০ সালে। তখন স্তূপের গম্বুজাকার কাঠামোটি ২০ কেজি সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও পর্যটকদের জন্য এখানে একটি জাদুঘর, একটি গ্রন্থাগার, খাওয়ার জায়গা এবং স্মারকচিহ্ন বিক্রির জন্য বেশ কিছু দোকানও রয়েছে।

স্বয়ম্ভূ স্তূপ শুধু পবিত্র স্থানই নয়। একে বলা হয় নেপালের ঐক্যের প্রতীক। শুধু তাই নয়, ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য ইউনেস্কো স্বয়ম্ভূ স্তূপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলেও ঘোষণা করেছে।

আরেকটা কথা, সত্যজিৎ রায়ের ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে’ নামে যে বইটা আছে, তাতেও কিন্তু এই স্বয়ম্ভূ স্তূপের বর্ণনা আছে। চাইলে স্তূপে যাওয়ার সময় বইটা নিয়েও যাওয়া যেতে পারে। তাহলে ফেলুদা আর তোপসে যে জায়গাগুলোতে গিয়েছিল, সেগুলোও দেখে আসা যাবে।

490
Pharmacy / আলতাপরি (Altapori)
« on: November 19, 2013, 03:29:22 PM »
যেন সে এক রূপকথার পাখি। তার নামেও আছে রূপকথার চরিত্র। নাম তার লালপরি। কেউ কেউ বলে আলতাপরি। ছোটকাল থেকে তাকে এ নামেই চিনে এসেছি। আমাদের হাতে তখন বইপত্র ছিল না। নাম যা শুনেছি, তা-ই মেনে নিয়েছি। না মেনে উপায়ও ছিল না। তার শরীরের যা রং, তাতে লালপরি বা আলতাপরি না বলে উপায় কী?

কিন্তু অনেক পরে এ নাম নিয়ে বিপত্তি বাঁধল। কারণ একটাই। অপরূপ সুন্দর এই লাল পাখিটি মূলত পুরুষ পাখি। মেয়েটি কিন্তু লাল নয়, হলুদ। সে হিসেবে মেয়েটিকে বলতে হয় হলুদপরি। তারও অনেক পরে অজয় হোমের বই পড়ে তার মূল নাম জানতে পারলাম। বাংলায় ওর নাম ‘বড় সাতসয়ালি’ বা ‘বড় সহেলি’।

পুরুষ ও স্ত্রী আলতাপরি প্রায় একই মাপের হয়। লম্বায় ২০ থেকে ২২ সেন্টিমিটার। পুরুষ পাখিটির উপরের পালকগুলো কালো। গলা ও চিবুক কুচকুচে কালো। এ দুটি অংশ বাদ দিলে বাকি পুরোটাই লাল। ডানার কালো পালকগুলোর উপর দিয়ে সিঁদুরের মতো লাল কয়েকটি পালক উপর থেকে নিচের দিকে নামানো। টুকটুকে লাল লেজের উপরে কয়েকটা কালো পালক। কপাল হলুদ। পিঠের উপরের পালক গাঢ় শ্লেট রংয়ের।

আর মেয়ে পাখির কোমরের পালক সবুজাভ হলুদ। লেজও তাই। গলা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত শরীরের পুরো নিচের অংশই হলুদ। কালচে রংয়ের ডানা; তার উপর হলুদ রংয়ের দুটো পালক। হলুদ লেজের আবার একজোড়া পালক কালো রংয়ের। পুরুষ আর মেয়ের মধ্যে মিল আছে দুটি মাত্র জায়গায়-- উভয়েরই ঠোঁট এবং পা কালো। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়েই দেখা যায় আলতাপরিদের।

ওদের প্রধান খাবার কীটপতঙ্গ। পতঙ্গভুক অন্যান্য পাখিদের মতো ওরা শূন্যে উড়তে উড়তেও পোকা ধরতে পারে। তবে গাছের ডালের বা পাতার আড়ালের পোকা যখন ধরে, সে এক দেখার মতো দৃশ্য। এই ডাল থেকে ওই ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে যখন পোকা ধরে, তখন মনে হয় বড় আকারের লাল-হলুদ কোনো প্রজাপতি ডিগবাজি খেতে খেতে উড়ছে। অন্য কোনো পাখি এসে বিরক্ত করলে মুহূর্তেই বাতাসে ঢেউ তুলে দূরের কোনো গাছে উড়ে চলে যায়। তবে পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পতঙ্গভুক পাখিরা সাধারণত একজন আরেকজনকে বিরক্ত করে না। ভাবখানা এমন-- তোমার পোকা তুমি খাও, তাতে আমার কী!

মূলত ঘন গাছপালাসমৃদ্ধ চিরসবুজ বনের বাসিন্দা আলতাপরিরা। মাঝেমধ্যে নিজেকে স্বাধীন ভেবে লোকালয়ের আশপাশেও চলে আসে। এলেও বেছেবেছে ঘন পাতাওয়ালা উঁচু গাছেই গিয়ে বসে। বসেও ঘুরেফিরে মগডালেই। ওরা পুরোপুরিই বৃক্ষবাসী। কখনও মাটিতে নামে না।

ওরা কখনও একা, কখনও জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। তবে বেশিরভাগ সময়ই দলবদ্ধ হয়ে গাছের মগডালে মগডালে পোকামাকড় খুঁজে বেড়ায়। দলছুট হয়ে একাকী বা জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ালে ধরে নিতে হবে, ওদের প্রজননের সময় এসে গেছে। আরেকটি কথা, ওরা যখন দলবদ্ধ থাকে, তখন ওদের একজন দলপতিও থাকে। দলপতিকে অনুসরণ করে বাকি সবাই।

ওরা গানও গাইতে পারে। গানের গলাও খুব মিষ্টি। ওরা গাছের ডালে বসেও যেমন গান গায়, তেমনি গাইতে পারে উড়তে উড়তেও।

এপ্রিল থেকে জুলাই মাস ওদের প্রজননের সময়। তখন দুজন মিলে জোড়া বাঁধে। তারপর বেশ উঁচুতে বাটির মতো করে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২ থেকে ৪টি। ডিমের রং হয় সবুজ। তার উপর বাদামি ছোপ ছোপ। বাসা বানানো থেকে শুরু করে বাচ্চাদের লালনপালন সব দুজনে মিলেই করে।

491
Pharmacy / Farmer's laugh about..
« on: November 19, 2013, 03:25:40 PM »
মধ্য হেমন্তে চট্টগ্রামের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব।

বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালি ধান। আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। ধানের দামও মিলছে ভাল।

তাই উৎসাহ আর উদ্দীপনায় চলছে কৃষকের কাস্তে। ধান কাটার গানেও পড়ছে না ছেদ।

হিসাব কষে লাভের কথাই বলছেন কৃষক। তাদের সঙ্গে একমত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও।

তারা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার হেক্টর প্রতি আমনের ফলন বেড়েছে।

চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার তুলনায় গুমাই বিলের ধান একটু আগেই পাকে। তাই কাটার উৎসবও শুরু হয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে।

শনিবার রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলের নিশ্চিন্তাপুর, কাটা বটতল, মাঝের বিল, কদমতলি সংলগ্ন বিভিন্ন অংশে কথা হয় কৃষক ও ধান কাটার শ্রমিকদের সঙ্গে।

কাটা বটতল এলাকায় নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন মো. শফি (৫৫)। বিলে তার আট কানি জমিতে এবার সাদা পাইজাম জাতের ধান চাষ করেছেন।

শফি জানান, জমি চাষ, ধান লাগানো, সেচ, বীজ-সার-কীটনাশক ও ধান কাটার সময় শ্রমিকের মজুরি মিলে কানি প্রতি প্রায় সাত হাজার টাকা খরচ পড়ছে।  সেখানে প্রতি কানিতে এবার কম-বেশি ধান হয়েছে সাড়ে ১২ মন। মন প্রতি ৮০০ টাকা দরে এ ধানের দাম হবে ১০ হাজার টাকা।

তাই আট কানিতে ধান বেচে খরচ বাদে ২৪ হাজার টাকার মতো হাতে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এলাকার কৃষক মোহাম্মদ রুবেলের বিলে প্রায় পাঁচ কানি জমি আছে।

“ধানের দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি। কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারলে দাম আরো বাড়তে পারে,” বলেন তিনি।

কৃষকরা জানান, এবার জমি চাষে কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা এবং সেচের জন্য কানি প্রতি দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে।পাশাপাশি কানি প্রতি চারা রোপনে এক হাজার ২০০ টাকা এবং কাঠায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয়।

ধান কাটা শ্রমিকরা জানান, এবার বিলে স্থান ভেদে কানিতে সর্বোচ্চ ১৭ মন থেকে সর্বনিম্ন ১২ মন পর্যন্ত ফলন হয়েছে।

সর্বোচ্চ ১৭ মন হিসেবে কানিতে ধানের দাম আসবে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। আর সাড়ে ১২ মন ধান উৎপাদনের হিসেব ধরলে আয় হবে ১০ হাজার টাকা।

এ হিসাবে কানিতে সর্বনিম্ন তিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হবে। ধানের দামের ওপর উঠানামা করে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরিও।

গত সপ্তাহে দিনে ৩০০ টাকার সঙ্গে দুই বেলা খাওয়ার বিনিময়ে  ধান কেটেছেন বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারার আমীর আলী। এ সপ্তাহে ধানের দাম বাড়ায় তার মজুরি বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩০০ টাকা।

আমীর বলেন, “গ্রামে ধান পাকবে আরও এক মাস পর। বাড়তি আয়ের আশায় সাত জন মিলে এখানে চলে এসেছি।”

যেখানে ফলন কম সেখানে বর্গা খরচ কম। আর যেখানে ফলন বেশি সেখানে বর্গা খরচও বেশি বলে জানান আরেক শ্রমিক শওকত আলম।

কৃষক আজগর আলীর (৭০) বিলে জমি আছে ১০ কানি।

তিনি বলেন, “কানি প্রতি দুই হাজার টাকা দরে বর্গা দিয়েছি। বয়স হয়েছে বলে আর নিজে চাষ করতে পারি না। আবার জমি খালিও রাখা যায় না। এবার ফলন ভালই হয়েছে। ধানের দামও ভাল।”

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবার উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে গুমাই বিলে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

এবার কোনো পোকার আক্রমণ না থাকায় এবং নিয়মিত বিরতিতে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিও হওয়া ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই কর্মকর্তা জানান, বিলে হেক্টর প্রতি পায়জাম ধানের উৎপাদন হয়েছে ৩ দশমিক ২৫ টন। আর বিরি ধানের ফলন প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৬০ টন।

এই উৎপাদন গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে এবার চট্টগ্রাম জেলায় মোট এক লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। তবে তার চেয়ে প্রায় সাত হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।

বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল গুমাই বিল থেকে সারা দেশের চালের চাহিদার মোট আড়াই দিনের যোগান আসে বলে বলা হয়ে থাকে।

ধান কাটার মৌসুমে তাই জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসেন ধান কাটা শ্রমিকরা। তাদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, কক্সবাজার ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে তিন দিন আগে ধান কাটতে এসেছেন আব্দুল আলী।

গত সাত বছর ধরে নিয়মিত এখানে ধান কাটতে আসেন বলে জানান তিনি।

“দেড় মাস থাকব। দিনে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পাই। থাকা-খাওয়া গৃহস্থের বাড়িতে,” বলেন এই শ্রমিক।

চকরিয়ার বাসিন্দা জসিম বলেন, একেক সময় একেক গৃহস্থের জমির ধান কাটেন। মাস খানেক পর চলে যাবেন।

492
Pharmacy / Deadly cyclone strikes Sardinia
« on: November 19, 2013, 02:30:50 PM »
At least 14 people have been killed after a cyclone, accompanied by heavy rains, tore through the Italian island of Sardinia.

A number of people are believed to be missing after rivers burst their banks, sweeping cars away and causing bridges to collapse.

The worst-hit area appears to be in and around the north-eastern city of Olbia.

Hundreds of people across the Mediterranean island were moved from their homes.

"We're at maximum alert," Giorgio Cicalo, an official from Sardinia's civil protection authority, told Italy's Rai TV.
map

"We haven't seen a situation as extreme as this, perhaps for decades. Especially because it's been across the whole island."

Sardinian Governor Ugo Cappellacci told Italian TV that Cyclone Cleopatra had claimed the lives of at least 14 people.

A Brazilian family of four died in Arzachena, in the far north-east of the island, the Nuova Sardegna newspaper reported.

Three people died when a road bridge collapsed on to their car near Olbia, according to local media.

In a separate incident, a mother and her daughter were found dead in their car after it was swept away by floods.

Among the victims was a police officer who died after a bridge collapsed.
Tankers are battered by gale winds and big waves off Cagliari. Photo: 18 November 2013 Tankers are battered by gale winds and big waves off Cagliari

Olbia Mayor Gianni Giovanelli was quoted by Sky TG24 as saying that the city had been hit by an "apocalyptic"' storm.

Meanwhile Governor Cappellacci told La Stampa newspaper that thousands of people had been affected.

"Unfortunately the situation is tragic," he said.

Cyclones are extremely rare in the Mediterranean.

Some city residents used social media to offer shelter to those forced out of their homes.

The storms also caused extensive damage to farms on the island and disrupted a number of flights to and from mainland Italy.

493
Pharmacy / Top four countries in T-20 ranking.
« on: November 19, 2013, 02:25:02 PM »
নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি জয় পেলেই শ্রীলঙ্কার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে থাকাটা নিশ্চিত হয়ে যাবে।


আগামী মঙ্গলবার পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে।

তবে নিউ জিল্যান্ড শ্রীলংকাকে ২-০ ব্যবধানে হারালে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সুযোগ থাকবে শীর্ষে ওঠার। অবশ্য এটি নির্ভর করবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের উপর।

শ্রীলঙ্কা যদি একটি ম্যাচ জিততে পারে তবে বুধবার জোহানেসবার্গে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের ফল যাই হোক না কেন, তাদের শীর্ষস্থান অক্ষুন্নই থাকবে।

শ্রীলঙ্কা দুটি ম্যাচেই হেরে গেলে পাকিস্তান বা দক্ষিণ আফ্রিকার দুটো ম্যাচ জিতে শীর্ষে উঠার সুযোগ থাকবে।

আর শ্রীলঙ্কা 'হোয়াইটওয়াশ' হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ যদি ১-১ সমতায় শেষ হয়, তবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে যাবে ভারত।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। ডাক পেয়েছেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার রামিথ রামবুকভেল্লা ও লেগস্পিনার সিককুগে প্রসান্না।

494
Videos / “Television” bags Netpac award at Kolkata
« on: November 19, 2013, 01:39:14 PM »
Bangladeshi director Mostofa Sarwar Farooki’s film “Television”, which depicted a transforming society in the country and a growing conflict between tradition and modernity, bagged the top Network for the Promotion of Asian Cinema (Netpac) award at the Kolkata International Film Festival which concluded on Sunday. Festival chairman, veteran actor Ranjit Mullick and director Goutam Ghosh handed over the award to managing director of Impress Tele-film Limited and Channel i, Faridur Reza Sagar and actress Tisha. Faridur Reza Sagar thanked the festival organisers and film aficionados of Kolkata, claiming that the award will inspire more good films from Bangladesh.
The film had also been received warmly by the audience at the festival. Both the screenings drew large crowds, who commended the story, dialogues and acting.
This was the second time in three years that a Bangladeshi feature film bagged the prestigious award at the Kolkata festival. In November, 2011, it was Nasiruddin Yousuff’s feature film “Guerrilla” which received the same award.
Altogether, nine films from Bangladesh, Indonesia, India, Singapore, Philippines, China, Malaysia, Myanmar and Thailand had contested for the award this year. A total of 189 films from 66 countries were screened during the eight-day festival.
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee hinted at more categories for competition in the forthcoming festival.
Yesteryear matinee idol Biswajit and veteran singer Dwijen Mukhopadhyay were also felicitated at the closing ceremony of the festival. The logo for the next edition of the festival was also unveiled.
The highlight of the closing ceremony was, however, the tribute to “Pancha Konya” – five daughters – of Bengal who have shone the brightest on the big screen — from the first Indian Miss Universe and actress Sushmita Sen to screen sirens Bipasha Basu and Rani Mukherjee to yesteryear actress Moushumi Chatterjee and current Tolly heartthrob Koel Mullick. All the five ladies were felicitated on a star-studded evening at the Science City.
Sushmita, draped in red chiffon, walked tall as she spoke about the courage and conviction that she draws from the indomitable spirit of Bengal.
Bipasha stole the show with a typically Bengali get-up saree for the occasion. The actress, who spent her schooldays in Kolkata, was touched by the informal atmosphere on the dais. “It’s (Bengal) like a family to me. Mamata’di has pampered us a lot,” she said.
Rani Mukherjee was roundly applauded as she walked up on dais and said she felt instant warmth as chief minister Mamata Banerjee asked her parents to come on stage too.

495
Cricket / The man whom cricket loved back
« on: November 19, 2013, 01:33:45 PM »
A day before Sachin Tendulkar's final day in cricket, I was asked by a television channel if there had been a grander farewell for a sportsperson. I offered the standard answer: few sports could beat the combined scale of size and emotion afforded by cricket's fan base, and no other sportsperson has been adored so obsessively for so long by so many people.

But being in attendance for his final day in cricket brought home the more profound part of the truth. Perhaps no sportsman, certainly no cricketer, has loved his sport so obsessively, so absolutely, and for so long as Sachin Tendulkar has done. There were thousands of moist eyes and heavy hearts around the ground, and millions more around the world, but no loss was greater than that of Tendulkar himself.

When great sportsmen leave the stage, more so ones as well loved as Tendulkar, they take part of us with them. But for him, he was leaving his very essence behind. Fans spoke of the emptiness that followed his departure, but can it be greater than the one in Tendulkar's heart? Can we even comprehend it?

Anjali, his wife, came closest. Cricket can do without Tendulkar, she said, but can Tendulkar do without cricket?

Tendulkar's final performance in the India colours will count among his finest: the 74 runs he scored in his final innings will be as special to his fans as many of his hundreds are, but it was his farewell speech that moved millions to tears. It wasn't profound or insightful, it didn't contain a vision for cricket, or even dazzling oratory. It was merely a thanksgiving.

But it was lifted by its stirring earnestness, the poignancy of the moment, and most of all, by its intimacy. In thanking everyone, from his father to his fans, Tendulkar revealed more of himself than he has ever done in the past.

He spoke for nearly 20 minutes but he didn't need a written speech because the words came from within; and the words were moving because they carried emotions fans could relate to. For a naturally shy person, this was a virtuoso performance. But in the truest sense, this was no performance. "It is getting difficult," he said at the beginning, "but I will manage." And then he was in the zone. The speech contained his signature qualities: humility, grace, simplicity and composure.

Brian Lara, Tendulkar's great rival, left with these words, delivered with a flourish: "Did I entertain you?" he asked the fans in Bridgetown after West Indies had bowed out of their home World Cup with a loss to England. The crowd roared back its approval.

Tendulkar's final words were a heartfelt thank you. "Sachin, Sachin will reverberate in my ears till I stop breathing," he said. The crowd wept.

As photographers crowded him after the speech, standing high in the Garware Pavilion I pictured in my mind the perfect finish. Tendulkar breaking free of the throng that surrounded him and taking a lap of the ground all by himself. Just him on his beloved turf, and nothing between him and his fans. A purer finale was hard to imagine.

But of course he was never going to be left alone. Photographers, reporters, administrators, policemen, hangers-on surrounded him as he began his final lap, and then there was the obligatory hoisting-on-the-shoulders by his team-mates. Still, it was a quite a finish.

“ Fans spoke of the emptiness that followed Tendulkar's departure, but can it be greater than the one in Tendulkar's heart?
I have been fortunate to have experienced first-hand some big moments in cricket in the last 15 years. I watched this very ground throb all day and then explode when MS Dhoni's thundering six won India the 2011 World Cup. But that emotion was triumphalist, and somewhat feral. Journalism trains you to soak up the atmosphere on such occasions, but inures you from being affected by it.

This was different. The intimacy, the deeply personal nature of the occasion, melted your defence. Resistance would have been futile and artificial. You were glad to be there, and to surrender to the moment.

India is given to exaggeration, and the way everyone was cashing in on Tendulkar's final series had begun to grate, but there was no artifice here. Cricket, on that day, became incidental, and it didn't matter anymore that the feebleness of the West Indians had reduced the contest to a mockery. It became what it was meant to be: it was now between Tendulkar and his fans.

It was pointed out that none of the recently retired Indian greats received the send-off they deserved, but to begrudge Tendulkar his farewell on that count would be missing the plot. His story is unique. You could argue that it is an outcome of circumstances, but it is hard to imagine any cricketer having the kind of connection with his fans that he did. It wasn't the sort of craze fans find themselves possessed by for rock stars and film stars. It was love, true and deep, a sense he was theirs, and a gratefulness for the joy he brought them.

At the press conference the following day, Tendulkar spoke about not having yet reconciled to the idea of not playing cricket again. He didn't know, he said, why it hadn't sunk in. "Kahin na kahin toh main khel loonga." In cold words, it translates to "Somewhere, somehow, I will find a way to play." But the translation doesn't come close to capturing the longing and poignancy of those words. Spoken with a wistful smile, they offered a glimpse to the hole in his life.

After saying goodbye to the crowd on Saturday, he went - and mercifully he was allowed to go alone - to bid farewell to the "22 yards that had been my life". And it was while he was talking to the wicket, he said casually at the press conference the next day, that he began to feel really emotional.

Talking to the wicket? It was impossible in that bedlam that passed for a press conference - you could only get a word in if you could shout down 15 others - to venture a follow up, but you got it.

Here was a man who spoke of cricket in his sleep, who regarded his bats as his fellow travellers, who saw every cricket ground as his temple, and he was now speaking of talking to the pitch. They conferred godhood on him to glow in his glory, but the truth is that he was the biggest worshipper the game could ever find, and in that lay the foundation of Tendulkar's greatness.

The photograph of Tendulkar in this article is one I have come to love. It is from a training session during the 2012 IPL. He still retains his cherubic look, but the face looks lived-in here; the hair is flowing longer than usual, the eyes are shut, fists clenched around an imaginary bat, and he is rehearsing a shot. His team-mates are a blur behind him, and he seems oblivious to them. He looks more a Sufi saint in a trance than a cricketer: it's a picture of utter submission to his craft.

How could cricket not love him back?

Pages: 1 ... 31 32 [33] 34 35