Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mafruha Akter

Pages: 1 [2] 3 4 ... 15
16
প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের চেয়েও উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)
আমলের দিক থেকে মহান আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন এর অন্যতম হলো জুমার দিন। এ দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আহকাম ও ঐতিহাসিক নানা ঘটনা। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।

অন্য হাদিসে আছে, ‘যেসব দিনে সূর্য উদিত হয়েছে এরমধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন।’ জুমার দিনকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মাঝে (গোনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গোনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে।’ (মুসলিম)

মুসলিম সমাজে জুমাবার একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ দিন জুমার নামাজ আদায় করা হয়। মুসলমানরা জুমার নামাজ আদায়ে মহান আল্লাহর ঘর মসজিদে সমবেত হন। জুমার আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব।

পবিত্র জুমা সম্পর্কে মহান আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মনে রাখবে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন পবিত্র জুমাবার। জুমার নামাজ আদায়ে রয়েছে অশেষ কল্যাণ।’

জুমার নামাজ সম্পর্কে মহান আল্লাহর রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা কারণে তিন জুমার নামাজে যাওয়ায় অবহেলা করে সে যেন ইসলামকে অবজ্ঞা করল এবং তার হৃদয়ে মরিচা পড়ে যায়।’

জুমার দিন আজানের পরও মসজিদগুলো ফাঁকা থাকে। খুৎবার শেষ পর্যায়ে তড়িঘড়ি করে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করে যা ধর্মীয় দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়।

পবিত্র জুমা দিবসে মুসলমান ধনী-দরিদ্র, উচু-নীচু, ছোট-বড় সকলে একই কাতারে দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ আদায় করে। কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র জুমার নামাজ আমাদের ওপর অপরিহার্য করেছেন।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

‘হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে।’ (সূরা: জুমা, আয়াত: ০৯)।


 
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সালাতুল জুমা বা জুমার নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান করেছেন। হজরত রাসূলে পাক (সা.) এর বাণী, ‘যে ব্যক্তি অলসতা করে পর পর তিন জুমা উপস্থিত হবে না আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেবেন।’

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের সমাজের অনেক মুসলিম ভাইয়েরা মহান আল্লাহ তায়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী শ্রবণের পরেও জুমার নামাজ আদায় করে না বরং সমাজে নানাবিধ অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

পবিত্র জুমা দিবসে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতীর জীবনের সর্বক্ষেত্রে সত্য-ন্যায়, ত্যাগ ও সৎকর্মের অনুশীলন এবং দেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে রহমত, বরকত ও মাগফিরাত কামনা করুন।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ‘জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা থাকে, যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম মসজিদে প্রবেশ করে তার নাম লিখে রাখে। এর উদাহরণ হলো, প্রথম ব্যক্তি একটি উট কোরবানীর সাওয়াব পাবে, এরপর যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে একটি গরু কোরবানীর সাওয়াব পাবে, এর পর যে প্রবেশ করবে সে দুম্বা কোরবানীর সাওয়াব পাবে, এরপর যে প্রবেশ করবে সে মোরগ কোরবানীর সাওয়াব পাবে।’ (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
জুমা দিবসে করণীয়: সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে জামাতের সহিত ফজরের নামাজ আদায় করে জুমার আগে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। দয়াল নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে মহান আল্লাহ পাক তার জন্য জুমার মাঝের সময়টা নূর দ্বারা ভরিয়ে দেয়।’ (বায়হাকী শরীফ)

17
লম্বা চুলের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। চুলের আগা ফেটে দুই ভাগ হয়ে যাওয়াকে মূলত আগা ফাটা বলে। এর কারণে চুলে কোন হেয়ার স্টাইল যেমন মানায় না তেমনি চুল লম্বা হয় না। বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ফাটতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোয়া, সূর্যের রশ্নি, ধুলা বালি, দূষণে চুল থাকা, অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোঁয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, তেল না দেওয়া, কেমিক্যাল পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহার করা ইত্যাদি চুলের আগা ফাটার অন্যতম কারণ। চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য অনেক নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, কিন্তু এতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান পাবেন আপনার ঘরে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করে ফেলুন।

১। ডিম
চুলের আগা ফাটা রোধে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল ডিম। ডিম, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া একটি ডিম এক চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন।

২। হট অয়েল ডিপ কন্ডিশনার
অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, নারকেল তেল অথবা কাস্টার অয়েল কিছুক্ষণ গরম করে নিন। এটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন। এটি চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৩। পেঁপে
পাকা পেঁপের সাথে আধা কাপ টকদই ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৪। কলা
একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টকদই, গোলাপ জল এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কলার পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন সি, এ,ই চুলের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। মধু
মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। জাদুকরী এই প্যাকটি দ্রুত চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে।

18
মিষ্টিকুমড়ার বিচি : মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে রয়েছে অনেক উচ্চমাত্রার জিঙ্ক। যা ঠাণ্ডার স্থায়িত্বকাল কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বিচি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। সবচাইতে বড় ব্যাপার হলো, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা নতুন করে ঠাণ্ডা লাগা থেকে প্রতিরোধ করে।
রসুন: রসুন তার অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমূহের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বহু বছর ধরেই, ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে রসুন ব্যবহূত হয়ে আসছে। রসুনে রয়েছে অষষরপরহ, যেটা এক ধরনের সালফিউরিক উপাদান। যা বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে ঠাণ্ডার সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে।
কমলালেবু: কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন্স ও সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে থাকে। কমলালেবু মূলত খুব শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের শ্বেতরক্ত কণিকার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কমলালেবু অন্যতম দারুণ একটি উপাদান ঠাণ্ডা কমানোর জন্য।

মাশরুম: মাশরুম সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি ও অন্যান্য ধরনের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। মাশরুম ঈুঃড়শরহবং এর উত্পাদন বৃদ্ধি করে থাকে, যা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
দই: দই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং সাধারণ ঠাণ্ডা ও ইনফেকশনের সমস্যার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে লড়ায় করতে সাহায্য করে থাকে। দইয়ে রয়েছে কিছু দারুণ ও উপকারী উপাদান, যা সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা ও অন্যান্য ভাইরাল ইনফেকশনের সমস্যাকে প্রতিহত করে থাকে।
দুধ: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি। যা ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে কাজ করে করে থাকে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, যাদের ভিটামিন-ডি এর স্বল্পতা রয়েছে তার তুলনামূলকভাবে বেশি ঠাণ্ডার সমস্যায় ভুগে থাকেন।
আদা: আদাতে রয়েছে বিশেষ ধরনের একটি উপাদান- সেসকুইটার্পিনস, যা সর্দি ও কাশির ক্ষেত্রে খুব বেশি উপকারী। একদম তাজা আদা খাওয়ার ফলে, সেটি জযড়হড়ারত্ঁং এর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এবং শরীরে অ্যান্টিভাইরাল কেমিক্যাল উত্পাদনে সাহায্য করে থাকে।
গ্রিনটি: গ্রিনটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ এবং এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমূহ। গ্রিনটিতে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যায় খুব দারুণ কাজ করে বলে দেখা গেছে।

গরুর মাংস: গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক। যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এই শ্বেত রক্তকণিকা শরীরে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। গরুর মাংস খাওয়ার ফলে শরীর যে প্রোটিন পায়, সেটা থেকে শরীর অ্যান্টিবডিসমূহ তৈরি করে, যা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
আপেল: অন্যান্য সব ফলের মাঝে আপেলের গুনাগুনা বরাবরই অনেক বেশি। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ। শুধু একটি আপেলে রয়েছে ১৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এর সমপরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট! আপেলে থাকা রোগ-প্রতিরোধী ফ্ল্যাভনয়েড ঠাণ্ডা ও জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
হলুদ: হলুদে রয়েছে অনেক উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ এবং প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে হলুদ খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দেবার সম্ভবনাও কমে যায়।
মুরগির স্যুপ: গরম ও উষ্ণ তরল খাবার, যেমন: স্যুপ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং মিউকাস নিঃসরণ এর হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। মুরগির স্যুপে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিন এবং সবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে থাকে। ঠাণ্ডার সমস্যার জন্য স্যুপকে সুপারফুড হিসেবে বলা হয়ে থাকে।
গাজর: দারুণ এই প্রাকৃতিক সবজীতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-এ। যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব দারুণভাবে কাজ করে থাকে। তাই ঠাণ্ডাভাব দেখা দিলে গাজর খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

19
ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যথাযুক্ত ক্যানসার হিসেবে স্টমাক ক্যানসার বা পাকস্থলী ক্যানসার পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু এ রোগে ভুক্তভোগীদের অনেকের মধ্যে ব্যথা এ রোগের প্রাথমিক সতর্কীকরণ উপসর্গ নয়। নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেমের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং সার্জিকেল অনকোলজিস্ট ইউমার্ট সার্পেল বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, পাকস্থলী ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ের সবচেয়ে অধিক কমন বৈশিষ্ট্য হতে পারে- এ পর্যায়ে তেমন উল্লেখযোগ্য উপসর্গ দেখা নাও দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মাঝেমধ্যে পাকস্থলী ব্যথা অনুভব করে থাকি এবং তা লোকজনকে পাকস্থলী ক্যানসারের কথা মনে করিয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলে।’ তিনি যোগ করেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাকস্থলী ব্যথা পাকস্থলী ক্যানসারের রেজাল্ট নয়।’ পাকস্থলী ক্যানসার হওয়ার মাত্রা কেমন? আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, মোটামুটিভাবে, ১১১ জন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একজন তার জীবনকালে কোনো না কোনো সময় পাকস্থলী (গ্যাস্ট্রিক) ক্যানসারে ভুগবে এবং এ রোগটি পুরুষদের মধ্যে অধিকতর কমন। ডা. সার্পেলের মতে, ‘আপনার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মধ্যে এ রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।’

(i).মল বা বমির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া: ডা. সার্পেল বলেন, ‘পাকস্থলী ক্যানসারের নিশ্চিত উপসর্গ ছাড়াও কোলাইটিস এবং ক্রোনস ডিজিজ উভয় ক্ষেত্রেই রক্তমল হতে পারে, মল বা বমি যে কোনো একটার সঙ্গে রক্ত যাওয়া ডিমান্ড করে যে আপনি একজন জিআই ডাক্তারের কাছে যান।’ যদি রক্তপাত পাকস্থলী ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহলে আপনার মলের রক্ত মেরুন বা আলকাতরার মতো কালো হতে পারে। অন্যদিকে, বমির রক্ত উজ্জ্বল লাল হতে পারে এবং বমির গঠন হতে পারে অসূক্ষ্ম কফি গ্রাউন্ডের মতো, কারণ এটি আংশিকভাবে হজম হয়েছে।

(ii). দ্রুত ক্ষুধা চলে যাওয়া: আপনি ক্ষুধার্ত ছিলেন, যখন আপনি খেতে বসলেন- কয়েক গ্রাস বা কামড়ের পর আপনার ক্ষুধা চলে গেছে এবং খাবারটি খেতে আর ভালো লাগছে না। এটি হতে পারে পাকস্থলী ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। ডা. সার্পেল বলেন, ‘বিশেষ করে যদি আপনার ক্ষুধা সচরাচরের তুলনায় দ্রুত মিটে যায়, তাহলে আপনার একে অবহেলা করা উচিত নয়।’
(iii). অন্ত্রে ব্যথা হওয়া: কিছুক্ষেত্রে পাকস্থলী ব্যথা পাকস্থলী ক্যানসারের উপসর্গ। ডা. সার্পেল বলেন, ‘কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার ব্যথা অন্যান্য অন্ত্র বা পেটের অসুস্থতার কারণে হতে পারে, ক্যানসারের জন্য নয়।’ তিনি বলেন, পাকস্থলী ক্যানসার সম্পর্কিত ব্যথার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ব্যথা অনবরত হবে এবং ব্যথা হবে ‘কামড় খাওয়া’ প্রকৃতির। তিনি আরো বলেন, ‘এটি এমন কিছু নয় যে আপনি শুধু একদিনের জন্য অনুভব করবেন, এটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে এবং আবারো ফিরে আসতে পারে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আপনার পাকস্থলীর মধ্যখানে নিস্তেজ ব্যথা হচ্ছে ক্লাসিক পাকস্থলী ক্যানসার ব্যথা।’

(iv). অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন হ্রাস পাওয়া: ডা. সার্পেল বলেন, ‘অনেক শারীরিক অবস্থা, যেমন- টাইপ-১ ডায়াবেটিস, অ্যাডিসন’স ডিজিজ এবং ক্রোন’স ডিজিজ, অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন কমাতে পারে। এ তালিকায় পাকস্থলী ক্যানসার অন্তর্ভুক্ত করুন।’ তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘যদি আপনি ওজন হারাতে থাকেন এবং ডায়েটিং না করেন, তাহলে তা এমন কিছু যাতে আপনার মনোযোগ দেয়া উচিত।’ এরকম ওজন হ্রাসের ব্যাপারে সচেতন থাকুন, কারণ এই ওজন হ্রাস ধীরে ধীরে হতে পারে। হঠাত্ ওজন হ্রাসের বিষয়টি আপনার লক্ষ্যে নাও আসতে পারে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনি স্কেলের সাহায্য নিতে পারেন। ৬ মাসের মধ্যে কয়েক পাউন্ড ওজন হ্রাসের জন্য দুশ্চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আপনার প্রচেষ্টা ব্যতীত উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন হ্রাস পেয়ে থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।
(v). বুকজ্বালা হওয়া: ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যানসার সেন্টারের রিসোর্স অনুসারে, বুকজ্বালা, বদহজম এবং অসুস্থ অন্ত্রের অন্যান্য কমন উপসর্গও হতে পারে পাকস্থলী ক্যানসারের প্রাথমিক সতর্কীকরণ উপসর্গ। ডা. সার্পেল বলেন, ‘এ রকম উপসর্গসমূহ ক্যানসারের তুলনায় অন্যান্য শারীরিক দুরবস্থার নির্দেশক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ কিন্তু উপসর্গ যেটারই হোক না কেন, আপনার উচিত হবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া।

(vi). পেটফোলা, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া: আপনার পাকস্থলীতে ক্যানসার বিকশিত হলে আপনার পেটফোলা, ডায়রিয়া/ কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা বাওয়েল মুভমেন্ট বা মলত্যাগে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এসব উপসর্গের প্রত্যেকটা এককভাবে ক্যানসারের লক্ষণ না হলেও এদের সঙ্গে এ প্রতিবেদনের অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে আপনাকে ক্যানসার সম্পর্কিত ফলো-আপ টেস্টিং করতে হতে পারে, যদি আপনার ডাক্তার এসবের জন্য অন্য কোনো সমস্যাকে চিহ্নিত না করে।

20
নারীর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অনেক। পিরিয়ডের দিনগুলোতে জীবাণুমুক্ত পরিবেশ বজায় না থাকলে নানা ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস। তাই অপরিচ্ছন্নতা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে জরায়ুমুখের ক্যানসার। কিশোরী বয়স থেকে তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি।

এইচপিভি নামের দুষ্ট ভাইরাস: জরায়ুমুখের ক্যানসারের পেছনে নাটের গুরু হিসেবে ধরা হয় এই ভাইরাসকে। পুরো নাম হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কোষের গঠনকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। নানা স্তর পেরিয়ে একসময় রূপ নেয় আগ্রাসী ক্যানসারে। এইচপিভি ভাইরাস আছে এক শর বেশি ধরনের। এর মধ্যে এইচপিভি ১৬ ও ১৮ মূলত ক্যানসারের জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ দায়ী।আশার কথা, বেশির ভাগ এইচপিভি সংক্রমণ আপনাআপনি সেরে যায়। কিছু সংক্রমণ যেতে পারে ক্যানসারের দিকে।
সুরক্ষার আছে উপায়: জরায়ুমুখের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উপায় আছে। ঝুঁকিগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বাল্যবিবাহকে না। বেশি সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নজর দিতে হবে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে। কন্যাসন্তানের জন্য এইচপিভি টিকা। বড়দের জন্য ক্যানসার স্ক্রিনিং।

বিশেষ সময়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ: মাসের বিশেষ সময়টি একসময় ছিল বিব্রতকর, নানা বিড়ম্বনায় ভরা। স্কুল কামাই, কাজে বিরতি। পুরোনো ন্যাকড়ার অস্বাস্থ্যকর ব্যবহার। প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে জ্ঞানের অভাব। এখন অন্তত দু–একটা শ্রেণির নারীদের আর পুরোনো কাপড়ে নির্ভরতা নেই। স্কুল কামাই, কাজে বিরতির দরকার নেই। আধুনিক জীবাণুমুক্ত ন্যাপকিনে স্বাচ্ছন্দ্য আর স্বাস্থ্যকর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কিন্তু এর জন্য যে আর্থিক সামর্থ্যটুকু চাই, সবার তা নেই। গ্রাম ও শহরের অগণিত দরিদ্র নারীর জন্য চাই অক্ষয়কুমাররূপী একজন ‘প্যাডম্যানের’।

21
তিবছর দুনিয়াজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যান কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে। শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কীভাবে এর সঠিক যত্ন নিতে হয়, কীভাবে কিডনির ক্ষতি এড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে হয়। প্রতিদিনের জীবনে আমরা এমন অনেক কিছুই করি যা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। অর্গানিক হেলথ ডটকম এক প্রতিবেদনে এমন ১০ কারণের কথা জানিয়েছে।

(i)পর্যাপ্ত পানি পান না করা: প্রতিদিন যেসব কারণে কিডনির ক্ষতি হয় তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণটি হলো পর্যাপ্ত পানি পান না করা। কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ শরীর থেকে পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ করা এবং লোহিত রক্তকণিকার ভারসাম্য রক্ষা করা। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বৃক্বের রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এর ফলে রক্তে দূষিত রাসায়নিক জমা হতে থাকে।
(ii)দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করে থাকা: দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করে থাকা প্রাত্যহিক সমস্যাগুলোর একটা। বিশেষত পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের অভাবে শহরাঞ্চলের নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। দীর্ঘক্ষণ মূত্রাশয় পূর্ণ করে রাখা শরীরে নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। পেশির ওপর চাপ থেকে ডাইভারটিকিউলোসিসের মতো জটিল রোগ হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করা থেকে হাইড্রোনেফ্রোসিস বা কিডনিতে প্রস্রাবের চাপ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। এসব থেকেই কিডনি কর্মক্ষমতা হারায় এবং ডায়ালাইসিস প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
(iii)বেশি লবণ খাওয়া: বিভিন্ন খাবার-দাবারে মিশে থাকা লবণকে পরিপাক করা কিডনির আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রান্না করা বা প্যাকেটজাত খাবারে ব্যবহার করা লবণ আমাদের শরীরে সোডিয়ামের বড় উৎস। কিন্তু পরিপাকের মধ্য দিয়ে এই সোডিয়ামের বেশির ভাগটাই বর্জ্য হিসেবে শরীর থেকে বের করে দিতে হয়। আমরা যখন বেশি বেশি লবণ খাই, তখন এই সোডিয়াম প্রক্রিয়াজাত করা নিয়ে কিডনিকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে কিডনির ওপর প্রবল চাপ পড়ে।

(iv)ক্যাফেইনে বেশি আসক্তি: তৃষ্ণা পেলে আমরা অনেক সময় পানি পান না করে নানা ধরনের কোমল পানীয় পান করি। কিন্তু এসব পানীয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন মেশানো থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তচাপ কিডনির ওপরও চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(v)ব্যথানাশকের প্রতি নির্ভরশীলতা: মাথাব্যথা, গলাব্যথা যা-ই হোক না কেন কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ খাওয়ার বাজে অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু প্রায় সব ব্যথানাশক ওষুধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কিডনিসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য এসব ওষুধ ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরতা রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।
(vi)বেশি বেশি প্রোটিন খাওয়া: কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লে লাল মাংস বা গরু-ছাগলের মাংস বেশি খাওয়া ঠিক না। বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার কিডনির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। তবে, কিডনির সমস্যা না থাকলে বা চিকিৎসকের নিষেধ না থাকলে এমন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে।
(vii)অ্যালকোহলে আসক্তি: মদ্যপানের অভ্যাস আছে এমন অনেকেরই অনেক সময় মাত্রাজ্ঞান থাকে না। আর খুব বেশি পরিমাণে মদ পান করা কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। অ্যালকোহলে নানা ধরনের টক্সিন থাকে, যেগুলো শরীর থেকে দূর করতে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যায়। ফলে কিডনি বাঁচাতে হলে অবশ্যই অ্যালকোহলে আসক্তি কমাতে হবে।

(viii)ধূমপানে আসক্তি: যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের অভিমত অনুসারে ধূমপান কিডনিসহ শরীরে সব অঙ্গের জন্যই ক্ষতিকর। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণাতেই ধূমপানের সঙ্গে কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। সুস্থ কিডনি চাইলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
(ix)সর্দি-কাশিকে পাত্তা না দেওয়া: সাধারণ সর্দি-কাশিকে পাত্তা না দেওয়া আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু এই সর্দি-কাশিই কিডনির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া নানা গবেষণায় দেখা গেছে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন অনেকেরই অসুস্থতার সময়ে ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়ার ইতিহাস আছে।
(x)রাত জেগে থাকা: রাত জেগে থাকা, ঘুমাতে না পারা আমাদের অনেকেরই নিয়মিত সমস্যা। কিন্তু ঘুম শরীরের জন্য নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময়ই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর টিস্যুর নবায়ন ঘটে। ফলে ঘুমাতে না পারার সমস্যাটা নিয়মিত চলতে থাকলে কিডনিসহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর এই কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।

22
যদিও শীতকাল প্রায় শেষের পথে। তথাপিও সাবধান থাকা জরুরি। আবহাওয়া বলছে আরও একটি ভয়াবহ শীত আসছে এ মাসেই। তাই এখনও ঠাণ্ডা, ফ্লু, স্টমাক বাগ এবং অন্যান্য ইনফেকশন ছড়ানোর ঝুঁকি আছে। স্বভাবত সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্য পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। সংক্রমিত ব্যক্তি বা পৃষ্ঠ স্পর্শের পর আপনার চোখ, নাক অথবা মুখ স্পর্শের মাধ্যমে আপনার মধ্যে ইনফেকশন সৃষ্টকারী জীবাণু চলে আসা খুব সহজ। ঘনঘন হাত ধোয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকৃত প্রধান ইনফেকশন প্রতিরোধমূলক কৌশল। কিন্তু আপনার কিছু অতিরিক্ত কৌশল অবলম্বন করাও প্রয়োজন হবে। তাই আজকের প্রতিবেদনে শীতকালে সুস্থ থাকার ৮টি উপায় আলোচনা করা হলো-

# সঠিক সাবান ব্যবহার করুন: আপনি অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান এড়িয়ে চলতে পারেন যেটাতে ট্রাইক্লোসানের মতো উপাদান আছে, যা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এফডিএ ঘোষণা করেছে যে, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান সাধারণ সাবানের চেয়ে ভালোভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে কিনা তার কোনো প্রমাণ নেই এবং এটি অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিস্ট্যান্ট সুপারবাগ (এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া) বৃদ্ধি করে ও হরমোনগত নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত করে। আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) হাতের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের পরিমাণ হ্রাস করতে সাধারণ সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

# হ্যান্ডশেক এড়িয়ে চলুন: ঠাণ্ডা এবং ফ্লু মৌসুমে একে অপর থেকে জীবাণু বিনিময় এড়াতে হ্যান্ড-টু-হ্যান্ড কন্টাক্ট বা হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকুন। জীবাণু বিনিময় এড়াতে অনেক পরিবেশে শুভেচ্ছা স্টাইল পরিবর্তন হচ্ছে। ন্যাশভিলেতে অবস্থিত ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের প্রিভেন্টিভ মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের অধ্যাপক উইলিয়াম শ্যাফনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক পরিবেশে হ্যান্ডশেকের জায়গা দখল করছে ফিস্ট বাম্প (মুষ্টির সঙ্গে মুষ্টির স্পর্শ) এবং এলবো বাম্প (কনুইর সঙ্গে কনুই স্পর্শ)।

# জেনে রাখুন যে জীবাণু দীর্ঘসময় বাঁচতে পারে: আপনার হাত ঘনঘন ধোয়ার অন্য একটি কারণ হচ্ছে, সারফেস বা পৃষ্ঠে লেগে থাকা জীবাণু আপনার কল্পনার চেয়েও বেশি সময় বাঁচতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর এক গবেষণায় পাওয়া যায়, সারারাত ডে কেয়ার ফ্যাসিলিটি বন্ধ থাকার পরও ডে কেয়ারের খেলনা পুতুল, বই ও শিশুশয্যার ব্যাকটেরিয়া যা ইয়ার ইনফেকশন ও স্ট্রেপ থ্রোট ইনফেকশন বা স্ট্রেপটোকক্কাল ফ্যারিনজাইটিস সৃষ্টি করে তার টেস্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, ফ্লু ভাইরাস শক্ত পৃষ্ঠে (যেমন- দরজার নব বা ফোন) ২ থেকে ৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে।
আমেরিকান জার্নাল অব ইনফেকশন কন্ট্রোলে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক আর্টিকেলে উল্লেখ আছে, ডায়রিয়া ও বমি উদ্রেককারী অত্যধিক সংক্রামক ভাইরাল ইনফেকশন সৃষ্টিকারী নরোভাইরাস (ভমিটিং বাগও বলে) শক্ত ও শুষ্ক সারফেসে সাতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এ গবেষণায় আরও আবিষ্কার হয় যে, এমআরএসএ বা স্টেফাইলোকক্কাস ইনফেকশন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কয়েক মাস ধরে জীবিত থাকতে পারে। এমনকি ঠান্ডার জীবাণু যেকোনো শক্ত পৃষ্ঠে দুই ঘণ্টা থেকে সাতদিন এবং চামড়ার ওপর দুই ঘণ্টা বাঁচতে পারে।

# কাশি ও হাঁচি কভার করুন: যদি আপনি তাদের একজন হন যারা সংক্রামক রোগের জীবাণু ছড়ায়, তাহলে জীবাণু নিজের মধ্যে রাখার একটি উপায় হচ্ছে, আপনার কনুইয়ের বাঁক বরাবর হাঁচি বা কাশি দেয়া। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ডিভিশনের মেডিকেল অফিসার লিসা গ্রোসকফ বলেন, যখন আপনি কাশেন বা হাঁচি দেন, তখন ভালো মাত্রার বেগে বাতাস বের হয় এবং ৩ থেকে ৬ ফুট রেঞ্জের মধ্যে থাকা যে কারো মধ্যে ভাইরাস পার্টিকেল ছড়িয়ে পড়ে। নিজের হাতে হাঁচি বা কাশি দিলে জীবাণু বায়ুবাহিত হয় না, কিন্তু যদি আপনি সঙ্গে সঙ্গে হাত ধৌত না করেন, তাহলে যে কোনো জিনিস বা ব্যক্তিকে স্পর্শের মাধ্যমে জীবাণু ছড়াবেন।

# স্পর্শ করা জিনিস পরিষ্কার করুন: যেহেতু এসব ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস পৃষ্ঠের ওপর কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকদিন জীবিত থাকতে পারে, সেহেতু স্পর্শ করা জিনিস পরিষ্কার করা হবে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। বোস্টনে অবস্থিত সিমন্স কলেজের সিমন্স সেন্টার ফর হাইজিন অ্যান্ড হেলথ ইন হোম অ্যান্ড কমিউনিটির সহ-পরিচালক এলিজাবেথ স্কট বলেন, আমি টার্গেটেড হাইজিন নামে একটি উপায় অবলম্বনের পরামর্শ দিই। এর মানে হচ্ছে, যেখানে যে মুহূর্তে ইনফেকশন ছড়ানোর ঝুঁকি থাকবে তখন ক্লিনিং বা পরিষ্করণ এবং ডিসইনফেক্টিং বা ইনফেকশন শোধন চর্চার লক্ষ্য নির্ধারণ করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোনো সহকর্মী বা পরিবারের ইনফেকশন আছে। অফিসে শেয়ারকৃত ওয়ার্কস্পেস এবং উপকরণ যেমন- কপি মেশিন যা অফিসের সবাই স্পর্শ করে তা নিয়মিত (অন্ততপক্ষে প্রতিদিন) পরিষ্কার করা ভালো। ঘরে দরজার হাতল, পানির ট্যাপ ও টিভির রিমোটের মতো শক্ত সারফেস পরিষ্কার করুন, যেখানে ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘসময় জীবিত থাকতে পারে। আপনি অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ক্লিনিং প্রোডাক্ট এড়িয়ে যেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে যেকোনো হাউজহোল্ড ক্লিনার অথবা ডিলিউটেড ব্লিচ সলুশন দিয়ে আপনি এ পরিষ্করণের কাজ করতে পারেন।

# আপনার দূরত্ব বজায় রাখুন: রেসপিরেটরি ভাইরাস যেমন- ঠাণ্ডা ও ফ্লু বাতাসের মাধ্যমে সহজে ছড়াতে পারে। শাফনার বলেন, যখন অসুস্থ ব্যক্তিরা শ্বাসত্যাগ করে তখন তারা অতি ক্ষুদ্র ফোঁটার তরল নির্গত করে যেখানে ভাইরাস থাকে এবং তাদের ব্রিদিং জোন বা শ্বাসক্রিয়ার স্থানে অন্য কেউ থাকলে সংক্রমিত বাতাসে শ্বাস গ্রহণ করতে পারে। শীতকালে সুস্থ থাকতে শ্বাসত্যাগ, কাশি ও হাঁচি দিতে পারে এমন সম্ভাবনাযুক্ত অসুস্থ ব্যক্তি এবং আপনার মধ্যে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

# ভ্যাকসিন নিন: যদিও ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে কোনো নিশ্চয়তাযুক্ত সুরক্ষা নেই, তবে বার্ষিক ফ্লু ভ্যাকসিন আপনার সর্বোত্তম প্রতিরোধ হতে পারে। ২০১৬ সালে আমেরিকায় যারা ভ্যাকসিন নেন তাদের মধ্যে ফ্লু হওয়ার ঝুঁকি ৪২ শতাংশ কমে যায়। গ্রোসকফ বলেন, ভ্যাকসিন নেয়ার পরও যদি আপনি অসুস্থ হন, আপনার উপসর্গ হালকা হতে পারে। ভ্যাকসিন নেয়ার পর প্রয়োজনীয় ও প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আপনার ইমিউন সিস্টেমের দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তাই ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে শীতকালের আগে ভ্যাকসিন নেয়াটা হবে আদর্শ কাজ।

23
কানাডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন এর ডেন্টাল প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক ডা. ইউয়ান সোয়ান বলেন, দাঁতের উপরের শক্ত অংশ বা এনামেল ক্ষয় হয়ে গেলে এর নিচের স্তর ডেন্টিনের আণুবীক্ষণিক ছিদ্রগুলো (টিউবিউলস) উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং এর মাধ্যমে ঠাণ্ডা, গরম, মিষ্টি বা এসিডিক খাবার গ্রহণ করলেই তা স্নায়ু এবং দাঁতের ভেতরের কোষকে উদ্দীপিত করে বলে তীব্র যন্ত্রণা হয়। কিন্তু খুব সহজেই এই সাধারণ সমস্যাটি থেকে মুক্ত হওয়া যায়। সংবেদনশীল দাঁতের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা উপায় গুলোর বিষয়েই জানবো আজ
সংবেদনশীল দাঁতের জন্য তৈরি টুথপেস্ট ব্যবহার করুন: আমরা বিজ্ঞাপনের শেষে দেখি যে মানুষ খুব সুখী মুখে আইসক্রিমের কোণে কামড় দিচ্ছে। এই পণ্যগুলো কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে পেশাদারদের কাছ থেকে শুনে নেয়া ভালো। সোয়ান বলেন, সংবেদনরোধী টুথপেস্টের মধ্যে এমন উপাদান থাকে যা সংবেদনশীল দাঁতের উপরিভাগ থেকে দাঁতের ভেতরের স্নায়ু পর্যন্ত অনুভূতি পৌঁছাতে বাধা দেয়। বেশিরভাগ মানুষই এ ধরনের টুথপেস্ট ব্যবহারের পর ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পান।

মুখের যত্ন নিন: মুখের যত্নের বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা ও ফ্লস করা এবং ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার বিষয়টি খুবই সাধারণ মনে হলেও এটিই সবচেয়ে ভালো উপায় দাঁত ভালো রাখার। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে, দাঁতের যত্ন ঠিকমত নেয়ার পর ও আপনি ঠাণ্ডা বা মুচমুচে খাবার খাওয়া উপভোগ করতে পারছেন না। তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ দন্ত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা জরুরি। তিনি আপনার সমস্যাটির মূল কারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে এর নিরাময়ের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

নরম তন্তুর টুথব্রাশ ব্যবহার করুন: আপনি নিশ্চয়ই আপনার দাঁতের সুরক্ষা স্তরটিকে যতটুকু সম্ভব শক্তিশালী রাখতে চান। তাহলে একটি নোংরা পাত্রকে পরিষ্কার করার জন্য আপনি যেভাবে ঘষা মাজা করেন সেভাবে দাঁত মাজা শুরু করবেন না। দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করা ছাড়া দাঁত পরিষ্কারের জন্য সফট ব্রিসল ব্রাশ বা নরম তন্তুর ব্রাশ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়।
ফ্লোরাইড যুক্ত দাঁতের পণ্য ব্যবহার করুন: দাঁতের সমস্যা সমাধানে সত্যিকারভাবেই কাজ করে ফ্লোরাইড। সোয়ান ব্যাখ্যা করে বলেন, ফ্লোরাইড দাঁতের খনিজের পুনঃস্থাপন বা দাঁতকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এসিডের কারণে নষ্ট হয়। তাই ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।

এসিডিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ সীমিত করুন: আপনার খাদ্যের পরিবর্তন করুন, বিশেষ করে এসিডিক খাবার আপনার দাঁতের ব্যথাকে বৃদ্ধি করবে। এসিডিক খাবার ও পানীয় দাঁতের ক্ষয় এবং দাঁতের সংবেদনশীলতায় অবদান রাখে: বলেন সোয়ান। তিনি সফট ড্রিংক, সাইট্রাস ফলের জুস ইত্যাদি পানীয়গুলোকে সীমিত পরিমাণে গ্রহণের পরামর্শ দেন।
নাইট গার্ড ব্যবহার করুন: হালকা মাথাব্যথা বা মাড়ি ব্যথার জন্য আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় যাবত্ ঘুমিয়ে থাকলেও দাঁতের ক্ষতি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁত কিড়মিড় করলে ও দাঁত সংবেদনশীল হয়ে যায়। এই ক্ষতিকর সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য একটি সহজ সমাধান আছে আর তা হলো মাউথ গার্ড ব্যবহার করা। আপনার ডেন্টিস্টের কাছ থেকে আপনি এটি নিতে পারেন ঘুমের সময় ব্যবহারের জন্য।

24
Beauty Tips / পেঁপের বীজের গুণ
« on: February 26, 2019, 02:00:30 PM »
পেঁপেকে পুষ্টির রত্নঘর বলা হয়। শিশুদের কাছে পছন্দের ফল না হলেও স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের কাছে এটি জনপ্রিয়। সাধারণত পাকা পেঁপে আমরা বীজ ও ছাল ফেলে খাই। কিন্তু অনেকের কাছে এটা অজানা যে পেঁপের বীজে রয়েছে উচ্চ পুষ্টিগুণ ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এটি ফ্লেভনয়েড ও পলিফেনরস এর উৎস, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং শরীরের বিকাশে সাহায্য করে। এ ছাড়া পেঁপের বীজে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে। পেঁপের বীজের গুণ সম্পর্কে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই। আসুন জেনেনিই সেসব গুণ সম্পর্কে….

হজমশক্তি বাড়ায়: গবেষণায় প্রমাণিত, পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তা হজমশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি পরিপাক নালীকে চনমনে রাখে। ফলে দ্রুত হজম হয়। এতে পাকস্থলির উপর চাপও কম পড়ে।

ক্যানসার প্রতিরোধে: পেঁপের বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার বিরোধী। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপের বীজে ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি রোধ করে এবং প্রদাহ কমায়।
লিভার পরিষ্কার করে: পেঁপের মধ্যে ডিটক্সের গুণ রয়েছে, যা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাজেই যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা না-ভুগলেও লিভার ভালো রাখতে চান তারা নিয়মিত পেঁপে খান।

লিভার রোগীদের জন্য উপকারী: বহু গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য পাকা পেঁপের দানা খুব ভালো ওষুধ। রোজ এক চামচ করে পেঁপে বীজ গুঁড়ো করে খান। এটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করবে। এর পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ায় ও লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনুন। তবে ভালো ফল পেতে চাইলে সবার আগে মদ্যপান বন্ধ করুন।
কিডনি ফিট রাখে: লিভারের মতো কিডনি থেকেও ক্ষতিকারক জিনিস বের করে দেয় পাকা পেঁপের বীজ। কাজেই কিডনির সুরক্ষায় নিয়মিত এই খাবারটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পাকা পেঁপের পাশাপাশি এর বীজও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেঁপেতে থাকা কারপেইন নামে বিশেষ এক যৌগ উচ্চ রক্তচাপ কমায়। কাজেই যারা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, তারা বেশি করে পেঁপে খান।
প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক: প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক হিসেবে পাকা পেঁপের বীজের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। গর্ভবতী হতে চাইলে ওই সময়ে পেঁপের বীজ মোটেই খাওয়া ঠিক নয়। আবার পুরুষদেরও স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয় এই দানা। কাজেই যৌবনকালে কোনো পুরুষেরই একটানা পেঁপের বীজ খাওয়া ঠিক নয়।

25
লেবুর রস ও জলপাইয়ের তেল আলাদাভাবে দুটোই শক্তিশালী। তবে দুটোর মিশ্রণ এই শক্তিকে আরেকটু বাড়িয়ে দেয়। লেবুর রস ও জলপাইয়ের তেলের মিশ্রণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে। লেবুর রস ও জলপাইয়ের তেলের মিশ্রণ প্রণালি এবং এর উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক।

প্রণালি: লেবুর রস ও জলপাইয়ের তেলের মিশ্রণ প্রণালি খুবই সহজ। কেবল ১ : ১ অনুপাতে ভালোভাবে দুটো উপাদানকে মেশালেই হবে। অর্থাৎ এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিলে এক টেবিল চামচ জলপাইয়ের তেলও নিতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মিশ্রণটি প্রতিদিন খেতে পারেন।

উপকারিতা:
রোগব্যাধি দূরে রাখে: এগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ভাইরাসের সংক্রমণ, প্রদাহ, রোগব্যাধি থেকে সুরক্ষা দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে লড়াই: এই মিশ্রণ হজম পদ্ধতি ভালো করতে সাহায্য করে; কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে লড়াই করে।
হৃৎপিণ্ড সুরক্ষিত রাখে: জলপাইয়ের তেল ও লেবুর রস হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীর থেকে বাজে কোলেস্টেরল কমায়। লিভার ও পিত্তথলির জন্য ভালো: এই মিশ্রণ লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি পিত্তথলিকে ভালো রাখতেও উপকারী। এ ছাড়া নখের ভঙ্গুরতা কমাতেও এটি কার্যকর।

26
ন টি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও উপকারী পানীয়; এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। আর এ কারণেই এই চা এত জনপ্রিয়।গ্রিন টি পান মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে, শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমায়, ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক গুণ। তবে এসব উপকার পেতে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে।প্রতিদিন গ্রিন টি পানের কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট কিং ডেমিক।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: গ্রিন টি পান টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন গ্রিন টি পান ৪২ ভাগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
অকালবার্ধক্য প্রতিরোধ: নিয়মিত গ্রিন টি পান শরীরের ফ্রি রেডিকেল কমিয়ে অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করে এবং বলিরেখা কমায়।
মানসিক চাপ কমায়: গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে থায়ানিন। এই উপাদান শরীর ও মনকে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: প্রতিদিন গ্রিন টি পান শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা পলিফেনল হৃৎপিণ্ডকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি গ্রিন টি স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমাতে উপকারী।
ঠান্ডা-কাশি: সাধারণত ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধেও গ্রিন টি উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণ এবং নিরাময়ের উপায়

প্রকৃতির বাতাসে ঠাণ্ডার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঠাণ্ডাজ্বর, সর্দি ও কাশির মতো ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা। নিয়মিত ওষুধ খেলেও এই ঠাণ্ডা নিরাময় হতে বেশ সময় লাগে। অনেক সময় নিরাময় হওয়ার কিছুদিন পরে দেখা যায় আবার ঠাণ্ডাজ্বর বা সর্দি হয়েছে। এমন সমস্যার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার ঠাণ্ডা পুনরায় লাগতে শুরু করেছে। তবে তার নিরাময়ও আছে আপনার হাতের কাছেই

ক্লান্তি এবং ঘুম: আমরা সাধারণত শরীরের ছোটখাট সমস্যাগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না। এটা আমাদের প্রথম ভুল। আমাদের সবার উচিত শরীরের ছোট বা বড় সব ধরনের সমস্যাগুলোকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া। যেমন ঠাণ্ডা লাগলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ ক্লান্তিভাব অনুভব করে এবং তা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হতে পারে। কার্নেগি মেলনের পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে বলা হয়, একজন মানুষ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমালে তা তার জন্য ঠিক আছে তবে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে ঘুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে আপনি কত সময় ধরে ঘুমাচ্ছেন তার থেকে বড় ব্যাপার হলো আপনার ঘুম পরিপূর্ণ বা সাউন্ড স্লিপ হচ্ছে কি-না সেটা।

গুমোট নাক খুলতে তরল পান: নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন অব ডুরহামের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাক্তার লাউসার বলেন, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা মূলত শ্বাসযন্ত্রের একটি সমস্যা যা শুরু হয় নাক থেকে। ঠাণ্ডার ভাইরাসগুলো অনুষাঙ্গিক এলাকাতে আক্রমণ করে এবং শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে তা বের করে দেয়ার জন্য। যার ফলে নাকে এক ধরনের শ্লেষ্মা তৈরি হয়। ডাক্তার লাউসার আরও বলেন, আপনি আপনার শরীরকে প্রচুর পানি পান করে সাহায্য করতে পারেন। এতে শরীর ভাইরাস রোধ করতে সক্ষম হবে।

মানসিক চাপ কমান: সারাদিনের কাজের চাপ আপনাকে দিনের শেষে খুবই ক্লান্ত করে দিতে পারে, যা আপনার অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডাক্তাররা এখন মানসিক চাপের সঙ্গে অসুস্থতার সংযোগ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তবে এটি পরিষ্কারভাবে বলা হয় যে, অনেক দিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে থাকাটা শারীরিক কার্যক্রমের জন্য ভালো নয়। নিউ ইংল্যান্ড অব মেডিসিনের এক যুগান্তকারী গবেষণাতে বলা হয়, যেসব মানুষ বেশি চাপের মধ্যে থাকে তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত চাপে থাকলে শরীর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে শুরু করে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ঠাণ্ডায় লবণ পানির ব্যবহার: এটা বলা হয়ে থাকে যে, অসুস্থতায় লবণ ব্যবহার করলে তা আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যায় কিন্তু না, লবণ ইনফেকশন হওয়া রোধ করে। ডাক্তার লাউসার বলেন, ঠাণ্ডা লাগলে সাধারণত গলাব্যথা হয়, কথা বলতে বা খেতে বেশ অসুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে লবণ পানি ব্যবহারের তুলনা হয় না। এটি গুমোট বাধা গলা, নাক পরিষ্কার করতে বেশ কাজ করে। জাপানের একটি গবেষণা থেকে দেখানো হয় যে, ঠাণ্ডা লাগলে নিয়মিত লবণ পানির কুলকচা করলে ঠাণ্ডা তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়।

গরম পানি দিয়ে গোসল: ডাক্তার লাউসারের মতে, ঠাণ্ডার পুরো সময়টা হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। এতে করে ঠাণ্ডার প্রকোপটা শরীরে কম ভর করতে পারে। এছাড়া হালকা গরম পানি পান করাও ভালো। কারণ ঠাণ্ডা পানি পান, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল এবং ঠাণ্ডা স্থানে থাকাটা আপনার ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার জন্য ভালো নয়।

দুর্বলতা কাটিয়ে উঠুন সহজ কিছু উপায়ে

দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তখন চোখগুলো এমন ভারি হয়ে আসে যে সাধারণ কাজটাও করা যায় না। যদি প্রতিদিনই এই সমস্যা হয় তাহলে কী হবে। আপনার উত্পাদনশীলতা কমে যাবে এবং আপনার পারফরমেন্সের ওপর প্রভাব পড়বে। এছাড়াও এটি কিছু অন্তর্নিহিত রোগকেও নির্দেশ করে। কিন্তু অনেক রোগীদের ক্ষেত্রেই রক্ত পরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা পড়ে না বলে ডাক্তার বলেন যে, দুর্বলতার কারণে এমন হচ্ছে। তাহলে তখন কি গ্লুকোজ বা এনার্জি পিল বা এনার্জি ড্রিংক পান করা উচিত। গ্লুকোজ আসলে সব সময় ভালো সমাধান নয়। দুর্বলতা কাটিয়ে এনার্জি লাভ করার অনেক উপায় আছে যা খুব কঠিন কিছু নয়। চলুন তাহলে জেনে নিই দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সহজ কিছু উপায়

আপনি কি খাচ্ছেন তা খেয়াল করুন: সপ্তাহে এক বারের বেশি পিজা বা বার্গার অর্ডার দেয়ার পূর্বে দ্বিতীয়বার ভাবুন। এর চেয়ে মায়ের হাতের চাপাতি/রুটি এর সঙ্গে সবজি ও সালাদ দিয়ে খেয়ে নিন, যা পনির ও মেয়নেজ এ পরিপূর্ণ পিজা ও বার্গারের চেয়ে অনেক বেশি এনার্জি দিতে পারবে। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ফিট থাকুন।

শরীর নাড়াচাড়া করুন: যে কোনো ধরনের শারীরিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হোন। ফিট থাকার জন্য জিমে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। জিমে যাওয়া ছাড়াও আরও অনেক ব্যায়াম আছে যেমন- সাঁতার, হাঁটা, ব্যাডমিন্টন খেলা, নাচা, ইয়োগা ইত্যাদি যা আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে। আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিন এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট সেই কাজে মনোযোগ দিন।

মস্তিষ্ককে শিথিল হতে দিন: যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার দুর্বলতার কারণ আপনার মন। আপনার মন ও মস্তিষ্কের শিথিল হওয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনার কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নিন, সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন, পরিবারের সঙ্গে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন এবং সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট কাজগুলোই আপনাকে সতেজ থাকতে এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

শখের কাজ করুন: আপনি সত্যিই পছন্দ করেন এমন কোনো কাজ করুন। এটা হতে পারে গিটার বাজানো, পিয়ানো শেখা, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শুনা ইত্যাদি। আপনি করতে ভালোবাসেন এমন কোনো কাজ করলেই আপনি এনার্জি পাবেন।

ফল খান: বেশিরভাগ এনার্জি ড্রিঙ্কই চিনিতে পরিপূর্ণ থাকে যা শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কিডনি ও লিভারের উপর অধিক চাপ পড়ে। তাই ফল খাওয়াই হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ, এর পাশাপাশি প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, পানি, সবুজ শাকসবজি ও সালাদ খাওয়া উচিত।

গরমে পানিশূন্যতা রোধের উপায়

বৈশাখের আগমন জানিয়ে দিচ্ছে সূর্য প্রচণ্ড তাপ বিকিরণ করছে অকৃপণ ভাবেই। তাই বলে সকল কাজ বন্ধ থাকবে। না তা নিশ্চয়ই নয়! বৈশাখ বা জৈষ্ঠের গরমেও আপনাকে ভালো রাখতে কিছু উপায় তো অবশ্যই রয়েছে। তবে সারাদিন কাজের পরেও যেন সুস্থ থাকতে পারেন সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে বাহিরে কাজ করার ফলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়ে যেতে পারে আপনার। আর যারা অনেক বেশি ঘামেন তাদেরতো ডিহাইড্রেশন হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ডিহাইড্রেশন তখনই হয় যখন আমাদের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ উপাদান সহ অনেক বেশি তরল বের হয়ে যায়। তাই একে খুব হালকাভাবে নিবেন না, কারণ এর ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তবে গরমের ডিহাইড্রেশন কিছুটা ভিন্ন। বাহিরের তাপ বৃদ্ধির ফলে অনেক ঘাম হয় বলে শরীর এই তরলের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারেনা বলে ডিহাইড্রেশন হয়। ডিহাইড্রেশনকে প্রতিহত করার কিছু টিপস জেনে নিই চলুন –

পর্যাপ্ত পানি পান করুন: অনেকেই কম পানি পান করে থাকেন। কিন্তু গরমে যেহেতু ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায় বেশি তাই আপনাকে পানি পান করতে হবে বেশি। ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকার প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি পান করা। প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন কিছু বিশেষজ্ঞ। কিন্তু মনে রাখবেন তরলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন হতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন- ব্যক্তির উচ্চতা, ওজন, শারীরিক সক্রিয়তা এবং তিনি কোথায় অবস্থান করছেন তার উপর নির্ভর করে।

ডাইইউরেটিক এড়িয়ে চলুন: ডাইইউরেটিক হচ্ছে কোন বস্তু বা খাবার যা মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে শরীর থেকে অনেক তরল বের হয়ে যায়। জনপ্রিয় ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক হচ্ছে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন- চা, কফি, কোলা এবং চকোলেট ইত্যাদি।

মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: এসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যা সৃষ্টি করা ছাড়াও মসলাযুক্ত খাবার শরীর থেকে তরল বের হয়ে যাওয়া বৃদ্ধি করে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। কিন্তু ঘাম প্রতিরোধের জন্য গরমের সময় মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিতর্কের যোগ্য। কারণ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। তাদের মতে মসলা যুক্ত খাবার খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক তাপমাত্রার মধ্যকার বৈসাদৃশ্য কমে এবং পরবর্তীতে একটি শীতল অনুভূতি পাওয়া যায়।

ইয়োগা করুন: ইয়োগা শরীরকে শিথিল হতে ও নার্ভকে শান্ত হতে সাহায্য করে। বাহিরের অত্যধিক তাপের ফলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সকেত দেয় যে স্নায়ু তাকে শান্ত রাখতে করতে পারেন ইয়োগা।
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান: ডিহাইড্রেশন শুধু পানির ঘাটতিকেই বুঝায় না। পানির সাথে সাথে প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইটও কমে যায়। এ জন্য আপনার পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, আনারস, মিষ্টি আলু, ডাবের পানি এবং আম খাওয়া প্রয়োজন।

অত্যধিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন: ফিট থাকার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা বা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু গরমের সময় অনেক বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করার ফল মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি পানির ঘাটতি পূরণের জন্য একটু পরপর পানি পান না করেন তাহলে।
হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন: গাড় রঙের ভেতরে তাপ বেশি শোষিত হয় বলে গরম বেশি লাগে এবং ঘাম বেশি হয়। টাইট ফিটিং পোশাক পড়লে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই বাহিরে যাওয়ার সময় হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক, বিশেষ করে সুতির পোশাক নির্বাচন করুন।

ঘরের ভেতরে থাকুন: সরাসরি সূর্যের তাপে গেলে অনেকবেশি ঘাম হয় বলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। বৈশাখের প্রথম প্রহরে তো অনেকেই বাহির হয়েছেন। আর যারা এখনো যাননি তারা দুপুরের পরে বের হলেই ভালো।

ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন: ধূমপান করলে গলার ভেতরের কোষগুলোকে পানিশূন্য করে দেয়। এছাড়া এটি তৃষ্ণার উপর ও প্রভাব ফেলে বলে আপনি পানি পান করার আকুতি অনুভব করেন না। অন্যদিকে অ্যালকোহল ডাইইউরেটিক। এটি গলা এবং পাকস্থলির প্রাচীরকে ডিহাইড্রেট করে। এটি যকৃত কোষের উপর ও প্রভাব ফেলে বলে তীব্র ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

27
মাথা ভর্তি সুন্দর ঘন চুলের স্বপ্ন কার নেই? তবে যাদের জন্ম থেকে চুল কম তাদের যত না দুঃখ, যাদের চুল থেকেও ঝরে পড়ে, তাদের কষ্ট আরো বেশি৷ চুল পড়ে কেন আর এর সমাধানই বা কী?

চুল পড়ে যাওয়ার কিছু কারণ: চুল পড়ে যাওয়ার বড় কারণগুলো হচ্ছে, বংশগত কারণে মাথায় টাক পড়া, হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়া, আর সন্তান হবার পরবর্তী সময় অর্থাৎ হরমোনের কারণে চুল পড়ে যাওয়া৷ বংশগত কারণে টাক পড়লে তেমন কিছু করার থাকে না৷ তবে বাকি দুটো কারণে চুল পড়লে সময়মতো চিকিৎসা করালে চুল রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কোলন শহরের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. উটে লিংকা।
চুল লাগানো

অনেক ছেলেদের ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই চুল পড়তে শুরু করে, তারপর এক সময় একেবারেই টাক পড়ে যায়৷ সাধারণত জেনেটিক বা বংশগত কারণেই অসময়ে চুল পাকে বা টাক পড়ে যায়৷ বংশগত কারণে যে কোনো কিছু হলে সে ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া ছাড়া খুব বেশি কিছু করার থাকে না৷ তারপরও অনেকে মাথায় পরচুলা পরেন বা চুল লাগান৷

মেয়েদের চুল: মেয়েদের সরাসরি টাক না পড়লেও চুল পড়ার সমস্যা হয়, তবে তা অনেকটা দেরিতে৷ মেয়েদের সাধারণত ৫০ বছরের পরে চুল পড়তে শুরু করে৷ তবে মেয়েদের শরীরের হরমোনের তারতম্য হলে চুল বেশি পড়ে৷ মেয়েদের মাসিক ঋতুস্রাব, প্রসব এবং মেনোপজের কারণে বেশিরভাগ মেয়েদেরই চুল পড়তে পারে৷ তবে গর্ভবতী মেয়েদের অনেকের চুল পড়ে আবার কারো বা চুল আরো ঘন হয়ে থাকে৷ বিশেষজ্ঞের মতে, ‘এ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই৷’

বিজ্ঞাপন: চুল পড়া বন্ধ হবে বা নতুন চুল গাজাবে বাজারে এ ধরনের নানা আকর্ষণীয় ওষুধের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়৷ অনেকেই উপায়ান্তর না দেখে এসব বিজ্ঞাপনে প্রলোভিত হয়ে চুলে নানা রকম তেল বা ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, যার ফল হয় উলটো৷ বিশেষজ্ঞের মতে, এসব দিকে না তাকিয়ে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷

থাইরয়েড সমস্যা: শরীরে থাইরয়েডের মাত্রার তারতম্য হলে শুধু চুল পড়া নয় – নখ এবং ত্বকেও পরিবর্তন দেখা দেয়৷ তাছাড়া এই সমস্যায় অনেকে ক্লান্ত বোধও করেন৷ কাজেই নিজের মধ্যে এসব পরিবর্তন দেখলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ৷

আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব: শরীরে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলেও চুল পড়তে পারে৷ সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়ে থাকে৷ তবে এসবই যে আসল কারণ তা নাও হতে পারে, ত্বকের ডাক্তারের কাছে সবকিছু পরীক্ষা করিয়ে খুঁজে বের করতে পারলেই কেবল সঠিক চিকিৎসা সম্ভব বলে জানান কোলনের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার উটে লিংকার৷

খাদ্যে পুষ্টিগুণের অভাব: খাদ্যে পুষ্টির অভাব এবং কড়া ডায়েটিং-এর ফলেও চুল পড়তে৷ তাই ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং প্রচুর মাছ খাওয়া দরকার৷ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ সুন্দর চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী৷ তাছাড়া দুধ, ডিম, শাক-সবজি অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে৷ আর যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না যেন !
ওষুধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেও চুল পড়তে পারে, তবে তা বেশিদিন থাকেনা৷ ওষুধ বন্ধ করে দিলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন চুল গজায়৷ ক্যানসার রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়ার পর পুরো মাথার চুল পড়ে গেলেও সেই জায়গায়ই কিছুদিন পরে আবার নতুন চুল ওঠে৷

সংক্রামক রোগ, স্ট্রেস, সঠিক যত্ন: বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কারণেও চুল পড়তে পারে৷ আজকের যান্ত্রিক জীবনে স্ট্রেস থেকে মুক্ত, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম৷ আজকের যুগে নারী-পুরুষ অনেকেই চুলে নানা ধরনের রং, শ্যাম্পু, ড্রায়ার, স্ট্রেটনার কত কী ব্যবহার করে থাকেন৷ অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ, অতিরিক্ত গরম তাপ, গরম পানি চুলকে খুব সহজেই নষ্ট করে ফেলতে পারে৷ এসব দিকে কিছুটা লক্ষ্য রাখলে চুল পড়া কমতে পারে৷

28
সট্রিকের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ পাওযা দুষ্কর। কেউ নিয়মিত আবার কেউ বা মাঝে মধ্যে গ্যাসট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় ভোগেন। কেন এই সমস্যা হয় এবং খাওয়ার পর গ্যাস বা অম্বলকে কীভাবে এড়ানো যায়– নিচে তার কিছু সহজ উপায় তুলে ধরা হলো:-

তিন বেলার খাবার ছয় বেলায় খান: আপনি তিন বেলার খাবারকে ভাগ করে ছয়বার খান। তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল, চর্বি, মসলা, মিষ্টি, অর্থাৎ যেসব খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, সেগুলো খাবার তালিকা থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়ে হালকা খাবার খান। যেমন আপনার খাবারের তালিকায় থাকতে পারে মাছ, অল্প মাংস, সবজি, আলু ইত্যাদি।
খাবার উপভোগ করুন: পরিমাণে অল্প খাবার একটু ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খান। দুপুরে খাওয়ার পর পরই ঘুমানো উচিত নয়, কারণ এতে খাবার আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে পারে। বরং হাতে সময় থাকলে খাবার পর একটু হাঁটা যেতে পারে, যা খাবার হজম এবং মলত্যাগে সহায়তা করে থাকে।

বুঝে পান করুন: পিপাসা মেটাতে পানি এবং হালকা চা পান করতে পারেন। তবে দিনে কম পক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত, যাতে খাবার পাকস্থলীতে ভালো করে মিশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। কফি বা অ্যালকোহল যতটা সম্ভব কম পান করলেই ভালো। তবে শুধু খাবার নয়, জল পান করার দিকেও কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাক: খুব টাইট জিন্স বা কোমরের বেল্ট বেশি টাইট করে বাঁধবেন না। কারণ টাইট বেল্ট পেটে চাপ দেয়, যার ফলে টক ঢেকুর উঠতে পারে। কাজেই একটু আরামদায়ক বা একটু ঢিলে কাপড়-চোপড় পরাই শ্রেয়।

নিয়মিত হাঁটাচলা করুন: হাঁটা-চলার কোনো বিকল্প নেই – এ কথা কম-বেশি আমরা সকলেই জানি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে পেটে চাপ পড়ে এবং হাঁটাচলা না করায় মলত্যাগ করার পথে বাঁধা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পেটে খাবার জমে থাকা মানেই অস্বস্তি বোধ এবং সে কারণে ওজন কমানো বা ওজন ঠিক রাখাও সম্ভব হয় না। ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা করলে শরীর থাকে হালকা থাকে, অন্ত্রও থাকে সক্রিয় আর গ্যাসও হয় কম।

বালিশটা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন: গ্যাসট্রিক বা অম্বলের সমস্যা সাধারণত রাতে বেলায় হয়। তাই বালিশটা একটু উঁচু করে এবং শরীরের ওপরের দিকটাও একটু উঁচুতে তুলে ঘুমাবেন। এতে গ্যাসট্রিক অ্যাসিড ওপরে উঠতে পারে না। বাঁদিকে কাত হয়ে ঘুমালেও পেটে চাপ কম পড়ে। তাছাড়া রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে খেলে খাবার হজম করতে আর কোনো সমস্যা হয় না।

আঁশযুক্ত খাবার: ডাক্তারি ভাষায় টক খাবার বলতে বোঝায় মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, মসুরের ডাল ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর অ্যাসিড হতে পারে। তাই আলু, রুটি, সিম, মটরশুটি, মুগের ডাল, কলাইয়ের ডাল ইত্যাদি খাবার ‘টক’ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে অম্বলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এছাড়া প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সামান্য আলু সেদ্ধ বা আলুর তরকারি থাকতে পারে। আঁশযুক্ত খাবারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

স্ট্রেসকে দূরে রাখুন: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের সাথে রয়েছে পেটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই যেকোনো সংঘাত এড়িয়ে যতটা সম্ভব ‘স্ট্রেস’ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। হালকা খাবার, যথেষ্ট হাঁটাচলা, কিছুটা বিশ্রাম – এভাবেই পেট বা অন্ত্রকে রক্ষা করতে, গ্যাসট্রিককে প্রতিরোধ করতে পারেন। এ পরামর্শ কোলনের ইন্টারনাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োর্গেন স্ল্যুইটারের।

ধূমপান নয়!: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে পেটে অ্যাসিড প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় – সেকথা আমরা অনেকেই জানি। স্ট্রেসের কারণে অনেকে ধূমপান করেন। কিন্তু নিকোটিন অন্ত্রের খাবার মলদ্বারের রাস্তায় যে পথ দিয়ে যায়, সেটিকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। এছাড়া স্ট্রেস হরমোন হজম শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধার কারণে পেটে অ্যাসিড উৎপাদন হয়, কাজেই আর ধূমপান নয়!

গ্যাসট্রিককে জয় করুন: হাঁপানি, হৃদরোগ, জন্ম নিরোধ ট্যাবলেট বা ব্যথার ওষুধ সেবন থেকেও অম্বল বা গ্যাসট্রিক হতে পারে। তাই যারা এ রকম ওষুধ সেবন করেন তাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে সেকথা সরাসরি ডাক্তারকে বলুন। কখনো অম্বল হয়নি এমন মানষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারুর হঠাৎ করে এ সমস্যা দেখা গেলে, বুঝতে হবে যে, হয় অতিরিক্ত খাওয়া বা দেরিতে খাওয়া বা ভুল খাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

আরো জানতে পড়ুন : কিডনি ভালো রাখার ৮ উপায়

কিডনি রক্ত ফিলটার করে, মূত্রের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, হর্মোন উৎপাদন করে৷ এই সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে তার অর্থ, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। কিডনি ভালো রাখার পন্থাগুলো দেখা যাক৷

সচল থাকুন! সক্রিয় থাকুন: খেলাধুলা, হাঁটাচলা, এক্সারসাইজ হল ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখার এবং ডায়াবেটিস রোখার শ্রেষ্ঠ পন্থা৷ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনি’র সমস্যা দেখা দেয়৷ ডায়ালিসিস পেশেন্টদের ৩০ শতাংশ হল ডায়াবেটিসের রোগী৷
ব্লাড সুগার চেক করান: ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই৷ উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না৷ ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে৷

ব্লাড প্রেসারের খেয়াল রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর-এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ৷ দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে৷ কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হলে চলবে না৷ রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে৷

স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন: কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস, উভয়েরই যোগ আছে৷ যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে৷

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন: শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিলটার করে বার করার জন্য কিডনির পানি লাগে৷ কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত৷ ক্রীড়াবিদদের আরো বেশি পানি লাগবে৷ ডায়ালিসিস-এর পেশেন্টদের অনেক কমেই কাজ চলে যায়৷

ধূমপান ছাড়ুন: ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান৷ এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷
পেইনকিলার বেশিদিন নেবেন না: বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়৷ আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সর্বক্ষেত্রেই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে দেখা ভালো৷

প্রতি বছর কিডনি চেক করান: বিশেষ করে যাঁরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন: যাঁদের বয়স ষাটের বেশি; যাঁদের ডায়াবেটিস কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার আছে; যাঁদের মেদ বেশি অথবা যাঁদের পরিবারের কারুর কিডনি ফেইলিওর হয়েছে

29
মপান করলে শরীর ৯০ ভাগ নিকোটিন শোষণ করে। ধূমপান ছাড়ার পরও এর প্রভাব অনেক দিন থেকে যায়। আবার ধুলাবালি, পরিবেশদূষণ ইত্যাদিও ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ফুসফুস অনেকটাই ভালো থাকে। ফুসফুস ভালো রাখার কিছু উপায়ের কথা জানিয়েছে ইউ আর গর্জিয়াস।

(i) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় ফল: ফুসফুস ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। যেমন : লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি। এসব খাবার বিপাক ক্ষমতা বাড়াবে এবং ক্ষত কমাতে কাজ করবে।

(ii) হলুদ চা: ফুসফুস ভালো রাখতে হলুদের চা পান করতে পারেন। এই চা তৈরিতে লাগবে চারশ গ্রাম কুচি করা পেঁয়াজ, ছোট একটি আদার টুকরো, দুই টেবিল চামচ হলুদ। দুই কাপ পরিমাণ ফুটন্ত পানিতে একে একে সব উপকরণ মেশান। কিছুক্ষণ সেদ্ধ করার পর চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম থাকতে থাকতে পান করুন। দুদিনে একবার এই চা পান করতে পারেন। হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ কমাতে কাজ করে। আর ধূমপান ছাড়ার কারণে যে বমি বমি ভাব হয়, সেটি কমাতে কাজ করে আদা।

(iii)পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা কিডনি ও লিভারের বর্জ্য পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
(iv) নিয়মিত ব্যায়াম: এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে কাজ করে এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে। কেবল ফুসফুস ভালো রাখতেই নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও ব্যায়াম উপকারী।

আরও জানতে পড়ুন: টনসিলের ব্যথা কমাবে যে ৫ ঘরোয়া টোটকা

গলা ব্যথা কিংবা ঢোক গিলতে খুব কষ্ট হওয়ার মানেই হচ্ছে আপনি টনসিলে সংক্রমণে ভুগছেন। এ সমস্যা সাধারণত যে কোনো বয়সেই হয়ে থাকে। সাধারণত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোই টনসিলের এই সংক্রামণের জন্য দায়ী। তবে এ সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতে ওষুধ-সিরাপের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কার্যকর ঘরোয়া টোটকা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক টনসিলের ব্যথা হলে তা নিরাময় করার কার্যকরী ঘরোয়া পাঁচ পদ্ধতি

(i)আদা চা: দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদার কুচি আর আন্দাজ মতো চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এই পানীয়টি পান করুন। আদার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি খুবই কার্যকরী।

(ii)লবন পানি: গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি কম-বেশি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি তা হলো সামান্য উষ্ণ পানিতে লবন দিয়ে গার্গল করা। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবন পানি দিয়ে গার্গল করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও দূর করে দেয়।
(iii)লেবুর রস: এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবন ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি যত দিন গলা ব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত খেতে থাকুন। টনসিলের সমস্যা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

(iv)সবুজ চা এবং মধু: এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এ বার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা খেতে পারলে উপকার পাবেন।
(v)হলুদ দুধ: এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশি কার্যকরী। ছাগলের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

আরও জানতে পড়ুন: গালাগাল স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো?

আত্মীয় কিংবা বন্ধুবান্ধবের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের মুখের ভাষা খুব খারাপ। কথায় কথায় গালাগালের সবই তারা বলে থাকেন। এই সব ‘মধুর বচন শুধু পরিবারের গুরুজন বা শিশুদের সামনে নয়, পাড়া-প্রতিবেশীদের সামনে মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়লেই কেলেঙ্কারি। তবে যে যাই বলুন না কেন, মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা এই অভ্যাসকেই সুস্থ থাকার সহজ উপায় হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।

মানসিক চাপ মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা, অবসাদ কমানোর ক্ষেত্রে গালাগালের অভ্যাস খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। একাধিক মার্কিন গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে। এই ধারণার সঙ্গে একমত ব্রিটিশ গবেষক এবং মনোবিজ্ঞানীরাও। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক ও ফলিত ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কিরিকুস অ্যান্টনিও জানান, গালাগাল আসলে মন থেকে রাগ, ক্ষোভ বের করে দিয়ে মানসিক চাপ কাটানোর একটি সহজ উপায়। তার মতে, যেসব মানুষ উত্তেজিত হলেও গালাগাল দিতে পারেন না বা দেন না, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ-সহ নানা স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা যায়।

শুধু তাই নয়, কখনো এসব ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বৈত ব্যক্তিত্বের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তুলনায় যারা সহজে গালাগাল দিয়ে ফেলেন, তারা অনেক বেশি সুস্থ থাকেন। তাই মার্কিন গবেষক এবং মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, ক্ষোভ কাটাতে প্রয়োজনে একান্তে গালাগাল দেওয়া ভালো। তবে স্থান-কাল-পাত্র জ্ঞান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

আরও জানতে পড়ুন: ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণ এবং নিরাময়ের উপায়

প্রকৃতির বাতাসে ঠাণ্ডার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঠাণ্ডাজ্বর, সর্দি ও কাশির মতো ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা। নিয়মিত ওষুধ খেলেও এই ঠাণ্ডা নিরাময় হতে বেশ সময় লাগে। অনেক সময় নিরাময় হওয়ার কিছুদিন পরে দেখা যায় আবার ঠাণ্ডাজ্বর বা সর্দি হয়েছে। এমন সমস্যার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার ঠাণ্ডা পুনরায় লাগতে শুরু করেছে। তবে তার নিরাময়ও আছে আপনার হাতের কাছেই
ক্লান্তি এবং ঘুম: আমরা সাধারণত শরীরের ছোটখাট সমস্যাগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না। এটা আমাদের প্রথম ভুল। আমাদের সবার উচিত শরীরের ছোট বা বড় সব ধরনের সমস্যাগুলোকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া। যেমন ঠাণ্ডা লাগলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ ক্লান্তিভাব অনুভব করে এবং তা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হতে পারে। কার্নেগি মেলনের পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে বলা হয়, একজন মানুষ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমালে তা তার জন্য ঠিক আছে তবে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে ঘুমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে আপনি কত সময় ধরে ঘুমাচ্ছেন তার থেকে বড় ব্যাপার হলো আপনার ঘুম পরিপূর্ণ বা সাউন্ড স্লিপ হচ্ছে কি-না সেটা।

গুমোট নাক খুলতে তরল পান: নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন অব ডুরহামের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাক্তার লাউসার বলেন, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা মূলত শ্বাসযন্ত্রের একটি সমস্যা যা শুরু হয় নাক থেকে। ঠাণ্ডার ভাইরাসগুলো অনুষাঙ্গিক এলাকাতে আক্রমণ করে এবং শরীর এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে তা বের করে দেয়ার জন্য। যার ফলে নাকে এক ধরনের শ্লেষ্মা তৈরি হয়। ডাক্তার লাউসার আরও বলেন, আপনি আপনার শরীরকে প্রচুর পানি পান করে সাহায্য করতে পারেন। এতে শরীর ভাইরাস রোধ করতে সক্ষম হবে।

মানসিক চাপ কমান: সারাদিনের কাজের চাপ আপনাকে দিনের শেষে খুবই ক্লান্ত করে দিতে পারে, যা আপনার অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডাক্তাররা এখন মানসিক চাপের সঙ্গে অসুস্থতার সংযোগ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তবে এটি পরিষ্কারভাবে বলা হয় যে, অনেক দিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে থাকাটা শারীরিক কার্যক্রমের জন্য ভালো নয়। নিউ ইংল্যান্ড অব মেডিসিনের এক যুগান্তকারী গবেষণাতে বলা হয়, যেসব মানুষ বেশি চাপের মধ্যে থাকে তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত চাপে থাকলে শরীর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে শুরু করে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ঠাণ্ডায় লবণ পানির ব্যবহার: এটা বলা হয়ে থাকে যে, অসুস্থতায় লবণ ব্যবহার করলে তা আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যায় কিন্তু না, লবণ ইনফেকশন হওয়া রোধ করে। ডাক্তার লাউসার বলেন, ঠাণ্ডা লাগলে সাধারণত গলাব্যথা হয়, কথা বলতে বা খেতে বেশ অসুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে লবণ পানি ব্যবহারের তুলনা হয় না। এটি গুমোট বাধা গলা, নাক পরিষ্কার করতে বেশ কাজ করে। জাপানের একটি গবেষণা থেকে দেখানো হয় যে, ঠাণ্ডা লাগলে নিয়মিত লবণ পানির কুলকচা করলে ঠাণ্ডা তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়।

গরম পানি দিয়ে গোসল: ডাক্তার লাউসারের মতে, ঠাণ্ডার পুরো সময়টা হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। এতে করে ঠাণ্ডার প্রকোপটা শরীরে কম ভর করতে পারে। এছাড়া হালকা গরম পানি পান করাও ভালো। কারণ ঠাণ্ডা পানি পান, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল এবং ঠাণ্ডা স্থানে থাকাটা আপনার ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার জন্য ভালো নয়।

Collected.

30
উপকরণ: বোম্বাইমরিচ ২০টি। আলুবোখারা ৩ কাপ। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। রসুনবাটা ২ চা-চামচ। রসুনের আস্ত কোয়া ১ কাপ। পাঁচফোড়ন বাটা ১ টেবিল-চামচ ও আস্ত ২ চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। সরিষাবাটা ৩ চা-চামচ। শুকনামরিচ ৫টি। শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ। সিরকা ১ কাপ। চিনি ১ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। সরিষার তেল ৩ কাপ।

পদ্ধতি: মরিচের বোটা ফেলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

হাঁড়িতে তেল দিন। তাতে পেঁয়াজ ও আস্ত রসুন দিয়ে ভাজুন। এবার আলুবোখারাসহ সব মসলা দিয়ে ভালো করে কষান।

বোম্বাইমরিচের সঙ্গে চিনি ও লবণ দিন। অল্প তাপে সময় নিয়ে রান্না করুন। মরিচ সিদ্ধ হয়ে গেলে, লবণ দেখে সিরকা দিয়ে নামিয়ে নিন।

এবার গরম থাকতেই বয়ামে ভরে ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণ করুন।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 15