Daffodil International University

Career Development Centre (CDC) => Career Planning => Career Guidance => Career Tips => Topic started by: anowar.bba on September 20, 2018, 11:39:47 AM

Title: ক্যারিয়ারে সাফল্য পেতে আয়ত্তে আনুন একটি অভ্যাস!
Post by: anowar.bba on September 20, 2018, 11:39:47 AM
ভেবে দেখুন, অফিসে আপনাকে একটা কঠিন কাজ করতে দেওয়া হলো। এ কাজটি আগে করার অভিজ্ঞতা নেই আপনার। কী করবেন আপনি?

এক ধরণের মানুষ সমস্যাটি সমাধানের জন্য অন্যের সাহায্য নেবেন। তারা ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে সহকর্মীর সাথে আলোচনা করবেন কাজটি সমাধানের উপায় নিয়ে। অন্যদিকে, আরেক ধরণের মানুষ কনফারেন্স রুমে একা বসে মাথা খাটিয়ে সমস্যাটির সমাধানের চেষ্টা করবেন। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকটি উপায় কার্যকর হবে। তবে প্রসিডিংস অব দা ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, এই দুইটি পদ্ধতির কোনোটিই নয়, বরং দুটির মিশ্রণেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের সহকারী অধ্যাপক এবং গবেষণাটির লেখক ইথান বার্নস্টেইন জানান, বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অন্যের সাহায্য নেওয়াটা সহজ হয়ে পড়েছে।  অনেকে ভাবেন এটাই কোনো কাজে সফল হবার মোক্ষম উপায়। আসলে তা নয়।

গবেষণার জন্য তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয় অংশগ্রহণকারীদেরকে। একজন ব্যক্তি ২৫টি শহরে ভ্রমণ করবেন, তার জন্য সবচেয়ে সহজ রাস্তা খুঁজে দিতে বলা হয় এই তিনটি গ্রুপকে।

প্রথম গ্রুপের মানুষদের একাকী কাজ করতে বলা হয়। এই গ্রুপ থেকে কিছু সমাধান আসে যা খুবই ভালো। আবার কিছু সমাধান আসে খুবই খারাপ।

পরের গ্রুপের মানুষদের বলা হয় একত্রে কাজ করতে। এখান থেকে আসা সমাধানগুলো সবই ভালো ছিল। কোনোটাই খুব ভালো ছিল না, আবার কোনোটাই খুব খারাপ ছিল না। দেখা যায়, মোটামুটি ভালো একটা সমাধান পেলে সবাই সেটাকে কপি করতে থাকে, এ কারণে কারও সমাধানই খারাপ হয় না। কিন্তু অন্যকে কপি করা যাচ্ছে বলে কেউ তেমন একটা মাথা খাটান না, ফলে বেশি ভালো আইডিয়াগুলো আসে না।

শেষ গ্রুপের মানুষদের অল্প সময়ের জন্য একত্রে কাজ করতে দেওয়া হয়, বাকি সময় একাকী কাজ করতে বলা হয়। দেখা যায়, এ গ্রুপ থেকেই সবচেয়ে ভালো ফলাফল আসে। এ পদ্ধতিতে কেউ কাউকে পুরোপুরি কপি করতে পারেন না। নিজেরা মাথা খাটানোর সময় পান, পাশাপাশি অন্যদের সাহায্য পান বলে তারা ভালো সমাধান তৈরি করতে পারেন।

ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে, কিছু সময় সহকর্মীদের পরামর্শ নেওয়া ভালো, কিন্তু এর ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।  অনেকেই দিনরাত যখন তখন ইমেইলের উত্তর দেন। এটাও ভালো নয়।  নিজের চিন্তাভাবনার জন্য সময় রাখুন। এতে ক্যারিয়ারে উন্নতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন এবং স্বাস্থ্যেও উন্নতি দেখা যায়।