Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - S. M. Ashraful Alam

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 9
54
ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল বা পেজে নিজের মতো যা ইচ্ছা তা লিখবেন কিংবা নিজের স্ট্যাটাস যা খুশি তা লিখতেই পারেন। মত প্রকাশে আপনার স্বাধীনতা তো আছেই। এতে আবার ভাবাভাবির কী আছে? এ আবার আইনের আওতায় আসে নাকি? এর উত্তর হচ্ছে ফেসবুক কিংবা অন্য যেকোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস বা কিংবা কারও স্ট্যাটাসে মন্তব্য, ব্লগে কোনো লেখা অর্থাৎ অনলাইনে করা কোনো মন্তব্য, মতামত কিন্তু প্রচলিত আইনের আওতায় আসে।

যা লেখা যাবে না
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) অনুযায়ী অনলাইনে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ব্লগসাইট বা অন্য কোথাও এমন কিছু লেখা যাবে না যাতে করে কারও মানহানি হয়। কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মানহানিকর বা বিভ্রান্তিমূলক ছবি বা ভিডিও ছাড়া যাবে না। কারও নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। মনে রাখতে হবে মানহানিকর, বিভ্রান্তিমূলক বা অশালীন স্ট্যাটাস শেয়ার বা লাইক দিলেও সাইবার অপরাধ হতে পারে। হতে পারে বিপদ।
আবার এমন কোনো কিছু লেখা যাবে না যাতে করে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। আবার এসব লেখায় যদি রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় তাহলে অপরাধ হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু লেখা অপরাধ। ধর্মীয় অবমাননাকর বিষয়েও লিখলে বিপদ হতে পারে। কাউকে হুমকি দিলে, অশালীন কোনো মন্তব্য বা ছবি দিলে বা ট্যাগ করলে তা সাইবার অপরাধ হবে।
রয়েছে কঠিন শাস্তি
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কোনো মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় তাহলে এগুলো হবে অপরাধ। যার শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা। ফেসবুক বা অন্য কোনো অনলাইন মাধ্যমের কোনো বক্তব্যে যদি এ ধরনের কোনো উপাদান থাকে তাহলে তা-ও এ আইনের আওতায় অপরাধ হবে। এ অপরাধ কিন্তু জামিন অযোগ্য। আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ছাড়াও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে। যদিও এ আইনের অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে এ আইনে কোনো মামলা নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট থানাকে সদর দপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।

শেষ কথা
বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাস সাইবার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সাইবার জগতে সাবধানতা অবলম্বন করা। আপনার একটি ছোট স্ট্যাটাস বা মন্তব্য কিন্তু অনেক বড় বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের দেশসহ গোটা পৃথিবীতেই যেহেতু ফেসবুক খুবই জনপ্রিয় তাই ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও নেহাত কম হচ্ছে না। অনলাইনে কোনো মন্তব্য, লেখা বা ছবি দেওয়ার আগে বুঝেশুনেই দেওয়া উচিত। একটু ভুল কিংবা কৌতূহল জীবনে নিয়ে আসতে পারে কঠিন ভোগান্তি।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
Source: http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1346361/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%87

55
বিনামূল্যে নোটিফিকেশন সুবিধা
ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে টেক্সট মেসেজ নোটিফিকেশন সুবিধা প্রদান করছে ফেসবুক। যখন কোনো কম্পিউটার অথবা মোবাইল থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকা হবে তখন টেক্সট মেসেজ নোটিফিকেশন আপনার কাছে যাবে। এরপর বুঝতে পারবেন কে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করছে।

দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন
বিপদের হাত থেকে কিছুটা নিরাপদ রাখতে ফেসবুক 'টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন' সুবিধা চালু করেছে। এটি ব্যবহার করলে প্রতিবার নতুন ডিভাইস/ব্রাউজারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবায় (উদাহরণস্বরূপ ফেসবুকে) সাইন-ইন করার সময় ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড ইনপুট করার পরেও সেখানে আরেকটি পিন কোড দিতে হবে। এই কোডটি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আসে। এগুলোকে সিকিউরিটি কোডও বলা হয়, যা প্রতিবারই সার্ভার থেকে পাঠানো হয়।

ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং সেলফোন নম্বর
দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন সক্রিয় থাকা যে কোনো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইলে কমপক্ষে তিনটি বিষয় দখলে থাকতে হবে। সেগুলো হচ্ছে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং যে মোবাইল নম্বরে সেবাটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে। ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড নিয়ে নিলেও একই সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাকারের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ফেসবুকে সাইন-ইন করার সময় সিস্টেম যখন মোবাইলে এসএমএসে আসা পিন চাইবে তখন সেটি তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। আর এই যাত্রায় আপনার অ্যাকাউন্টটিও হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে। লগইন অ্যাপ্রুভাল চালু করতে চাইলে প্রথমে আপনার ফেসবুকে সাইন-ইন করুন।

এরপর ফেসবুক Account Settings > Security সেকশনে থাকা Login Approvals-এর Require me to enter a security code each time an unrecognized computer or device tries to access my account-এ চেক মার্ক করুন। এবার Next ক্লিক করে মোবাইলে SMS এ প্রাপ্ত কোড লিখে Next চাপুন এবং Save বাটনে ক্লিক করুন।

বিজ্ঞাপনে সতর্কতা
বিজ্ঞাপনে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে উল্লেখ করে কিছু লিখতে পারবেন না। মনে করুন, আপনি শার্ট বিক্রি করেন। বিজ্ঞাপনে এই 'শার্টটি ভালো' বলার সুযোগ থাকলেও 'শার্টটি ভালো গ্রেগ' লেখার সুযোগ নেই।

এছাড়াও কোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে কোনো শপিং ওয়েবসাইট বা বিজ্ঞাপনের পাতায় পৌঁছে যেতে পারেন। আপনাকে সেখানে নিয়ে ফেলতে পারলে তাতেও সাইবার দুর্বৃত্তদের যথেষ্ট লাভ। কারণ কোনো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বা ওয়েবসাইটে ক্লিক বাড়াতে পারলেই প্রতি ক্লিকের জন্য অর্থ পায় তারা। সঙ্গে বহু ক্ষেত্রে সেই ওয়েবপেজের হাতে চলে আসতে পারে আপনার গোপন নথিও।

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা
ফেসবুকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনের অভাব নেই। কিন্তু হ্যাকাররা অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আইডির নিয়ন্ত্রণ কব্জা করে থাকে। অনেক অ্যাপ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এগুলো ব্যবহার করে থাকি কিন্তু ব্যবহার শেষে সেগুলো মুছে ফেলতে কিংবা নিষ্ক্রিয় করতে ভুলে যাই। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপটি কতটুকু নিরাপদ তা ব্যবহারের আগে ভালো করে যাচাই করে নিন।

এন্টিভাইরাস ব্যবহার
আপনার পিসির জন্য কিলগার অথবা রিমোট অ্যাকসেস ট্রোজান [RAT] খুবই বিপজ্জনক। এগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য সঠিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

ফেসবুকের মেইল থেকে সতর্ক
ফেসবুক থেকে কোন মেইল এলে সতর্ক থাকুন। ইনবক্সে ঢুকেই যদি মেলে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে বসেন, বিপদে পড়বেন। কারণ ওই মেইল হয়তো ফেসবুক থেকে আসেইনি। ইদানীং কিছু অত্যাধুনিক কৌশল কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা ওঁত পেতে রয়েছে আপনার সর্বস্ব হাতানোর জন্য। নেটওয়ার্কিং সাইটে আপনার গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে তারা। ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার উপস্থিতি কিছুদিন টের না পেলেই একটি বিশেষ ধরনের মেইল ও তার সঙ্গে লিঙ্ক পাঠাচ্ছে আপনার ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মেইল আইডিতে। সেই মেইলে লেখা থাকছে, ‘আপনি বেশ কিছুদিন ফেসবুকে ছিলেন না। আপনার মেসেজগুলো শিগগিরই ডিলিট হতে চলেছে। এর সঙ্গেই আপনাকে দুটো অপশন দেওয়া হবে। 'ভিউ মেসেজ' এবং 'গো টু ফেসবুক'। এর কোন একটিতে ক্লিক করলেই আপনার যাবতীয় তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে।

একাধিক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ
একই ব্যবহারকারীর একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা আগেও নিষিদ্ধ ছিল। তবে খুব একটা কড়াকড়ি ছিল না। এখন এ বিষয়ে ফেসবুক খুব কঠোর নিয়ম মেনে চলছে। ফলে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

ছবি পোস্টে সতর্কতা
ফেসবুক ছবির ব্যাপারে ভীষণ সেনসেটিভ। ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ছবিকেও নগ্নতা বলে গণ্য করে। লরেন ফেরারি নামের এক ব্যবহারকারী ফেসবুকে তার পাঁচ বছরের শিশুর ছবি দিয়েছিলেন, যেখানে সে নার্সের ভূমিকায় অভিনয় করছে। এমন নিরীহ ছবি পোস্ট করাও এখন অনেক ঝামেলার। গত বছরের নভেম্বরে প্যারিস হামলার পরে জেসন ম্যানফর্ড নামের এক ব্যবহারকারীর ফেসবুক প্রোফাইল ছবি বেশ কয়েকবার সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ, তার সে ছবিতে নানা রঙে বেশ কয়েকটি বাক্য লেখা ছিল।

ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালায় উল্লেখ আছে, আপনি এমন কোনো বিষয়বস্তু পোস্ট করতে পারবেন না, যাতে ভয়ভীতি, ঘৃণা কিংবা অপ্রীতিকর কিছু প্রকাশ পায়। এমন কোনো ছবি পোস্ট করতে পারবেন না, যা দৃশ্যমান সহিংসতা কিংবা নগ্নতা প্রকাশ করে। ফেসবুকের এই নিয়ম এমনিতে ঠিকঠাক মনে হলেও অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তারা অনেক ব্যক্তিগত কথাও লিখতে পারছেন না। স্বাধীন মত প্রকাশেও বাধা তৈরি করছে বলে অভিযোগ অনেকের।

Source: বিডি-প্রতিদিন/১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ

56
১. রাউটার বাড়ির মাঝখানে রাখুন:

সাধারণত কানেকশন নেওয়ার সময় তারের পরিমাণ কম রাখার জন্য জানালার পাশে ঘরের এক কোনে রাউটার রেখে দেওয়াই দস্তুর। সবচেয়ে ভালো কভারেজ পেতে রাউটারকে বাড়ির মাঝের ঘরে রাখুন। মনে রাখবেন, ওয়াই-ফাই ওমনি-ডাইরেকশনালি ছড়ায়। অর্থাৎ, চোঙ থেকে আওয়াজ যে ভাবে বার হয় অনেকটা সে রকমই রাউটারকে কেন্দ্র করে সিগনাল ছড়াতে থাকে। তাই এক কোনও রাখলে অর্ধেক সিগনাল বাড়ির বাইরে চলে যাবে। ফলে স্পিড এমনিতেই কম পাবেন।

২. চোখের উচ্চতায় রাখুন:

মাটি থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় রাউটারটি বসালে সিগনাল সবচেয়ে ভালো মেলে। মোটামোটি নিজের চোখের উচ্চতায় রাউটার রাখুন। সিগনালে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কোনও ডিভাইসের সঙ্গে রাউটার রাখবেন না। যেমন, কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনও রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

৩.  কম ডিভাইস কানেক্ট করুন:
 
বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টি রয়ছে। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়রা সকলেই আসছেন। ঠিক করলেন, বাড়ির ওয়াই-ফাই সকলের ব্যবহারের জন্য কানেক্ট করে দেবেন। সেই সঙ্গে নিজেও টুকটাক কাজ করে নেবেন। মনে রাখবেন এক সঙ্গে বেশি জিভাইস কানেক্ট করলে ওয়াই-ফাই স্পিড অত্যন্ত কমে যাবে। এখন বেশ কিছু রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার অপশন রয়েছে। যদি দেখেন কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস বেশি ব্যান্ডউইডথ টেনে নিচ্ছে, তাকে ব্লক করুন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সার্ফ করার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে বলুন। যদি কেউ কিছু ডাউনলোড করতে চান, তাঁকে অপেক্ষা করতে বলুন বা নিষেধ করুন।

৪. রিপিটার কানেক্ট করুন:

ওয়াই-ফাই স্পিড বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে রিপিটার। বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে বহু রিপিটার পেয়ে যাবেন। দাম মোটামোটি ১০০০ টাকা থেকে শুরু। কনফিগার করাও খুব সহজ। বাড়িতে যদি পুরনো কোনও ভালো রাউটার থাকে সেটাও রিপিটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর জন্য সেটিং পেজে গিয়ে কনফিগার করতে হবে।

৫. USB রাউটার ব্যবহার করুন:

রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে USB পোর্ট আছে কিনা। চেষ্টা করুন USB পোর্টযুক্ত রাউটার কিনতে। কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়র্ক স্টোরেজের মতো কাজ করতে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। অথবা প্রিন্টারও কানেক্ট করতে পারেন। এতে কোনও একটি ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। নেটওয়র্কে থাকা যে কোনও ডিভাইস থেকে প্রিন্ট দেওয়া যাবে। সাধারণত দেখা যায়, এ ধরনের রাউটার বেশ শক্তিশালী হয়। তাতে সিগনালও বেশ ভালো পাওয়া যায়।


59
অসাধারণ প্রতিভাবান লোকজনের মস্তিষ্ক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কৌতূহল আছে। তাঁদের মস্তিষ্ক কি সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের তুলনায় অন্য রকম? চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিস্তর গবেষণা করেছেন। সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠে এসেছে, কীভাবে মস্তিষ্ককে আরও ক্ষুরধার করে তোলা যায়? এমন কোনো উপায় কি আছে ছোটবেলা থেকে যার চর্চা বা অনুশীলন করলে মানুষ বুদ্ধিদীপ্ত হতে পারে?

গবেষণায় দেখা যায়, জীবনে মানুষ তার মস্তিষ্কের সামর্থ্যের খুব সামান্যই ব্যবহার করে থাকে। সেই হিসেবে মস্তিষ্কের বড় একটি অংশই অব্যবহৃত থেকে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মাংসপেশির মতোই মস্তিষ্কেরও যত বেশি চর্চা ও ব্যবহার করা হবে, ততই এটি কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। তীক্ষ্ণ বা ক্ষুরধারও হবে। বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ) ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সহজ কয়েকটি পরামর্শ:

*  কম্পিউটারে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির বিভিন্ন খেলা আছে। এ রকম গেমস খেলতে পারেন। ধাঁধা বা পাজল ও সুডোকুর মতো অনুশীলনের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করা যায়।

* মস্তিষ্কের অব্যবহৃত অংশকে সক্রিয় করতে কিছু কাজ করা যেতে পারে। যেমন: বাম হাতে দাঁত ব্রাশ করা, বাম হাতে পেয়ালা ধরে চা-কফি পান করা ইত্যাদি।

* প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় ঘণ্টার ঘুম মস্তিষ্ককে কর্মদক্ষ করে তোলে।

* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে সতেজ ও কর্মদক্ষ করে।

* চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

* প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

* হালকা ধরনের মিউজিক বা সংগীত মস্তিষ্কের জটিল সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

* ধূমপান পরিহার করে এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে অনেক বয়স পর্যন্ত মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখা যায়।

* মেধা বা বুদ্ধি বাড়াতে আপনাকে নিজ মস্তিষ্কের সামর্থ্য ব্যবহার নিয়ে সচেতন হয়ে উঠতে হবে।

সহযোগী অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ

60
বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে যেমন বেতন, তেমনি সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু তার আগে আপনাকে পার হতে হবে সাক্ষাৎকারের একটি ধাপ। আপনাকে একটি প্রশ্ন করা হবে। যার উত্তর ঠিকঠাক দিতে পারলেই চাকরি পাকা। এ প্রশ্ন করেন প্রযুক্তি দুনিয়ার উদ্যোক্তা, সফল প্রতিষ্ঠাতারা। তাঁদের মধ্য আছেন এলন মাস্ক, রিচার্ড ব্র্যানসন, ল্যারি অ্যালিসনের মতো সফল মানুষ। অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করার অভ্যাস তাঁদের নেই। প্রিয় কয়েকটি প্রশ্ন আছে তাঁদের, যা প্রায় সময় সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁদের সামনে সাক্ষাৎকার দিতে এসে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হয়, তা দেখে নিন।


এলন মাস্ক
এলন মাস্ক
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্কের বায়োগ্রাফি ‘এলন মাস্ক: টেসলা, স্পেসএক্স, অ্যান্ড দ্য কোয়েস্ট ফর আ ফ্যান্টাস্টিক ফিউচার’-এর তথ্য অনুযায়ী, তিনি চাকরিপ্রার্থীর বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করতে একটি ধাঁধা দেন। ধাঁধাটি হচ্ছে, ধরুন, আপনি পৃথিবীপৃষ্ঠের ওপর দাঁড়ানো। আপনি দক্ষিণে এক মাইল হাঁটলেন। এক মাইল পশ্চিমে হাঁটলেন। এক মাইল উত্তরে হাঁটলেন। আপনি যেখানে শুরু করেছিলেন ঠিক সেখানেই শেষ করলেন। আপনি কোথায়? এর একাধিক সঠিক উত্তর হতে পারে। এর একটি উত্তর হতে পারে উত্তর মেরু।


টনি সেই
টনি সেই
জাপ্পোসের প্রধান নির্বাহী টনি সেই। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হচ্ছে কিছুটা অদ্ভুত ধরনের মজা করা। সঠিক কর্মী খুঁজে নিতে সেই একটি প্রশ্ন করেন। তাঁর প্রশ্ন, ১ থেকে ১০-এর স্কেলে আপনি কতটা অদ্ভুত? সেই বলেন, প্রশ্নটির উত্তরের সঙ্গে নম্বর গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে প্রার্থী কীভাবে উত্তর দেন, তা যাচাই করা জন্য এই প্রশ্ন। কেউ যদি নিজেকে ১ নম্বর দেন, তবে তিনি জাপ্পোর সংস্কৃতি অনুযায়ী বেশি সোজাসাপ্টা। আর যদি কেউ ১০ নম্বর দেন, তবে তিনি বেশি মনোবিকারগ্রস্ত। সেই আরও একটি প্রশ্ন করেন। তা হলো, ১ থেকে ১০-এর মধ্যে জীবনে ভাগ্যবান হিসেবে নিজেকে কত নম্বর দেবেন? এ ক্ষেত্রেও উত্তরে সংখ্যাটি খুব বেশি গুরুত্ব পায় না। তবে যদি কেউ ১ নম্বর দেন, তবে তিনি নিজের সঙ্গে খারাপ হওয়ার কারণটি জানেন না। অর্থাৎ অন্যদের দোষ দেন বেশি। আর ১০ নম্বর দিলে নিজে কেন ভাগ্যবান, তা বোঝেন না। অর্থাৎ আপনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে।


ল্যারি অ্যালিসন
ল্যারি অ্যালিসন
ওরাকলের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ল্যারি অ্যালিসন সম্পর্কে ডর্থমাউথের ব্যবসাবিষয়ক অধ্যাপক সিনডি ফিনকেলস্টেইন তাঁর ‘সুপারবসেস’ বইতে লিখেছেন, দুর্দান্ত বুদ্ধিমান ও মেধাবী কর্মী নিয়োগে ল্যারি অ্যালিসন প্রায়ই একটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নটি হলো, আপনার জানামতে আপনিই কি স্মার্ট ব্যক্তি? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে সরাসরি চাকরি পেয়ে যাবেন। যদি না হয়, তবে দ্বিতীয় প্রশ্ন হবে, আপনার চোখে স্মার্ট ব্যক্তি কে? ল্যারি অ্যালিসন তখন সেই স্মার্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করেন। ফিনকেলস্টেইন বলেন, এলিসনের মতো বস নিজের সক্ষমতার ওপর অনেক আত্মবিশ্বাসী হন। ফলে আরেক কর্মী তাঁকে ছাড়িয়ে যাবেন, এমন দুশ্চিন্তা তাঁর মধ্যে কাজ করে না। তাই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি বুদ্ধিমান ও চ্যালেঞ্জ ছুড়তে সক্ষম, এমন কর্মী পছন্দ তাঁর।


লরি গোলের
লরি গোলের
ফেসবুকের মানবসম্পদ কর্মকর্তা লরি গোলের প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ধরুন, কাজের ক্ষেত্রে আপনার সেরা দিনটি চলে গেল। সেদিন বাড়িতে গিয়ে ভাবলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো চাকরিটা আপনি পেয়েছেন। ওই দিনটা কীভাবে কাটাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর শুনে কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন করা হয়।


পিটার থায়েল
পিটার থায়েল
পেপ্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটার থায়েল সাহসী ও মনের কথা স্বচ্ছন্দে বলতে পছন্দ করেন, এমন কর্মী নিয়োগ দেন। তিনি প্রায়ই চাকরিপ্রার্থী ও বিনিয়োগপ্রত্যাশী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন। তাঁর প্রশ্নটি হলো, এমন কিছু বলতে পারবেন, যা সত্যি হবে, কিন্তু সে বিষয়ে কেউ আপনার সঙ্গে একমত নয়? এ প্রশ্ন করার বিষয়ে ফোর্বসকে এক সাক্ষাৎকারে পিটার থায়েল বলেছিলেন, এটা চিন্তার নিজস্বতা পরীক্ষার একটি উপায়। এ ছাড়া এতে অনেক সময় কথা বলার সাহস পরীক্ষা করে দেখা যায়।


রিচার্ড ব্র্যানসন
রিচার্ড ব্র্যানসন
ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন তাঁর নতুন বই ‘দ্য ভার্জিন ওয়ে: এভরিথিং আই নো অ্যাবাউট লিডারশিপ’ প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি প্রচলিত সাক্ষাৎকার পদ্ধতি খুব বেশি পছন্দ করেন না বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, একটি ভালো সিভি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিভি দেখেই কাউকে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে নন তিনি। এ জন্য তিনি সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করেন, আপনার জীবনবৃত্তান্তে কোন বিষয়টি যুক্ত করার সুযোগ পাননি?


ড্রিউ হাউসটন
ড্রিউ হাউসটন
ড্রপবক্সের প্রতিষ্ঠাতা ড্রিউ হাউসটন ৩৩ বছর বয়সী কোটিপতি। নিউইয়র্ক টাইমসের অ্যাডাম ব্রায়ান্টকে এক সাক্ষাৎকারে ড্রিউ হাউসটন বলেন, চাকরিপ্রার্থীকে ৫টি প্রশ্ন করেন তিনি। এগুলো হচ্ছে: ১. তোমার পেশায় তোমার চোখে সেরা কে? ২. কারা তোমাকে প্রভাবিত করে? ৩. গত বছর তুমি কী শিখেছ? ৪. ১০ বছর আগের তোমাকে তুমি নিজে কি পরামর্শ দেবে? ৫. এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়টি শিখেছ? প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখে তিনি বুঝে নেন প্রার্থীর ক্রমাগত উন্নতির ধরন।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 9