Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Badshah Mamun

Pages: [1] 2 3 ... 133
1
জমজম কূপের পানির অলৌকিকতা এবং উপকারিতা |
Zamzam Water Miracle


2
কাবা শরীফ তাওয়াফ করলে কেন অনেক ভাল লাগে |
কাবা শরীফের বিস্ময়কর নিদর্শন সমূহ


3
ফিলস লাইক’ এর মানে কী? | Temperature |

i=Y9eeLbTsBPYHtwde

4
নামাজ নিয়ে গবেষণা করে বিস্মিত মার্কিন গবেষকরা |
Benefits of Namaz | Scientific | US Research

i=tBRfk7KwIYiUnwGQ

5
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ১১ কৌশল, এড়াবেন যেভাবে


তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদান ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কল করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে। সাইবার অপরাধীরা নানা কৌশলে ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই সময়ে সচরাচর হওয়া হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ১১টি কৌশল দেখা যাক। জানা যাক কীভাবে এগুলো এড়ানো যাবে।

১ ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা
হোয়াটসঅ্যাপে নিকটাত্মীয় সেজে প্রতারকেরা অর্থ হাতিয়ে নেয়। ভুয়া পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন প্রতারণার কৌশল নেয়। সাধারণত ফোন চুরি হয়ে যাওয়া বা বিপদে পড়েছে, এমন কারণ জানায়। এরপর অর্থ পাঠানোর অনুরোধ করে। তাই অপরিচিত নম্বর থেকে নিকটাত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে টাকা চাইলে পরিচয় যাচাই করে নিতে হবে।

২ ভেরিফিকেশন কোডের ফাঁদ
ই-মেইলসহ বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্টের ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু থাকলে ভেরিফিকেশন কোডের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় প্রতারকেরা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে দাবি করে, ভুলবশত ব্যবহারকারীর নম্বরটি কোনো একটি অ্যাকাউন্টে যুক্ত করেছে। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া ভেরিফিকেশন কোডটি প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।


অনেক সময় নামকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপহার কার্ড ও গিফট ভাউচার বিনা মূল্যে পেতে একটি লিংক ছড়িয়ে দেয় হ্যাকাররা। সেই লিংকে ক্লিক করে উপহার গ্রহণের কথা বলা হয়। তবে এসব ক্ষতিকর লিংকে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীর যন্ত্রে র‌্যানসমওয়্যারের হামলা ঘটে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবহারকারীরা।


৪ কিউআর কোড প্রতারণা

কিউআর কোড পাঠিয়ে প্রতারণা করা হয়
কিউআর কোড পাঠিয়ে প্রতারণা করা হয়ছবি: আনস্প্ল্যাশ
হোয়াটসঅ্যাপে এখন কিউআর কোড পাঠিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। হেয়াটসঅ্যাপে এসব কিউআর কোড স্ক্যান করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে হ্যাকাররা। তবে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পাশাপাশি হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

৫ হোয়াটসঅ্যাপ গোল্ড প্রতারণা
উন্নত সুবিধাসহ ভুয়া সংস্করণের হোয়াটসঅ্যাপ গোল্ড যন্ত্রে নামানোর জন্য লিংক পাঠিয়ে প্রতারণা করে হ্যাকাররা। এই ভুয়া সংস্করণে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুবিধা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে বলে দাবি করে কৌশলে ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করা হয়৷ সেই লিংকে ক্লিক করলে হ্যাকিংয়ের শিকার হন ব্যবহারকারীরা।

৬ লটারি প্রতারণা
বিশাল অঙ্কের টাকা লটারিতে জিতেছেন বলে হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া বার্তা পাঠায় হ্যাকাররা। সেই টাকা উত্তোলনের একটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হয়। এসব লিংকে ক্লিক করলেই হ্যাকিংয়ের ফাঁদে পড়েন ব্যবহারকারীরা।

৭ দাতব্য সংস্থার নামে প্রতারণা
দাতব্য সংস্থার ভুয়া পরিচয় দিয়ে হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে থাকে। সেখানে অসহায় মানুষদের সাহায্যে নির্দিষ্ট হিসাবে (অ্যাকাউন্ট নম্বর) টাকা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। এ ধরনের প্রতারণা কৌশল থেকে সাবধান থাকতে হবে। অর্থ দান করলে দাতব্য সংস্থা যাচাই করে তারপর টাকা পাঠাতে হবে।

৮ ভিডিও কল প্রতারণা
সম্প্রতি ভিডিও কলে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। হ্যাকাররা ভিডিও কল দেওয়ার পর ব্যবহারকারী সেটি গ্রহণ (রিসিভ) করলে অপর প্রান্তের ব্যক্তি অশালীন অবস্থায় নিজেকে তুলে ধরে। এরপর সেই কল রেকর্ড করে ও স্ক্রিনশট নেয়। পরবর্তী সময়ে এসব ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে প্রতারকেরা। তাই হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে ভিডিও কল এলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৯ আকর্ষণীয় চাকরি দেখিয়ে প্রতারণা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে খণ্ড ও পূর্ণকালীন চাকরির কথা বলা হয়। এসব চাকরির শর্তও থাকে খুবই সহজ। এমনকি বেশি বেতনের কথাও বলা হয়। এরপর সেই চাকরি করতে ইচ্ছুক হলে জামানত হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ চাওয়া হয়। কখনো কখনো কোনো লিংকে ক্লিক করে ফরম পূরণ করার কথা বলা হয়। এ ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে হবে।

১০ গ্রাহকসেবার নামে প্রতারণা
হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের ভুয়া পরিচয় দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টের সমস্যা সমাধানে লিংক পাঠানো হয়। কখনো কখনো ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। এ ধরনের প্রতারণা কৌশল থেকে সাবধানে থাকতে হবে।

১১ ক্রিপ্টোকারেন্সির কথা বলে প্রতারণা

ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে এখন প্রতারণা চলছে হোয়াটসঅ্যাপে। চোখ বড় হয়ে যাওয়ার মতো লাভ দেবে, ক্রিপ্টোকারেন্সির এমন স্কিমে বিনিয়োগ করার বার্তা পাঠানো হয়। সঙ্গে সেই স্কিমের ভুয়া প্রশংসাপত্র, লেখচিত্র ও ওয়েবসাইটের ঠিকানাও পাঠানো হয়। এসব বার্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। স্বল্প সময়ে ধনী বানিয়ে দেবে, এমন বার্তা পেয়ে কোনোভাবেই কোথাও কোনো অর্থ পাঠানো যাবে না। 

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
https://www.prothomalo.com/technology/advice/cl549ii3p8

6
Google Bard/Gemini / How to Use Google Gemini - Including New Prompts
« on: April 16, 2024, 02:14:57 PM »
How to Use Google Gemini - Including New Prompts

i=aXv_ORjne703r6B0

7
Google Gemini Full Tutorial For Beginners In Hindi 2024 - 10 Tips

i=gZyixGXZ7nWXekwC

8
Islam / বরকতের দশটি চাবি
« on: February 06, 2024, 05:43:13 PM »
বরকতের দশটি চাবি

সমস্ত প্রশংসা মহান মালিক রাব্বুল আ’লামীনের জন্য। দরুদ এবং সালাম নাযিল হোক তারই প্রেরিত রাসুল মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম। তার প্রতি এবং তার আলো আসহাব সকলের প্রতি। সম্মানিত ভাই বন্ধুগণ, আজ আমরা আলোচনা করব ইনশাল্লাহ বরকতের চাবি সমূহ বিষয়ে। বরকতের শব্দের অর্থ হল কল্যাণ বেশি হওয়া, যে কোন কিছুতে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ যুক্ত হওয়া- এটা হল বরকত। দুনিয়ার যে কোন বস্তুতে যখন আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার পক্ষ থেকে কল্যাণ যুক্ত হয়, বিষয়টা যখন কল্যাণকর হয়ে যায়, উপকারী হয়ে যায়, তখন সেটা পরিমাণে অনেক অনেক অল্প হলেও, আমাদের জন্য সেটা অনেক বেশি উপকার বয়ে আনে। অনেকে অনেক দীর্ঘ হায়াত পাইছেন, কিন্তু দীর্ঘ হায়াতে তেমন কিছু করার সুযোগ পান নাই, তার মানে জীবনে বরকত হয় নাই। অনেকে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ কামাই করেছেন, কিন্তু সে সম্পদ থেকে কোন হিসাব খুজে পাচ্ছেন না যে কোথায় কি করলেন, বরকত নাই। অনেকে দেখা যাচ্ছে যে অনেক কাজ করেছেন কিন্তু ফলাফল দেখা যাচ্ছে খুব বেশি একটা দৃশ্যমান না। তার মানে বরকত নেই। এর বিপরীতে দেখা যায়, একজন অল্প কামাই করছে মাশাআল্লাহ এর ভেতরে অনেক কিছু করে ফেলেছে। কারণ হলো তারে কামাইতে কি ছিল? বরকত ছিল। এ কামাইতে আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার পক্ষ থেকে কল্যাণ ছিল। অতএব আমাদের জীবনে, আমাদের আমলে, আমাদের রুজিতে, আমাদের ইনকামে, আমাদের সন্তান-সন্ততিতে, আমাদের সবকিছুতেই আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার পক্ষ থেকে বরকত আসবে বেশ কিছু আমল আছে সে আমলগুলো করলে। এগুলোকে আমরা এক কথায় বলতে পারি বরকতের দশটি চাবি। এই চাবিগুলো যদি আমরা ব্যবহার করি তাহলে ইনশাআল্লাহ বিদনিল্লাহ আমাদের জীবন বরকতময় হয়ে যাবে।

তার ভিতরে এক নম্বরের চাবি হল বরকতের ঈমান এবং তাকওয়া। প্রিয় ভাইয়েরা যখন ঈমান এবং তাকওয়া কারো মধ্যে থাকে, তখন আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার পক্ষ থেকে বরকতের বারিধারা তার প্রতি বর্ষণ হতে থাকে। আল্লাহ কোরআনে কারীমের বলেছেন “যদি কোন জনপদের লোকেরা ঈমান আনে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাহলে আমি আসমান থেকে এবং জমিন থেকে উপর থেকে নিচ থেকে উভয় দিক থেকে বরকতের সমস্ত দুয়ার খুলে দিবো”। সম্মানিত ভাইয়েরা, এজন্যই দেখা যায় সারা পৃথিবীতে অন্য ধর্মের মানুষেরা, অমুসলিমেরা কোন কোন দিক থেকে অনেক বেশি সুখে শান্তিতে আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়, কিন্তু আসলে সুখে শান্তিতে খুব একটা নাই। বিভিন্ন জরিপ বলছে সুইসাইড বা আত্মহত্যার পরিমাণ তাদের মধ্যে বেশি। আত্মহত্যা মানুষ তখনই করে যখন সুখের চাইতে দুঃখের পরিমাণ বেড়ে যায়, কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে আত্মহত্যার পরিমাণ অনেক কম। মুসলমানরা বেশিরভাগই গরীব-অভাবী। তারপরেও তাদের মধ্যে আত্মহত্যার পরিমাণ কম। এটা একটা আলামত, যে তাদের জীবনে কি আছে বরকত আছে। কারণ ঈমান সামান্য হলেও আছে। আর যার জীবনে ঈমান নাই তাকে দেখবেন যে অনেক অট্টালিকাতে সে আছে, সুখে শান্তির অনেক উপকরণ তার কাছে, আছে কিন্তু আসলে সুখ শান্তিতে খুব একটা সে নাই। কারণ তার জীবনে কি নাই? বরকত নাই। এজন্য কেউ যদি ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, এ দুটি জিনিস যদি কারো ভিতরে থাকে তাহলে আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার ওয়াদা হলো আসমান এবং জমিন থেকে বরকতের সমস্ত দুয়ারগুলো তার জন্য কি করে দেয়া হবে- খুলে দেয়া হবে। এজন্যে ভাই ঈমানকে খালেছ করতে হবে। শিরক থেকে, কুফুরি থেকে, নেফাকি থেকে, “শির্ক-কুফুর-নেফাক” এগুলো থেকে ঈমানকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে আর তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। তাকওয়া কি? তাকওয়া হলো আল্লাহর ভয়ে যেকোন হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহর ভয়ে যদি আমি হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকার মানসিকতা আমার ভিতরে থাকে, যার ভিতরে যত বেশি থাকবে, আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার তার জীবনকে তত বেশি বরকতময় করে দিবেন।

বরকতের দ্বিতীয় নম্বর চাবি হলো- যেকোনো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। যে কোন কাজ শুরুতে কি করা? নবী আলাইহিসসালাতু আসসালাম বলেছেন- তোমাদের মধ্যে কেউ যখন খায়, খানা শুরু করে এবং সে যদি বিসমিল্লাহ বলে তো শয়তান তার সাথে ওই খাবারে যোগ দিতে পারে না। ভাগ বসাতে পারে না, যেটুকু আছে শুধু তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে, কল্যাণকর হয় খাবার। অনুরূপভাবে কেউ যদি বাসা বাড়িতে প্রবেশ করে বিসমিল্লাহ বলে ঢুকে তাহলে সেই ঢুকার সময় তার সাথে কি হতে পারে না? শয়তান যোগ দিতে পারে না। অনুরূপভাবে প্রত্যেকটা কাজে বান্দা যখন ভাল কাজে যখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে তখন শয়তান সে কাজে আর অংশগ্রহণ করতে পারে না। আর শয়তান যখন ইন্টারফেয়ার করতে পারে না তাহলে আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার পক্ষ থেকে সেখানে বরকত আসা খুবই সহজ হয়ে যায়, এটাই স্বাভাবিক। অতএব বিসমিল্লাহর পরিমাণ বেশি পড়া।

তিন নম্বর বরকতের চাবি হল ভাই কোরআনে কারীমের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানো। যে যত বেশি কোরআনের সাথে সম্পর্ক গড়বে, তার জীবনে তত বেশি বরকত নেমে আসবে। যে ঘরে কোরআন তেলাওয়াত হবে, কোরআনের চর্চা হবে, কোরআনের শেখা হবে, কোরআন বুঝাবুঝি হবে, কোরআনের উপর আমল করার প্রবণতা থাকবে অভ্যাস থাকবে সেই ঘরে আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার বরকত তত বেশি আসবে। আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার কোরআনে কারীমের ভিতরে বলেছেন কুরআনে কারিমকে আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালা কোরআনের বহু জায়গায় বলেছেন যে, এটা কিতাবে মোবারাক। এই কোরআনটা হল কি বরকতময়। অতএবের সাথে যে যত বেশি সম্পৃক্ত হবে তত বেশি তার জীবন কি হবে বরকতময় হয়ে যাবে। নবী আলাইহিসসালাতু আসসালাম বলেছেন সহিহ মুসলিমের হাদিসে আল্লাহতা’য়ালা এই কিতার দিয়ে বহু মানুষকে উপরে উঠাবেন আবার বহু মানুষকে নিচে নামাবেন। অর্থাৎ এই কিতাব কোরআন এটাকে যারা ফলো করবে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদা বাড়াবেন, আর যারা ফলো করবে না তাদের মর্যাদা কমাবেন। বাহ্যিকভাবে মনে হবে সুখের সাগরে ভাসছে আসলে দুঃখের কোন অন্ত তাদের জীবনে থাকবে না। তাহলে বরকতের তিন নম্বর চাবি হলো কি কোরআনের সাথে সম্পর্ক বেশি বেশি করা। কোরআন তেলাওয়াত করা, কোরআন বুঝা, কোরআন অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করা, যত বেশি যে করবে আল্লাহ তা'আলা তার জীবনের প্রতিটা পদে পদে তত বেশি বেশি কি দিবেন? বরকত দান করবেন।

বরকতের চার নম্বর যে চাবি আছে সেটা হল ভাই সদকা করা, দান করা। কি করা? দান করা, সদকা করা। সদকা এবং দান করলে বহু হাদিস থেকে বুঝা যায় জানা যায়, যে বিপদ আপদ দূর হয়ে যায়। আমাদের যেকোনো কাজ থেকে, যে কোন অর্থ-কড়ি থেকে, যেকোন উপার্জন থেকে আমাদের কল্যাণটা আসে না, এর একটা বড় কারণ হলো বিপদ এসে যায়। আমি এটা দোকান থেকে শুরু করলাম একটা বিপদ এসে গেল। তাহলে আমার সেখান থেকে কল্যাণটা আর আসলো না। তো বরকত যদি আপনি চান প্রত্যেকটা বস্তুতে, প্রত্যেকটা জিনিসের কল্যাণ আসুক, উপকার হোক, জিনিসটা আপনার জন্যে অল্প-ছোট চাকরি, অল্প আয়, ছোট ব্যবসা এর ভিতরেই আল্লাহতালা কল্যাণ দিয়ে দিক, আপনি যদি চান তাহলে আপনার কি করতে হবে? সাদকার অভ্যাস করতে হবে, দান দান। দান করলে মুসিবত এবং বিপদ দূর হয়। তো আপনার ওই অল্প আয় থেকে যখন বিপদ দূর হয়ে যাবে, বা বিপদ মুক্ত থাকবে, তখন ইনশাআল্লাহ বিদনিল্লাহ আপনার জন্যে কি হয়ে যাবে? কল্যাণকর এবং বরকতময় হয়ে যাবে। ওর ভিতরে আপনার জন্য বরকত থাকবে। অতএব সদকার অভ্যাস করা, সারা বছর অল্প-স্বল্প হলেও পরিমানে খুব অল্প হোক, এক হাদীসে আসছে নবী আলাইহিসসালাতু আসসালাম বলেছেন- খেজুরের অংশ ‍দিয়ে হলেও তবুও তুমি জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করো। বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আমরা সাধ্য অনুযায়ী সাদকা করব। অনেক বেশি করা কোন জরুরী না, প্রতিদিন সদকা করা একটা জটিল বিষয়। এমনকি প্রতিদিন আমি অভাবী লোক পাইও না। তাহলে একটা বাক্স রাখতে পারি বাসায়, যে প্রতিদিন আমি সেখানে একটা টাকা রাখবো, দুইটা টাকা রাখবো, যতটুকু সাধ্যে কুলায় ততটুকু রাখব। তাহলে নিয়মিত আমি দানের সওয়াবটা পেয়ে গেলাম। এই টাকাটা অভাবী লোকের। পরে কয়দিন পরপর খুলে আমি দিয়ে দিলাম মানুষকে। তাহলে প্রতিদিন সদকার আমলটা হয়ে গেল এবং সদকা নিয়মিত করলে কি হয়? বরকত প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে নেমে আসে।

নাম্বার পাঁচ, বরকতের পাঁচ নম্বর চাবিটা হলো ভাই, আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা। এটা বহুল পরিক্ষিত একটি আমল ভাই। আত্মীয় স্বজনের সাথে যে যত বেশি সম্পর্ক ভালো রাখে, মা-বা, ভাই-বোন, ফুফু, চাচা, কাছের লোকজন, রক্ত সম্পর্কীয় লোক, যারা বিশেষ করে তাদের সাথে যে যত বেশি সম্পর্ক ভালো রাখে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক কে নষ্ট করে না, তারা যদি দুর্ব্যবহার করে তো নিজের পক্ষ থেকে ভালো বার করার চেষ্টা করে। তো এই লোকের জীবনে আল্লাহ তাআলা বরকত দান করেন। এটা পরীক্ষিত বিষয়। অতএব এই চাবিটি বরকতের। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ নম্বর, অর্থাৎ আত্মীয় স্বজনের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় লোকদের সাথে কি করতে হবে? সম্পর্ক সব সময় বিল্ড আপ করার চেষ্টা করতে হবে। তাদের খোঁজখবর নিতে হবে। সাধ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাড়াতে হবে। যদি পাশে দাড়াইতে নাও পারেন অন্তত সম্পর্কটাকে কি করতে হবে? ভালো রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে।

নাম্বার ছয়, বরকতের ছয় নম্বর চাবি হলো ভাই, সকালবেলা ভোরে ভোরে কাজে যাওয়া। নবী আলাইহিসসালাতু আসসালাম দোয়া করেছেন আল্লাহ আমার উম্মতকে সকালবেলা আপনি বরকত দান করবেন। অন্য এক রেওয়ায়েতে আসছে তিনি বলেছেন আমার উম্মতের জন্য সকাল বেলা সময়টাতে বরকত দেওয়া হয়েছে। অতএব সকালের সময়টাতে যদি আপনে ঘুমায় থাকেন তাহলে বরকত কোত্থেকে আসবে। এই টাইমটাতে কাজ করতে হবে এবং কিছু কিছু কাজ আছে কিছু কিছু পেশা আছে যে সকাল বেলা করার মতো না। আপনার মার্কেটে দোকান আছে, সকালে ভোরে খোলার সিস্টেম নাই। তাহলে সেটাতো আপনি খুলবেন না কিন্তু অন্তত তার প্রস্তুতি প্রাকপ্রস্তুতি গুলো সকাল থেকে হয়ে যাওয়া উচিত। এবং সকালের টাইমটা আসলে ঘুমের কোন উপযুক্ত টাইম না। আপনি রাতে ভাল করে ঘুমান, বেশি করে ঘুমান, সকালে ঘুমাবেন না। দুপুরে ঘুমান কিন্তু সকালে ঘুম এটা কোন প্রশংসনীয় ঘুম নয়। স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়, ইসলামের দৃষ্টিতেও খুব বেশি প্রশংসনীয় নয়। এজন্য সকাল বেলা যদি কাজে বের হওয়া যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ জীবনে কি আসবে? বরকত আসবে। যে কাজই করেন আপনি সকালবেলা, সেই কাজে আল্লাহতায়া’লা কি দিবেন বরকত দান করবেন।

নাম্বার সাত, বরকতের সাত নম্বর চাবি হলো ভাই, নিজে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে এবং পরিবারের লোকদেরকে সালাতের নির্দেশ করতে হবে। বহু লোক নিজে নামাজ পড়ে কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চা ফ্যামিলির লোকজন তারা নামাজ পড়ছে কিনা সেই বিষয়ে কোনো খবর রাখে না। আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালা কোরআনে কারিমের ভেতরে বলেছেন তুমি তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ করো। নিজে তো পড়তেই হবে পরিবারকেও নির্দেশ কর। এবং এটার উপর অটল থাকো। ধরে রাখো এটাকে, তাহলে কি হবে? আমি তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহ বলছেন আমি তোমাদের কাছ থেকে রিজিক চাই না বরং এ কাজ করলে, আমল করলে আমি তোমাদেরকে রিযিক দেব। বরকত চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। নামাজ নিজে পড়তে হবে এবং পরিবারকে নামাজের নির্দেশ করতে হবে।

নাম্বার আট, বরকতের আট নম্বর চাবি হলো ভাই তাওয়াক্কুল করা আল্লাহর উপরে। আল্লাহর উপর ভরসা করা। মুমিন যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবে আল্লাহতায়া’লা তত বেশি তাকে সাহায্য করবে। আর আল্লাহর প্রতি ভরসা যত কমে যাবে, আস্থা যত কমে যাবে, নির্ভরতা যত কমে যাবে, দুনিয়ার কোন বস্তুর প্রতি যখন আস্থা বেশি হয়ে যাবে, আল্লাহতায়া’লা তাকে ঐ বস্তুর হাতেই বেইজ্জত করে ছাড়েন। এটাই আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার সুন্নাহ। যার কারণে আল্লাহর প্রতি যে যত বেশি তাওয়াক্কুল করে আল্লাহতালা তাকে তত বেশি উদ্ধার করেন এবং সাহায্য করেন। বরকতের জন্যে এটা একটা অন্যতম উপায়। যে যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, বিশেষ করে রিজিকের ব্যাপারে, তত বেশি আল্লাহ সুবাহানাল্লাহুতায়ালার পক্ষ থেকে কি আসবে? বরকত আসবে। একটু কোন কারণে আমাদের ইনকামের উপরে চাপ আসলে প্রেসার আসলে আমরা অস্থির হয়ে যাই, হা-হতাশ হয়ে যাই, নিরাশ হয়ে যাযই, অনেকে তো আজেবাজে মন্তব্য করা শুরু করি। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল থাকে না। তো আসবে কোত্থেকে রিজিক, রিজিক আসবে তখন যদি আল্লাহর উপর ভরসাটা পূর্ণমাত্রায় থাকে। নবী আলাইহিসসালাতু আসসালাম বলেছেন “আল্লাহর প্রতি যে রকম ভরসা রাখা দরকার যে রকম আস্থা রাখা দরকার তোমরা যদি সেই মাপের আস্থা রাখতে পারো নির্ভরতা আল্লাহর উপরে তোমরা রাখতে পারো” তাহলে কি হবে আলাহতায়া’লা পাখিকে যেভাবে রিজিক দেন তোমাদেরকে সেভাবে রিজিক দিবেন। সারপ্রাইজ রিযিক, কল্পনাও করতে পারবেন যদি কোথায় আলাহ রিজিকু দিয়ে রাখছেন। এরকম বরকত জীবনে নেমে আসবে, যদি কি করা হয়? আল্লাহর উপরে পরিপূর্ণ এই তাওয়াক্কুল অবলম্বন করা হয়।

বরকতের জন্য নয় নম্বর আমল হলো, বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। কি করা ভাই? ইস্তেগফার করা, ইস্তেগফার। উঠতে,চলতে,ফিরতে সব সময় ইস্তেগফার করা অথবা সাইয়িদ্যুল ইসতেগফার করা। কিছু না পারেন শুধু আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া। আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়াতুবু ইলাইক এতটুকু পড়া। এবং যখন পড়বেন অর্থ বুঝে পড়বেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন আপনি, আর ক্ষমা চাইলে ক্ষমা চাওয়ার মুড থাকে আলাদা, একটা মানুষের কাছে যখন মাফ চান আপনি, তখন মাফ চাওয়ার মুড ভিন্ন থাকে না? আস্তাগফিরুল্লাহ যখন বলবো তখন নিজের অপরাধের কথা স্মরণ করে অথবা আমি যে বহু অপরাধ করি সে কথাটা মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। যত বেশি ইস্তেগফার করব তত বেশি রিজিক আসবে, সূরা নুহ’ এর ভিতরে আল্লাহতায়া’লা আল্লাহর নবী নুহ(আঃ) সম্পর্কে বলেছেন-যে নুহ(আঃ) বলেছেন, তার জাতিকে “তিনি বলেন আমি আমার জাতিকে বলেছিলাম তোমরা তোমাদের রবের ইস্তেগফার করো তোমাদের রব ক্ষমাশীল”। তাহলে কি হবে ইস্তেগফার করলে? এক নম্বর তিনি ক্ষমা করবেন। তার পরে সম্পদ এবং সন্তান-পরিবার এই দুটি দিয়ে তোমাদের শক্তিশালী করবেন। রিচ করে দিবেন সমৃদ্ধ করে ‍দিবেন। তোমাদের জন্য বাগবাগিচা দিবেন এবং নহর প্রশমন দান করবেন অর্থাৎ রুজি রুটির বরকত দান করবেন। সম্মানিত ভাই বন্ধুগণ, তাহলে ইস্তেগফার করলে রুটি রুজির বরকত হয়, সম্পদে আপনার বরকত হয়, সন্তানের বরকত হয়, পরিবারে বরকত হয় অতএব ইস্তেগফার বেশি বেশি করতে থাকতে হবে। নবী আলাইহিসসালাতু আসসালাম বলেছেন “যে ব্যাক্তি ইস্তেগফারকে ধরে রাখবে সবসময় নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, “সকল কঠিন মুহূর্ত থেকে বের হওয়ার জন্য আল্লাহতায়া’লা তাকে পথ দেখিয়ে দিবেন”। “সকল পেরেশানি থেকে তাকে প্রশস্ততার পথ দেখিয়ে ‍দিবেন”। যদি সে ইস্তেগফার কে ধরে রাখে, এক দুইবার পড়া না নিয়মিত পড়তে থাকে, ধরে রাখে। অতএব বরকতের জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে হবে।

দশ নম্বর বরকতের চাবি হলো ভাই, পরিপূর্ণ সালামের ব্যাপক পরিমানে প্রচলন ঘটাতে হবে। দিতে হবে। সালামের পরিপূর্ণরূপ “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”। এখানে আমরা সবাই জানি দোয়া করা হয়, আপনার জন্যে শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক আল্লাহর বরকত নাযিল হোক আপনার প্রতি। তাহলে আপনি যখন কারো প্রতি সালাম দিচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ সালাম “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু” তার মানে আপনি কেমন যেন তার জন্য বরকাত দোয়া করছেন শান্তির দোয়া করছেন, আর হাদিসে আসছে কোনো মুসলিমের জন্যে যদি আপনি বরকতের দোয়া করেন বা যেকোনো দোয়া করেন, তো ফেরেস্তা আপনার জন্য দোয়া করে, যে আল্লাহ এই বান্দাকেও আপনি দান করেন। তাছাড়া যাকে সালাম দিবেন তিনিও জবাব দিবেন, আপনি যেহেতু ওয়া বারাকাতুহু পর্যন্ত পড়বেন তার জন্য উচিত হবে ওয়া বারাকাতুহু পর্যন্ত দেওয়া। সালাম যতটুকু দেয় হয়, পরিপূর্ণ কমপক্ষে অতটুকু ‍দিতে হয়। অতএব যত বেশি সালাম দেওয়া হবে, তত বেশি ফেরেস্তা আমার জন্য বরকতের দোয়া করবে। আর যাকে সালাম দিচ্ছি, তিনিও করবেন। তাহলে সালামের প্রচলন যদি ব্যাপক পরিমানে যদি করতে পারি, তাহলে আমাদের জীবনে কি আসবে ভাই? বরকত নেমে আসবে, আর আগেই বলেছি বরকতের অল্প বেবরকতের বহু চাইতে উত্তম এবং শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বরকতের সম্পদ দান করুক। অধিক সম্পদ নয়, বরকতের সম্পদ। আল্লাহ আমাদের বরকতের সন্তান দান করুক, অধিক সন্তান নয় বরকতের সন্তান কল্যাণ। কল্যাণ যে  সন্তানে আছে সেখানে, অনেক বেশি হলো কিন্তু কল্যাণ তার ভিতরে নাই, উপকারটা নাই, তাহলে এই বেশির কোনো লাভ হলো না।

আমাদের গোটা জীবনকে আমাদের উপার্জনকে, আমাদের সম্পদকে, আমাদের নেক আমলকে, আমাদের সন্তান-সন্ততিকে, আমাদের পরিবারকে, পরিজনকে, আমাদের চিন্তা চেতনাকে, আমাদের সবকিছুকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বরকতম করে দিন। সবকিছুতে আল্লাহতালা কল্যাণ এবং উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিক। জাযাকাল্লাহ।

- শায়খ আহমাদুল্লাহর আলোচনা অবলম্বনে

ভিডিও লিংক:

9
সময়ের মূল্য নিয়ে ২৫টি অসাধারণ উক্তি

০১. “যার হাতে কিছুই নেই, তার হাতেও সময় আছে। এটাই আসলে সবচেয়ে বড় সম্পদ”

– ব্যালটাজার গার্সিয়ান (১৭ শতকের স্প্যানিশ লেখক ও দার্শনিক)


০২. “অতীত চলে গেছে, তাই এটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই।  ভবিষ্য‌ৎ নিয়ে ভেবেও লাভ নেই, কারণ তা এখনও আসেনি।  চিন্তা করো বর্তমান সময় নিয়ে, সেটাই তোমার ভবিষ্যতের জন্য ভালো”

– সংগৃহীত

০৩. “আমরা যদি সময়ের যত্ন নিই, তবে সময় আমাদের জীবনের যত্ন নেবে”

– মারিয়া এজগ্রোথ (বিখ্যাত আইরিশ লেখিকা)

০৪. “আগের নষ্ট করা সময়ের জন্য এখন আফসোস করলে, এখনকার সময়ও নষ্ট হবে”

– মেসন কোলেই (আমেরিকান দার্শনিক)

০৫. “সময়ের সত্যিকার মূল্য দাও।  প্রতিটি মূহুর্তকে দখল করো, উপভোগ করো।  আলস্য করো না। যে কাজ আজ করতে পারো, তা কালকের জন্য ফেলে রেখো না”

– ফিলিপ স্ট্যানহোপ (১৮ শতকের বৃটিশ লেখক ও রাজনীতিবিদ)


০৬. “তুমি যা কিছু খরচ করো, সময়ই তার মধ্যে সবচেয়ে দামী”

– থিওফ্রেসটাস ( প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক)

০৭. “যারা সময়কে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারে না, তারাই আসলে সময় নিয়ে অভিযোগ করে”

– যিন ডে লা ব্রুয়ের (১৭ শতকের ফ্রেঞ্চ দার্শনিক)

০৮. “আমার সময় নেই, হল ‘আমি করতে চাইনা’ কথাটা একটু ঘুরিয়ে বলা”

– লাও ঝু (প্রাচীন চীনা লেখক ও দার্শনিক)

০৯. “ভবিষ্যতে যাওয়ার গতি হল প্রতি ঘন্টায় ৬০ মিনিট।  কেউ কারও আগে বা পরে যাবে না।  কিন্তু কেউ সেখানে গিয়ে ভালো থাকবে; কেউ খারাপ থাকবে।  সময়ের গতিকে যে যেভাবে ব্যবহার করবে, তার ভবিষ্য‌ৎও তেমন হবে”

– সংগৃহীত

১০. “সময় আসবে, আবার চলে যাবে।  কিন্তু যখন সে থাকবে, তখন তার কাছ থেকে তুমি যা চাইবে, তাই পাবে”

– সংগৃহীত

১১. “সময় = জীবন। তাই, সময় নষ্ট মানে জীবনের অংশ নষ্ট করা।  সময়কে কাজে লাগাও, জীবনও অর্থপূর্ণ হবে”

– এ্যালান লাকেইন ( বেস্ট সেলিং How to Get Control of Your Time and Your Life এর লেখক)


১২. “বেশিরভাগ মানুষ সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেই বেশি সময় নষ্ট করে, যা সত্যিকার কাজে লাগালে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত”

– হেনরি ফোর্ড (ফোর্ড মোটরস এর প্রতিষ্ঠাতা)

১৩. “সাধারণ মানুষ ‘সময় কাটানোর’ চেষ্টা করে।  অসাধারণ মানুষ সময়কে ‘কাজে লাগানোর’ চেষ্টা করে”

– সংগৃহীত

১৪. “যে সময় হারিয়ে গেছে তাকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। কিন্তু তুমি চাইলে যে সময় সামনে আসছে, তাকে সুন্দর করতে পারো”

– এ্যাশলি ওরমোন (বেস্ট সেলিং লেখিকা)

১৫. “সময়ের অভাব কোনও সমস্যা নয়।  আসল সমস্যা হল সদিচ্ছার অভাব।  প্রতিটি মানুষের দিনই ২৪ ঘন্টার”

– যিক জিগলার (লেখক ও মোটিভেটর)

১৬. “অতীতের ভুল নিয়ে আফসোস করো না; তা আর ফিরে আসবে না।  তার বদলে বর্তমানকে এমন সুন্দর করে সাজাও, যেন ভবিষ্যতে এর কথা মনে করে আফসোস না করতে হয়”

– সংগৃহীত

১৭. “কোনওকিছুর জন্যই তোমার হাতে যথেষ্ঠ সময় থাকবে না।  যদি কোনওকিছু তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে অন্য জিনিস করা বাদ দিয়ে সময় বের করে নাও”   

– চার্লস বক্সটন (বৃটিশ লেখক)

১৮. “দেয়ালের দিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করো না।  সেখানে একা একা দরজা জন্মাবে না।  ওপাশে যেতে চাইলে দরজা বানাতে শুরু করো”

– কোকো শ্যানেল (বিশ্বখ্যাত ফ্রেঞ্চ ব্র্যান্ড ‘শ্যানেল’ এর প্রতিষ্ঠাতা)

১৯. “সাধারণ মানুষ সময়ের চলে যাওয়াকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।  বুদ্ধিমান মানুষ এর সাথে ছুটতে চায়”

– শপেনহ্যাওয়ার (জার্মান দার্শনিক)

২০. “ক্যালেন্ডার দেখে ধোঁকা খেও না।  যে দিনগুলোকে তুমি কাজে লাগাও, সেগুলোই শুধু হিসাবে পড়ে।  কেউ পুরো এক বছরে মাত্র এক সপ্তাহের কাজ করে।  আর কেউবা মাত্র এক সপ্তাহে পুরো এক বছরের সমমূল্যের কাজ করে”

– চার্লস রিচার্ড (বিশ্বখ্যাত বৃটিশ ইঞ্জিনিয়ার)

২১. “সময়কে যদি ঠিকমত ব্যবহার করা যায়, তবে কেউই সময় নিয়ে অভিযোগ করবে না।  তুমি যদি সময়কে ঠিকমত ব্যবহার করো, তবে কাজের পরিমান দেখে তুমি নিজেই অবাক হয়ে যাবে”

– থমাস জেফারসন (৩য় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট)

২২. “যে লোক জীবনের একটি ঘন্টা নষ্ট করার সাহস করে, সে আসলে জীবনের মূল্য এখনও বোঝেনি”

– চার্লস ডারউইন (বিখ্যাত ইংরেজ বিজ্ঞানী)

২৩. “সব সময়ে ব্যস্ত থাকাই শেষ কথা নয়।  পিঁপড়ারাও সারাদিন ব্যস্ত থাকে।  এমন কিছুর পেছনে সময় দাও যা আসলেই কাজে লাগে”

– হেনরি ডেভিড থোরেও (আমেরিকান কবি, দার্শনিক, ও ইতিহাসবিদ)

২৪. “যদি তোমার সময়ের সত্যিকার সদ্ব্যবহার করতে চাও, তবে কোন জিনিসটা তোমার কাছে সবচেয়ে জরুরী – তা খুঁজে বের করো।  তারপর পুরোটা সময় সেটার পেছনে ব্যয় করো”

– লী লেকোকা (অটোমোবাইল ও ইঞ্জিনিয়ারিং জগতের আইকন)

২৫. “এক সময়ে অনেক কাজ করা বোকামী।  দুই হাত ব্যবহার করে একসাথে অনেক ফল পানিতে ধুতে গেলে কিছু ফল হাত ফসকে বেরিয়ে যায়”

– প্রাচীন চীনা প্রবাদ

পরিশিষ্ট:
আপনি যদি আর সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস করেন, তাহলে দেখবেন অন্য সবকিছু এমনিতেই গুছিয়ে যাচ্ছে।  আসলে সব সাফল্যের মূল ঘাঁটলে দেখা যাবে, সময়ের মূল্য দেয়া এবং সময়ের সদ্ব্যবহার একটি বড় অংশ দখল করে আছে।

সময়ের মূল্য বোঝা ও সময়ের সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময়ের মূল্য নিয়ে এই উক্তিগুলো যদি আপনাকে সামান্যও অনুপ্রাণিত করে থাকে, তবেই আমাদের প্রচেষ্টা সফল।

Source: https://loraku.com/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF/

10
AI in Education / Disrupting Education & Healthcare with AI
« on: December 26, 2023, 10:17:44 AM »
Disrupting Education & Healthcare with AI

Disrupting Education...

What happens when the best teachers are AIs? When a virtual simulation of an educational experience is more fun, impactful and engaging than sitting around a 40-year-old classroom?

Now I’m not saying that *everything* will be learned through an AI and VR format, but I am saying that A LOT of it will be... especially visual and complex topics like history and science.

We want our kids to learn, not to conform... to grasp and not regurgitate. AI and VR will allow them to absorb knowledge in their own desired fashion (audio, visual...), rather than in a group-grope (one-size-fits-all) approach.

Better yet, the coming education industry will grow out of seeds planted by today’s video game industry.

In 2022, the revenue from the worldwide gaming market was estimated at almost $347 billion, with the mobile gaming market generating an estimated $248 billion of the total.

In comparison, the global K-12 private education market was valued at $2.08 trillion in 2020, with revenues expected to reach around $2.94 trillion by the end of 2026.

Guess what, when the video gaming industry wakes up and realizes that the private K-12 education market is 10X bigger, THE GAMING INDUSTRY WILL EAT OUR EDUCATIONAL SYSTEM FOR LUNCH.

Playing games is fun, even addictive, and the industry has a lot to teach our educational establishments.

For example, in K-12 education when you start a new class, you begin with a score of 100% and every time you get something wrong, your class averages go down...

In a video game, you start every game with a score of zero, and every time you get something right, your score goes up.

Just imagine which of these is most motivating for your kids?

Soon, we will also take gaming out of the traditional environment and move it into our homes and everyday lives through the use of smart toys, a global market that is expected to grow from $14 billion in 2023 to over $40 billion by 2032.

Smart toys, powered by AI, can learn your child’s name, react to triggers, learn from interactions, and choose the way they behave with your child in accordance with your educational objectives.

Ultimately, they will allow kids to learn and play in new ways. Here are just a few examples of AI-powered toys for kids that are available today:

Moxie by Embodied Robotics is an AI-enabled robot that knows your kid’s name and face, and supports social-emotional growth in kids through fun activities and creative play. The New York Times said about Moxie, “Moxie’s eyes can move to console you for the loss of your dog, and it can smile to pump you up for school.” It’s a robot friend that teaches life skills, improving social-emotional development through play. With hundreds of interactive activities from brain twisters to dance games, Moxie’s library is constantly growing, and whether your kids are into reptiles or rocks, Moxie is ready to chat! As Wired magazine proclaimed, “Moxie is the robot pal you dreamed of as a kid.” Having played with Moxie along with my own children, I was blown away by how life-like and engaging Moxie’s AI made our interactions.

Artie 3000 is a programmable coding robot that draws. It comes with a variety of games and can be programmed by kids to draw a range of shapes and objects. And Talking Tom Cat is an AI-powered robot that records, responds to questions, sings songs, and much more. It’s easy to use and can repeat recordings back to the user.

And these are just the early days. For example, Allan Wong, CEO and Chairman of toymaker VTech Holdings, described in a June 2023 interview with the Financial Times his vision for future features: “AI will generate stories customized for the kid rather than having you reading from a book … You can incorporate not only the kid’s name, but the kid’s daily activities. It knows which school you go to, and who your friends are.”

The Disrupt of Healthcare...

 The home healthcare market was valued at over $330 billion in 2021 and is projected to nearly double to $635 billion by 2030. As we move healthcare out of the hospital and the doctor’s office and into the home, AI will play a huge role in that growth.

Let’s begin by understanding that the human body is incredibly good at *HIDING DISEASE*... Do you really know what’s going on inside your body? You might feel okay, but do you KNOW if you’re okay? The problem with a lot of today’s healthcare (i.e., sickcare) is that it is reactive and retrospective, finding disease too late, rather than at the earliest moments when it is easiest to repair and avert expensive and sometimes deadly results.

Here are four ways in which AI will improve the quality of home healthcare in the decade ahead, and prevent disease by making medicine personalized and proactive:

First, embedded AI sensors on your body, in your body and in your furniture will enable biometric-based triggers. AI-based sensors will be used to track your biometrics 24/7—even when you’re resting or sleeping. Everything from your heart rate, body temperature and blood glucose levels, to the sound of your cough, quality of your sleep and the number of steps you take every day. One of my companies, Fountain Life, will soon be rolling out Fountain@Home as an AI-enabled platform that integrates all wearables, remote blood draws, telemedicine and occasional imaging uploads at Fountain Life Centers. Another company I co-founded with Tony Robbins, called MyLifeForce, today offers quarterly blood draws and remote telemedicine with access to a personalized supplement, medicine, and hormone regimen.

Over the coming decade, biometric data aggregation will disappear into the background of everyday life.

Second, diet monitoring through AI apps and devices will help you to maintain your willpower and make smart food decisions. For example, AI-powered imaging software such as Passio.ai, could offer real-time food recognition that dissuades you or encourages you to eat certain foods based upon your nutrition objectives.

Third, AI voice assistants will enable updates and just-in-time information. Near-term versions of today’s voice assistants (e.g., Siri, Alexa, and Google Assistant) will remind you to take your medicine, check your blood pressure, create and remember your medical appointments, or seek information about the nearest physician or symptoms for a disease. In the long term, your AI assistant will become your diagnostician, reviewing a constant flow of medical data coming off your wearables, detecting any concerning conditions at the earliest possible point.

Finally, AI will be built into healthcare insurance. One of the key ways that AI is transforming healthcare is through insurtech. To provide customers (both potential and existing) better coverage, companies are using AI-based machine learning programs to collect data from wearable devices and previous patient records. The future of insurance will focus on “advanced testing” (such as Fountain Health Solutions) in order to prevent disease in advance, rather than paying you after you’re sick.

By tracking eating habits, fitness levels, sleeping patterns and more using devices with sensors, insurtech will not only offer better coverage, but also mitigate risks for both the customer and the insurer.

Why This Matters


Education and healthcare represent two industries that haven’t fundamentally changed in decades.

But AI, especially when combined with other exponential tech like robotics and VR, promises to revolutionize how we treat patients and serve students.

Given how fast everything is changing, it’s not hard to understand that this technology can scare people, making many desire “the good old days.” Some fear that the speed of change (i.e., the rate of disruption) will cause people to revolt. The only prescription for such fear will be knowledge—this means giving people access to high-quality education and helping them believe that they have a future that is compelling and abundant.

AI will ultimately dematerialize, demonetize, and democratize the world’s best education for your child and for all adults—giving all 8 billion+ of us access to the best education independent of where anyone lives or how much wealth they have.

And at the same time, AI is also drastically changing the face of medicine by analyzing massive quantities of data to uncover patterns and insights that can save our lives.

In the not-too-distant future, the best diagnosticians in the world will be AIs, and the best surgeons will be robots driven by AIs.

Our next blog, the final one covering this particular Metatrend, will look at what Embedded Intelligence means for global abundance.

Source: Collected.

11
সময়ের গুরুত্ব ও ব্যবহার

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়; যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে সহায়তা করে।’ (সুরা আসর, আয়াত: ১-৩)।

সময়ের হিসাবের নিমিত্তে আল্লাহ তাআলা চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন। কোরআনের বর্ণনা, ‘তিনিই সূর্যকে তেজস্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তাদের মনজিল নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পারো। আল্লাহ এসব নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি এসব নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করেন।’ (সুরা: ১০ ইউনুস, আয়াত: ৫)। ‘আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, ইহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনজিল; অবশেষে সেটি শুষ্ক বক্র পুরোনো খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে।’ (সুরা: ৩৬ ইয়াসিন, আয়াত: ৩৮-৩৯)। ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনায় মাস ১২টি।’ (সুরা: ৯ তাওবা, আয়াত: ৩৬)। 

ইসলামে মানুষের অনর্থক কাজে সময় ব্যয় করার কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কাজেই যখনই অবসর পাও ইবাদতের কঠোর শ্রমে লেগে যাও। এবং নিজের রবের প্রতি মনোযোগ দাও।’ (সূরা ইনশিরাহ : ৭-৮)

একদা রাসূলুল্লাহ (সা.)কে প্রশ্ন করা হলো, সৌভাগ্যবান কারা? তিনি বললেন, সৌভাগ্যবান তারা, যারা দীর্ঘায়ু লাভ করেছে এবং তা নেক আমলের মাধ্যমে অতিবাহিত করেছে। অতঃপর আবার জিজ্ঞেস করা হলো, দুর্ভাগা কারা? তিনি বললেন, দুর্ভাগা তারা যারা দীর্ঘায়ু পেয়েছে এবং তা বদ আমলে কাটিয়েছে বা আমলবিহীন অতিবাহিত করেছে। (তিরমিজি-২৩২৯, মুসনাদে আহমাদ-১৭৭৩৪)।

হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজ হাশরে শেষ বিচারের দিনে প্রতিটি মানুষ পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া এক পা পর্যন্ত নড়তে পারবে না। প্রশ্নগুলো হলো-তার জীবনকাল কী লক্ষ্যে কাটিয়েছে? যৌবনকাল কী কাজে ব্যয় করেছে? কোন পথে আয় করেছে? কী কাজে ব্যয় করেছে? জ্ঞান অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করেছে কিনা?’ (তিরমিজি ৪:৬১২/২৪১৬)।

সময়কে কাজে লাগানোর অন্যতম উপায় হলো লক্ষ্য স্থির করা। লক্ষ্যহীন মানুষ সময়ের অপচয় করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসকে তার বিপরীত পাঁচটি জিনিসের পূর্বে মূল্যায়ন কর ও তার সদ্ব্যবহার কর। তোমার যৌবনকে বার্ধক্যের আগে, সুস্থতাকে অসুস্থতার আগে, সচ্ছলতাকে দারিদ্র্যের আগে, অবসরকে ব্যস্ততার আগে, জীবনকে মৃত্যুর আগে।’ (বায়হাকি-১০২৪৮, মুসনাদে হাকিম-৭৮৪৬)।

উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কাজটি করতে না পারলে, অসময়ে শত চেষ্টার পরও তা করা সম্ভব হবে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘(হে রাসূল) যদি তুমি দেখতে! অপরাধীরা যখন তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে মাথা নত করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শুনলাম এখন তুমি আমাদের পুনরায় (পৃথিবীতে) পাঠিয়ে দাও, আমরা সৎকাজ করব। নিশ্চয়ই আমরা (এখন) দৃঢ় বিশ্বাসী (সূরা আস সাজদাহ : ১২)।

এ ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় যতটুকু সময় পাওয়া যায় আল্লাহর পথে ব্যয় করা উচিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সূরা মুনাফিকুন : ১০-১১)।

ময়ের গুরুত্বারোপ অনেক সূরার প্রারম্ভে সময়ের কসম করা হয়েছে। রাত্রি ও দিনের কসম করে বলেন : ‘শপথ রাত্রির যখন তা আচ্ছন্ন করে। শপথ দিনের যখন তা উদ্ভাসিত করে।’(সূরা আল-লাইল : ১-২) এখানে রাত ও দিনের কসমে বান্দাদেরকে কল্যাণের চিন্তা ও গবেষণা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফজর ও দশ রাতের কসম করে বলেন : ‘শপথ ফজরের! শপথ দশ রাতের।’ (সূরা আল-ফাজর : ১-২) অন্য আয়াতে বলেন : ‘শপথ সকালও পূবাহেৃর! শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়।’(সূরা দ্বোহা :১-২) সময়ের কসম করে বলেন : ‘সময়ের শপথ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমর্জিত।’ (সূরা আসর : ১-২)

ইসলাম প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ছাড়াও অধিকাংশ বিষয়সমূহ সময়ের মালায় গাঁথা। আল্লাহ বলেন : নিশ্চয় নামাজ মুসলমানদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ করা হয়েছে। (সূরা নিসা : ১০৩)। এখানে নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট সালাত আদায়ের তাকিদ দিয়ে সময়ের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। তেমনিভাবে ইসলামের প্রতিটি কাজ সময় মতো পালন করতে হবে। অন্যথায় তা যথাযথভাবে আদায় হবে না।

 সময়কে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন : ‘তিনিই রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদকে তোমাদের উপকারে নিয়োজিত করেছেন এবং তারকারাজিও তারই নির্দেশমতো কর্মে নিয়োজিত। নিশ্চয় তাতে জ্ঞানীদের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে।’(সুরা ইব্রাহিম : ৩৩-৩৪) অর্থাৎ রাতকে দিনে রূপান্তর করেছেন এবং দিনকে রাতে রূপান্তরিত করেন। যাতে একটি সময় নষ্ট হয়ে গেলে অন্য সময় এর প্রতিকার করা যায়।

এমনিভাবে হাসান বসরি রহ. বলেন : হে আদম সন্তান, নিশ্চয় তুমি অনেকগুলো দিন পেয়েছো আর প্রত্যেক দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে।’ সময় নিয়ে আপসোস বিষয়ে কুরআন দু’টি অবস্থানের কথা বর্ণনা করেছে। প্রথম অবস্থান : জীবনের অন্তিম মুহূর্ত। তখন সে আফসোস করবে, যদি তাকে একটুখানি সময় দেয়া হতো। যদি একটু সুযোগ দেয়া হতো তবে সে তার বিনষ্ট অবস্থা ঠিক করে নিত এবং ছুটে যাওয়া আমলগুলো সংশোধন করে নিতে পারত। এই বিষয়ে কুরআনে বলা হয়েছে :‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্তুতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসিন না করে। যারা উদাসিন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি তোমাদের যে রিজিক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে ; অন্যথায় সে বলবে, হে আমার রব্ব! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকাহ করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ (সূরা আল-মুনাফিকুন : ৯-১০)। অবশ্য এ আশা পরিবর্তনযোগ্য ও কর্তনকারী কেউ নেই।

দ্বিতীয় অবস্থান : আখিরাতের মুহূর্ত। আল্লাহ বলেন: ‘সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, হে আমাদের রব্ব! আমাদেরকে নিষ্কৃৃতি দিন, আমরা সৎ কাজ করব, পূর্বে যা করতাম তা করব না। আল্লাহ বলবেন, আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করিনি? যে, তখন কেহ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীরাও এসেছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন করো, জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সূরা আল-ফাতির : ৩৭)

মুসলমানের উচিত সময়ের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ববান হওয়া। ওমর ইবন আবদুল আজিজ বলেছেন : রাত-দিন তোমরা কাজে ডুবে থাক অতএব সময়ও তোমাদের মাঝে ডুবে থাকবে! মূলত ঘৃণার আলামত হলো সময় নষ্ট করা। আর সময় হলো একটি তলোয়ার তুমি তাকে নষ্ট না করলে সেও তোমাকে নষ্ট করবে না। সর্বদায় এক ভালো অবস্থা থেকে আরো উন্নত অবস্থানের জন্য প্রাণান্তকর উন্নতির চেষ্টা করা মুমিনের উপর ওয়াজিব। (আল্লামা ইউসুফ আল-কারযাভী, মুসলিম জীবনে সময়, পৃ.২০)।

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা:)বলেন : ‘সে দিন আমি অত্যন্ত লজ্জিত হয়েছি, যে দিনের সূর্য ডুবে গেছে। আমার আয়ু কিছুটা হলেও ফুরিয়ে গেছে, অথচ আমার আমলের কোনো উন্নতি হয়নি!’

আল্লাহ তায়া’লা বলেন, “আমি জিন ও ইনসানকে কেবল আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (সূরা যারিয়াত, আয়াত নং ৫৬) সুতরাং যে জীবন ও সময় আল্লাহর ইবাদতের জন্য এবং তার ইবাদতের সহায়ক দুনিয়াদারী করার জন্য সৃষ্ট, তা মুসলিম খেলায় ও হেলায় নষ্ট করতে পারে না।


যে দেহ ও তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর সৃষ্টি এবং আমাদের নিকট যা আমানত, সে দেহ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কাজে কিরূপে ব্যয় করতে সাহস করতে পারি? তিনি আমাদেরকে, আমাদের হায়াত ও মওতকে খেলার জন্য নয়, বরং কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহর ঘোষণা হল, “যিনি তোমাদেরকে এই পরীক্ষা করার জন্য জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে সবচেয়ে উত্তম।” (সূরা মুল্‌কঃ আয়াত নং ২)


মহানবী (সা.) বলেন, “মানুষ মারা গেলে তার (সকল) আমল বন্ধ হয়ে যায়।------।” (সহীহ্ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৩১) অর্থাৎ, মরণের পূর্ব পর্যন্ত তার কর্ম বন্ধ হয় না। অতএব যে জাতির কোন অবসর নেই, তার আবার অবসর-বিনোদন’ কি? মুসলিমের জীবনের মূল্য আছে, লক্ষ্য আছে। যাদের জীবনের কোন লক্ষ্য নেই, কেবল তাদের কাছেই সময়ের কোন কদর নেই। সুতরাং মুসলিম খেল-তামাশায় তার জীবন ও সময় অপচয় করতে পারে না।

খেলা এমন জিনিস, যা অনর্থক সময় নষ্ট করে। অথচ মুসলিম যুবকের উচিত, সময়ের যথােচিত কদর করা, সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন করা। কারণ, সময়ই হল জীবন। অতএব যে ব্যক্তি নিজের জীবনকে ভালোবাসে, সে ব্যক্তির উচিত, সময়ের অপচয় না করা। হাসান বসরী (রঃ) বলেন, 'হে আদম সন্তান! তুমি আসলে কতকগুলি দিনের সমষ্টি।

আল্লাহ তায়া’লা বলেন, “আমি জিন ও ইনসানকে কেবল আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (সূরা যারিয়াত, আয়াত নং ৫৬) সুতরাং যে জীবন ও সময় আল্লাহর ইবাদতের জন্য এবং তার ইবাদতের সহায়ক দুনিয়াদারী করার জন্য সৃষ্ট, তা মুসলিম খেলায় ও হেলায় নষ্ট করতে পারে না।


যে দেহ ও তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর সৃষ্টি এবং আমাদের নিকট যা আমানত, সে দেহ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কাজে কিরূপে ব্যয় করতে সাহস করতে পারি? তিনি আমাদেরকে, আমাদের হায়াত ও মওতকে খেলার জন্য নয়, বরং কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহর ঘোষণা হল, “যিনি তোমাদেরকে এই পরীক্ষা করার জন্য জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে সবচেয়ে উত্তম।” (সূরা মুল্‌কঃ আয়াত নং ২)


মহানবী (সা.) বলেন, “মানুষ মারা গেলে তার (সকল) আমল বন্ধ হয়ে যায়।------।” (সহীহ্ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৩১) অর্থাৎ, মরণের পূর্ব পর্যন্ত তার কর্ম বন্ধ হয় না। অতএব যে জাতির কোন অবসর নেই, তার আবার অবসর-বিনোদন’ কি? মুসলিমের জীবনের মূল্য আছে, লক্ষ্য আছে। যাদের জীবনের কোন লক্ষ্য নেই, কেবল তাদের কাছেই সময়ের কোন কদর নেই। সুতরাং মুসলিম খেল-তামাশায় তার জীবন ও সময় অপচয় করতে পারে না।

খেলা এমন জিনিস, যা অনর্থক সময় নষ্ট করে। অথচ মুসলিম যুবকের উচিত, সময়ের যথােচিত কদর করা, সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন করা। কারণ, সময়ই হল জীবন। অতএব যে ব্যক্তি নিজের জীবনকে ভালোবাসে, সে ব্যক্তির উচিত, সময়ের অপচয় না করা। হাসান বসরী (রঃ) বলেন, 'হে আদম সন্তান! তুমি আসলে কতকগুলি দিনের সমষ্টি।

Ref:
Daily Jugantor
Prothom Alo
Daily Noya Digonto

12
রিজিকের স্তর কয়টি ও কী কী


রিজিক মানে শুধু ধনসম্পদে সচ্ছল হওয়া নয়, রিজিকের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ রিজিক বলতে শুধু ধনদৌলত, অর্থাৎ আর্থিক সচ্ছলতা বোঝেন। সমাজে যাঁরা আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাঁদের বেশি রিজিকপ্রাপ্ত এবং যাঁরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাঁদের কম রিজিকপ্রাপ্ত ভাবা হয়। অথচ ধনসম্পদ বা টাকাপয়সা হলো রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর।

রিজিকের আরও বেশ কিছু স্তর রয়েছে, সেগুলো হলো—

সর্বনিম্ন স্তর

রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর হলো আর্থিক সচ্ছলতা। এটাই একমাত্র স্তর নয়; রিজিক বলতে শুধু ধনসম্পদ, টাকাপয়সায় সচ্ছলতা অর্জন—এমনটি বোঝা এবং এমন বুঝের ওপর অটল থাকা অজ্ঞতার পরিচায়ক। রিজিকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, দুনিয়াতে যা কিছু মানুষকে উপকৃত করে, সবই রিজিক। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘ধনসম্পদ আর সন্তানসন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৪৬)

আমরা যে ধনসম্পদ উপার্জনের জন্য লালায়িত থাকি, পবিত্র কোরআন ও হাদিসে তাকে ফিতনা ও পরীক্ষা বলা হয়েছে। রিজিকের প্রথম ও প্রধান স্তর ভেবে যা অর্জনের নেশায় ডুবে থাকি, প্রকৃত অর্থে তা রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর ও শোভামাত্র। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘জেনে রাখো! নিশ্চয়ই তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি ফিতনা বা পরীক্ষা। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ২৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফিতনা রয়েছে। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধনসম্পদ।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৭৪৭১)

সর্বোচ্চ স্তর

রিজিকের সর্বোচ্চ স্তর হলো শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘এবং আমি যখন অসুস্থ হই; তখন তিনিই (আল্লাহ) আমাকে সুস্থতা দান করেন।’ (সুরা শুয়ারা, আয়াত: ৮০)

ইবনে আব্বাস (রা.)–এর বিবরণে আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এমন দুটি নিয়ামত রয়েছে, বেশির ভাগ মানুষ যার ব্যাপারে ধোঁকায় পতিত—সুস্বাস্থ্য ও অবসর।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৪১২; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪১৭০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) সুস্থতাকে উৎকৃষ্ট নিয়ামত আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা অর্থসম্পদের চেয়েও মূল্যবান নিয়ামত। তিনি আরও বলেন, ‘তাকওয়ার অধিকারী (খোদাভীরু) মানুষদের ধনসম্পদের মালিক হওয়াতে কোনো দোষ নেই। আর খোদাভীরু মানুষের জন্য সুস্থতা ধনসম্পদের চেয়ে অধিক উত্তম। মনের প্রফুল্লও নিয়ামতরাজির অন্তর্ভুক্ত।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১৪১)

সর্বোত্তম স্তর

রিজিকের সর্বোত্তম স্তর হলো পুণ্যবতী স্ত্রী ও নেককার সন্তানসন্ততি। একজন স্বামীর জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ পুণ্যবতী স্ত্রী। একইভাবে একজন স্ত্রীর জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ পুণ্যবান স্বামী। নারীর সংস্পর্শ ছাড়া কোনো পুরুষের জীবন এবং পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া কোনো নারীর জীবন পূর্ণতা লাভ করে না। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী যদি পুণ্যবতী হন এবং স্বামী যদি হন পুণ্যবান, স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় সংসার। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পার্থিব জগৎ হলো ক্ষণিকের উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম সম্পদ হলো পুণ্যবতী স্ত্রী।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৪৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৬৫৬৭)

পুণ্যবতী স্ত্রীর পাশাপাশি নেক সন্তান বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার সর্বোত্তম উপহার। আল্লাহ তাআলা সুসন্তানকে দুনিয়ার শোভা বলে ইরশাদ করেছেন, ‘ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৪৬)

প্রত্যেক মা-বাবা একটি বিষয় গভীরভাবে উপলব্ধি করে থাকবেন—সুসন্তান মানে পরিবারের স্বস্তি। মা–বাবার চক্ষু শীতলকারী সন্তানসন্ততি মানে সুখ। আর এ সুখই হলো রিজিকের সর্বোত্তম স্তরের অংশবিশেষ।

পরিপূর্ণ স্তর

রিজিকের পরিপূর্ণ স্তর হলো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি। প্রত্যেক মুমিন-মুসলিম বান্দার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।’ (সুরা তওবা, আয়াত: ৭২)

আবু উমামা আল বাহেলি (রা.)–এর বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা শুধু ওই আমল কবুল করবেন, যা শুধু তাঁর জন্য করা হবে এবং যে আমল দ্বারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা উদ্দেশ্য হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস: ৩১৪০)

আবশ্যক স্তর

রিজিকের আবশ্যক স্তর হলো ইমান। মুসলিমের জীবনে ইমান অর্জনের চেয়ে বড় কোনো রিজিক ও নিয়ামত নেই। ইমানের নিয়ামত যাদের অর্জন হয়েছে, সৌভাগ্যবান তারা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তারা ইসলাম গ্রহণ করে আপনাকে ধন্য করেছে মনে করে। বলুন, তোমরা ইসলাম গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করেছ মনে কোরো না; বরং আল্লাহ তাআলাই ইমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত: ১৭)

উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার প্রতি বিশ্বাস (যিনি এক ও অদ্বিতীয়) নিয়ে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে; সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৬)

অন্যান্য স্তর

কোনো কোনো গবেষক কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনার আলোকে জ্ঞান বা হিকমা অর্জন করা এবং মুমিন বান্দাদের ভালোবাসা প্রাপ্তিকেও রিজিকের স্তর হিসেবে ব্যক্ত করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা প্রজ্ঞা দান করেন এবং যাকে প্রজ্ঞা দান করা হয়, নিশ্চয়ই তাকে প্রভূত কল্যাণ দেওয়া হবে। জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ এটা উপলব্ধি করতে পারে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৬৯)

মুমিন বান্দার প্রতি মুমিন বান্দার ভালোবাসাও এক প্রকার রিজিক বা নিয়ামত। কারণ, আল্লাহ তাআলা যে বান্দাকে ভালোবাসেন, তার প্রতি ইমানদারদের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিব্রাইল (আ.)–কে ডেকে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে ভালোবাসি; তাই তুমিও তাকে ভালোবাস। কাজেই জিব্রাইল (আ.) তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর জিব্রাইল (আ.) আসমানে ঘোষণা করে বলেন, আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন, তোমরাও তাকে ভালোবাস। তখন তাকে আসমানবাসীরা ভালোবাসেন এবং পৃথিবীবাসীদের মধ্যেও তাকে গ্রহণীয় বানানো হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৭৪৮৫)

লেখক ও গবেষক: মিরাজ রহমান

Source: https://www.prothomalo.com/religion/islam/62mklrm6jl

13
কুরআনে রিজিকের ফর্মুলা

আল্লাহ তায়ালা বলেন- يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡفِقُوۡا مِنۡ طَيِّبٰتِ مَا كَسَبۡتُمۡ وَمِمَّاۤ اَخۡرَجۡنَا لَـكُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ وَلَا تَيَمَّمُوا الۡخَبِيۡثَ مِنۡهُ تُنۡفِقُوۡنَ وَلَسۡتُمۡ بِاٰخِذِيۡهِ اِلَّاۤ اَنۡ تُغۡمِضُوۡا فِيۡهِؕ وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ غَنِىٌّ حَمِيۡدٌ‏ - "হে মু’মিনগণ! তোমাদের উপার্জিত উত্তম সম্পদ থেকে এবং তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা উৎপন্ন করেছি তাত্থেকে ব্যয় কর এবং নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার নিয়ত করো না, বস্তুতঃ তোমরা তা গ্রহণ কর না, যদি না তোমাদের চক্ষু বন্ধ করে থাক। আর জেনে রেখ, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত।" (বাকারা, ২৬৭)

লক্ষ্য করুন, এখানে 'কাসাব' (উপার্জন) শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  এই আয়াতে আল্লাহ অর্থ-সম্পদ নিয়ে আমাদের মনোভাব ঠিক করে দিচ্ছেন। আল্লাহ এখানে বলছেন তোমাদের সম্পদ থেকে নয়, তোমাদের "উপার্জিত উত্তম সম্পদ" থেকে দান করো।

আল্লাহ এখানে একটি বিষয় তুলে ধরছেন। আল্লাহ চান আমরা যেন কঠোর পরিশ্রম করি এবং অর্থ উপার্জন করি এরপর দান করি। তখন আপনি পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। আপনাকে আগে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে টাকাটা আয় করার জন্য। টাকাটা এমনি এমনি আপনার হাতে এসে পড়েনি। কেউ কোটিপতির ঘরে জন্মগ্রহণ করলো। এরপর লক্ষ টাকার চেক দান করে দিলো। এ টাকা পাওয়ার জন্য তাদের পরিশ্রম করতে হয়নি। এটা তাদের জন্য বড় কোনো ব্যাপার নয়।

আল্লাহ চান আপনি যেন টাকাটা আয় করার জন্য পরিশ্রম করেন এরপর দান করেন।

এরপরের কিছু আয়াতে আল্লাহ সুদ নিয়ে কথা বলেছেন। সুদ উপার্জন করার জন্যে তো আপনাকে কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। এটা 'কাসাব' নয়।

তাই, এ আয়াতে তিনি আমাদের মনোভাব ঠিক করে দিচ্ছেন যে উপার্জনের ব্যাপারটা কিভাবে কাজ করার কথা।

এরপর তিনি বলেন- وَ مِمَّاۤ اَخۡرَجۡنَا لَکُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ - " এবং তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা উৎপন্ন করেছি তাত্থেকে ব্যয় কর।"

উলামারা এখানে মন্তব্য করেছেন- আমরা এখানে দুই ধরণের সম্পদের কথা জানছি। একটা আমাদের উপার্জিত সকল সম্পদ এবং আরেকটা কৃষি সম্পদ। কৃষি সম্পদ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন এ সম্পদ আমি জমিন থেকে বের করি। এখানে কৃষি সম্পদকে অন্যান্য সম্পদ থেকে পৃথক করে উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে খুবই সুন্দর একটি যৌথ কর্মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খুবই সুন্দর। এখন, কৃষক নিয়ে একটু চিন্তা করি। কৃষককে জমি তৈরী করতে হয়, ফসল ফলানোর উপযোগী করে মাটি সাজাতে হয়, পানি দিতে হয়--প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাই না? কিন্তু সবার শেষে কে জমিন থেকে চারাগাছ বের করে আনেন? আল্লাহ।

অন্য কথায়, সে তার কাজ না করলে আল্লাহ তার জন্য জমিন থেকে ফসল উৎপাদন করবেন না। তাকে তার কাজ করতে হবে। এরপর আল্লাহ তাকে দিবেন।

এটাই হলো কুরআনে রিজিকের ফর্মুলা। ফর্মুলাটা ভালো করে বুঝুন এবং আত্মস্থ করুন।

সমাজে দুইটা চরম চিন্তা প্রচলিত আছে। একদিকে মানুষ বলে- আমি চাকরি বাকরি খুঁজবো না। আল্লাহ আমাকে রিজিক দিবেন।
- "কেন তুমি চাকরির জন্য আবেদন করছো না?"
- "তুমি দেখবে আল্লাহ যখন দরজা খুলে দিবেন তখন এমনিতেই পেয়ে যাবো।"

ভালো করে শোন। আল্লাহ চান তুমি আবেদন করো। ইন্টারভিউ ফেস করো। আল্লাহ আকাশ থেকে তোমার মাথায় চাকরি ফেলে দিবে না। এভাবে চাকরি আসে না।

অন্যপ্রান্তে, মানুষ বলে- আমি চাকরি পেয়েছি কারণ আমি ডিগ্রি অর্জন করেছি। আমি ইন্টারভিউতে ভালো করেছি। আমার সব যোগ্যতা ছিল তাই আমি চাকরি পেয়েছি। আমি স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট করি। আমি অত্যন্ত যোগ্য। আমি আমি আমি।

আপনি যত পারেন জমিতে বীজ বপন করতে পারেন কিন্তু আল্লাহ যদি জমিন থেকে কোনো জীবন বের করে না আনেন, আপনার আমার পক্ষে কোনোদিনও মাটি থেকে জীবন বের করে আনা সম্ভব নয়।

অর্ধেক চেষ্টা আমাদের হাতে। বাকি অর্ধেক শুধু আল্লাহর মাধ্যমেই পূর্ণ করা সম্ভব। এই অর্ধেক অর্ধেক বুঝার চেষ্টা করুন। আপনি আপনার অর্ধেক না দিলে আল্লাহ আপনাকে আল্লাহর অর্ধেক দিবেন না। চেষ্টা না করে আল্লাহকে দোষ দিতে পারবেন না।

অনেক সময় মানুষ বলে- আমি দুই বছর যাবৎ চাকরি খুঁজছি। পাচ্ছি না। আল্লাহ দিচ্ছেন না।
আমি তখন জিজ্ঞেস করি- কি ধরণের চাকরি।
সে বলে- ইঞ্জিনিয়ারিং।     
- অন্য ধরণের কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন?
- না। আমি তো একজন ইঞ্জিনিয়ার।

আচ্ছা। সবার আগে- " আল মা-সি রাদিয়া বীমা রা-কিব।" মরুভূমিতে পায়ে চলা ব্যক্তি যে কোনো বাহন পেলেই খুশি হয়ে যায়। যদি দুই বছর যাবৎ চাকরি না পেয়ে থাকেন যান মেকানিক হোন। যান টায়ার চেঞ্জ করুন। যান কোনো দোকানে কাজ করুন।

যা সম্ভব করুন। আপনি বলছেন আল্লাহ রিজিকের দরজা খোলেননি। হ্যাঁ, আল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এর দরজা খোলেননি। কিন্তু অন্য অনেক চাকরি আপনার জন্য এখনো খোলা আছে। এখন পছন্দ-অপছন্দের সময় নয়।

হ্যাঁ, আদর্শ পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের পছন্দের সাবজেক্টে চাকরি পেতে চাই। কিন্তু সকল পরিস্থিতি তো আদর্শ পরিস্থিতি নয়।

আমাদের মূসা (আ) এর মনোভঙ্গি ধারণ করতে হবে। তিনি বলেছিলেন- "রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকির।" ও আমার রব! আপনি আমার পথে যে কল্যাণই প্রেরণ করেন না কেন আমি তার ফকির। আমি তার দ্বারা উপকৃত হতে পারি।


- নোমান আলী খান

Source: Collected from Social Media ...

14
Safety and durable immunogenicity of the TV005 tetravalent dengue vaccine, across serotypes and age groups, in dengue-endemic Bangladesh: a randomised, controlled trial

Article:
https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S1473309923005200?via%3Dihub#preview-section-snippets

15
গাড়ির যত্নে যে ৬টি টিপস আপনার জানা জরুরী 🍂
--------------------------------------------------------

১ |  ইঞ্জিনের তেল নিয়মিত বদলানঃ
ইঞ্জিন সুস্থ থাকে তেলের উপর নির্ভর করে। আর তাই আপনার ইঞ্জিনকে সচল রাখতে প্রতি ৩ মাস অন্তর অথবা ৩০০০ মাইল চালানোর পর গাড়ির তেল বদলাতে হবে।
কিন্তু কখনও কখনও এর বাইরেও কিছু কাজ করতে হয়। ঢাকা শহরের ধুলোবালিতে এবং জ্যামের মধ্যে চলা সব গাড়ির অবস্থায় অনেক নাজেহাল হয়ে যায়, তাই তেল স্বাভাবিক এর থেকে একটু বেশিবার বদলাতে হবে।
তেলের পাশাপাশি এর ফিল্টার, স্পার্ক প্লাগ এবং স্পার্ক প্লাগ ওয়্যার বদলানোর কাজটাও করতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর।


২ | ব্যাটারি নিয়মিত চেক করুনঃ

গাড়ি চালু করতে যে শক্তির প্রয়োজন তার পুরোটাই আসে এর ব্যাটারি থেকে। তাই গাড়িকে সচল রাখতে এর ব্যাটারিকে সচল রাখার কোনো বিকল্প নেই।
সবসময় খেয়াল রাখতে হবে ব্যাটারিকে পরিষ্কার রাখার দিকে এবং দেখতে হবে যেন এটি না কাঁপে।
ব্যাটারির পানির লেভেলও চেক করতে হবে নিয়মিত এবং একই সাথে সংযোগ স্থানে ঠিকভাবে সবকিছু সংযুক্ত যাচ্ছে কিনা সেদিকেও সতর্ক থাকা উচিত।

৩| এমিশন সিস্টেম এর পরিচর্যা করুনঃ
গাড়ির প্যাসেঞ্জার কেবিন, ইঞ্জিন সহ ভেতরের সবধরণের গ্যাস নিঃসৃত করার কাজটি করে থাকে গাড়ির এমিশন সিস্টেম।
গাড়ির নিচে থাকে এই অংশটি কিন্তু সবচেয়ে বেশি কষ্ট এই অংশটিকেই বহন করতে হয়। তাই প্রতিবছর অন্তত একবার গাড়ির এমিশন সিস্টেমটি এক্সপার্টদের দিয়ে চেক আপ করানো উচিত। 

৪ | ব্রেক সিস্টেমে খেয়াল রাখুনঃ
গাড়ি থামানোর কাজ ব্রেকের আর এই ব্রেক আসে ব্রেক প্যাডে হওয়া ঘর্ষণ থেকে। এই ব্রেকে একটু এদিক সেদিক হলেই ঘটে যেতে পারে বিশাল দুর্ঘটনা।
গাড়ির এই অংশটিতে কখন একজন মেকানিকের দৃষ্টি লাগবে তার কিছু লক্ষণ ব্রেক আগে থেকেই বোঝাতে শুরু করে।
যখন দেখবেন আপনার গাড়ির প্যাডেল স্পঞ্জের মতো আচরণ করছে তখনি বুঝে নেবেন আপনার হাইড্রোলিক সিস্টেমে বাতাস ঢুকেছে। এছাড়াও ব্রেকে লাল বাতির ওয়ার্নিং জ্বলা মানে আপনার ব্রেক সিস্টেমে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।

যখনই দেখবেন গাড়ি ব্রেক করলে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ হচ্ছে তখনি বুঝে নেবেন আপনার ব্রেক প্যাড বদল করার সময় হয়ে গেছে।

এসব ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে আপনার গাড়ির সাথে আসা ম্যানুয়াল পড়ে জেনে নিন কিভাবে আপনার ব্রেক সিস্টেমের যত্ন নেবেন এবং কত সময় অন্তর অন্তর তা চেক আপের জন্য এক্সপার্টদের কাছে নিয়ে যাবেন।

তবে বছরে অন্তত একটিবার গাড়ির ব্রেক সিস্টেম এক্সপার্টদের দ্বারা চেক আপ করিয়ে নেওয়াই ভালো।

৫ | গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের খেয়াল রাখুনঃ
গাড়ি চালানোর এক্সপেরিয়েন্স ভালো কিংবা মন্দ করার একটা বিশাল অংশ নির্ভর করে করে গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে।

গাড়ির ভেতরের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে নাকি গরম তার পুরোটারই দায়িত্ব থাকে এই অংশটির উপর।

গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম কাজ করে রেফ্রিজারেটরের মত। তাই যখনি দেখবেন গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা আপনার আশানরুপ থাকছে না, বুঝে নিন যে এর এয়ার কন্ডিশনিং ডিপার্টমেন্টে ঝামেলা হয়েছে।

তাই এমতাবস্থায় গাড়ির এক্সপার্টের শরণাপন্ন হওয়াই শ্রেয়।

৬ | গাড়ির কুলিং সিস্টেম চেক আপ করিয়ে নিন :
গাড়ির কুলিং সিস্টেমের কাজ হল গাড়ির ইঞ্জিনকে সুষ্ঠূ তাপমাত্রায় রাখা। তাই এই অংশটিকে নিয়মিত এক্সপার্টের কাছে দেখানো গাড়ির জন্য ভালো।

উপরের প্রত্যেকটি টিপস নিয়মিত অনুসরণ করলেই গাড়িকে সুস্থ রাখা এবং বড় ধরণের খরচের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

Collected from Social Media

Pages: [1] 2 3 ... 133