Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Tasnuva Anowar

Pages: [1] 2 3 4
1
Public Health / শীতে কানে তালা?
« on: January 11, 2015, 02:05:29 PM »
শীতে ঠান্ডা লেগে কানে তালা লাগতে পারে। মানে কান বন্ধ হয়ে থাকে, কিছু শোনা যায় না। কখনো কানে অস্বাভাবিক শব্দ হয়। কেন হয় এমন?
কানের সঙ্গে গলার সংযোগ রক্ষা করে অডিটরি টিউব। মধ্যকর্ণ ও আবহাওয়ার বায়ুর চাপের ভারসাম্য রক্ষা করে এই টিউব। টিউবটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে মধ্যকর্ণে প্রদাহ দেখা দেয়। এ কারণে কান বন্ধ মনে হয়। শিশু ও বয়স্ক, যাদের ঘন ঘন শ্বাসনালির প্রদাহ বা সংক্রমণ হয়, প্রায়ই অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ হয় ও এডিনয়েড বা টনসিলের সমস্যা আছে, তারা এতে বেশি ভোগে। সাধারণ সমস্যা হলেও এ থেকে মধ্যকর্ণে প্রদাহ, পুঁজ, এমনকি পর্দা ফুটো হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
কানে তালা লাগলে প্রদাহ কমানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ, প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। বয়স উপযোগী নাকের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। যাঁদের ঠান্ডার ধাঁচ ও অ্যালার্জি আছে, তাঁরা সহজে ঠান্ডা লাগাবেন না।

2
Public Health / রাতে ভালো ঘুমের জন্য
« on: January 11, 2015, 02:04:57 PM »
শরীরে নানা ধরনের ব্যথা বা সমস্যা থাকলে কীভাবে ঘুমাবেন? চিত, কাত নাকি উপুড় হয়ে? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জেনে নিন...
কাঁধে ব্যথা
কাঁধের যে পাশে ব্যথা, সেদিকে কাত হয়ে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন। চিত হয়ে ঘুমান। অথবা, অন্য পাশ ফিরে ঘুমালে বুকে একটা বড় বালিশ নিয়ে নিন। সেটির ওপর আরাম করে হাতটা ছড়িয়ে দিন|
পিঠে ব্যথা
চিত হয়ে শোয়ার আগে হাঁটুর পেছন দিকে একটি বালিশ ও পিঠের নিচে রাখুন গোল করে পাকানো একটি তোয়ালে|
পাশ ফিরে শোবার সময় দুই হাঁটুর মাঝখানে একটি বালিশ রাখতে পারেন। নিতম্ব ও হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্তদের জন্য এই ব্যবস্থা ভালো|
উপুড় হয়ে ঘুমানোর প্রয়োজনে আপনাকে অবশ্যই পেট ও কোমরের নিচে একটি বালিশ রেখে শুতে হবে|
পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস সবচেয়ে বেশি মানুষের মধ্যে দেখা যায়। ৫৭ ভাগ মানুষ রাতে ঘুমানোর শুরুতেই কাত অবস্থায় থাকে, ১৭ ভাগ চিত হয়ে শোয় আর ১১ ভাগ মানুষ উপুড় হয়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত। আর অন্যদের অধিকাংশই প্রতি রাতে ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গিতে ঘুমায়|
ঘাড়ে ব্যথা
ঘাড়কে আরামদায়ক অবস্থায় রাখার চেষ্টা করুন। উপুড় হয়ে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন। বেশি বালিশ ব্যবহার করলে ঘাড়ে চাপ পড়তে পারে। বালিশটিকে দুই কাঁধের ওপরে রাখুন। সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে ভাঁজ করা তোয়ালে ব্যবহার করা যেতে পারে|
নাক ডাকার সমস্যা
চিত বা উপুড় হয়ে শোয়া ভালো। এতে জিব বা গলার টিস্যুগুলো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয় না। চিত হওয়া এড়াতে কোমরের পেছনে পাজামার ভেতরে একটা টেনিস বল রেখে ঘুমাতে পারেন|
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স
বেশি বালিশ ব্যবহার করে উঁচু জায়গায় মাথা রেখে ঘুমাতে পারেন। অথবা পায়ের নিচে ইট রাখতে পারেন। না হলে পাশ ফিরে ঘুমান|
পায়ের পাতা ও তলায় ব্যথা
পায়ের পাতা ও গোড়ালিকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে ঘুমানো জরুরি। দৌড়াতে গিয়ে বা অসাবধানে পা ফেলে দেওয়ার ফলে পায়ের নিচের টিস্যুতে প্রদাহ হতে পারে। ব্যান্ডেজে খুব শক্ত করে পা বাঁধা ঠিক নয়|

3
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার দিয়ে ইন্টারনেটে কোনো কিছু পড়তে গেলে প্রায়ই সেখানে বিভিন্ন ভিডিওর দেখা মেলে। সমস্যা হলো, কোথাও ক্লিক না করলেও এসব ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে। এতে অযথা ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যায়। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চলমান এসব ভিডিওর বেশির ভাগই চলে শকওয়েভ ফ্ল্যাশ নামের একটি বিশেষ প্রোগ্রামে। এসব ফ্ল্যাশ ভিডিও পুরোটাই বন্ধ না করে বরং এগুলো চলার সময় যেন ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়ে চলে তার ব্যবস্থা করা যায়। কীভাবে কাজটা করবেন তা নিচে দেখানো হলো—
গুগল ক্রোম
গুগল ক্রোম ব্রাউজারের ক্ষেত্রে ওপরে ডান কোনায় থাকা মেনু আইকনে ক্লিক সেটিংস অপশন বাছাই করুন। নতুন যে পৃষ্ঠা আসবে তার নিচের দিকে Show advanced settings-এ ক্লিক করুন। একটু নিচে গিয়ে প্রাইভেসি অংশের Content settings বোতামে ক্লিক করতে হবে। নতুন উইন্ডো এলে Plug-ins অংশে Click to play অপশনটি নির্বাচন করে Done করুন। এর পর থেকে কোনো ফ্ল্যাশ ভিডিও থাকা বিষয়বস্তু ধূসর রঙের দেখা যাবে। সেখানে ক্লিক করলে তবেই ভিডিও চলবে।
ফায়ারফক্স
ব্রাউজারটি চালু করে ওপরে ডানের মেনু থেকে প্লাগ-ইনসে ক্লিক করুন। আবার ঠিকানা লেখার ঘরে about: addons লিখে এন্টার করে বাঁয়ে থাকা Plug-ins অংশে ক্লিক করতে পারেন। এবার ডানে থাকা তালিকা থেকে Shockwave Flash লেখাটি বের করুন। এর ডান পাশে থাকা মেনু থেকে Ask to Activate অপশনটি নির্বাচন করে দিন। এর পর থেকে কোনো ফ্ল্যাশ ভিডিও এলে ব্রাউজারে ওপরের দিকে একটি বার্তা দেখিয়ে চালু করার জন্য ব্যবহারকারীর অনুমতি চাইবে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার
ওপরের মেনুবার থেকে টুলস অপশনে ক্লিক করে Manage add-ons নির্বাচন করুন। এবার বাঁয়ের Toolbars and Extensions বাছাই করে Shockwave Flash Object অপশনে দুই ক্লিক করুন। নতুন একটি বাক্স এল। সেখান থেকে Remove all sites বোতামটিতে ক্লিক করুন। তারপর খোলা থাকা সব উইন্ডো বন্ধ করে দিন। ফ্ল্যাশ ভিডিওবিষয়ক কোনো বিষয়বস্তু থাকলে ব্রাউজারের নিচের দিকে একটি বার্তা দেখাবে।

4
একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালালে কম্পিউটার র‌্যাম নিজের মেমোরি ছাড়াও প্রয়োজনমতো হার্ডডিস্কের জায়গা ব্যবহার করে। এটাকে কম্পিউটারের ভার্চুয়াল মেমোরি বলে, যা সোয়্যাপ ফাইল নামেও পরিচিত। র‌্যামের নিজস্ব ধারণক্ষমতার বাইরে গেলেই অতিরিক্ত এই মেমোরির প্রয়োজন হয়। কিন্তু হার্ডড্রাইভ র‌্যামের তুলনায় ধীরগতির। ফলে ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে বেশি প্রোগ্রাম চালাতে পারলেও র‌্যামের মতো অতটা দ্রুতগতির হবে না।

কম্পিউটারে তথ্য ধারণের জন্য আছে হার্ডড্রাইভ আর মেমোরির জন্য আছে র‌্যাম। র‌্যামের গতি স্বাভাবিকভাবেই ড্রাইভ স্টোরেজের চেয়ে বেশি। র‌্যামের এই তথ্য ধারণক্ষমতা আবার স্থায়ীভাবে থাকে না। কম্পিউটার বন্ধ করলেই র‌্যামের সবকিছু মুছে যায়। যখন কোনো ফাইল সেভ করা হয়, তখন আসলে র‌্যাম থেকে সেটা ড্রাইভ স্টোরেজে কপি করা হয়। কোনো প্রোগ্রাম বা ফাইলের চালানোর জন্য যখন র‌্যামে পর্যাপ্ত কোনো জায়গা থাকে না, তখনই ভার্চুয়াল মেমোরির কাজ শুরু হয়। কোনো কারণে এই ভার্চুয়াল মেমোরি কম দেখালে নতুন র‌্যাম কেনা যেতে পারে অথবা সোয়্যাপ ফাইল বাড়িয়ে এ সমস্যাটা দূর করা যায়। প্রথমটার জন্য কিছু টাকা খরচ হবে, পরেরটা আবার কম্পিউটার গতি কিছুটা কমিয়ে ফেলে।

কম্পিউটারের ভার্চুয়াল মেমোরি পরিবর্তন করতে হলে ডেস্কটপে থাকা কম্পিউটার আইকনে ডান ক্লিক করে প্রোপার্টিজ নির্বাচন করুন। অথবা কিবোর্ডের উইন্ডোজ বোতাম চেপে তাতে system লিখে কন্ট্রোল প্যানেলের নিচে থাকা সিস্টেমে ক্লিক করুন। সিস্টেম উইন্ডো থেকে বাঁয়ের Advanced system settings অপশনটি বাছাই করুন। এবার  Advanced ট্যাবে ক্লিক করে নিচের Performance অংশের সেটিংস বোতামে ক্লিক করুন। এখান থেকে আবার Advanced ট্যাবে ক্লিক করে ভার্চুয়াল মেমোরি অংশের Change বোতামে ক্লিক করুন। তারপর Automatically manage paging file থেকে টিক উঠিয়ে নিচের System managed size নির্বাচন করুন অথবা কাস্টম সাইজে গিয়ে সর্বোচ্চের ঘরে র‌্যামের দ্বিগুণ ক্ষমতার কিছুটা কম এবং সর্বনিম্নের ঘরে অর্ধেক মান বসান। পাশের Set বোতামে ক্লিক করে খুলে রাখা সব কটি উইন্ডো ওকে করুন। কম্পিউটার বন্ধ করে আবার চালু বা রিস্টার্ট করার ডায়ালগ বক্স আসবে। কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন। এখন থেকে কম্পিউটার তার নিজের দরকারমতো ড্রাইভ স্টোরেজ থেকে ভার্চুয়াল মেমোরি নির্ধারণ করে নেবে।

5
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুগুলো মানুষের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে সুরক্ষার উপায় নিয়ে ভাবছেন মার্কিন গবেষকেরা। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলোর গতিপথ পাল্টে দিতে বা গ্রহাণুগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে নিউক্লিয়ার অস্ত্র প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন মার্কিন গবেষকেরা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে পিটিআই।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, ‘আমাদের ধারণার চেয়েও গ্রহাণুর আঘাতের প্রভাব মারাত্মক হবে। তাই গ্রহাণুকে ধ্বংস করে দেওয়া বা গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য নিউক্লিয়ার অস্ত্র নিয়ে আরও বেশি গবেষণা করা দরকার।’

সম্প্রতি সানফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বার্ষিক সভায় লস অ্যালামোসের গবেষক রকার্ট ওয়েভার এ-সংক্রান্ত নিবন্ধ জমা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিউক্লিয়ার বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষতিকর বস্তুগুলো দূর করার ক্ষেত্রে প্রভাবগুলো নিয়ে গবেষণা করা।’

ওয়েভার দাবি করেন, পৃথিবীতে কোনো গ্রহাণু আঘাত হানলে তা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে। পুরো শহর ধ্বংস হতে পারে কিংবা সুনামির মতো কোনো মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। এ ছাড়া বৈশ্বিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও রয়েছে।

২০১৩ সালে ছোট আকারের একটি গ্রহাণুর আঘাতেই রাশিয়ায় সাত হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও এক হাজার ৫০০ মানুষ আহত হয়েছিল।

6
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে আমাদের সৌরজগতের বাইরে আটটি নতুন গ্রহ শনাক্ত করেছেন। এদের মধ্যে দুটির গঠন-বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সঙ্গে অনেকটাই মেলে বলে তাঁরা দাবি করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২২৫তম সম্মেলনে নাসার ওই বিজ্ঞানীরা নতুন গ্রহগুলোর ব্যাপারে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সেগুলো নিজ নিজ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।
সৌরজগতের বাইরে মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশসমৃদ্ধ গ্রহের খোঁজে বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। নতুন আটটি গ্রহের মধ্যে দুটির পৃষ্ঠতল কঠিন এবং পাথুরে। আর তাদের অবস্থানও নিকটতম নক্ষত্র থেকে ততটাই দূরে, যতটা হলে পরিবেশ খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠান্ডা না হয় এবং তরল পানির প্রাপ্যতা এবং প্রাণের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।
কেপলার সায়েন্স অফিসের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফার্গ্যাল মুলালি বলেন, পৃথিবীর একটি ‘যমজ গ্রহ’ অনুসন্ধানের চেষ্টায় তাঁরা সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন।
নাসার গ্রহ অনুসন্ধানী কেপলার অভিযানে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্তত দেড় লাখ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কেপলার টেলিস্কোপের শনাক্ত করা হাজারতম গ্রহটির অস্তিত্ব যাচাই করে দেখেছেন। অচেনা এসব সৌরজগৎ ও গ্রহের ব্যাপারে গবেষকদের একটি বড় দল বাড়তি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা গ্রহগুলো কত বড় এবং নিজের নক্ষত্রের কতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে, ইত্যাদি জানার চেষ্টা করছেন।
নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন গ্রহগুলোর মধ্যে তিনটির অবস্থান সেগুলোর নক্ষত্র থেকে অনুকূল দূরত্বের মধ্যেই আছে। আর সেগুলোর মধ্যে দুটি পাথরের তৈরি, অনেকটা পৃথিবীর মতোই।
পৃথিবীর বাইরে একই রকম বৈশিষ্ট্যের কোনো গ্রহে মানুষের জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ পাওয়ার ধারণাটি সব সময়ই কৌতূহল তৈরি করে। এই সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি গ্রহের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করবেন। প্রথমটির নাম কেপলার-ফোরথার্টিএইটবি। এটি পৃথিবী থেকে ৪৭০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, নিজের নক্ষত্রকে প্রতি ৩৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। সেখানকার পৃষ্ঠতল পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় গ্রহটির নাম কেপলার-ফোরফোর্টিটুবি। এটির আকার পৃথিবীর চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ বেশি। পৃথিবী থেকে দূরত্ব ১ হাজার ১০০ আলোকবর্ষ। নিজের নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ১১২ দিন সময় নেয়। সেখানেও পাথুরে পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর দুটি গ্রহের তাপমাত্রাই পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে। হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক ডেভিড কিপিং বলেন, ওই দুটি গ্রহের মধ্যে কোনোটি সত্যি সত্যিই মানুষের বসবাসের উপযোগী কি না, এখনো নিশ্চিত নয়। শুধু বলা যায়, সে রকম সম্ভাবনা রয়েছে।
দূরবীক্ষণযন্ত্র বা টেলিস্কোপের সাহায্যে রাতের আকাশে অনুজ্জ্বল অনেক বিন্দু দেখা গেলেও সেগুলোর সবই যে গ্রহ, তা নয়। মুলালি বলেন, নতুন গ্রহগুলোর ব্যাপারে আরও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে হয়তো দেখা যাবে এর মধ্যে কোনো কোনোটি গ্রহ না-ও হতে পারে। এ জন্যই সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্পষ্টভাবে জানা জরুরি। আর মানুষের বসবাসের উপযোগিতা যাচাই করতে হলে দেখতে হবে এসব গ্রহে মহাসাগর ও মাছ আছে কি না, গাছপালা ও মহাদেশ আছে কি না। পাশাপাশি গ্রহগুলো নিজ নিজ নক্ষত্র থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাচ্ছে, সে ব্যাপারেও জানতে হবে।

7
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিকস পণ্যের প্রদর্শনী ‘কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস)’। প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গাব্যাপী আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে আগামীকাল ৯ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে অন্যবারের আয়োজনের মতোই এবারও প্রদর্শনীতে সর্বশেষ প্রযুক্তির নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
চলতি বছর এ প্রদর্শনী হচ্ছে ৪৭ বারের মতো। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এবারের প্রদর্শনীতে ২০ হাজারেরও বেশি নতুন প্রযুক্তিপণ্যের প্রদর্শন হতে পারে। বেশ কয়েকটি পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে ইসরাইলের একটি ‘স্টার্টআপ’ প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘স্টোরডট’ নামের বিশেষ মোবাইল ফোন চার্জার। এ চার্জারে সেকেন্ডের মধ্যেই স্মার্টফোন চার্জ করা যাবে বলে দাবি নির্মাতাদের। বলা হচ্ছে, একটি জুস নিয়ে সেটিতে স্ট্র দিয়ে বার দুয়েক পান করতেই হয়ে যাবে স্মার্টফোন চার্জ। এর আগেও এ ধরনের চার্জার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সেগুলো আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকায় আলোর মুখ দেখেনি। অন্য যেকোনো চার্জারের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ দ্রুতগতিতে চার্জ করবে স্টোরডট। শুধু স্মার্টফোনই নয়, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এমনকি পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যও এ চার্জার দিয়ে দ্রুতগতিতে চার্জ করা যাবে।
এ চার্জারটিতে চার্জ ধরে রাখা যাবে। তবে তাতেও খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে না বলেই দাবি নির্মাতাদের। একই সঙ্গে চার্জার এবং বহনযোগ্য চার্জার হিসেবে কাজ করবে স্টোরডট। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডরন মায়ার্সড্রপ জানান, ‘আমরা গ্রাহকদের স্মার্ট যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ‘চার্জ-এর বিষয়টি সহজ করতেই এ উদ্যোগ। তবে এখনো গ্রাহক পর্যায়ে এ চার্জারটি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।’ প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন আকারে এবং মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার (এমএএইচ) এককের হিসাবে এ চার্জার তৈরি করা হচ্ছে। যাতে করে গ্রাহক নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী চার্জারটি নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা।
বর্তমান সময়ের নানা ধরনের আধুনিক স্মার্ট যন্ত্রের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা চার্জ। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করছে খোদ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সমস্যাটির সমাধানেও কাজ করছে অনেকেই। তবে এবার ‘স্টোরডট’ সে সমস্যাটির সমাধান দেখিয়েছে।

8
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত এবারের কনজুমার ইলেকট্রনিকস শোতে চমক দিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্পপরিচিত প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেগাস। বাজারের নামীদামি স্মার্টফোন নির্মাতাদের পেছনে ফেলে সেগাস এমন একটি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে যাতে স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে ৩২০ গিগাবাইট পর্যন্ত।
সেগাসের তৈরি এই স্মার্টফোনটির নাম ‘ভি স্কয়ার’। অ্যান্ড্রয়েড–নির্ভর স্মার্টফোনটির অনবোর্ড মেমোরি ৬৪ গিগাবাইট আর এতে ১২৮ গিগাবাইটের দুটি মাইক্রোএসডি কার্ড সমর্থন করে। পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফুল এইডি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ২.৫ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর কোয়ালকম প্রসেসর, তিন গিগাবাইট র‍্যাম সুবিধা। স্মার্টফোনটির পেছনে থাকবে ২১ ও সামনে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। স্মার্টফোনটির ব্যাটারি হবে তিন হাজার ১০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের।
স্মার্টফোনটির বিশেষ ফিচারের মধ্যে আরও রয়েছে ৬০০ গিগাহার্টজ ওয়াই-ফাই ব্যান্ড সমর্থন, সামনে হারমান কার্ডন স্পিকার। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে শক্তিসাশ্রয়ী বিশেষ চিপ, যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাটারি খরচ কমাতে সক্ষম হবে। এর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ওয়্যারলেস চার্জিং ও নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন সুবিধা।
সেগাসের তৈরি এই ফোনটি নিয়ে এরই মধ্যে প্রযুক্তি বিশ্বে শোরগোল হয়েছে। এই ফোনটিকে ডাকা হচ্ছে ‘সুপার ফোন’ নামে। এই ফোনটির নকশার দিক থেকেও ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করতে পারবে। বুলেটপ্রুফ পোশাক তৈরিতে যে কোটিং ব্যবহার করা হয় ফোনটির পেছনের কাঠামো তৈরিতে সেই কেভলার কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়াও স্মার্টফোনটি পানিরোধী।
ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে এই ফোনটি সম্পর্কে লিখেছে ‘যোগাযোগের নতুন যুগের সূচনা’। এ ছাড়াও এই ফোনটিকে ‘স্বপ্নের ফোন’ বলেও প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন সাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবারের সিইএসে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিপণ্য হিসেবে ফোনটি প্রযুক্তি বিশ্লেষকেদেরও নজর কেড়েছে।
এ বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভি-স্কয়ার ফোনটি বাজারে ছাড়বে সেগাস। দাম? সেগাস জানিয়েছে, বাজারের গড় পড়তা হাই-এন্ড স্মার্টফোনের দামের চেয়ে (৪০০ থেকে ৬০০ ডলার) ১০০ মার্কিন ডলার কমেই বিক্রি হবে ভি স্কয়ার।

9
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা ও গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নিশান স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির গাড়ি তৈরির জন্য পাঁচ বছরের একটি চুক্তি করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ী, নিশানের স্বয়ংক্রিয় ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরিতে সহায়তা করবে নাসা।

নিশানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে তারা এমন গাড়ি তৈরি করবে, যার জন্য কোনো চালক প্রয়োজন হবে না এবং এ গাড়ি থেকে পরিবেশ দূষিত করে এমন কোনো উপাদান বা বর্জ্য উৎপন্ন হবে না। পৃথিবীতে চলার উপযোগী গাড়ি তৈরির পাশাপাশি মহাশূন্যে চালানো যায় এমন গাড়ি তৈরিতেও কাজ করবে নিশান। ক্যালিফোর্নিয়ার এমস রিসার্চ সেন্টারে নিশান ও নাসার তৈরি এই গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হবে।
নাসা ও নিশান এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিশানের সিলিকন ভ্যালির গবেষণা বিভাগে নাসার গবেষকেরা একসঙ্গে কাজ করবেন।
নিশান এরই মধ্যে এমন গাড়ি তৈরি করেছে যা নিজেই পথ চিনে চলতে পারে। স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতেই নাসা ও নিশান যৌথভাবে কাজ করবে। এ ছাড়া মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী রোবট রোভারেও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির একটি গাড়ি বাজারে আনতে পারে নিশান।
নিশানের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘নাসার রোবোটিক প্রযুক্তিবিদ ও আমাদের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে গড়া দলটি একত্রে কতদূর যেতে পারে, তা দেখতে চাই।’
ভবিষ্যতের গাড়ি যেমন হবে
কেমন হবে ভবিষ্যতের গাড়ি? চার চাকা, সর্বদা ইন্টারনেট সংযোগ আর চালকের বিশ্রাম নেওয়ার সুবিধা। গাড়ি ও প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে ভবিষ্যতের এমনই গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস) উপলক্ষে এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় গাড়ির দেখা মিলেছে।
কনজুমার ইলেকট্রনিকস শোতে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ গাড়ি ও উন্নত প্রযুক্তি সুবিধার গাড়ি চোখে পড়েছে, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে। সিইএসে এমনই একটি উচ্চাভিলাষী গাড়ি প্রদর্শন করছে জার্মানির গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ডেইমলার। বৈদ্যুতিক শক্তির মার্সিডিজ-বেঞ্জ এফ০১৫ নামের গাড়িটি চালকবিহীনভাবেই লাস ভেগাসের রাস্তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলেছে এবং দর্শকদের চমক দিয়েছে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এই গাড়িটিতে যে বুদ্ধিমত্তা যুক্ত হয়েছে তাতে গাড়িটি পথচারীকে সাহায্যও করতে পারে।
এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ডেইমলারের প্রধান ডায়েটার জেটসি বলেছেন, ‘আমরা আগেও স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরি নিয়ে কথা বলেছি। আমরা আগে দেখিয়েছিলাম যে, এ ধরনের গাড়ি বানাতে পারি এবং এ ধরনের প্রযুক্তি আমরা যুক্ত করতে পারি। কিন্তু এখন সেই প্রযুক্তির চেয়েও আমরা আরও এগিয়ে গেছি। এখন দেখাতে চাই, মোবিলিটি অনেকদূর যেতে পারে।’
জেটসি বলেন, ‘আমরা মানুষকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ফেরত দিতে চাই আর তা হচ্ছে সময় ও জায়গা। যাতে তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী সময় পার করতে পারে। তারা কাজ করতে পারে, চোখ বন্ধ করতে পারে, ভিডিও কনফারেন্স করতে পারে কিংবা ঘুমিয়েও যেতে পারে।’
গাড়ি ও প্রযুক্তি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটি লাস ভেগাসে এসে গাড়ির ভবিষ্যৎ​ কেমন হতে পারে এবং কী কী সম্ভব হতে পারে—তা দেখাচ্ছে কিন্তু এই প্রযুক্তিনির্ভর গাড়ির জন্য গ্রাহক এখনো প্রস্তুত কি না, সেটির কোনো ধারণা নেই।
যেখানে গুগলও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির গাড়ি তৈরি করছে, সেখানে অন্যান্য গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এই ক্ষেত্রটিতে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। বেশির ভাগ গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এখন স্বয়ংক্রিয় উপায়ে গাড়ি পার্কিং ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধী প্রযুক্তির দিকে নজর দিচ্ছে।
ফ্রান্সের গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভ্যালিওর ভাইস প্রেসিডেন্ট গুইলাম ডেভাউচিলি বলেন, ‘গ্রাহকেরা যেটা গ্রহণ করতে এখন প্রস্তুত আছে এবং যা কারিগরিভাবে করা সম্ভব, সেটা দিতে পারছি। পরিপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ভাবনাটি এখনো আতঙ্কের নাম। আমরা এখন গাড়ির বিভিন্ন ফাংশনে মানুষের আস্থা অর্জনে কাজ করছি। এ ধরনের ফাংশনগুলো অবশ্যই সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে আমাদের।’R
সিইএসে সাংবাদিকদের ক্রুজফরইউ প্রযুক্তি সুবিধার ভক্সওয়াগেন পাসাট গাড়িতে লাস ভেগাসের রাস্তায় ঘুরিয়েছে ভ্যালিও। এই প্রযুক্তিতে গাড়ির স্টিয়ারিংকে অটো পাইলট মোডে রাখা যায়, যাতে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে গাড়ির গতি বাড়ানো, ব্রেক কষা ও দুর্ঘটনা এড়ানোর মতো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
ভযালিও কর্মকর্তারা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় গাড়ির এই প্রযুক্তি ২০১৭ সাল নাগাদ গাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হবে। কিন্তু গাড়ি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হতে এই প্রযুক্তির আরও কয়েক প্রজন্ম লেগে যেতে পারে। কারণ আরও জটিল পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি উন্নত হতে হবে।
গাড়ি নির্মাতা অডি তাদের প্রটোটাইপ গাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের ৫৫০ মাইল রাস্তায় চালিয়ে দেখছে।
অডি আমেরিকার হাইওয়ে পাইলট প্রকল্পের পরিচালক ড্যানিয়েল লিপনিস্কিও স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রসর হতে সতর্ক থাকার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘স্বয়ংক্রিয় গাড়িগুলোতে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে চালক যথাসময়ে ঠিকভাবে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন।’
এদিকে গাড়ি নির্মাতা ফোর্ড তাদের আধা-স্বয়ংক্রিয় গাড়িগুলোর প্রচারে ব্যস্ত। তাদের গাড়িগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন চালক।
ফোর্ডের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা রাজ নায়ার বলেন, ‘আমরা আধা-স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরি ও বাজারে ছাড়তে প্রস্তুত, যাতে বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সেন্সর ব্যবহৃত হয়েছে। এতে জরুরি ব্রেক, গাড়ির গতি সমন্বয় কিংবা পার্কিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
স্বয়ংক্রিয় গাড়ির আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—সংযোগ সুবিধা। কিছু গাড়িতে শুধু স্মার্টফোন, ট্যাব আর ইন্টারনেটই নয়, বরং স্মার্টওয়াচ ও পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যও সমর্থন করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার চালিত স্মার্টওয়াচ উন্মুক্ত করেছে, যার সাহায্যে গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা ও বন্ধ করা যায়। এ ছাড়া গাড়ির দরজার তালা মারা বা খোলা, গাড়ির অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
এ ছাড়া বিএমডব্লিউ একটি সিস্টেম দেখিয়েছে, যাতে টিভি দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেওয়া যায়। ডায়েটার জেটসি বলেন, গাড়ির ক্ষেত্রে এই উদ্ভাবনগুলো স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র প্রয়াসের উদাহরণ মাত্র। আগামী দশক নাগাদ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চলবে রাস্তায়, যাতে চালকের কোনো দরকারই হবে না।

10
Life Science / Obesity may shorten life expectancy up to eight years
« on: December 10, 2014, 10:12:11 AM »
T is the season to indulge. However, restraint may be best, according to a new study led by investigators at the Research Institute of the McGill University Health Centre (RI-MUHC) and McGill University. The researchers examined the relationship between body weight and life expectancy. Their findings show that overweight and obese individuals have the potential to decrease life expectancy by up to 8 years. The study, published in the current issue of The Lancet Diabetes and Endocrinology, further demonstrates that when one considers that these individuals may also develop diabetes or cardiovascular disease earlier in life, this excess weight can rob them of nearly two decades of healthy life.
"In collaboration with researchers from the University of Calgary and the University of British Columbia our team has developed a computer model to help doctors and their patients better understand how excess body weight contributes to reduced life expectancy and premature development of heart disease and diabetes," says lead author Dr. Steven Grover, a Clinical Epidemiologist at the RI-MUHC and a Professor of Medicine at McGill University.
Diabetes and cardiovascular disease: the predictors of health
Dr. Grover and his colleagues used data from the National Health and Nutrition Examination Survey (from years 2003 to 2010) to develop a model that estimates the annual risk of diabetes and cardiovascular disease in adults with different body weights. This data from almost 4,000 individuals was also used to analyze the contribution of excess body weight to years of life lost and healthy years of life lost.
Their findings estimated that individuals who were very obese could lose up to 8 years of life, obese individuals could lose up to 6 years, and those who were overweight could lose up to three years. In addition, healthy life-years lost were two to four times higher for overweight and obese individuals compared to those who had a healthy weight, defined as 18.5-25 body mass index (BMI). The age at which the excess weight accumulated was an important factor and the worst outcomes were in those who gained their weight at earlier ages.
"The pattern is clear -- the more an individual weighs and the younger their age, the greater the effect on their health," Dr. Grover adds. "In terms of life-expectancy, we feel being overweight is as bad as cigarette smoking."
The next steps are to personalize this information in order to make it more relevant and compelling for patients. "What may be interesting for patients are the 'what if?' questions. What if they lose 10 to 15 pounds? Or, what if they are more active? How will this change the numbers?" says Dr. Grover. The research team is now conducting a three year study in community pharmacies across the country to see if engaging patients with this information and then offering them a web-based e-health program will help them adopt healthier lifestyles, including healthier diets and regular physical activity.
"These clinically meaningful models are useful for patients, and their healthcare professionals, to better appreciate the issues and the benefits of a healthier lifestyle, which we know is difficult for many of us to adopt and maintain, Dr. Grover adds.

11
Hert disease patients have been advised to avoid being outside during rush hour traffic in a paper published in European Heart Journal. The position paper on air pollution and cardiovascular disease was written by experts from the European Society of Cardiology and also recommends decreasing the use of fossil fuels.
Professor Robert F. Storey, corresponding author of the paper, said: "More than 3 million deaths worldwide are caused by air pollution each year. Air pollution ranks ninth among the modifiable disease risk factors, ahead of low physical activity, high sodium diet, high cholesterol and drug use."
He added: "There is now ample evidence that air pollution is associated with cardiovascular morbidity and mortality. It not only makes existing heart conditions worse but also contributes to development of the disease. Avoiding air pollution where possible may help to reduce cardiovascular risk and cardiologists should incorporate this information into lifestyle advice for their patients. We also need to increase pressure on policy makers to reduce levels of air pollution."
Up to one-third of Europeans who live in urban areas are exposed to air pollution levels above European Union (EU) standards. But using the more stringent science-based criteria from the World Health Organization (WHO), around 90% of Europeans are exposed to levels that are damaging to health.
The paper recommends the following actions to reduce exposure to air pollution:
• Travel by walking, cycling, and public transportation in preference to car or motorbike
• Avoid inefficient burning of biomass for domestic heating
• Avoid walking and cycling in streets with high traffic intensity, particularly during rush hour traffic
• Exercise in parks and gardens, but avoid major traffic roads
• Limit time spent outdoors during highly polluted periods, especially infants, elderly, and those with cardiorespiratory disorders
• Consider ventilation systems with filtration for homes in high pollution areas.
People with or at high risk of cardiovascular disease are particularly urged to follow this advice. They should also ensure that they take their prescribed medication for primary or secondary prevention of cardiovascular disease, which will help to combat the potential effects of air pollution exposure.
There is a two way interaction between air pollution and cardiovascular risk factors, state the authors. Obese people and those with diabetes may be at higher risk of the cardiovascular effects of pollution, while air pollutants may exacerbate and instigate the development of risk factors such as high blood pressure and impaired insulin sensitivity. The authors state: "The public health implications that air pollution might be a ubiquitous environmental risk factor for hypertension and diabetes are enormous."
The role of indoor air pollution should not be downplayed, warn the authors. Outdoor air pollution infiltrates buildings and most exposure typically occurs indoors. "Indoor air quality in homes, schools, working places and community sites is not a trivial problem in Europe," state the authors.
They point out that fossil fuels are a major source of air pollution and the major source of greenhouse gases: "Moving away from the use of fossil fuels for energy production will result in major benefits to human health, both from reduced exposure to air pollution and from mitigation of climate change."
Prof Storey said: "Policy makers have an important role to reduce outdoor pollution in order to limit indoor pollution where much of the exposure occurs. Apart from reducing their personal contributions to outdoor pollution, there is not much that individuals can do about this unless they invest in systems to filter the air they breathe indoors."
The paper adds that planning authorities should be encouraged or required to incentivise housing developments that are a reasonable distance from heavily congested roads and polluting industries.
Prof Storey concluded: "Air pollution should be considered one of the major modifiable risk factors to prevent and manage cardiovascular disease. Individuals, especially those with or at risk of cardiovascular disease, can take measures to reduce their exposure and doctors should include these in lifestyle advice. Policy makers urgently need to reduce levels of air pollution and this should be backed up by legislation."

12
রহস্যময় বামন গ্রহ প্লুটোর রহস্য ভেদ করার দ্বারপ্রান্তে নাসার বিজ্ঞানীরা। প্লুটো পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো নিউ হরাইজনস নভোযানটির ঘুম ভাঙছে আগামী মাসেই। এরপর টানা ছয় মাস প্লুটোকে পর্যবেক্ষণ করবে এই যানটি। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই প্লুটোর খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাবে নিউ হরাইজনস। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে আইএএনএস।

নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য প্লুটোর রহস্য জানার যে কর্মযজ্ঞ শুরু হতে যাচ্ছে, তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে।

নিউ হরাইজনস মিশনের পরিচালন ব্যবস্থাপক অ্যালিস বোম্যান জানিয়েছেন, ‘নিউ হরাইজনস যানটির সব ঠিকঠাক চলছে এবং গভীর মহাশূন্যের মধ্য দিয়ে নীরবে ছুটে যাচ্ছে। পৃথিবী থেকে ৩০০ কোটি মাইল দূরে পাড়ি দিচ্ছে এই নভোযানটি। বিশ্রামের পালা এবার শেষ হচ্ছে। এখন সময় এর জেগে ওঠার, কাজের। নিউ হরাইজনসের এখন ইতিহাস গড়ার সময়।’

২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করার পর থেকে এক হাজার ৮৭৩ দিন হাইবারনেশন বা শীতনিদ্রায় কেটেছে তার। টানা ৩৬ থেকে শুরু করে ২০২ দিন পর্যন্ত শীতনিদ্রায় রেখে মাঝে মাঝে তাকে জাগানো হয়েছে।


এই সময়ে এই নভোযানের কম্পিউটার সিস্টেমের কোনো শক্তি ক্ষয় হয়নি।

নিউ হরাইজনের প্রধান গবেষক অ্যালান স্টার্ন বলেন, ‘আমরা প্রায় প্লুটোর দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি। ৬ ডিসেম্বরে ঘুম ভাঙছে নিউ হরাইজনসের।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, ৭০ কোটি ডলার খরচ করে প্লুটো পর্যবেক্ষণের এই মিশন সফল হলে দীর্ঘদিনের রহস্যাবৃত প্লুটোর পর্দা উন্মোচিত হবে। ১৯৩০ সালের পর থেকে ছোট, অনুজ্জ্বল ও দূরের এই বামন গ্রহটি রহস্য তৈরি করে রেখেছে।

13
কোনো জালে আটকায় না তেমনই এক রহস্যময় কণা। সব পদার্থ ভেদ করে চলে যায়। মানুষের শরীরের মধ্য দিয়েও লাখ লাখ রহস্যময় কণা চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা টের পাচ্ছি না। এই কণার নাম নিউট্রিনো। কিন্তু কোথা থেকে আসছে তা?

আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে যে বিশাল ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে, সেখান থেকে উৎপন্ন হতে পারে রহস্যময় কণা নিউট্রিনো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউট্রিনো কণাকে রহস্যময় কণা বলা হয় এর বৈশিষ্ট্যের কারণেই। নিউট্রিনো নামের এই ক্ষুদ্র কণা হচ্ছে চার্জ নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ও প্রোটনের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্বলভাবে যোগাযোগ করে। বৈদ্যুতিক চার্জবিহীন, দুর্বল সক্রিয় ক্ষুদ্র পারমাণবিক এই কণা পদার্থের মধ্য দিয়ে অবিকৃতভাবে চলাচল করতে পারে।
গবেষকেরা মনে করেন, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এই কণার উৎস-রহস্য সমাধান করা গেলে দূরবর্তী অঞ্চলে সংঘটিত বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনার (যেমন: নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ও কৃষ্ণগহ্বর) ব্যাপারে নতুন নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে।
আলো কিংবা অন্য বৈদ্যুতিক আধানযুক্ত কণার সঙ্গে নিউট্রিনোর পার্থক্য হচ্ছে, এই কণা তার মহাশূন্যের গভীর থেকে উৎপন্ন হয়ে সারা বিশ্বে পরিভ্রমণ করে বেড়াতে পারে, কোনো বস্তু এই কণা শোষণ করতে পারে না। আমাদের শরীরের ভেতর দিয়েও লাখ লাখ নিউট্রিনো চলে যায়, কিন্তু সাধারণ অবস্থায় এই কণার উপস্থিতি আমরা টের পাই না।
এই উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রিনোর উৎস কী এবং কোথা থেকে আসে—সেই রহস্য জানতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসনের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়াং বাই জানিয়েছেন, উচ্চশক্তির নিউট্রিনোর উৎসের ধাঁধা অ্যাস্ট্রোফিজিকস বা জ্যোতির পদার্থবিদ্যার অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে আছে। আমরা প্রথমবারের মতো প্রমাণ পেয়েছি যে মহাজাগতিক একটি উৎস থেকে এই নিউট্রিনো উৎপন্ন হচ্ছে। আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা কৃষ্ণগহ্বর থেকেও আসতে পারে এই উচ্চ ক্ষমতার নিউট্রিনো।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের পৃথিবীতেও প্রতিনিয়ত সূর্য থেকে নিউট্রিনো নামের অতি শক্তিসম্পন্ন কণার বর্ষণ চলছে। আমাদের এই সৌরজগতের বাইরে থেকে আসা নিউট্রিনো আরও কোটি কোটি গুণ বেশি শক্তিসম্পন্ন হতে পারে। গবেষকেরা এই উচ্চশক্তির নিউট্রিনোর উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তাঁদের ধারণা, উচ্চশক্তির নিউট্রিনো অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক ঘটনার ফলে তৈরি হতে পারে। ছায়াপথের সংঘর্ষ ও একত্র হওয়া, বিশাল ব্ল্যাকহোলের মধ্যে নক্ষত্রের পতন পালসার তৈরির মতো ঘটনায় নিউট্রিনোর জন্ম হতে পারে।
অবশ্য বস্তুর মধ্য দিয়ে খুব সহজে নিউট্রিনো চলে যেতে পারে বলে এর উৎস খুঁজে বের করার শনাক্তকারী যন্ত্র নির্মাণ খুব কঠিন।
দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত আইসকিউব নিউট্রিনো অবজারভেটরিতে এখন পর্যন্ত ৩৬ ধরনের উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রিনো শনাক্ত করতে পেরেছেন গবেষকেরা। অ্যান্টার্কটিকার এই অবজারভেটরি ২০১০ সাল থেকে নিউট্রিনো শনাক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
গবেষণা-সংক্রান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘ফিজিক্যাল রিভিউ ডি’ সাময়িকীতে।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের এই গবেষণার ফলাফল অ্যাস্ট্রোফিজিকসের আরেকটি জটিল ধাঁধার সমাধান দিতে পারবে, বিশেষ করে উচ্চশক্তির মহাজাগতিক বিকিরণের উৎস বের করা সম্ভব হবে।

14
প্রতি ১০ হাজার নবজাতকের মধ্যে দুই থেকে পাঁচজন এই রোগ নিয়ে জন্মাতে পারে
পথেঘাটে প্রায়ই শরীরের তুলনায় অনেক বড় মাথাবিশিষ্ট শিশু দেখা যায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে সুচিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের শিশুকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ও ব্যবসা করতে দেখা যায় আমাদের দেশে; রয়েছে নানা কুসংস্কারও। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যার নাম হাইড্রোকেফালাস। ‘হাইড্রো’ অর্থ পানি আর ‘কেফালাস’ হলো মাথা। মস্তিষ্কে পানি জমে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আর প্রতি ১০ হাজার নবজাতকের মধ্যে দুই থেকে পাঁচজন এই রোগ নিয়ে জন্মাতে পারে।
কেন হয় মাথা মোটা?
আমাদের মস্তিষ্কের কেন্দ্রে রয়েছে কতগুলো গহ্বর বা ভেন্ট্রিকল, যেখান থেকে প্রতিদিন ৪৫০ সিসি পরিমাণ সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বা মস্তিষ্কের বিশেষ তরল তৈরি হয়। এর মধ্যে ৩০০ সিসি পানি নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হয়ে রক্তে মিশে যায় আর বাকি পানিটুকু মস্তিষ্কের ভেতর-বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যদি কোনো কারণে এই পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যায় বা অতিরিক্ত পানি তৈরি হতে থাকে, তখন তা জমে মাথা বড় হয়ে যায়। এই পানির চাপে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা পাতলা হয়ে যেতে থাকে।
যেসব কারণে পানি চলাচলের পথ সরু বা বন্ধ হতে পারে, সেগুলো হলো জন্মগত ত্রুটি, মাতৃগর্ভে থাকাকালে সংক্রমণ, মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী কোনো টিউমার, সিস্ট ইত্যাদি।
কখন সতর্ক হবেন?
শিশুদের মাথার বিজ্ঞানসম্মত মাপকে বলা হয় ওএফসি বা অক্সিপিটোফ্রন্টাল সারকামফেরেন্স। জন্মের পর এই ওএফসি থাকে ৩৭ সেন্টিমিটার, তিন বছরে ৫২ সেন্টিমিটার। এই মাপ অস্বাভাবিক বেশি হলে হাইড্রোকেফালাস হয়েছে বলে ভাবতে হবে। এ ছাড়া মাথার আলট্রাসনোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যান অথবা এমআরআই পরীক্ষাও লাগতে পারে। এ ধরনের শিশুদের একই সঙ্গে হদ্যন্ত্রের ত্রুটি ও পিঠের নিচে মেনিনগোসিল থাকে।
চিকিৎসা কী?
পানিপ্রবাহের বিকল্প ব্যবস্থা করা বা পানি বের করাই হলো মূল চিকিৎসা। এর জন্য দুই ধরনের পদ্ধতি আছে—ভিপি সান্ট অপারেশন ও এন্ডোসকোপিক থার্ড ভেন্ট্রিকুলোস্টমি। চিকিৎসা না করা হলে পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতা হতে পারে, যেমন: খিঁচুনি, বুদ্ধিবৃত্তি হ্রাস, স্নায়ু দুর্বলতা ইত্যাদি। ১৮ মাস বয়সের আগেই অথবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস বা মস্তিষ্ক ক্ষয় হয়ে যাওয়ার আগেই অস্ত্রোপচার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ
প্রসবকালে সুস্থতা, নিয়মিত চেকআপ ও নিরাপদ প্রসব এ ধরনের ত্রুটির সংখ্যা অনেকটাই কমাতে পারে। নবজাতকের সঠিক যত্ন, শিশুদের মেনিনজাইটিসের দ্রুত চিকিৎসা দরকার। সবচেয়ে বড় কথা, এ ধরনের অস্বাভাবিক আকৃতির মাথাসম্পন্ন শিশুকে নিয়ে কুসংস্কারে আক্রান্ত না হয়ে অতি দ্রুত বিশেষায়িত চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

15
ই-মেইলের ইনবক্সে প্রচুর বার্তা এসে জমা হচ্ছে? সেগুলো দেখতে দেখতে আপনি ক্লান্ত? ই-মেইলকে এখন বাড়তি চাপ মনে হয়? ব্যস্ত হবেন না। মানসিক চাপকমানোর প্রয়োজনে নিয়মিত ই-মেইল দেখা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে পারেন। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউবিসি) একদল গবেষক এই পরামর্শ দিয়েছেন।
ইউবিসির মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক কোস্তাদিন কুশলেভ বলেন, প্রায়ই ই-মেইল দেখার অভ্যাস যাঁদের নেই তাঁরা মানসিক চাপের মতো সমস্যায় কম ভোগেন। কী বার্তা এসেছে, তা দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মানসিক চাপ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
গবেষকেরা ১২৪ জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিনের ই-মেইল দেখার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেন। তাঁদের একটি অংশকে সপ্তাহের জন্য দিনে সর্বোচ্চ তিনবার ই-মেইল চেক করতে বলা হয়। বাকি অংশটি নিজেদের স্বাভাবিক নিয়মেই ই-মেইল চেক করেন।

Pages: [1] 2 3 4