Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - cmtanvir

Pages: [1] 2 3 ... 5
1
The learning elements are lecture note, video and slide share accessed over the use of electronic device and internet service in everywhere. Electronic learning system has been increasing popular learning system in higher educational institutions because of high growth of Information and Communication Technologies of Bangladesh Government. We are having the benefits of the development of information technology and networks, communications and multimedia which are directed to adopt the E-learning in Education. E-learning is undersigned to organize the usual classroom setting, but it is a new system for reciprocal action and intercommunication between the learner or student and instructor or teacher. The survey results reveal that students of Daffodil International University are fully quite happy with the system and practicing the Electronic learning system with updated features.
Study says that the acceptability of students from various e-learning platforms at the Daffodil International University The study also confirmed TAM as a useful theoretical model to test and explain the behavioral motives of the electronic learning platform of Daffodil International students University The results show that all the forms have a positive impact on the UEP. The Daffodil International University has been using various e-learning tools. To ensure maximum accuracy of the data, reliability and validity are examined through the examination. The result reveals that Daffodil International University students’ consider the e-learning platform useful and easy to use and they have an acceptable attitude. E-learning is an essential concept in the education system in Bangladesh, because the Internet is becoming more affordable and convenient today. However, to guarantee a high quality education, the university administration is also using various e-learning tools.

2
Thany You, Nice

3
ডায়াবেটিস এখন অত্যন্ত প্রচলিত একটি বিষয়। সব মানুষই এ বিষয়ে সাধারণ তথ্যগুলো জানেন। তার পরও এর চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন হচ্ছে। আজ ১৫ নভেম্বর, এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২২০৬তম পর্বে ডায়াবেটিসের চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেছেন স্কয়ার হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড ডায়াবেটিসের পরামর্শক ডা. জাহাঙ্গীর আলম।

প্রশ্ন : একজন মানুষকে কখন আপনারা ডায়াবেটিস রোগী বলছেন?

উত্তর : ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য এখন তিনটি পরীক্ষা প্রচলিত রয়েছে। একটি হচ্ছে, খালি পেটে রক্তের শর্করা ৭ দশমিক ১-এর ওপরে যদি থাকে। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সারা রাত খালি পেটে থাকতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে, যদি সুগার ১১-এর ওপরে থাকে। আর আরেকটি হলো এইচবিএওয়ানসি, অর্থাৎ তিন মাসের গড় যদি ৬ দশমিক ৫-এর ওপরে থাকে, তাহলে আমরা রোগীকে ডায়াবেটিস বলতে পারি। তবে এই প্রতিবেদনগুলো যখন দ্বান্দ্বিক হয়, তখন আমরা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাইয়ে দুই ঘণ্টা পর পরীক্ষা করে দেখি সুগারটা কত রয়েছে। একে জিটিটি বলা হয়।

প্রশ্ন : ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, আমরা জানি এটি বড় কোনো সমস্যা নয়। নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এটি অনেক সমস্যা তৈরি করে। নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনারা কী করেন?

উত্তর : প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার, ডায়াবেটিস হচ্ছে সারা জীবনের রোগ। এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তবে নিরাময়যোগ্য নয়। তাই প্রথমে জানতে হবে, ডায়াবেটিস আমার শরীর থেকে যাবে না। যদি ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তাহলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই, সে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। আমরা যদি মস্তিষ্কের কথা ধরি, আপনার যদি ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তাহলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মস্তিষ্কের রক্তের নালিগুলো চিকন হয়ে যাবে। অনেক জটিলতা হবে।

হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। চোখের অন্ধত্ব হতে পারে। এর পর কিডনি বিকল হতে পারে। পায়ের রক্তের নালিগুলো যখন চিকন হয়ে যায়, পায়ে পচন ধরবে। সুতরাং আমরা যদি ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখি, এই জটিলতাগুলো সাধারণত হয় না। অথবা হলেও দেরিতে হয়। এবং আমরা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারি।

ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রশ্ন : নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কী করেন?

উত্তর : নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়াবেটিসের চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনটি জিনিসের একসঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। একটি হচ্ছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। আমরা জানি, ডায়াবেটিস হচ্ছে মূলত শর্করার জাতীয় খাদ্যের বিপাকজনিত সমস্যা। এর সঙ্গে চর্বি ও প্রোটিনেরও সমস্যা থেকে যায়। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে কার্বোহাইড্রেটের। সুতরাং এখানে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের একটি বিষয় রয়েছে। শরীরের ওজন অনুযায়ী খাদ্যের তালিকা দিয়ে দিই। বলে দিই, এত কিলোক্যালরি আপনার খাওয়া উচিত। তবে একটি জিনিস বলে দিই, ডায়াবেটিস হওয়া মানে এই নয় যে আপনি উপোস থাকবেন। আসলে আপনার খাওয়াটা হবে শুধু একটা মাপের খাওয়া, নিয়ন্ত্রণের মধ্যে খাওয়া এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া। তবে অভুক্ত থাকা নয়। এর মধ্যে মিষ্টিজাতীয় যে খাবারগুলো আছে, সেগুলো আপনার স্বাদের তালিকা থেকে মুছে ফেলুন। যেসব খাবার মিষ্টি, সেগুলো পরিহার করার চেষ্টা করবেন।

দ্বিতীয়ত হচ্ছে, খাবারে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটগুলো পছন্দ করতে হবে। এদিকে সবজি ও মিনারেলজাতীয় খাবার যেগুলো আছে, এগুলোতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে চর্বিজাতীয় খাবারগুলো যথাসম্ভব কমিয়ে খেতে হবে। এটিও নির্ভর করে আপনার রক্তের কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য জটিলতার ওপরে।

এর পর রয়েছে ব্যায়াম। ব্যায়ামকে বলা হয় ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার লবণ। লবণ না দিলে যেমন খাবারে স্বাদ হয় না, তেমনি ব্যায়াম না করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয় না। এটাকে অনেকটা মহৌষধও বলতে পারেন। একজন ডায়াবেটিসের রোগীর যদি আমৃত্যু ব্যায়াম করার শক্তি থাকে, তাহলে সারা জীবন তাকে ব্যায়ামের মধ্যে থাকতে হবে।

ডায়াবেটিসের জন্য ব্যায়াম হলো দ্রুত হাঁটা। হাঁটা হতে হবে অন্তত দিনে ৩০ মিনিট। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন। প্রতি ১০ মিনিটে এক কিলোমিটার হাঁটতে হবে। প্রথম দিকে হয়তো একটু কষ্ট হবে। তবে হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন একসময় হয়ে গেছে। হাঁটা থামাবেন না।

প্রশ্ন : হাঁটার বেলায় অনেকে জানতে চান কখন হাঁটা ভালো?

উত্তর : আপনার যদি হৃদরোগ না থাকে, কোনো জটিলতা না থাকে, তাহলে হাঁটার বিষয়টি আপনি পছন্দ অনুসারে করে নিতে পারেন জীবনযাত্রার সঙ্গে। সকালেও হাঁটতে পারেন, বিকেলেও হাঁটতে পারেন। তবে অনেকের মধ্যে দ্বিধা থাকে, সকালবেলা হাঁটলে তো স্ট্রোক হবে বা হার্ট অ্যাটাক হবে। আসলে সেটি নয়। চিকিৎসকের কাছে আপনার শরীর অনুযায়ী একটু জিজ্ঞেস করে নেবেন, কোন সময়টি আপনার হাঁটার জন্য ভালো—সকালে নাকি বিকেলে? আর যাদের কোনো জটিলতা নেই, তারা যেকোনো সময় হাঁটতে পারে, যখন সময় বের করতে পারবে। তবে সকাল বা বিকেল দুটোর একটা বেছে নেওয়াই ভালো।

এ ছাড়া ব্যায়ামের আরো কিছু বিষয় আছে। অনেকে হয়তো বাইরে বেরোতে পারেন না। অথবা তার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে একটি ট্রেডমিল মেশিন কিনে নিতে পারে। সেই যন্ত্রে ছয় অথবা সাত বেগে আপনি ৩০ মিনিট হাঁটলেন। এ ছাড়া অনেকে জিমে ভর্তি থাকেন। তাঁরা সেখানে সাঁতার কাটতে পারেন। সাইকেল চালাতে পারেন। এ কয়েকটি ব্যায়াম সাধারণত ডায়াবেটিসের জন্য অত্যন্ত ভালো। আর যেগুলো ওয়েট লিফটিং, সেগুলো হলো ফিটনেস ব্যায়াম। সেগুলো ডায়াবেটিসের এতটা উপকার করে না।

প্রশ্ন : আমরা খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম নিয়ে জানলাম। এর পর ওষুধের বিষয়ে আপনারা কী করে থাকেন?

উত্তর : অনেকের হয়তো প্রথম দিকে দেখা যায় এই খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম দিয়ে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অনেক রকমের ওষুধ বাজারে প্রচলিত আছে। তবে যেসব ওষুধ বেশি ব্যবহার করে সালফোনাইলিউরিয়া। তবে এগুলো এখন উঠে যাচ্ছে। কেননা, এগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মেটফরমিন অনেক পুরোনো ওষুধ। এ ছাড়া জিএলপি অ্যানালগ, ফরডিপিপি, ইনহিবিটরস এগুলো এখন আশাপ্রদ ওষুধ। নতুন কিছু ওষুধ এসছে এসজিএলটিটু ইনহিবিটরস। এগুলো আমাদের বাজারেও চলে এসেছে। এগুলো ভালো। এগুলো মুখে খাওয়ার ওষুধের সঙ্গে আমরা যোগ করতে পারি। (যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)

প্রশ্ন : ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণেও নতুন কোনো পদ্ধতি আছে কী?

উত্তর : হ্যাঁ। এখন নতুন নতুন ইনসুলিন, বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন চলে এসেছে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি কাজ, মধ্যমমেয়াদি কাজ, স্বল্পমেয়াদি কাজের জন্য রয়েছে। ইনসুলিন দেওয়ার বিষয়েও নতুন একটি পদ্ধতি এসেছে। আপনি যদি বহু ডোজে ইনসুলিন নেন, যদি আপনার সুইয়ের ভয় থেকে যায়, আপনি যদি সহ্য করতে পারেন, তবে ইনসুলিন পাম্প চলে আসছে, সেটি ব্যবহার করতে পারেন। পাম্প লাগিয়ে সহজেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারবেন। পাম্পে সেটআপ থাকবে, কতটুকু করে ইনসুলিন যাবে। সুতরাং এটিও একটি নতুনত্ব। এটি আমরা রোগীদের দিচ্ছি। এতে অনেক উপকার হচ্ছে। যখন যেটুকু ঘাটতি, ততটুকুই শরীরে দেবে। সমস্যা হলো যে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া যখন হবে, তখন পাম্পটা এমনিতেই থেমে যায়।

এ ছাড়া গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতেও নতুনত্ব এসেছে। আমরা তো সাধারণত গ্লুকোমিটার দিয়ে তিন থেকে চারবার চেক করে থাকি। এখন নতুন পদ্ধতি রয়েছে নিয়মিত গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণ করার জন্য। ইনসুলিন দেওয়ার আগে আমরা ধারণা করে নিই, কীভাবে ইনসুলিন দেওয়া উচিত। আর আমরা এখন এগুলো অহরহ ব্যবহার করছি।

4
You need to know / Re: খনার বচন
« on: November 08, 2015, 10:05:00 AM »
good initiative,,,,,,,,

5
very nice & informative post

7
Bangladesh Civil Service-BCS / Re: At glance Bangladesh
« on: November 05, 2015, 03:02:06 PM »
nice & informative

8
Customer Relationship Management (CRM) in libraries is needed in this Modern Age. 

9
Library of DIU / Re: Why Need Change Management in the Libraries
« on: November 02, 2015, 10:37:46 AM »
The change of Library management system is the want of time

10
Library of DIU / Ranganathan’s Laws of Library Science.
« on: November 02, 2015, 10:26:53 AM »

Ranganathan1
1. Books are for use.
2. Every reader his [or her] book.  
3. Every book its reader.  
4. Save the time of the User.  
5. The library is a growing organism.  

Modern version by
Crawford & Gorman2
1. Libraries serve humanity.
2. Respect all forms by which knowledge is communicated.  
3. Use technology intelligently to enhance service.  
4. Protect free access to knowledge.  
5. Honor the past and create the future.  
Web version by

Alireza Nuruzi3
1. Web resources are for use.
2. Every user has his or her web resource.  
3. Every web resource its user.  
4. Save the time of the user.  
5. The Web is a growing organism.  

11
it is a serious moral exploitation,,,,,,

12
পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান আল কোরআন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতরা কিয়ামত পর্যন্ত পথ যাতে পথভ্রষ্ট্র না হয় সেকারণে মহান আল্লাহ তায়ালা নবীজী (সা.) এর উপর পুর্ণাঙ্গ কোরআন নাজিল করেছেন। কিন্তু আল কোরআনের লেখাগুলো আরবি ভাষায় হওয়ায় আমরা অনেকেই অর্থ বুঝতে পারি না। আবার বাংলায় বা স্ব স্ব মুসলমানদের নিজস্ব ভাষায় যেগুলোর অর্থ করা আছে, কোরআন পড়ার সময় অনেকেই আমরা অর্থ পড়িনা। আল কোরআনের অর্থ না বোঝার কারণে মূলত আমরা ১০টি জিনিস হারাচ্ছি।
 ১. আপনি হারাচ্ছেন অন্তরে দৃঢ়তা লাভের সুযোগ!
 ২. আপনি হারাচ্ছেন তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য!
 ৩. কুর’আন নাযিলের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন!
 ৪. আপনার মন হতে পারতো একটি সজ্জিত উদ্যান!
৫. আপনি হারাচ্ছেন রুগ্ন ও ব্যধিগ্রস্ত অন্তর থেকে আরোগ্য লাভের সুযোগ!
 ৬. প্রতিদিন সালাতে আল্লাহর সাথে কথোপকথনের সুযোগ হারাচ্ছেন!
৭. সরাসরি হেদায়াত ও পথ নির্দেশনা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন!
৮. কুর’আনের চোখে বিশ্ব দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন!
৯. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
১০. আপনার চরিত্র হতে পারতো আল-কুর’আন এর মত!

13

আগে ধারণা করা হতো, বেশি বয়সী ব্যক্তিরাই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। যদিও এখন সে ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স এখন আর সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বহু ব্যক্তিই ৩০ বা ৪০ বছর বয়সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সবারই। এ লেখায় রয়েছে স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কিছু পরামর্শ।
১. শারীরিক পরিশ্রম
আপনি যদি প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করেন তাহলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। তবে শুধু শারীরিক পরিশ্রমিই নয় এর ঝুঁকি পুরোপুরি দূর করার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত খাবার খাওয়া ও সুস্থ জীবনযাপন করা। আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বাড়বে। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হাইপারটেনশন ইত্যাদি থাকলেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়বে।
২. সঠিক খাদ্যাভ্যাস
অপরিমীত কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, উচ্চ লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার, জাংক ফুড হিসেবে পরিচিত খাবার, শিল্প কারখানায় প্রক্রিয়াজাত খাবার, উচ্চমাত্রায় তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি ত্যাগ করা উচিত। তার বদলে তাজা খাবার ও সবজি ও ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। এছাড়া দৈনিক পর্যাপ্ত (৮-১০ গ্লাস) পানি পান করা উচিত।
৩. স্ট্রোকের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
স্ট্রোকের কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, এগুলো জেনে রাখলে হঠাৎ এতে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। এগুলো হলো-
-হঠাৎ বিনা কারণে প্রচণ্ড মাথাব্যথা,
-হঠাৎ অসাড়তা, দুর্বলতা বা প্যারালাইসিসের লক্ষণ প্রকাশ। এতে আক্রান্ত হতে পারে মুখ, বাহু, পা কিংবা দেহের যে কোনো একটি অংশ,
-হঠাৎ চোখের দৃষ্টি কমে যাওয়া কিংবা দেখতে না পাওয়া। একটি চোখেও হতে পারে এ অবস্থা,
-হাঁটতে অসুবিধা হওয়া বা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হওয়া,
-কথাবার্তা অস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করা কিংবা একেবারেই বলতে না পারা,
- হঠাৎ অচেতন হওয়া।
এসব লক্ষণ দেখে যদি মনে হয় কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
৪. স্ট্রোকের কারণ জানুন
স্ট্রোকের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণের মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, ধূমপান, হাইপারটেনশন, উচ্চমাত্রায় কোলস্টেরল, মদ্যপান বা অ্যালকোহল গ্রহণ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও পারিবারিক ইতিহাস। এক্ষেত্রে স্থূলতার কারণে সবচেয়ে বেশি বা ৪৯ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে ধূমপানে ৪৬ শতাংশ ও হাইপারটেনশনের কারণে ৪০ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে এ কারণগুলোর অনেকগুলোই দূর করা যায়।

--টাইমস অব ইন্ডিয়া

14
আপনি কী জানেন,  রক্ত কেন লাল হয়? এটি লাল হয় হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিনের কারণে। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে ভালো রাখতে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা হতে পারে।

অস্থিমজ্জা রক্ত কোষ উৎপন্ন করে। তবে এই কোষ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায়। তাহলে কীভাবে রক্ত বৃদ্ধি পায়? জীবনযাপনের কিছু ধরন এবং কিছু খাবারের মাধ্যমে রক্তের লোহিত কণিকা বাড়ে, রক্ত ভালো থাকে। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে রক্ত ভালো রাখার কিছু উপায়ের কথা।   

১. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান

হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লাল মাংস, শাক, ডিম,পালং শাক, কচু ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। 

২. ফলিক এসিড

ভিটামিন বি৯ ও ফলিক এসিড লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। শরীরে এগুলোর চাহিদা পূরণে পালং শাক, বাদাম, ডাল, সিরিয়াল এগুলো খেতে পারেন।

৩. ভিটামিন বি ১২

ভিটামিন ১২ সমৃদ্ধ খাবার দাবার লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। মাছ, ডিম, গরুর মাংসের লিভার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার এই চাহিদা পূরণ করবে।

৪. সবুজ শাক

সবুজ শাকে রয়েছে আয়রণ, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই রক্ত ভালো রাখতে সবুজ শাকসবজি খান।

৫. কমলা

কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এসব উপকার পেতে নিয়মিত কমলা খান।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায় এবং শরীরে অক্সিজেন ভালোভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি।

৭. জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন

জীবন যাপনের কিছু বিষয় রক্তকে খারাপ করে দিতে পারে। যেমন- মদ্যপান লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে বাজে প্রভাব ফেলে। তাই রক্ত ভালো রাখতে এ ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকুন।

15
সাধারণত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই পেটের মেদজনিত জটিলতা আছে। বিশেষ করে সারা শরীরের তুলনায় পেটে মেদ জমে বেশি এবং অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে পেটের মেদ কমাতে সময় একটু বেশি লাগে। তবে নিয়মিত সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করতে পারলে পেটের মেদ দূর করা সম্ভব। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। একবারে পেট ভরে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে নিয়ে পাঁচ-ছয়বারে খাবেন। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি খাবেন। রাতের খাবার সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে অথবা ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। খাবার তালিকায় রাখতে হবে ফল, সবজি, লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, মুরগি, মাছ, লো ফ্যাট দুধ ইত্যাদি।

দ্রুত পেটের মেদ কমাতে চাইলে নিয়মিত করুন এই ব্যায়ামগুলো :

১. সিট আপ

কোনো একটি সমতল জায়গায় বা মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার পা দুটো ভাঁজ করে দিন। হাত থাকবে হাঁটু বরাবর সোজা, সামনের দিকে। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা সামনের দিকে উঠে বসুন। পা ভাঁজ অবস্থায় থাকবে। এবার আবার আগের অবস্থায় শুয়ে যান। বসা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকবেন না। উঠে আবার শুয়ে পড়বেন, আবার উঠে বসুন। এভাবে হবে একবার। আপনি এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন। এক মিনিট পরে ঠিক একই নিয়মে আবার শুরু করবেন। আবার ১২ বার করবেন। এভাবে ১২ বারে হবে এক সেট। আপনাকে এভাবে দুই সেট করতে হবে প্রাথমিক অবস্থায়। পরে সেট বাড়িয়ে তিন সেট করতে পারেন।

২. ক্রাঞ্চেস

সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো একটু ফাঁকা রেখে ভাঁজ করে দিন। হাত দুটো আপনার মাথার দুই পাশে অর্থাৎ কানের পেছনে রাখুন। এবার নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ওপরের দিকে উঠুন। খেয়াল রাখবেন মুখ দিয়ে ফুঁ দেওয়ার মতো করে নিশ্বাস ছাড়তে হবে এবং ঘাড়ে কোনো চাপ দেবেন না। আপনি মনোযোগ দেবেন আপনার পেটের মাংসপেশিতে। ঘাড় বাঁকা করবেন না। ঘাড় সোজা থাকবে এবং আপনি তাকিয়ে থাকবেন ওপরের দিকে অর্থাৎ সিলিংয়ের দিকে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে নিচের দিকে নামবেন, তবে পুরো মেঝেতে আপনার মাথা লেগে যাবে না; মেঝে থেকে আপনার মাথায় কিছুটা ফাঁক থাকবে। এভাবে আবার ওপরে উঠুন এবং নিচের দিকে ক্রাঞ্চ করে নামুন। খুব দ্রুতও করা যাবে না। মাঝারি একটা তালে করতে হবে। আপনি এভাবে মোট ১২ বার করবেন। ১২ বার হয়ে গেলে এক মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নেবেন। এবং এক মিনিট পরে ঠিক একই নিয়মে আবার শুরু করবেন। আবার ১২ বার করবেন। এভাবে ১২ বারে হবে এক সেট; এভাবে দুই সেট করতে হবে। আপনার পেটের মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারণের দিকে খেয়াল রাখুন।

৩. লেগ রেইস

সোজা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো জোড়া করে সোজা ৯০ ডিগ্রি ওপরে তুলে দিন। হাত দুটো সোজা পাশে থাকবে। এবার নিশ্বাস নিতে নিতে পা দুটো জোড়া অবস্থায় নিচে নামান। তবে পা দুটো মেঝেতে লেগে যাবে না। আপনার পায়ের সঙ্গে মেঝের কিছুটা দূরত্ব থাকবে। ওই অবস্থায় নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আবার পা দুটো ৯০ ডিগ্রি ওপরে তুলে দিন। আবার নিচে নামান। মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে লেগে থাকবে। এভাবে ১২ বার করে দুই সেট করুন। এই ব্যায়াম তলপেটের জন্য খুবই উপকারী।

৪. রাশিয়ান এবস টুইস্ট

পা দুটো সামনে সোজা করে দিয়ে বসে যান। এবার পা দুটো ভাঁজ করে পায়ের পাতা মেঝে থেকে একটু উঁচুতে নিয়ে যান। কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ একটু পেছন দিকে নিয়ে যান। এবং হাত দুটো নমস্কারের ভঙ্গিতে রেখে একবার ডানদিকে ঘুরে ডান কোমরের কাছে আবার বা দিকে ঘুরে বা কোমরের কাছে আনুন। এভাবে ১২ বার করে দুই সেট করবেন। এতে আপনার কোমরের পাশের মেদ এবং তল পেটের মেদ কমবে।

৫. প্লাংক

উপুড় হয়ে শুয়ে সামনে দুই হাত ভাঁজ করে কনুইয়ের ওপর এবং পায়ের টোয়ের ওপর ভর দিয়ে, একটু উঁচু হয়ে শরীরকে একটি সমান্তরাল অবস্থায় রাখতে হবে। এভাবে ঠিক এই অবস্থায় থাকুন ১০-১৫ সেকেন্ড। প্রথম দিকে ১০-১৫ সেকেন্ড থাকবেন। পরে আস্তে আস্তে সময় বাড়িয়ে ৪০-৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত করতে পারবেন। এভাবে একবার হলো। এভাবে করবেন দুই থেকে তিনবার। প্রতিবার করার পর একটু বিশ্রাম নেবেন। এতে আপনার পেটের সঙ্গে সঙ্গে পিঠ এবং হাতের মেদও কমবে।

এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করলে আপনি অবশ্যই খুব ভালো ফলাফল পাবেন। তবে মনে রাখবেন প্রতিদিন পেটের ব্যায়াম করবেন না। প্রাথমিক অবস্থায় একদিন পরপর করবেন। এতে ভালো ফল পাবেন। প্রথম এক থেকে দুদিন করার পর দেখবেন পেটে মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করবেন। এতে আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার ব্যায়ামগুলো কাজে লাগছে অর্থাৎ ফ্যাটসেলগুলো ভাঙতে শুরু করেছে। এভাবে দুই থেকে তিন মাস টানা করলে ভালো ফল পাবেন। এবং দুই থেকে তিন মাস পরে আবার অন্য ব্যায়াম নির্বাচন করতে হবে। কারণ একই ব্যায়াম বেশি দিন ধরে করতে থাকলে আর কাজে দিতে চায় না।

সবশেষে মনে রাখতে হবে যে ব্যায়ামের পাশাপাশি খাবারের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এই ব্যায়াম করলে  ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। চিনি ও চিনিজাতীয় খাবার এবং পানীয় দূরে রাখুন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন একেবারে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস করুন।

লেখক : ফারজানা খানম শিমুল, চিফ ইনস্ট্রাকটর, পারসোনা হেলথ

Pages: [1] 2 3 ... 5