Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md.Anwar Hossen

Pages: [1]
1
এখন থেকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় একাডেমিক লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন। এ বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর  হয়েছে। গত ২০ জুন ডিআইইউ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের ই-ব্যাংকিং বাণিজ্য বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কামরুজ্জামান তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইউসুফ এম ইসলাম।

2

বাংলাদেশীর 'বিনে পয়সার' এসি, বিশ্বে তোলপাড় [ভিডিও]
[বাংলাদেশীর 'বিনে পয়সার' এসি, বিশ্বে তোলপাড় [ভিডিও]]
বিদ্যুৎবিহীন শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি বানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশী উদ্ভাবক আশীষ পাল।

স্রেফ ফেলে দেয়া বোতলকে কাজে লাগিয়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার দুর্দান্ত এক কৌশল উদ্ভাবন করেছেন তিনি।

বাতাস শীতল করার এই যন্ত্রটির নাম দেয়া হয়েছে 'ইকো-কুলার' বা পরিবেশবান্ধব কুলার। খবর ইয়াহু নিউজের।

গ্রামের সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন এই কুলার ব্যবহার করে ঘরের তাপ কমাতে পারেন স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত।

বিজ্ঞান অন্তঃপ্রাণ মানুষ আশীষ পাল পেশায় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রের ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মাথাতেই প্রথম বাসা বাঁধে 'ইকো-কুলার' তৈরির আইডিয়া।

এই প্রযুক্তি গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়ার জন্য পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। আশীষ পালসহ ১৫ জনের একটি দল নীলফামারী জেলার একটি গ্রামে যান। এবার গ্রের সঙ্গে যুক্ত হয় গ্রামীণ-ইন্টেল।

তারপর দুই প্রতিষ্ঠান মিলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মাপাড়ের একটি গ্রাম বেছে নেয়। এখন সেই গ্রামের বিভিন্ন ঘরে চলছে যন্ত্রটি বসানোর কাজ।
নীলফামারী ডোমার উপজেলার ঘরে ঘরে এখন চলছে বিনে পয়সার এসি


নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বড়গাছা গ্রামের পীযূষ কুমার রায় বলেন, 'আমি কয়েক মাস ধরে ইকো-কুলার ব্যবহার করছি। বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে ঘর বেশ ঠাণ্ডা রাখে যন্ত্রটি।'

উদ্ভাবক আশীষ পাল জানান, কয়েক বছর আগে তিনি ভারতের রাজস্থানের এক 'হাওয়া মহলে' ঘুরতে গিয়েছিলেন। সে মহলের একটি ব্যাপার তাকে খুব ভাবিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মহলের ঘুলঘুলি দিয়ে বাতাস ঢুকে কীভাবে ভেতরটা ঠাণ্ডা করে, সে সময়ে তার বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা তিনি খুঁজে পাননি। তবে তখন থেকেই বিষয়টি তার মাথায় ঘুরতে থাকে।



প্রতিদিনের ব্যস্ততায় দিন কাটে। বিষয়টি নিয়ে আর বেশি দূর এগোনো হয় না আশীষ পালের। তবে একদিনের এক ছোট ঘটনা এনে দেয় আলোর সন্ধান।

একদিন বাসায় তার মেয়েকে পদার্থ বিজ্ঞান পড়াচ্ছিলেন এক শিক্ষক। চাপের ফলে গ্যাস কিভাবে শীতল হয়, এই বিষয় নিয়েই তিনি কথা বলছিলেন।

বিষয়টি তাকে দারুণ উৎসাহী করে তোলে। এতদিন ধরে যে বিষয় নিয়ে ভাবছিলেন, তার অনেকটা উত্তর পেয়ে যান আশীষ পাল।

আশীষ তার ভাবনার কথা বলেন প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সঙ্গে। এজন্য অফিসেই বানানো হয় টিনের তৈরি ঘরের কাঠামো। তারপর পরীক্ষা চালানো হয় কতটা কার্যকর তা বোঝার জন্য।

তারপর তারা রাজধানীর নিকেতন হাউজিং সোসাইটির একটি বাসার ছাদেও উদ্ভাবনের নানা দিক নিয়ে কাজ করলেন।  সেখানে পাওয়া সাফল্যের সূত্র ধরেই তারা 'ইকো-কুলার' প্রকল্পের পথে এগোলেন। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার বাড়িতে এই ইকো-কুলার লাগানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আশীষ পালের এই অভিনব উদ্ভাবন। ফরাসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ফ্রান্স ২৪-এর রয়েছে ফরাসি, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রচারিত তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল।

টেলিভিশন সম্প্রচারের পাশাপাশি তিন ভাষাতেই রয়েছে তাদের ওয়েবপোর্টাল। সেখানে বিশ্বের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতামত প্রকাশের ওয়েবসাইট 'অবজার্ভার'।

২ জুন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব কুলার উদ্ভাবনের খবর। শুধু ফরাসি এই সংবাদমাধ্যমেই নয়, ইকো-কুলার বানানোর পদ্ধতি নিয়ে তৈরি করা ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব আর ইকো-কুলারের ওয়েবসাইটের http://www.eco-cooler. com/ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। আর এ পর্যন্ত এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৮ লাখের বেশিবার।

3
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির সব বইয়ের দাম আবারও বাড়ছে। তিন বছরের মাথায় ফের উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের দাম বাড়ানোর এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকাশকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বাজার যাচাই শুরু করেছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বাজারে বইয়ের দাম বৃদ্ধির গুঞ্জনে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

বইয়ের দাম বৃদ্ধির পক্ষে প্রকাশকরা কয়েকটি যুক্তি দিয়েছেন। সূত্র মতে,এরমধ্যে তিন বছর আগের তুলনায় কাগজ, কালিসহ মুদ্রণ উপকরণের দাম, শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদির বিল বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন। এদিকে এনসিটিবির শীর্ষ কর্মকর্তারাও প্রকাশকদের এসব যুক্তি ইতিবাচকই দেখছেন। যে কারণে বইয়ের দাম বৃদ্ধির পক্ষে তারা। প্রকাশকরা আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কত টাকা বাড়ানো হবে তা নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন বইয়ের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে ১০ মে এনসিটিবিকে চিঠি দেন। এতে বলা হয়, ‘তিন বছর আগে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র বই অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। তখন এসব বইয়ের দাম কম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এতে প্রকাশকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবুও প্রকাশকরা জাতির স্বার্থে বইগুলো বাজারজাত করেন। সময়ের পরিক্রমায় জীবনযাত্রার মান বিবেচনা করে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কারণে সব ব্যয় বৃদ্ধির ফলে বর্তমান মূল্যে বই প্রকাশ ও বাজারজাতকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে।’

বাপুস পরিচালক শ্যামল পাল বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা প্রতিটি বইয়ের দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। এনসিটিবি অনুমোদন দিলে বর্ধিত দামসহ বই ছেপে বাজারে ছাড়ব।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মোট পাঠ্যবই আছে ৩৩ বিষয়ের। এরমধ্যে ৩০ বিষয়ের বই বেসরকারি প্রকাশকরা নিজেদের লেখক দিয়ে লিখে এনসিটিবি থেকে অনুমোদন নেয়। এনসিটিবি এসব বইয়ের দামও নির্ধারণ করে দেয়। এরপর এসব বই প্রকাশকরা বাজারজাত করে। এখন এই ৩০টি বইয়েরই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর এসএসসি পাস করেছে ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ শিক্ষার্থী- যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। এছাড়া গত বছর একাদশে ভর্তি হয়েছে ১২ লাখের বেশি, যারা এখন দ্বিতীয় বর্ষে উঠবে। সেই হিসাবে ৩০টি বিষয়ের মোট ৬০টি বইয়ের ক্রেতা অন্তত ২৭ লাখ শিক্ষার্থী। যদি প্রতিটি বইয়ের দাম গড়ে ৪০ টাকা করেও বাড়ানো হয়, তাহলে এ খাতে অন্তত সোয়া ৩শ’ কোটি টাকা বেশি আদায় হবে। এসব টাকা ছাত্রছাত্রী বা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে যাবে প্রকাশকদের পকেটে।

শুধু বেসরকারি খাতের বই-ই নয়, এনসিটিবির তত্ত্বাবধানে থাকা ৩ বইয়ের দাম বাড়ানোর কূটকৌশলও চলছে। এ তিনটি বই হচ্ছে- বাংলা সাহিত্য, বাংলা সহপাঠ এবং ইংরেজি প্রথমপত্র। এসব বইয়ের মুদ্রণ ও বাজারজাত কাজ দিতে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। ২৫ মে শেষ দিন টেন্ডার বক্স খুলে দেখা যায়, মাত্র ১টি সিডিউল জমা পড়েছে। অথচ ২০টি লটের জন্য ১১৩টি সিডিউল বিক্রি হয়েছিল। ওই দিন এনসিটিবির কর্মকর্তা এবং কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই কারণে টেন্ডারে সারা মিলেনি। একটি হচ্ছে- আগের বছরের তুলনায় বইয়ের রয়্যালটি, পারফরমেন্স গ্যারান্টি এবং বিটমানির হার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বইয়ের দাম বাড়ানো হয়নি। অর্থাৎ, এই তিন বইয়ের ক্ষেত্রেও পরোক্ষভাবে দাম বাড়ানোর চাপ সৃষ্টি করেছেন প্রকাশক ও মুদ্রাকররা। অথচ দু’বছর আগেও এ তিন বইয়ের দাম বাড়ানো হয়েছিল।

২০১৪ সালের জুনের আগে বাংলা বইয়ের দাম ছিল ৪৫ টাকা। এটা ১২৬ শতাংশ দাম বাড়িয়ে রাখা হয়েছে ১০২ টাকা। ইংরেজি বইয়ের দাম ছিল ৬৮ টাকা, যা বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হয়। বাংলা সহপাঠের মূল্য ৪৭ টাকা। এটির দাম আগে কম ছিল। এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ তিন বইয়ের বাজারজাত কার্যক্রম ২০১৪ সালের আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাজারজাতে নানা জটিলতা ও লোকসানের কারণে ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষ থেকে অফারিং পদ্ধতিতে (ছেপে বাজারজাত করার জন্য বেসরকারি প্রকাশকদের আহ্বান জানিয়ে চুক্তি করা) ১৫ প্রকাশকের মাধ্যমে বাজারজাত করছে। এখন যদি দাম বাড়ানো না হয়, তাহলে নকল বইয়ে বাজার সয়লাব হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার রাজস্ব হারাবে। এভাবে এ তিন বইয়ের ক্ষেত্রে এনসিটিবি জিম্মি দশায় পড়েছে।

এদিকে বাজারে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির সকল বইয়ের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। একজন উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো: নজরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, বিনা কারণেই যখন দেশে সকল কিছুর মূল্য চড়া তার ওপর বইয়ের দাম বাড়ার অর্থ হল মরার উপর খারার ঘাঁ।

এদিকে আবু সামী নামে আরেক অভিভাবক বলেন, বাজেটে শিক্ষা খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও শিক্ষা উপকরণে মূল্য বৃদ্ধির কোন কারণ থাকতে পারে না।

4


মানব শরীরে ভিটামিন সি -এর ঘাটতি সাধারণত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষরাই ভিটামিন সি এর স্বল্পতায় ভুগে থাকেন। কাজেই শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে এই ভিটামিনটি অপরিহার্য। এটি অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলো থেকে একবারেই আলাদা। আমাদের শরীর নিজে নিজেই এটি উৎপাদন করতে পারে না। কেবল খাবার থেকেই আমরা ভিটামিন সি পেয়ে থাকি। কাজেই সুস্থ থাকতে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো রাখা উচিত।

গবেষকরা বলেন, ভিটামিন সি এর অভাবে স্বাস্থের গুরুতর কোন ক্ষতি হতে পারে। এর অভাবে দুর্বলতা, ওজন অত্যধিক কমে যাওয়া এবং স্কার্ভি রোগ হতে পারে। কাজেই শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটাতে তারা প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

জেনে নিন কোন কোন খাবারে পাবেন ভিটামিন সি-

লাল মরিচ
ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎসগুলোর মধ্যে লাল মরিচ  অন্যতম। শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা মেটাতে দৈনিক ১০০ গ্রাম মরিচ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

পেয়ারা
গবেষকদের মতে, পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। একটি পেয়ারায় কমপক্ষে ২০০ এমজির মতো ভিটামিন সি রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটি ভালো কাজ করে।

কিউই
যারা ভিটামিন সি এব অভাবে ভোগেন তাদের এই খাবারটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

ব্রকলি
সবুজ সবজি ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, মিনারেল এবং খনিজ বিশেষ করে ভিটামিন সি রয়েছে। মাত্র ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে ৮৯.২ এমজি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কাজেই ভিটামিন সি এর অভাব পূরণে প্রতিদিন ব্রকলি খাওয়ার বিকল্প নেই।

কমলা
ভিটামিন সি-এর আরেকটি সমৃদ্ধ উৎস হলো কমলা। নিয়মিত কমলা খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হয়। সেইসঙ্গে অন্য সাইট্রাস ফল বিশেষ করে লেবু এবং আঙ্গুরও খেতে পারেন।

পেঁপে
পেঁপেতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। প্রতিদিন মাত্র একটি পেঁপে খেলেই শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হয়।

স্ট্রবেরি
শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণে সুপার খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্ট্রবেরি। দিনের যে কোন সময় মাত্র কয়েকটি স্ট্রবেরি খেলেই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।

5
Nutrition and Food Engineering / Our bodies information
« on: November 26, 2014, 04:40:15 PM »
ভাত খাবার পর’ যা করতে মানা

পৃথিবীর কমপক্ষে তিনশ কোটি মানুষের প্রধান
খাবার ভাত ৷ বাংলাদেশীদেরও প্রধান খাবারও এই ভাত।
স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর কিছু কাজ হতে বিরত থাকার
পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিজেকে সুস্থ্য
রাখতে মেনে চলুন ওই পাঁচ পরামর্শ।

১. খাবার শেষের পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে কোন
ফল খাবেন না। এতে গ্যাসট্রিকের
সমস্যা হতে পারে। ভাত খাওয়ার এক থেকে দুই
ঘন্টা পর, কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন।
২. ধুমপান করবেন না।
আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও
যতটুকু না ক্ষতি হয়, ভাত খাবার পর একটি সিগারেট
বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক
বেশী ক্ষতি করবে আপনার শরীরের। ভাত খাবার
পর একটা সিগারেট খাওয়া আর
সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির বিবেচনায়
সমান বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৩. চা খাবেন না। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক
এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০
গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম
হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময়
লাগে।
৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না।
খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর
ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি)
থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর
নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে,
পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও
হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের
সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ
বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই
কোমরের বাধন লুজ করে নিতে পারেন।
৫. স্নান বা গোসল করবেন না। ভাত খাবার পরপরই স্নান
করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়।
ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ
কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল
করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময়
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।

Pages: [1]