Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - arifsheikh

Pages: [1] 2 3 4
1
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করছে। কেউ কেউ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাপক মাত্রায় পর্যবেক্ষণ করছে। কেউ মুঠোফোন অ্যাপ দিয়ে মানুষকে করোনা রোগীর কাছাকাছি যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করছে। কেউ ড্রোনে থার্মাল স্ক্যানার বসিয়ে চলাচলরত মানুষের জ্বর মাপছে। বিভিন্ন দেশে খাবার ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে ড্রোন অথবা রোবট। মানুষ মুখে মাস্ক পরছে কি না, তা–ও তদারকি করা হচ্ছে ড্রোন দিয়ে।

করোনা প্রতিরোধযুদ্ধে বাংলাদেশেও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, তবে তা সীমিত পর্যায়ে। বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বাংলাদেশেও ডিজিটাল ম্যাপিং করা হচ্ছে, তবে মাঠপর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। একটি অ্যাপ তৈরি হয়েছে, যার কোনো প্রচার নেই। জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন ও টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাও দেওয়া হচ্ছে, তবে তা–ও সীমিত পর্যায়ে।


চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এআইভিত্তিক ডায়াগনসিস সেবা বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে, যদিও ব্যবহার শুরু হয়নি। মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা সাধারণ মানুষের জন্য একটি সেবা চালু করতে চেয়েছিল, যেখানে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ বা করোনা আক্রান্ত অথবা উপসর্গধারী কারও কাছে গেলে মুঠোফোনে সতর্কতার বার্তা পাওয়া যেত। অবশ্য সেবাটি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায়।


জানতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু উদাহরণ দেন। এর মধ্যে রয়েছে করোনা নিয়ে ওয়েবসাইট, করোনা প্রাথমিক পরীক্ষার ওয়েবসাইট ও হেল্প লাইন চালু, শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইনে পড়াশোনা, ভেন্টিলেটর তৈরির উদ্যোগ, করোনার পরিস্থিতি নিয়ে ম্যাপিং করার উদ্যোগ ইত্যাদি। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, লাইভকরোনাটেস্টডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটে কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে করোনার প্রাথমিক পরীক্ষা করিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। মোবাইল অপারেটর ও মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৬ লাখের বেশি মানুষের তথ্য সংগৃহীত হয়েছে।


জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, করোনা সংক্রমণের এ সময়ে আইসিটির ব্যবহার আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

অবশ্য অন্যান্য দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দেখলে বাংলাদেশের ব্যবহার সীমিত মনে হবে। যদিও বাংলাদেশের কাছে অনেক প্রযুক্তিই ছিল।

দেশে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি
চীনের কিছু শহরে এখন পাতাল রেলে চলাচল করতে নাগরিকদের তাঁদের স্মার্টফোন দেখাতে হয়। কেউ ট্রেনে উঠতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে ফোনের পর্দায় থাকা সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের সংকেতের ওপর। সবুজ মানে হলো, ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস সংক্রমণ নেই। কোনো লক্ষণও ছিল না। হলুদ মানে হলো, ব্যক্তিটি কোনো আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন, কোয়ারেন্টিন শেষ করেননি। লাল আরও বিপজ্জনক, করোনায় আক্রান্ত অথবা কোনো লক্ষণ ছিল।

দেশের বিকাশ-রকেটের মতো মুঠোফোনভিত্তিক আর্থিক সেবার (এমএফএস) চীনা অ্যাপ আলি পে ডাউনলোড করে তাতে একটি ফরম পূরণ করলে নাগরিকেরা জানতে পারেন তাঁদের সংকেত কোনটি—সবুজ, হলুদ, না লাল। চীনা সরকার পুরো পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা দিয়ে নানাভাবে সংগৃহীত বিপুল তথ্য বা বিগ ডেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে লাল-সবুজ নির্ধারণ করে।
যদিও এতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু করোনাভাইরাসজনিত লকডাউন তুলে নেওয়ার পর সংক্রমণ রোধ করতে এই ব্যবস্থা কাজে দিচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

চীনের বিভিন্ন প্রদেশে ড্রোনে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করে জ্বর থাকা মানুষ শনাক্ত করা, রোবট দিয়ে জীবাণুনাশক ছিটানো, খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি পুলিশ বিশেষ ধরনের হেলমেট ব্যবহার করছে, যা জ্বর আক্রান্ত কেউ আশপাশে এলে শনাক্ত করে।

দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রত্যেক বিদেশফেরত নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে। এ ছাড়া কোরীয় সরকার মোবাইল কোম্পানির তথ্য, ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ এআই দিয়ে বিশ্লেষণ করে কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্তের কাছাকাছি গিয়েছিলেন কি না, তা শনাক্ত করেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ১৮ মার্চের এক প্রতিবেদনে এশিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহারের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে সরকার বিগ ডেটা ব‌্যবহার করে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করেছে। সেখানে রোবট মানুষের বাসায় খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে দেয়। ভিয়েতনাম দেশীয় ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল অ্যাপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ বা ট্র্যাক করছে। থাইল্যান্ডও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাপকমাত্রায় পর্যবেক্ষণ করছে।

পাশের দেশ ভারত আরোগ্য সেতু নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে। নানা সুবিধার মধ্যে এর বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি ব্যবহারকারীর আশপাশে কোনো করোনা রোগী আছে কি না, তা জানিয়ে দেয়। আবার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করার বিষয়েও ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে এই অ্যাপ। চালুর ১৩ দিনে এটি ৫ কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

বিগ ডেটা ও এআই দেশেই
বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা গেলে সাধারণ মানুষকে ১৬২৬৩ ও ৩৩৩ নম্বরে ফোন করতে বলছে সরকার। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) হটলাইন নম্বরেও ফোন আসছে।

বিভিন্ন নম্বরে আসা কলগুলো বিশ্লেষণ করে সরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছে। যেমন গত ২ এপ্রিল অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অনীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আগের ১০ দিনে করোনার বিষয়ে জানাতে ৩ লাখ ৭০ হাজার ইউনিক কল আসে।

করোনা নিয়ে একটি ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির জন্য সরকার এ উদ্যোগ নেয়। এর সঙ্গে সরকারের এটুআই প্রকল্প, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোবাইল অপারেটরদের সংযুক্ত করা হয়।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত মহামারি মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তা করার জন্য এটুআই ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টায় রবি একটি শক্তিশালী ডেটা অ্যানালিটিকস সিস্টেম গঠন করেছে। এর মাধ্যমে বিপুল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে, যা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে কাজে লাগছে।

গ্রাহক পর্যায়ে অ্যালার্ট সার্ভিস বা সতর্ক করার সেবার অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী অপারেটরেরা। রবির সাহেদ আলম বলেন, ‘শিগগিরই ডেটা অ্যানালিটিকস সল্যুশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যবহার উপযোগী বেশ কিছু সেবা আমরা যুক্ত করবে। এটা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি, আশা করা যায় এ সেবাগুলো করোনা প্রতিরোধে গ্রাহকদের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন নম্বরে (১৬২৬৩) এখন দিনে ৭০ হাজারের বেশি কল আসে।
স্বাস্থ্য বাতায়নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব কল যাঁরা করেন আমরা তাঁদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রাখি। সেখান থেকে প্রতিদিন একটা পরিস্থিতি প্রতিবেদন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়। এখন দেখা যাচ্ছে ৩৫টি জেলা থেকে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর কল বেশি আসছে।’

নিজাম উদ্দিন আহমেদ আরও জানান, স্বাস্থ্য বাতায়ন একটি অ্যাপ তৈরি করছে, যেখানে চিকিৎসকেরা স্বপ্রণোদিত নিবন্ধন করবেন। রোগীরা ওই অ্যাপ ব্যবহার করে পছন্দের চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন। এটি শিগগিরই চালু হবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ফোনে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এখন কী করা যায়
বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে যখন বিদেশ থেকে মানুষ আসতে শুরু করে, তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা যেত টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কোরিয়া এ কাজটিই করেছে। দেশটির প্রত্যেক বিদেশফেরত নাগরিককে দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে মুঠোফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়েছে। যেখানে পরবর্তী ১৪ দিনে তাঁদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানাতে হয়েছে।

বাংলাদেশে বিদেশফেরতদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেল অনেক যাত্রীর তথ্যই কাগজে রয়ে গেছে। ডিজিটাল তথ্যভান্ডার তৈরি হয়নি। পরে শুধু পাসপোর্টে থাকা মুঠোফোন নম্বরের ভিত্তিতে কোন এলাকায় বিদেশফেরত বেশি, তার একটা ম্যাপিং করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির তিন মিটারের মধ্যে কতজন এসেছেন, সেটা বের করার প্রযুক্তি দেশেই আছে। এভাবে খুঁজে বের করে পরীক্ষা করলে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অবশ্য এ জন্য বিপুলসংখ্যক নমুনা সংগ্রহকারী ও পরীক্ষার কিট দরকার। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের কার্ড ও মুঠোফোনে আর্থিক সেবার মাধ্যমে করা যায়। শ্রমিকদের মজুরিও দেওয়া যায় বিকাশ-রকেট, নগদের মতো সেবার মাধ্যমে।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ কতটুকু জানতে চাইলে আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগ গবেষণা সংস্থা লার্নএশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদেশফেরতদের নজরদারিতে রাখার প্রথম সুযোগটি আমরা হারিয়েছি। তাঁদের শুধু একটি করে মুঠোফোনের সিম দিয়ে সেটা চালু রাখার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা গেলেই নজরদারিতে রাখা যেত। তিনি বলেন, দেশের সব ওষুধের দোকানের তালিকা সরকারের কাছে আছে। এখন গুগল ম্যাপে সেটা অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এরপর সেখানে কারা যাচ্ছে, হাসপাতালে কারা যাচ্ছে, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নম্বরে কারা ফোন করছে এ সবকিছু মিলিয়ে একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে।

আবু সাঈদ খান বলেন, শুধু করোনা নিয়ে নয়, বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে একটি ডেটা অ্যানালিটিকস ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেটা হবে সরকারের বড় সম্পদ। এটার মালিকানা ও নিরাপত্তা পুরোপরি সরকারের হাতে থাকতে হবে।

অবশ্য সমস্যা হলো দেশে ব্যবস্থাপনার বড় অভাব। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর বিদেশ থেকে যখন মানুষ আসছিল, তখন দেখা গেল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের দুটিই নষ্ট।

Link: https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1651739/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87

2
কম্পিউটারের কিবোর্ডের অক্ষরগুলো অবিন্যাস্ত বা অগোছালো থাকে কেন? আসলে ‌কম্পিউটারের কিবোর্ড টাইপরাইটারের কিবোর্ডের অক্ষর বিন্যাসের মতোই। ১৮৭৪ সালে সেই বিন্যাস তৈরি করেছিলেন ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলস। যা শুরু হয় Q–W–E–R–T–Y, এই ছয়টি অক্ষর দিয়ে। ওই অক্ষর বিন্যাসকে সেই সময়ে বলা হত রেমিংটন ওয়ান। ক্রিস্টোফার বলেছিলেন, কিবোর্ডের অক্ষর বিন্যাসের উপর নির্ভর করে টাইপরাইটারে লেখার স্পিড কেমন হবে।

কম্পিউটার প্রথম তৈরি হয়েছিল উনিশ শতকে। নির্মাতা বিখ্যাত গণিতজ্ঞ চার্লস ব্যাবেজ। তিনি যে কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন, তা আকারে অনেক বড় ছিল। কাজের ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাতে। তারপর থেকে নানারকম পরিবর্তন এসেছে কম্পিউটারের গঠনে, ব্যবহারে। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে যত ছোট হয়েছে, তত তাতে কাজের গতি বেড়েছে।

কিন্তু বাড়ি বা অফিসে কাজের কম্পিউটারগুলোতে এখনও ক্রিস্টোফারের তৈরি অক্ষর বিন্যাস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ– A-B-C-D পাশাপাশি থাকলে, লেখার ক্ষেত্রে আমাদের খুব সমস্যা হত। আমাদের হাতের আঙুল ব্যথা হয়ে যেত কাজ করতে করতে। অক্ষর বিন্যাস এলোমেলো বলেই আমরা অনেকক্ষণ ধরে কাজ করতে পারি। বেশিরভাগ সময়ে ভাওয়েল কন্সোন্যান্ট পাশাপাশি রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পিড বাড়াতে আর লেখার ক্লান্তি দূর করতেই মূলত অক্ষরগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকে।

3
ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য থেকে তৈরি হবে জাপান অলিম্পিকের মেডেল

জাপানে ২০২০ সালে আয়োজিত হবে অলিম্পিক এবং প্যারা-অলিম্পিক। আর এই দুটি ইভেন্টের সব মেডেল ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে। ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করার জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আয়োজকদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে ২০১৭ সালে একটি প্রকল্প চালু হয়। এই বর্জ্য সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় পুরনো স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

উদ্দেশ্য ছিল ৩০ দশমিক ৩ কেজি সোনা, ৪ হাজার ১০০ কেজি সিলভার এবং ২ হাজার ৭০০ কেজি ব্রোঞ্জ সংগ্রহ করা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মার্চেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন তারা।

অবশ্য ব্রোঞ্জের লক্ষ্য গত জুনেই পূরণ হয়। পাশাপাশি অক্টোবরে সোনার লক্ষ্য ৯০ শতাংশ এবং সিলভারের লক্ষ্য ৮৫ শতাংশ পূরণ হয়। জানা গেছে, এসব পুরনো ধাতু জাপানের নাগরিক এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শেষের দিকে মেডেলের ডিজাইন প্রকাশ করবে টোকিও কর্তৃপক্ষ। তখন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

Source : http://www.banglatribune.com/tech-and-gadget/news/416523/%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0

4
ফল বিশেষত আপেলে রয়েছে প্যাক্টিন নামক এক ধরনের ডেটক্সিফাইং উপাদান, যা মাথাব্যথা কমায়। এছাড়া প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন— চিকেন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। মুরগির মাংসে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক থাকে। তাই শীতকালীন অসুস্থতায় এটি ট্রিটমেন্টের কাজ করে

শীত বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের প্রকোপও। যারা প্রায় সারা বছরই ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগেন, তারা এ শীতকালে একটু বেশিই ধকল পোহান। কারণ ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থতার মধ্যে মাথাব্যথা অন্যতম একটি সমস্যা। আবহাওয়া ও তাপমাত্রার পরিবর্তন ও সর্দি শীতকালে মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। থাকছে শীতকালে মাথাব্যথার কিছু সমাধানের কথা—

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

সঠিক খাবার, যেমন— শাকসবজি, ফল খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে বিশেষত আপেলে রয়েছে প্যাক্টিন নামক এক ধরণের ডেটক্সিফাইং উপাদান, যা মাথাব্যথা কমায়। এছাড়া প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন— চিকেন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। মুরগির মাংসে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক থাকে। তাই শীতকালীন অসুস্থতায় এটি ট্রিটমেন্টের কাজ করে।

ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডির ঘাটতি ডেকে আনতে পারে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিজ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অস্টিওপরোসিস ও মানসিক অবসাদ। বিষয় হচ্ছে, মানসিক অবসাদ হুটহাট মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের কারণ। চর্বিতে দ্রবণীয় এ ভিটামিনটি পাবেন সয়ামিল্ক, কড লিভার অয়েল, টুনা ফিশ ইত্যাদিতে।

ডিহাইড্রেশন এড়িয়ে চলুন

মাথাব্যথা প্রতিরোধে দিনে প্রচুর পানি ও লিকুইড গ্রহণ করুন। আমাদের মস্তিষ্কে ৭৫ ভাগই পানি। যখন পানি সরবরাহ কমে যায়, তখন মস্তিষ্ক হিস্টামিন উত্পন্ন করে। এ হিস্টামিন ব্যথা ও ক্লান্তির কারণ। তবে ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ পানীয় ও সফটড্রিংক এড়িয়ে চলতে হবে। তবে গ্রিন টি খেতে পারেন। এটি ঠাণ্ডা ও ফ্লুর ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।

5
Food / সুস্থতার জন্য খেজুর
« on: December 06, 2018, 07:10:15 PM »
সুস্বাদু খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন। এতে রয়েছে ফাইবার, উপকারী তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে এবং আরও নানা ধরনের খনিজ উপাদান। এসব উপাদান সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। হঠাৎ ক্ষুধা লাগলে স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন খেজুর। জেনে নিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা।

খেজুরে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানা ধরনের উপকারী উপাদান। এসব উপাদান মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন সি এবং ডি পাওয়া যায় খেজুর থেকে। এই দুই ভিটামিন ত্বক টানটান ও সুন্দর রাখে।
ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে ‘এল ডি এল’ বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে খেজুরে। ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে বদহজমের পাশাপাশি অন্যান্য পেটের অসুখ ভালো হয়।
নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে।
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে চাইলে খেজুর খেতে পারেন। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি চনমনে করে শরীর।
প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় খেজুর থেকে যা রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
খেজুর প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। বেশকিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রযেছে এতে। ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

6
Fruit / লিচুর ভালোমন্দ
« on: June 20, 2018, 03:16:28 PM »
রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি
লিচুতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ভিটামিন সি অন্যতম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। লিচু খেলে আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এছাড়া গরমের সময় দেহে যেসব রোগের আশঙ্কা থাকে, সেসব প্রতিরোধেও লিচু কার্যকর।

পেটের জন্য উপকারি
লিচুতে আছে পর্যাপ্ত  ইবার। হজম হওয়া থেকে শুরু করে বর্জ্য অপসারণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া মসৃণ করে এ ফলের ফাইবার। কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় অনায়াসে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ
লিচুতে রয়েছে পলিফেনোলিক এবং প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন্স উপাদান। এগুলো কিন্তু দেহের বিষাক্ত উপাদান সরাতে ভিটামিন সি-এর চেয়েও শক্তিশালী। এসব বিষাক্ত উপাদান দেহে ক্যান্সারের সৃষ্টি করে।

রক্তচাপ ও রক্তপ্রবাহে সহায়ক
লিচুতে রয়েছে কপার। আরেকটি খনিজ, যা রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। এছাড়া পটাসিয়ামের এক আধার লিচু। অর্থাৎ, এ খনিজ দেহে তরলের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা সামলাতে ভূমিকা রাখে। এটি শুধু সুষ্ঠু বিপাকক্রিয়ার জন্যই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।

খালি পেটে লিচু নয়

খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবে না বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন। এতে এমনকি শিশু মৃত্যুর কারণ হতে পারে। লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামে একটি রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরি রোধ করে। খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খেয়ে ফেললে শিশুদের শরীরে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত কমে গিয়ে তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

খালি পেটে অনেকগুলো লিচু খেয়ে ফেললে শরীরে যে বিষ তৈরি হয়, তার ফলে শিশুদের হঠাৎ খিঁচুনি আর বমি শুরু হয়। তারপরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে তারা। এভাবে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে শিশুকে খালিপেটে লিচু দেওয়া যাবে না।

ডায়াবেটিসে সাবধান
লিচুতে প্রচুর চিনি থাকায় যাদের ডায়াবেটিক রয়েছে তাদের হিসাব করেই খেতে হবে। তবে অল্প খেতে বাধা নেই।

7
যোগ্যতা ও পরিপূর্ণ শর্ত মোতাবেক কোনো লোক পাওয়া না গেলে উপস্থিত লোকদের মধ্যে যোগ্যতা ও আমানতদারি তথা সততার দিক
দিয়ে যে সবচেয়ে অগ্রবর্তী
হবে, তাকেই অগ্রাধিকার
দিতে হবে

শিরোনামোক্ত বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা-সমালোচনা, আন্দোলন, ধরপাকড় চলছে। ফলে বিষয়টি সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিকোণ জানতে অনেকেই আগ্রহী। আমরা মনে করি, আমাদের সরকার, জনগণের বৃহত্তর অংশ, যারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন বা যাদের কাছে দাবিদাওয়া পেশ করা হচ্ছেÑ সবাই এ সম্পর্কে ধর্মীয় নির্দেশনাকে সম্মান ও মূল্যায়নের চেষ্টা করবেন। আমাদের এ পর্যালোচনার পেছনে মূল লক্ষ্য কারও হক যেন নষ্ট না হয়, আবার কোনো সিদ্ধান্তের কারণে দেশের একজন মানুষও যেন তার ন্যায্য অধিকারবঞ্চিত না হয়, তার জন্য ইসলামের সিদ্ধান্ত জানা।
পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘আমানত’ তার হকদারদের প্রত্যর্পণ করতে। তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচারকাজ পরিচালনা করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ্ তোমাদের যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা নিসা : ৫৮)।
আয়াতটি নাজিলের বিশেষ প্রেক্ষিত হলো, ‘ইসলামপূর্বকালেও কাবাঘরের সেবাকে এক বিশেষ মর্যাদার কাজ মনে করা হতো। খানায়ে কাবার বিশেষ কোনো খেদমতের জন্য যারা নির্বাচিত হতো, তারা গোটা সমাজ তথা জাতির মাঝে সম্মানিত ও বিশিষ্ট বলে পরিগণিত হতো। সেজন্যই বায়তুল্লাহর বিশেষ বিশেষ খেদমত বিভিন্ন লোকের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হতো। জাহিলিয়াত আমল থেকেই হজের মৌসুমে হাজীদের ‘জমজম’ কূপের পানি পান করানোর সেবা মহানবী (সা.) এর চাচা হজরত আব্বাস (রা.) এর ওপর ন্যস্ত ছিল। একে বলা হতো ‘সাকায়া’। এভাবে অন্য আরও কিছু সেবার দায়িত্ব হুজুর (সা.) এর চাচা আবু তালেবের ওপর এবং কাবাঘরের চাবি নিজের কাছে রাখা এবং নির্ধারিত সময়ে তা খুলে দেওয়া ও বন্ধ করার দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহার ওপর।’ (তফসির : মা’আরিফুল কোরআন : খ--২, পৃ-৪০৩, ইফা)।
মক্কা বিজয়ের পর পূর্বাপর ঘটনাপ্রবাহের একপর্যায়ে ‘কাবা শরিফ’ খুলে দেওয়া ও বন্ধ করার দায়িত্বটিকে ‘আমানত’ শব্দরূপে উল্লেখপূর্বক মহান আল্লাহ্ তা ফের সেই ওসমান ইবনে তালহাকেই ফেরতদানের নির্দেশ প্রদান করলেন। অর্থাৎ কাবাগৃহ প্রচলিত নিয়মমতো খুলে দেওয়া ও বন্ধ করার দায়িত্বটিকে ‘আমানত’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে মক্কা বিজয়ের পর ওসমান ইবনে তালহা যখন এ চাবি মহানবী (সা.) এর কাছে অর্পণ করেছিলেন, তখন তিনিও বলেছিলেন, ‘এ আমানত’ আমি আপনার হাতে অর্পণ করলাম।
আয়াতটির তফসির অংশে বলা হয়েছে, ‘এ নির্দেশের লক্ষ্য সাধারণ মানুষও হতে পারে কিংবা বিশেষভাবে ক্ষমতাসীন শাসকবর্গও হতে পারে।’ (প্রাগুক্ত : পৃ-৪০৫)।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, এমন খুব কমই হয়েছে যে, রাসুল (সা.) কোনো ভাষণ দিয়েছেন অথচ তাতে এ কথা বলেননি, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার মধ্যে ঈমান নেই। আর যার মধ্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষার নিয়মানুবর্তিতা নেই, তার ধর্ম নেই!’ (শোয়াবুল ঈমান)। একইভাবে সহি বোখারি ও সহি মুসলিমের হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আমানতে খিয়ানত করা মুনাফেকির অন্যতম নিদর্শন!’
আমানতের প্রকারভেদ : এখানে লক্ষণীয়, পবিত্র কোরআনে ‘আমানত’ বিষয়টিকে ‘বহুবচন’রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত করা হয়েছে (গবেষণার দলিল : ‘ইশারাতুন্-নস্’ হিসেবে), যে-কারও কাছে অপর কারও কোনো বস্তু বা সম্পদ গচ্ছিত রাখাটাই শুধু ‘আমানত’ নয়, যাকে সাধারণত আমানত বলে মনে করা হয়; বরং আমানতের আরও কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। ইতঃপূর্বে আয়াতটির শানেনুজুলে যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, তা-ও কোনো বস্তুগত মাল-সম্পদের ব্যাপার ছিল না। কারণ বায়তুল্লাহ্র চাবি বিশেষ কোনো সম্পদ নয়। তা বরং একটা দায়দায়িত্ব বা সেবা-খেদমতের একটা পদ মাত্র! (প্রাগুক্ত : পৃ-৪০৫)।
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা আল্লাহ্ তায়ালার আমানত : এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রীয় যত পদ ও পদমর্যাদা রয়েছে, সেসবই আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে আমানতস্বরূপ। যাদের হাতে নিয়োগ ও বরখাস্তের অধিকার রয়েছে, সেসব কর্মকর্তা ও অফিসার হলেন সে পদের আমানতদার। কাজেই তাদের পক্ষে কোনো পদ এমন কাউকে অর্পণ করা জায়েজ নয়, যে লোক তার যোগ্য নয়; বরং প্রতিটি পদের জন্য নিজের ক্ষমতা ও সাধ্যানুযায়ী যোগ্য ব্যক্তি অনুসন্ধান করা কর্তব্য।
কোনো পদে অযোগ্য ব্যক্তির নিয়োগকর্তা অভিসম্পাতযোগ্য : যোগ্যতা ও পরিপূর্ণ শর্ত মোতাবেক কোনো লোক পাওয়া না গেলে উপস্থিত লোকদের মধ্যে যোগ্যতা ও আমানতদারি তথা সততার দিক দিয়ে যে সবচেয়ে অগ্রবর্তী হবে, তাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে , রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যাকে সাধারণ মুসলমানদের কোনো দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, তারপর যদি সে কাউকে তার যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই একান্ত বন্ধুত্ব কিংবা সম্পর্কের কারণে কোনো পদে নিয়োগ প্রদান করে, তাহলে তার ওপর আল্লাহর লানত হবে এবং না তার ফরজ (ইবাদত) কবুল হবে, না নফল। এমনকি সে জাহান্নামে প্রবিষ্ট হবে।’ (জমউল-ফাওয়ায়েদ, পৃষ্ঠা : ৩২৫)।
কোনো কোনো রেওয়ায়েতে এসেছে, কোনো লোক যদি জেনেশুনে কোনো যোগ্য লোকের পরিবর্তে অযোগ্য লোককে কোনো পদে নিয়োগ দান করে, তাহলে সে আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং জনগণের গচ্ছিত আমানতের খেয়ানত করার মতো কাজ করল। স্বীকার করতেই হবে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় যেসব অব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়, তার অধিকাংশের মূলে রয়েছে উল্লেখিত কোরআনি শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শনের ফসল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আত্মীয়তা কিংবা স্বজনপ্রীতির জোরে সরকারি পদ ও পদমর্যাদা বণ্টন করা কোনো ক্রমেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। কেননা এর ফলে প্রায় ক্ষেত্রেই অযোগ্য, অনভিজ্ঞ, অসমর্থ লোক বিভিন্ন পদ কব্জা করে বসে। তারা নিয়োগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বা রাষ্ট্রীয় অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করে না বা করতে পারে না; বরং ঘুষ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি রাষ্ট্র ও জনগণের সেবার পরিবর্তে উল্টো মানুষের ওপর জুলুম শোষণ চালায়। এতে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রে অব্যবস্থা দেখা দেয়।
মহানবী (সা.) এক হাদিসে এরশাদ করেছেনÑ ‘যখন (পদ/চাকরি/জনসেবা/ উন্নয়ন/প্রতিনিধিত্ব ইত্যাদি) কাজের দায়িত্ব এমন লোকের হাতে অর্পণ করা হয়, যে লোক সে কাজের যোগ্য নয়, তখন তুমি কেয়ামতের অপেক্ষা করবে।’ অর্থাৎ এর কোনো প্রতিকার নেই। (বোখারি : কিতাবুল ইলম)।
কোটা ও যোগ্যতা : যেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, দুজন প্রার্থী বা একাধিক প্রার্থী বিদ্যমান এবং সবারই যোগ্যতা সমান, সেক্ষেত্রে কোটা রক্ষা করে বিশেষ বিবেচনায় এক অঞ্চলের পরিবর্তে অন্য অঞ্চলের প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এটা আইন, ন্যায্যতা-ইনসাফ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হয় না। তবে যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। এছাড়া যেসব পদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক যোগ্যতাও অপিরহার্য, যেমন হাতে কাজ করতে হবে, কম্পোজ করতে হবে অথবা ফাইলপত্র নিয়ে এদিক-সেদিক যেতে হবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই পদপ্রার্থীকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম হওয়া আবশ্যক। সুতরাং এমনসব পদে অযোগ্য, কর্মে অক্ষম প্রার্থীকে অসহায় বা প্রতিবন্ধী বিবেচনায় নিয়োগ দান সমীচীন নয়। কারণ তাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত ও প্রয়োজনীয় কাজের তথা রাষ্ট্র ও জনগণের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।
অসহায়-প্রতিবন্ধিদের কী হবে? এ প্রশ্নও সম্পূর্ণ বাস্তব ও যৌক্তিক। এর সুরাহাও অবশ্যই হতে হবে। আর এটাও রাষ্ট্র ও সরকারের আবশ্যিক দায়িত্বের অন্যতম। তবে তা এভাবে নয় যে, রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষতি করে অসহায়-প্রতিবন্ধীদের সাহায্য বা আনুকূল্য দিতে হবে। তা হতে পারে অন্যভাবে, যেমনÑ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বা তেমন কোনো মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে সংশ্লিষ্ট অসহায়, প্রতিবন্ধীদের দ্বারা আদায়যোগ্য কোনো কর্মের বিনিময়ে হোক বা কর্ম আদায় চিন্তা ব্যতিরেকেই, তাদের লালনপালন, ভরণপোষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তাদের এককালীন বা মাসিক, নিয়মিত বা অনিয়মিত, যেভাবে-যতটুকু সম্ভব দান-অনুদান, সাহায্য-সহযোগিতা করা যেতে পারে। এভাবে দ্বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের কাজের ক্ষতি থেকেও বাঁচা যাবে। আবার অসহায়-প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় সাহায্যও হয়ে যাবে এবং কোরআন-সুন্নাহ্র নির্দেশনা মোতাবেক আমলও হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ্ ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, সার্বিক বিবেচনা সামনে রেখে ‘কোটা পদ্ধতি’ প্রশ্নে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের তওফিক দান করুন! আমিন!

লেখক : মুফতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

8
যখন ছোট ছিলাম, পৃথিবীটাকে মনে হতো একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাট এবং খুব পরিপাটি একটা জায়গা। কিন্তু বড় হয়ে দেখলাম ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। ভাবতাম সবকিছুই ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ আমার মনে হতো, কারও প্রতি কখনো কোনোরূপ অন্যায় করা যাবে না। কোনো অন্যায় যদি হয়েই যায়, তাহলে সকল ক্ষেত্রেই সুবিচারের জয় হবে। নিজের এই নীতিবোধ অনুযায়ী, সবকিছু যেমনটি হওয়া উচিত তেমনটি ঠিক রাখার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি জীবনে। কিন্তু এই সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের একটি মৌলিক সত্যকে উপেক্ষা করছিলাম আমি। আমার শিশুসুলভ আদর্শবাদের কারণে আমি বুঝতেই পারিনি, সৃষ্টিগতভাবেই এই পার্থিব জগতটা ত্রুটিযুক্ত। ঠিক যেভাবে আমরা মানুষরা সৃষ্টিগতভাবে অপূর্ণ, ত্রুটিযুক্ত। সবসময় অঘটন আর ঝামেলা লেগেই থাকে আমাদের জীবনে। এসব ঝামেলাই জড়িয়ে, জেনেই হোক, না-জেনেই হোক, ইচ্ছা কি অনিচ্ছায় হোক, অনিবার্যভাবেই আমরা মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি। বাস্তব হলো, পৃথিবীটা সবসময় ন্যায়নীতি দিয়ে চলে না।

তার মানে কি এই যে, আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই থামিয়ে দেবো, সত্যের পক্ষে হাল ছেড়ে দেবো? অবশ্যই না। এর মানে হলো, আমরা অবশ্যই এই পৃথিবী এবং আর সবকিছুকে কোনো কাল্পনিক বা অবাস্তব মানদণ্ডে বিচার করতে যাবো না। তবে এমনটি না-করাও সহজ না। কীভাবে আমরা এতো ত্রুটিময় এই পৃথিবীতে টিকে থাকবো, যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত পরস্পরকে হতাশায় ডুবাচ্ছে, এমনকি নিজ পরিবারের লোকেরাই মনে আঘাত দিয়ে মনটা ভেঙ্গে দিচ্ছে? সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হলো, আমাদের প্রতি কেউ অন্যায় করলে কীভাবে আমরা সেই অপরাধকে ক্ষমা করতে শিখব? কীভাবে আমরা নিষ্ঠুর না হয়েও দৃঢ় হতে পারি? অথবা কীভাবে দুর্বল না হয়েও মনের কোমলতাকে বজায় রাখতে পারি? কখন আমরা কোনো কিছুকে আঁকড়ে ধরে রাখবো? আর কখন সেটিকে বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেবো? কখন বেশি বেশি যত্ন দেখালে তা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়? কারও প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসা বলে কি কোনো জিনিস আছে?

Loading ...
Please try again ...
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদেরকে প্রথমে নিজেরদের জীবনের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের খুঁজে দেখতে হবে, আমরাই প্রথম বা শেষ কিনা, যারা কষ্ট এবং অন্যায়ের শিকার। যে মানুষগুলো আমাদের আগে পৃথিবীতে ছিল তাদের জীবনের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। তাদের সংগ্রাম এবং তাদের বিজয় নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, কষ্ট ছাড়া কখনোই কোনো অগ্রগতি আসেনি এবং সাফল্যের একমাত্র পথ হলো সংগ্রাম। উপলব্ধি করতে হবে, জীবন সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো কষ্টভোগ করা এবং অন্যদের দেওয়া দুঃখকষ্ট এবং ক্ষতিকে জয় করা।

আমাদের নবীদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তসমূহ স্মরণ করলে আমরা দেখতে পাই যে, দুঃখকষ্ট ভোগ করা শুধু আমাদের জন্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মনে রাখবেন, নূহ (আ) তাঁর জাতির লোকদের দ্বারা ৯৫০ বছর ধরে অত্যাচারীত হয়েছিলেন। কুরআন আমাদের বলে :

“তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও অস্বীকার করেছিল। তারা আমার বান্দাকে অস্বীকার করেছিল এবং এবং বলেছিল, ‘পাগল।’ আর তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”
[সূরা আল-কামার; ৫৪ : ৯]

নূহের (আ) উপর এত বেশী অত্যাচার করা হয়েছিল যে:

“তিনি তার পালনকর্তাকে ডেকে বললেনঃ আমি পরাভূত, অতএব, তুমি সাহায্য করো।” [আল-কামার; ৫৪ : ১০]

নবীর (সা) কথাই মনে করে দেখুন, কীভাবে তাঁকে পাথর মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। কীভাবে তাঁর সাহাবীদের প্রহার করা হয়েছিল। কীভাবে তারা অনাহারে দিন পার করেছিলেন। অন্য মানুষরাই তাদেরকে এভাবে কষ্ট দিয়েছিল। এমনকি আমরা অস্তিত্বে আসার পূর্বেই ফেরেশতারা মানুষের এই ধরণের চারিত্রিক দিকটি বুঝতে পেরেছিল। আল্লাহ্‌ যখন বললেন যে, তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন, তখন ফেরেশতারা প্রথম যে প্রশ্নটি করেছিল তা ছিল মানুষের ক্ষতিকর সম্ভাবনা সম্পর্কে। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন :

“আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফেরেশতাদের বললেন : ‘নিশ্চয়ই আমি যমিনে একজন খলিফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ্‌ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি জানি যা তোমরা জানো না।’ ” [আল-বাকারাহ্‌; ২ : ৩০]

মানুষ জাতির একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণিত অপরাধ সংঘটনের এই প্রবণতা একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। তবে আমাদের অনেকেই অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের অধিকাংশকেই কখনো এমন কোনো দুঃখকষ্টের শিকার হতে হয়নি অন্যরা প্রতিনিয়তই যার শিকার হচ্ছে। আমাদেরকে অনেককেই কোনোদিন নিজের চোখে দেখতে হবে না যে, আমাদের পরিবার পরিজনের কাউকে নির্যাতন করে খুন করা হচ্ছে। তারপরও এমন মানুষ খুব কমই আছে, যারা বলতে পারে, তারা কোনোদিনও কোনোভাবে অন্য কারও দ্বারা কষ্ট পায়নি। সুতরাং, যদিও আমাদের অনেকেই কোনোদিন জানবে না অনাহারে ক্ষুধার যন্ত্রণায় মরার কষ্টটা কী; নিজের চোখের সামনে নিজের বাড়িঘর ধ্বংস করতে দেখার অনুভূতিটা কেমন, তথাপি আমার অনেকেই জানি আহত হৃদয়ের কান্নার অনুভূতিটা কেমন।

আচ্ছা, এসব কি এড়ানো সম্ভব? আমার মনে হয়, কিছুটা হলেও সম্ভব। আমরা কখনোই সকল দুঃখকষ্টকে এড়াতে পারব না। তবে আমদের প্রত্যাশা, আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং আমাদের মনোযোগকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে অনেক ধ্বংসযজ্ঞই এড়ানো সম্ভব।

উদাহারনস্বরূপ বলা যায়, আমদের আশা, ভরসা, বিশ্বাস — সবকিছুকে অন্য একজন মানুষের উপর সমর্পণ করাটা একেবারেই অবস্তবিক এবং ডাহা বোকামি। আমদের মনে রাখতে হবে, ভুল করা মানুষের সৃষ্টিগত স্বভাব। তাই আমাদের চূড়ান্ত বিশ্বাস, আস্থা, এবং প্রত্যাশা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র প্রতি সমর্পণ করা উচিত। আল্লাহ্‌ বলেন :

“যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ।” [আল-বাকারাহ্‌; ২ : ২৫৬]

“আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এমন মজবুত এক রশি যা ছিন্ন হবার নয়।” — শুধু এই কথাটি যদি আমরা স্মরণে রাখি, তাহলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

একথা বলার অর্থ কিন্তু এই নয় যে, আমরা ভালোবাসবো না বা ভালোবাসলেও কম করে বাসবো। তবে কীভাবে ভালোবাসবো সেটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কাউকেই বা কোনো কিছুকেই সর্বোচ্চ ভালোবাসা যাবে না। অন্তরে আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কোনো কিছুকেই অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। আর আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোনো কিছুকেই এত বেশী ভালোবাসা যাবে না যাতে করে ওই বস্তু ছাড়া জীবন চলা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই ধরনের “ভালোবাসা” ভালোবাসাই নয়। এটা এক ধরনের পূজা করা। এই ভালোবাসায় কষ্ট ছাড়া আর কিছু নেই।

তারপরও যদি কেউ এমন করে ভালোবাসে এবং অন্যের দ্বারা আঘাত বা কষ্ট পায়, তাহলে অনিবার্য পরিণতিটা কী দাঁড়ায়? সবচেয়ে কঠিন কাজটা আমরা কীভাবে করতে পারি? কীভাবে আমরা অন্যকে ক্ষমা করতে শিখব? কীভাবে মনের ক্ষতগুলোকে সারিয়ে তুলে, তাদের সাথে সদাচরণ বজায় রাখব যারা নিজেরাই আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না?

আবূ বাক্‌র (রা) এর ঘটনাটি ঠিক এমন পরিস্থিতির একটি চমৎকার উদাহরণ। যখন তাঁর মেয়ে, ‘আয়েশা (রা) সম্পর্কে জঘন্যতম অপবাদ রটানো হলো, তিনি জানতে পারলেন, এই অপবাদটা রটিয়েছিল মিস্‌তাহ্‌ নামে তারই এক চাচাতো ভাই যাকে তিনি বহুদিন ধরে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছিলেন। সঙ্গত কারণেই আবূ বাক্‌র অপবাদ আরোপকারীর সাহায্য বন্ধ করে দিলেন। সামান্য সময় পরেই আল্লাহ্‌ নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করলেন :

“আর তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন কসম না করে যে, তারা নিকটাত্মীয়দের, মিসকীনদের ও আল্লাহ্‌র পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। আর তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দোষক্রটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি কামনা করো না যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের ক্ষমা করে দেন? আর আল্লাহ্‌ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [আন-নূর; ২৪:২২]

এই আয়াত শুনেই আবূ বাক্‌র (রা) বুঝতে পারলেন যে, তিনি নিজেই আল্লাহ্‌র ক্ষমা চান। তাই তিনি শুধু সেই লোককে সাহায্য দেওয়া চালুই করলেন না, এখন আগের চেয়ে বেশি করে দিতে লাগলেন।

মু’মিন হওয়ার মূলেই হলো এইভাবে ক্ষমা করে দেওয়া। এই ধরণের মু’মিনদের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ্‌ বলেন :

“আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।” [আশ-শূরা; ৪২:৩৭]

‘আমি নিজেও ভুল করি, অন্যদের কষ্ট দেয়’ — নিজের সম্পর্কে এই ধরণের সচেতনতা বোধ দ্বারা অন্যকে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষমা করে দেওয়ার ক্ষমতাটা উদ্বুদ্ধ হওয়া উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই বিষয়টির মাধ্যমেই আমাদের বিনম্রতা উজ্জীবিত হওয়া উচিত যে, আমারা প্রতিদিন পাপ করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র প্রতি অন্যায় করছি। আল্লাহ্‌র সাথে তুলনা করলে মানুষ তো কিছুই না। তারপরও বিশ্বজগতের প্রতিপালক, আল্লাহ্‌ আমাদের প্রতিনিয়ত ক্ষমা করে দিচ্ছেন। তাহলে ক্ষমা না করে মানুষকে বেঁধে রাখার আমরা কে? নিজেরা যদি আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা পাওয়ার আশা করি, তাহলে আমরা অন্যদেরকে ক্ষমা করতে পারি না কেন? আর এ কারণেই নবী (সা) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন :

“যারা অন্যের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ্‌ও তাদের প্রতি দয়া করবেন না।” [মুসলিম; অধ্যায় ৩০, হাদীস নং ৫৭৩৭]

আল্লাহ্‌র দয়া লাভের আশা যেন আমাদের অন্যদের প্রতি দয়া করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং একদিন সেই দুনিয়ার নিয়ে যায় যা বাস্তবিক অর্থেই নিখুঁত, ত্রুটিহীন, পরিপূর্ণ, অনুপম, অতুলনীয়।

9
অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের প্রথা আধুনিক বিশ্বে নতুন নয়। উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেও এর প্রসারতা লক্ষ করার মতো। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশেও এর ব্যাপক প্রচার বিভিন্ন ইলেকট্র্রনিকস, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা লক্ষ করছি। কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারতার সঙ্গে সঙ্গে তার শরয়ি বৈধতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কিছু শর্তসাপেক্ষে এভাবে অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। শর্তগুলো নিম্নরূপÑ
 ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন প্রতারিত না হয় : কারণ রাসুল (সা.) মদিনার বাজারে আটার ঝুড়ির ভেতরে হাত দিয়ে যখন দেখতে পেলেন বাইরে শুকনো আটা থাকলেও ভেতরে ভেজা আটা রয়েছে তখন বলেছিলেন, যে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করল সে আমাদের (উম্মতের) অন্তর্গত না। (মুসলিম : ২৯৫)।
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বাধীনতা থাকতে হবে : বিশেষ করে, ‘খিয়ারে রুইয়াত’ অর্থাৎ পণ্য দেখার পর কোনো দোষত্রুটি ধরা পড়লে ক্রেতার কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়া ব্যতীত সেই পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত থাকা।
পণ্যের বিবরণ ও বর্ণনা বিস্তারিত ও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা : পণ্যটির বিস্তারিত বর্ণনা, যেমনÑ কোথায় তৈরি, কী দিয়ে তৈরি, গুণগতমান, ওয়ারেন্টি বা গ্যারন্টি আছে কি না, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওজন কিংবা সাইজ কতটুকু, তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের লুকোচুরি করলে তার পরিণাম ভয়াবহ। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মন্দ পরিণাম তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়। যারা লোকের কাছে থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তাদের জন্য মাপে বা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে মহাদিবসে।’ (সূরা মুতাফফিফিন : ১-৫)।
পণ্য ও দামের ভেতর কোনো ধরনের গরমিল না থাকা : উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, পণ্যটি সেটা কোনো বস্তু কিংবা প্রাণী হোক তার যে ছবি এবং বিস্তারিত বর্ণনা অনলাইনে দেওয়া থাকবে প্রকৃতপক্ষে তার সঙ্গে মিল থাকা চাই। সেটার রং, সাইজ, গুণগতমান ইত্যাদি বর্ণনা মোতাবেক হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘মেপে দেওয়ার সময় পূর্ণভাবে দেবে এবং ওজন করবে ঠিক দাঁড়িপাল্লায়, এটাই উত্তম এবং পরিণতি উৎকৃষ্ট।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ৩৫)।
সবচেয়ে ভালো হয়, যদি পণ্য হাতে পেয়ে দাম পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে : কারণ বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার এক্ষেত্রে প্রতারিত বা ঠকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ক্রেতা দেখার পরে দাম পরিশোধ করতে পারলে অনেকাংশে তা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। অনেক ক্ষেত্রে আগেই দাম পরিশোধ করে পণ্যে কোনো ত্রুটি থাকার কারণে ফেরত দিলেও পরিশোধিত টাকা পেতে বিলম্ব ও হয়রানি দুটিরই অভিজ্ঞতা আছে অনেকের।
পরিশেষে বলব, ব্যবসায়ে ইসলামের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলোÑ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা। সেখানে কেউ নিশ্চিত লাভবান হবে আর কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হবে, এমন সব লেনদেন থেকে মুক্ত রেখে উভয়ের কল্যাণ সাধিত হয় এ উদ্দেশ্যে শরিয়ত বিভিন্ন শর্তারোপ করে থাকে। তাই ইসলামের বিধিবিধান সঠিকভাবে মেনে এ ধরনের ব্যবসা করাতে কোনো দোষ নেই, বরং ভালো বলে আমরা মনে করি।
ইসলামের দৃষ্টিতে সৎ ব্যবসায়ীদের মর্যাদা নবী, রাসুল ও শহীদদের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সৎবাদী, আমানতদার ও বিশ্বাসী ব্যবসায়ী ব্যক্তি কেয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক এবং শহীদদের দলে থাকবেন।’ (তিরমিজি, দারা কুতনি ও দারেমি)। সুতরাং এই অপার সুযোগ থেকে কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তিই বঞ্চিত হতে চাইবে নাÑ এটাই কি স্বাভাবিক নয়?


10
 হতে পারে এই কথাগুলো সত্য কিন্তু আমার মতে সব কিছুই মান ও সেবার সামঞ্জস্য রাখা উচিত।

11
Islam / #দান করার উপকারীতাঃ-
« on: April 22, 2018, 11:29:08 AM »
১)সম্পদকে পরিশুদ্ধ করে ।
২)মানুষের পাপ মুছে দেয় ।
৩)বিপাদ আপাদ এবং অসুস্থতা থেকে দূরে রাখে ।
৪)আনন্দ বয়ে আনে গরিবের মাঝে ।
৫)সম্পদের বরকত এবং রিযিকের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি করে ।
৬)কিয়ামতের দিনে ছায়া হিসেবে কাজ করবে দানকারীর জন্য ।
৭)আমলের হিসাব নিকাশ আল্লাহ সহজ করে দিবে ।
৮)আমলের পাল্লা ভারী করবে ।
৯)গোপনে করা দান আল্লাহর রাগকে প্রশমিত করে ।
১০)আল্লাহ জান্নাতে মর্যদা বাড়িয়ে দিবে ।
#আল্লাহ যেন আমাদেরকে বেশিবেশি দান করার তাওফিক দান করে ।

12
1. শুকনো বরফ

কার্বন ডাই অক্সাইড যা আমরা শ্বাসকষ্ট করি তা মশাগুলোকে আকর্ষণ করে। শুকনো বরফ অনেক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে। সুতরাং, একটি ধারক শুষ্ক বরফ রাখুন এবং এটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব এ রাখা। যখন সমস্ত মশা যে ধারক দিকে আকৃষ্ট হয়, ঢাকনা বন্ধ করুন। যদিও এটি একটু সময় ব্যয় করা হতে পারে, তবে এটি মশা (1, ২) দূরে চালানোর একটি কার্যকর পদ্ধতি।

2. কফি গ্রাউন্ডস

মশা অপসারণের জন্য সহজ বাড়িতে প্রতিকার কফি ভিত্তিতে হয়। আপনি আপনার ঘরের কাছাকাছি স্থিতিশীল জল যেখানেই প্রয়োজন শুধু আপনার কফি ভিত্তিতে ছাঁটা হয়। কফি ভিত্তিতে কারণে জল উপস্থিত মশার ডিম জল পৃষ্ঠে আসতে বাধ্য করা হবে। তারা পৃষ্ঠে আসা হিসাবে, তারা অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত করা হবে। এটি হিট করার আগেই তাদের মেরে ফেলবে এবং মশারি প্রজনন থেকে প্রতিরোধ করবে (3)।

3. মশারি ফাঁদ

আপনি বাজার থেকে একটি মশা ছাঁটা কিনতে পারেন বা সহজেই বাড়িতে এটি করতে পারেন। হোমমোডের মশার ফাঁদ প্রস্তুত করার জন্য, আপনার প্লাস্টিকের বোতল দরকার। অর্ধেক এই বোতল কাটা গরম পানিতে বাদামি চিনি যোগ করুন এবং ভালভাবে মেশান। যখন এটি ঠান্ডা হয়ে যায়, বোতল নীচের অর্ধেক এটি খালি। এখন, খামি যোগ করুন। বোতামের অন্য অর্ধেকের মধ্যে উল্টো দিকের দিকের দিকের ফাঁদে রাখুন। বোতল একটি কালো টেপ মোড়ানো, কিন্তু শীর্ষ উন্মোচিত উচিত। মশা প্রবণ এলাকায় এটি রাখুন। প্রতি 2 সপ্তাহ পরে বোতল এর সমাধান পরিবর্তন (4)।

মশার চলাচলের এই পদ্ধতিটি চিনির খামি খনন পদ্ধতি নামে পরিচিত। মাছ ধরার জন্য সহজেই পাওয়া যায় এমন উপকরণগুলি মশার পরিত্রাণ পেতে সুবিধাজনক ও সস্তা উপায় (5)।

5. রসুন

রসুনের লার্চিকাল প্রোপার্টি (9) মশা কয়েকটি রসুনের গুঁড়ো গুঁড়ো এবং কিছু সময় পানির গুঁড়ো রসুন উষ্ণ করুন। তারপর একটি স্প্রে বোতল এই গৃহজাত মশা বিরক্তিকর ঢালাই এবং রুম কাছাকাছি এটি ফিতে। এই প্রতিকার মশা হত্যা করা হবে।

দৈনিক মশার কামড় এড়ানোর জন্য দৈনিক রসুন খান। আপনি সরাসরি চামড়া (10) উপর একটি রসুন লবঙ্গ গুঁড়ো করতে পারেন।

মশা জন্য ভেষজ প্রতিকার
6. ভারতীয় লিলাক তেল এবং নারকেল তেল

ভারতীয় lilac একটি মশা বিকিরণকারী এবং এটি একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয় (11)। অনুপাত 1: 1 এ ভারতীয় লিলাক তেল এবং বিশুদ্ধ নারকেল তেল মিশ্রিত করুন এবং আপনার শরীরের উপর এটি সব প্রয়োগ। মিশ্রণের শক্তিশালী গন্ধ অন্তত আট ঘন্টা ধরে মশা আপনার থেকে দূরে রাখবে।

7. লেবু ইউক্যালিপটাস

অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান লম্বা একটি লম্বা বৃক্ষ কেরীবিয়া সিটিওডোরা নামে পরিচিত ইউক্যালিপ্টাস। এই বৃক্ষের পাতা থেকে তেল চমৎকার মশা বিকিরণ বৈশিষ্ট্য (14, 15, 16)। আপনি মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এই তেল চামড়া প্রয়োগ করতে পারেন (17)।

8. পবিত্র বেসিল

মস্তিষ্কে লার্ভা হত্যা করার জন্য পবিত্র তুঁত পাতাগুলি পরিচিত। অতএব, মশা প্রজনন চেক করুন। শুধু আপনার বাগানে একটি পবিত্র আস্তানা উদ্ভিদ এবং আপনার বাড়ির এন্ট্রি পয়েন্ট (18)। আপনি মশলা প্রতিরোধ করার জন্য বেসিল তেল স্প্রে করতে পারেন (19)।

9. Citronella তেল

মশার প্রতিরোধ করার জন্য Citronella তেল সর্বোত্তম অপরিহার্য তেল হয় (20, 21)। শরীরের উপর citronella তেল প্রয়োগ করুন (22)। আপনি একটি মোমবাতি এই অপরিহার্য তেল কয়েক ড্রপ উদ্দীপ্ত করতে পারেন এবং এটি আলো ()। অন্যথায়, এটি একটি স্প্রে বোতল মধ্যে রাখুন এবং মশারি প্রবণ এলাকায় এটি ছিটিয়ে।

10. মিন্ট

টাকশনের দৃঢ় সুগন্ধ, যা আমাদের অধিকাংশই খুব বেশি ভালোবাসে, মশা দ্বারা ঘৃনা করা হয়। আপনি পুদিনা আচ্ছাদিত থেকে পুদিনা তেল বের করতে পারেন বা শুধু মশারি দূরে রাখা হিসাবে এটি নির্যাস ব্যবহার (24)। আপনি একটি স্প্রে বোতল মধ্যে এটি ঢালাই পুদিনা তেল স্প্রে করতে পারেন, অথবা আপনি আপনার শরীরের উন্মুক্ত অংশে এটি প্রয়োগ করতে পারেন। বিকল্পভাবে, আপনার বাগানে পুদিনা shrubs হত্তয়া।

11. ল্যাভেন্ডার তেল

রসায়াল তেলের গন্ধ মশাদের দূরে রাখতে পারেন যেমন কোন রাসায়নিক এজেন্ট করবে। ল্যাভেন্ডার ফুল ও তেলের গন্ধ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং মশা এটি সহ্য করতে পারে না। অতএব, রুম মধ্যে এটি Lavender তেল স্প্রে (25)। অথবা আপনি এটি আপনার মুখ এবং শরীরের অন্য অংশে এটি প্রকাশ করতে পারেন যা প্রকাশ করা হয়।

বিকল্পভাবে, আপনি ল্যাভেন্ডার-সুগন্ধযুক্ত রুমে ফ্রেশনারকেও স্প্রে করতে পারেন যা বাজারে সহজেই পাওয়া যায়।
আপনি মশা দূরে রাখতে বাড়ির এবং বাগান চারপাশে Lavender গাছ বৃদ্ধি করতে পারেন।

12. চা গাছ তেল

কীটপতঙ্গ থেকে পরিত্রাণ পেতে চা গাছের তেল কার্যকর অপরিহার্য তেলের এক (২6)। মশা বন্ধ করার জন্য এটি যখন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি-ফিঙ্গাল প্রোপার্টি আশ্চর্য কাজ করে। চা গাছের তেলের শক্তিশালী গন্ধ ময়শ্চারাইজ করে রাখে। আপনাকে যা করতে হবে তা কয়েকটি গাছের ড্রপ দিয়ে কয়েকটি গাছের তেলের ড্রপ মিশ্রন করে এবং আপনার মুখ এবং আপনার শরীরের অন্যান্য উন্মুক্ত অংশগুলিতে এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন।

13. লাল সিডার পিঁপড়া

লাল সিডার কুঁড়ি শুধু বাগান বা বাগানে সুন্দর করে তোলে না, কিন্তু এটি মশাদের দূরে রাখে। পানিতে লাল সিডার চিপ তৈরি করুন। পরবর্তী, এই তরল আপনি আপনার বাগান জন্য ব্যবহার করুন এবং এটি সর্বত্র এটি ছিটিয়ে যে বাগান স্প্রেয়ার মধ্যে করা। এই আপনার বাড়ির বন্ধ মশা আটকানো হবে।


13
১। পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়ঃ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। সেই সঙ্গে স্টমাকে উপস্থিত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ফলে বদ হজমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে তলপেটে যন্ত্রণাসহ আরও নানা সব শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়।

২। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়ঃ দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের সাথে সরাসরি যোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে শরীরের ভিতর থাকা কিছু উপকারি রাসায়নিকের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা ভুলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না।

৩। মানসিক চাপ বেঁড়ে যায়ঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে একাধিক নার্ভে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। অকারনে মানসিক চাপ কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়।

৪। কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ঃ দাঁড়িয়ে পানি পান করার সময় শরীরের ভিতর থাকা একাধিক ফিল্টার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে পানীয় জলের মধ্যে থাকা একাধিক ক্ষতিকর উপাদান প্রথমে রক্তে গিয়ে মেশে, তারপর সেখান থেকে কিডনিতে এসে জমা হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে এক সময় কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই আজ থেকে ভুলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না।

৫। জি ই আর ডিঃ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি পান তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা মারে। এমনটা হতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে ইসোফেগাস এবং পাকস্থালীর মধ্যেকার সরু নালীটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে “গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজজ” বা ডি ই আর ডি-এর মতো রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

14
এটি মুখ, গলা, নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে, সর্দি-কাশির ভাইরাসগুলো এই সংক্রামণের জন্য দায়ী.

তবে ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা টনসিলের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেই-

মেথি টনসিলের ব্যথা রোধ বেশ উপকারী। এক লিটার পানিতে তিন চা চামচ মেথি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট জ্বাল দিতে থাকুন। কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। মেথি গলা ফুলা এবং ব্যথা কমিয়ে দেবে।

এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ গ্রিন টি পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার এটি আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে চা পান করুন। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে দেয় এবং টনসিলের ব্যথা ধীরে ধীরে কমিয়ে থাকে।

এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান ইনফেকশন ছড়াতে বাধা প্রদান করে। এর সাথে সাথে ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে।

গলা ব্যথা বা টনসিল ইনফেকশন দূর করার সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হলো লবণ পানি। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া ধবংশ করার সাথে সাথে গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এটি তিন ঘণ্টা পর পর করুন।

গলা ব্যথা বা টনসিল ইনফেকশন দূর করার সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হলো লবণ পানি। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া ধবংশ করার সাথে সাথে গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এটি তিন ঘণ্টা পর পর করুন।[/move][/move]
[/move][/size]

15
'It's about slowing down'

"To avoid brain freeze, eat the cold food much more slowly so that your mouth can warm up the food – don't inhale it," Vertrees said. "Keep it in the front of your mouth: the further-back stimulation is what triggers the brain freeze."

Those who feel a brain freeze coming on can try pressing their tongue to the roof of their mouth to help reduce the pain. The warmth of the tongue can heat up the nasal sinuses and the nerves that make up the sphenopalatine ganglion, according to Vertrees.

"Brain freezes are very self-limiting," she said. "It's about slowing down and being patient and aware of the likelihood of getting a brain freeze if you eat or drink too fast.

Pages: [1] 2 3 4