নিউইয়র্ক, সেপ্টেম্বর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- রক্তে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ডি থাকলেই তাদের হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস পায় না। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ ধরনের তথ্যই পেয়েছেন গবেষকরা।
বয়স্ক নারীদের রক্তে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ডি থাকলে তা কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে বলে মনে করা হতো।
তবে এসব গবেষণা ভিটাসিন ডি’র সঙ্গে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস হওয়ার কোনো কার্যকারণ প্রমাণ করতে পারেনি।
Heart Attack and Vitamin D
বরং সাম্প্রতিক গবেষণায় ভিটামিন ডি’র বদলে ভিটামিনবিহীন প্লেসিবো বড়ি খাওয়ার ফলে এ ঝুঁকি কমার লক্ষণ দেখা গেছে।
৩০৫ জন ষাটোর্ধ্ব নারীকে তিন দলে বিভক্ত করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাবারডিনের অ্যাড্রিয়ান উড। এদের মধ্যে এক দলকে টানা এক বছর ধরে ৪০০ ইউনিট ভিটামিন ডি, অন্য দুই দলকে ১০০০ ইউনিট ভিটামিন ডি অথবা প্লেসিবো খেতে দেওয়া হয়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীরা প্রতি দুই মাস অন্তর হৃদযন্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় অংশ নিতেন। এসব পরীক্ষায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়নি, বিভিন্ন ঋতুতে আবহাওয়া অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়েছে।
সম্পূর্ণ গবেষণায় এ তিন দলের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের মধ্যে খুব বেশি পরিবর্তন দেখা যায়নি। জার্নাল অব ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম পত্রিকায় এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন অ্যাড্রিয়ান উড ও তার দল।
তবে দি ইনিস্টটিউট অব মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী, বেশিরভাগ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত। সাধারণত কডলিভার অয়েল ও অন্যান্য মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এবং বিভিন্ন সংরক্ষিত ফলের রসে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
২০১০ সালের একটি গবেষণায় একসঙ্গে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে হাড়ের উপকার হওয়ার গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।
তবে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।