Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: khadija kochi on November 24, 2015, 12:31:26 AM

Title: রেগে গেলেন তো মরে গেলেন!
Post by: khadija kochi on November 24, 2015, 12:31:26 AM


    প্রচ্ছদ
    জীবনযাপন
    জেনে নিন

রেগে গেলেন তো মরে গেলেন!
রুহিনা তাসকিন | আপডেট: ১৫:৩৭, অক্টোবর ২১, ২০১৫
০ Like

 
 
 
 
 
 

হলিউডের ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এ রাগ কমানোর বিদ্যা শিখেছেন হিউ জ্যাকম্যান!শিরোনামটা ঠিকই পড়েছেন। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন নয়, একদম মরে যাওয়ার কথাই বলা হয়েছে। ট্রাফিক জ্যামে বসে আপনার রাগের চোটে মাথার চুল ছেঁড়ার জোগাড়? অফিসে সহকর্মীদের ওপর সব সময়ই বেজার আপনি? বাড়ি ফিরেও বাচ্চাদের আহ্লাদ-আবদারে মেজাজটা চড়ে যায়?


এমন স্বভাব বদলানোটাই ভালো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে বিপজ্জনক তথ্য। প্রায় চল্লিশ বছরের কাছাকাছি বয়সের এক হাজার ৩০৭ জন পুরুষের ওপর জরিপ চালায় তারা। এদের মধ্যে সবচেয়ে রাগী ২৫ শতাংশ মানুষ অন্যদের তুলনায় ১.৫৭ গুণ বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এ গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হতো, আপনি কী প্রায়ই রেগে থাকেন? সে সময়ে তাঁদের বয়স ছিল ২০-৪০ এর মধ্যে। ৩৫ বছর পরে আবার তাঁদের তথ্য মিলিয়ে দেখা গেছে, এ প্রশ্নের উত্তরে যাঁরা হ্যাঁ বলেছিলেন, তাঁদের অন্যদের তুলনায় আগেই মৃত্যু ঘটেছে অথবা মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে গেছে । এমনকি বৈবাহিক অবস্থা, ধূমপান, আয় ইত্যাদি বিষয়ের কথাও বিবেচনা করা হয়েছে এ গবেষণায়।

গবেষণাটির প্রধান পরিচালনাকারী অ্যামেলিয়া ক্যারাকারের কাছে অবশ্য ভালো খবরও আছে। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের মানুষেরা (যাঁরা মৃত্যুঝুঁকিতে আছে) সব সময়ই রেগে থাকেন। ক্ষণিকের রাগের প্রশ্ন নয় এটি। এটা শুধু এক বিকেলের রেগে থাকা বা এক বছরের ব্যাপারও নয়।

রক্তচাপ ও হৃৎপিণ্ডের ওপরে রেগে যাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব যে কতটা তা অনেকেই জানেন। অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাগ ও বিদ্বেষ কীভাবে হৃৎপিণ্ডের গতিতে ছন্দপতন ঘটায়। অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন বলা হয় একে। তবে মজার ব্যাপার হলো, নারীদের ক্ষেত্রে কিন্তু সচরাচর এমনটি হতে দেখা যায় না। অর্থাৎ রেগে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি পুরুষদেরই বেশি।

যাঁরা এর মধ্যেই চিন্তায় পড়ে গেছেন, তাঁদের জন্য তথ্য হচ্ছে— অনেক গবেষণাতে এমনও দেখা গেছে, রাগ চেপে রাখাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। বিশেষ করে; কেউ যদি মনে করেন তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।

তাহলে কী রাগ হলে প্রকাশ করে ফেলাটাই ভালো? সম্ভবত তাই। যদি এর প্রকাশটা মাঝে মাঝে হয় এবং খুব দ্রুতই আবারও মন ভালো হয়ে যায়। নিয়মিত রেগে গিয়ে চারপাশটা মাথায় তুলে ফেলাটা মোটেও ভালো কিছু নয়।

ক্যারাকারের মতে, রাগ মাপার আধুনিক নানা স্কেল ব্যবহার করে হয়তো তাঁদের গবেষণার চাইতেও বেশি তথ্য পাওয়া যাবে। আবার ঠিক কতখানি সময় ধরে রেগে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি এতে। তবু রাগ আপনার জন্য ক্ষতিই ডেকে আনবে তাতে সন্দেহ নেই। যেসব মানুষের ওপর আপনি রেগে যাবেন, তাঁদের চাইতে ক্ষতিটা কিন্তু আপনারই বেশি।

তাহলে বরং হলিউডের ছবির সেই ‘হাল্ক’ চরিত্রটির মতোই হয়ে যান। সব সময়ই রেগে থাকে সে। অবশ্য, রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার বিদ্যাও যে শেখা সম্ভব তা কিন্তু দেখানো হয়েছে হলিউডেরই আরেক ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-এ।
Title: Re: রেগে গেলেন তো মরে গেলেন!
Post by: R B Habib on November 29, 2015, 05:21:34 PM
My goodness! Alarming  :o
Title: Re: রেগে গেলেন তো মরে গেলেন!
Post by: Nayeem Arch on November 30, 2015, 11:31:18 AM
informative..thank u mam
Title: Re: রেগে গেলেন তো মরে গেলেন!
Post by: afrin.ns on February 04, 2016, 12:04:51 PM
Thanks for sharing